একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক যুবক নিহত হয়েছে। সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী ইউনিয়নের জোড়দীঘি হাজীগঞ্জ এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি মোটরসাইকেল রাস্তার পাশে দাড়ানো একটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দিলে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় গুরুত্বর আহত এক জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নিহত ব্যক্তি উপজেলার সাগরদীঘি ইউনিয়নের হাতিঁমারা গ্রামের সিদ্দীক আলীর ছেলে মুহাম্মদ আলী রাজু(২২) ও আহত আসাদুল ইসলাম (২০) সাগরদীঘি বেতুয়াপাড়া এলাকার বাহার উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর)রাতে মুহাম্মদ আলী রাজু ও আসাদুল ইসলাম মোটরসাইকেল যোগে সাগরদীঘি থেকে সখীপুর যাওয়ার পথে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। সেখানে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মুহাম্মদ আলী রাজুকে মৃত ঘোষনা করেন। গুরুত্বর আহত আসাদুল ইসলাম বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে সাগরদীঘি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক মনিরুজ্জামান মনির জানান, দূর্ঘটনায় গুরুত্বর আহত মুহম্মদ আলী রাজূ( ২২) নামে এক যুবকের ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে মৃত্য হয়েছে।ঘাতক ট্রাকটি পালিয়েছে। তবে ট্রাকটি চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
একতার কণ্ঠঃ ২০২৩ সাল থেকে পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) এবং অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা থাকবে না বলে জানিয়েছে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সোমবার( ১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা উপস্থাপনের পর সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
দীপু মনি বলেন, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল মিলে হবে এইচএসসির ফল। এছাড়া দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাজন থাকবে না। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত বার্ষিক পরীক্ষাও হবে না।
পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) এবং অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষাও থাকবে না বলে জানান মন্ত্রী।
এছাড়া শুধু ১০ শ্রেণির পাঠ্যক্রমে হবে পাবলিক পরীক্ষা হবে বলে জানান তিনি।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে ডাক্তার ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় রিনা বেগম (২৬) নামের এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার( ১০ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইল জেনারেল হাসাপাতালের দক্ষিন পার্শ্বে(সাবালিয়া) অবস্থিত নূরুল আমিন খান মাল্টিপারপাস মেডিক্যাল সেন্টারে সকাল ১০ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। রিনা বেগম টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়নের রাঙাচিরা গ্রামের ইসরাইল মিয়ার স্ত্রী।
নিহতের স্বামী ইসরাইল মিয়া জানান, প্রসব ব্যাথা শুরু হলে বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে নূরুল আমিন খান মাল্টিপারপাস সেন্টারে রিনা বেগমকে ভর্তি করা হয়। পরে গাইনী ডাক্তার ডা. সাদিয়া আফরিনের নেতৃত্বে অস্ত্রপাচারের (সিজার) মাধ্যমে রিনা বেগম কন্যা সন্তান জন্ম দেয়। পরে তাকে কেবিনে আনার পর রাত থেকে প্রচুর পরিমাণ রক্ত পড়তে থাকে। বিষয়টি ক্লিনিকের নার্সকে জানানো হয়। পরে সেই নার্স ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ও ডাক্তারকে অবগত করে। তাদের একাধিকবার ফোন করার পরও তারা রোগীকে দেখতে আসেনি। পরে শুক্রবার সকালে রিনা বেগমের অবস্থার অবনতি হলে ক্লিনিকের পক্ষ থেকে রিনা বেগমকে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয়।
ক্লিনিকের দায়িত্ব প্রাপ্ত নার্স অনামিকা সরকার বলেন, আমি সকাল থেকে দায়িত্ব পালন করছি। রাতে ও বৃহস্পতিবার কি হয়েছে আমি তা জানি না।
রিনা বেগমের মা চায়না বেগম বলেন, সিজার ভালভাবে করা হয়নি। সিজার করার পরপরই পেট ফুলতে থাকে। পেটের দুই পাশ দিয়ে রক্ত পড়া শুরু হলেও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ও ডাক্তার কোন ব্যবস্থা নেয়নি। আমার মেয়ে বারবার ডাক্তারের কথা বলেছে। কিন্তু ডাক্তার দেখতে আসেনি। ডাক্তারের অবহেলায় আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। আমাকে যারা সন্তানহারা করলো আমি তাদের কঠিন শাস্তি দাবি করছি।
নিহতের স্বামী ইসরাইল মিয়া আরও বলেন, ডাক্তার ও ক্লিনিক মালিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় আমার মেয়ে এতিম হয়েছে। আমার মেয়েকে যে এতিম করলো আমি ওই ডাক্তার ও ক্লিনিক মালিকের শাস্তি দাবি করছি।
নূরুল আমিন খান মাল্টিপারপাস মেডিক্যাল সেন্টারের মালিক সরোয়ার হোসেন খান বলেন, আমি খবর পেয়ে ক্লিনিকে এসে জানতে পারি ডা. সাজিয়া আফরিন রোগিকে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে রেফার্ড দিয়েছে। রোগির আত্মীয় স্বজন গাড়ীর সাথে যেতে রাজি না হওয়ায় আমার ক্লিনিকের ৩ জন স্টাফ দিয়ে মির্জাপুর পাঠানোর ব্যবস্থা করি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডাক্তারই ভালো জানেন রোগিকে কোথায় রেফার্ড করবেন। এবিষয়ে ক্লিনিক মালিক কিছু বলতে অধিকার রাখে না।
একতার কণ্ঠঃ প্রশস্ত হচ্ছে টাঙ্গাইল-কালামপুর সড়ক। এ জন্য ‘টাঙ্গাইল-দেলদুয়ার-লাউহাটি-সাটুরিয়া-কাওয়ালীপাড়া-কালামপুর বাসস্ট্যান্ড সড়ক আঞ্চলিক মহাসড়কের যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্পের প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে, এক হাজার ৪৩৫ কোটি ৮৯ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।
প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে টাঙ্গাইল, দেলদুয়ার, নাগরপুর, ধামরাই ও সাটুরিয়া উপজেলার সাথে মানিকগঞ্জ ও ঢাকার মধ্যে স্বল্পতম সময়ে নিরবচ্ছিন্ন ও নিরাপদ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপিত হবে। এছাড়া প্রকল্প এলাকার জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি সাধিত হবে। তাই প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে টাঙ্গাইল, দেলদুয়ার, নাগপুর, ধামরাই ও সাটুরিয়া উপজেলার সাথে মানিকগঞ্জ ও ঢাকার মধ্যে স্বল্পতম সময়ে নিরবিচ্ছিন্ন ও নিরাপদ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করা হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় পিইসি (প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি) সভা। ওই সভায় দেওয়া সুপারিশগুলো প্রতিপালন করায় প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর।
প্রকল্প প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, দেলদুয়ার-লাউহাটি-সাটুরিয়া (বালিয়াটি) সড়কটি একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা মহাসড়ক। যেটি টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলা থেকে শুরু হয়ে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি নামক স্থানে সমাপ্ত হয়েছে। জেলা মহাসড়কটির ঢাকা-টাঙ্গাইল জাতীয় মহাসড়ক এবং ঢাকা আরিচা জাতীয় মহাসড়কের মধ্যে ন্যূনতম সময়ে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করেছে। উল্লিখিত মহাসড়কটিকে আঞ্চলিক মহাসড়কের যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় নির্মাণ করা হলে নাগপুরসহ টাঙ্গাইল অঞ্চলের মানুষ প্রায় ৪০ কিলোমিটার কম দূরত্ব অতিক্রম করে সহজে ঢাকায় যাতায়াত করতে পারবে।
এছাড়া টাঙ্গাইল জেলার সঙ্গে মানিকগঞ্জ জেলার মধ্যে ন্যূনতম সময়ে নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করা সম্ভব হবে। ২৮ দশমিক ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ দেলদুয়ার-লাউহাটি-সাটুরিয়া জেলা মহাসড়কটির সঙ্গে মানিকগঞ্জ সড়ক বিভাগাধীন গোলড়া-সাটুরিয়া জেলা মহাসড়কের ২ দশমিক ২৬ কিলোমিটার কাওয়ালিপাড়া-সাটুরিয়া জেলা মহাসড়কের ৪ দশমিক ২৪ কিলোমিটার, কালামপুর বাসস্ট্যান্ড-কাওয়ালিপাড়া-বালিয়া-ওয়ার্শি-মিজৃাপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ১০ দশমিক ৫০ কিলোমিটার, নতুন সড়ক নির্মাণ, বাঁকসরলীকরণ ৫ দশমিক ২ কিলোমিটার ও টাঙ্গাইল সড়ক বিভাগাধীন টাঙ্গাইল-দেলদুয়ার জেলা মহাসড়ক ১১ কিলোমিটারসহ মোট ৫টি মহাসড়কের ৬১ দশমিক ৫২ কিলোমিটার অংশকে একীভূত করে কালামপুর থেকে কাওয়ালীপাড়া, সাটুরিয়া, লাউহাটি, দেলদুয়ার হয়ে টাঙ্গাইল পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়ক মানে উন্নীতকরণ করা হলে নিরাপদ ও উন্নত সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে।
প্রস্তাবিত প্রকল্পে টাঙ্গাইল-দেলদুয়ার-লাউহাটি-সাটুরিয়া-কাওয়ালীপাড়া-কালামপুর বাসস্ট্যান্ড সড়কটিকে আঞ্চলিক মহাসড়কের যথাযথমানে উন্নীত করার মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করে ৬১ দশমিক ৫২ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তশরণ ও মজবুতিকরণ, দূর্ঘটনা প্রবণ ঝুকিপূর্ণ স্থানে সড়ক বাঁক সরলীকরণ, বাজার এলাকায় রিজিড পেভমেন্ট নির্মাণ, ঝুকিপূর্ণ, ক্ষতিগ্রস্ত ও সরু সেতু কালভার্টের স্থলে ৪৪৬ মিটার ৩১টি কালভার্ট এবং ৩৮১ দশমিক ১৪ মিটার ৫টি সেতু পুনঃনির্মাণ করা হবে। এছাড়া পানি নির্গমনের জন্য ড্রেন ও সড়ক বাধ রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় রক্ষাপ্রদ কাজ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। টাঙ্গাইল ও মানিকগঞ্জের বিশাল জনপদে যোগাযোগের জন্য এটিই হবে মূল সড়ক এবং এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মূলত এই সড়কটিকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হবে। প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকার অধিকাংশ মানুষ পেশায় কৃষক এবং ব্যবসায়ী। তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য এবং অন্যান্য দ্রব্যাদিও দ্রুত ও সহজে পরিবহনের জন্য প্রস্তাবিত সড়কটি ব্যবহৃত হবে।
প্রকল্পের আওতায় মূল কার্যক্রমগুলো হচ্ছে, পেভমেন্ট প্রশস্তশরণ ও মজবুতিকরণ, ওভারলে সার্ফেসিং, সার্ফেসিং, গ্রেড সেপারেটেড ইন্টারসেকশন নির্মাণ, ইউ লুপ, আন্ডারপাস, আরসিসি রিজিড পেভমেন্ট, সসার ড্রেন এবং আরসিসি রিটেননিং ওয়াল নির্মাণ করা হবে।
এ বিষয়ে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মামুন আল রশীদ বলেন, প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে টাঙ্গাইল, দেলদুয়ার, নাগরপুর, ধামরাই ও সাটুরিয়া উপজেলার সাথে মানিকগঞ্জ ও ঢাকার মধ্যে স্বল্পতম সময়ে নিরবচ্ছিন্ন ও নিরাপদ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপিত হবে। এছাড়া প্রকল্প এলাকার জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি সাধিত হবে। তাই প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ যমুনা, ধলেশ্বরী, ঝিনাই নদীর পানি কমায় টাঙ্গাইলের কয়েকটি উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে নিন্মাঞ্চল হওয়ায় বাসাইল উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত আছে। এ উপজেলার অধিকাংশ এলাকা এখনও বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে। এদিকে,পানি কমতে থাকায় এ উপজেলায় নদী ভাঙ্গন আবারো তীব্র আকার ধারন করেছে। বন্যা কবলিত এলাকার গ্রামীণ কাঁচা-পাকা সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বানভাসি মানুষগুলো গবাদিপশু নিয়ে পড়েছেন মহাবিপাকে।
পানিতে নিমজ্জিত হয়ে গেছে বীজতলা, রোপা আমন ধান ও সবজি খেত। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কালভার্ট। ভেঙ্গে গেছে রাস্তা-ঘাট। বানভাসিদের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পারাপারের জন্য নৌকা কিংবা কলাগাছের ভেলাই একমাত্র ভরসা। শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে বেশ কিছু এলাকায়।
উপজেলার বন্যাকবলিত এলাকার মধ্যে বেশি দুর্ভোগের শিকার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের আদাজান, কোদালিয়াপাড়া, যৌতুকি,জিকাতলী পাড়া, মটেশ্বর, তারাবাড়ি, সৈদামপুর পুর্বপৌলী, সিঙ্গারডাক, কালাচান পাড়াসহ ইউনিয়নের বেশিরভাগ গ্রাম। হাবলা ইউনিয়নের টেংগুরিয়াপাড়া, ছয়শত, জীবনেশ্বর, থুপিয়া, গুল্লা, বয়রা। ফুলকী ইউনিয়নের ফুলকী দক্ষিণপাড়া, বালিয়া, খাটরা, নিড়াইল, করোটিয়াপাড়া, ময়থা। কাশিল ইউনিয়নের ফুলবাড়ি, বাঘিল, স্থলবল্লা। কাউলজানী ইউনিয়নের বাদিয়াজান, সুন্না, বার্থা, গিলাবাড়ি, ডুমনীবাড়ি, কাঙ্গগাগলীছেও, এবং বাসাইল সদর ইউনিয়নের মিরিকপুর, রাশড়া, ইশ্বরগঞ্জ, হান্দুলী। এসব এলাকার মানুষের নৌকা ছাড়া যাতায়াতের কোন উপায় নেই।
বন্যা দুর্গত এলাকার কমলা রানী বলেন, গরু-বাছুর, হাস-মুরগী নিয়ে আমরা অনেক কষ্টে আছি। সবচেয়ে বেশি চিন্তা শিশু বাচ্চাদের নিয়ে। সব সময়ই আতংকে দিন কাটছে।
অসহায় ভূক্তভোগীরা জানান, করোনার ধকল না কাটতেই বন্যার জলে বন্ধি আমরা। কামাই-রোজি একবারে বন্ধ। অনেকেরই ঘরে চুলা জ্বলছে না। করোনার লকডাউন, আবার বন্যার পানি । জীবন আর চলে না।
কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুন অর রশিদ জানান আমার ইউনিয়নে প্রায় প্রতিটি গ্রামের মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে। পাকা কাঁচা রাস্তাগুলো তলিয়ে গেছে। কালর্ভাট ভেঙ্গে গেছে। রাস্তা ভেঙ্গে অনেকে জায়গায় বড়বড় খাদের সৃষ্টি হয়েছে। নৌকা ছাড়া চলাই যায় না।
বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনজুর হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ হতে আমরা বন্যা দুর্গত এলাকায় গিয়ে ত্রান পৌছে দিচ্ছি। ৩৩৩ নম্বরে কল দিলেও আমাদের পক্ষ হতে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয়।ত্রাণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা উপজেলা প্রশাসনের রয়েছে।
বাসাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম বলেন, ভৌগলিক ভাবে বাসাইল একটি নীচু এলাকা। তাই প্রতি বছরই বন্যার সঙ্গে যুদ্ধ করেই বাঁচতে হয়। এবারও উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নেই মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে। রাস্তা ঘাট ভেঙ্গে গ্রামীণ অবকাঠামোগত ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। পানি-বন্ধি সহায়তার জন্য ত্রাণ কার্যক্রম চলছে। এলাকায় আরও পর্যাপ্ত ত্রাণসহযোগিতার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে জাতীয়তাবাদী মহিলাদলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা সদর রোডস্থ ‘সোনার বাংলা কমিউনিটি সেন্টারে’ এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী নিলুফা ইয়াসমিন খানের সভাপতিত্বে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারন সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছাইদুল হক ছাদু। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সাদেকুল আলম খোকা, আলী ইমাম তপন, মাহমুদুল হক সানু, জিয়াউল হক শাহীন, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আবুল কাশেম,সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ পাহেলী সহ অনান্য নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক এড.মমতাজ করিম। আলোচনা শেষে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে জেলা মহিলা দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নিখোঁজের ৩দিন পর ফাহিম (১০) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার(৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধায় উপজেলার সল্লা ইউনিয়নের বিলছাইয়া এলাকার একটি বিল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ফাহিম উপজেলার দেউপুর দক্ষিন পাড়া গ্রামের শরীফুল ইসলামের ছেলে ও স্থানীয বিলছাইয়া আল মারকাযুদ্দীনিয্যাহ মদিনাতুল উলূম মাদ্রাসার ছাত্র ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায় ,ফাহিম স্থানীয় ‘বিলছাইয়া আল মারকাযুদ্দীনিয্যাহ মদিনাতুল উলূম মাদ্রাসায়’ হেফজ খানায় পড়াশোনা করতো। সে গত সোমবার ভোর থেকে নিখোঁজ ছিলো । পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিলের মধ্যে ভাসমান মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা । পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এ প্রসঙ্গে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার লক্ষিন্দর ইউনিয়নে বৃহস্পতিবার (৯ই সেপ্টম্বর) দুপুরে চকলেটের লোভ দেখিয়ে এক তিন বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয়রা ধর্ষক মোঃ শাকিলকে ধরে বেঁধে রাখে। পরে পুলিশ এসে শাকিলকে গ্রেপ্তার করে।
ধর্ষনের অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত মোঃশাকিল(২৫) লক্ষিন্দর ইউনিয়নে আকন্দের বাইদ(কাজীপাড়া) গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে।
শিশুটির মা জানায়, সকালে মেয়েকে হঠাৎ খুঁজে না পেয়ে ডাকা ডাকি করতে থাকলে পাশের বাড়িতে চিৎকারের আওয়াজ পান। পরে পাশের বাড়ির শাকিলের ঘর থেকে দৌড়ে আসে তার মেয়ে। জিজ্ঞাস করলে তার মেয়ে গোপন অঙ্গ দেখায়।
স্থানীয়রা জানান, বখাটে শাকিল একজন চিহ্নিত মাদকসেবী। এর আগেও মাদকসহ এলাকাবাসী আটক করে । শিশুকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে কৌশলে ডেকে নিজ ঘরে ধর্ষণ করে।
স্থানীয় লক্ষিন্দর ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান খান জানান, ঘটনা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে শাকিলকে অবরুদ্ধ দেখে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ এসে শাকিলকে আটক করে।
সাগরদীঘি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মো. আলাল মিয়া জানান, তিন বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক শাকিলকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগে আটক শাকিলকে আসামি করে থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ অতীতে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ তো দূরে থাক, টি-টোয়েন্টিতে জয়ের দেখাও পায়নি বাংলাদেশ।ক্রিকেট খেলুড়ে শক্তিশালী এই দুই দলকে ঘরের মাঠে ডেকে এনে সিরিজে হারাল বাংলাদেশ।বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে হারায় বাংলাদেশ।
নিউজিল্যান্ডকে চলমান পাঁচ ম্যাচের সিরিজের চতুর্থ খেলায় ৩-১ ব্যবধানে হারাল টাইগাররা। সিরিজের শেষ ম্যাচটি শুক্রবার মিরপুরের একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নাসুম আহমেদের স্পিন আর মোস্তাফিজুর রহমানের গতির মুখে পড়ে ১৯.৩ ওভারে ৯৩ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। কিউইদের হয়ে উইলি ইয়াং একাই করেন ৪৬ রান। বাংলাদেশ দলের হয়ে চার ওভারে ১০ ও ১২ রান খরচায় সমান ৪টি করে উইকেট নেন নাসুম আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
৯৪ রানের মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমেও ৬ ওভারে মাত্র ৩৭ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ৬৭ রানে নিজের ভুলে রান আউট হয়ে ফেরেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম।
এরপর আফিফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড: ১৯.৩ ওভারে ৯৩/১০
বাংলাদেশ: ১৯.১ ওভারে ৯৬/৪ (রিয়াদ ৪৩*, নাঈম ২৯)।
ফল: বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জয়ী।
একতার কন্ঠঃ টাঙ্গাইলের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি কোথাও উন্নতি আবার কোথাও স্থিতিশীল রয়েছে। এতে চরম দূর্ভোগে রয়েছেন পানিবন্দি মানুষ। বন্যা কবলিত অধিকাংশ এলাকায়ই দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাব। চলতি বন্যায় জেলার ৮০ কিলোমিটার নদী বিধৌত এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে জরুরী ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা, ধলেশ্বরী ও ঝিনাই নদীর পানি কমলেও বংশাইসহ অন্যান্য শাখা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যমুনা নদীর পানি ২৪ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার, ঝিনাই নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৭২ সেন্টিমিটার এবং ধলেশ্বরী নদীর পানি ৭ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৭২ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে বংশাই নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বংশাই নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার বাসাইল ও মির্জাপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানায়, জেলার ভূঞাপুর উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন, কালিহাতী উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের ৭টি ইউনিয়ন, নাগরপুর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন, বাসাইল পৌরসভাসহ ৬ টি ইউনিয়ন, মির্জাপুর উপজেলার ৪টি ইউানয়ন ও দেলদুয়ার উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন। চলতি বন্যায় জেলার প্রায় দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানিতে নদী, খাল, বিল ও বাড়ির আঙিনা পানিতে থই থই করছে। এতে প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বন্যা কবলিত এলাকায় এখনও লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। এতে চরম দূর্ভোগে রয়েছেন পানিবন্দি মানুষ। অধিকাংশ এলাকায়ই দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির অভাব।
বন্যার পানি বাড়ার সাথে সাথে ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ টাঙ্গাইল শহর রক্ষা বাঁধের উত্তর-পূর্বাংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পাছ বেথইর এলাকায় বাঁধের ১০০মিটারে ভাঙনের কবলে পড়ে ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়াও ভূঞাপুর, কালিহাতী, বাসাইল, মির্জাপুর, টাঙ্গাইল সদর আর নাগরপুর অংশে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। বন্যার পানিতে টাঙ্গাইল-পটলবাজার, টাঙ্গাইল-কাকুয়া, এলেঙ্গা-মগড়া, ভূঞাপুরের গোবিন্দাসী বাজার থেকে ভালকুটিয়া পর্যন্ত পাকা সড়ক, বাসাইল পৌরসভার একটি ব্রিজ ও কাঞ্চনপুরের গ্রোথ সেন্টার-কাজিরাপাড়া সড়কে কালভার্ট প্রবল স্রোতে ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এসব এলাকার কাঁচা-পাকা সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গ্রামীণ অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানায়, জেলার ভূঞাপুর, কালিহাতী, টাঙ্গাইল সদর ও নাগরপুর উপজেলার বন্যা দুর্গতদের জন্য ৪০ মে.টন খাদ্যশষ্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বন্যার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনের জন্য প্রতিটি উপজেলায় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তালিকা পেলে যথাস্থানে প্রয়োজনীয় সহায়তা পাঠানো হবে। এ ছাড়াও কালিহাতী উপজেলায় ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ১১৮ টি পরিবারের মাঝে নগদ ৫ হাজার টাকা ও ঢেউটিন দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ৯০টি পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।
টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আহসানুল বাশার জানান, চলতি বন্যার পানি এক সপ্তাহের মধ্যে নেমে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত ৭৯০ হেক্টর জমির আবাদকৃত রোপা আমনের ৫০-৬০ ভাগ ধান রক্ষা পেতে পারে। তিনি জানান, পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে নাভি জাতের আমন রোপনের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। এছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রণোদনার পাশাপাশি আগাম রবিশষ্য চাষে সহায়তা দিয়ে বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন তারা।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, জেলার ৮০ কিলোমিটার নদী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। তুলনামূলকভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। পানি কমে গেলে স্থায়ীভাবে নদী তীর সংরক্ষণে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল, পাসপোর্ট অফিস ও বিআরটিএ অফিসে সংঘবদ্ধ দালাল চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ২৭ জন দালালকে আটক করেছে র্যাব। রোববার( ৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র্যাব এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালত আটকৃত ২৭ জনের প্রত্যেককেই ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলো- টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী এলাকার মৃত বজলুর রশিদের ছেলে মো: আ: আল মামুন (৩২), গোপালপুর উপজেলার খরুরিয়া এলাকার মৃত হামিদুর রহমানের ছেলে মো: আ: বারী (৪০), টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাগমারা এলাকার মো: তাইজ উদ্দিনের ছেলে মো: মামুন (২৭), দেলদুয়ার উপজেলার নাল্লাপাড়া গ্রামের মৃত খোরশেদ মিয়ার ছেলে মো: ইয়ামিন (৩৫), টাঙ্গাইল শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার মো: বাবুল মিয়ার ছেলে মো: তোফাজ্জল (৩৭), ঘাটাইল উপজেলার ভদ্রবাড়ী গ্রামের মৃত মাজম আলীর ছেলে মো: আ: হাই (৫০), টাঙ্গাইল পৌর সভার সাবালিয়া এলাকার মৃত একাববর আলীর ছেলে মো: আ: ছামাদ, পাড়দিঘুলিয়া এলাকার মৃত ওমেদ আলীর ছেলে মো: মামুন মিয়া (৪৪), সদর উপজেলার চৌবাড়িয়া এলাকার মৃত সুমার আলীর ছেলে মো: আমিনুল ইসলাম (৩৫), নাগরপুর উপজেলার আটপাড়া গ্রামের মৃত আনোয়ার মোল্লার ছেলে মো: বুদ্দু মিয়া (৩৫), টাঙ্গাইল সদর উপজেলার এনায়েতপুর এলাকার মৃত খুশীমন পাালের ছেলে তুষার পাল (৩২), গোপালপুর উপজেলার বেতবাড়ী গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে মো: শরিফুল ইসলাম (২২), সদর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের আ: রশিদের ছেলে মো: সাজ্জাদ হোসেন (২৭), মিরপুর এলাকার এলাকার মো: আজাদ হোসেনের ছেলে মো: আবুল হোসেন (৪৬), কলেজপাড়া এলাকার শাহাজাদা মিয়ার ছেলে মো: সম্রাট মিয়া (২৭), সদর উপজেলার এনায়েতপুর এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো: আশরাফুল (৩২), হাজরা ঘাট এলাকার সিজুর ছেলে রনি (৩২), কালিহাতী উপজেলার বহরমপুর এলাকার আ: হামিদের ছেলে আ: খালেক (৫০), মির্জাপুর উপজেলার আ: খালেকের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩৪), মির্জাপুর উপজেলার আড়াইপাড়া গ্রামের জাবেদ আলীর ছেলে আ: আজিজ (৩৮), কালিহাতী উপজেলার আদাবাড়ী এলাকার দেওয়ান মোশারফ হোসেনের ছেলে দেওয়ান মেহেদী হাসান (৪০), শহরের সাবালিয়া এলাকার মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান(৪৩), ইছাপুর এলাকার সৈকত আলী তালুকদারের ছেলে মো: কামরুল হাসান সাগর (৩০), শহরের কাগমারা এলাকার মো: জয়নাল আবেদীন এর ছেলে মো: রুবেল মিয়া (৩৩), দিঘুলিয়া এলাকার আ: হাকিমের ছেলে আ: রায়হান (৩৯) ও সিটকি বাড়ী এলাকার মো: রসুল উদ্দিনের ছেলে শফিকুল ইসলাম (২৯)।
অভিযান প্রসঙ্গে র্যাব-১২ সিপিসি-৩ এর কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন, (জি), বিএন জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে ১২জন, পাসপোর্ট অফিস থেকে ৮ জন এবং বিআরটিএ অফিস থেকে ৭জন সহ মোট ২৭ জন দালালকে আটক করা হয়। পরে টাঙ্গাইলের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (ম্যাজিস্টেট) গোলাম মাসুম প্রধান ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আটককৃতদের ৭ দিনের বিনাশ্রম কারদন্ড প্রদান করেন।
তিনি আরো জানায়, র্যাবের উদ্যোগে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের বাসাইলে ভিমরুলের আক্রমণে নাজমুল হোসেন নামের (৩৭) এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউপি’র পূর্বপাড়া এলাকায় ভিমরুলের আক্রমণের শিকার হন তিনি। নাজমুল উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়ার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে।
নাজমুলের ভগ্নিপতি হারুনুর রশিদ জানায়, শুক্রবার বিকেল সারে ৫টার দিকে ভাগ্নির বিয়ের বাবুর্চিদের নৌকাযোগে পারাপার করতে যান নাজমুল। নৌকা নিয়ে ফেরার পথে মাথার উপর থাকা ভিমরুলের বাসায় নাজমুলের হাতে থাকা লগি’র আঘাত লেগে ভিমরুলের বাসা ভেঙ্গে যায়। এসময় ক্ষিপ্ত ভিমরুলের ঝাঁক নাজমুলের শরীরের হুল ফোটাতে শুরু করলে তার চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
নাজমুলের বোন নাসরিন আক্তার জানায়, সন্ধ্যায় বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চিকিৎসা দেন । অবস্থার কোন উন্নতি না হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাকে। পরে আনুমানিক রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আব্দুল্লাহ্ আল আরিফ বলেন, ভিমরুলের শতাধিক হুল ফোটানোর কারণে তার অবস্থা অত্যাধিক খারাপ হয়ে যায় এবং এর বিষক্রিয়ায় তার মৃত্যু হয়।।