/ মূলপাতা / শিক্ষাঙ্গন
শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা ইউএনওকে প্রত্যাহার - Ekotar Kantho

শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা ইউএনওকে প্রত্যাহার

একতার কণ্ঠঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে টাঙ্গাইলে নিহত স্কুল ছাত্র মারুফ হাসানের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে ছাত্র হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত এক ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান বিন মোহাম্মদ আলীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদ পরিবার ও আহতদের চিকিৎসার জন্য আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও করটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা খালেকুজ্জামান চৌধুরী মজনুর বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত হয়।

পরে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কায়সারুল ইসলাম উপস্থিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু উপস্থিত শিক্ষার্থীরা মজনু চৌধুরীর গ্রেপ্তারের দাবি ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত ইউপি চেয়ারম্যানকে শহীদ মারুফের মা মোর্শেদা বেগমের উপস্থিতিতে বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রত্যাহার দাবি করে স্লোগান দিতে শুরু করে। এক পর্যায়ে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের জেলা প্রশাসক তার কার্যালয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।

এসময় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে অনুষ্ঠানে উপস্থিত কাতুলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইকবাল হোসেন, পোড়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাদাত হোসেন, মগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোতালিব হোসেন, সিলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সুজায়েদ হোসেন দ্রুত অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করে উপজেলা পরিষদে গিয়ে আশ্রয় নেন।

পরে দুপুরে ছাত্র-ছাত্রীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে না গিয়ে কার্যালয়ের সামনে বসে পরে বিক্ষোভ করতে থাকে। সেখানে জেলা প্রশাসক উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের জানান, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান বিন মোহাম্মদ আলীকে টাঙ্গাইল থেকে প্রত্যাহার করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নেবে। কিন্তু উপস্থিত ছাত্ররা হাসান বিন মোহাম্মদ আলীকে সেখানে উপস্থিত হয়ে শহীদ মারুফের মা মোর্শেদা বেগমের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান।

ছাত্র-ছাত্রীদের প্রচন্ড বিক্ষোভের মুখে প্রত্যাহারকৃত ইউএনও সেখানে উপস্থিত হয়ে মারুফের পরিবার ও উপস্থিত সকলের কাছে ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে ভুলটি করেননি। তার পরও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহতদের আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার ঘটনায় তিনি নিঃশর্তভাবে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন।

তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার জন্য তিনি একক ভাবে দায়ী। টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসনের অন্য কেউ এই ঘটনার সাথে যুক্ত নয়। বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি ও তাদের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা।

এসময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বেশ কিছুসংখ্যক সদস্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৬. সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০১:৫০:এএম ৫ দিন আগে
পদত্যাগে বাধ্য হলেন টাঙ্গাইল প্রি-ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষ - Ekotar Kantho

পদত্যাগে বাধ্য হলেন টাঙ্গাইল প্রি-ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষ

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল শহরের প্রি ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ হওয়া আবু সাঈদের ছবি দেয়ালে আর্ট করায় শিক্ষককে পায়ে ধরে উঠবস করা, অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করাসহ নানা অভিযোগে পদত্যাগে বাধ্য হলেন প্রি ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষ শাহানা বেগম।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্দোলনকারী শিক্ষক অভিভাবকদের চাপের মুখে পদত্যাগ করেছেন তিনি।

এর আগে গত পরশু স্কুলে একজন নারী অভিভাবক হিজাব পরে স্কুলে এলে তাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন অধ্যক্ষ শাহনাজ বেগম। এ থেকেই শুরু হয় অভিভাবকদের আন্দোলন। ওই দিনই অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি করে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। এসময় স্কুলের শিক্ষকের অপমান অপদস্ত ও শহীদ আবু সাইদের ছবি অংকনকারী শিক্ষক মানববন্ধনে অংশ নেয়। এতে করে অধ্যক্ষ শাহানাজ ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেন।

পরে আন্দোলনকারীরা জেলা প্রশাসক বরাবর অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি করে একটি স্মারকলিপি দেন। জেলা প্রশাসক তদন্ত কমিটি করে সময় নেয়। সকালে অধ্যক্ষ স্কুলে আসায় আবার অভিভাবকরা আন্দোলন শুরু করেন। এক পর্যায়ে অধ্যক্ষ শাহনাজ বেগম পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে তাকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নিয়ে যায়। পরে আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হন তিনি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৪২:এএম ৭ দিন আগে
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ১৯ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার - Ekotar Kantho

ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ১৯ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার

একতার কণ্ঠঃ প্রতিহিংসামূলক কার্যকলাপের দায়ে টাঙ্গাইলের সন্তোষে অবস্থিত মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ১৯ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে জানানো হয় এ তথ্য।

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, বিশেষ ছাত্র সংগঠনের প্রতিহিংসামূলক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে গত ২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের ২৪৭তম জরুরি সভার অনুমোদনক্রমে ১৯ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। তাদের চলতি সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষাসহ সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ ও হলে অবস্থান নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সাময়িক বহিষ্কৃত ও ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত শিক্ষার্থীরা হলেন, ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইএসআরএম বিভাগের শিক্ষার্থী মানিক শীল, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী হুমায়ুন কবির ও শাওন ঘোষ, সুজন মিয়া, নাইম রেজা, খালেকুজ্জামান নোমান, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিক ইকবাল, রায়হান আহমেদ শান্ত ও আনোয়ার হোসেন অন্তর, গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আবিদ হাসান মারুফ, শাখাওয়াত আহমেদ শুভ্র ও আব্দুল্লাহ সরকার উৎস, ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান, রিফাত হোসেন, সিপিএস বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ রাজু, ইমরানুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রানা বাপ্পি ও যোবায়ের দৌলা রিয়ন।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এআরএম সোলায়মান জানান, এর আগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি পরে অভিযোগকারী ও অভিযুক্তদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার পর পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করে শৃঙ্খলা বোর্ডের সভায় বিভিন্ন বিভাগের ওই ১৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সুপারিশ করে।

তিনি আরও জানান, এটি সাময়িক ব্যবস্থা। প্রয়োজনীয় তদন্ত সাপেক্ষে যথাসময়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:০৯:এএম ৭ দিন আগে
টাঙ্গাইল প্রি-ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল প্রি-ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন

একতার কণ্ঠঃ ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত ও নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে টাঙ্গাইল প্রি-ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষের পদত্যাগ ও বিচার দাবি করেছে শিক্ষার্থী ও অভিবাবকরা। এদিকে অভিবাবকরা মানববন্ধন করতে গেলে স্কুলের অধ্যক্ষের স্বামী তার লোকজন নিয়ে মানববন্ধনে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগও করেছে তারা।

রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের জেলা সদর রোডে অবস্থিত প্রি- ক্যাডেট স্কুলের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়

অভিবাবকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের হিজাব পরিহিত ছাত্রীদের নানা বাঁধার মুখে পড়তে হচ্ছে। ছাত্রীরা হিজাব পড়ে প্রবেশ করতে চাইলে তাদেরকে গেটে বাঁধা দেওয়া হয়। তাছাড়া স্কুলের কতিপয় শিক্ষক প্রতিনিয়ত ছাত্রীদের হিজাব পড়তে নিষেধ করে আসছে।

সম্প্রতি হিজাব পড়াকে কেন্দ্র করে এক অভিবাবকের সাথে শিক্ষকদের কথাকাটাকাটি হয়। এ বিষয়টি জানাজানির পর অভিবাবকদের মাঝে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। প্রতিবাদে তারা স্কুলের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে তারা প্রেসক্লাবের সামনে ব্যানার নিয়ে মানববন্ধন করতে গেলে অধ্যক্ষের স্বামী হারুন অর রশীদ তার লোকজন নিয়ে বাঁধা দেয়। এ সময় তারা ব্যানার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এরপর অভিবাবকরা অধ্যক্ষের কার্যালয় ঘেরাও করে রাখে।

শিক্ষার্থী ও অভিবাবকরা অভিযোগ করে বলেন, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি চলে আসছে। ছোট খাটো বিষয় নিয়ে অভিযোগ জানাতে গিয়ে প্রায়ই অধ্যক্ষের কাছে লাঞ্চিত হন তারা। স্কুলের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যে কোন টিফিন টাইম নেই। শিক্ষার্থীরা অনেকটা পালিয়ে পালিয়ে টিফিন করে থাকে। এছাড়া কোচিং বানিজ্য, সকল বই খাতা-কলমসহ শিক্ষা সরঞ্জাম স্কুল থেকে অনেক বেশি দামে কিনতে বাধ্য করা হয়। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করলে নানাভাবে হয়রানীর শিকার হতে হয় শিক্ষার্থী ও অভিবাবকদের।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন স্কুলের অধ্যক্ষ শাহানা বেগম। স্কুলে শিক্ষার্থীদের হিজাব পড়া নিষিদ্ধ করা হয়নি বলেও জানান তিনি

সর্বশেষ আপডেটঃ ০২. সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৫৮:এএম ১ সপ্তাহ আগে
বন্যার্তদের সহায়তায় টাঙ্গাইলে চ্যারিটি কনসার্ট - Ekotar Kantho

বন্যার্তদের সহায়তায় টাঙ্গাইলে চ্যারিটি কনসার্ট

একতার কণ্ঠঃ বন্যার্তদের সহায়তার জন্য অর্থ সংগ্রহে টাঙ্গাইলের চ্যারিটি কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কনসার্টটি শুরু হয় চলে রাত ৯ টা পর্যন্ত।

কনসার্ট ফর ফ্লাড ভিকটিমথ শিরোনামে কনসার্টটির আয়োজন করেছে ‘সরকারি সা’দত কলেজ’। এতে বিনা পারিশ্রমিকে গান পরিবেশন করেছেন স্বনামধন্য কয়েকটি ব্যান্ডদল।

কনসার্ট আয়োজনের বিষয়ে সরকারি সা’দত কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাব্বির হোসেন, জুয়েল হিমুসহ অনেকেই জানান, বর্তমানে আমাদের দেশ একটি ভয়াবহ সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই দুর্যোগ পরিস্থিতর জন্য আন্তর্জাতিক মহলে যে ষড়যন্ত্র চলছে তার প্রতি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা এই সংকট মুহুর্তে যদি কিছু করতে পারি সেটাও গানের মাধ্যমে। যত দ্রুত সম্ভব বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য। বন্যার্তদের সহযোগিতার জন্যই আমরা সরকারি সা’দত কলেজ একটি কনসার্টের আয়োজন করেছি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সরকারি সা’দত কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সুব্রত নন্দীসহ টাঙ্গাইলের সর্বস্তরের সাংস্কৃতিক কর্মীবৃন্দ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৩০. অগাস্ট ২০২৪ ০৩:৫১:এএম ২ সপ্তাহ আগে
শিক্ষার্থীদের ওপর আনসারদের হামলা: টাঙ্গাইলে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ - Ekotar Kantho

শিক্ষার্থীদের ওপর আনসারদের হামলা: টাঙ্গাইলে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

একতার কণ্ঠঃ ঢাকায় আনসারদের আন্দোলনের কর্মসূচিতে সচিবালয় ঘেরাও ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন টাঙ্গাইল জেলা শাখার সদস্যরা।

সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।মানববন্ধনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

এসময় তারা বলেন, একটি কুচক্রী মহল দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। রবিবার (২৫ আগস্ট) রাতে আনসার সদস্য কর্তৃক ঢাকায় সচিবালয় ও ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় আগামীতে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে আনসার ক্যাম্পের সামনে যায়। পরে সেখান থেকে মিছিলটি লৌহজং নদী দখল পরিদর্শন করে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৭. অগাস্ট ২০২৪ ০২:৫০:এএম ২ সপ্তাহ আগে
কালিহাতী উপজেলা পরিষদে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ - Ekotar Kantho

কালিহাতী উপজেলা পরিষদে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহাদাত হুসেইনের বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে উপজেলা পরিষদে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (২৫ আগস্ট) সকালে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদের দৈনন্দিন কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে।

জানা গেছে, কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইনের বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা রবিবার সকালে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এতে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদের কোন কর্মকর্তা কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পারেননি। এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় বিভিন্ন স্কুল-কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে সমবেত হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে।

এ সময় কালিহাতীর ইউএনও শাহাদাত হুসেইনের বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থী রাসেল, আল আমিন, সাব্বির, রাশেদুল, রিফাত, আশরাফুল, কবির, হৃদয়, শাওন, হাবিব, সাজিদ প্রমুখ হ্যান্ড মাইকে নানাবিধ স্লোগান দেন ও বক্তব্য রাখেন।

তারা দাবি করেন, কালিহাতীর ইউএনও একজন কর্মমুখি-শিক্ষাবান্ধব ও ন্যায়-নীতিবান ভালো মানুষ। তার বদলির আদেশ তারা মানেন না। তার বদলির আদেশ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

কালিহাতী উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শহিদুজ্জামান মাহমুদ, কৃষি অফিসার ফারহানা মামুন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিল্পী দে, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. সেহাব উদ্দিন, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. লিয়াকত হোসেন, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা জানান, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। শিক্ষার্থীরা উপজেলা প্রশাসনের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় তারা স্ব স্ব কার্যালয়ে ঢুকতে পারছেন না। এতে দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিফাত বিন সাদেক জানান, ভাগ্যক্রমে তাঁর কার্যালয়টি উপজেলা কমপ্লেক্সের বাইরে থাকায় তিনি তালাবদ্ধের আওতায় পড়েননি। তবে উপজেলা প্রশাসনের মূল ফটকে তালা দেওয়ায় প্রতিদিনের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছেন।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম জানান, ইউএনও’র বদলির বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের। তিনি সার্বক্ষণিক কালিহাতীর উদ্ভুত পরিস্থিতির খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং তা যথাযথভাবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করছেন।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যায় কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইনের বদলির আদেশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে শিক্ষার্থীরা মশাল মিছিল নিয়ে বিক্ষোভ করতে করতে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরদিন শুক্রবার (২৩ আগস্ট) একই দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এদিন শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউএনও’র বদলির আদেশ প্রত্যাহার না করা হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুশিয়ারী দেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের সিনিয়র সচিব সাগুফতা হক স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বদলি করে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নির্বাহী অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৬. অগাস্ট ২০২৪ ০২:৪৬:এএম ২ সপ্তাহ আগে
কলেজ ছাত্র ইমন হত্যাকাণ্ড: টাঙ্গাইলের সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৫৭ জনের নামে মামলা - Ekotar Kantho

কলেজ ছাত্র ইমন হত্যাকাণ্ড: টাঙ্গাইলের সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৫৭ জনের নামে মামলা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে কলেজছাত্র ইমনের (১৮) মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলায় সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ ১৫৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগষ্ট) দুপুরে নিহত ইমনের ভাই মো. সুমন বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

নিহত ইমন জেলার গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের নলিন উত্তরপাড়ার মৃত জুলহাস মিয়ার ছেলে।

মামলার আসামিদের মধ্যে সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, সাবেক সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ, তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির, হাসান ইমাম খান, ছানোয়ার হোসেন, জোয়াহেরুল ইসলাম, আমানুর রহমান খান ওরফে রানা, অনুপম শাজাহান জয় আছেন।

অন্যান্য আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন, টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র এস.এম সিরাজুল হক আলমগীর, টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খন্দকার আশরাফুজ্জামান স্মৃতি, সাংগঠনিক সম্পাদক জামিলুর রহমান মিরন, সাইফুজ্জামান সোহেল, মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক তাহরীম হোসেন, সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভর ব্যক্তিগত সহকারী মীর আসিফ অনিক, জেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক মঈন হোসেন রাজীব, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সেতাব মাহমুদ প্রমুখ।

মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালাহ উদ্দিন জানান, ইমনের ভাই সুমন বাদী হয়ে ১৫৭ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া কলেজ ছাত্র ইমন ৪ আগস্ট বিকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের সোহাগপাড়া এলাকায় গোড়াই হাইওয়ে থানা পুলিশের গুলিতে আহত হন । ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ১৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রবিবার ১৮ আগষ্ট তার মৃত্যু হয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৪. অগাস্ট ২০২৪ ০২:২২:এএম ৩ সপ্তাহ আগে
টাঙ্গাইলে ভারতীয় আগ্রাসানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ভারতীয় আগ্রাসানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

একতার কণ্ঠঃ ভারতীয় আগ্রাসানের প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিলে আন্দোলনকারীরা মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করা হয়। মিছিলটি শহরের গুরত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। এতে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক এবি যুবায়ের ও মোসাদ্দেক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী কামরুল ইসলাম, আল আমিন, মনিরুল ইসলাম, আল আমিন সিয়াম প্রমুখ।

আন্দোলনকারীরা জানান, সম্প্রতি কোন রকম নোটিশ ছাড়াই ভারত সরকার কর্তৃক গম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়। ইতিমধ্যেই নোয়াখালী, ফেনী, সিলেট, চট্টগ্রামসহ ১২ জেলার বিভিন্ন অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। ভারতের এমন আগ্রাসন মেনে নেয়ার মতো নয়। ভারত যদি তাদের নীতি থেকে সরে না আসে ভারতীয় পণ্য বয়কটসহ তাদের সেভেন সিস্টার্সকে শান্তিতে থাকতে না দেওয়ার হুশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৪. অগাস্ট ২০২৪ ০২:৩৪:এএম ৩ সপ্তাহ আগে
টাঙ্গাইল দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

একতার কণ্ঠঃ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন টাঙ্গাইল দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে শহরের মেইন রোডে অবস্থিত দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার সামনে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. সোহরাব হোসেন এবং পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি কুদরত-ই-এলাহীর অপসারণের দাবি করা হয়।

মানববন্ধনে নিয়ম বর্হিভুত ভাবে দীর্ঘদিন অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ও পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্বপালনসহ নজিরবিহীন দূর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন বক্তারা। দ্রুত তাদের অপসারণসহ শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশের দাবি করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা।

এ সময় বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার আরবী বিভাগের সহকারি অধ্যাপক এনামুল্লাহ্ খান, ইংরেজি প্রভাষক তানসিনা আক্তার লিপি প্রমুখ।

মানববন্ধনে মাদ্রাসার ইংরেজি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক আনোয়ারুল হাবিব, আরবী বিভাগের সহকারি অধ্যাপক শওকত আলী, পদার্থ বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানসহ প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২০. অগাস্ট ২০২৪ ০২:৪৯:এএম ৩ সপ্তাহ আগে
টাঙ্গাইলে স্কুলছাত্র মারুফ হত্যা: সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ  আ’লীগের ৫৬ নেতার বিরুদ্ধে মামলা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে স্কুলছাত্র মারুফ হত্যা: সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ আ’লীগের ৫৬ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল হক টিটুসহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।

সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লোকমান হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনে টাঙ্গাইল শহরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. মারুফের মা মোরশেদা বেগম বাদী হয়ে রবিবার (১৮ আগস্ট) রাতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগের পর টাঙ্গাইল শহরে বিজয় মিছিল বের করা হয়। ওই মিছিলে শাহীন স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মারুফ মিয়া অংশগ্রহণ করে। মিছিলটি শহরের মদের ঘর মোড় এলাকায় গেলে আসামিরা বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে হামলা করে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এসময় শহরের শহীন স্কুলের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মারুফ প্রাণ বাঁচাতে শহরের সিটি ব্যাংকের দ্বিতীয়তলায় গিয়ে আশ্রয় নিলে সেখানে গিয়ে আসামিরা গুলি করলে সে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে মিছিলের শিক্ষার্থীরা উদ্ধার করে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মারুফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল ইসলাম আলমগীর, টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের সংসদ সদস্য ছোট মনির, তার ভাই শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা বাস কোচ মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড় মনির, সাবেক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, সাবেক এমপি হাসান ইমান খান সোহেল হাজারী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুজ্জামান সোহেল, টাঙ্গাইল সদর আসনের সাবেক এমপি ছানোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক এমপি জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আশরাফুজ্জামান স্মৃতি, মির্জাপুর আসনের সাবেক এমপি খান আহম্মেদ শুভ, টাঙ্গাইল পৌরসভার কাউন্সিলর আতিকুর রহমান মোর্শেদ, সাবেক পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, টাঙ্গাইলের বিবেকানন্দ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি আনন্দ মোহন দে, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট মামুনুর রশীদ মামুন, জেলা যুবলীগের সভাপতি মাসুদ পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক আবু সাইম বিপ্লব, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, সাধারন সম্পাদক ইলিয়াস হোসেনসহ ৫৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লোকমান হোসেন জানান, স্কুল শিক্ষার্থী মারুফের মা বাদী হয়ে সাবেক এমপি মন্ত্রীসহ ৫৬ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২০. অগাস্ট ২০২৪ ০২:২৯:এএম ৩ সপ্তাহ আগে
কালিহাতীতে বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ অধ্যক্ষের পদত্যাগ - Ekotar Kantho

কালিহাতীতে বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ অধ্যক্ষের পদত্যাগ

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ মো. বখতিয়ার হোসেন পারিবারিক ও ব্যক্তিগত সমস্যার কারণ দেখিয়ে অধ্যক্ষের (অতিরিক্ত দায়িত্ব) পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

রবিবার (১৮ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় শিক্ষার্থীরা তাঁর কার্যালয়ে গেলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে একটি কপি শিক্ষার্থীদের প্রদান করেন তিনি।

পদত্যাগী বিটেক অধ্যক্ষ মো. বখতিয়ার হোসেন জানান, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সমস্যায় পদত্যাগ করেছি। সোমবার (১৯ আগস্ট) স্বশরীরে বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহদোয়ের নিকট পদত্যাগপত্রটি দাখিল করবো।

জানা যায়, তাঁর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের নানা অভিযোগ ছিলো। অভিযোগগুলো হলো, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-ছাত্রীদের সহায়তা না করা, আন্দোলনে বিভিন্নভাবে বাধা প্রদান করা।

ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তাা না করে জোরপূর্বক হল ত্যাগে বাধ্য করা। দায়িত্ব গ্রহনের পর বাজেট থাকার পরও আবাসিক হল, ৬ দফা চত্বর, একাডেমিক ভবন, সাবস্টেশন, সোলার, জেনারেটর ইত্যাদির কোন ধরনের উন্নয়ন কাজ না করা।

প্রতি বছর ২টি মিল পরিদর্শন আবশ্যক থাকার পরও এখন পর্যন্ত কোনও ব্যাচের মিল পরিদর্শন করাতে পারেননি ও এ খাতের সকল টাকা কুক্ষিগত করে রাখা। দায়িত্ব গ্রহণের পূর্ববর্তী বছরে বুটেক্সের সকল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজসমূহের মধ্যে ফলাফলে ১ম হলেও পরবর্তী সময়ে সেশনজট, ফলাফল বিপর্যয় এবং নিয়মিত ইয়ারলস স্বাভাবিক হয়ে দাড়ালেও তা নিরসনে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহনের ব্যর্থতা।

ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক খাতে শিক্ষার্থী ও সরকার থেকে প্রাপ্ত টাকার যথাযথ ব্যবহার না করা এবং হিসাব জানতে চাইলে পরোক্ষভাবে ইয়ারলসের হুমকি দেওয়া। প্রিন্সিপালের অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে কথা বললেই গোপন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে একাডেমিক ও মানসিকভাবে হয়রানি এবং ব্যক্তিগত প্রতিহিংসায়ও ইয়ারলসের পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষকদের কম নম্বর প্রদানে বাধ্য করা। ক্যাম্পাস ও ছাত্রীহলের নিরাপত্তা প্রদানে ব্যর্থতা।

ইতঃপূর্বে ছাত্রী হলে চুরির ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানে ব্যর্থতা। ল্যাবগুলোর অচলতা নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থতা। কোনও প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের সাক্ষাতের অনুমতি প্রদান না করা।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৯. অগাস্ট ২০২৪ ০৩:৫৬:এএম ৩ সপ্তাহ আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।