একতার কণ্ঠঃ: টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত কলেজ ছাত্র ইমন হত্যা মামলার আসামী সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের জামিন নামঞ্জুর করেছে আদালত।
বুধবার(১১ ডিসেম্বর )বিকালে মির্জাপুর আমলী আদালতের বিচারক সোহেল ম্রোং এ রায় দেন।
এরআগে বিকেলে সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাককে আদালত চত্বরে আনা হলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে। পরে প্রিজন ভ্যান থেকে তাকে আদালতের ভিতরে না নিয়ে কারাগারে ফেরত নেওয়া সময় শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ জানায়। এসময় প্রিজন ভ্যানে থাকা সাবেক মন্ত্রীকে লক্ষ করে ডিম ছুড়ে মারে শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে প্রিজন ভ্যানের গতিরোধ করার চেষ্টা করে শিক্ষার্থীরা। এসময় পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এতে পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এসময়ে শিক্ষার্থীদের উপর লাঠি চার্জ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, লাঠি চার্জ করা পুলিশকে এক ঘণ্টার মধ্যে বরখাস্ত না করলে বড় পরিসরে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে পিপি শফিকুল ইসলাম রিপন জানান, সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক একাধিক মামলার আসামী। মির্জাপুরে ইমন হত্যা মামলায় তাকে বুধবার আদালতে হাজির করার তারিখ ধার্য করা ছিল। এ মামলায় তার আইনজীবীরা জামিন আবেদন করলে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করেন।
তিনি আরও জানান,এছাড়াও নিরাপত্তা জনিত কারণে তাকে আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি। আদালত চত্বর থেকেই তাকে ফেরত নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এসময় শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালি করেছে টাঙ্গাইল জেলা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।
বুধবার(১১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টায় শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যান থেকে বিজয় র্যালিটি শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সভাপতি এডভোকেট খালেক মন্ডলের নেতৃত্বে বিজয় র্যালি ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন,জেলা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হক মোহন,জেলা বিএনপি’র বর্তমান সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহিন, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, সাবেক সহ-সভাপতি ছাইদুল হক ছাদু,জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, জেলা যুবদলের আহবায়ক রাশেদুজ্জামান রাশেদ, জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক দুর্জয় হোড় শুভ প্রমূখ।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিগত ১৫ বৎসরে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়ে দলীয় করনের মাধ্যমে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা তৈরি করেছে। আমরা বর্তমান সরকার কাছে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিচার এবং প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।
এই বিজয় র্যালি ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জেলা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিল।
দিনটি উপলক্ষে জেলা বিএনপি দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
একতার কণ্ঠঃ সম্প্রীতির ঐকতানে গাহি সাম্যের গান’ এই স্লোগানকে সামনে নিয়ে টাঙ্গাইল জেলার সকল ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে সম্প্রীতি শোভাযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা পুলিশের আয়োজনে জেলা সদর হেলিপ্যাড চত্বর থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুলিশ লাইনস মাল্টিপারপাসে গিয়ে শেষ হয়।
পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শরফুদ্দিন, টাঙ্গাইল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি শফিকুল ইসলাম রিপন, জেলা হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক রমেশ চন্দ্র সরকার, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাধন চন্দ্র চক্রবর্তী, জেলা পুজা উদযাপন কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি চিত্ত রঞ্জন সরকার, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার গুণ ঝন্টু, টাঙ্গাইল জেলা ইমাম ও মুয়াজ্জিন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জন জেৎরা, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ বোর্ডের ট্রাস্টি শ্যামল হোড় প্রমুখ।
এই সম্প্রীতি সমাবেশে জেলার বিভিন্ন ধর্মের মানুষ অংশগ্রহণ করেন। পরে সকল ধর্মের মানুষদের নিয়ে পুলিশ লাইনের ভিতরে সম্প্রতির বৃক্ষরোপণ করা হয়। শেষে সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
একতার কণ্ঠঃ ভারতের আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনারের মৌলবাদী হিন্দুদের হামলার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে মশাল মিছিল করা হয়েছে।
মঙ্গলবার(৩ ডিসেম্বর )সন্ধ্যায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে শহরের শহীদ মিনার চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু করা হয়। পরে এটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, ছাত্র প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম, আল আমিন, ফাতেমা রহমান বিথি, আল আমিন সিয়াম, আবু আহমেদ শেরশাহসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
মশাল মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এসময় বক্তারা বলেন, আগরতলায় হাইকমিশনে হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকতে আমরা ভারতের আধিপত্য মেনে নেব না।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে অনুর্ধ্ব-১৮ জাতীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার (১ ডিসেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল শহীদ মারুফ স্টেডিয়ামে জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সার্বিক সহযোগীতায় অনুর্ধ্ব-১৮ জাতীয় ক্রীকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাহিদা আক্তার।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিভাগীয় সহকারী ক্রিকেট কোচ (ঢাকা উওর) ও টুর্নামেন্টের সিলেক্টর মো. আরাফাত রহমান, টাঙ্গাইল জেলা ক্রিকেটার কল্যান সমিতির সভাপতি আবু নাসের মানিক, টাঙ্গাইল জেলা অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের ম্যানেজার শাহ আজিজ তালুকদার বাপ্পি প্রমূখ। এসময় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চাণা করেন টাঙ্গাইল জেলা ক্রীড়া অফিসার মো. আফাজ উদ্দিন।
উল্লেখ্য, উদ্বোধনী খেলায় কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ জেলা অংশগ্রহন করেন। এই টুর্নামেন্টে ৫ টি জেলা অংশগ্রহন করবে। জেলা গুলো হলো, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ , নেত্রকোনা, গাজীপুর ও নরসিংদী জেলা দল।
একতার কণ্ঠঃ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় প্রায় ১৭ বছর পর খালাস পেলেন বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে তাঁর খালাসের খবরে নিজ এলাকা টাঙ্গাইলে আনন্দমিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন জেলা বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা।
রায় ঘোষণার খবর পাওয়ার পরই বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে জড়ো হন। সেখানে মিষ্টি বিতরণ শেষে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।
এ সময় মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সভাপতি হাসিনুজ্জামান শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, সাবেক সদস্যসচিব মাহমুদুল হক সানু প্রমুখ।
জেলা বিএনপি’র সাবেক সদস্যসচিব মাহমুদুল হক সানু বলেন, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম পিন্টু খালাস পাওয়ায় টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি জাগ্রত হয়েছে। টাঙ্গাইলবাসী আজ খুবই আনন্দিত।
জেলা বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুর রহমান খান বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্বৈরাচার হাসিনা সরকার তাঁকে জেলে বন্দী করে রেখেছিল। বর্তমান সরকার নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ করায় আজ আমরা ন্যায়বিচার পেলাম। আমরা টাঙ্গাইলবাসী আজ অনেক আনন্দিত।
প্রকাশ, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম পিন্টু ১৯৯১, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তিনি শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তারের পর থেকেই তিনি কারাগারে রয়েছেন। কেন্দ্রীয় বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু তাঁর ছোট ভাই।
একতার কণ্ঠঃ ধর্মীয় সংগঠন ইসকন কর্তৃক এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যার বিচারের দাবিতে ও রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করা করেছে।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বাদ জুম্মা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে টাঙ্গাইল জেলা ক্বওমী ওলামা পরিষদ ও টাঙ্গাইল জেলা ইমাম ও মুয়াজ্জিন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
পরে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল জেলা ক্বওমী ওলামা পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুর রহমান ও টাঙ্গাইল জেলা ইমাম ও মুয়াজ্জিন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
বিক্ষোভ সমাবেশে বিপুলসংখ্যক তৌহিদী জনতা উপস্থিত ছিল।
একতার কণ্ঠঃ এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। যুব বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে ধরা হয় এই ওয়ানডে ফরমেটের টুর্নামেন্টকে। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ তাদের প্রথম ম্যাচ খেলবে শক্তিশালী আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। এই খেলায় বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলবেন টাঙ্গাইলের ৩ যুবা ক্রিকেটার।
তারা হলেন, বাঁহাতি ওপেনার রিফাত বেগ (১৮), ডানহাতি লেগব্রেক বোলার কাম ব্যাটসম্যান দেবাশীষ সরকার দেবা (১৮) ও ডানহাতি মিডিয়াম পেসার রিজান হোসেন (১৮)।
ইতিমধ্যে রবিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইলের এই ৩ ক্রিকেটার এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহন করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে মূল দলের সঙ্গে চলে গেছেন।
আসুন সংক্ষেপে জেনে নেওয়া যাক টাঙ্গাইলের এই ৩ প্রতিভাবান ক্রিকেটার সম্পর্কে –
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার কামান্য গ্রামে জন্মগ্রহন করা বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) প্রতিভাবান ক্রিকেটার বাঁহাতি ওপেনার রিফাত বেগ।
গত ১১ ফেব্রুয়ারী রাজশাহী শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে অনুর্ধ্ব-১৮ জাতীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে অপরাজিত ট্রিপল সেঞ্চুরী (৩২০) করে ইতিহাস গড়েছেন এই ক্রিকেটার। এই পর্যায়ের ক্রিকেটে এটাই কোন বাংলাদেশি ক্রিকেটারের সেরা ইনিংস। ৬৫০ মিনিট ক্রিজে থেকে ৪৮৩ বলে ২৯টি চার আর ৪টি ছক্কা হাঁকান রিফাত।
রিফাত বেগ জানান, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অপরিহার্য ক্রিকেটার হওয়াই তার স্বপ্ন। তৃতীয় শ্রেনীতে পড়ার সময় তারই বড় ভাই বরকতের হাত ধরে ক্রিকেট খেলার প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হয় তার। তার ধ্যান-জ্ঞান ক্রিকেট আর ক্রিকেট।
টাঙ্গাইলের আরেক যুবা ক্রিকেটার দেবাশীষ সরকার দেবা। টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার ফুলকী ইউনিয়নের ঝনঝনিয়া গ্রামের আশিষ সরকারের ছেলে। ছোট বেলা থেকেই ক্রিকেট খেলার প্রতি তীব্র আকর্ষণ তাকে ক্রিকেট মাঠের মনোযোগী অলরাউন্ডার বানিয়েছে।
গত বছর বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হিসেবে ভারত সফর করেছেন তিনি। তার নেতৃত্বে ভারতের আঞ্চলিক দলের বিরুদ্ধে দু’টি ম্যাচেই বিশাল জয় উপহার দিয়েছেন। দেবাশীষ একজন পরিশ্রমী ও চতুর অফস্পিন বোলার কাম ব্যাটসম্যান। লক্ষ্য তার বাংলাদেশ জাতীয় দলের নিয়মিত ক্রিকেটার হওয়া।
টাঙ্গাইল শহরের প্যারাডাইস পাড়ায় জন্ম নেওয়া আবুল হোসেনের ছেলে রিজান হোসেন একজন ওপেনিং ব্যাটসম্যান ও ওপেনিং বোলার। সে প্রকৃতপক্ষে একজন জেনুইন অলরাউন্ডার।
ঢাকা বিভাগ (উত্তর) এর সহকারি ক্রিকেট কোচ ও টাঙ্গাইল জেলা ক্রিকেট কোচ মো. আরাফাত রহমান বলেন, টাঙ্গাইলের তিন জন মেধাবী যুবা ক্রিকেটার এবার কাতারে অনুষ্ঠিত অনুর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে খেলছে এটা অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের বিষয়। তারা তিনজনই আমার ছাত্র। আমার দৃঢ় বিশ্বাস তারা বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে খেলার যোগ্যতা রাখে। আমি তাদের সর্বাঙ্গীন উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯, ১৪ সদস্যের স্কোয়াডে রয়েছে, আজিজুল হাকিম তামিম (অধিনায়ক), জাওয়াদ আবরার (সহ-অধিনায়ক), রিফাত বেগ, সামিউন বশির রাতুল, দেবাশীষ সরকার দেবা, রিজান হোসেন, আল ফাহাদ, ইকবাল হাসান ইমন, রাফিউজ্জামান রাফি, ফরিদ হাসান ফয়সাল, মারুফ মৃধা, শিহাব জেমস, আশরাফুজ্জামান বরেণ্য এবং সাদ ইসলাম রাজিন।
অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে রাখা হয়েছে, কালাম সিদ্দিকী, শাহরিয়ার আজমীর, ইয়াসির আরাফাত এবং সানজিদ মজুমদারকে।
এবারের আসরে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ২৯ নভেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে। দ্বিতীয় ম্যাচে ১ ডিসেম্বর নেপালের মুখোমুখি হবে তামিমের দল। এরপর ৩ ডিসেম্বর গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে তারা লড়বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
৬ ডিসেম্বর হবে দুটি সেমিফাইনাল। আর ৮ ডিসেম্বর দুবাইয়ে হবে ফাইনাল।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার হুগড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার(১৯ নভেম্বর )বিকেলে হুগড়া ইউনিয়নের বেগুনটাল বাজারে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আজগর আলী।
ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মোরশেদ আলম দুলালের সভাপতিত্বে সভার প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ।
উদ্বোধক ছিলেন উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র-যুগ্ম সম্পাদক এড. আজিম উদ্দিন বিপ্লব।
ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পদক কামরুল ইসলামের সঞ্চালনায় আমন্ত্রিত অতিথিদের বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম বাদল, মামুন সরকার, মীর ফরহাদ আলী, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, কামরুল ইসলাম, ওমর ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান হাসান, কাতুলি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন, পোড়াবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমিনুর সরকার প্রমুখ।
সভায় ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ে নেতাকর্মীসহ বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে বেপরোয়া গতির বিনিময় পরিবহনের বাস ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষের ৪ নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে টাঙ্গাইল-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের মধুপুর পৌর শহরের মালাউড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা তারা হলেন- জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের আক্তার আলীর ছেলে রবিজল সেক (২৮), একই গ্রামের শাহাজল সেক (৪২), পিকআপ চালক একই উপজেলার হেকমত আলীর ছেলে সুজন মিয়া (২৫) ও হেলপার কাশেম আলীর ছেলে আমজাদ হোসেন (২৮)।
নিহতরা সবজি ব্যবসায়ী। তারা সকলেই গত সোমবার(১৮ নভেম্বর )দিবাগত রাতে ঢাকায় সবজি বিক্রি করে পিকআপযোগে বাড়ি ফিরছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ধনবাড়ী থেকে ঢাকাগামী বিনিময় পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস বিপরীত দিক থেকে আসা জামালপুরগামী পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে এই ঘটনা ঘটে। এসময় ঘটনাস্থলেই ৩ জন নিহত হন। আহত হয় একজন। পরে তাকেসহ আহতদের উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মধুপুর থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) সত্যতা নিশ্চিত করে রাসেল আহমেদ জানান, মঙ্গলবার ভোরে মধুপুর পৌর শহরের মালাউড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৪ জনের মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দু’টি উদ্ধার করে থানা হেফাজতে আনা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
একতার কণ্ঠঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, দুই হাজার মানুষ পরিবারের কথা চিন্তা না করে, মা-বাবার কথা চিন্তা না করে, সহধর্মিণীর কথা চিন্তা না করে, সন্তানের কথা চিন্তা না করে জীবন দিয়েছে শুধুমাত্র একটি নির্বাচনের জন্য না।
রবিবার (১৭ নভেম্বর)রাতে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার কবরে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, শুধুমাত্র একটি নির্বাচনের জন্য যদি এমন কিছু হতো, তাহলে বিগত ১৬ বছরে এই শুধুমাত্র নির্বাচনের জন্য সব মানুষ একসঙ্গে রাজপথে নেমে যেত। এত মানুষ একসঙ্গে নেমেছে যখন খুনি শেখ হাসিনার করাপটেড প্রত্যেকটি সিস্টেম ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল এবং মানুষ প্রত্যেকটি জায়গায় গিয়ে নিজের সাধারণ মৌলিক অধিকারগুলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল। প্রত্যেকটি সাধারণ মানুষ যখন সাধারণ একটি সেবা পেতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাচ্ছিল, মানুষকে টাকা দিতে হতো, সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হতে হতো, তখন এই সামগ্রিক সিস্টেমগুলোর বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা একসঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমেছিল। তাহলে এই অভ্যুত্থানের একটি ন্যূনতম চাহিদা হচ্ছে ওই ধ্বংস হওয়া সিস্টেমগুলোর মিনিমাম একটি সংস্কার করা।
তিনি বলেন, এখন বাংলাদেশের যেকোনো রাজনৈতিক দল যদি তাদের জায়গা থেকে মনে করে এই ধ্বংস হওয়া নির্বাচন ব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা, বিচারব্যবস্থাসহ বাংলাদেশের অন্যান্য যে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থাগুলো রয়েছে, এগুলো ছয় মাসে সংস্কার করা সম্ভব, তাহলে আমরা আমাদের জায়গা থেকে মনে করি যে, তারা অবশ্যই এখনো তাদের যে বিবেক বোধের জায়গাটুকু, সেটুকু যতটুকু বহিঃপ্রকাশ প্রত্যাশা করি, ততটুকু তারা করছেন না। এটুকু তারা তাদের জায়গা থেকে করেনি বলেই ১৬ বছরে যে সমাধানটি রাজনৈতিকভাবে হওয়া দরকার ছিল, যে খুনি হাসিনার পতন রাজনৈতিকভাবে হওয়া দরকার ছিল, সেই খুনি হাসিনার পতন হয়েছে ছাত্র-জনতার এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে।
সারজিস বলেন, আমরা আমাদের এই জায়গা থেকে মনে করি, আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে তিন, চার বা পাঁচ বছরও ক্ষমতায় থাকার কথা বলছি না। কিন্তু কেউ যদি বলে ছয় মাস—এর মতো অযৌক্তিক কোনো কথা আর হতে পারে না। একটি নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য শুধু কি একটি নির্বাচন কমিশন দরকার? এই নির্বাচনব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে একটি স্বচ্ছ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দরকার, যে তার দায়িত্বগুলো ঠিকমতো পালন করবে। সেই জায়গায় যদি কোনো অপকর্ম হয়, কেউ যদি ক্ষমতার অপব্যবহার করে, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার জন্য একটি বিচারব্যবস্থা দরকার এবং এই সামগ্রিক বিষয়গুলোর জন্য… আমার দেশের মানুষ এখন দ্রব্যমূল্যর কারণে বাজারে গেলে ঠিকমতো কেনাকাটা করতে পারে না, সিন্ডিকেটগুলোর হাতবদল হয়েছে, সিন্ডিকেটের মধ্যে নিজেদের দলে দলে এখন নেগোসিয়েশন করে এই কালপ্রিটগুলোকে উত্থান না করে, মানুষের মধ্যে ঠিকমতো বাজার করার যে ক্ষমতা সেটি তৈরি না করে কীভাবে নির্বাচনের গল্প নেই।
আমরা আমাদের জায়গা থেকে মনে করি, অবশ্যই ছয় মাস যেমন সম্পূর্ণ অযৌক্তিক একটি সময়, আবার তিন, চার বা পাঁচ বছরও দীর্ঘমেয়াদি সময়। আমরা চাই নির্দিষ্ট একটি যৌক্তিক সময়ে এই সিস্টেমগুলো একেকটি আস্থাযোগ্য সংস্কার হোক। এর পরবর্তীতে অবশ্যই সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার ক্ষমতায় আসুক’, বলেন তিনি।
এসময় আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর দৌহিত্র মাহমুদুল হক সানু, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. মাহিম সরকার, টাঙ্গাইলের সমন্বয়ক আল আমিন, মো. কামরুল ইসলাম, আল আমিন সিয়ামসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, কেউ কেউ বলছেন শেখ হাসিনা হঠাৎ করে ঢুকে পড়বেন। আমরাও চাই আসেন, ঢুকে পড়েন। বিএনপির নেতাকর্মীরা জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু ভাইকে আপনি জেলে রেখেছেন তার কৈফিয়ত দিতে হবে।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে জেলা বিএনপির স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, মওলানা ভাসানী ছিলেন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে শ্রদ্ধা এবং সম্মানের। তাকে চিনেছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান। তাকে চিনেছিলেন বলেই শহীদ জিয়াউর রহমান তার আদর্শ গ্রহণ করেছেন। আমাদের নেতা শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের ঘোষক কৃষকদের কাছে গিয়ে কাঁদার মধ্যে কৃষকের কথা শুনতেন। যেমন শুনতে মওলানা ভাসানী।
তিনি বলেন, যারা দেশটাকে ১৬-১৭ বছর ধরে লুটেপুটে খেয়েছেন। মানুষের ওপর জুলুম করেছেন তাদের বিচারের আওতায় আনার দিন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা সমর্থন দিয়েছি। আপনারা সংস্কার করেন। কিন্তু এমন সময় নিবেন না, যাতে মানুষ ধৈর্যহারা হয়। মানুষের ধৈর্য্য থাকতে থাকতে নির্বাচন দিন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি করা কী অপরাধ। আমাদের অনেক নেতাকর্মী এখনো জেলখানায়। ৬০ লাখ আসামী বিএনপির। দুই থেকে আড়াই লক্ষ মামলা। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করি। তাই আমরা অনুরোধ করবো যারা গণতন্ত্রের জন্য মামলার মুখোমুখি হয়েছে তাদের মামলা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করে নেবেন।
এসময় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, মওলানা ভাসানীকে তার হাতে গড়া আওয়ামী লীগ কখনো সম্মান বা শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেনি। বিএনপি গুনী মানুষের সম্মান দিতে জানে। মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাতে অন্তর্বর্তী সরকারের কোন উপদেষ্টা না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করে টুকু।
সমাবেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ওবায়দুল হক নাসির, জেলা বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সভাপতি হামিদুল হক মোহন, জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, শহর বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান আলীমসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।