একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় বিএনপির দুই নেতার কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে পৌরসভা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম গুরুতর আহতবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার শাহজাহান সিরাজ কলেজের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
আহত মুজাহিদুল ইসলাম কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সহ-সংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটুর কর্মী। কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য লুৎফর রহমান মতিনের কর্মী-সমর্থকরা এই হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা আহমেদ টিটুর লোকজন শাহজাহান সিরাজ কলেজের একজন শিক্ষার্থীকে মারধর করে। পরে বিষয়টি স্থানীয় বিএনপি’র লোকজন মিমাংসা করে দেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা টিটু ও মতিনের লোকজন কলেজ এলাকায় মোটরসাইকেল শোডাউন করে। পরে টিটুর গ্রুপের লোকজন কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে মিটিং করার সময় বিএনপি নেতা মতিনের লোকজন গিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। এতে পৌরসভা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলামকে কুপিয়ে আহত করা হয়। পৌর যুবদলের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিকের নেতৃত্বে হামলা করে শান্ত নামের একজন বিএনপি কর্মী। এছাড়া তৌহিদ নামের আরেক কর্মীকে লাঠি দিয়ে পিটানো হয়। পরে গুরুত্বর আহত মুজাহিদকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলার করার অভিযুক্ত শান্তর বিরুদ্ধে ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করার অভিযোগ রয়েছে। ওই হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামী করা হয় তাকে।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম ভূইয়া জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি’র দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। এই ব্যাপারে এখনও কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একতার কণ্ঠঃ ভারতের আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনারের মৌলবাদী হিন্দুদের হামলার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে মশাল মিছিল করা হয়েছে।
মঙ্গলবার(৩ ডিসেম্বর )সন্ধ্যায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে শহরের শহীদ মিনার চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু করা হয়। পরে এটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, ছাত্র প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম, আল আমিন, ফাতেমা রহমান বিথি, আল আমিন সিয়াম, আবু আহমেদ শেরশাহসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
মশাল মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এসময় বক্তারা বলেন, আগরতলায় হাইকমিশনে হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকতে আমরা ভারতের আধিপত্য মেনে নেব না।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কলেজ পাড়ায় চলাচলের রাস্তার জায়গা দখল চেষ্টা ও হয়রানিমুলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী মইনুল রহমান জুয়েলের স্ত্রী সালমা আক্তার। তিনি বলেন, আমরা টাঙ্গাইল পৌর সভার ৬নং ওয়ার্ডের কলেজ পাড়া ও প্যাড়াডাইস পাড়ার বাসিন্দা। আমাদের বাসায় যাতায়াতের জন্য দীর্ঘ দিনের ১০ শতাংশ রাস্তাটি জেলা প্রশাসক ভূমি প্রজ্ঞাপন আকারে বরাদ্দ প্রদান করেছেন। যাহা টাঙ্গাইল পৌর সভার রেকর্ড ও নকশাকৃত। এমতাবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রতিবেশী এডভোকেট আলী ইমাম তপন ও তার ভাই আলী আযম রিপন উক্ত ভূমি জোর পূর্বক দখল করতে আসলে আমার স্বামী মইনুল রহমান জুয়েল ও প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন শহীদসহ এলাকাবাসী বাধা প্রদান করে। এই কারনে ক্ষিপ্ত হয়ে টাঙ্গাইল রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা এডভোকেট আলী ইমাম তপন গত ১৯ নভেম্বর রিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসে মারামারি, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আমার স্বামী মইনুল রহমান জুয়েল, প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন শহীদসহ এলাকার বড় ভাই মাই টিভির জেলা প্রতিনিধি মির্জা মাসুদ রুবলকে জড়িয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। যাহা টাঙ্গাইল সদর থানার মামলায় নং- সি আর ২৭১২/ ২৪। এই মামলায় আমার স্বামী মইনুল রহমান জুয়েল ৯নং আসামি ও প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন শহীদকে ১০নং আসামি করা হয়েছে। একই ঘটনায় রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক গত ২১ নভেম্বর আরও একটি মামলা দায়ের করেন। যাহা আদালতে ৩৮৮/২৪ জি আর মোকাদ্দমা হিসেবে চলমান আছে। উক্ত রাস্তাটি পাকা করন ও ড্রেনের টেন্ডার আহ্বান করার কারনে টাঙ্গাইল পৌর সভার সাবেক মেয়র এস.এম সিরাজুল হক আলমগীরকে মামলার ১নং আসামি করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, আমরা এই মিথ্যা মামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে আমার স্বামী মইনুল রহমান জুয়েল, প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন শহীদ ও মাই টিভির জেলা প্রতিনিধি মির্জা মাসুদ রুবল এর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মাই টিভির জেলা প্রতিনিধি মির্জা মাসুদ রুবলের স্ত্রী আশরাফুন্নাহার রোজি বলেন, রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার সময় সাংবাদিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন আমার স্বামী। তাকে কেন এই মামলায় ২৩ নাম্বার আসামি করা হয়েছে, এটা আমার বোধগম্য নয়। আমি অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আনোয়ার হোসেন শহীদের স্ত্রী শামসুন্নাহার আক্তার, হাবিবা আক্তার, মাহবুবা বেগম, সাজেদা বেগম, সুরাইয়া বিনতে আনোয়ার প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ অতিরিক্ত ভর্তি ফি ও চাঁদা আদায়ের অভিযোগে টাঙ্গাইল জেলা রিক্সা শ্রমিক অফিসে ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের পার্ক বাজার সংলগ্ন শ্রমিক অফিসে এই ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ঘটনার শ্রমিকদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ সময় অফিসে থাকা তিনটি মোটরসাইকেল, আসবাবপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজ-পত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।এই হামলা ও অগ্নিসংযোগে ৩ শ্রমিক নেতা আহত হয়েছেন।
তারা হলেন, গুরুতর অগ্নিদগ্ধ জেলা রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুস সামাদ, সাবেক মেম্বার সালাম ও রুপচান।
রিকশা শ্রমিক ও স্থানীয়রা জানায়, পূর্বে ভর্তি ফি ১ হাজার টাকা ছিল, সেটি বৃদ্ধি করে বর্তমানে ১৫৬০ টাকা করা হয়েছে ।এছাড়া ১০ টাকা মাসিক চাঁদা করাসহ ২শত টাকা জরিমানা নিয়ে ভর্তি না হওয়া শ্রমিকদের মাত্র ৫ থেকে ৭ দিনের সময় দিতেন সমিতির নেতৃবৃন্দ। যা নিয়ে সাধারণ শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
মঙ্গলবার সকালে শহরে সাধারণ শ্রমিকরা মাইক মেরে চাঁদা ও ভর্তি ফি না দেয়ার জন্য মাইকিং করতে থাকে। নেতৃবৃন্দ মাইক ম্যানকে আটক ও মারধর করে ছেড়ে দেন। মাইকম্যান এর কাছে মারধরের খবর জানতে পেরে সাধারণ শ্রমিকরা অফিস কার্যালয়ে হামলা,নেতৃবৃন্দকে মারধর ও অগ্নি সংযোগ করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন রিকশা শ্রমিক জানান, নেতৃবৃন্দ চাঁদা ও ভর্তি ফি নিলেও আমাদের কোন কাজে লাগেনা। নামমাত্র আহ্বায়ক কমিটি করে চাঁদার টাকা লুটপাট করছে। শ্রমিকদের শুধু মৃত্যু বোনাস, বিবাহ ভাতা আর নামমাত্র চিকিৎসা ভাতা দেওয়া হয়। সমিতিতে মোট কত টাকা চাঁদা আর ভর্তি ফি জমা আছে সেটিও আমরা জানি না। জানতে চাইলে নেতৃবৃন্দ দুর্ব্যবহার করে। এ সকল কারণে ক্ষুব্ধ সাধারণ শ্রমিক এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
গুরুতর আহত সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুস সামাদ জানান, কার্যালয়ে আমাকে বেঁধে রেখে অগ্নি সংযোগ ঘটায়। আগুন বাড়তে থাকায় আমি প্রায় আধা ঘন্টা পরে বাঁধন খুলে বের হই। আগুনে আমার শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে। আমি এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের বর্তমান সদস্য সিহাব জানান,চাঁদা ও ভর্তি ফি দিবে না বলে মাইক মারছিল সাধারণ শ্রমিকরা। এ সময় তাদের মাইকটি আটক করা হয়। এ ক্ষোভে শ্রমিকরা নেতৃবৃন্দকে মারধর এবংঅগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে।
জেলা রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির আহবায়ক মোঃ হুসেন বেপারী সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার এস এম হুমায়ুন কাণায়েল বলেন,আধাঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে। কার্যালয়ে থাকা তিনটি মোটরসাইকেল সহ কিছু আসবাব পত্র এবং কাগজপত্র পুড়ে গেছে। এ সময় অগ্নিদগ্ধ একজনকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ভিক্টর ব্যানার্জি জানান,ঘটনাস্থল থেকে অগ্নিদগ্ধ একজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বাবলু সিকদার নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে মৃত্যু বরণ করেন তিনি।
এর আগে শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের গান্ধিনা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বাবলু সিকদার পার্শ্ববর্তী সখিপুর উপজেলা কালিয়ান গ্রামের মো. কামাল হোসেন ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, নিহত বাবলু সিকদারের মাটির ব্যবসা নিয়ে মনোমালিন্য চলছিল স্থানীয় বেশ কয়েকজনের সঙ্গে। ঘটনার দিন শনিবার বাবলু সিকদার কাজ শেষে বাজার থেকে ফিরে সন্ধ্যার পর বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। মোবাইল ফোনে বাবলুকে বাড়ি থেকে ডেকে গান্ধিনা বাজারে নেওয়া হয়। পরে গান্ধিনা বাজারে ইসলামী এজেন্ট ব্যাংকের সামনে মা এন্টারপ্রাইজ দোকানে ভেতরে ঢুকিয়ে কথা-কাটাকাটি একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা বাবলু সিকদারকে হাত-পাসহ শরীরে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে।
এ সময় বাবলুর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। পরে তাকে ঢাকা একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সোমবার ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে বাবলু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করে।
নিহত বাবলুর চাচা মালেক জানান ‘শনিবার রাত ৮টার দিকে বাবলুর এক প্রতিবেশী তাঁকে ডেকে নিয়ে গান্দিনাপাড়া বাজারের রাহিনের সিমেন্টের দোকানের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই ওত পেতে থাকা ওই এলাকার হারুন, সোহেলসহ আরও কয়েকজন বাবলুকে ধাক্কা দিয়ে দোকানের ভেতর ফেলে দেয়। পরে তারা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে বাবলুকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় হারুনকে প্রধান আসামি করে মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। মামলার বাদী হচ্ছেন আমার ভাই (নিহতের বাবা) কামাল হোসেন।’
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তদন্ত শরিফুল ইসলাম ।
তিনি জানান, এ ঘটনায় সোমবার(১৮ নভেম্বর )নিহতের পিতা কামাল হোসেন বাদী হয়ে কালিহাতী থানায় অভিযুক্ত হারুন মিয়াসহ ১৪ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আল-আমিন নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৮ জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার ধলাপাড়া ইউনিয়নের কোনাবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আল-আমিন ওই গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে।
আহতদের ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ধলাপাড়া কোনাবাড়ি গ্রামে রিপনের সঙ্গে আল-আমিনের পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো।
এ নিয়ে শুক্রবার উভয়পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে তা সংঘর্ষে রুপ নেয়। সংঘর্ষে আল আমিনসহ ৯ জন আহত হয়। পরে গুরুত্বর আহত অস্থায় আল-আমিনকে প্রথমে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রকিবুল ইসলাম জানান, জমি নিয়ে বিরোধে আল-আমিন নামে এক যুবক নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নাশকতার মামলায় সদর উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মামুন সিকদারসহ ৩জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যটিলিয়ান(র্যাব)-১৪।
বুধবার(১৩ নভেম্বর) রাতে সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের ধুলটিয়া বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের বীরপুশিয়া গ্রামের ফজল সিকদারের ছেলে মামুন সিকদার(৪১),একই গ্রামের বাহেজ উদ্দিনের ছেলে মমিতুল ইসলাম প্রমি(৩০) ও ঢেলি করটিয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাব্বির।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে র্যাব-১৪ সিপিসি-৩ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, গত ৪ আগস্ট সকালে টাঙ্গাইল শহরের বটতলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মিছিলে দু:স্কৃতিকারীরা ছাত্র-জনতার উপর হামলা করে। এতে মিছিলে অংশগ্রহনকারী লতিফ মিয়া নামে এক ব্যাক্তি গুরুতর আহত হয়। এঘটনায় লতিফ মিয়া বাদী হয়ে ১৩ নভেম্বর টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি নাশকতা মামলা( নং ১৮) দায়ের করেন।
র্যাব আরও জানায়, এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৪ সিপিপি-৩ টাঙ্গাইল ক্যাম্পের একটি টিম ১৩ নভেম্বর রাতে উপজেলার ধুলুটিয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে টাঙ্গাইল সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অশোক কুমার সিংহ সোমবার(১১ নভেম্বর )সাক্ষ্য দিয়েছেন।
তিনি আদালতকে বলেছেন, গ্রেপ্তার করা দুই আসামির ও প্রত্যক্ষদর্শী তিন সাক্ষীর আদালতে দেওয়া জবানবন্দি ও অন্যান্য আলামত থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ হয়, সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান ও তাঁর ভাইদের পরিকল্পনা ও নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে।
সোমবার (১১ নভেম্বর)তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে বহুল আলোচিত এই হত্যা মামলার সাক্ষীর পর্ব শেষ হলো।
টাঙ্গাইলের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এস আকবর খান বলেন, এখন বাদী ও আসামি উভয় পক্ষের যুক্তিতর্কের পর মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।
টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান ও তাঁর তিন ভাই এই মামলার আসামি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অশোক কুমার সিংহ বলেন, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মাহমুদুল হাসানের আদালতে তাঁর সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত সাক্ষ্য গ্রহণ চলে। পরে আধা ঘণ্টা বিরতি দিয়ে আবার বেলা তিনটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত সাক্ষ্য নেওয়া হয়। সাক্ষ্যদানের সময় তিনি আদালতকে জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারি তিনি মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান।
তদন্তকালে বিভিন্ন উৎস থেকে জানতে পারেন, এই হত্যার সঙ্গে শহরের কলেজপাড়ার আনিসুল ইসলাম ওরফে রাজা ও মোহাম্মদ আলী জড়িত থাকতে পারেন। তাঁদের গ্রেপ্তার করলে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে এই হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন। পরে তাঁরা আদালতে জবানবন্দি দেন। তাঁদের জবানবন্দিতে সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান, তাঁর ভাই পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার পরিকল্পনা ও নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ড হওয়ার বিষয়টি বের হয়ে আসে।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওয়াহেদ, আবদুল খালেক ও সনি আদালতে জবানবন্দি দেন। তাঁদের জবানবন্দিতেও হত্যার বর্ণনা উঠে আসে।
অশোক কুমার সিংহ সাক্ষ্য দেওয়ার পর আসামিদের আইনজীবীরা তাঁকে জেরা করেন।
এর আগে মামলার তদন্তের শেষ পর্যায়ে অশোক কুমার সিংহ পদোন্নতি পেয়ে বদলি হয়ে যান। পরে গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মাহফীজুর রহমান ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি আমানুররা চার ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। বাদীপক্ষের অভিযোগ, মামলার ২৬ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ হয় অনেক আগেই। কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ এলেই কারাগারে থাকা আসামিরা অসুস্থতাসহ নানা অজুহাতে আদালতে আসতেন না। তাঁদের সময়ক্ষেপণের কারণে বিচারের প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছিল।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তাঁর পৌরশহরের কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর তাঁর স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এই হত্যায় সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর ও তাঁর ভাইদের নাম বের হয়ে আসে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে দুটি হত্যা ও একটি ভাঙচুর মামলায় সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারকরা এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পিপি শফিকুল ইসলাম রিপন।
তিনি বলেন, সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে মোট তিন মামলায় তার রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এদিকে সকাল থেকে আদালত প্রাঙ্গণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেয়। পরে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে রাজ্জাককে আদালতে তোলার সময়ে তার ওপর ডিম নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় বৈষম্যবিরোধী নানা স্লোগান দেন তারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আল আমিন বলেন, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাজ্জাকের উপযুক্ত বিচার চাই। যারা এখনো বাহিরে তাদের শিগগিরই গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
এ সময় আদালতে প্রচুর সংখ্যক উচ্ছুক জনতার ভিড় লক্ষ্য করা যায়। সোমবার সকাল থেকেই আদালত প্রাঙ্গন ও এর আশপাশের এলাকায় বিপুল পরিমাণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৯ জুয়াড়ীসহ ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।
রবিবার (১০ নভেম্বর)দুপুরে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন,উপজেলার মমিননগর গ্রামের আ. মালেক (৫৫) , মো. মিন্টু(৪৫),কোকরাইল গ্রামের শাহআলম (৩০), রাব্বি(২৯), দত্ত গ্রামের আল আমিন (৩৫),বেহেলাবাড়ি গ্রামের জুলহাস (৩৫),মিজানুর (৪৫), রুবেল(৪৪), ফারুক মিয়া (৩৪)সহ বিভিন্ন মামলায় নারীসহ আরো ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়,কালিহাতী থানার একদল পুলিশ শনিবার(৯ নভেম্বর )রাতে উপজেলার বেহেলাবাড়ি নদীর পাড়ে নাজমুলের বাড়ির সামনে ও মমিননগর জামতলার জামাল পাগলার পুকুর পাড়ে অভিয়ান চালিয়ে ওই ৯ জুয়াড়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়।এছাড়াও বিভিন্ন মামলার আরো ১০ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি )মোহাম্মদ আবুল কালাম ভূইয়ার জানান, মাদকও জুয়ার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যহত থাকবে।
একতার কণ্ঠঃ সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অন্তবর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে হেনস্তাকারী আওয়ামী লীগ নেতা শ্যামল খানের শাস্তি চান টাঙ্গাইলের সাধারণ মানুষ।
শ্যামল খান টাঙ্গাইল পৌরসভার ৩ং ওয়ার্ডের পশ্চিম আকুর টাকুর পাড়ার বাসিন্দা ও সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।শ্যামল খানের বিচার দাবি করেছেন স্থানীয় জন সাধারণ।
ওই এলাকার মনসুর বিন সাইদ বুলবুল বলেন, আইন উপদেষ্টার সাথে এই দুর্ব্যবহার করা শ্যামল খানের ঠিক হয়নি। আমরা তার শাস্তি দাবি করছি।
একই এলাকার মো. মামুন বলেন, বিগত দিনে জাতীয় নির্বাচনের সময় শ্যামল খান দেশে এসে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের টাকা দিতেন। তিনি আওয়ামী লীগের ডোনার ছিলেন। সেই টাকা দিয়ে অবৈধভাবে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। তিনি যে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছেন তা টাঙ্গাইলের জন্য মানহানিকর। আমরা তার বিচার চাই।
শ্যামলা খানের ভাই কামরুল হাসান খান বাবুল বলেন, শ্যামল খান প্রায় ৩০ বছর যাবত সুইজারল্যান্ডে বসবাস করে। পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে শ্যামল খান চতুর্থ। শুনেছি তিনি বিগত ১০ বছর যাবত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
প্রসঙ্গত, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডি এবং সংস্থাটির গুরত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দেশে ফিরছিলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। দূতাবাসের প্রটোকলে তিনি গাড়ি করে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা বিমানবন্দরে পৌঁছান। এ সময় দূতাবাসের প্রটোকল আইন উপদেষ্টার সঙ্গে ছিল। গাড়ি বিমানবন্দরে নামার পর একদল লোক এসে আইন উপদেষ্টাকে ঘিরে ধরেন। উপদেষ্টা জেনেভা বিমানবন্দরে প্রবেশের আগ পর্যন্ত হেনস্তাকারীরা তাকে বিরক্ত করেছেন।
সুইজারল্যান্ডের বেশ কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, সেখানে সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম জমাদার ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খান উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ: টাঙ্গাইলে মাদক মামলায় স্বামী উজ্জ্বল হোসেন ও তার স্ত্রী সেলিনা আক্তারকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
উজ্জ্বল হোসেনকে সাত বছরে কারাদণ্ড এবং সেলিনা আক্তারকে পাঁচ বছরে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।এছাড়া উভয়কে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানাসহ অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা ও দায়রা জজ মো. নাজিমুদৌলা এই রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন- টাঙ্গাইল সদর উপজেলার আগবেথৈর গ্রামের নাজিমুদ্দিনের ছেলে মো. উজ্জ্বল হোসেন (৩৭) ও তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার (২৭)।
টাঙ্গাইলের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এস আকবর খান জানান, টাঙ্গাইল সদর থানার পুলিশ ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আগবেথৈর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা বিক্রির সময় উজ্জ্বল ও তার স্ত্রী সেলিনাকে গ্রেপ্তার করে।
এসময় উজ্জলের দেহ তল্লাশি করে ২০০ এবং সেলিনার কাছ থেকে ১০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ হয়। পরদিন টাঙ্গাইল সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমির হামজা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরে ৭ মার্চ উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল বাশার মোল্লা তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে বুধবার এ রায় দেওয়া হয়।
গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে উজ্জ্বল হোসেন কারাগারে থাকলেও স্ত্রী সেলিনা জামিনে বের হয়ে পলাতক রয়েছেন।