একতার কণ্ঠঃ বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, বিএনপি’র পরিচয়েই আমরা বেঁচে থাকতে চাই। বিগত দিনে ১৭টি বছর আমরা অনেকেই নির্যাতিত, নিপীড়িত হয়েছি। আজকে সেই নির্যাতিত নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে পথ চলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতাকালীন একটি দল থাকে, কিন্তু কর্মীরা সারাজীবন দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকে। স্বৈরাচারের বিদায় হলেও ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা এখনো বাংলাদেশে বিরাজমান।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি ও টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান শামছুল হকের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজকে স্বৈরাচারের বিদায় হয়েছে, ফ্যাসিবাদের বিদায় হয়েছে; কিন্তু সেই ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা এখনো বাংলাদেশে বিরাজমান। কাজেই তারা সুযোগ খুঁজছে আমাদের মাঝখান থেকেই ঢুকে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে। অনেকেই মনে করতে পারেন, দল ভারি করার জন্য পাশে কাউকে আশ্রয় দিয়ে দল ভারি করবেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা জাতীয়তাবাদী দলের আদর্শকে বুকে ধারণ করে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল হয়ে আমরা জাতীয়তাবাদী দলের কর্মী। এটাই হচ্ছে আমাদের বড় পরিচয়। এ পরিচয় নিয়েই আমরা গর্ববোধ করি এবং পথ চলতে চাই।
সকল নেতাকর্মীকে উদ্দেশ্য করে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে পথ চলব আগামী দিনে। কারণ গণতন্ত্রের যে বিজয়, সেই পরিপূর্ণ বিজয় অর্জন করতে এখনো আমরা সক্ষম হইনি। একটি পথ আমরা অতিক্রম করেছি, ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নাই।
শামছুল হক স্মৃতি সংসদের সভাপতি শ্যামল হোড়ের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, মরহুম শামসুল হকের জ্যেষ্ঠপুত্র ও জেলা বিএনপি’র সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু প্রমূখ।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপি’র সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইদুল হক সাদু, সাবেক সহ-সভাপতি আবুল কাশেম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ পাহেলী, সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আজগর আলী প্রমুখ।
এ সময় বিএনপিসহ এর সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ সম্প্রীতির ঐকতানে গাহি সাম্যের গান’ এই স্লোগানকে সামনে নিয়ে টাঙ্গাইল জেলার সকল ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে সম্প্রীতি শোভাযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা পুলিশের আয়োজনে জেলা সদর হেলিপ্যাড চত্বর থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুলিশ লাইনস মাল্টিপারপাসে গিয়ে শেষ হয়।
পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শরফুদ্দিন, টাঙ্গাইল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি শফিকুল ইসলাম রিপন, জেলা হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক রমেশ চন্দ্র সরকার, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাধন চন্দ্র চক্রবর্তী, জেলা পুজা উদযাপন কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি চিত্ত রঞ্জন সরকার, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার গুণ ঝন্টু, টাঙ্গাইল জেলা ইমাম ও মুয়াজ্জিন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জন জেৎরা, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ বোর্ডের ট্রাস্টি শ্যামল হোড় প্রমুখ।
এই সম্প্রীতি সমাবেশে জেলার বিভিন্ন ধর্মের মানুষ অংশগ্রহণ করেন। পরে সকল ধর্মের মানুষদের নিয়ে পুলিশ লাইনের ভিতরে সম্প্রতির বৃক্ষরোপণ করা হয়। শেষে সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
একতার কণ্ঠঃ ভারতের আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনারের মৌলবাদী হিন্দুদের হামলার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে মশাল মিছিল করা হয়েছে।
মঙ্গলবার(৩ ডিসেম্বর )সন্ধ্যায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে শহরের শহীদ মিনার চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু করা হয়। পরে এটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, ছাত্র প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম, আল আমিন, ফাতেমা রহমান বিথি, আল আমিন সিয়াম, আবু আহমেদ শেরশাহসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
মশাল মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এসময় বক্তারা বলেন, আগরতলায় হাইকমিশনে হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকতে আমরা ভারতের আধিপত্য মেনে নেব না।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কলেজ পাড়ায় চলাচলের রাস্তার জায়গা দখল চেষ্টা ও হয়রানিমুলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী মইনুল রহমান জুয়েলের স্ত্রী সালমা আক্তার। তিনি বলেন, আমরা টাঙ্গাইল পৌর সভার ৬নং ওয়ার্ডের কলেজ পাড়া ও প্যাড়াডাইস পাড়ার বাসিন্দা। আমাদের বাসায় যাতায়াতের জন্য দীর্ঘ দিনের ১০ শতাংশ রাস্তাটি জেলা প্রশাসক ভূমি প্রজ্ঞাপন আকারে বরাদ্দ প্রদান করেছেন। যাহা টাঙ্গাইল পৌর সভার রেকর্ড ও নকশাকৃত। এমতাবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রতিবেশী এডভোকেট আলী ইমাম তপন ও তার ভাই আলী আযম রিপন উক্ত ভূমি জোর পূর্বক দখল করতে আসলে আমার স্বামী মইনুল রহমান জুয়েল ও প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন শহীদসহ এলাকাবাসী বাধা প্রদান করে। এই কারনে ক্ষিপ্ত হয়ে টাঙ্গাইল রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা এডভোকেট আলী ইমাম তপন গত ১৯ নভেম্বর রিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসে মারামারি, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আমার স্বামী মইনুল রহমান জুয়েল, প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন শহীদসহ এলাকার বড় ভাই মাই টিভির জেলা প্রতিনিধি মির্জা মাসুদ রুবলকে জড়িয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। যাহা টাঙ্গাইল সদর থানার মামলায় নং- সি আর ২৭১২/ ২৪। এই মামলায় আমার স্বামী মইনুল রহমান জুয়েল ৯নং আসামি ও প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন শহীদকে ১০নং আসামি করা হয়েছে। একই ঘটনায় রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক গত ২১ নভেম্বর আরও একটি মামলা দায়ের করেন। যাহা আদালতে ৩৮৮/২৪ জি আর মোকাদ্দমা হিসেবে চলমান আছে। উক্ত রাস্তাটি পাকা করন ও ড্রেনের টেন্ডার আহ্বান করার কারনে টাঙ্গাইল পৌর সভার সাবেক মেয়র এস.এম সিরাজুল হক আলমগীরকে মামলার ১নং আসামি করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, আমরা এই মিথ্যা মামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে আমার স্বামী মইনুল রহমান জুয়েল, প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন শহীদ ও মাই টিভির জেলা প্রতিনিধি মির্জা মাসুদ রুবল এর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মাই টিভির জেলা প্রতিনিধি মির্জা মাসুদ রুবলের স্ত্রী আশরাফুন্নাহার রোজি বলেন, রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার সময় সাংবাদিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন আমার স্বামী। তাকে কেন এই মামলায় ২৩ নাম্বার আসামি করা হয়েছে, এটা আমার বোধগম্য নয়। আমি অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আনোয়ার হোসেন শহীদের স্ত্রী শামসুন্নাহার আক্তার, হাবিবা আক্তার, মাহবুবা বেগম, সাজেদা বেগম, সুরাইয়া বিনতে আনোয়ার প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল টাঙ্গাইল জেলা শাখার কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এই কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয় ।
জেলা শ্রমিক দলের উদ্যোগে এ সভার উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নূরুল ইসলাম খান নাসিম।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, জেলা বিএনপি’র সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর।
কর্মী সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম বক্স দুদু।
জেলা শ্রমিক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু সাঈদ মিয়ার সভাপতিত্বে সভাটি সঞ্চালনা করেন জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক একেএম মনিরুল হক (ভিপি মনির)।
বক্তারা বলেন, প্রায় ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার শ্রমিকদের স্বার্থে কোন কাজ করে নাই। উল্টো বিভিন্ন আইন করে শ্রমিকদের মামলা ও গ্রেপ্তার করে হয়রানি করেছে। বিগত আন্দোলনেও অনেক শ্রমিক নিহত ও আহত হয়েছে। শ্রমিক দল সব সময় শ্রমিকদের স্বার্থে কাজ করছে।
সভার শুরুতে সাবেক প্রধান মন্ত্রী খালেদা জিয়া, আন্দোলনে নিহত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
এতে জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার শ্রমিক দল ছাড়াও বিএনপি ও এর সহযোগি অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের কারসাজি ও অতিরিক্ত মুনাফা লাভের কারণে আলু ও পিঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি এবং আইনে নিষিদ্ধ খোলা বাজারে ভোজ্য তৈল বিক্রির প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর )সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) টাঙ্গাইল জেলা শাখার উদ্যোগে এই ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচীর পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অসাধু ও মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ও মজুদদারদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর শাস্তির আওতায় আনা উচিত। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। বাজারে গিয়ে প্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনার আগেই তাদের পকেটের টাকা খালি হচ্ছে। এতে মানুষ সংসার পরিচালনা করতে হিমশিম খাচ্ছে।
বক্তরা আরও বলেন, বর্তমানে সাধারণ ভোক্তাদের জীবন অতিষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি। যাহা জনজীবনে অত্যন্ত চাপ সৃষ্টি করেছে। এখান থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য অসাধু ও মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য বিশেষ টাস্কফোসের কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাবের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি মনজু রানি প্রমানিক, সাধারণ সম্পাদক আবু জুবায়ের উজ্জল, কমিউনিস্ট পার্টির টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সভাপতি নাছিমুল ইসলাম, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি মামুনুর রহমান প্রমুখ।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে অনুর্ধ্ব-১৮ জাতীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার (১ ডিসেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল শহীদ মারুফ স্টেডিয়ামে জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সার্বিক সহযোগীতায় অনুর্ধ্ব-১৮ জাতীয় ক্রীকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাহিদা আক্তার।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিভাগীয় সহকারী ক্রিকেট কোচ (ঢাকা উওর) ও টুর্নামেন্টের সিলেক্টর মো. আরাফাত রহমান, টাঙ্গাইল জেলা ক্রিকেটার কল্যান সমিতির সভাপতি আবু নাসের মানিক, টাঙ্গাইল জেলা অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের ম্যানেজার শাহ আজিজ তালুকদার বাপ্পি প্রমূখ। এসময় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চাণা করেন টাঙ্গাইল জেলা ক্রীড়া অফিসার মো. আফাজ উদ্দিন।
উল্লেখ্য, উদ্বোধনী খেলায় কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ জেলা অংশগ্রহন করেন। এই টুর্নামেন্টে ৫ টি জেলা অংশগ্রহন করবে। জেলা গুলো হলো, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ , নেত্রকোনা, গাজীপুর ও নরসিংদী জেলা দল।
একতার কণ্ঠঃ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় প্রায় ১৭ বছর পর খালাস পেলেন বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে তাঁর খালাসের খবরে নিজ এলাকা টাঙ্গাইলে আনন্দমিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন জেলা বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা।
রায় ঘোষণার খবর পাওয়ার পরই বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে জড়ো হন। সেখানে মিষ্টি বিতরণ শেষে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।
এ সময় মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সভাপতি হাসিনুজ্জামান শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, সাবেক সদস্যসচিব মাহমুদুল হক সানু প্রমুখ।
জেলা বিএনপি’র সাবেক সদস্যসচিব মাহমুদুল হক সানু বলেন, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম পিন্টু খালাস পাওয়ায় টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি জাগ্রত হয়েছে। টাঙ্গাইলবাসী আজ খুবই আনন্দিত।
জেলা বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুর রহমান খান বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্বৈরাচার হাসিনা সরকার তাঁকে জেলে বন্দী করে রেখেছিল। বর্তমান সরকার নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ করায় আজ আমরা ন্যায়বিচার পেলাম। আমরা টাঙ্গাইলবাসী আজ অনেক আনন্দিত।
প্রকাশ, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম পিন্টু ১৯৯১, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তিনি শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তারের পর থেকেই তিনি কারাগারে রয়েছেন। কেন্দ্রীয় বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু তাঁর ছোট ভাই।
একতার কণ্ঠঃ ধর্মীয় সংগঠন ইসকন কর্তৃক এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যার বিচারের দাবিতে ও রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করা করেছে।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বাদ জুম্মা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে টাঙ্গাইল জেলা ক্বওমী ওলামা পরিষদ ও টাঙ্গাইল জেলা ইমাম ও মুয়াজ্জিন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
পরে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল জেলা ক্বওমী ওলামা পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুর রহমান ও টাঙ্গাইল জেলা ইমাম ও মুয়াজ্জিন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
বিক্ষোভ সমাবেশে বিপুলসংখ্যক তৌহিদী জনতা উপস্থিত ছিল।
একতার কণ্ঠঃ এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। যুব বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে ধরা হয় এই ওয়ানডে ফরমেটের টুর্নামেন্টকে। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ তাদের প্রথম ম্যাচ খেলবে শক্তিশালী আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। এই খেলায় বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলবেন টাঙ্গাইলের ৩ যুবা ক্রিকেটার।
তারা হলেন, বাঁহাতি ওপেনার রিফাত বেগ (১৮), ডানহাতি লেগব্রেক বোলার কাম ব্যাটসম্যান দেবাশীষ সরকার দেবা (১৮) ও ডানহাতি মিডিয়াম পেসার রিজান হোসেন (১৮)।
ইতিমধ্যে রবিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইলের এই ৩ ক্রিকেটার এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহন করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে মূল দলের সঙ্গে চলে গেছেন।
আসুন সংক্ষেপে জেনে নেওয়া যাক টাঙ্গাইলের এই ৩ প্রতিভাবান ক্রিকেটার সম্পর্কে –
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার কামান্য গ্রামে জন্মগ্রহন করা বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) প্রতিভাবান ক্রিকেটার বাঁহাতি ওপেনার রিফাত বেগ।
গত ১১ ফেব্রুয়ারী রাজশাহী শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে অনুর্ধ্ব-১৮ জাতীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে অপরাজিত ট্রিপল সেঞ্চুরী (৩২০) করে ইতিহাস গড়েছেন এই ক্রিকেটার। এই পর্যায়ের ক্রিকেটে এটাই কোন বাংলাদেশি ক্রিকেটারের সেরা ইনিংস। ৬৫০ মিনিট ক্রিজে থেকে ৪৮৩ বলে ২৯টি চার আর ৪টি ছক্কা হাঁকান রিফাত।
রিফাত বেগ জানান, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অপরিহার্য ক্রিকেটার হওয়াই তার স্বপ্ন। তৃতীয় শ্রেনীতে পড়ার সময় তারই বড় ভাই বরকতের হাত ধরে ক্রিকেট খেলার প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হয় তার। তার ধ্যান-জ্ঞান ক্রিকেট আর ক্রিকেট।
টাঙ্গাইলের আরেক যুবা ক্রিকেটার দেবাশীষ সরকার দেবা। টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার ফুলকী ইউনিয়নের ঝনঝনিয়া গ্রামের আশিষ সরকারের ছেলে। ছোট বেলা থেকেই ক্রিকেট খেলার প্রতি তীব্র আকর্ষণ তাকে ক্রিকেট মাঠের মনোযোগী অলরাউন্ডার বানিয়েছে।
গত বছর বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হিসেবে ভারত সফর করেছেন তিনি। তার নেতৃত্বে ভারতের আঞ্চলিক দলের বিরুদ্ধে দু’টি ম্যাচেই বিশাল জয় উপহার দিয়েছেন। দেবাশীষ একজন পরিশ্রমী ও চতুর অফস্পিন বোলার কাম ব্যাটসম্যান। লক্ষ্য তার বাংলাদেশ জাতীয় দলের নিয়মিত ক্রিকেটার হওয়া।
টাঙ্গাইল শহরের প্যারাডাইস পাড়ায় জন্ম নেওয়া আবুল হোসেনের ছেলে রিজান হোসেন একজন ওপেনিং ব্যাটসম্যান ও ওপেনিং বোলার। সে প্রকৃতপক্ষে একজন জেনুইন অলরাউন্ডার।
ঢাকা বিভাগ (উত্তর) এর সহকারি ক্রিকেট কোচ ও টাঙ্গাইল জেলা ক্রিকেট কোচ মো. আরাফাত রহমান বলেন, টাঙ্গাইলের তিন জন মেধাবী যুবা ক্রিকেটার এবার কাতারে অনুষ্ঠিত অনুর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে খেলছে এটা অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের বিষয়। তারা তিনজনই আমার ছাত্র। আমার দৃঢ় বিশ্বাস তারা বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে খেলার যোগ্যতা রাখে। আমি তাদের সর্বাঙ্গীন উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯, ১৪ সদস্যের স্কোয়াডে রয়েছে, আজিজুল হাকিম তামিম (অধিনায়ক), জাওয়াদ আবরার (সহ-অধিনায়ক), রিফাত বেগ, সামিউন বশির রাতুল, দেবাশীষ সরকার দেবা, রিজান হোসেন, আল ফাহাদ, ইকবাল হাসান ইমন, রাফিউজ্জামান রাফি, ফরিদ হাসান ফয়সাল, মারুফ মৃধা, শিহাব জেমস, আশরাফুজ্জামান বরেণ্য এবং সাদ ইসলাম রাজিন।
অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে রাখা হয়েছে, কালাম সিদ্দিকী, শাহরিয়ার আজমীর, ইয়াসির আরাফাত এবং সানজিদ মজুমদারকে।
এবারের আসরে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ২৯ নভেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে। দ্বিতীয় ম্যাচে ১ ডিসেম্বর নেপালের মুখোমুখি হবে তামিমের দল। এরপর ৩ ডিসেম্বর গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে তারা লড়বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
৬ ডিসেম্বর হবে দুটি সেমিফাইনাল। আর ৮ ডিসেম্বর দুবাইয়ে হবে ফাইনাল।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার হুগড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার(১৯ নভেম্বর )বিকেলে হুগড়া ইউনিয়নের বেগুনটাল বাজারে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আজগর আলী।
ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মোরশেদ আলম দুলালের সভাপতিত্বে সভার প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ।
উদ্বোধক ছিলেন উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র-যুগ্ম সম্পাদক এড. আজিম উদ্দিন বিপ্লব।
ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পদক কামরুল ইসলামের সঞ্চালনায় আমন্ত্রিত অতিথিদের বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম বাদল, মামুন সরকার, মীর ফরহাদ আলী, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, কামরুল ইসলাম, ওমর ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান হাসান, কাতুলি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন, পোড়াবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমিনুর সরকার প্রমুখ।
সভায় ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ে নেতাকর্মীসহ বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ অতিরিক্ত ভর্তি ফি ও চাঁদা আদায়ের অভিযোগে টাঙ্গাইল জেলা রিক্সা শ্রমিক অফিসে ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের পার্ক বাজার সংলগ্ন শ্রমিক অফিসে এই ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ঘটনার শ্রমিকদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ সময় অফিসে থাকা তিনটি মোটরসাইকেল, আসবাবপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজ-পত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।এই হামলা ও অগ্নিসংযোগে ৩ শ্রমিক নেতা আহত হয়েছেন।
তারা হলেন, গুরুতর অগ্নিদগ্ধ জেলা রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুস সামাদ, সাবেক মেম্বার সালাম ও রুপচান।
রিকশা শ্রমিক ও স্থানীয়রা জানায়, পূর্বে ভর্তি ফি ১ হাজার টাকা ছিল, সেটি বৃদ্ধি করে বর্তমানে ১৫৬০ টাকা করা হয়েছে ।এছাড়া ১০ টাকা মাসিক চাঁদা করাসহ ২শত টাকা জরিমানা নিয়ে ভর্তি না হওয়া শ্রমিকদের মাত্র ৫ থেকে ৭ দিনের সময় দিতেন সমিতির নেতৃবৃন্দ। যা নিয়ে সাধারণ শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
মঙ্গলবার সকালে শহরে সাধারণ শ্রমিকরা মাইক মেরে চাঁদা ও ভর্তি ফি না দেয়ার জন্য মাইকিং করতে থাকে। নেতৃবৃন্দ মাইক ম্যানকে আটক ও মারধর করে ছেড়ে দেন। মাইকম্যান এর কাছে মারধরের খবর জানতে পেরে সাধারণ শ্রমিকরা অফিস কার্যালয়ে হামলা,নেতৃবৃন্দকে মারধর ও অগ্নি সংযোগ করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন রিকশা শ্রমিক জানান, নেতৃবৃন্দ চাঁদা ও ভর্তি ফি নিলেও আমাদের কোন কাজে লাগেনা। নামমাত্র আহ্বায়ক কমিটি করে চাঁদার টাকা লুটপাট করছে। শ্রমিকদের শুধু মৃত্যু বোনাস, বিবাহ ভাতা আর নামমাত্র চিকিৎসা ভাতা দেওয়া হয়। সমিতিতে মোট কত টাকা চাঁদা আর ভর্তি ফি জমা আছে সেটিও আমরা জানি না। জানতে চাইলে নেতৃবৃন্দ দুর্ব্যবহার করে। এ সকল কারণে ক্ষুব্ধ সাধারণ শ্রমিক এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
গুরুতর আহত সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুস সামাদ জানান, কার্যালয়ে আমাকে বেঁধে রেখে অগ্নি সংযোগ ঘটায়। আগুন বাড়তে থাকায় আমি প্রায় আধা ঘন্টা পরে বাঁধন খুলে বের হই। আগুনে আমার শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে। আমি এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের বর্তমান সদস্য সিহাব জানান,চাঁদা ও ভর্তি ফি দিবে না বলে মাইক মারছিল সাধারণ শ্রমিকরা। এ সময় তাদের মাইকটি আটক করা হয়। এ ক্ষোভে শ্রমিকরা নেতৃবৃন্দকে মারধর এবংঅগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে।
জেলা রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির আহবায়ক মোঃ হুসেন বেপারী সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার এস এম হুমায়ুন কাণায়েল বলেন,আধাঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে। কার্যালয়ে থাকা তিনটি মোটরসাইকেল সহ কিছু আসবাব পত্র এবং কাগজপত্র পুড়ে গেছে। এ সময় অগ্নিদগ্ধ একজনকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ভিক্টর ব্যানার্জি জানান,ঘটনাস্থল থেকে অগ্নিদগ্ধ একজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।