/ হোম / সখীপুর
টাঙ্গাইলে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি (দক্ষিণ) পুলিশ।

রবিবার (২০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সখিপুর পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ডের সিকদারপাড়া এলাকায় একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।এ সময় তাঁর কাছ থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।

সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত হারুন মিয়া (৪৫) উপজেলার কাঁকড়াজান ইউনিয়নের সাপিয়াচালা গ্রামের ফয়েজ আলীর ছেলে।

টাঙ্গাইল ডিবির (দক্ষিণ) অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সখীপুর পৌর শহরের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে হারুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ১০ হাজার পিস মাদক ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারকৃত হারুনের বিরুদ্ধে সখীপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২২. এপ্রিল ২০২৫ ০১:০২:এএম ১ দিন আগে
টাঙ্গাইলে প্রবাসীর স্ত্রী হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ১ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে প্রবাসীর স্ত্রী হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ১

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের পূর্ব ঘোনারচালা গ্রামের প্রবাসী দুলাল মিয়ার স্ত্রী আমেনা বেগমকে (৪৫) হত্যার রহস্য উদঘাটন ও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে আসামিকে টাঙ্গাইল আদালতে সোপর্দ করে সখীপুর থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত এনামুল হক (৪১) কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হযরত আলীর ছেলে।

এর আগে হত্যা মামলা হওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে অভিযুক্তকে টাঙ্গাইল সদর থানার করটিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে সখীপুর থানা পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে।

নিহত আমেনার মেয়ে লিতু আক্তার জানান, বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে তার মা আমেনা বেগম স্বামীর সাথে মোবাইলে কথা বলতে ঘর থেকে বের হন। এরপর দীর্ঘক্ষণ ঘরে না ফেরায় বাড়ির লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে ভোরে বাড়ির পাশের একটি ধানখেতে মায়ের লাশ দেখতে পেয়ে তারা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাকির হোসেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে ওসি জাকির হোসেন জানান, গ্রেপ্তারকৃত এনামুল হক কুড়িগ্রাম থেকে সখীপুর উপজেলার পূর্ব ঘোনারচালায় নিহত আমেনাদের বাড়িতে এসে গত ৮ বছর ধরে কাজ করছেন। আমেনার স্বামী দুলাল দীর্ঘ ২২ বছর ধরে সৌদি আরবে থাকেন। এ সময় আমেনার সাথে এনামুলের পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে এনামুল তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সে তার স্ত্রীকে তালাক দেয়ার শর্তে বিয়ের জন্য রাজি হয়। এনামুল শর্ত অনুযায়ী নিজের স্ত্রীকে তালাক দিলেও আমেনা বিয়ে করতে গড়িমসি করায় এনামুল ক্ষুব্ধ হয়। পরে সুযোগ বুঝে আমেনাকে ডেকে নিয়ে গলায় উড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে বাড়ির পেছনের ধানক্ষেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

তবে গ্রেপ্তারকৃত এনামুলের বক্তব্যকে অস্বীকার করেছেন নিহত আমেনার ছেলে পারভেজ। তিনি বলেন, আমার মা কেমন তা প্রতিবেশীরা খুব ভালো করেই জানেন। মূলত সে আমার মাকে হত্যা করে এমন মনগড়া অপবাদ দিচ্ছে। এনামুল এর আগেও এলাকার অনেক নারীর বিরুদ্ধে এমন অপবাদ দিয়েছিল। তার অপবাদের কারণে অনেকের সংসারও ভেঙে গেছে।

পারভেজ আরও বলেন, এনামুল একা আমার মাকে হত্যা করেনি। সে একা এমন কাজের সাহস করতে পারবে না। নিশ্চয়ই তার সাথে আরো কেউ জড়িত আছে। আমি এনামুলসহ জড়িতদের সর্বোচ্চ বিচার চাই।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৯. এপ্রিল ২০২৫ ০২:২০:এএম ৪ দিন আগে
টাঙ্গাইলে প্রবাসীর স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, স্বর্ণালঙ্কার লুট - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে প্রবাসীর স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, স্বর্ণালঙ্কার লুট

সাহান হাসানঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে আমিনা বেগম (৪৫) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার পরনে থাকা স্বর্ণালঙ্কারও লুট করে নিয়ে যায় তারা।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের ঘোনারচালা গ্রামে বাড়ির পাশের ধানক্ষেত থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত আমেনা বেগম একই গ্রামের সৌদি প্রবাসী দুলাল হোসেনের স্ত্রী।

নিহতের গলায় ওড়না প্যাঁচানো ছিল, আর শরীরে ছিল আঘাতের চিহ্ন। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে এবং হত্যার পর তার শরীরে থাকা স্বর্ণালংকার লুট করা হয়েছে।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে আমেনা বেগম প্রতিদিনের মতো পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে রাতের খাবার শেষ করেন। রাত প্রায় ১০টার দিকে তিনি তার স্বামী দুলাল হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় ঘর থেকে বের হয়ে যান। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও তিনি আর ঘরে ফিরে আসেননি।

পরিবার ও প্রতিবেশীরা সারা রাত ধরে খোঁজাখুঁজি করলেও তার কোনো সন্ধান মেলেনি। অবশেষে বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পাশের ধানক্ষেতে আমেনা বেগমর মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে সখীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহতের মেয়ে লিতু আক্তার বলেন, আম্মু ফোনে আব্বুর সঙ্গে কথা বলছিল। কিছু বুঝে উঠতে পারছি না—কে, কীভাবে, কেন এমন করল! আমাদের কিছুই নেই, কারো সঙ্গে কোনো বিরোধও নেই।

নিহতের ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার বোন একজন সহজ-সরল গৃহবধূ ছিলেন। কারো সঙ্গে কখনো ঝগড়া বা শত্রুতা হয়নি। আমরা ভাবতেই পারছি না, কীভাবে এই নির্মম ঘটনা ঘটলো।

স্থানীয় ইউপি সদস্য বলেন, এই এলাকায় এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড এর আগে কখনো ঘটেনি। বিষয়টি নিয়ে আমরা খুব উদ্বিগ্ন। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।

সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন, আমেনা বেগমের মরদেহে শ্বাসরোধের চিহ্ন রয়েছে এবং পরনে থাকা স্বর্ণালংকার লুট করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঘটনাটি খুবই স্পর্শকাতর, আমরা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত শুরু করেছি। দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এবং সম্ভাব্য সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদও শুরু করা হয়েছে।

এই ঘটনায় পুরো এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। একই সাথে হত্যাকাণ্ডের পর ঘোনারচালা গ্রামে আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাত হলে অনেকে ঘরের বাইরে বের হতে ভয় পাচ্ছেন। এলাকাবাসী দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৭. এপ্রিল ২০২৫ ১০:৫৬:পিএম ৫ দিন আগে
স্বামী-সন্তান রেখে রংপুর থেকে টাঙ্গাইল এসে দ্বিতীয় বিয়ে, পাঁচ মাস পর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার - Ekotar Kantho

স্বামী-সন্তান রেখে রংপুর থেকে টাঙ্গাইল এসে দ্বিতীয় বিয়ে, পাঁচ মাস পর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

সাহান হাসানঃ অনলাইনে পরিচয় সূত্রে রংপুর সদর উপজেলার বাসিন্দা রিনা আক্তার (২৪) এক সন্তানকে রেখেই চলে এসেছিলেন টাঙ্গাইলের সখীপুরে।

স্বামী-সন্তান ছেড়ে এসে উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের রডমিস্ত্রি দেওয়ান রাব্বীকে (২৬) বিয়ে করেন।

এই বিয়ের পাঁচ মাস পর মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রিনা আক্তার দ্বিতীয় স্বামীর বাড়িতেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সখিপুর থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত রিনা আক্তার রংপুর সদর উপজেলার পাগলাপীর এলাকার আব্দুল মালেকের মেয়ে।

পুলিশ ও রিনার দ্বিতীয় স্বামীর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনলাইনে দেওয়ান রাব্বীর সঙ্গে রিনা আক্তারের পরিচয় হয়। ওই পরিচয়ের সূত্র ধরেই পাঁচ মাস আগে রিনা টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কচুয়া গ্রামে দেওয়ান রাব্বীর বাড়িতে চলে আসেন। রাব্বী তাঁকে বিয়েও করেন। বিয়ের পর রিনা বাবার বাড়ির (রংপুর) কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি বলে জানান শ্বশুর দেওয়ান মোজাম্মেল।

রিনার শ্বশুর দেওয়ান মোজাম্মেল বলেন, এর আগেও রিনার এক জায়গায় বিয়ে হয়েছিল। ওই ঘরে তার একটি ছেলেসন্তানও আছে। আমার ছেলের কাছে আসার পর আমরা তাদের বিয়ে মেনে নিয়েছি। মঙ্গলবার বিকেলে আমার ছেলে রাব্বী কাজ থেকে বাড়ি ফিরে দেখতে পায়, তার বউ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আছে। খবর পেয়ে আমরা দ্রুত সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রিনাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাকির হোসেন জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৯. এপ্রিল ২০২৫ ০৭:২৪:পিএম ২ সপ্তাহ আগে
টাঙ্গাইলে বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল কেড়ে নিল টিকটকারের প্রাণ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল কেড়ে নিল টিকটকারের প্রাণ

সাহান হাসানঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বাবুল আহমেদ (১৮) নামের এক টিকটকার নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ঢাকা-সখীপুর আঞ্চলিক সড়কের উপজেলার দেওদীঘি বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত বাবুল জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার দক্ষিণ দরিয়াবাদ এলাকার মন্তাজ শেখের ছেলে। সখীপুরে তিনি অপর টিকটকার বন্ধু রবিউলের বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, অনলাইনে টিকটক ভিডিও করার সুবাদে বাবুল ও সখীপুরের রবিউল নামের এক যুবকের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শনিবার বাবুল ইসলামপুর থেকে সখীপুরে মোটরসাইকেল নিয়ে বেড়াতে আসেন। তাঁরা কয়েকজন বন্ধু মিলে পাঁচটি মোটরসাইকেল নিয়ে উপজেলার হাতীবান্ধা তালিম ঘরে বেড়াতে যান। পরে সেখান থেকে সন্ধ্যায় তাঁরা বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে সখীপুরে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বাবুলের মোটরসাইকেলটি দেওদীঘি বাজারে এসে প্রথমে একজন পথচারী এবং পরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ধাক্কা দেয়। তাতে ঘটনাস্থলেই বাবুল নিহত হন। এ সময় পথচারী ও এক অটোরিকশাযাত্রী গুরুতর আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন, বাবুলের মরদেহ থানা হেফাজতে রেখে তাঁর পরিবারকে খবর পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

তিনি আরও বলেন, বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও অভিভাবকেরা উঠতি বয়সী যুবকদের হাতে দ্রুতগতির মোটরসাইকেল তুলে দিচ্ছেন। ফলে দুর্ঘটনার সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। এসব দুর্ঘটনা প্রতিরোধে অভিভাবকদের আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৭. এপ্রিল ২০২৫ ০৩:৩৮:এএম ২ সপ্তাহ আগে
টাঙ্গাইলে স্ত্রীর লাঠির আঘাতে স্বামীর মৃত্যু, স্ত্রী গ্রেপ্তার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে স্ত্রীর লাঠির আঘাতে স্বামীর মৃত্যু, স্ত্রী গ্রেপ্তার

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে পরকীয়া থেকে ফেরাতে না পেরে স্বামী জুয়েল রানাকে (৩৮) লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেছেন স্ত্রী তানিয়া আক্তার।

শনিবার (৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার কালিয়ানপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জুয়েল রানা ওই গ্রামের মজনু সিকদারের ছেলে। এ ঘটনায় জুয়েলের বাবা বাদী হয়ে সখীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৫ বছর আগে জুয়েল ভালোবেসে তানিয়াকে বিয়ে করেন। তাদের তিনটি সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর ভালোই চলছিল তাদের সংসারজীবন। সম্প্রতি জুয়েলের সঙ্গে এক নারীর পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। কিন্তু এতেও তাদের সম্পর্ক বাদ যায়নি। উপায়ান্তর না পেয়ে শনিবার রাতে কাঠের টুকরা দিয়ে ঘুমিয়ে থাকা স্বামী জুয়েলকে মাথায় আঘাত করেন স্ত্রী তানিয়া। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান জুয়েল।

সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন স্ত্রী তানিয়া। এর সঙ্গে অন্য কোনো বিষয় আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছি। এ ঘটনায় জুয়েলের বাবা বাদী হয়ে সখীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। শনিবার দুপুরে আসামিকে টাঙ্গাইল আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৬. এপ্রিল ২০২৫ ০২:৫৭:এএম ২ সপ্তাহ আগে
বিএনপি’র বাধায় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর দলীয় ইফতার মাহফিল স্থগিত - Ekotar Kantho

বিএনপি’র বাধায় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর দলীয় ইফতার মাহফিল স্থগিত

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের সখিপুরে বিএনপি’র বাধায় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ইফতার মাহফিল স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা।

বুধবার (১২ মার্চ) উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের কেজিকে উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইফতার মাহফিল করার কথা ছিল। কিন্তু বিএনপি’র নেতাকর্মীদের বাধার মুখে সেটি স্থগিত করা হয় বলে জানান উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আব্দুস সবুর খান।

উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন বলেন, রবিবার উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের গড়বাড়ী বাজারে ও সোমবার কালিয়া ইউনিয়নের কচুয়া পাবলিক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ইফতার মাহফিলের তারিখ নির্ধারণ করা ছিল। কিন্তু বিএনপি ও ছাত্রদলের কর্মী সমর্থকদের বাধায় ওই দুটি স্থানে আমাদের ইফতার মাহফিল করতে দেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, পরে রবিবার গড়বাড়ী এলাকা থেকে তিন কিলোমিটার দক্ষিণে তৈলধারা বাজারে ও সোমবার কচুয়া পাবলিক উচ্চবিদ্যালয় থেকে তিন কিলোমিটার উত্তরে ঘোনারচালা বাজারে গিয়ে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করতে হয়েছে। দুটি মাহফিলেই কাদের সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ বুধবার গজারিয়া ইউনিয়নের কেজিকে উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইফতার মাহফিল করার কথা ছিল। এখানেও বিএনপি নেতাকর্মীদের বাধা দেওয়ার কারণে আমরা ইফতার মাহফিলটি স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছি। আমরা এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছি। পরবর্তীতে পরিবেশ স্বাভাবিক হলে আবার ইফতার মাহফিলের তারিখ ঘোষণা করবো।

উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আব্দুস সবুর খান বলেন, আমাদের দলে নেতা-কর্মীর অভাব নেই। আমরাও ইচ্ছা করলে বিএনপি’র সঙ্গে ঝগড়া করতে পারি। কিন্তু আমরা তা করবো না। আমরা রাজনৈতিকভাবেই বিএনপিকে মোকাবিলা করবো।

এদিকে উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি শাজাহান সাজু কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দুটি ইউনিয়নে তাদের ইফতার মাহফিলে আমরা কোনো বাধা দেইনি।

তিনি আরও বলেন, তবে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা নামের একটি সংগঠন তাদের বাধা দিয়েছে বলে শুনেছি।

ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার পক্ষে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সৈয়দ একাব্বর হোসেন বলেন, কাদের সিদ্দিকী ছিলেন ১৯৭১ সালের বীর মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু ২০২৪ সালে তিনি একজন রাজাকার ও ফ্যাসিস্টদের দোসর। তিনি যেখানেই যাবেন সেখানেই তাকে প্রতিহত করা হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৪. মার্চ ২০২৫ ০৩:২৮:এএম ১ মাস আগে
টাঙ্গাইলে মাদক সেবন ও অশ্লীল নৃত্যের অভিযোগে ৭৬ বছরের পুরনো মেলা বন্ধ ঘোষণা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে মাদক সেবন ও অশ্লীল নৃত্যের অভিযোগে ৭৬ বছরের পুরনো মেলা বন্ধ ঘোষণা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে ৭৬ বছরের পুরনো ফাইলা পাগলার মেলা বন্ধ ঘোষণা করেছে যৌথ বাহিনী। রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলার দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের দাড়িয়াপুরে অবস্থিত ফাইলা পাগলার মাজার প্রাঙ্গণে উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও থানা পুলিশ অভিযান শেষে মেলা বন্ধের এ ঘোষণা দেন।

অভিযানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল রনী, সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন এ টি এম ফজলে রাব্বি প্রিন্স, সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, ১৯৪৯ সালে উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামে প্রথম ফাইলা পাগলার মেলা শুরু হয়। প্রতিবছরের হিজরি রজব মাসের প্রথম দিন থেকে মেলা শুরু হয়ে মাসব্যাপী চলে এর কার্যক্রম। পূর্ণিমার রাতে হয় বড়মেলা। তবে মানতকারী, ভক্ত-দর্শনার্থীদের আনাগোনা থাকে সারা মাস। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের হাজার হাজার লোক ব্যান্ডপার্টিসহ মানত করা মোরগ, খাসি, গরুসহ নানা পণ্যসামগ্রী নিয়ে হাজির হয়। মাজারের চারপাশের প্রায় এক কিলোমিটার দূর পর্যন্ত লোকজন মোরগ, গরু-খাসি জবাই করে মানত পূরণ করে।

এদিকে, মাজারঘেঁষেই পাগল ভক্তদের বসার আস্তানা। সেখানে প্রকাশ্যে গাঁজা সেবন করা হয়। এই সুযোগে দূরদূরান্ত থেকে আসা ভক্ত ও যুবকরা অনেকটা প্রকাশ্যেই মাদক সেবন করে। এ ছাড়া মেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিরাতে অশ্লীল নৃত্যের আয়োজন করা হয় বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।

বিষয়টি নিয়ে সচেতন নাগরিক সমাজ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দেয়। পরে রবিবার বিকালে যৌথ বাহিনী মেলা বন্ধে অভিযান চালায়। এ সময় ব্যবসায়ী ও মেলায় আগত দর্শনার্থীদের মেলাস্থল ত্যাগ করতে ১৫ মিনিট সময় বেঁধে দেওয়া হয়। পরে দোকানপাট সরিয়ে নিতে ব্যবসায়ীদের দুই ঘণ্টা সময় দেয় যৌথ বাহিনী। পরে মেলায় আসা লোকজন দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। এ সময় মেলায় বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে আসা ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। পরে তারা মালামাল সরাতে দুই দিন সময় চান।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল রনী বলেন, ‘মেলার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ ছিল। আমরা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতাও পেয়েছি। এ কারণে মেলাটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’

তবে মাজার কমিটির সভাপতি কবির হাসান অভিযোগ করে বলেন, ‘একটি মহল মেলাটি বন্ধ করার জন্য পাঁয়তারা করছে। মাজারের পাশ থেকে পাগল ভক্তদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবুও মেলাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মেলাটি বন্ধ করায় ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে ফাইলা পাগলার মাজারে পরপর দুটি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে মাজারের খাদেমসহ আট জন নিহত হন। আহত হন কমপক্ষে ১৫ জন। এ হামলার পর কয়েক বছর মেলায় লোকজন কম হচ্ছিল। ধীরে ধীরে সেই ভয় কেটে যাওয়ার পর থেকে লোকজন মেলায় বেশি আসছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৩. জানুয়ারী ২০২৫ ০৪:৪৮:এএম ৩ মাস আগে
টাঙ্গাইলে পৃথক-পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে পৃথক-পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখিপুরে পৃথক-পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৭ টায় জেলার সখীপুর উপজেলার টাঙ্গাইল-সখীপুর আঞ্চলিক সড়কের বেড়বাড়ী, সকাল ৯ টায় সখীপুর থানার গেট সংলগ্ন এলাকায় এবং সকাল ১০ টায় সখীপুর-সাগরদিঘী আঞ্চলিক সড়কের কুতুবপুর এলাকায় তিনটি পৃথক-পৃথক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, সকাল ৭টায় ট্রাক চাপায় নিহত মামুন ভালুকা উপজেলার একটি কোম্পানিতে চাকরী করতো। সে রাতে ডিউটি শেষে ফেরার পথে সখীপুর উপজেলার টাঙ্গাইল-সখীপুর আঞ্চলিক সড়কের বেড়বাড়ী এলাকায় পৌঁছালে অজ্ঞাত ট্রাকচাপায় তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

নিহত মামুন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের মো. আবুল কাশেমের ছেলে।

অন্যদিকে, সোমবার সকাল ৯ টায় সখীপুর থানার সামনে একটি ট্রাক মোটরসাইকেলকে চাপা দিলে জয়েন উদ্দিন (৭০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়।

নিহত জয়েন উদ্দিন মির্জাপুর উপজেলার পেকুয়া গ্রামের মো. গনি মিয়ার ছেলে।

সকাল ১০টায় সখীপুর উপজেলার জোড়দিঘী এলাকায় মাছের জন্য যাওয়ার পথে সখীপুর-সাগরদিঘী আঞ্চলিক সড়কের কুতুবপুর এলাকায় সিএনজি চাপায় আবুবকর (৪৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

তিনি সখীপুর উপজেলার কচুয়া গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে।

এ বিষয়ে সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.জাকির হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ গুলো উদ্ধার করা হয়। নিহতদের মরদেহ গুলো ময়না তদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৪. ডিসেম্বর ২০২৪ ০২:০৩:এএম ৪ মাস আগে
টাঙ্গাইলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বাবলু সিকদার নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে মৃত্যু বরণ করেন তিনি।

এর আগে শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের গান্ধিনা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত বাবলু সিকদার পার্শ্ববর্তী সখিপুর উপজেলা কালিয়ান গ্রামের মো. কামাল হোসেন ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, নিহত বাবলু সিকদারের মাটির ব্যবসা নিয়ে মনোমালিন্য চলছিল স্থানীয় বেশ কয়েকজনের সঙ্গে। ঘটনার দিন শনিবার বাবলু সিকদার কাজ শেষে বাজার থেকে ফিরে সন্ধ্যার পর বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। মোবাইল ফোনে বাবলুকে বাড়ি থেকে ডেকে গান্ধিনা বাজারে নেওয়া হয়। পরে গান্ধিনা বাজারে ইসলামী এজেন্ট ব্যাংকের সামনে মা এন্টারপ্রাইজ দোকানে ভেতরে ঢুকিয়ে কথা-কাটাকাটি একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা বাবলু সিকদারকে হাত-পাসহ শরীরে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে।

এ সময় বাবলুর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। পরে তাকে ঢাকা একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সোমবার ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে বাবলু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করে।

নিহত বাবলুর চাচা মালেক জানান ‘শনিবার রাত ৮টার দিকে বাবলুর এক প্রতিবেশী তাঁকে ডেকে নিয়ে গান্দিনাপাড়া বাজারের রাহিনের সিমেন্টের দোকানের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই ওত পেতে থাকা ওই এলাকার হারুন, সোহেলসহ আরও কয়েকজন বাবলুকে ধাক্কা দিয়ে দোকানের ভেতর ফেলে দেয়। পরে তারা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে বাবলুকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় হারুনকে প্রধান আসামি করে মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। মামলার বাদী হচ্ছেন আমার ভাই (নিহতের বাবা) কামাল হোসেন।’

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তদন্ত শরিফুল ইসলাম ।

তিনি জানান, এ ঘটনায় সোমবার(১৮ নভেম্বর )নিহতের পিতা কামাল হোসেন বাদী হয়ে কালিহাতী থানায় অভিযুক্ত হারুন মিয়াসহ ১৪ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৯. নভেম্বর ২০২৪ ০২:৪২:এএম ৫ মাস আগে
টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্র নিহত - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্র নিহত

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে তানভীর হোসেন (১৫) নামের এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছে তানভীরের এক বন্ধু।

মঙ্গলবার(১২ নভেম্বর )রাত ১০টার দিকে উপজেলার পেচারআটা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত তানভীর হোসেন জেলার সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের দিঘীরচালা গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে।

সে একই উপজেলার সুরীরচালা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

দুর্ঘটনায় আহত হয় তানভীরের বন্ধু ফেরদৌস। সে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা।

তিনি বলেন, দুর্ঘটনাস্থল পার্শ্ববর্তী ঘাটাইল থানার আওতাধীন থাকায় আমাদের থানায় এ বিষয়ে কেউ কিছু জানাননি।

নিহত তানভীরের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তানভীর মঙ্গলবার বিকেলে নিজের মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোবাইল ফোনে খবর আসে তানভীর ঘাটাইলের পেচারআটা এলাকায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা নামক স্থানে তাঁর মৃত্যু হয়।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে তানভীরের মরদেহ রয়েছে বলে জানান তার নানা আবুল কাশেম। তিনি বলেন, লাশ হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আনার প্রক্রিয়া চলছে।

তানভীরের বড় বোন বর্ষা আক্তার বলেন, অনেকবার বলার পর আমার ভাইকে মোটরসাইকেল কিনে দিয়েছিলাম, সেই মোটরসাইকেলই ভাইয়ের প্রাণ কেড়ে নিল। মানতে পারছি না ভাই আমার আর কোনো দিন আমার বাড়ি যাবে না।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৩. নভেম্বর ২০২৪ ১১:২১:পিএম ৫ মাস আগে
টাঙ্গাইলে কাঁঠালগাছ থেকে মাছবিক্রেতার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে কাঁঠালগাছ থেকে মাছবিক্রেতার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে একটি কাঁঠালগাছ থেকে আনোয়ার হোসেন (৪২) নামের এক মাছ বিক্রেতার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার(২ নভেম্বর) ভোররাতে উপজেলার আড়াইপাড়া গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাকির হোসেন।

নিহত আনোয়ার হোসেন আড়াইপাড়া গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকার আব্দুল বাছেদ খানের ছেলে।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. হবি মিয়া বলেন, আনোয়ার বিভিন্ন হাট-বাজারে মাছ বিক্রি করতেন। শনিবার ভোররাতে আড়াইপাড়া গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকার বনের পাশে একটি কাঁঠাল গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর লাশ পাওয়া যায়। তাঁর আত্মহত্যার কারণ বলতে পারছি না।
তিনি আরো বলেন,প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, পারিবারিক কলহের কারণে এমনটি করে থাকতে পারে।

লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাকির হোসেন।

সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন,আনোয়ারের লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা নেওয়া হয়েছে।’

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৩. নভেম্বর ২০২৪ ০৩:৫৪:এএম ৬ মাস আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।