/ মূলপাতা / সখীপুর
সখীপুরে সাংবাদিকের মাথা ফাটালেন আ.লীগ নেতা - Ekotar Kantho

সখীপুরে সাংবাদিকের মাথা ফাটালেন আ.লীগ নেতা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে এশিয়ান টেলিভিশনের স্থানীয় প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম শাফলুর উপর হামলা চালিয়ে মাথা ফাটিয়েছেন প্রভাবশালী এক আওয়ামী লীগ নেতা।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে উপজেলার পৌর এলাকার উপজেলা রোডের মনির উদ্দিন কমপ্লেক্সে এই হামলার ঘটনাটি ঘটে।

এ ঘটনায় ওই আহত সাংবাদিক বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

গুরুতর আহত ওই সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম শাফলু অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিউজ টাঙ্গাইলের সম্পাদক ও দৈনিক মজলুমের কন্ঠ পত্রিকার সখীপুর প্রতিনিধি।

জানা যায়,সখীপুর পৌর এলাকার উপজেলা রোডের মনির উদ্দিন কমপ্লেক্সের একটি রুম ভাড়ার চুক্তিপত্র নিয়ে কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে সাংবাদিক শাফলুর মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে ঐ কমপ্লেক্সের মালিক ও আওয়ামী লীগনেতা মনির উদ্দিন মন্টু।ঘটনাস্থলে ওই সাংবাদিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করান।মাথায় আঘাত পাওয়ায় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় রেফার্ড করবেন বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসক।

মনির উদ্দিন কমপ্লেক্সের ভাড়াটিয়া বলেন, এ ভবনের মালিক বদ মেজাজি তার আচরণ অত্যন্ত বাজে। তার বিচার হওয়া প্রয়োজন।

এই ঘটনায় অভিযুক্ত মনির উদ্দিন মন্টু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, রুমের চুক্তিপত্র নিয়ে দ্বন্দের এক মুহূর্তে মাথায় আঘাত করে ফেলেছি।

সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)শেখ শাহিনুর রহমান বলেন, আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৬. এপ্রিল ২০২৪ ০৩:৩৭:এএম ৪ দিন আগে
টাঙ্গাইলে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাইভেটকার চালক নিহত - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাইভেটকার চালক নিহত

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাইভেটকার চালক মিল্টন মিয়া (৩৮) নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকালে সখীপুর-সাগরদীঘি আঞ্চলিক সড়কের কালিয়া বাজারে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মিল্টন মির্জাপুর উপজেলার তরফপুর ইউনিয়নের গাজেশ্বরী গ্রামের মোতাহার মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার কালিয়া বাজারে ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাইভেটকার চালক মিল্টন গুরুত্বর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহতের চাচাতো ভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন মিল্টন। তাঁর মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এ প্রসঙ্গে সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ শাহিনুর রহমান জানান, কোনো অভিযোগ না থাকায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৫. এপ্রিল ২০২৪ ০২:৫৫:এএম ২ সপ্তাহ আগে
টাঙ্গাইলে ইয়াবাসহ মা-ছেলে গ্রেপ্তার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ইয়াবাসহ মা-ছেলে গ্রেপ্তার

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে ইয়াবাসহ মা-ছেলেকে আটক করেছে সখিপুর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে উপজেলার বেলতলী এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়। বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে তাঁদের দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন, আতিক হাসান (২৩) ও তাঁর মা আরজিনা আক্তার (৩৯)।

সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ শাহিনুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার বেলতলী গ্রামের সেন্টু মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেন্টু মিয়ার স্ত্রী আরজিনা ও ছেলে আতিক হাসানের কাছ থেকে ২০৫টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে মা-ছেলের নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ইয়াবাসহ আটক মা-ছেলেকে বুধবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মাদক নিয়ন্ত্রণে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. এপ্রিল ২০২৪ ০২:০৭:এএম ২ সপ্তাহ আগে
টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ী নিহত - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ী নিহত

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় ঢাকা-সখীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের তক্তারচালা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যবসায়ীর নাম সাজিবুল হাসান সুজন (৩৫)। তিনি উপজেলার বড়চওনা গ্রামের আবদুল বাছেদের ছেলে। সে স্থানীয় বড়চওনা বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করতেন।

বড়চওনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মিজানুর রহমান সড়ক দুর্ঘটনায় সুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও সুজনের পরিবার জানায়, সুজন মোটরসাইকেল চালিয়ে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরছিল। পথে তক্তারচালা এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে মোটরসাইকেল ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সুজন মারা যান। পরে স্থানীয়রা অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশটি সুজনের বাড়ি পৌঁছে দেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, দাঁড়ানো ট্রাকের সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তাই পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়নি।

সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ শাহিনুর রহমান বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৩০. মার্চ ২০২৪ ০২:০১:এএম ৩ সপ্তাহ আগে
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ অফিস যখন মুদি দোকান - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ অফিস যখন মুদি দোকান

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিসে মুদি দোকান দেওয়া হয়েছে। উপজেলার করটিয়াপাড়া বাজারে অবস্থিত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে মুদি দোকান দিয়েছেন তোফাজ্জল হোসেন নামে এক ব্যক্তি।

তোফাজ্জল ইউনিয়নের চতলবাইদ ভাতকুড়া এলাকার আফসার উদ্দিনের ছেলে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এসএম ইব্রাহিমের নির্দেশেই তিনি আওয়ামী লীগের অফিসে মুদি দোকান দিয়েছেন বলে জানান। এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিনে জানা যায়, ২০২২ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বহুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস উদ্বোধন করেন। অফিসের দক্ষিণ পাশেই ব্যবসায়ী তোফাজ্জল হোসেনের মুদির দোকান ছিল। সেখান থেকে সরিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা এসএম ইব্রাহিম রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দলীয় কার্যালয়টি দখল করে মুদি দোকান বসিয়েছেন। সম্প্রতি এ ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

ব্যবসায়ী তোফাজ্জল হোসেন বলেন, এক মাস যাবত আওয়ামী লীগের এই কার্যালয়ে আমি দোকান করছি। আমার আগের দোকান ঘর মেরামতের কাজ চলছে। তাছাড়া আমাকে ইব্রাহিম নেতা এই ঘরে আসতে বলেছে বলেই এখানে এসে দোকান বসিয়েছি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এসএম ইব্রাহিম বলেন, দলীয় কার্যালয়টি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। পরে ওই ঘর সংস্কার কয়া হয়। সংস্কারের টাকা এবং ভাড়া বাকি ছিল। বাকি টাকাগুলো আমি একা পরিশোধ করেছি।

তিনি আরও বলেন, এক মাসের জন্য পার্টি অফিসের ঘরটি তোফাজ্জল হোসেনকে মুদির দোকান করতে দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২২. মার্চ ২০২৪ ০২:৪২:এএম ৪ সপ্তাহ আগে
টাঙ্গাইলে প্রতিবেশী নারীকে মারধর করা সেই চেয়ারম্যান কারাগারে - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে প্রতিবেশী নারীকে মারধর করা সেই চেয়ারম্যান কারাগারে

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে প্রতিবেশী নারীকে মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নওরীন করিম দুই পক্ষের শুনানি শেষে এ রায় দেন।

টাঙ্গাইলের কোর্ট ইন্সপেক্টর তানভীর আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নূরে আলম মুক্তা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। পরে দুপক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মারধরের শিকার জেসমিন আক্তার জানান, ওই চেয়ারম্যান বৃহস্পতিবার আগাম জামিনের জন্য আদালতে গিয়েছিলেন। এ কথা শুনে আমি শুনানি শেষ হওয়ার এক মিনিট আগেই আদালতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে আমাকে মারধরের ভিডিওটি দেখালে আদালত অভিযুক্ত চেয়ারম্যানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, ২ মার্চ বিকেলে পারিবারিক কলহের জেরে তুচ্ছ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তা তাঁর প্রতিবেশী জেসমিন আক্তারকে (৩৫) মারধর করেন। অপর প্রতিবেশী রুবেলকে (৩৭) সঙ্গে নিয়ে চেয়ারম্যানের ওই মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার দিন মারধরের শিকার জেসমিন সখীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

এ নিয়ে ৩ মার্চ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। এ ঘটনায় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীও (বীর উত্তম) নারীকে মারধরে জড়িত চেয়ারম্যানের বিচার দাবিতে স্মারকলিপি দেন। একপর্যায়ে সখীপুর থানা-পুলিশ মারধরের শিকার জেসমিনের অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২২. মার্চ ২০২৪ ০২:১৮:এএম ৪ সপ্তাহ আগে
টাঙ্গাইলে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে দুই যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে দুই যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে দুই যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মাহবুবুর রহমান এ রায় দেন।

দন্ডিতরা হচ্ছেন, জেলার সখীপুর উপজলার মহানন্দপুর গ্রামের আসলামের ছেলে সাগর আহমেদ (২১) এবং একই উপজেলার জিতাশ্বরি মরিচপুরিচালা গ্রামের মৃত আবু সাইদের ছেলে নাইছ আহমেদ (২১)। দন্ডিত দুইজনকেই ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করেছেন আদালত।

মামলার অপর আসামী ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় খালাস দিয়েছেন আদালত।

টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের সহকারি কৌশুলী (এপিপি) মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস বলেন, দন্ডিত সাগর ১৩ বছর বয়সী এক স্কুল ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ২০২২ সালের ২৯ জুন রাত নয়টার দিকে নাইছকে নিয়ে ওই ছাত্রীর সাথে দেখা করতে আসেন। পরে ওই ছাত্রীকে বাসারচালা পশ্চিমপাড়া একটি জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরদিন তারা আবার একই স্থানে ডেকে নিয়ে পুনরায় ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে ওই ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে সখীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

রায় ঘোষণার সময় দন্ডিত দুইজনকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২০. মার্চ ২০২৪ ০২:০৮:এএম ১ মাস আগে
টাঙ্গাইলে ৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে ৯ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (৬ মার্চ) রাতে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত মাসুদ রানা (৩৫) পার্শ্ববর্তী ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে বুধবার মামলা হলে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা।

পুলিশ ও স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত মাসুদ পেশায় একজন ভ্যানগাড়ি চালক। প্রায় মাস দুয়েক আগে মাসুদ ভ্যানে করে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নির্জন বনে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। পরে একাধিকবার শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পেটের ব্যথায় শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে বুধবার সকালে শিশুটি তার পরিবারকে সব ঘটনা খুলে বললে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা জানান, শিশুটির ওপর একাধিকবার যৌন নির্যাতন করা হয়েছে।

এ ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যায় শিশুটির মা বাদী হয়ে মাসুদ রানার বিরুদ্ধে সখীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।

শিশুটির মা বলেন, যে আমার অবুঝ মেয়েটির ক্ষতি করেছে, তার উপযুক্ত বিচার হোক।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা জানান, অভিযোগ পাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার তাঁকে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে। আর শিশুটিকেও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৮. মার্চ ২০২৪ ০২:০৮:এএম ১ মাস আগে
টাঙ্গাইলে রান্নাঘরে বাবার রক্তাক্ত লাশ, ছেলে উধাও - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে রান্নাঘরে বাবার রক্তাক্ত লাশ, ছেলে উধাও

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে নিজেদের রান্নাঘর থেকে আবদুস সামাদ (৫৫) নামের এক কৃষকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার বড়চওনা ইউনিয়নের দাড়িপাকা পশ্চিমপাড়া (বিন্নরীপাড়া) এলাকা থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।

এদিকে ঘটনার পর থেকেই নিহত আবদুস সামাদের ছেলে ওয়াহেদুজ্জামান (৩০) পলাতক রয়েছেন।

পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের ধারণা, বাবাকে হত্যা করে ওয়াহেদুজ্জামান গা-ঢাকা দিয়েছেন। এ ঘটনায় সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে নিহতের ছোট ভাই আবদুর রশিদ বাদী হয়ে ভাতিজা ওয়াহেদুজ্জামানকে একমাত্র আসামি করে সখীপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিজ বাড়ির রান্নাঘরে আবদুস সামাদকে রক্তাক্ত অবস্থায় মৃত পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

স্থানীয়রা আরও জানান, ছেলে ওয়াহেদ মাদকাসক্ত। আগেও তিনি পরিবারের অন্য সদস্যদের মারধর করেছেন। সন্ধ্যায় তাঁকে বাড়িতেই দেখা গেছে। কিন্তু ঘটনার পর থেকে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সম্ভবত কোনো কারণে ওই ছেলেই আবদুস সামাদকে আঘাত করে অবস্থা বেগতিক দেখে পালিয়ে গেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ শাহিনুর রহমান জানান, নিহতের মাথায় ধারালো কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

তিনি আরও জানান, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার সকালে নিহতের ছোট ভাই আবদুর রশিদ বাদী হয়ে ভাতিজা ওয়াহেদুজ্জামানকে একমাত্র আসামি করে সখীপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ওয়াহেদুজ্জামানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৬. ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০৯:২১:পিএম ২ মাস আগে
অবশেষে সেই স্কুল শিক্ষিকা শিলাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ - Ekotar Kantho

অবশেষে সেই স্কুল শিক্ষিকা শিলাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

একতার কণ্ঠঃ টানা ছয় মাস অনুপস্থিত স্কুল শিক্ষিকা জেবুন নাহার শিলাকে অবশেষে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) টাঙ্গাইল জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার বণিক ওই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন।

নোটিশে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, জেবুন নাহার শিলা গত বছরের ১০ জুলাই থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত তিন মাসের চিকিৎসা ছুটিতে ছিলেন। একই বছরের ১০ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত পুনরায় তিন মাসের চিকিৎসা ছুটির আবেদন করেন। নিয়ম অনুযায়ী, স্বাস্থ্যগত কারণে তিন মাসের অধিক ছুটির ক্ষেত্রে মেডিকেল বোর্ডের সনদ প্রয়োজন। মেডিকেল বোর্ডের সনদের জন্য ওই শিক্ষকের আবেদনপত্র টাঙ্গাইল সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই শিক্ষককে বিগত সময়ের চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ও কাগজপত্র মেডিকেল বোর্ডে পাঠাতে চিঠি দেয় সিভিল সার্জন কার্যালয়। কিন্তু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা না দিয়ে বোর্ডে অনুপস্থিত রয়েছেন শিক্ষক জেবুন নাহার শিলা।

এরআগে সখীপুর ইউএনওর নির্দেশে গত ১৬ ও ২৯ জানুয়ারি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ওই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।

এ বিষয়ে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার বণিক জানান, ওই শিক্ষকের চিকিৎসা ছুটির আবেদন জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু মেডিকেল বোর্ড প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাইলে জমা দেননি শিক্ষক শিলা। ফলে ওই শিক্ষক চিকিৎসা ছুটি পাননি। এ কারণে সিভিল সার্জন কার্যালয় কাগজপত্র ফেরত পাঠিয়েছে। বৃহস্পতিবার তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।

উল্লেখ্য, জেবুন নাহার শিলা ২০২৩ সালের ২৪ জানুয়ারি সখীপুর উপজেলার পশ্চিম কালিদাস পানাউল্লা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করেন। তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১১. ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০২:২৪:এএম ২ মাস আগে
টাঙ্গাইলে শীতে গোসল করতে বলায় চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে শীতে গোসল করতে বলায় চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে গোসল করতে বলায় লামিয়া আক্তার (৯) নামের এক স্কুল শিক্ষার্থী নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত লামিয়া ওই গ্রামের লুৎফর রহমানের মেয়ে। সে স্থানীয় যাদবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আলতাব হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের স্বজনরা জানায়, লামিয়া তীব্র শীতের কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে গোসল না করায় মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে তার মা তাকে গোসল করতে বলে। লামিয়া গোসল করবে না বললে মা তার সঙ্গে রাগারাগি করে। পরে মা পরিবারের কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এই ফাঁকে লামিয়া ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে অনেক ডাকাডাকির পর কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে লামিয়াকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।

এ সময় তাকে উদ্ধার করে মুমূর্ষ অবস্থায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ এএসআই মো. আতিকুর রহমান বলেন, সকালের দিকে সখীপুর থেকে এক স্কুল শিক্ষার্থীর লাশ হাসপাতাল মর্গে আনা হয়। যতটুকু জানতে পেরেছি সে মায়ের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে। পরে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ শাহিনুর রহমান জানান, আত্মহত্যার বিষয়টি জেনেছি। এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করতে আসেনি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৪. জানুয়ারী ২০২৪ ০১:২৭:এএম ৩ মাস আগে
টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রবাসী নিহত - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রবাসী নিহত

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে মোটরসাইকেল ও মাহিন্দ্র ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে সাইদুল ইসলাম (৩০) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী প্রবাস ফেরত যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের ঢাকা-সখীপুর আঞ্চলিক সড়কের নলুয়া বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক এসআই মোহাম্মদ আলী নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত সাইদুল ইসলাম উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের চতলবাইদ পাড়া গ্রামের আবুল কাশেম বেপারীর ছেলে।

জানা যায়, শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে সাইদুল ইসলাম মোটরসাইকেল যোগে তার নিজ গ্রাম চতলবাইদ থেকে নলুয়া বাজারে আসার পথে বাজারের কাছাকাছি পৌঁছালে একটি দ্রুতগামী মাহিন্দ্র ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় সাইদুলকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক এসআই মোহাম্মদ আলী মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন , নিহতের পরিবার থেকে কোন বাদী না হওয়ায় নিহতের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পরে তার লাশ পরিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

এ ঘটনায় নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীর মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৬. জানুয়ারী ২০২৪ ০৩:১৬:এএম ৩ মাস আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।