একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪৪তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে মওলানা ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
পুষ্পস্তবক অর্পণকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ডক্টর ফজলুল করিম, প্রক্টর প্রফেসর ডক্টর ইমাম হোসেন, লাইব্রেরিয়ান প্রফেসর ডক্টর আবু জুবাইর, রেজিস্ট্রার ডক্টর মোহা. তৌহিদুল ইসলাম, ভাসানী ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মাহমুদুল হক সানুসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মসূচিতে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মওলানা ভাসানীর পরিবার, মওলানা ভাসানী স্মৃতিসৌধ ব্যবস্থাপনা কমিটি, বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, ভাসানী পরিষদ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ ভাসানী) ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পৃথক-পৃথক ভাবে অংশগ্রহন করে।
এদিন মওলানা ভাসানীর মাজার প্রাঙ্গনে ভাসানী ফাউন্ডেশনের আয়োজনে আলোচনা সভা এবং বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালি করেছে টাঙ্গাইল জেলা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।
বুধবার(১১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টায় শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যান থেকে বিজয় র্যালিটি শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সভাপতি এডভোকেট খালেক মন্ডলের নেতৃত্বে বিজয় র্যালি ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন,জেলা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হক মোহন,জেলা বিএনপি’র বর্তমান সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহিন, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, সাবেক সহ-সভাপতি ছাইদুল হক ছাদু,জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, জেলা যুবদলের আহবায়ক রাশেদুজ্জামান রাশেদ, জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক দুর্জয় হোড় শুভ প্রমূখ।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিগত ১৫ বৎসরে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়ে দলীয় করনের মাধ্যমে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা তৈরি করেছে। আমরা বর্তমান সরকার কাছে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিচার এবং প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।
এই বিজয় র্যালি ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জেলা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিল।
দিনটি উপলক্ষে জেলা বিএনপি দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় বিএনপির দুই নেতার কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে পৌরসভা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম গুরুতর আহতবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার শাহজাহান সিরাজ কলেজের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
আহত মুজাহিদুল ইসলাম কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সহ-সংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটুর কর্মী। কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য লুৎফর রহমান মতিনের কর্মী-সমর্থকরা এই হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা আহমেদ টিটুর লোকজন শাহজাহান সিরাজ কলেজের একজন শিক্ষার্থীকে মারধর করে। পরে বিষয়টি স্থানীয় বিএনপি’র লোকজন মিমাংসা করে দেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা টিটু ও মতিনের লোকজন কলেজ এলাকায় মোটরসাইকেল শোডাউন করে। পরে টিটুর গ্রুপের লোকজন কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে মিটিং করার সময় বিএনপি নেতা মতিনের লোকজন গিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। এতে পৌরসভা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলামকে কুপিয়ে আহত করা হয়। পৌর যুবদলের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিকের নেতৃত্বে হামলা করে শান্ত নামের একজন বিএনপি কর্মী। এছাড়া তৌহিদ নামের আরেক কর্মীকে লাঠি দিয়ে পিটানো হয়। পরে গুরুত্বর আহত মুজাহিদকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলার করার অভিযুক্ত শান্তর বিরুদ্ধে ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করার অভিযোগ রয়েছে। ওই হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামী করা হয় তাকে।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম ভূইয়া জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি’র দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। এই ব্যাপারে এখনও কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একতার কণ্ঠঃ বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, বিএনপি’র পরিচয়েই আমরা বেঁচে থাকতে চাই। বিগত দিনে ১৭টি বছর আমরা অনেকেই নির্যাতিত, নিপীড়িত হয়েছি। আজকে সেই নির্যাতিত নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে পথ চলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতাকালীন একটি দল থাকে, কিন্তু কর্মীরা সারাজীবন দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকে। স্বৈরাচারের বিদায় হলেও ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা এখনো বাংলাদেশে বিরাজমান।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি ও টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান শামছুল হকের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজকে স্বৈরাচারের বিদায় হয়েছে, ফ্যাসিবাদের বিদায় হয়েছে; কিন্তু সেই ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা এখনো বাংলাদেশে বিরাজমান। কাজেই তারা সুযোগ খুঁজছে আমাদের মাঝখান থেকেই ঢুকে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে। অনেকেই মনে করতে পারেন, দল ভারি করার জন্য পাশে কাউকে আশ্রয় দিয়ে দল ভারি করবেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা জাতীয়তাবাদী দলের আদর্শকে বুকে ধারণ করে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল হয়ে আমরা জাতীয়তাবাদী দলের কর্মী। এটাই হচ্ছে আমাদের বড় পরিচয়। এ পরিচয় নিয়েই আমরা গর্ববোধ করি এবং পথ চলতে চাই।
সকল নেতাকর্মীকে উদ্দেশ্য করে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে পথ চলব আগামী দিনে। কারণ গণতন্ত্রের যে বিজয়, সেই পরিপূর্ণ বিজয় অর্জন করতে এখনো আমরা সক্ষম হইনি। একটি পথ আমরা অতিক্রম করেছি, ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নাই।
শামছুল হক স্মৃতি সংসদের সভাপতি শ্যামল হোড়ের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, মরহুম শামসুল হকের জ্যেষ্ঠপুত্র ও জেলা বিএনপি’র সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু প্রমূখ।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপি’র সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইদুল হক সাদু, সাবেক সহ-সভাপতি আবুল কাশেম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ পাহেলী, সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আজগর আলী প্রমুখ।
এ সময় বিএনপিসহ এর সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ ভারতের আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনারের মৌলবাদী হিন্দুদের হামলার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে মশাল মিছিল করা হয়েছে।
মঙ্গলবার(৩ ডিসেম্বর )সন্ধ্যায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে শহরের শহীদ মিনার চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু করা হয়। পরে এটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, ছাত্র প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম, আল আমিন, ফাতেমা রহমান বিথি, আল আমিন সিয়াম, আবু আহমেদ শেরশাহসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
মশাল মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এসময় বক্তারা বলেন, আগরতলায় হাইকমিশনে হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকতে আমরা ভারতের আধিপত্য মেনে নেব না।
একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল টাঙ্গাইল জেলা শাখার কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এই কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয় ।
জেলা শ্রমিক দলের উদ্যোগে এ সভার উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নূরুল ইসলাম খান নাসিম।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, জেলা বিএনপি’র সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর।
কর্মী সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম বক্স দুদু।
জেলা শ্রমিক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু সাঈদ মিয়ার সভাপতিত্বে সভাটি সঞ্চালনা করেন জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক একেএম মনিরুল হক (ভিপি মনির)।
বক্তারা বলেন, প্রায় ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার শ্রমিকদের স্বার্থে কোন কাজ করে নাই। উল্টো বিভিন্ন আইন করে শ্রমিকদের মামলা ও গ্রেপ্তার করে হয়রানি করেছে। বিগত আন্দোলনেও অনেক শ্রমিক নিহত ও আহত হয়েছে। শ্রমিক দল সব সময় শ্রমিকদের স্বার্থে কাজ করছে।
সভার শুরুতে সাবেক প্রধান মন্ত্রী খালেদা জিয়া, আন্দোলনে নিহত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
এতে জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার শ্রমিক দল ছাড়াও বিএনপি ও এর সহযোগি অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় প্রায় ১৭ বছর পর খালাস পেলেন বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে তাঁর খালাসের খবরে নিজ এলাকা টাঙ্গাইলে আনন্দমিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন জেলা বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা।
রায় ঘোষণার খবর পাওয়ার পরই বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে জড়ো হন। সেখানে মিষ্টি বিতরণ শেষে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।
এ সময় মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সভাপতি হাসিনুজ্জামান শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, সাবেক সদস্যসচিব মাহমুদুল হক সানু প্রমুখ।
জেলা বিএনপি’র সাবেক সদস্যসচিব মাহমুদুল হক সানু বলেন, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম পিন্টু খালাস পাওয়ায় টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি জাগ্রত হয়েছে। টাঙ্গাইলবাসী আজ খুবই আনন্দিত।
জেলা বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুর রহমান খান বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্বৈরাচার হাসিনা সরকার তাঁকে জেলে বন্দী করে রেখেছিল। বর্তমান সরকার নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ করায় আজ আমরা ন্যায়বিচার পেলাম। আমরা টাঙ্গাইলবাসী আজ অনেক আনন্দিত।
প্রকাশ, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম পিন্টু ১৯৯১, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তিনি শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তারের পর থেকেই তিনি কারাগারে রয়েছেন। কেন্দ্রীয় বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু তাঁর ছোট ভাই।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার হুগড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার(১৯ নভেম্বর )বিকেলে হুগড়া ইউনিয়নের বেগুনটাল বাজারে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আজগর আলী।
ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মোরশেদ আলম দুলালের সভাপতিত্বে সভার প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ।
উদ্বোধক ছিলেন উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র-যুগ্ম সম্পাদক এড. আজিম উদ্দিন বিপ্লব।
ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পদক কামরুল ইসলামের সঞ্চালনায় আমন্ত্রিত অতিথিদের বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম বাদল, মামুন সরকার, মীর ফরহাদ আলী, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, কামরুল ইসলাম, ওমর ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান হাসান, কাতুলি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন, পোড়াবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমিনুর সরকার প্রমুখ।
সভায় ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ে নেতাকর্মীসহ বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ অতিরিক্ত ভর্তি ফি ও চাঁদা আদায়ের অভিযোগে টাঙ্গাইল জেলা রিক্সা শ্রমিক অফিসে ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের পার্ক বাজার সংলগ্ন শ্রমিক অফিসে এই ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ঘটনার শ্রমিকদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ সময় অফিসে থাকা তিনটি মোটরসাইকেল, আসবাবপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজ-পত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।এই হামলা ও অগ্নিসংযোগে ৩ শ্রমিক নেতা আহত হয়েছেন।
তারা হলেন, গুরুতর অগ্নিদগ্ধ জেলা রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুস সামাদ, সাবেক মেম্বার সালাম ও রুপচান।
রিকশা শ্রমিক ও স্থানীয়রা জানায়, পূর্বে ভর্তি ফি ১ হাজার টাকা ছিল, সেটি বৃদ্ধি করে বর্তমানে ১৫৬০ টাকা করা হয়েছে ।এছাড়া ১০ টাকা মাসিক চাঁদা করাসহ ২শত টাকা জরিমানা নিয়ে ভর্তি না হওয়া শ্রমিকদের মাত্র ৫ থেকে ৭ দিনের সময় দিতেন সমিতির নেতৃবৃন্দ। যা নিয়ে সাধারণ শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
মঙ্গলবার সকালে শহরে সাধারণ শ্রমিকরা মাইক মেরে চাঁদা ও ভর্তি ফি না দেয়ার জন্য মাইকিং করতে থাকে। নেতৃবৃন্দ মাইক ম্যানকে আটক ও মারধর করে ছেড়ে দেন। মাইকম্যান এর কাছে মারধরের খবর জানতে পেরে সাধারণ শ্রমিকরা অফিস কার্যালয়ে হামলা,নেতৃবৃন্দকে মারধর ও অগ্নি সংযোগ করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন রিকশা শ্রমিক জানান, নেতৃবৃন্দ চাঁদা ও ভর্তি ফি নিলেও আমাদের কোন কাজে লাগেনা। নামমাত্র আহ্বায়ক কমিটি করে চাঁদার টাকা লুটপাট করছে। শ্রমিকদের শুধু মৃত্যু বোনাস, বিবাহ ভাতা আর নামমাত্র চিকিৎসা ভাতা দেওয়া হয়। সমিতিতে মোট কত টাকা চাঁদা আর ভর্তি ফি জমা আছে সেটিও আমরা জানি না। জানতে চাইলে নেতৃবৃন্দ দুর্ব্যবহার করে। এ সকল কারণে ক্ষুব্ধ সাধারণ শ্রমিক এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
গুরুতর আহত সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুস সামাদ জানান, কার্যালয়ে আমাকে বেঁধে রেখে অগ্নি সংযোগ ঘটায়। আগুন বাড়তে থাকায় আমি প্রায় আধা ঘন্টা পরে বাঁধন খুলে বের হই। আগুনে আমার শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে। আমি এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের বর্তমান সদস্য সিহাব জানান,চাঁদা ও ভর্তি ফি দিবে না বলে মাইক মারছিল সাধারণ শ্রমিকরা। এ সময় তাদের মাইকটি আটক করা হয়। এ ক্ষোভে শ্রমিকরা নেতৃবৃন্দকে মারধর এবংঅগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে।
জেলা রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির আহবায়ক মোঃ হুসেন বেপারী সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার এস এম হুমায়ুন কাণায়েল বলেন,আধাঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে। কার্যালয়ে থাকা তিনটি মোটরসাইকেল সহ কিছু আসবাব পত্র এবং কাগজপত্র পুড়ে গেছে। এ সময় অগ্নিদগ্ধ একজনকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ভিক্টর ব্যানার্জি জানান,ঘটনাস্থল থেকে অগ্নিদগ্ধ একজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন টাঙ্গাইল পৌর শাখার আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এতে আদিবা হুমায়রাকে আহ্বায়ক ও আবদুল্লাহু আল মুনিমকে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।কমিটিতে দুটি সদস্য পদ ফাঁকা রাখা হয়েছে।
সোমবার(১৮ নভেম্বর )দুপুরে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন টাঙ্গাইল জেলা শাখার কার্যালয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
ঘোষিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- যুগ্ম-আহ্বায়ক আনিকা রহমান, যুগ্ম-সম্পাদক তাসফির আনোয়ার মাহি, সদস্য অনিক হাসান, মোনায়েম খান, শিশির, শ্রাবণী, জামিল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি ফাতেমা রহমান বীথি, প্রচার সম্পাদক তাওহীদা স্বপ্নিল, দপ্তর সম্পাদক প্রেমা সরকার প্রমুখ।
একতার কণ্ঠঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, দুই হাজার মানুষ পরিবারের কথা চিন্তা না করে, মা-বাবার কথা চিন্তা না করে, সহধর্মিণীর কথা চিন্তা না করে, সন্তানের কথা চিন্তা না করে জীবন দিয়েছে শুধুমাত্র একটি নির্বাচনের জন্য না।
রবিবার (১৭ নভেম্বর)রাতে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার কবরে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, শুধুমাত্র একটি নির্বাচনের জন্য যদি এমন কিছু হতো, তাহলে বিগত ১৬ বছরে এই শুধুমাত্র নির্বাচনের জন্য সব মানুষ একসঙ্গে রাজপথে নেমে যেত। এত মানুষ একসঙ্গে নেমেছে যখন খুনি শেখ হাসিনার করাপটেড প্রত্যেকটি সিস্টেম ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল এবং মানুষ প্রত্যেকটি জায়গায় গিয়ে নিজের সাধারণ মৌলিক অধিকারগুলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল। প্রত্যেকটি সাধারণ মানুষ যখন সাধারণ একটি সেবা পেতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাচ্ছিল, মানুষকে টাকা দিতে হতো, সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হতে হতো, তখন এই সামগ্রিক সিস্টেমগুলোর বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা একসঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমেছিল। তাহলে এই অভ্যুত্থানের একটি ন্যূনতম চাহিদা হচ্ছে ওই ধ্বংস হওয়া সিস্টেমগুলোর মিনিমাম একটি সংস্কার করা।
তিনি বলেন, এখন বাংলাদেশের যেকোনো রাজনৈতিক দল যদি তাদের জায়গা থেকে মনে করে এই ধ্বংস হওয়া নির্বাচন ব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা, বিচারব্যবস্থাসহ বাংলাদেশের অন্যান্য যে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থাগুলো রয়েছে, এগুলো ছয় মাসে সংস্কার করা সম্ভব, তাহলে আমরা আমাদের জায়গা থেকে মনে করি যে, তারা অবশ্যই এখনো তাদের যে বিবেক বোধের জায়গাটুকু, সেটুকু যতটুকু বহিঃপ্রকাশ প্রত্যাশা করি, ততটুকু তারা করছেন না। এটুকু তারা তাদের জায়গা থেকে করেনি বলেই ১৬ বছরে যে সমাধানটি রাজনৈতিকভাবে হওয়া দরকার ছিল, যে খুনি হাসিনার পতন রাজনৈতিকভাবে হওয়া দরকার ছিল, সেই খুনি হাসিনার পতন হয়েছে ছাত্র-জনতার এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে।
সারজিস বলেন, আমরা আমাদের এই জায়গা থেকে মনে করি, আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে তিন, চার বা পাঁচ বছরও ক্ষমতায় থাকার কথা বলছি না। কিন্তু কেউ যদি বলে ছয় মাস—এর মতো অযৌক্তিক কোনো কথা আর হতে পারে না। একটি নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য শুধু কি একটি নির্বাচন কমিশন দরকার? এই নির্বাচনব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে একটি স্বচ্ছ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দরকার, যে তার দায়িত্বগুলো ঠিকমতো পালন করবে। সেই জায়গায় যদি কোনো অপকর্ম হয়, কেউ যদি ক্ষমতার অপব্যবহার করে, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার জন্য একটি বিচারব্যবস্থা দরকার এবং এই সামগ্রিক বিষয়গুলোর জন্য… আমার দেশের মানুষ এখন দ্রব্যমূল্যর কারণে বাজারে গেলে ঠিকমতো কেনাকাটা করতে পারে না, সিন্ডিকেটগুলোর হাতবদল হয়েছে, সিন্ডিকেটের মধ্যে নিজেদের দলে দলে এখন নেগোসিয়েশন করে এই কালপ্রিটগুলোকে উত্থান না করে, মানুষের মধ্যে ঠিকমতো বাজার করার যে ক্ষমতা সেটি তৈরি না করে কীভাবে নির্বাচনের গল্প নেই।
আমরা আমাদের জায়গা থেকে মনে করি, অবশ্যই ছয় মাস যেমন সম্পূর্ণ অযৌক্তিক একটি সময়, আবার তিন, চার বা পাঁচ বছরও দীর্ঘমেয়াদি সময়। আমরা চাই নির্দিষ্ট একটি যৌক্তিক সময়ে এই সিস্টেমগুলো একেকটি আস্থাযোগ্য সংস্কার হোক। এর পরবর্তীতে অবশ্যই সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার ক্ষমতায় আসুক’, বলেন তিনি।
এসময় আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর দৌহিত্র মাহমুদুল হক সানু, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. মাহিম সরকার, টাঙ্গাইলের সমন্বয়ক আল আমিন, মো. কামরুল ইসলাম, আল আমিন সিয়ামসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, কেউ কেউ বলছেন শেখ হাসিনা হঠাৎ করে ঢুকে পড়বেন। আমরাও চাই আসেন, ঢুকে পড়েন। বিএনপির নেতাকর্মীরা জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু ভাইকে আপনি জেলে রেখেছেন তার কৈফিয়ত দিতে হবে।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে জেলা বিএনপির স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, মওলানা ভাসানী ছিলেন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে শ্রদ্ধা এবং সম্মানের। তাকে চিনেছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান। তাকে চিনেছিলেন বলেই শহীদ জিয়াউর রহমান তার আদর্শ গ্রহণ করেছেন। আমাদের নেতা শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের ঘোষক কৃষকদের কাছে গিয়ে কাঁদার মধ্যে কৃষকের কথা শুনতেন। যেমন শুনতে মওলানা ভাসানী।
তিনি বলেন, যারা দেশটাকে ১৬-১৭ বছর ধরে লুটেপুটে খেয়েছেন। মানুষের ওপর জুলুম করেছেন তাদের বিচারের আওতায় আনার দিন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা সমর্থন দিয়েছি। আপনারা সংস্কার করেন। কিন্তু এমন সময় নিবেন না, যাতে মানুষ ধৈর্যহারা হয়। মানুষের ধৈর্য্য থাকতে থাকতে নির্বাচন দিন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি করা কী অপরাধ। আমাদের অনেক নেতাকর্মী এখনো জেলখানায়। ৬০ লাখ আসামী বিএনপির। দুই থেকে আড়াই লক্ষ মামলা। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করি। তাই আমরা অনুরোধ করবো যারা গণতন্ত্রের জন্য মামলার মুখোমুখি হয়েছে তাদের মামলা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করে নেবেন।
এসময় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, মওলানা ভাসানীকে তার হাতে গড়া আওয়ামী লীগ কখনো সম্মান বা শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেনি। বিএনপি গুনী মানুষের সম্মান দিতে জানে। মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাতে অন্তর্বর্তী সরকারের কোন উপদেষ্টা না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করে টুকু।
সমাবেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ওবায়দুল হক নাসির, জেলা বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সভাপতি হামিদুল হক মোহন, জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, শহর বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান আলীমসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।