/ হোম / অর্থনীতি
টাঙ্গাইলে ৫ বছরেও শেষ হয়নি ব্রিজের নির্মাণ কাজ, ঠিকাদার লাপাত্তা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ৫ বছরেও শেষ হয়নি ব্রিজের নির্মাণ কাজ, ঠিকাদার লাপাত্তা

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের বাসাইলে ঝিনাই নদীর ওপর একটি ব্রিজের নির্মাণকাজ পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি। প্রায় ছয় মাস আগে কাজটি ফেলে রেখে লাপাত্তা হয়েছেন ঠিকাদার। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন বাসাইল ও মির্জাপুর উপজেলার অন্তত ২০টি গ্রামের মানুষ। নদীটির দুইপাড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নৌকায় করে প্রতিনিয়ত পারাপার হতে হচ্ছে।

জানা গেছে, বাসাইল ও মির্জাপুর উপজেলার সংযোগস্থল কাঞ্চনপুর কাজিরাপাড়া এলাকায় ঝিনাই নদীর ওপর ব্রিজটি প্রায় ১০ বছর আগে পানির স্রোতে ভেঙে যায়। এরপর ২০২০ সালে ২৭ কোটি ২৩ লাখ ৩৫ হাজার ৮৮ টাকা ব্যয়ে সেখানে নতুন করে ২৫৬ মিটার গার্ডার ব্রিজের অনুমোদন হয়। কাজটি পায় হায়দার কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড এন্ড মো. লিয়াকত আলী জেবি নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি ওই বছরের ১৮ মার্চ নতুন ব্র্রিজের কাজ শুরু করে। ব্রিজটির নির্মাণকাজ ২০২২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও দীর্ঘ পাঁচ বছরেও শেষ করতে পারেনি। ঠিকাদানী প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৬ মাস আগে নির্মাণকাজটি বন্ধ রেখে রাতের আধাঁরে পালিয়ে যায়। এই দীর্ঘ ছয় মাসেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কেউই ব্রিজটি দেখতেও আসেনি।

স্থানীয় বাসিন্দা শাহজাহান বলেন, ‘একজন মানুষ মারা গেলে প্রায় তিন কিলোমিটার সড়ক ঘুরে লাশ দাফন করতে হয়। ব্রিজটির কারণে নদীর দুইপাড়ের মানুষের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দুর্ভোগ লাগবে এই নদীতে ব্রিজ নির্মাণের কাজ চলমান ছিল। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন কাজ ফেলে রেখে চলে গেছে।’

স্থানীয় বাসিন্দা আশরাফুল আলম খান বলেন, ‘এই ব্রিজটি বাসাইল ও মির্জাপুর উপজেলার জন্য খুবই জরুরি। এই ব্রিজ দিয়ে লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতস্থল। এখানে একটি ঈদগা মাঠ রয়েছে, সেখানে ছয়টি গ্রামের মানুষ একত্রে ঈদের নামাজ আদায় করেন। এছাড়াও তিনটি গ্রামের বাসিন্দাদের জন্য একটি কবরস্থান রয়েছে। মানুষ মারা গেলে নৌকায় করে লাশ নিয়ে দাফন করতে হয়। নদীর দুইপাড়ে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ব্রিজ না থাকায় শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ নৌকাযোগে পারাপার হচ্ছে। প্রায় ছয় বছর ধরে ব্রিজের নির্মাণকাজ চলমান ছিল। এই দীর্ঘ সময়েও কাজটি শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার। এমতাবস্থায় প্রায় ছয় মাস হলো ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ব্রিজের নির্মাণকাজ বন্ধ করে পালিয়ে গেছে।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য আশরাফুজ্জামান বক্তার বলেন, ‘কাঞ্চনপুর কাজিরাপাড়ায় ঝিনাই নদীর ওপর ২৬৬ মিটার ব্রিজের কাজটি ২০১৯ সালে টেন্ডার হয়। ঠিকাদানী প্রতিষ্ঠান শুরুতেই বিলম্ব করে কাজ শুরু করে। প্রথমে কাজের কিছুটা অগ্রগতি ছিল। এক বছর পর থেকে কাজের গতি কমে যায়। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন- ঠিদাকারী প্রতিষ্ঠান যদি যথা সময়ে কাজ না করে তাহলে টেন্ডার বাতিল করা হবে। ব্রিজটির কারণে অসংখ্য মানুষ দুর্ভোগে রয়েছে। ব্রিজটি দ্রুতসময়ের মধ্যে নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’

বাসাইল উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফাত্তাউর রহমান বলেন, ‘বাসাইল উপজেলার কাজিরাপাড়ায় ঝিনাই নদীর ওপর ২৫৬ মিটার ব্রিজের কাজ চলমান রয়েছে। এই কাজটির বর্তমানে অগ্রগতি ৬০ শতাংশ। বেশ কিছুদিন ধরে কাজটি বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন সময় ঠিকাদারকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা কাজ শুরু করে আবার বন্ধ করে দেয়। কাজটি বাতিলের জন্য আমাদের জেলা কার্যালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। যেহেতু কাজটি অনেক ধরে বন্ধ রেখেছে ঠিকাদার। সুতরাং কাজটি বাতিল করার জন্য আবার সুপারিশ করা হবে। কাজটি বন্ধ রাখায় ঠিকাদারকে জরিমানার আওতায় আনার জন্য প্রস্তাব করা হবে। রি-টেন্ডার করে খুব দ্রুত কাজটি শেষ করা হবে।’

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাইড ইঞ্জিনিয়ার মো. আখতার হোসেন বলেন, ‘আমাদের ব্যাংকিং-এ সমস্যা হচ্ছে। এজন্য কাজটি বন্ধ রয়েছে। আমাদের সাথে ন্যাশনাল ব্যাংকের চুক্তি রয়েছে। সেখানে আমার একটি বিল পড়ে আছে। ব্যাংকিং-এ সমস্যা সমাধান না হলে তো ব্রিজের কাজটি আমাদের করতে দিবে না।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও )মোছা. আকলিমা বেগম বলেন, বিষয়টি নিয়ে প্রকৌশলীর সাথে কথা হয়েছে। মূলত ঠিকাদারের কারণে কাজটি বন্ধ রয়েছে। তার প্রেক্ষিতে ঠিকাদারকে সর্বশেষ পত্র দিয়েছে কাজটি করার জন্য। ঠিকাদার কাজটি না করলে পুনরায় টেন্ডার করে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ কাজটি দ্রুত শেষ করবেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৫. মে ২০২৫ ০২:০৯:এএম ৩ সপ্তাহ আগে
দেশের দীর্ঘতম যমুনা রেলসেতুর উদ্বোধন - Ekotar Kantho

দেশের দীর্ঘতম যমুনা রেলসেতুর উদ্বোধন

সাহান হাসানঃ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে সেতু ‘যমুনা রেলসেতু’। এটি উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে যমুনার বুকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে চলবে ট্রেন।

রাজধানী ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হলো এটি উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে। একই সঙ্গে দু’অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য বদলের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হলো।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুর সোয়া ১২টায় সেতুতে ওঠে ট্রেন। সাড়ে তিন মিনিটে সেতু পার হয়ে সিরাজগঞ্জ অংশে পৌঁছায় ট্রেনটি।

এর আগে পৌনে ১২টার দিকে সেতুর পূর্ব পাশে ইব্রাহিমাবাদ স্টেশন এলাকায় ফলক উন্মোচন, ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব এম ফাহিমুল ইসলাম সেতুটির উদ্বোধন করেন।

এর ফলে যোগাযোগ, বাণিজ্য ও অর্থনীতির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। বিশেষ করে উত্তর-দক্ষিণ ও পশ্চিম অঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগ আরও সহজ হলো। এতে বাংলাদেশর সম্ভাবনাময় অগ্রযাত্রা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলো।

তবে ডাবল লেনের হলেও বর্তমানে সিঙ্গেল লেন চালু হওয়ায় সেতুটির পুরোপুরি সুফল সহসাই মিলছে না যাত্রীদের।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক এম আফজাল হোসেনের সভাপতিত্ব উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি এবং জাপানের বৈদেশিক উন্নয়ন সংস্থা জাইকার দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক মহা-পরিচালক ইতো তেরুয়ুকি।

এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসুদুর রহমান।

সেতুটি ৫০টি পিলার এবং ৪৯টি স্প্যানের ওপর নির্মিত। নতুন রেলওয়ে সেতুটি যমুনা বহুমুখী সেতুর ৩০০ মিটার উজানে অবস্থিত। দেশের দীর্ঘতম ও আধুনিক এই সেতুর ওপর দিয়ে দিনে ৮৮টি ট্রেন দ্রততগতিতে চলাচল করতে পারবে। ১৯৯৮ সালে যমুনা বহুমুখী সেতু উদ্বোধনের পর থেকে প্রায় ৩৮টি ট্রেন প্রতিদিন তুলনামূলকভাবে ধীর গতিতে যাতায়াত করে।

উদ্বোধন শেষে ট্রেনের অতিথি ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা পূর্ব ইব্রাহিমাবাদ স্টেশন থেকে সেতু পার হয়ে সিরাজগঞ্জের পশ্চিম প্রান্তে সায়দাবাদ রেলওয়ে স্টেশনে যান। সেখানে সংবাদ সম্মেলন শেষে পুনরায় সেতুর পূর্ব প্রান্তে ফিরে আসবেন৷ এর আগে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী থেকে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রথমবারের মতো যাত্রী নিয়ে যমুনা রেল সেতু পার হয়ে ঢাকায় পৌঁছায়। পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানোর সময় একটি ট্রেন ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে সেতুটি অতিক্রম করেছিল। এতে সেতুটি পাড়ি দিতে সময় লেগেছিল প্রায় সাড়ে ৩ মিনিট৷

সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮০ দশমিক ৯৬ কোটি টাকা। যার ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ ঋণ হিসেবে দিয়েছে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) এবং বাকি অর্থ সরকার দিয়েছে। জাপানের ওটিজি এবং আইএইচআই যৌথভাবে সেতুটি নির্মাণ করেছে।

২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এই সেতুর নির্মাণকাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে। ২০২১ সালের মার্চে পিলার নির্মাণের জন্য পাইলিং কাজ শুরু হয়। ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই রেলসেতু দেশের দীর্ঘতম প্রথম ডাবল ট্রাকের ডুয়েল গেজের সেতু।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৮. মার্চ ২০২৫ ০৮:১৪:পিএম ২ মাস আগে
রূপালী ব্যাংকের ময়মনসিংহ বিভাগীয় ব্যবসায়িক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত - Ekotar Kantho

রূপালী ব্যাংকের ময়মনসিংহ বিভাগীয় ব্যবসায়িক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আরমান কবীরঃ রূপালী ব্যাংক পিএলসি’র ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের আওতাধীন শাখা ব্যবস্থাপকদের অংশগ্রহণে ব্যবসায়িক পর্যালোচনা সভা ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার দাপনাজোর ওয়াটার গার্ডেনের সম্মেলন কক্ষে এই সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

এই ব্যবসায়িক পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রুপালী ব্যাংক পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম।

এসময় ব্যবস্থাপনা পরিচালক “সময় নির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা” অনুযায়ী খেলাপী ঋণ আদায় এবং অন্যান্য ব্যবসায়িক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা বিষয়ে শাখা ব্যবস্থাপকদের নির্দেশনা প্রদান করেন।

এতে সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. ইকবাল হোসেন খাঁ । সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান তানভীর।

এ সময় বিভাগের আওতাধীন ৪ জন জোনাল ম্যানেজার ও ৪৯টি শাখার ব্যবস্থাপক এবং ৭ টি উপশাখার ইনচার্জ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০১. মার্চ ২০২৫ ০২:০২:এএম ৩ মাস আগে
গত ৫ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ বিলিয়ন ডলার: আহসান এইচ মনসুর - Ekotar Kantho

গত ৫ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ বিলিয়ন ডলার: আহসান এইচ মনসুর

একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, বাংলাদেশে এখন রিজার্ভ ২০ বিলিয়নের উপরে রয়েছে। গত পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ বিলিয়ন। প্রথম দিকে বলেছিলাম ১০টি ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার পথে। কিন্তু সেগুলো এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রেক্ষাপট এখন পরিবর্তন হচ্ছে।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা অডিটরিয়ামে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র ৪০০ তম শাখা হিসেবে ঘাটাইল শাখার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংকিং খাতের ধস নিয়ে অনেকেই চিন্তিত ছিলেন। সেখান থেকে এখন ব্যাংকগুলো যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সেটাই বড় বিষয়। এখন আর এগুলো পড়ে যাবে না। একটিকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে আগাতে পারবে না। রাষ্ট্রের অর্থনীতি পূর্ণ গঠন করতে হলে এই ব্যাংকিং খাতকে পূর্ণ গঠন করতে হবে। সব মিলিয়ে ইসলামী ব্যাংক এখন শীর্ষেই অবস্থান করছে এবং আন্তর্জাতিক মানে প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে। ইসলামী ব্যাংকিং খাতকে আরও সুসংগঠিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের অর্থনীতিতে কতগুলো সংকট ছিল। বৈশ্বিক বাণিজ্য আমাদের বিশাল ঘাটতি ছিল। রিজার্ভের পতন হচ্ছিল। এই জায়গা থেকে আমরা অনেকটুকু বের হয়ে এসেছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ আর কমছে না। গত আগস্ট মাসের পরে বাংলাদেশ ব্যাংক কোন ডলার বিক্রি করেনি। কাজেই আমাদের রিজার্ভ কমবে না, বাড়বেই। রেমিট্যান্সের বিরাট প্রবাহ পরিবর্তন হয়েছে। গত পাঁচ মাসে আমাদের ৩ বিলিয়ন অতিরিক্ত রেমিট্যান্স এসেছে। সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় অর্থের পাচার কমে গেছে।

ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ড. এম মাসুদ রহমান, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, ইনডিপেন্ডেন্ট ডাইরেক্টর মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্ট মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৯. ডিসেম্বর ২০২৪ ০২:১৬:এএম ৫ মাস আগে
টাঙ্গাইল জেলা বাস-মিনি বাস মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল জেলা বাস-মিনি বাস মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে শহরের জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এই সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে এই সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব ও টাঙ্গাইল পৌরসভার প্রশাসক শিহাব রায়হান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাফিজা আক্তার, জেলা বিএনপি’র সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, জেলা যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বিএনপি নেতা শ্যামল হোড়, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব সভাপতি এডভোকেট জাফর আহমেদ, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আতোয়ার রহমান আজাদ প্রমূখ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, টাঙ্গাইল জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সম্পাদক(মিনিবাস) শফিউল আলম তুষার।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও বর্তমান সভাপতি মোঃ ইকবাল হোসেন।
এরপরে সাধারণ সদস্যগনের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সফিকুর রহমান খান, নিলুফার ইয়াসমিন, সৈয়দ জাদেদুল হক, ফারুক হোসেন ধলা, মির্জা আকিবুজ্জামান, নজরুল ইসলাম মিটন, তারিকুল ইসলাম ঝলক প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, বিগত কমিটির মহাসচিব আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া বড় মনি টাঙ্গাইল জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির অফিসকে তার রাজনৈতিক কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করেছেন। বিগত ১৫ বছরে তিনি মালিক সমিতির প্রায় ৬০ কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। বিগত দিনে যারা বড় মনিকে লুটপাটে সহায়তা করেছে তাদের মালিক সমিতির আগামী নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে। অবিলম্বে সাধারণ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে। কোন সিলেকশন কমিটি নয়, সাধারণ সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটি গঠন করতে হবে।

পরে সর্বসম্মতিক্রমে সমিতির আগামী নির্বাচন পরিচালনার জন্য ৪ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়।

নির্বাচন পরিচালনা কমিশনের আহ্বায়ক হচ্ছেন, টাঙ্গাইল জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট মোঃ শফিকুল ইসলাম রিপন, টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আতোয়ার রহমান আজাদ,বর্তমান সভাপতি এডভোকেট জাফর আহমেদ ও বাবু শ্যামল হোড়।

পরে আমন্ত্রিত অতিথিসহ সমিতির সাধারণ সদস্যগন মধ্যাহ্ন ভোজে অংশগ্রহণ করে।

উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব ছিলেন টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনি। গত ৫ আগষ্টের পর থেকে তিনি পলাতক থাকায় বর্তমান সভাপতি মোঃ ইকবাল হোসেন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৫. ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:৪২:এএম ৫ মাস আগে
টাঙ্গাইলে নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ক‌্যাবের মানববন্ধন - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ক‌্যাবের মানববন্ধন

একতার কণ্ঠঃ দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের কারসাজি ও অতিরিক্ত মুনাফা লাভের কারণে আলু ও পিঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি এবং আইনে নিষিদ্ধ খোলা বাজারে ভোজ্য তৈল বিক্রির প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২ ডিসেম্বর )সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) টাঙ্গাইল জেলা শাখার উদ্যোগে এই ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচীর পালন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অসাধু ও মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ও মজুদদারদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর শাস্তির আওতায় আনা উচিত। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। বাজারে গিয়ে প্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনার আগেই তাদের পকেটের টাকা খালি হচ্ছে। এতে মানুষ সংসার পরিচালনা করতে হিমশিম খাচ্ছে।

বক্তরা আরও বলেন, বর্তমানে সাধারণ ভোক্তাদের জীবন অতিষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি। যাহা জনজীবনে অত্যন্ত চাপ সৃষ্টি করেছে। এখান থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য অসাধু ও মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য বিশেষ টাস্কফোসের কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

মানববন্ধনে বক্তব‌্য রাখেন, কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাবের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি মনজু রানি প্রমানিক, সাধারণ সম্পাদক আবু জুবায়ের উজ্জল, কমিউনিস্ট পার্টির টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সভাপতি নাছিমুল ইসলাম, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি মামুনুর রহমান প্রমুখ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৩. ডিসেম্বর ২০২৪ ০২:০১:এএম ৬ মাস আগে
নভেম্বরেই চালু হচ্ছে বহুল আলোচিত বেড়াডোমা ব্রীজ - Ekotar Kantho

নভেম্বরেই চালু হচ্ছে বহুল আলোচিত বেড়াডোমা ব্রীজ

একতার কণ্ঠঃ নভেম্বরেই চালু হচ্ছে বহুল আলোচিত বেড়াডোমা ব্রীজ বলে দাবি করেছেন নির্মাণকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। নির্মাণে চার বছর কেটে গেলেও ব্রীজ উদ্বোধনের সংবাদে সীমাহীন উৎসাহে রয়েছেন এর সুবিধাভোগীরা। নির্মাণের মাঝে দেবে যাওয়ার মত দূর্ঘটনার পরও কাঙ্খিত ব্রীজ নির্মাণের সমাপ্তিতে স্বপ্নের দিন গুণছেন পশ্চিমাঞ্চলের সাধারণ মানুষ।

ব্রীজটি নির্মাণের ফলে এ অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা যেমন সহজ হবে, তেমননি খুলবে ব্যবসায়িক দ্বার। এর সুফল ভোগ করবে জেলার পশ্চিমাঞ্চলের চার ইউনিয়নের পাঁচ লক্ষাধিক মানুষসহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের জনসাধারণ।

জানা যায়, টাঙ্গাইল পৌরসভা অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (টিপিআইআইপি) আওতায় এলজিইডির অর্থায়নে টাঙ্গাইল শহরের বেড়াডোমা এলাকায় লৌহজং নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ৪১.৭০ মিটার দীর্ঘ এই আর্চ সেতুটি নির্মাণ কাজের জন্য ব্রিকস্ অ্যান্ড ব্রিজেস লিমিটেড এন্ড দি নির্মিতি (জেভি) নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলীর চুক্তিপত্র হয়।

৩ কোটি ৬০ লাখ ১৮ হাজার ৮৪১ টাকা ব্যয়ে এই সেতুর কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর। বর্ধিত সময় অনুযায়ী কাজ সমাপ্তির তারিখ ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর। নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার পর চারটি বিলের মাধ্যমে ঠিকাদারকে দুই কোটি ৮০ লাখ ৫৩ হাজার ৪৭৬ টাকা প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে চলতি বছরের ১৬ জুন রাত সাড়ে ১০টায় দেবে যায় নির্মাণাধীন সেতুটি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সেন্টারিং খোলাসহ ঘষা মাজা আর সাজসজ্জার অপেক্ষায় রয়েছে বেড়াডোমা ব্রীজ।
বাসাখানপুর গ্রামের গৃহিনী রোজী জানান, ব্রীজ না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছি আমরা। শহরে বাচ্চার স্কুলে যাতায়াতসহ মার্কেট ও বাজারে যাতায়াতের খরচ দ্বিগুণ গুনতে হচ্ছে। বেশি সময় ব্যয় হওয়াসহ চলাচলে রয়েছে নানা ধরণের সমস্যা। ব্রীজ নির্মাণের কাজটি শেষ হওয়ায় স্বস্তি পাচ্ছি। দ্রুত উদ্বোধন হলেই আমাদের দূর্ভোগ কাটবে।

সিএনজি চালক মোস্তফা জানান, প্রায় চার বছর যাবৎ চরম কষ্টভোগ করছি আমরা। ব্রীজটি চালু হলে আমাদের সেই কষ্ট দূর হবে।

স্থানীয় হেদায়েত আলী খানসুর শোভা জানান, পশ্চিম টাঙ্গাইলবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্নের ফসল বেড়াডোমা ব্রীজ। ব্রীজে দ্রুত চলাচল শুরু হলে পশ্চিমের কাকুয়া, হুগড়া, বাঘিল ও দাইন্যা ইউনিয়নের প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের দূর্ভোগ কাটবে। শহরতলীতে দ্রুত যাতায়াতের সুবিধার পাশাপাশি ওই অঞ্চলের কৃষিপণ্য শহরের বাজারগুলোতে এনে বিক্রির সুযোগ পাবেন কৃষকরা। এতে ওই সকল কৃষক লাভবান হওয়াসহ শহরবাসীর সবজির চাহিদাপূরণ হবে। সবজিসহ কৃষিপণ্যের দাম কমবে বলেও মনে করেন তিনি।

ঠিকাদার প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম খান জামিল জানান, ব্রীজের কাঠামোগত নির্মাণ শেষ। সর্বোচ্চ এক সপ্তাহের মধ্যে সেন্টারিং খোলাসহ ঘষা মাজা আর সাজসজ্জার কাজও শেষ হবে। আশা করছি, নভেম্বর মাসেই ব্রীজে চলাচল শুরু করা যাবে।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান বলেন, ব্রীজের সাটার খোলা, ওয়ারিংসহ কিছু সাজ-সজ্জার কাজ বাকি রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি, নভেম্বর মাসেই ব্রীজটি চালু করতে। সম্ভব না হলে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে চালু করা হবে।

 

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৮. নভেম্বর ২০২৪ ১২:১৩:এএম ৬ মাস আগে
টাঙ্গাইলে বিশেষ টাস্কফোর্সের বাজার তদারকি - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে বিশেষ টাস্কফোর্সের বাজার তদারকি

একতার কণ্ঠঃ: টাঙ্গাইলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বিশেষ টাস্কফোর্স কমিটির অভিযানে তিনটি দোকানে সাড়ে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায়ীদেরকে সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৮ অক্টোবর)সকালে সদর উপজেলার করটিয়া বাজারের পাইকারী ও খুচরা দোকানে পরিচালিত এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়ার সহকারী কমিশনার মাহমুদুল হাসান।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর মূল্য ব্রদ্ধি রোধ, পণ্যের অবৈধ মজুদ প্রতিরোধ এবং বাজারে পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিতকরনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হতে গঠিত জেলা পর্যায়ে বিশেষ টাস্কফোর্স কমিটির অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে কয়েকটি দোকানের অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রী এবং পণ্য বিক্রির মূল্য তালিকা টানানো না থাকার অপরাধে তিনটি দোকানে সাড়ে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও কয়েকটি দোকানের মালিকদের সর্তক করা হয়।

অভিযানে টাঙ্গাইলের জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ও বিশেষ টাস্ক ফোসের সদস্য সচিব শাহীনুর আলম, কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ টাঙ্গাইল জেলাা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও বিশেষ টাস্ক ফোর্সের সদস্য আবু জুবায়ের উজ্জলসহ ছাত্র প্রতিনিধি, কৃষি বিপনীন ও মৎস অদিদপ্তরের প্রতিনিধিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৯. অক্টোবর ২০২৪ ০৪:৪৫:এএম ৭ মাস আগে
টাঙ্গাইলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে পার্ক বাজারে বিশেষ টাস্কফোর্সের অভিযান - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে পার্ক বাজারে বিশেষ টাস্কফোর্সের অভিযান

একতার কণ্ঠঃ: টাঙ্গাইলে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি রোধ, পণ্যের অবৈধ মজুদ প্রতিরোধ এবং বাজারে পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিতকরণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অধিনে গঠিত জেলা পর্যায়ে বিশেষ টাস্কফোর্স কমিটির অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে পৌর শহরের সবচেয়ে বড় পাইকার বাজার পার্ক বাজারের পাইকারি ও খুচরা দোকানে পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাফিসা আক্তার।

অভিযানে কয়েকটি দোকানের অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি এবং পণ্য বিক্রির মূল্য তালিকা টানানোর অপরাধে আর্থিক জরিমানা করা হয়।

এছাড়াও কয়েকটি দোকানের মালিকদের মৌখিক ভাবে সতর্ক করা হয়।

অভিযানে সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. রাকিবুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার মো. মোহাইমিনুল ইসলাম, টাঙ্গাইলের জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ও বিশেষ টাস্ক ফোর্সের সদস্য সচিব শাহীনুর আলমসহ ছাত্র প্রতিনিধি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৫. অক্টোবর ২০২৪ ০১:৪৯:এএম ৭ মাস আগে
পাঁচআনী-ছয়আনী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন: প্রচারণায় এগিয়ে বটগাছ প্রতীকের মতি - Ekotar Kantho

পাঁচআনী-ছয়আনী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন: প্রচারণায় এগিয়ে বটগাছ প্রতীকের মতি

একতার কণ্ঠঃ আগামী ২ নভেম্বর(শনিবার )ঐতিহ্যবাহী পাঁচআনী-ছয়আনী বাজার সাধারন ব্যবসায়ী মালিক সমিতি নির্বাচনে সাধারন সম্পাদক পদে এগিয়ে রয়েছেন বটগাছ প্রতীকে মোঃ মতিয়ার রহমান মতি। নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে সাধারন ভোটাদের মাঝে তিনি জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন।

এবারের নির্বাচনে পরির্বতন প্রত্যাশী এই বাজারের সাধারন ব্যবসায়ীরা আস্থা রাখতে চান ৪০ বছর ধরে ব্যবসা করা এই বাজারের পুরাতন ব্যবসায়ী মতিয়ার রহমান মতির উপর। ফলে নির্বাচনী প্রচারনায় আগ্রহের কেন্দ্রবৃন্দু হয়ে উঠছেন মতি। প্রচার প্রচারনায় ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন তিনি সাধারন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে।

জানাগেছে, আগামী ২ নভেম্বর টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী পাঁচআনী-ছয়আনী বাজার সাধারন ব্যবসায়ী মালিক সমিতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপলক্ষ্যে গত ১৩ নভেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়।পরে ১৫ নভেম্বর চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়।এই নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৯৬৮জন। নির্দলীয় দুটি প্যানেলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতা করছেন মোট ৫০জন সাধারন ব্যবসায়ী।

এদের মধ্যে মিজান-আকবার-মতি পরিষদের নির্বাচন করছেন মোট ২৫জন। এই প্যানেলে সভাপতি পদে চেয়ার মার্কায় দাড়িয়েছেন আলহাজ মিজানুর রহমান,গরুর গাড়ী মার্কায় সহ-সভাপতি আকবর আলী ও বটগাছ মার্কায় সাধারন সম্পাদক পদে মোঃ মতিয়ার রহমান মতি। তাদের প্রতিদ্বন্দী প্যানেল হচ্ছেন আলম-জাহিদ-আছু পরিষদ।

পাঁচআনী-ছয়আনী বাজারের বেশ কয়েক জন ব্যবসায়ী জানান, প্রতি দুই বছর পরপর নির্বাচন আসে, নির্বাচন চলে যায়। নির্বাচনের আগে প্রতিটি প্রার্থী গাল ভরা প্রতিশ্রুতি দেয় । নির্বাচিত হওয়ার পর তারা সেই প্রতিশ্রুতি বেমালুম ভূলে যায়।তাই এবার তারা বিগত নির্বাচনে বার বার সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত মোঃ মতিয়ার রহমান মতিকে বটগাছ প্রতীকে সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচিত করতে চান।

তারা আরো জানান, সাধারন ব্যবসায়ীদের কল্যানে বিগত বছর গুলোতে তেমন কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি।এছাড়া ছয়আনী বাজারের মূল ভবনটি ১৯৭৮ সালে নির্মানের পর আর কোন ধরনের সংস্কার করা হয়নি।বর্তমান ভবনটি মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে ঝুকিপুর্ন হয়ে পড়েছে।এছাড়া এই বাজারে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরে। বিগত নির্বাচিত কমিটি গুলো এসব সমস্যা নিয়ে কাজ করেনি।
আমরা আশাবাদী, সাধারন সম্পাদক পদে মোঃ মতিয়ার রহমান মতি নির্বাচিত হলে এই সকল সমস্যা সমাধানের উদ্দ্যোগ গ্রহন করবেন।

এ প্রসঙ্গে মিজান-আকবার-মতি পরিষদের সাধারন সম্পাদক পদ প্রার্থী মোঃ মতিয়ার রহমান মতি জানান, তিনি ৪০ বছর যাবত এই বাজারে ব্যবসা করছেন। তিনি ইতিপুর্বে বারবার সহ-সভাপতি নির্বাতিন হলেও বাজার উন্নয়নে কাজ করতে পারেন নাই। তাই এবার সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচনে দাড়িয়েছি।
আমি নির্বাচিত হলে ছয়আনী বাজারের দশতালা ভবন নির্মান করতে কাজ করবো।সেই ভবনের পাঁচ তলায় সমিতির সভা কক্ষ ও কমিউনিটি সেন্টার নির্মানের ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহন করবো।

তিনি আরো জানান, সমিতির সাধারন ব্যবসায়ীদের মাঝে জবাবদিহিতা ও সচ্ছতা বজায় রেখে সমিতির কার্যক্রম করবো।বাজারে ড্রেনেজ ব্যবস্থার সমস্যার সমাধন করবো। সমিতির সদস্যদের কল্যান তহবিল গঠনের উদ্যোগ গ্রহন করবো ।

সাধারন মানুষের উদ্দেশ্য জানান,বাজারে প্রতিটি দোকানে পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন করতে ব্যবস্থা নিবো।

উল্লেখ্য, আগামী ২ নভেম্বর শনিবার টাঙ্গাইল উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে সকাল ৯টা হতে বিরতিহীন ভাবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৩. অক্টোবর ২০২৪ ০৮:২৫:পিএম ৭ মাস আগে
টাঙ্গাইল পার্ক বাজার পরিদর্শনে দ্রব্যমুল্য তদারকির বিশেষ টাস্কফোর্স - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল পার্ক বাজার পরিদর্শনে দ্রব্যমুল্য তদারকির বিশেষ টাস্কফোর্স

একতার কণ্ঠঃ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মুল্য স্থিতিশীল রাখা ও বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেনে টাঙ্গাইলে বাজার পরিদর্শন করছে জেলা প্রশাসনের দ্রব্যমুল্য পর্যালোচনা তদারকির বিশেষ টাস্কফোর্স টিম।

শুক্রবার (১১অক্টোবর) সকালে শহরের সবচেয়ে বড় পাইকারী বাজার পার্ক বাজারে এই তদারকি শুরু করা হয়।

এসময় বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে চাল, ডাল, ডিম, মাছ, মাংস ও মুরগীর বাজার তদারকি করা হয়।এতে মুরগী, ডিম ও মাছের ‘বাজার মুল্যে’ তালিকা টানানো সহ পণ্যের ক্রয়ের রশিদ খতিয়া দেখা হয়।

বাজার তদারকিতে নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও দ্রব্যমুল্য পর্যালোচনা তদারকির বিশেষ টাস্কফোর্সের আহবায়ক মো.জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন,টাঙ্গাইলের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন টাঙ্গাইল এর সহকারী পরিচালক ও বিশেষ টাস্কফোর্সের সদস্য সচিব সিকদার শাহীনুর আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও বিশেষ টিমের সদস্য মো.সোহেল রানা, কৃষি কর্মকর্তা ও সদস্য ফারজানা, ক্যাবের জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক ও সদস্য মো.আবু জুবায়ের উজ্জল, উপজেলা প্রানী সম্পাদ কর্মকর্তা ও সদস্য মো.মেহেদী হাসান, উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা মো.আইয়ুব আলী, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ মো.মুসা প্রমুখ ।

এছাড়াও ছাত্র প্রতিনিধি ও বিশেষ টাস্কফোর্সের সদস্য মনিরুল ইসলাম ও মো.আল আমিন বাজার পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১২. অক্টোবর ২০২৪ ১২:১৩:এএম ৮ মাস আগে
টাঙ্গাইলে বেশি দামে ডিম বিক্রি, ৩ ব্যবসায়ীকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে বেশি দামে ডিম বিক্রি, ৩ ব্যবসায়ীকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা

একতার কণ্ঠঃ অতিরিক্ত দামে ডিম বিক্রি ও মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় তিন ব্যবসায়ীকে দুই লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, টাঙ্গাইল।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কুতুবপুর ও বড়চওনা বাজারে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়।

এ প্রসঙ্গে ভোক্তা অধিদপ্তরের টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শিকদার শাহীনুর জানান, খামারি ও ডিমের পাইকারি আড়তে তদারকি করে বিক্রয় রশিদে মূল্য উল্লেখ না করা, ক্রয় রশিদ সংরক্ষণ না করা, সরকার নির্ধারিত যৌক্তিক দামের অতিরিক্ত দামে ডিম বিক্রি করা ও মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় কুতুব বাজারের মেসার্স রবিউল ট্রেডার্সকে ৮০ হাজার, একই অপরাধে মেসার্স এসএসএস এন্টারপ্রাইজকে ৮০ হাজার ও বড়চওনা বাজারের জাকিয়া এন্টারপ্রাইজকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

তিনি আরও জানান, এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৯. অক্টোবর ২০২৪ ০২:২১:এএম ৮ মাস আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।