একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাতুলী ইউনিয়নের আলোকদিয়া গ্রামে বুধবার (২৫ আগস্ট) ভোরে অভিযান চালিয়ে সাত বছরের এক প্রতিবন্ধী শিশুকে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে শফিকুল ইসলাম(১৯) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তারকৃত শফিকুল ইসলাম আলোকদিয়া গ্রামের আলতাফ প্রামাণিকের ছেলে।
র্যাব-১২, সিপিসি-৩ টাঙ্গাইলের কোম্পানী কমান্ডার লেফটেন্যাণ্ট কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন (জি) বিএন প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার আলোকদিয়া এলাকায় সাত বছরের একজন প্রতিবন্ধী মেয়েকে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে লেবু বাগানে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান চালিয়ে ধর্ষণে অভিযুক্ত শফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত শফিকুলের নামে টাঙ্গাইল সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আসামি সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি কারাগারে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার(২৪ আগস্ট) টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক খন্দকার সাদিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সহিদুর সাবেক সাংসদ আমানুর রহমান খান রানার ভাই ও টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ আতাউর রহমান খানের ছেলে। আট মাস ধরে তিনি কারাগারে।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত বুধবার (১৮ আগস্ট) বুকে ব্যথা অনুভব করায় সহিদুর রহমানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর পরীক্ষা–নিরীক্ষায় হৃদ্যন্ত্রে কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি। তবে থাইরয়েড ও কিডনিতে কিছু সমস্যা পাওয়া যায়। তাঁর চিকিৎসার জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী গতকাল সোমবার করোনা পরীক্ষার জন্য তাঁর নমুনা নেওয়া হয়। পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ হন তিনি।
টাঙ্গাইল আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মনিরুল ইসলাম খান জানান, চিকিৎসার জন্য সহিদুরের আইনজীবীরা বৃহস্পতিবার ও গতকাল সোমবার দুই দফা টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অন্তর্বর্তী জামিন আবেদন করেন। তাঁরা সহিদুরের চিকিৎসার জন্য যেকোনো শর্তে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালতের বিচারক মাসুদ পারভেজ দুই দিনই তাঁর আবেদন নামঞ্জুর করেন।
প্রকাশ, ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে দীর্ঘ ছয় বছর পলাতক থাকার পর গত বছরের ২ ডিসেম্বর সহিদুর টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। তার পর থেকেই তিনি টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে। এ পর্যন্ত ১৩ বার আদালতে জামিন আবেদন করে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন।
একতার কন্ঠঃ অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার টাঙ্গাইল পৌরসভার কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুর রহমান ওরফে মোর্শেদের বিরুদ্ধে এবার স্ত্রীকে হত্যা ও লাশ গুমের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার(২৪ আগস্ট) টাঙ্গাইলের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মোর্শেদের দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবা সৈয়দ শরিফ উদ্দিন (৫৬) বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামসুল আলম মামলাটি গ্রহণ করেন। তিনি সাড়ে চার বছর আগের এ ঘটনার বিষয়ে কোনো মামলা বা তদন্ত হয়েছিল কি না, সে বিষয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি টাঙ্গাইলের আদালত পুলিশের পরিদর্শক তানভীর আহমেদ নিশ্চিত করেছেন। এত দিন কাউন্সিলর মোর্শেদের ভয়ে মামলার সাহস পাননি বলে এজাহারে উল্লেখ করেছেন বাদী।
মামলায় মোর্শেদ ছাড়াও আরও আটজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা তিন–চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁরা হচ্ছেন শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার মুন্সী তারেক পটন (৪৯), পারভেজ খান ওরফে রনি (৩৬), সোহেল ওরফে বাবু (২৭), অন্তর সূত্রধর (২৭), মোর্শেদের প্রথম স্ত্রী সুমা ওরফে মনা (৪৫), মুন্সী তারেক পটনের স্ত্রী লিনা (৪০), রাফসান (২৮), আয়নাল মিয়া (৪৫)।
মামলায় বাদী সৈয়দ শরিফ উদ্দিন অভিযোগ করেন, মোর্শেদের বাসার পাশে তিনি পরিবার নিয়ে বাসা ভাড়া থাকতেন। ২০১২ সালের জুন মাসে তাঁর মেয়ে সৈয়দ আমেনাকে মোর্শেদের লোকজন অপহরণ করেন। পরে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্ট্রার গোলাম মোস্তফার মাধ্যমে মোর্শেদ আমেনাকে বিয়ে করেন। কিছুদিন পর জোর করে নিকাহ রেজিস্ট্রারের বালাম বই থেকে মোর্শেদ তাঁদের কাবিননামা ছিঁড়ে ফেলে দেন। তাঁদের সংসারে ছয় বছরের এক মেয়েও রয়েছে। দুই স্ত্রী থাকায় মোর্শেদের পরিবারে মাঝেমধ্যে ঝগড়া সৃষ্টি হয়। ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি রাতে ওই এলাকার এক বাসায় দাওয়াতের কথা বলে মোর্শেদ আমেনাকে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে অন্য আসামিদের সহযোগিতায় মোর্শেদ তাঁকে হত্যা করে লাশ গুম করেন। এত দিন মোর্শেদের ভয়ে মামলা করতে সাহস পাননি বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোর্শেদকে গত বৃহস্পতিবার গোয়েন্দা পুলিশ ও সদর থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁর বিশ্বাস বেতকা এলাকার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে দুটি বিদেশি পিস্তল, ছয় রাউন্ড গুলি ও দুটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করে পুলিশ। গত শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মোর্শেদকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। সোমবার তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
একতার কণ্ঠঃ অস্ত্র মামলায় রিমান্ড শেষে টাঙ্গাইল পৌরসভার কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুর রহমান ওরফে মোর্শেদকে সোমবার( ২৩ আগস্ট) বিকেলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিন দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শামীম হোসেন তাঁকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করেন। পরে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামসুল আলম তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানভীর আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আতিকুর রহমান মোর্শেদকে গত বৃহস্পতিবার গোয়েন্দা পুলিশ ও সদর থানা-পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে পৌরসভার সামনে থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁর বিশ্বাস বেতকা এলাকার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে দুটি বিদেশি পিস্তল, ছয়টি গুলি ও দুটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করে পুলিশ। শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মোর্শেদকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
আতিকুর রহমান মোর্শেদের বিরুদ্ধে দুই যুবলীগ নেতাকে হত্যা, ছাত্রদল নেতা রেজা হত্যা, ব্যবসায়ী তুহিন হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের এক ডজন মামলা হয়েছে
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন জানান, রিমান্ড জিজ্ঞাসাবাদে মোর্শেদ তাঁর ওই অস্ত্র এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দিয়েছেন। তাঁর দেওয়া তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।
টাঙ্গাইল সদর থানা সূত্র জানায়, আতিকুর রহমান মোর্শেদের বিরুদ্ধে দুই যুবলীগ নেতাকে হত্যা, ছাত্রদল নেতা রেজা হত্যা, ব্যবসায়ী তুহিন হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের এক ডজন মামলা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মোর্শেদ টাঙ্গাইল শহর ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। পরে জেলা যুবলীগের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে দলীয় পদ না থাকলেও শহর আওয়ামী লীগের দলীয় বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশ নিতেন। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা ছাত্রদল নেতা রেজা হত্যা মামলা রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
একতার কন্ঠঃ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের অভিযোগ উঠেছে।শুক্রবার (২০ আগস্ট) উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের কসবা আটিয়া গ্রামের আটিয়া বৃদ্ধাশ্রমে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্বামী মো. আফাজ উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে।
মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রায় দেড় বছর আগে এলাসিন ইউনিয়নের এলাসিন গ্রামের বানিছ মিয়ার স্ত্রী ছয় সন্তানের জননী ভানু বেগমকে (৫৫) ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করেন একই এলাকার মৃত রজব আলীর ছেলে মো. আফাজ উদ্দিন।
পরে স্বামী-স্ত্রী আটিয়া বৃদ্ধাশ্রমে এসে কেয়ারটেকারের কাজ নেন। অভিযোগ রয়েছে, পালিয়ে আসার সময় ভানু বেগম প্রবাসী দুই ছেলের পাঠানো মোটা অংকের টাকা ও মেয়েদের স্বর্ণালংকার সঙ্গে নিয়ে আসেন।এ ঘটনার ১৫ দিন পর ভানুর সাবেক স্বামী মো. বানিছ মিয়া গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
ভানুর বড় ছেলে মো. শরিফ মিয়ার অভিযোগ, রাতে আফাজ তার মাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে খুন করে লাশ বৃদ্ধাশ্রমের পুকুরে ফেলে পালিয়ে গেছে।
বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দারা শুক্রবার সকালে ভাসমান অবস্থায় লাশ দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীদের জানান। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।এ ব্যাপারে ভানুর বড় মেয়ের জামাতা আল আমিন বাদী হয়ে দেলদুয়ার থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
দেলদুয়ার থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, ভাসমান অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার আসামি সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি কারাগারে অসুস্থ হওয়ায় বুধবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে তাকে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে সাবেক মেয়র মুক্তির বিরুদ্ধে জেলে বসে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন লোকদের সাথে যোগাযোগ ও সন্ত্রাসীদের সংগঠিত করার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানাগেছে, টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মঙ্গলবার(১৭ আগস্ট) অনুষ্ঠিত মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির অভিযোগ করেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি কারাগার থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাইরের বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং বিভিন্ন এলাকার সন্ত্রাসীদের সংগঠিত করছেন।
শহরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। পরে এ বিষয়টি তদন্ত করার জন্য টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান এবং একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও জেল সুপারের সমন্বয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পর সহিদুর রহমান খান মুক্তি দীর্ঘ ছয় বছর পলাতক ছিলেন। পরে গত বছরের ২ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। তারপর থেকে তিনি টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে বন্দি থেকে জামিনে মুক্ত হওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করতে থাকেন। সর্বশেষ মঙ্গলবার(১৭ আগস্ট) ১১তম বারও তার জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত।
টাঙ্গাইলের জেল সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সহিদুর রহমান খান মুক্তি মঙ্গলবার সকালে বুকে ব্যথা অনুভব করেন। পরে কারাগারের চিকিৎসক আবিবুর রহমান পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিলে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তদন্ত কমিটি গঠন ও এর কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি জানান, কারা বিভাগের একটি বিষয়ের তদন্তে তিনি কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন। সুবিধাজনক সময়ে কমিটির সবাই বসে কর্মপন্থা নির্ধারণ বিষয়ে আলোচনা করে তদন্ত কাজ শুরু করা হবে।
হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের বিশেষজ্ঞ ডা. প্রণব কুমার কর্মকার জানান, সহিদুর রহমান খান মুক্তির বুকের ব্যথা পিঠেও ছড়িয়ে পড়ছে। শুয়ে থাকতে গেলে তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। এছাড়া রক্তচাপও বেড়েছে। তাকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এছাড়া কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফল পাওয়ার পর তার চিকিৎসার ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রকাশ, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ তার কলেজ পাড়ার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে এ হত্যাকা-ে জড়িত সন্দেহে গোয়েন্দা পুলিশ আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে।
আদালতে ওই দু’জনের দেওয়া স্বাীকারোক্তিতে এ হত্যার সঙ্গে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাঁকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি বেরিয়ে আসে। এর পর অভিযুক্তরা আত্মগোপনে চলে যান। আমানুর রহমান খান রানা ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আদালতে আত্মসমর্পন করেন। প্রায় তিন বছর হাজতবাসের পর তিনি জামিনে মুক্তি পান। তাদের অন্য দুই ভাই এখনও পলাতক।
সহিদুর রহমান খান মুক্তি চাঞ্চল্যকর ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার ভাই ও টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খানের ছেলে।
একতার কণ্ঠঃটাঙ্গাইলের নাগরপুরে ট্রাক্টরের লাঙলের ফলায় আটকে সোহেল (১৬) নামে এক কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) সকালে উপজেলার আগত গয়হাটা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।সোহেল ওই গ্রামের মুক্তার ফকিরের ছেলে।নাগরপুর থানার অফিসার-ইন-চার্জ(ওসি) সরকার আব্দুল্লাহ আল-মামুন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে দেওআকুটিয়া গ্রামের হাশেম মিয়ার ছেলে নবীন ট্রাক্টর নিয়ে আগত গয়হাটার চাঁন মিয়ার জমিতে হাল চাষ করতে যান। এ সময় পাশে দাঁড়িয়ে হালচাষ দেখছিল সোহেল। ট্রাক্টরচালক নবীন পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সোহেলকে ডাক দেন। সোহেল চলন্ত ট্রাক্টরে উঠতে গিয়ে লাঙলের ফলায় আটকে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নাগরপুর থানার অফিসার-ইন-চার্জ(ওসি) সরকার আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, ঘটনাস্থল থেকে সোহেলের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে উজ্জ্বল মিয়া (১৮) নামের এক কিশোরের বিরুদ্ধে ৭ বছরের শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার আড়াইপাড়া দামিয়া এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।
অভিযুক্ত উজ্জ্বল মিয়া ওই গ্রামের ফজলুল হক ওরফে ফজল মিয়ার ছেলে। শিশুটির উপর এমন অমানবিক ঘটনা ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত ওই যুবকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ।
শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রতিবেশী উজ্জ্বল মিয়া গত সোমবার(১৬ আগস্ট) দুপুরে উজ্জ্বল ওই শিশুকে তাঁর বাড়িতে ডেকে নেন। বাড়িতে লোক না থাকায় শিশুকে জোরপূর্বক বলাৎকার করে। পরে চিৎকারে এক প্রতিবেশী এগিয়ে আসলে উজ্জ্বল দৌড়ে পালিয়ে যায়।
গুরুতর আহত অবস্থায় ওই শিশুকে প্রথমে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে শিশুটির বাবা জানান, শিশুটির পায়ু পথে এক থেকে দেড় ইঞ্চি পরিমান ক্ষত হওয়ায় একাধিক সেলাই দেওয়া হয়েছে। ছেলেটির পায়খানা করতে কষ্ট হচ্ছে। ডাক্তার বলছে, সুস্থ হতে অনেক সময় লাগবে। হাসপাতালে ভর্তি থাকার কারণে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। এখান থেকে ফিরেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একে সাইদুল হক ভূঁইয়া বলেন, শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চার জন ও উপসর্গ নিয়ে দুই জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এদিন জেলায় নতুন ৩২৪টি নমুনা পরীক্ষায় ৭২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২২ শতাংশ। বুধবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চি করেছেন।
তিনি জানান, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৭২ জনের শরীরে করোনা শনাক্তের মধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ৫০ জন, দেলদুয়ারে ছয় জন, কালিহাতীতে দুই জন, ঘাটাইলে সাত জন, মধুপুরে চার জন ও ভূঞাপুর উপজেলায় তিন জন রয়েছেন।
তিনি আরও জানান, এ পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১৫ হাজার ৮৩৯ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ৯ হাজার ৯৩৭ জন। এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট ২৪৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলা পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা ও অনুদানের দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে। বুধবার(১৮ আগস্ট) দুপুরে জেলা প্রশাসক ডক্টর মো. আতাউল গনি স্মরকলিপি গ্রহন করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন। এরআগে শহরের ভিক্টোরিয়া রোড থেকে র্যালি নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে পুস্তক বিক্রেতারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ করে।
এ সময় বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি মো. সহিদুল ইসলাম খান, সহ-সভাপতি আ. সালাম, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হারুন-অর-রশিদ, সাবেক সভাপতি খন্দকার আবু হানিফ ও শাহ হারুন-অর-রশিদ, কোষাধ্যক্ষ মোর্শেদ আলী খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে করোনাকালীন (দ্বিতীয় পর্যায়) ক্ষতিগ্রস্ত ৩২ জন সাংবাদিককে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আর্থিক সহযোগিতার চেক প্রদান করা হয়েছে। বুধবার (১১ আগস্ট) বেলা ১১ টার দিকে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে ওই চেক প্রদান করা হয়।
টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ডক্টর আতাউল গণি। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আমিনুল ইসলাম, জেলা সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সত্যেন্দ্র পাল।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক ইফতেখারুল অনুপম, কোষাধক্ষ্য আব্দুর রহিম, দপ্তর ও পাঠাগার সম্পাদক অরণ্য ইমতিয়াজ।
পরে সাংবাদিকদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আর্থিক সহযোগিতার চেক প্রদান করা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে টাঙ্গাইলে কর্মরত ৩২ জন সাংবাদিক ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন।
আর্থিক সহায়তা পাওয়া সাংবাদিকগণ হচ্ছেনঃ সাপ্তাহিক গণবিপ্লব পত্রিকার বার্তা সম্পাদক মাসুম ফেরদৌস, সময় মিডিয়ার চিত্র সাংবাদিক রাশেদ খান, বাংলাদেশ সমাচারের স্টাফ রিপোর্টার মনিরুজ্জামান মনির, আজকের দর্পণ জেলা প্রতিনিধি দেলোয়ার হোসেন, সাপ্তাহিক পাপিয়ার প্রধান সম্পাদক সেলিম তরফদার, সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন ও তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রাকিব আদনান, আজকের দেশবাসীর স্টাফ রিপোর্টার নিলুফা ইয়াসমিন, কালের বার্তার চীফ রিপোর্টার খোরশেদ আলম, বনিক বার্তার জেলা প্রতিনিধি পারভেজ হাসান, ডেল্টা টাইমস জেলা প্রতিনিধি এম কবির, সাম্প্রতিক দেশকাল জেলা প্রতিনিধি নওশাদ রানা সানভী, ফিনান্সিয়াল এক্স্রপ্রেস জেলা প্রতিনিধি শাহাব উদ্দিন মানিক, বাংলা টিভি জেলা প্রতিনিধি খন্দকার হাবিবুল্লাহ কামাল, বাংলাদেশের আলো জেলা প্রতিনিধি শামীম আল মামুন, একুশের বানী জেলা প্রতিনিধি মোস্তাক হোসেন, মাতৃভমির খবর জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ হোসেন, বাংলাদেশ নিউজ জেলা প্রতিনিধি মাসুদুল হক, ভোরের পাতা জেলা প্রতিনিধি আব্দুস সাত্তার, দেশের কন্ঠ জেলা প্রতিনিধি আব্দুল লতিফ তালুকদার, নবচেতনা জেলা প্রতিনিধি সাব্বীর আহমেদ আব্বাসী, আমার সংবাদ জেলা প্রতিনিধি রাইসুল ইসলাম, সকালের সময় জেলা প্রতিনিধি রাশেদ খান মেনন, ভাসানীর কথার স্টাফ রিপোর্টার সুজন মিয়া, জনতার কথা পত্রিকার সহ-সম্পাদক আব্দুল কাদের, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মোকাদ্দেছ আলী, স্টাফ রিপোর্টার বজলুর রহমান খান সাবু, হাসান মিয়া ও জহিরুল ইসলাম, গুড মনিং জেলা প্রতিনিধি আতোয়ার রহমান, দেশবার্তা জেলা প্রতিনিধি আলমগীর হোসেন ও আজকের বসুন্ধরা জেলা প্রতিনিধি সিরাজ আল মাসুদ।
একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ(ওএসসি, এনডিইউ, পিএসসি) বলেছেন, সারা বাংলাদেশের মতো টাঙ্গাইল জেলায়ও করোনা পরিস্থিতি এখন উন্নতির দিকে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সরকার একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে- আপাতত লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর পেট্রোল কার্যক্রমও সেইভাবে পুনর্বিন্যাস করা হবে।
তিনি বলেন, আবারও যদি করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যায়, সরকার যদি আবারও কঠোর লকডাউন দেয় তাহলে সেনাবাহিনী তার কার্যক্রম চালাবে। মঙ্গলবার(১০ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে টাঙ্গাইলে সেনাবাহিনীর অপারেশন কোভিড শিল্ড(পর্ব-২) এর আওতায় টহল কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সেনাবাহিনী প্রধান আরও বলেন, সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে। যে সহযোগিতা সবার কাছ থেকে পেয়েছি তাতে আমি খুব খুশি। বেসামরিক প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সবার সাথে মিলে সেনাবাহিনী কিন্তু এবার অত্যন্ত ভালোভাবে কাজ করেছে। সব থেকে ভালো লাগছে যে সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে আমরা কিন্তু করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি।
আমরা যদি এইভাবে সবাই মিলে কাজ না করতাম এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারতো। তারপরও করোনা পরিস্থিতি তেমনটা ভালো হয়নি। তবে ইনশাল্লাাহ আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমরা সবাই একসাথে কাজ করলে এবং জনগণ যদি সবাই সচেতন থাকে আমাদের এই পরিস্থিতি দ্রুত অনেক উন্নতি হবে।
এর আগে তিনি হেলিকপ্টারযোগে টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে অবতরণ করেন। সেখান থেকে সেনা কর্মকর্তাদের নিয়ে শহরের নিরালামোড় ও ভিক্টোরিয়া রোডে টহলরত সেনাসদস্যদের কার্যক্রম পরিদর্শন ও কুশল বিনিময় করেন। এছাড়াও তিনি টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ডক্টর মো. আতাউল গনি, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, পৌর মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর ও টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদের সাথে লকডাউনের বিষয়ে কথা বলেন।
এ সময় ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন, ৯৮ সংমিশ্রিত বিগ্রেড বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এসএম আসাদুল হক পিএসসি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।