/ হোম / জাতীয়
অনূর্ধ্ব-১৬ জোনাল ক্রিকেটে টাঙ্গাইল জেলা দলের ১৩৯ রানের বিশাল জয় - Ekotar Kantho

অনূর্ধ্ব-১৬ জোনাল ক্রিকেটে টাঙ্গাইল জেলা দলের ১৩৯ রানের বিশাল জয়

একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড(বিসিবি)আয়োজিত ইয়াং টাইগার্স অনূর্ধ্ব-১৬ জোনাল ক্রিকেটের সেন্টাল জোনের কিশোরগঞ্জ ভেন্যুতে টাঙ্গাইল জেলা দল তাদের প্রথম ম্যাচেই বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে। টাঙ্গাইল জেলা দল মানিকগঞ্জ জেলা দলকে ১৩৯ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করেছে।

সোমবার (৭ ফেব্রয়ারি) সকালে কিশোরগঞ্জ জেলা স্টেডিয়ামে টাঙ্গাইল জেলা দলের অধিনায়ক দেবাশিষ সরকার সকালে টসে জয় লাভ করে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। ঘন কুয়াশার কারনে নির্ধারিত ৫০ ওভারের খেলা কমিয়ে ৪২ ওভারে নির্ধারন করা হয়। টাঙ্গাইল জেলা দল নির্ধারিত ৪২ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৮ রান করেন।

টাঙ্গাইল জেলা দলের পক্ষে রিফাত ১০৬ বল খেলে ৮২ রান করে রান আউটের শিকার হয়। একই দলের অধিনায়ক দেবাশিস ৯৩ বলে ৮১ রান করে অপরাজিত থাকে।

জবাবে, ২০৮ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে টাঙ্গাইল জেলা দলের বোলিং তোপের মুখে পরে মানিকগঞ্জ জেলা অনূর্ধ্ব-১৬ ক্রিকেট দল ৩৪ ওভার ১ বল খেলে মাত্র ৬৯ রানে গুটিয়ে যায়।

টাঙ্গাইল জেলা দলের পক্ষে রাদিল ৮ ওভার বল করে ৪টি মেডেন সহ মাত্র ৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট দখল করে। অপরদিকে একই দলের অপর বোলার মুনতাসির ৮ ওভার বল করে ২ টি মেডেন সহ ১৩ রান দিয়ে ৩টি উইকেট শিকার করে। ফলে টাঙ্গাইল জেলা দল তাদের প্রথম ম্যাচে অনায়াসে ১৩৯ রানের ব্যবধানে জয় লাভ করে।

খেলায় ম্যান অব দি ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন টাঙ্গাইল জেলা দলের ব্যাটসম্যান রিফাত বেগ।

টাঙ্গাইল জেলা অনূর্ধ্ব-১৬ ক্রিকেট দলের খেলোয়ারগণ হচ্ছেঃ- দেবাশিস(অধিনায়ক) সামিউল(উইকেট রক্ষক) আবিদ, বাঁধন, রিফাত, হামজা, সাবিবুর, ইমরুল, মাহাদি, মুনতাসির, ও রাদিল।

টাঙ্গাইল জেলা দলের কোচ হিসেবে আছেন কামরুল ইসলাম ও ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য ভ্রমর চন্দ্র ঘোষ ঝোটন।সহকারি  ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মানুনুর রশিদ মামুন ।

টাঙ্গাইল জেলা অনূর্ধ্ব -১৬ ক্রিকেট দলের সার্বিক দায়িত্বে আছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড( বিসিবি) নিয়োজিত টাঙ্গাইল জেলা ক্রিকেট কোচ মো. আরাফাত রহমান।

প্রসঙ্গত, টাঙ্গাইল জেলা গ্রুপ পর্বের ম্যাচে আগামী বুধবার(৯ ফেব্রয়ারি) রাজবাড়ী জেলা দল ও শনিবার(১২ ফেব্রয়ারি) শরিয়তপুর জেলা দলের বিপক্ষে কিশোরগঞ্জ ভেন্যুতে খেলবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৮. ফেব্রুয়ারী ২০২২ ০২:৪৭:এএম ৩ বছর আগে
কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর আর নেই - Ekotar Kantho

কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর আর নেই

একতার কণ্ঠঃ উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর আর নেই। মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে রোববার (০৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে ৯২ বছর বয়সে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ১১ জানুয়ারি তিনি মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হন। গত চার সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

সম্প্রতি অবস্থার উন্নতিও হচ্ছিল। কিন্তু শনিবার (০৫ ফেব্রুয়ারী) হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। তাকে নিতে হয় ভেন্টিলেশনে। সেখান থেকে আর ফেরানো যায়নি লতাকে।

নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত ছিলেন এই বরেণ্য এই শিল্পী। প্রথম থেকেই তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল।

৩০ জানুয়ারি শিল্পীর কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। কিন্তু বয়সজনিত নানা সমস্যার কারণে শেষ পর্যন্ত আর লড়তে পারলেন না তিনি।

এর আগেও সংকটজনক অবস্থায় একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল লতাকে। কিন্তু অনুরাগীদের আশ্বস্ত করে প্রত্যেকবারই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন।

১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর লতার জন্ম এক মারাঠি পরিবারে। মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবাকে হারান। তার আগে অবশ্য বাবার হাত ধরেই অভিনয় এবং গান শিখতে শুরু করে দিয়েছিলেন।

১৩-১৪ বছর বয়সেই প্রথমবার সিনেমায় গান গেয়েছে মারাঠি ছবিতে। মুম্বাই যাওয়ার পর ১৯৪৮ সালে প্রথম হিন্দি গান গেয়েছেন ‘মজবুর’ ছবিতে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৭. ফেব্রুয়ারী ২০২২ ০১:৫৪:এএম ৩ বছর আগে
মরণোত্তর একুশে পদক পেলেন মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুল - Ekotar Kantho

মরণোত্তর একুশে পদক পেলেন মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুল

একতার কণ্ঠঃ বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক উপদেষ্টা সদস্য, সংবিধান প্রণেতা কমিটির সদস্য, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সম্পাদক, মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুলকে ভাষা আন্দোলনে বিশেষ অবদান রাখায় এ বছর (২০২২) মরণোত্তর একুশে পদকের জন্য মনোনিত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব বাবুল মিয়া স্বাক্ষরিত অনুষ্ঠান শাখার সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ওই তথ্য জানানো হয়।

জানা যায়, মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুল ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন প্রাক্তন রাজনীতিবিদ ও টাঙ্গাইল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি ৬ দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। বিগত ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি প্রবাসী মুজিবনগর সরকারের সংগঠক ছিলেন। তিনি ১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণেতা কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৭৩ সালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে টাঙ্গাইল-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুল জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে ১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও টাঙ্গাইল জেলা আইনজীবী সমিতির টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাবেক সভাপতি ছিলেন। মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুল (৮৭) বছর বয়সে ২০১৬ সালের (৫ এপ্রিল) সোমবার রাত পৌনে ১০টায় ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্তেকাল করেন। তার পরিবারে ৩ ছেলে, ২ মেয়ে রয়েছে। মৃত্যুর পর তার প্রথম জানাজা জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এবং পরে তার দ্বিতীয় জানাজা নিজ গ্রাম টাঙ্গাইলের দিঘুলিয়াতে অনুষ্ঠিত হয়। প্রবীণ এই রাজনীতিকের কোমরের হাড় ভেঙ্গে যাওয়ায় মৃত্যুর দুই মাস আগে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন। এ সময় তিনি হৃদরোগ ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুল দীর্ঘ ৪০ বছর টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তৎকালীন পাকিস্তানে ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আইনজীবী হিসেবে টাঙ্গাইল বারের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। ফরিদপুর-১ আসনের দুই বারের সাবেক এমপি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান তার বড় জামাতা।

এ ছাড়া এ বছর আরো পুরস্কার পেয়েছেন ভাষা আন্দোলনে মোস্তফা এম এ মতিন (মরণোত্তর), মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য চারজন—বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ অধ্যক্ষ মো. মতিউর রহমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী (মরনোত্তর), কিউ.এ. বি. এম রহমান, আমজাদ আলী খন্দকার, শিল্পকলা’য় জিনাত বরকতউল্লাহ (নৃত্য), নজরুল ইসলাম বাবু (মরণোত্তর) (সংগীত), ইকবাল আহমেদ (সংগীত), মাহমুদুর রহমান বেণু (সংগীত), খালেদ মাহমুদ খান (খালেদ খান) (মরণোত্তর) (অভিনয়), আফজাল হোসেন (অভিনয়), মাসুম আজিজ (অভিনয়)। সাংবাদিকতায় এম এ মালেক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মো. আনোয়ার হোসেন, শিক্ষায় অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশগুপ্ত, সমাজ সেবায় এস. এম আব্রাহাম লিংকন ও সংঘরাজ জ্ঞানশ্রী মহাথের, ভাষা ও সাহিত্যে কবি কামাল চৌধুরী ও ঝর্ণা পুরকায়স্থ, গবেষণায় ড. মো. আব্দুস সাত্তার মণ্ডল, ড. মো. এনামুল হক (দলগত, দলনেতা), ড. সাহাজ সুলতানা (দলগত), ড. জান্নাতুল ফেরদৌস (দলগত)।

নীতিমালা অনুযায়ী, নির্বাচিত প্রত্যেককে এককালীন নগদ চার লাখ টাকাসহ ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেয়া হয়। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে চালু করা একুশে পদক সরকার প্রতিবছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দিয়ে থাকে।

বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, ভাষাসৈনিক, ভাষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ, দারিদ্র্যবিমোচনে অবদানকারী, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৬ সাল থেকে একুশে পদক দেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. ফেব্রুয়ারী ২০২২ ০২:১১:এএম ৩ বছর আগে
এবার অনুর্ধ্ব-১৮ জোনাল ক্রিকেটেও চ্যাম্পিয়ন টাঙ্গাইল - Ekotar Kantho

এবার অনুর্ধ্ব-১৮ জোনাল ক্রিকেটেও চ্যাম্পিয়ন টাঙ্গাইল

একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড(বিসিবি) আয়োজিত শেখ কামাল অনুর্ধ্ব-১৮ জোনাল ক্রিকেটের সেন্টাল জোনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টাঙ্গাইল জেলা দল।

বৃহস্পতিবার(৩ ফেব্রয়ারি) টাঙ্গাইল জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনাল খেলায় ঢাকা জেলা দলকে ৫০ রানে হারিয়ে পর পর দুই বার চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব অর্জন করে টাঙ্গাইল জেলা অনুর্ধ্ব-১৮ ক্রিকেট দল।

ইতিপূর্বে এ বছরের ৯ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা অনুর্ধ্ব-১৪ ক্রিকেট দল ময়মনসিংহ জেলা দলকে ২৮ রানে হারিয়ে হ্যাট্রিক চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরর অর্জন করে।

বৃহস্পতিবার(৩ ফেব্রয়ারি) সকালে টাঙ্গাইল জেলা স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় প্রথমে টসে জিতে টাঙ্গাইল জেলা দল ব্যাটিং করে ৪৯ ওভার ৪ বল খেলে সব কটি উইকেট হারিয়ে ২০৩ রান করে। টাঙ্গাইল জেলা দলের পক্ষে অল-রাউন্ডার রিফাত-আল-জাবির সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন। এছাড়া অলরাউন্ডার ফেরদৌস হাসান লিমন ৩৫, মাইন হোসেন সরকার ২৭ ও রিজান হোসেন ২১ রান করে। ঢাকা জেলা ক্রিকেট দলের পক্ষে বোলার তুষার ও সোহাগ যথাক্রমে ৩৪ ও ৪১ রান দিয়ে ২টি করে উইকেট দখল করে।

জবাবে ২০৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ঢাকা জেলা ৪১ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান করার পর বৃষ্টি শুরু হলে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। পরে বৃষ্টি আইনে টাঙ্গাইল জেলা দলকে ৫০ রানে বিজয়ী ঘোষনা করা হয়। ঢাকা জেলা দলের পক্ষে ব্যাটসম্যান লৌকিক সর্বোচ্চ ৩৩ ও আদিল বক্স ২৭ রান করে। টাঙ্গাইল জেলা দলের পক্ষে অলরাউন্ডার রিজান হোসেন ২২ রানে ২টি উইকেট দখল করে।

টাঙ্গাইল জেলা দলের ফেরদৌস হাসান লিমন ম্যান অব দ্যা ফাইনাল নির্বাচিত হয়।

টাঙ্গাইল জেলা অনুর্ধ্ব-১৮ ক্রিকেট দলের খেলোয়ারগণ হলেনঃ- ইমতিয়াজ আহমেদ(অধিনায়ক) গাজী আল-দিন-হাসান মুগ্ধ(উইকেট রক্ষক) রিজান হোসেন(সহ-অধিনায়ক) ফেরদৌস হাসান লিমন, মাইন হোসেন সরকার, রিফাত আল জাবির, আলি ওমর আবির, রওনক হরিজন, জিহাদ আদনান সানি,কাউয়ূম খান, তারেক মিঞা এ ছাড়া দ্বাদশ খেলোয়ার হিসেবে ছিলেন রাসেল মিঞা।

চ্যাম্পিয়ন টাঙ্গাইল জেলা দলের কোচ হিসেবে ছিলেন রাসেল খান ও ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ভ্রমর চন্দ ঘোষ ঝোটন। খেলায় আম্পায়ার ছিলেন রবিন সরকার ও আসিফুর রহমান এবং স্কোরার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে অরিন্দম পাল লিটন।

খেলা শেষে বিজয়ী ও বিজিত দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন টাঙ্গাইল-৫(সদর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ ছানোয়ার হোসেন,এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোঃ আমিনুল ইসলাম, ঢাকা জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক জাকির আহমেদ, টাঙ্গাইল জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি এ হাসান ফিরোজ। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মির্জা মঈনুল হোসেন লিন্টুর সভাপতিত্বে পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন টাঙ্গাইল জেলা ক্রিকেট কোচ আরাফাত রহমান।

উল্লেখ্য, শেখ কামাল অনুর্ধ্ব-১৮ জোনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ঢাকা বিভাগের ১৭টি জেলা ৪টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে অংশগ্রহন করে। চারটি গ্রুপ থেকে টাঙ্গাইল, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর জেলা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে অংশগ্রহন করে। সেমিফাইনালে টাঙ্গাইল জেলা ফরিদপুর জেলাকে ১০ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিলো।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. ফেব্রুয়ারী ২০২২ ০২:৫১:এএম ৩ বছর আগে
আগামী ১ মাসে বোঝা যাবে টাঙ্গাইলে করোনা পরিস্থিতি কেমন হবে-সিভিল সার্জন - Ekotar Kantho

আগামী ১ মাসে বোঝা যাবে টাঙ্গাইলে করোনা পরিস্থিতি কেমন হবে-সিভিল সার্জন

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান জেলার করোনা পরিস্থিতি সর্ম্পকে বলতে গিয়ে বলেন, আগামী ১ মাসে টাঙ্গাইল জেলায় করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেবে সেটা বোঝা যাবে। টাঙ্গাইল জেলায় গত জানুয়ারি থেকে সংক্রমনের হার ধীরে ধীরে বাড়ছে। বর্তমানে টাঙ্গাইল জেলায় করোনা আক্রান্তের গড় হার শতকরা ৩৫ ভাগ।

গত এক মাসে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে রোগী ভর্তি হয়েছে মাত্র ৫ জন। এর মধ্যে গত ২৯ জানুয়ারি ১ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বাকি ৪ জন রোগীর অবস্থা ভালোর দিকে। ধারনা করা হচ্ছে, এরা সবাই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। টাঙ্গাইল জেলায় এখনো ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের লক্ষন সর্ম্পন্ন কোন রোগী পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানান।

তিনি আরো বলেন,গত বছর জুন মাসে ২১ দিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছিল ২৬ জন। আর করোনা ইউনিটে ভর্তি ছিল ১৮৩ জন। গড় আক্রান্তের হার ছিল শতকরা ৩৩.৯৯ ভাগ। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে আক্রান্তের হার কমতে শুরু করে যা ডিসেম্বর মাসে শূণ্যের কোঠায় নেমে যায়। আবার এ বছরের জানুয়ারি মাস থেকে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বুধবার(২ ফেব্রয়ারি) গড় আক্রান্তের হার ছিল শতকরা ২৫.৭৭ ভাগ।

আগামী ১ মাসের মধ্যেই বোঝা যাবে টাঙ্গাইল জেলায় করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেবে।

তিনি আরো বলেন, টাঙ্গাইল জেলায় বুধবার(২ ফেব্রয়ারি) পর্যন্ত গণটিকার( সিনোভ্যাক,অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও ফাইজার) প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ২৩ লক্ষ ৯৭ হাজার ৭ জনকে। যা জেলার মোট জনগোষ্ঠির ৫৬ ভাগ। আর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১৫ লাখ ১০ হাজার ৯৫৩ জনকে। যা জেলার মোট জনগোষ্ঠির ৩৪ ভাগ। আর বুষ্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে ২৬ হাজার ১২৭ জনকে। এ ছাড়া জেলায় এই পর্যন্ত ৩ লাখ ৩২ হাজার ১ শত ১৫ জন ছাত্র-ছাত্রীকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, জেলায় স্বাস্থ্য বিধি মানতে ও করোনা প্রতিরোধে গণপ্রচারণা চালানো হচ্ছে। এ ছাড়া গণপরিবহন, হোটেল রেস্তোরায় টিকার কার্ড দেখে খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ছাড়া জেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। বিশেষ করে পথচারীরা যেন মাস্ক পরিধান করে চলাচল করে সেদিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। করোনা প্রতিরোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় নতুন করে ৯২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ৩৫৭ জনের নমুনা পরীক্ষার রির্পোটে ৯২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার শতকরা ২৫ দশমিক ৭৭ ভাগ।

এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ১৭ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মোট সুস্থ্য হয়েছে ১৬ হাজার ৮৮৭জন। সর্বমোট মারা গেছে ২৬১ জন। এ দিন করোনা আক্রান্ত হয়ে কেউ মৃত্যুবরণ করেনি।

আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদরে ৬২ জন, দেলদুয়ারে ৪ জন, সখীপুরে ৫ জন, মির্জাপুরে ৮ জন, বাসাইলে ৪ জন, কালিহাতীতে ২জন , ঘাটাইলে ২ জন, ভূঞাপুরে ৩ জন, গোপালপুরে ১ জন ও ধনবাড়ীতে ১ জন নিয়ে মোট ৯২ জন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৩. ফেব্রুয়ারী ২০২২ ০৬:০৮:পিএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে ভোট দি‌য়ে বাড়ি ফিরেই মারা গেলেন বৃদ্ধা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ভোট দি‌য়ে বাড়ি ফিরেই মারা গেলেন বৃদ্ধা

একতার কণ্ঠঃ ভোট দি‌য়ে বাড়ি ফিরেই মৃত্যু হয়েছে শতবর্ষ পেরোনো স‌খিনা বেওয়ার। য‌দিও জাতীয় প‌রিচয়পত্র অনুযায়ী তার বয়স ৮৫ বছর ।এই বয়‌সে নাতনীর সহ‌যো‌গিতায় জীব‌নের শেষ ভোট দি‌তে কেন্দ্রে গিয়েছিলেন তি‌নি। স‌খিনা বেওয়ার ভাগ্নে জুলহাস মিয়া ওই তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে সোমবার (৩১ জানুয়া‌রি) ৬ষ্ঠ ধা‌পে ইউনিয়ন প‌রিষদ (ইউপি) নির্বাচ‌নে টাঙ্গ‌াইলের গোপালপুর উপ‌জেলার আলমনগর ইউনিয়‌নের আলমনগর উচ্চ বিদ‌্যালয় কে‌ন্দ্রে ম‌হিলা বু‌থে স‌খিনা বেওয়া তার জীবনের শেষ ভোটা‌ধিকার প্রয়োগ ক‌রেন। তি‌নি আলমনগর গ্রা‌মের মৃত ব‌ছির উদ্দিনের স্ত্রী।

ভোট কেন্দ্রের সামনে স‌খিনা বেওয়ার ছে‌লে ম‌জিবর রহমান  তখন ব‌লেন, আম্মার বয়স ১০০ বছর ছা‌ড়ি‌য়ে‌ছে। বয়‌সের ভা‌রে ন্যুব্জ আম্মা সম্ভবত তার শেষ ভোট দি‌লেন। একা চল‌তে পা‌রেন না, তাই নাত‌নির সহ‌যো‌গিতায় বা‌ড়ি থে‌কে ভ‌্যানগা‌ড়ি‌তে তা‌কে কে‌ন্দ্রে নেওয়া হয়েছিল।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০১. ফেব্রুয়ারী ২০২২ ০৪:১৮:এএম ৩ বছর আগে
মেজর সিনহা হত্যা মামলাঃ ওসি প্রদীপ ও লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড - Ekotar Kantho

মেজর সিনহা হত্যা মামলাঃ ওসি প্রদীপ ও লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড

একতার কণ্ঠঃ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার(৩১ জানুয়ারি) কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল ওই রায় ঘোষণা করেন।

নিহত মেজর(অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান

রায়ে টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত এবং কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেবের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজারের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাকি সাতজন আসামি খালাস পেয়েছেন।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন কর্মকর্তা পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন সিনহা মো. রাশেদ খান। তাঁর সঙ্গে থাকা সাহেদুল ইসলামকে (সিফাত) পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এরপর সিনহা যেখানে ছিলেন, সেই নীলিমা রিসোর্টে ঢুকে তাঁর ভিডিও দলের দুই সদস্য শিপ্রা দেবনাথ ও তাহসিন রিফাত নুরকে আটক করে। পরে তাহসিনকে ছেড়ে দিলেও শিপ্রা ও সিফাতকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এই দুজন পরে জামিনে মুক্তি পান।

ছেলের হত্যার রায় শুনতে সিনহার মা নাসিমা আক্তার কক্সবাজারে আসেন। মামলার বাদী ও সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার ভাই সিনহা হত্যা মামলায় রায় শুনতে সকালে মাকে নিয়ে আমরা উত্তরার বাসা থেকে রওনা হই। এখন আমরা কক্সবাজারে।’

সিনহা হত্যা মামলার ১৫ জন আসামির ছবি

সিনহা হত্যায় মামলা চারটি

সিনহা হত্যার ঘটনায় মোট চারটি মামলা হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। এর মধ্যে দুটি মামলা হয় টেকনাফ থানায়, একটি রামু থানায়। তিনটি মামলার দুটি মাদক রাখার অভিযোগে এবং একটি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে।

এ ঘটনায় হত্যা মামলাটি করেন সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। ওই বছরের ৫ আগস্ট আদালতে করা ওই মামলায় তিনি টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ পুলিশের ৯ সদস্যকে আসামি করেন।

চারটি মামলারই তদন্তের দায়িত্ব পায় র‌্যাব। পরে র‌্যাব এ ঘটনায় প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলীসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের ১১ জন পুলিশ সদস্য ও ৩ জন গ্রামবাসী। পুলিশের করা তিনটি মামলার তদন্তে উত্থাপিত অভিযোগের কোনো সত্যতা না পাওয়ায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে র‌্যাব। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, ওসি প্রদীপ কুমার দাশের পূর্বপরিকল্পনায় আসামিরা মেজর (অব.) সিনহাকে গুলি করে হত্যা করেন।

গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে আসামি করে কক্সবাজার আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় র‍্যাব। গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে ১২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন । তবে ওসি প্রদীপ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। এর আগে আসামিদের তিন দফায় ১২ থেকে ১৫ দিন রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল।

গত বছরের ২৭ জুন প্রদীপসহ ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলার বিচার শুরু হয়।

অভিযোগপত্রে থাকা ৮৩ সাক্ষীর মধ্যে ৬৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। ১২ জানুয়ারি যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৩. ফেব্রুয়ারী ২০২২ ০৬:৩৬:পিএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্যকর নবজাতক শিশু হত্যা মামলায় মা-মেয়ে গ্রেপ্তার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্যকর নবজাতক শিশু হত্যা মামলায় মা-মেয়ে গ্রেপ্তার

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্যকর নবজাতক শিশু হত্যা মামলায় মা-মেয়ে কে গ্রেপ্তার করেছে নাগরপুর থানা পুলিশ।রবিবার(৩০ জানুয়ারি) দিনভর অভিযান চালিয়ে উপজেলার বেকড়া ইউনিয়নের উত্তরপাড়া থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ওই গ্রামের ছনির মোল্লার স্ত্রী হাফিজা (৩৮) ও মেয়ে সোনিয়া (১৮)। তাদের বিরুদ্ধে নাগরপুর থানায় শিশু হত্যা মামলা রুজু করে টাঙ্গাইল বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে নাগরপুর থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) সরকার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান,স্বাস্ব্য কমপ্লেক্সের ড্রেন থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধারের পর সোনিয়াসহ তার পরিবারের লোকজনদের নবজাত শিশুর মৃত্যুর বিষয়ে জানার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মা-মেয়ে ঘটনার সত্যতা শিকার করায় তাদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দিয়ে টাঙ্গাইল জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, উপজেলার বেকড়া ইউনিয়নের বেকড়া উত্তরপাড়া গ্রামের ছনির মোল্লার কুমারী মেয়ে (১৮)। শনিবার রাত সাড়ে দশটায় দিকে পেট ব্যাথা নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। ভোর রাতে ওই মেয়ে ও তার মা কমপ্লেক্সে টয়লেটে দীর্ঘ সময় অবস্থান করে একটি কন্যা সন্তান জম্ম দেন। এ সময় হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীরা টয়লেটে শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পান। প্রায় দুই ঘন্টা পর মা ও মেয়ে বের হয়ে সিটে আসে। রবিবার সকালে ডাক্তার নিয়মিত রোগী পরিদর্শন শেষে ওই মেয়েকে ছাড়পত্র দেন ডা.কাজল পোদ্দার।

একই দিন সকাল আনুমানিক নয়টার দিকে দুজন পথ শিশু হাসপাতালের ড্রেনে নবজাতক শিশুটি দেখে লোকজন ডাকে। পরে হাসপাতাল কতৃপক্ষসহ আশ পাশের লোকজন জড়ো হয়ে নাগরপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ নবজাত শিশুটির লাশ উদ্বার করে।

 

সর্বশেষ আপডেটঃ ৩১. জানুয়ারী ২০২২ ১১:৩৩:পিএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে পরিত্যক্ত ঘরের পিছনে মিললো অজ্ঞাত যুবকের লাশ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে পরিত্যক্ত ঘরের পিছনে মিললো অজ্ঞাত যুবকের লাশ

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে এক অজ্ঞাত যুবকের (৪৫) লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। রবিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের কালিদাস কলতান বিদ্যা নিকেতন এলাকার শফিক মেম্বারের পরিত্যক্ত ঘরের পেছন থেকে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে স্থানীয় এলাকাবাসী ওই লাশ পরে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

কালিদাস বাজারের গ্রাম্য চিকিৎসক রিপন মিয়া বলেন, ওই অজ্ঞাত ব্যাক্তিকে পাগল বেশে গত কয়েকদিন ধরে এ এলাকা দিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।

সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান জানান, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কালিদাস এলাকা থেকে এক অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যুর একটি মামলা দায়ের করা হবে। তবে লাশের পরিচয় এখনো মিলেনি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৩১. জানুয়ারী ২০২২ ০২:৪৩:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে ব্রিজের ভাঙা পাটাতনে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ব্রিজের ভাঙা পাটাতনে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায় ব্রিজের ভাঙা পাটাতনে ধাক্কা লেগে এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছেন। নিহতের নাম মশিউর রহমান (৪০)।শনিবার( ২৯ জানুয়ারি) রাতে গোপালপুর-পিংনা সড়কের ঝাওয়াইল বেইলি ব্রিজে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মশিউর রহমানের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার তিমিরকাঠি গ্রামে। তিনি অনির্বাণ মেডিসিনাল ইন্ডাস্ট্রিজের মধুপুর উপজেলার বিক্রয় প্রতিনিধি ছিলেন। মশিউর মধুপুর পৌর শহরের কলেজপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।

মশিউরের সহকর্মী আশিক বিল্লাহ জানান, গোপালপুর উপজেলার ঝাওয়াইল বাজারের কয়েকটি ওষুধের দোকান থেকে পাওনা টাকা নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে মধুপুর ফিরছিলেন মশিউর। পথে ঝাওয়াইল বেইলি ব্রিজের ভাঙা পাটাতনের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যান তিনি।স্থানীয়রা উদ্ধার করে গোপালপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, এর আগেও ওই ব্রিজের ভাঙা পাটাতনের কারণে দুর্ঘটনায় অনেকের মৃত্যু হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৩১. জানুয়ারী ২০২২ ০১:২০:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় নয়া দিগন্তের কর্মকর্তা মাসুদ রানা নিহত - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় নয়া দিগন্তের কর্মকর্তা মাসুদ রানা নিহত

একতার কণ্ঠঃ মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় দৈনিক নয়া দিগন্তের কর্মকর্তা মাসুদ রানা নিহত হয়েছেন।  রবিবার(৩০ জানুয়ারি) বিকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে তার মোটরসাইকেলকে একটি গাড়ি ধাক্কা দিলে তিনি ঘটনাস্থলে নিহত হন।

নিহত মাসুদ রানা দৈনিক নয়া দিগন্তে অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (মার্কেটিং) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৩৪ বছর। তার মা, স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মাসুদ রানা তার বগুড়াস্থ বাড়ি থেকে নিজের মোটরসাইকেল যোগে ঢাকায় কর্মস্থলে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের কদিম ধল্যা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ওভারপাসে তার মোটরসাইকেলকে একটি বাস  ধাক্কা দেয়  তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। ধাক্কা দেয়া গাড়িটি তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা যায়নি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসেম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিহতের পরিবারের লোকজনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৩১. জানুয়ারী ২০২২ ১২:০৯:এএম ৩ বছর আগে
আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়, ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস - Ekotar Kantho

আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়, ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস

একতার কণ্ঠঃ মাঘের মাঝামাঝি এসে দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। রবিবার(৩০ জানুয়ারি) উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ দিন সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রবিবার আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সব জেলা এবং টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাঙামাটি, ফেনী, মৌলভীবাজার, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল ও ভোলা জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ চলছে। এ শৈত্যপ্রবাহ আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে।

অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলাসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ মধ্যরাত থেকে কাল সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং নদী অববাহিকায় ঘন কুয়াশা ও অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। তবে সারা দেশে রাতের ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকাগুলোর পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় ৮-১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৩০. জানুয়ারী ২০২২ ০৯:১০:পিএম ৩ বছর আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।