/ হোম / নাগরপুর
টাঙ্গাইলে স্বামীর ‘বিশেষ অঙ্গ’ কর্তন, কুড়ালের কোপে স্ত্রী নিহত - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে স্বামীর ‘বিশেষ অঙ্গ’ কর্তন, কুড়ালের কোপে স্ত্রী নিহত

একতার কণ্ঠঃ পারিবারিক কলহের জেরে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কর্তন করেছে স্ত্রী। পরে স্বামী ময়নাল (৬০) তার স্ত্রী মনোয়ারাকে (৫০) কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের ফয়েজপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ময়নাল দপ্তিয়র ইউনিয়নের ফয়েজপুর গ্রামের তোফান শেখের ছেলে এবং নিহত মনোয়ারা একই ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মৃত তাহেরুল আমিনের মেয়ে।

সাবেক ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, ময়নাল ও তার স্ত্রী একই সঙ্গে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা থেকে এলাকায় আসে। পরে বাজার করা নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ময়নালের স্ত্রী তার স্বামীর পুরুষাঙ্গ কর্তন করে। পরে ময়নাল ঘরে থাকা গাছ কাটার কুড়াল নিয়ে তার স্ত্রীর ঘাড়ে দুটি কোপ দেয়। এতে সঙ্গে সঙ্গেই তার মৃত্যু হয়। তাৎক্ষণিকভাবে ময়নালকে স্থানীয়রা আটক করে গাছে বেঁধে রাখে এবং পরবর্তীতে থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

এ বিষয়ে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি ) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, খবর পাওয়া মাত্রই তিনি ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, পারিবারিক কলহের জেরে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে। পরে ময়নালকে আটক করতে গিয়ে দেখা যায়, তার পুরুষাঙ্গ কাটা এবং পরনের লুঙ্গি রক্তাক্ত অবস্থায় রয়েছে। তখন তাকে উদ্ধার করে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে ময়নালকে টাঙ্গাইল জেলার হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

তিনি আরও জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মরদেহ যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং অভিযোগ প্রাপ্তি ও তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. হাবিবুর রহমান জানান, ময়নালের পুরুষাঙ্গের কিছু অংশ কাটা অবস্থায় ছিল। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৩. অক্টোবর ২০২৪ ০২:২০:এএম ১ দিন আগে
নাগরপুরে গণ অধিকার পরিষদের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত - Ekotar Kantho

নাগরপুরে গণ অধিকার পরিষদের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশের ৫১তম রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদ (জিওপি) ‘ট্রাক’ প্রতীকে নিবন্ধন পাওয়ায় টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বিশাল কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের ভূগোল হাট বাজারে নাগরপুর গণ অধিকার পরিষদ অঙ্গ, ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তারা বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে গণ অধিকার পরিষদ দেশের সাধারণ মানুষের মাঝে সাড়া ফেলেছে। ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত হলে গণঅধিকার পরিষদ ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে গণ অধিকার পরিষদ সরকার গঠন করবে।

টাঙ্গাইল জেলা গণ অধিকার পরিষদের সাবেক যুগ্ম-সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার কবির আহম্মেদের সভাপতিত্বে ও যুব অধিকার পরিষদের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান নাছিরের সঞ্চালনায় উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় গণ অধিকার পরিষদ (ঢাকা বিভাগ) সাংগঠনিক সম্পাদক মো. তোফাজ্জল হোসেন।

এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় যুব অধিকার পরিষদের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো. ওয়াহেদুজ্জামান সুমন, টাঙ্গাইল জেলা যুব অধিকার পরিষদের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কবির হোসেন নয়ন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মো. ফাহাদুল ইসলাম, নাগরপুর উপজেলা গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মো. আল-আমিন, যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মো. সিপন রানাসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৪. সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৩:১৫:এএম ৩ সপ্তাহ আগে
টাঙ্গাইলে চাচা-ভাতিজাকে কুপিয়ে হত্যা, গণপিটুনিতে হামলাকারী নিহত - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে চাচা-ভাতিজাকে কুপিয়ে হত্যা, গণপিটুনিতে হামলাকারী নিহত

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে চাচা ও ভাতিজাকে কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনা ঘটেছে।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা হামলাকারী তালেব (৩৫) নামের এক যুবককে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় তাজমুল (৪২) নামের আরও একজন আহত হয়েছেন। তাকে পার্শ্ববর্তী মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ধুবড়িয়া ইউনিয়নের কাতার বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- ছাত্তার (৫০) ও আসাদুল (২৮)। সম্পর্কে তারা চাচা-ভাতিজা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্তারের সঙ্গে একই গ্রামের তালেব মিয়ার কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে তালেবের সঙ্গে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছাত্তারকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। এ সময় তার ডাক-চিৎকারে ভাতিজা আসাদুল এগিয়ে এলে তাকেও কুপিয়ে আহত করে তালেব। গুরুতর আহতাবস্থায় তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই জনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা ঘাতক তালেবকে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচএম জসীম উদ্দিন বলেন, নিহত চাচা-ভাতিজার মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং তালেবের লাশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। তার মরদেহ উদ্ধারে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৬. সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৪:৪২:এএম ৪ সপ্তাহ আগে
টাঙ্গাইলে সাবেক প্রতিমন্ত্রী টিটুসহ ১২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে সাবেক প্রতিমন্ত্রী টিটুসহ ১২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে নাগরপুর উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মিছিলে হামলার অভিযোগে সাবেক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুসহ ১২৯ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম পশুপতি বিশ্বাস মামলাটি আমলে নিয়ে নাগরপুর থানাকে নথিভুক্ত করার আদেশ দেন বলে জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী এম এ মালেক আদনান।

মামলার বাদী মো. মনির হোসেন ঢাকার ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ এর আইন বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। তিনি নাগরপুর উপজেলার কলমাইদ গ্রামের নুরু মল্লিকের ছেলে।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে আদালত থেকে জানানো হয়, বিচারক মামলাটি নাগরপুর থানাকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় আহসানুল ইসলাম টিটুর ভাই মজিবল হক পান্নাসহ ১২৯ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৮ জুলাই নাগরপুর কলেজ গেইট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ও তার ভাই মজিবল হক পান্নার নির্দেশে আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র, দা-কুড়াল ও লাঠিসোঁটাসহ বিভিন্ন দেশি অস্ত্র নিয়ে মিছিলে হামলা চালায়।

সেই সময় আসামিদের ছোড়া ফাঁকা গুলি এবং ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। এতে বাদীসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।

আইনজীবী মালেক আদনান জানান, দণ্ডবিধির কয়েকটি ধারাসহ দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি করা হয়েছে। শুনানির দিন বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে মামলাটি নথিভুক্ত করতে নাগরপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৩:৩৬:এএম ১ মাস আগে
সুষম বন্টন ও বাস্তবায়ন সঠিক হলে সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে: বানিজ্য প্রতিমন্ত্রী - Ekotar Kantho

সুষম বন্টন ও বাস্তবায়ন সঠিক হলে সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে: বানিজ্য প্রতিমন্ত্রী

একতার কণ্ঠঃ বানিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এমপি বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুষম বন্টন ও বাস্তবায়নের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন। বন্টন ও বাস্তবায়ন সঠিক হলে সার্বিক উন্নয়ন তরান্বিত হবে।

তিনি বলেন, আমাদের উন্নয়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া। স্থানীয় উন্নয়নে উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের ভূমিকা অপরিসীম।

রবিবার (৭ জুলাই) সকালে বানিজ্য প্রতিমন্ত্রী নাগরপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ৬ষ্ট উপজেলা পরিষদের প্রথম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বন্যা কবলিত স্ব-স্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সার্বক্ষনিক মনিটরিং করার আহ্বান জানান। কোথাও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হলে তাৎক্ষণিক ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধানের সভাপতিত্বে উপজেলা চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার শালমান শামস (জিৎ), উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) দ্বীপ ভৌমিক, ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জরিনা বেগম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রোকনুজ্জামান খান, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভার:) মো. আনিসুর রহমান আনিস, নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচএম জসিম উদ্দিনসহ ১২ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৮. জুলাই ২০২৪ ০২:২৭:এএম ৩ মাস আগে
সাংবাদিক আনিছ খানের স্ত্রী আর নেই - Ekotar Kantho

সাংবাদিক আনিছ খানের স্ত্রী আর নেই

একতার কণ্ঠঃ মাই টিভি’র টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর-দেলদুয়ার উপজেলা প্রতিনিধি আনিছ খানের স্ত্রী রুনি খন্দকার বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকালে ঢাকার শমরিতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন, (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৩৬ বছর। তিনি স্বামী, দুই মেয়েসহ অসংখ্য আত্বীয়-স্বজন রেখে গেছেন।

বৃহস্পতিবার বাদ যোহর টাঙ্গাইলের সন্তোষ জাহ্নবী স্কুল মসজিদের সামনে মরহুমার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক নাসির উদ্দিন, যুগ্ম-সম্পাদক ইফতেখারুল অনুপম, মাই টিভির টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি মির্জা মাসুদ রুবলসহ সাংবাদিকবৃন্দ, মরহুমার আত্বীয়-স্বজন ও এলাকাবাসীরা জানাজার নামাজে অংশ নেন।

জানাজার নামাজ শেষে টাঙ্গাইল বেবিস্ট্যান্ড কেন্দ্রীয় গোরস্থানে মরহুমার মরদেহ দাফন করা হয়।

তার মৃত্যুতে বানিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ও মরহুমার শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২১. জুন ২০২৪ ০১:২৭:এএম ৪ মাস আগে
এমপি আনার হত্যা, শিলাস্তির সর্বোচ্চ শাস্তি চান তার দাদা - Ekotar Kantho

এমপি আনার হত্যা, শিলাস্তির সর্বোচ্চ শাস্তি চান তার দাদা

একতার কণ্ঠঃ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার সাথে জড়িত, গ্রেপ্তারকৃত শিলাস্তি রহমানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন তার দাদা বীরমুক্তিযোদ্ধা সেলিম মিয়া।

শনিবার (২৫ মে) দুপুরে শিলাস্তি রহমানের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ধুবড়িয়া ইউনিয়নের পাইসানা গ্রামে গিয়ে দেখা যায় পুরো বাড়ি ফাঁকা।

শিলাস্তিদের টিনের ঘরে তালা ঝুলছে। টিনের ঘরের পাশেই নির্মান করা হয়েছে দোতলা একটি বাড়ি। তবে তাদের বাড়ির ভেতরে নেই কোন আসবাবপত্র।
এসময় পাশের ঘর থেকে বেড়িয়ে আসেন শিলাস্তির দাদা সেলিম মিয়া।

তিনি জানান, দুই বোনের মধ্যে শিলাস্তি বড়। তার বাবা আরিফুর রহমান জুট ব্যবসায়ী, দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় বসবাস করে। । ছোট বেলা থেকেই তারা ঢাকার উত্তরায় বসবাস করে। মাঝে মধ্যে গ্রামের বাড়িতে আসলেও দুই একদিন পর আবার চলে যেত। শিলাস্তির চলাফেরা উশৃংখল এবং বাড়ির বাইরে দিনের পর দিন সময় কাটানোর কারণে তাদের সাথে কথা বলা বাদ দিয়েছেন সেলিম মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন।
এসময় সেলিম মিয়া তার নাতির সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।

তিনি বলেন, মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি শিলাস্তি আসামী। যদি তিনি আসলেও জড়িত থাকেন, তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করছি।

স্থানীয় লোকজন জানায়, শিলাস্তি রহমান ও তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরেই ঢাকায় বসবাস করে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পরই শিলাস্তি রহমানের দাদার সম্পত্তি তার বাবা আরিফুর রহমান বিক্রি করে ঢাকায় চলে যায়। বাড়িটা থাকলেও তারা কেউ এখানে তেমন একটা আসে না।

এ বিষয়ে নাগরপুরের ধুবরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান খান বলেন, ‘ওরা অনেক আগে থেকেই ঢাকায় থাকে। কেউ সঠিকভাবে বলতেও পারে না যে শিলাস্তি কোথাকার। এখন আমরা জানতে পারলাম যে তার বাড়ি নাগরপুরে। গতকাল (শুক্রবার) পর্যন্তও বিষয়টি জানতাম না।

নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, ‘শিলাস্তি নামের মেয়েটি নাগরপুরের- এমন কোনো তথ্য এখনও পাইনি। তার বিষয়েও আর কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত আমার কাছে নেই। জানলে জানাতে পারব।’

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৬. মে ২০২৪ ০২:৩৫:এএম ৪ মাস আগে
নাগরপুরে নবনির্বাচিত প্রাথমিক  শিক্ষক নেতৃবৃন্দের শপথ অনুষ্ঠিত - Ekotar Kantho

নাগরপুরে নবনির্বাচিত প্রাথমিক শিক্ষক নেতৃবৃন্দের শপথ অনুষ্ঠিত

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে সদ্য অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি নাগরপুর উপজেলা শাখার নির্বাচনে বিজয়ী সকল শিক্ষক নেতৃবৃন্দদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) সকালে উপজেলা পরিষদ হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দরা এই শপথ বাক্য পাঠ করান।

এতে শিক্ষকদের সামগ্রিক কল্যাণ সাধন, শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে ভূমিকা রাখাসহ শিক্ষার পরিবেশের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়।

টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. সহিনুর রহমান খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মুহা. সাজ্জাদুর রহমান খোশনবীশের সঞ্চালনায় উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাগরপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাহী সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল মালেক, মিডিয়া সম্পাদক জি এম শামীম সুমন, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. বজলুর রহমান, সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, নির্বাহী সম্পাদক মো. রকিবুল ইসলাম রিপন, সহ সম্পাদক মরিয়ম খান মিলন, শিক্ষক নেতা নুর মোহাম্মদ বাবুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৯. মে ২০২৪ ০৩:১৬:এএম ৫ মাস আগে
দুধ দিয়ে গোসল করিয়ে মা ঘরে তুললেন নাবিক সাব্বিরকে - Ekotar Kantho

দুধ দিয়ে গোসল করিয়ে মা ঘরে তুললেন নাবিক সাব্বিরকে

একতার কণ্ঠঃ সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি টাঙ্গাইলের নাবিক সাব্বিরের বাড়িতে যেন ঈদের আনন্দ। জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়ার পর থেকেই তাঁকে কাছে পাওয়ার অপেক্ষা করছিল সাব্বিরের বৃদ্ধ মা-বাবা, বোন বন্ধুসহ স্বজনরা।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে টাঙ্গাইল শহরের আদালত পাড়া তার বোনের বাড়িতে পৌঁছালে সাব্বিরকে দুধ দিয়ে গোসল করিয়ে ঘরে তুলে নেন তাঁর মাসহ পরিবারের সদস্যরা।

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার ৬৫ দিন পর বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি ফিরেন সাব্বির।

সাব্বির বলেন, যখন জলদস্যুরা আমাদের জাহাজ তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়, তখন থেকে আমরা তাদের কাছে বন্দি ছিলাম। তবে জাহাজে আমরা যে যার কাজ ঠিকঠাক মতো করেছি, রোজা রেখেছি, নামাজও পড়েছি।

সাব্বির আরও বলেন, ‘ছাড়া পেয়ে সেই ঈদের আনন্দটাই আল্লাহ যেন এখন দিয়েছে। আমাদের ফিরিয়ে আনতে সিও স্যারসহ যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমকিা রেখেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

পরিবারে সাব্বিরকে ফিরে পেয়ে তাদের মধ্যে ঈদের আমেজ বিরাজ করছে। তাঁর ফিরে আসার খবর ছড়িয়ে পড়লে আত্মীয়স্বজন, বন্ধু ও প্রতিবেশীরা তাঁকে এক নজর দেখার জন্য বাড়িতে ভিড় জমায়।

সাব্বিরের বোন মিতু আক্তার বলেন, এখন আমার ভাই ফিরে এসেছে, আমরা অনেক খুশি।

প্রকাশ, গত (১৪ এপ্রিল) ভোরে জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হয় এম ভি আব্দুল্লাহ জাহাজসহ ২৩ নাবিক। এরপর জাহাজটি পৌঁছে দুবাই এর আল হামরিয়া বন্দরে। সেখান থেকে মিনা সাকার নামের আরেকটি বন্দরে চুনা পাথর ভর্তি করার পর চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। সব মিলিয়ে ৬৫ দিন পর মুক্ত হয়ে নাবিকরা বাংলাদেশে এসে স্বজনদের কাছে ফিরলেন।

সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে ভারত মহাসাগর থেকে জিম্মি হন বাংলাদেশি জাহাজ এম ভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিক। এদের মধ্যে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজলোর সহবতপুর ইউনিয়নের ডাঙা ধলাপাড়া গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে সাব্বিরও ছিলেন। শহরের কাগমারি সরকারি এম এম আলী কলেজ থেকে ২০১৬ সালে এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমিতে। সেখান থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে পাস করে সর্বশেষ ২০২২ সালের জুন মাসে এম ভি আব্দুল্লাহ নামক পণ্য বহনকারী একটি জাহাজে মার্চেন্ট কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি নেন তিনি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৭. মে ২০২৪ ০৩:৩১:এএম ৫ মাস আগে
টাঙ্গাইলের ২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাস করেনি কেউ! - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলের ২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাস করেনি কেউ!

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী ও নাগরপুর উপজেলার ২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ৩০ জন এবছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও কেউ পাস করতে পারেনি।

প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- কালিহাতী উপজেলার সোমজানি উচ্চ বিদ্যালয় ও নাগরপুর উপজেলার ইসলামাবাদ দারুচ্ছুন্নাহ আলিম মাদ্রাসা।

জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানাগেছে, সোমজানি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী ছিল ৩ জন ও নাগরপুরের ইসলামাবাদ দারুচ্ছুন্নাহ আলিম মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিল ২৭ জন। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া এসব শিক্ষার্থীর কেউ পাস করতে পারেনি।

স্থানীয়রা জানায়, ২০০৪ সালে সোমজানি গ্রামের ডা. ক্যাপ্টেন আব্দুল বাসেত তার নিজ নামে ‘ডা. ক্যাপ্টেন আব্দুল বাসেত ইবনে আইনউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করেন। শুরুতে এটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছিল। পরে উচ্চ বিদ্যালয় করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর ৭ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘ দিনেও এমপিওভুক্ত না হওয়ায় শিক্ষকরা নিয়মিত স্কুলে আসা বন্ধ করে দেন।

স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতা বিরোধী ভূমিকা পালন করেছেন- এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালে তার নাম স্কুল থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। নামকরণ করা হয় ‘সোমজানি উচ্চ বিদ্যালয়’। স্থানীয়দের ভাষায়, স্কুলে নিয়মিত ক্লাস হয় না। দুই চারজন শিক্ষার্থী এলেও শিক্ষকরা আসেন না।

স্কুলের শিক্ষক মো. মুছা মিয়া জানান, এমপিওভুক্ত না হওয়ায় কোনো শিক্ষক স্কুলে যান না। কাগজে কলমে তারা ওই স্কুলের শিক্ষক। কিন্তু বাস্তবে করোনাকালীন সময়ের পর থেকে কেউ স্কুলে যান না। মাঝে মধ্যে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক গিয়ে খোঁজ-খবর নেন।

তিনি আরও জানান, নিজে রতনগঞ্জ বাজারে ওষুধের দোকান করেন। অন্য শিক্ষকরা কেউ কোচিং সেন্টার অথবা অন্য কোনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েছেন।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রজ্জাক জানান, বিনা বেতনে শিক্ষকরা থাকতে চান না। এবার যে তিনজন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল তারা কর্মজীবী। তাই ভালো ফলাফল করতে পারেনি।

জেলা শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, এবার জেলায় এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৮২ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং শতভাগ পাস করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৪০টি। মাদ্রাসায় পাশের হার ৭৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং শতভাগ পাস করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২২টি।

এছাড়া টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার নরিল্যা আ. খা. মহিলা দাখিল মাদ্রাসা এবং গাড়াখালি বালিকা দাখিল মাদ্রাসার একজন শিক্ষার্থীও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি।

নাগরপুর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাদির আহমদ জানান, ইসলামাবাদ দারুচ্ছুন্নাহ আলিম মাদ্রাসার ২৭ শিক্ষার্থীর একজনও কেন পাস করলো না এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। যেহেতু তিনি নতুন যোগদান করেছেন- তাই প্রতিষ্ঠানের বিগত ফলাফলের বিষয়ে অবগত নন। প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যাখ্যা পাওয়ার পরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৫. মে ২০২৪ ০৩:৪৩:এএম ৫ মাস আগে
টাঙ্গাইলে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। শুক্রবার (১০ মে) সকালে উপজেলার বেকড়া ইউনিয়নের কাঠুরী গ্রামের এক ধান ক্ষেতের আইল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড নাকি নিছক দুর্ঘটনা এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

নিহত গৃহবধূর নাম অঞ্জনা বেগম (৪২)। সে উপজেলার বেকড়া ইউনিয়নের বারাপুষা গ্রামের মো. নজরুল ইসলামের স্ত্রী।

নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচএম জসীমউদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী বাহাদুর মিয়া জানান, শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে তার ধান ক্ষেতে পানি দেওয়ার জন্য শ্যালো মেশিন ঘরে যাওয়ার পথে ক্ষেতের আইলে একজন মহিলার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। পরে স্থানীয়দের খবর দিলে, তারা এসে পুলিশকে খবর দেয়।

নিহতের ছোট ছেলের স্ত্রী প্রিয়া আক্তার বলেন, বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল ১০টার দিকে বাবার বাড়ি যাওয়ার জন্য বেকড়া গ্রামের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন তার শাশুড়ি। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে খবর পান কাঠুরী গ্রামের নিজামুদ্দিনের বাড়ির পশ্চিম পাশের একটি ধান ক্ষেতের আইলে এক মহিলার মরদেহ পড়ে আছে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান আর শাশুড়ি মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন।

নিহতের স্বামী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে তিনি কাজে চলে যান। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে তার ছেলের বউয়ের কাছে তার শাশুড়ি কোথায় জানতে চাইলে বলে, অঞ্জনা (তার স্ত্রী) বাবার বাড়ি গেছেন। শুক্রবার সকালে খবর পাই আমরা স্ত্রীর মরদেহ ধান ক্ষেতের আইলে পড়ে আছে।

নিহত অঞ্জনা বেগমের পিতা মো. গনি মিয়া বলেন, আমার মেয়ে অঞ্জনা বৃহস্পতিবার তার বাড়ি বেকড়া গ্রামে যায়নি। শুক্রবার সকালে তার মৃত্যুর খবর পেয়ে ছুটে এসেছি।

নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচএম জসীমউদ্দীন জানান, স্থানীয়ভাবে খবর পেয়ে নিহত গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১১. মে ২০২৪ ০২:৫০:এএম ৫ মাস আগে
নাগরপুরে দুর্নীতি বিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন - Ekotar Kantho

নাগরপুরে দুর্নীতি বিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন

একতার কণ্ঠঃ”রুখবো দুর্নীতি, গরবো দেশ, হবে সোনার বাংলাদেশ” এই স্লোগানে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির যৌথ আয়োজনে এক বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (৬ মে) সকালে স্থানীয় নয়ানখান মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে এই বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সুজায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. নুর আলম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাদির আহম্মদ প্রমূখ।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদুন নাহার ভূইয়া, সদস্য জাহানারা আক্তার, মো. সালাউদ্দিন।

বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার কামরুল হাসান, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার নুরুলহুদা।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা নাগরপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি এস.এম আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক বাবু।

উল্লেখ্য, বির্তক প্রতিযোগিতায় চুড়ান্ত রাউন্ডে নয়ানখান মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় ও শহীদ শামছুল হক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হিসেবে বিচারকগণ শহীদ শামছুল হক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়কে ঘোষনা করেন। পরে বিজয়ীদের মধ্যে ক্রেস্ট, সনদ ও শিক্ষা উপকরন বিতরন করা হয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৭. মে ২০২৪ ০২:০৫:এএম ৫ মাস আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।