/ মূলপাতা / নাগরপুর
নিহত পুলিশ কনস্টেবল পারভেজের দাফন সম্পন্ন - Ekotar Kantho

নিহত পুলিশ কনস্টেবল পারভেজের দাফন সম্পন্ন

একতার কণ্ঠঃ ঢাকায় দায়িত্ব পালনকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজের মরদেহ রোববার (২৯ অক্টোবর) বিকালে তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা সদরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তার আদি বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারি ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ডের চরকাটারি গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের অসুস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সেকেন্দার আলী মোল্লার বড় ছেলে। তাদের বাড়ি যমুনা নদীতে ভেঙে যাওয়ায় তারা বর্তমানে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের ফয়েজপুর গ্রামে বসবাস করছেন।

পারিবারিক সিদ্ধান্তে রোববার সন্ধ্যায় দৌলতপুর উপজেলা সদর সামাজিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। এদিকে, স্থানীয় মতিলাল ডিগ্রি কলেজ মাঠে তার মরদেহ পৌঁছলে এক হৃদয় বিদারক ঘটনার অবতারণা হয়। তাকে শেষ বারের মতো এক নজর দেখতে শ’ শ’ মানুষ ভির জমায়। পরে ওই কলেজ মাঠে তার জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানাজা নামাজ চলছিল।

অপরদিকে, নিহত পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজের বর্তমান গ্রাম টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের ফয়েজপুরে এখনও শোকের মাতম চলছে।

নিহত পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজের চাচা ও টাঙ্গাইলের বাসাইল থানার এসআই ওয়াজেদ আলী জানান, নিহত পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজদের বাড়ি ২০১১ সালের দিকে যমুনা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যায়। পরে পরিবারসহ টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের ফয়েজপুর গ্রামে বাড়ি করেন। তার স্ত্রীর নাম রুমা ও সাত বছর বয়সী মেয়ের নাম তানহা ইসলাম। তিনি স্ত্রী ও কন্যা সন্তান নিয়ে ঢাকায় থাকতেন।

নিহত পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজের স্ত্রী রুমা আক্তার স্বামীর মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন। তিনি কোন কথা বলছেন না, মাঝে মধ্যে মেয়ে তানহাকে জড়িয়ে ধরে অঝোর ধারায় চোখের পানি ফেলছেন।

নাগরপুরের দপ্তিয়র ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য গোলাম রাব্বানী জানান, আমিরুল ইসলাম পারভেজরা তার এলাকার ভোটার নয়। বসবাস করার সুবাদে তার সম্পর্কে জানতেন, তিনি অত্যন্ত সাদাসিধে মানুষ ছিলেন। কখনও কারো সাতে-পাঁচে তাকে দেখা যায়নি। তিনি একজন দেশপ্রেমিক নাগরিক ছিলেন। বীরমুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করতেন।

দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নিহত পুলিশ কনস্টেবল পারভেজের বাবা একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা। পারভেজ ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মানিকগঞ্জের ঠিকানায় পুলিশের চাকুরিতে যোগদান করেন। তারা দুই ভাই এক বোন।

ছোট ভাইয়ের নাম আজিজুল হক বিপ্লব। তবে বর্তমানে তার পরিবার টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের ফয়েজপুর গ্রামের বসবাস করলেও তারা এখনও চরকাটারি ইউনিয়নের ভোটার।

প্রসঙ্গত, শনিবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকার দৈনিক বাংলার মোড় এলাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে পারভেজ আহত হয়। বিকাল ৪টার পর গুরুতর আহতাবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৩০. অক্টোবর ২০২৩ ০৩:১৯:এএম ১ মাস আগে
বিএনপি’র সমাবেশে সংর্ঘষে নিহত পুলিশ সদস্যের টাঙ্গাইলের বাড়িতে শোকের মাতম - Ekotar Kantho

বিএনপি’র সমাবেশে সংর্ঘষে নিহত পুলিশ সদস্যের টাঙ্গাইলের বাড়িতে শোকের মাতম

একতার কণ্ঠঃ রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড়ে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষে নিহত পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলাম পারভেজের (৩৩) গ্রামের বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। সে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের ফয়েজপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সেকান্দর মন্ডলের ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দা মাছুম বলেন, তার গ্রামের বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা ও ভাই থাকেন। মা ও ভাই কান্নাকাটি করছেন। বাড়িতে শোকের মাতম চলছে।

জানা গেছে, নিহত পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলাম পারভেজ ২০০৯ সালে পুলিশে যোগ দেন। তারা দুই ভাই। চাকুরির সুবাদে পারভেজ পরিবার নিয়ে ঢাকাতেই থাকেন। গ্রামের বাড়িতে তার বৃদ্ধ বাবা-মা ও ভাই থাকে। ২০১২ সালে তিনি বিয়ে করেন। তাদের ঘরে ৬ বছর বয়সী তানহা ইসলাম নামের একজন কন্যা সন্তান রয়েছে।

উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম ফিরোজ সিদ্দিকী বলেন, সংঘর্ষে নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। ওই পুলিশ সদস্যের বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার ছিল। কিন্তু নদী ভাঙনে তাদের বসতভিটা হারিয়ে পার্শবতী দপ্তিয়র ইউনিয়নের ফয়েজপুর গ্রামে বসবাস করেন। ফয়েজপুরে বসবাস গড়ে তুললেও এখনও তারা দৌলতপুর এলাকার ভোটার।

জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ওই পুলিশ সদস্যের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকায় জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে আনা হবে। নিহতের পরিবার যেভাবে চাইবে সেইভাবে হবে।তার জানাযা নামাজ ও তার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোসহ সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া মরহুমের শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৯. অক্টোবর ২০২৩ ০৩:০৭:এএম ১ মাস আগে
টাঙ্গাইলে ডেঙ্গু জ্বরে গৃহবধূর মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৪২ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ডেঙ্গু জ্বরে গৃহবধূর মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৪২

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ডেঙ্গুজ্বরে মাকসুদা(৪৩) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। তিনি নাগরপুর উপজেলার বাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।

এ নিয়ে এ মৌসুমে টাঙ্গাইলে ১৩ জন ডেঙ্গুজ্বরে মৃত্যুবরণ করেছে। টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪২ জন রোগী ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। জেলায় এ পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা চার হাজার ১৯২ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৯ জন ডেঙ্গু রোগী।

এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন চার হাজার ১৭ জন ডেঙ্গু রোগী। এ পর্যন্ত আক্রান্তদের মধ্যে ১৩ জন ডেঙ্গু রোগী মারা গেছেন।

তিনি আরও জানান, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ১৭ জন, নাগরপুরে ৩ জন, মির্জাপুরে ১২ জন, মধুপুরে ৪ জন ও ধনবাড়ী উপজেলায় ৬ জন রয়েছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৮. অক্টোবর ২০২৩ ০১:৫১:এএম ২ মাস আগে
নাগরপুরে জনসভাকে ঘিরে প্রকাশ্যে এলো এমপি-উপজেলা আ’লীগের দ্বন্দ্ব - Ekotar Kantho

নাগরপুরে জনসভাকে ঘিরে প্রকাশ্যে এলো এমপি-উপজেলা আ’লীগের দ্বন্দ্ব

একতার কণ্ঠঃ কৃষিমন্ত্রী ও জেলার সকল সংসদ সদস্য (এমপি) এবং জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে নিজ নির্বাচনী এলাকা টাঙ্গাইলের নাগরপুরে রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে নাগরপুর কলেজ মাঠে জনসমাবেশ করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু। উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে সমাবেশ করেছেন তিনি। কিন্তু সেখানে যাননি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বেশিরভাগ নেতৃবৃন্দ। সংসদীয় আসনের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও ছিলেন অনুপস্থিত। উপজেলা আওয়ামী লীগ ও দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের জনসভায় অনুপস্থিতি তৃণমুল নেতাকর্মীদের হতাশ করেছে। জনসভার পাশাপাশি এটাও ছিলো সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঝে ছিলো আলোচনার বিষয়বস্তু। এরমধ্য দিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের দ্ব›দ্ব এতদিন অপ্রকাশ্যে থাকলেও রবিবারের জনসভার মধ্যে দিয়ে তা প্রকাশ্যে এলো। জনসভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ৯নং সহ-সভাপতি মো. আনিছুর রহমান ও অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ৩ নং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল আলীম দুলাল। যা ছিলো অত্যান্ত দৃষ্টিকটু।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটুর সঙ্গে দ্বন্দ্ব রয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ শীর্ষ নেতাদের। সেইসঙ্গে এই আসনের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তারেক শামস খান হিমু ও ইনসাফ আলী ওসমানী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকিরুল ইসলাম উইলিয়ামের সঙ্গেও দ্বন্দ্ব রয়েছে। তারা সবাই একাট্টা হয়েছেন সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলামের বিরুদ্ধে। গত কয়েক বছর ধরে সংসদ সদস্যের সঙ্গে তাদের মুখ দেখাদেখি বন্ধ। সংসদ সদস্য তার নিজের অনুসারীদের নিয়ে দলীয় কর্মসূচি পালন করেন। অপরদিকে, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ পৃথকভাবে কর্মসূচি পরিচালনা করেন।

সম্প্রতি জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নাগরপুরে সমাবেশ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আগামী অক্টোবরে প্রথম সপ্তাহে সমাবেশ করার জন্য প্রস্তাব দেন। তারা এই প্রস্তাবের কথা কৃষিমন্ত্রী ড.আব্দুর রাজ্জাক ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের জানান। উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খালিদ হোসেন জানান, এই প্রস্তাব অগ্রায্য করে সংসদ সদস্য কৃষিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে ১৭ সেপ্টেম্বর সমাবেশের তারিখ নির্ধারণ করেন। ব্যানারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদককে সঞ্চলনার দায়িত্ব দিয়ে নাম লেখা হলেও তিনি কারও সঙ্গে সমন্বয় না করে একাই সমাবেশের প্রচারণা শুরু করেন। তখন অন্য সবাই এ সমাবেশ বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেন।

স্থানীয়রা জানান, এই সমাবেশ কেন্দ্র করে নাগরপুরের রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জণ উঠেছিল উপজেলা আওয়ামী লীগ, সকল মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতা ও সংসদ সদস্যের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব রয়েছে তার অবসান ঘটবে। কিন্তু সমাবেশের মধ্য দিয়ে দ্বন্দ্ব আরও চরমে পৌঁছালো। তারা এই দুই পক্ষের দ্বন্দ্বর কারণে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।

নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুদরত আলী বলেন, সংসদ সদস্য রোববার যে সমাবেশ করলেন তার সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের কোন প্রকার সম্পর্ক নেই। সমাবেশের বিষয়ে তিনি কারও সঙ্গে সমন্বয় করেননি। এমপি হওয়ার পর থেকে তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের এড়িয়ে চলেন। তিনি বিএনপি ও জামায়াতের লোকদের নিয়ে রাজনীতি করেন। কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতাদের ম্যানেজ করে তিনি এই সমাবেশ করেছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগ পরবর্তীতে সমাবেশ করবেন বলেও তিনি জানান।

জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তারেক শামস্ হিমু বলেন, দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে দল পরিচালা করবেন উপজেলা আওয়ামীলীগ। উন্নয়নমুলক কর্মকান্ড পরিচালানা করবেন স্থানীয় এমপি। কিন্তু স্থানীয় এমপি উপজেলা আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে এককভাবে নিজের মত করে বিভিন্ন কর্মসুচী পালন করছে। রোববারের জনসভাটি এমপির একক সিদ্ধান্তে আয়োজন করায় উপজেলা আওয়ামী লীগসহ দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা জনসভায় উপস্থিত হয়নি। এতে সাধারণ ভোটারসহ তৃণমুল কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু জনসভায় বলেন, নাগরপুরের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ, নাগরপুর আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ আজ ঐক্যবদ্ধ ও অভিন্ন আছে। গুটি কয়েকজন মানুষ এখানে উপস্থিত নাই। আমি আশাকরি এখানে উপস্থিত টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ দায়িত্বপুর্ন সিদ্ধান্ত গ্রহনের মাধ্যমে উপজেলা আওয়ামী লীগ যেন ঐক্যবদ্ধভাবে আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কাজ করতে পারে সেই ব্যবস্থা নিবেন।

সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক। উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান।

উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক আব্দুল আলীমের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম, সংসদ সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেন, সংসদ সদস্য হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারী, সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান, সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ, সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু, সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনি, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খন্দকার আশরাফুজ্জামান স্মৃতি, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জামিলুর রহমান মিরন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুন, দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার ফজলুল হক প্রমুখ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৯. সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৩:২৭:এএম ৩ মাস আগে
টাঙ্গাইলে ডেঙ্গুতে আরো ১ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৪২ জন - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ডেঙ্গুতে আরো ১ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৪২ জন

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই রোগীর মৃত্যু হয় ব‌লে নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন জেলা সি‌ভিল সার্জন ডা. মিনহাজ উদ্দিন মিয়া।

এদি‌কে জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৪২ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সু‌ত্রে জানা গে‌ছে, জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৪২ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ১৬ জন, নাগরপুর উপজেলায় ৪ জন, দেলদুয়ার উপজেলায় ১ জন, মির্জাপুর উপজেলায় ৮ জন, ঘাটাইল উপজেলায় ২ জন, মধুপুর উপজেলায় ৪ জন, গোপালপুর উপজেলায় ৩ জন ও ধনবাড়ী উপজেলায় রয়েছেন ৪ জন।

এ পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৫৬ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ১০ জন। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৪৬ জন রোগী। এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মোট ২ জন মৃত্যুবরণ করছেন

জেলা সি‌ভিল সার্জন ডা. মিনহাজ উদ্দিন মিয়া জানান, নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৮০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। বার্ধক্য জনিত নানা সমস্যাসহ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। এছাড়া জেলায় প্রতি‌দিনই ডেঙ্গু রো‌গের সংখ‌্যা বাড়‌ছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৮. অগাস্ট ২০২৩ ০২:২৩:এএম ৪ মাস আগে
নাগরপুর উপজেলা আ.লীগের উদ্যোগে শোক দিবস পালিত - Ekotar Kantho

নাগরপুর উপজেলা আ.লীগের উদ্যোগে শোক দিবস পালিত

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে দিনভর নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) ভোরে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি সরকারি যদুনাথ স্কুল মাঠ প্রাঙ্গনে শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, উপজেলা স্মারক ৭১ প্রাঙ্গনে পুস্পস্তবক অর্পণ, শোক র‍্যালি, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও অসহায় সাধারণ মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

নাগরপুর উপজেলা আ.লীগ সভাপতি মো: জাকিরুল ইসলাম উইলিয়াম এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো: কুদরত আলী’র সঞ্চালনায় উল্লেখিত কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন নাগরপুর উপজেলা আ.লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার, সহ সভাপতি মতিয়ার রহমান মতি, সম্মানিত সদস্য এটি এম আনিসুজ্জামান বুলবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নাজমুল হক তপন, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক ভিপি বি এম এম জহুরুল আমিন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খালিদ হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক শাজাহান সিরাজ পান্না, শিক্ষা ও মানব সম্পদ আব্দুর রাজ্জাক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মোকনা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শরিফুল ইসলাম, মামুদনগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জজ কামাল, সম্মানিত সদস্য মোঃ আওলাদ হোসেন লিটন, মোঃ হামিদুর রহমান লালন, মোঃ হাশেম মিয়া, মোহাম্মদ শামীম খান, নাগরপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড উপদেষ্টা খন্দকার আছাব মাহমুদ, নাগরপুর জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা’র সাধারণ সম্পাদক মো. আজিজুল হক বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম রাশেদ, কোষাধ্যক্ষ রিপন কুমার সাহা, সদস্য গোপাল সরকার, নাগরপুর প্রেসক্লাব সদস্য ইউসুফ হোসেন লেনিন সহ উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৬. অগাস্ট ২০২৩ ০৪:১৬:এএম ৪ মাস আগে
নাগরপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর হস্তান্তর উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন - Ekotar Kantho

নাগরপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর হস্তান্তর উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ৪র্থ পর্যায়ে (২য় ধাপ) ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমি সহ বরাদ্দকৃত ঘর সমূহ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন ও হস্তান্তর উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় ও সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ওয়াহিদুজ্জামান জানায়, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় বুধবার (৯ আগস্ট) নাগরপুরে তিনটি ইউনিয়নে মোট ৩৮ টি ঘর হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। এসব উপকার ভোগীদের মাঝে জমির দলিলসহ বাড়ির চাবিও হস্তান্তর করা হবে। ইতোমধ্যে সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রণয়ন শেষে তাদের অনুকূলে দলিলের নাম খারিজের কাজ শেষ হয়েছে।

উক্ত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, নাগরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন, প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু বক্কর, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা’র সাধারণ সম্পাদক মো. আজিজুল হক বাবু, নাগরপুর প্রেসক্লাবের সদস্য খালেদ মাহমুদ সুজন, ইউসুফ হোসেন লেনিন, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা’র সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আশরাফুল হক বাবু, প্রচার সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ রিপন কুমার সাহা সহ উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দরা।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৯. অগাস্ট ২০২৩ ০২:০১:এএম ৪ মাস আগে
টাঙ্গাইলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য টিটুর মতবিনিময় - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য টিটুর মতবিনিময়

একতার কণ্ঠঃ: টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটুর মতবিনিময় ও প্রেসক্লাব মিলনায়তনের তিনটি সাউন্ড সিস্টেমের উদ্বোধন করা হয়েছে।

শনিবার (৫ আগষ্ট) দুপুরে প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু কনভেনশন সেন্টারে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু।

টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, জেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সহ-সভাপতি খন্দকার আশরাফুজ্জামান স্মৃতি, দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মারুফ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ফজলুল হক বীর প্রতীক, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আবুল কালাম আজাদ বীর বিক্রম, নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি )সাজ্জাদ হোসেন প্রমূখ।

পরে অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র বিশিষ্ট ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপটেন শেখ কামালের ৭৪ তম জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা হয়। কেক কাটা শেষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু মধ্যাহ্ন ভোজে অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় টাঙ্গাইল জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক এবং নাগরপুর ও দেলদুয়ার উপজেলার আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৬. অগাস্ট ২০২৩ ১২:৩৫:এএম ৪ মাস আগে
প্রবাসীর স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু, কিশোরী কন্যা নিখোঁজ - Ekotar Kantho

প্রবাসীর স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু, কিশোরী কন্যা নিখোঁজ

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে এক প্রবাসীর স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। রবিবার ( ২ জুলাই ) বিকালে নাগরপুর উপজেলা সদরের কলেজ পাড়া এলাকায় নিজ বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম শাহনাজ আক্তার (৪৫)। তিনি উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের সলিমাবাদ গ্রামের সৌদী প্রবাসী মোশারফ হোসেনের স্ত্রী।

ঘটনার পর থেকে নিহতের কিশোরী কন্যা ফারজানা আক্তার (১৫) নিখোঁজ রয়েছে।

নিহতের পিতা আব্দুল বাতেন জানান, আমার মেয়ের জামাই অনেক বছর ধরে সৌদী প্রবাসী। তাঁর দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। এক ছেলে প্রবাসী, অপর ছেলে ঢাকায় চাকরি করে। মেয়ে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে। মেয়েকে নিয়ে উপজেলা সদরের নিজেদের চারতলা বাড়ির চারতলায় বসবাস করত শাহনাজ । আমার জানা মতে মেয়ে ও নাতীদের সাথে কারো কখনও ঝগড়া বিবাদ ছিল না। কিভাবে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটল কিছুই বুঝতে পারছি না। শনিবার (১ জুলাই) বিকালে মেয়ের সাথে কথা হয়েছে। ফজরের নামাজের পর মেয়েকে ফোন দিয়ে আর পায়নি। দুপুরে তার মৃত্যুর খবর পাই। ঘটনার পর থেকে নাতনিও নিখোঁজ রয়েছে।

তিনি আরও জানান, তবে কেউ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে নাতনিকে তুলে নিয়ে গেছে বলে সন্দেহ হচ্ছে। আমি পুলিশের কাছে এই ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও নিখোঁজ নাতনীকে দ্রুত উদ্ধারের জোর দাবি জানাচ্ছি।

ওই বাসার ভারাটিয়া অপু আক্তার বলেন, দুপুরে চারতলায় পানি আনতে গিয়ে দেখতে পাই চার তলার দরজা খোলা। শাহনাজ আপার লাশ খাটের উপর পরে রয়েছে। তাঁর মেয়ে রুমে নেই। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান, খবর পেয়ে দুপুরে নিহতের লাশ উদ্বার করে পুলিশ। নিহতের গলায় ফাঁস লাগানোর চিহৃ রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে থানায় কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৩. জুলাই ২০২৩ ০৩:৩৬:এএম ৫ মাস আগে
নাগরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু - Ekotar Kantho

নাগরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে গাছ কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মো. তারা মিয়া (২৮) নামের এক শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

বুধবার (২১ জুন) বিকালে নাগরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের চরকাঠুরী এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহত তারা মিয়া উপজেলার কাঁচপাই গ্রামের আফছার শেখের ছেলে।

জানা যায়, বুধবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে পল্লী বিদ্যুতের লাইন চালু থাকা অবস্থায় কাঠ ব্যবসায়ী রফিক চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক দিয়ে গাছ কাটতে ছিলেন। হঠাৎ করেই বিদ্যুৎদের তারের ওপর গাছের ঢাল পড়ে সাথে সাথেই শরীর বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনা স্থলেই মারা যায় তারা মিয়া। গাছের সাথে ঝুলে থাকে তার লাশ। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোক এসে নিহতের লাশ নিচে নামিয়ে আনেন। আহত অপর দুইজনকে নাগরপুর হাসপাতালে চিৎকিসার জন্য পাঠানো হয়। আহত ব্যক্তিদের নাম ঠিকানা জানা যায়নি।

টাঙ্গাইল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নাগরপুর জোনাল অফিসের কর্মকর্তা মোহাম্মদ মেশবাহুল হক জানান, গাছ কাটার বিষয়ে আমাদের অবহিত করা হয়নি।

নাগরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন অফিসার মো. মেহেদী হাসান বলেন, বিকেল ৫টার দিকে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে নিহতের লাশ গাছ থেকে নিচে নামিয়ে আনা হয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২২. জুন ২০২৩ ০৩:৩৬:এএম ৬ মাস আগে
টাঙ্গাইল-আরিচা মহাসড়ক উন্নয়নে কাটা হচ্ছে শতবর্ষীসহ ২ হাজার ৩৭৯ গাছ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল-আরিচা মহাসড়ক উন্নয়নে কাটা হচ্ছে শতবর্ষীসহ ২ হাজার ৩৭৯ গাছ

একতার কণ্ঠঃ: টাঙ্গাইল-আরিচা মহাসড়ক উন্নয়ন কাজের জন্য কাটা হচ্ছে রাস্তার পাশের ২ হাজার ৩৭৯টি গাছ। ইতোমধ্যে এর বেশকিছু গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। বাকিগুলো কাটা চলছে।

সরজমিনে দেখা যায়, টাঙ্গাইল শহরের কাগমারী মোড় থেকে শ্মশান ঘাট পর্যন্ত রাস্তার দুপাশে গাছ কাটা চলছে। এর মধ্যে শতবর্ষী আম, মেহগনি ও বট গাছও রয়েছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত ৫৯ দশমিক ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৩৩ ফুট প্রশস্ত মহাসড়ক উন্নীতকরণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। যার মধ্যে টাঙ্গাইল অংশের দৈর্ঘ্য ৪০ কিলোমিটার এবং মানিকগঞ্জ অংশের দৈর্ঘ্য ১৮ দশমিক ৫০ কিলোমিটার। এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা। উল্লিখিত মহাসড়কটি ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আজাদ খান ভাসানী বলেন, উন্নয়নের বলিতে কাটা পড়া গাছগুলোর মধ্যে জমিদারী আমলের বহু প্রাচীন গাছ রয়েছে। গাছগুলো দীর্ঘকাল মানুষকে বন্ধুর মতো সুমিষ্ট ফল এবং সুশীতল ছায়া দিয়ে আসছিল। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এই পুরনো গাছগুলো আর দেখতে পাবে না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা যে পরিমাণ বাড়ছে তাতে দেশ যে ক্রমশ মরুকরণের দিকে যাচ্ছে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। অপরদিকে নির্বিচারে কেটে ফেলা হচ্ছে গাছ। সুতরাং পরিবেশের স্বার্থে ভবিষ্যতে যে কোনো উন্নয়ন পরিকল্পনা গাছ রেখেই যাতে বাস্তবায়ন করা যায় সে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সচেষ্ট থাকতে হবে।

টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আলিউল হোসেন জানান, মহাসড়ক প্রশস্তকরণের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে এবং এই কাজের জন্য গাছগুলো কাটা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বৃক্ষপালন বিভাগ ইতোমধ্যে টেন্ডারের মাধ্যমে গাছগুলো বিক্রি করেছে।

বৃক্ষপালন বিভাগের নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মুকুট আবু সাঈদ বলেন, মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দেলদুয়ার-লাউহাটি-সাটুরিয়া সড়কে কাটা হচ্ছে ১ হাজার ৩৭০টি গাছ। এগুলোর জরিপ মূল্য ধরা হয়েছিল ১৬ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। আর টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি হয়েছে ২১ লাখ ৬০ হাজার টাকায়।

অপরদিকে একই প্রকল্পের আওতায় আরিচা-ঘিওর-দৌলতপুর–নাগরপুর সড়কে কাটা হচ্ছে ১ হাজার ৯টি গাছ। এগুলোর জরিপ মূল্য ধরা হয়েছিলো ১৯ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি হয়েছে ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকায়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৭. জুন ২০২৩ ০৩:১৯:এএম ৬ মাস আগে
নজির আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি-প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ বাণিজ্য - Ekotar Kantho

নজির আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি-প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ বাণিজ্য

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের নজির আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্মচারী পদে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের নিকট আত্মীয়দের স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির চারটি শূন্যপদের বিপরীতে এই নিয়োগ দেয়া হয়।

এর মধ্যে তিনটি পদে সভাপতি রঞ্জু আহমেদের বোন-ভগ্নি জামাই এবং প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমানের ছেলেকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

স্বজনপ্রীতি ও অনিয়ম করে এ নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী ও ম্যানেজিং কমিটির ৪ সদস্যরা।

এ ঘটনায় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচিত ৪ সদস্য মো. বাবুল আক্তার, মো. সাজ্জত হোসেন, এম আজিজুল হক পান্না ও মো. জমির উদ্দিন মাস্টার বাদি হয়ে ঢাকা হাই কোর্টে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন জানিয়ে ২ জনকে বিবাদি করে একটি মামলা দ্বায়ের করেছেন।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. বাবুল আক্তারসহ আরো ৩ সদস্য।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষকের ছেলে মো. হাফিজুর ইসলাম স্কুলের কম্পিউটার ল্যাব সহকারী পদে নিয়োগ পেয়েছেন। আর আয়া পদে সভাপতি রঞ্জু আহমেদের বোন মোছা. খালেদা ও পরিছন্নীকর্মী পদে ভগ্নি জামাই মো. মাহাবুর রহমানকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তাকর্মী পদে মো. ছানোয়ার হোসেনকে নিয়োগ দেয়া হয়।

অভিযোগ সুত্রে আরো জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সভাপতি রঞ্জু আহমেদের মদদে অনিয়ম করে যাচ্ছেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমান। সভাপতির আস্থাভাজন প্রধান শিক্ষক চারটি পদে জনবল নিয়োগ দিয়ে প্রায় ১৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। চারটি পদে নিয়োগ পেতে ৮০ জন প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে মাত্র ১৭-১৮ জন আবেদনকারীকে পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের সুযোগ দেয়া হয়। প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির কারসাজিতে গত ১৬ এপ্রিল পাতানো নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন বিকেলেই চুড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এছাড়াও বিদ্যালয়ের ৩ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীর নিকট উপবৃত্তির কথা বলে টাকা নেওয়া এবং করোনাকালীন সময়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

বিদ্যালয়ের জমি দাতা নজির আলীর ছেলে মো. দুলাল হোসেন ওই প্রতিষ্ঠানে কর্মচারী পদে নিয়োগের আবেদন করেছিলেন। তিনি জানান, নিয়োগের জন্য মোটা অংকের টাকা দাবি করেছিলেন প্রধান শিক্ষক। টাকা না দেয়ায় প্রবেশ পত্রে রোল নম্বর ও পরীক্ষা কেন্দ্রের নাম উল্লেখ ছাড়াই প্রবেশপত্র দেয়া হয়। ফলে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারেননি তিনি। এমন অভিযোগ করেন আরো বেশ কয়েকজন প্রার্থী।

পরিক্ষার্থী সবেজ আলীর বড় ভাই ছলিম হোসেন জানান, আমার ভাইয়ের চাকুরীর বিষয়ে প্রধান শিক্ষক প্রথমে ৭ লাখ টাকা দাবি করে। আমি নগদ ১ লাখ টাকা প্রধান শিক্ষককে দেই । টাকার গ্যারান্টি হিসেবে ওই প্রধান শিক্ষক ১ লাখ টাকার চেক দেয় আমাকে। পরবর্তীতে ১০ লাখ টাকা দাবি করাতে আমি টাকা দিতে অস্বীকার করলে আমার ভাইয়ের চাকুরী হয়নি। নগদ ১ লাখ টাকাও ফেরৎ দিচ্ছেনা ওই প্রধান শিক্ষক।

দপ্তিয়র উচ্চ বিদ্যালয়ের তিন বারের নির্বাচিত সাবেক সভাপতি মো. মর্তুজ আলী জানান, নিয়ম বর্হিভুতভাবে কিছু দিন পুর্বে বিদ্যালয়ের শুন্য তিনটি পদের বিপরীতে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির আত্মীয় স্বজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টি একটি পরিবারতন্ত্রের মাধ্যমে চলছে। যতদ্রুত সম্ভব এই পরিবারতন্ত্র থেকে বিদ্যালয়কে বের করে আনা যাবে তত দ্রুতই বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান বাড়বে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে নজির আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমান মুঠোফোনে জানান, স্বার্থ উদ্ধার না হওয়ায় তারা অনিয়মের কথা তুলছেন। এছাড়াও আমার ছেলে পরীক্ষায় পাস করেছে, নিয়ম অনুযায়ী তার চাকরি হয়েছে।

বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও দপ্তিয়র ইউয়িন আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক মো.রঞ্জু আহামেদ জানান, আমার বোন খালেদা ও ভাগ্নি জামাই মো. মাহাবুর হোসেন তাদের মেধায় চাকরী পেয়েছেন। কোনো অনিয়ম হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে দপ্তিয়র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম ফিরোজ সিদ্দিকী জানান, ইতোমধ্যে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ব্যাপারটি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় চলছে। আমি বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রশাসন ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের ( শিক্ষা ও আইসিটি) সাথে পরামর্শ করে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

নাগরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শাহীনুর ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে। সুতরাং এবিষয়ে কোন মন্তব্য করা উচিত হবেনা বলে জানান তিনি।

তিনি আরোও বলেন, আদালতের রায় অনুযায়ী পরবর্তী করনীয় নির্ধারণ করা হবে।

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( শিক্ষা ও আইসিটি) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম সুজন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কাছে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৩. মে ২০২৩ ০৩:৫১:এএম ৭ মাস আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।