/ হোম / নাগরপুর
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চোর সন্দেহে ছানোয়ার হোসেন (৩৭) নামে একজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ১ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে শহরের কোদালিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতের যুবককে নাম সাইফুল্লাহ সিরাজ(২৭)ওরফে সোহাগ। সে টাঙ্গাইল পৌরসভার কোদালিয়া এলাকার সিরাজুল হকের ছেলে। সাইফুল্লাহ সিরাজের গ্রামের বাড়ি জেলার নাগরপুর উপজেলায়। সিরাজ কোদালিয়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন বলে জানা গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীর আহমেদ।

এর পুর্বে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নিহত ছানোয়ার হোসেনের পিতা হাসমত আলী বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দিনে-দুপুরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মতো জায়গায় চুরির অভিযোগে একজন যুবকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় শহরের ব্যাপক চাঞ্চল্য ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে।

টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীর আহমেদ জানান, নিহতের পিতা হাসমত আলী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে অজ্ঞাত ৮/ ১০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে সাইফুল্লাহ সিরাজ(২৭)ওরফে সোহাগকে সনাক্তকরণের পর শনিবার রাতে শহরের কোদালিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরো জানান, রবিবার(১৯ জানুয়ারি )সকালে সাইফুল্লাহ সিরাজের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে টাঙ্গাইল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য,বৃহস্পতিবার(১৬ জানুয়ারি) বিকালে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার মেডিসিন ওয়ার্ড (মহিলা) থেকে ৮/ ১০ জন যুবক নিহত ছানোয়ার হোসেনকে জোর করে ধরে এনে চোর বলে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এ সময় ছানোয়ার হোসেন জীবন বাঁচাতে যুবকদের হাতে পায়ে ধরে রক্ষা পায়নি। এমনকি ছানোয়ার হোসেনকে বাঁচাতে হাসপাতালের কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে ছানোয়ার হোসেন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লে যুবকরা পালিয়ে যায়।নিহত ছানোয়ার হোসেন জেলার মধুপুর উপজেলার গোলাবাড়ী ইউনিয়নের ভট্টবাড়ী গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে‌ । সে শহরের আকুর-টাকুর পাড়ায় জনৈক পায়েলের বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতো।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২০. জানুয়ারী ২০২৫ ১২:৩১:এএম ৪ সপ্তাহ আগে
যারাই ক্ষমতায় এসেছে তারা মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারেনি- ফয়জুল করীম - Ekotar Kantho

যারাই ক্ষমতায় এসেছে তারা মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারেনি- ফয়জুল করীম

একতার কণ্ঠঃ ছাত্র জনতার গণবিপ্লবে ঘটিত গণহত্যার বিচার,দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার, অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও তাদেরকে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করা,সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে (PR) জাতীয় সংসদ নির্বাচন,  ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির প্রত্যাশা পূরণে ইসলামভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে গণসমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিকালে নাগরপুর সরকারি কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নাগরপুর উপজেলা শাখা এই গণসমাবেশের আয়োজন করে।

এ উপলক্ষে দুপুরের পর থেকে ইসলামী আন্দোলনের সমর্থকরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে সভাস্থলে উপস্থিত হতে থাকে। পরে বিকালে নাগরপুর সরকারি কলেজ মাঠ লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।

গণসমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, ১৯৭১ সালের পর থেকে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারেনি। শাসন, শোষণ, নির্যাতন, নিপীড়ন এবং লুটতরাজের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করে রেখেছিল। তারা দুর্নীতিতে পরপর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরবর্জন দেখেছেন। অবশেষে ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে এদেশের মানুষ আবার দেশ স্বাধীন করেছে।

ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির আরও বলেন, কেবলমাত্র দল ও নেতা পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশের শান্তি আসতে পারে না। যতদিন পর্যন্ত ন্যায়, নীতির পরিবর্তন আসবে না, ততদিন পর্যন্ত দেশের মানুষের শান্তি শৃঙ্খলা এবং আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারবে না

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ,নাগরপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ বাবুল হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মুফতি আব্দুর রাজ্জাক এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম, শায়খে চরমোনাই।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব আকরাম আলী, সেক্রেটারি মোহাম্মদ আখিনুর মিয়া, সদস্য হাফেজ মাওলানা রেজাউল করীম ও আলহাজ্ব মাওলানা আলী আকবর নাগরপুরী প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারা দেশে ইসলামী আন্দোলন এ ধরনের গণ সমাবেশের আয়োজন করছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৫. নভেম্বর ২০২৪ ০২:২৩:এএম ৩ মাস আগে
প্রাচীন স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন সলিমাবাদ তেবাড়িয়া জামে মসজিদ - Ekotar Kantho

প্রাচীন স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন সলিমাবাদ তেবাড়িয়া জামে মসজিদ

একতার কন্ঠঃ মসজিদে দান করলেই পূরণ হয় মনের বাসনা এবং পাশের পুকুরে গিয়ে বলে এলেই ভেসে ওঠে পিতলের থালা-বাসন। এছাড়াও রাতের আঁধারে এতে নামাজ পড়তে আসে জ্বীন’রা! এমন সব আলোচিত ধারণা প্রচলিত আছে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের তেবাড়িয়া গ্রামে অবস্থিত প্রায় ৪০০ শত বছরের পুরাতন মসজিদকে ঘিরে।

মোঘল আমলে নির্মিত এই মসজিদ ঘিরে রয়েছে নানা রহস্য, যমুনা নদীর ভাঙ্গনে পুরো এলাকা বিলীন হলেও অক্ষত রয়েছে এই অলৌকিক আল্লাহ’র ঘর। নদীর স্রোত আর ঢেউয়ের প্রখরতায় মসজিদটি দোলতে থাকে কিন্তুু ভেঙে যায় না বলে দাবি স্থানীয়দের।

মসজিদটির নির্মাণ লগ্ন থেকে একটি দৃষ্টি নন্দন বড় গম্বুজ সহ চার পাশে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ১২ টি মিনার ও উত্তর-দক্ষিন দিকে দুইটি দৃষ্টি নন্দন ঘর রয়েছে। যেখানে বিশ্বাসী জনসাধারণ দাঁড়িয়ে মানত করেন হাঁস-মুরগী ও গরু-ছাগল থেকে শুরু করে স্বর্ণ সহ নগদ টাকার বিনিময়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইতিহাস-ঐতিহ্য সমৃদ্ধ তেবাড়িয়া জামে মসজিদ প্রবাহমান যমুনা নদীর কোলঘেষে আনুমানিক ১৬০১ খ্রীষ্টাব্দে ২৫৩ শতাংশ জায়গা নিয়ে মৃধা বংশোদ্ভূত আব্দুল মালেক খাঁ মৃধা এই মসজিদ নির্মাণ করেন।

যখন এটি নির্মিত হয় তখন মূল ভবনের পাশে একটি বিশাল আকারের জাম গাছে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত পণ্যবাহী নৌযান বেধে রাখা হত। তৎকালীন নদী থেকে মসজিদ একটু উচু স্থানে নির্মাণ করা হয়েছিলো, যেখানে সিঁড়ি চড়ে মসজিদে প্রবেশ করা হতো। মসজিদটি নির্মাণ করার পর আব্দুল মালেক খাঁ মৃধা মিম্বারে দাড়িয়ে উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে অছিয়ত করে বলেন, ওনার মৃত্যু যে স্থানে হবে তাকে যেন ওইখানে কবর দেওয়া হয় পরবর্তীতে উনি মিম্বার থেকে নেমে যাওয়ার পর পরই তিনি ইন্তেকাল করেন।

পরবর্তীতে মৃধা বংশোদ্ভূত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. আতিকুর রহমান তালুকদার মসজিদের পশ্চিম দিকের এলাকা থেকে মোট ৩৭ শতাংশ জমি নিজস্ব অর্থায়নে এবং অত্র এলাকার মৃত মোহাম্মদ আতোয়ার খান ১০ শতাংশ ও মৃত আকাজত খা’র ৬ কন্যাদ্বয় ৬ বিঘা জমি মসজিদের নামে দান করেন। উক্ত জমির উৎপাদিত ফসল বিক্রি করে অর্জিত অর্থ মসজিদের কোষাগারে জমা করা হয়। আরও দেড় বিঘা জমি মোসলেম তালুকদার মসজিদের নামে দান করেছিলেন, যা বিগত কয়েক বছর আগে যমুনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

কথিত আছে, তৎকালীন সময়ে মসজিদের ভিতরে একজন নেককার পরহেজগার ব্যক্তি অবস্থান করতেন উনাকে সবাই পাগল ভাবতেন কিন্তু প্রকৃতপক্ষে উনি একজন আল্লাহর ওলি ছিলেন। মসজিদটি যখন প্রবাহমান যমুনা নদীর গ্রাসে বিলীন হতে ছিল তখন উক্ত ব্যক্তি নদীর উপর দিয়ে হেটে মসজিদের পশ্চিম দিকে অনেক দূর পর্যন্ত চলে যান পরবর্তীতে উনাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারপর থেকে যমুনা নদী মসজিদ থেকে অনেক দূর পর্যন্ত পশ্চিম দিকে সরে যায়। পরবর্তীতে মসজিদটিতে পর্যায়ক্রমে মুসুল্লিদের নামাজের জন্য সন্মুখভাগে দুইটি ছাদ নির্মাণ করা হয়। নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া পূর্বের মিনারটি বর্তমানে মসজিদের উত্তর-পশ্চিম পাশে প্রায় ১০০ ফিট উঁচু করে নির্মাণাধীন আছে। বর্তমানে মসজিদটিতে প্রায় ২,২০০ জন মুসল্লী এক সাথে নামাজ আদায় করতে পারেন । মসজিদ নির্মাণের পর থেকে মৃধা বংশোদ্ভূত সদস্যরা পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। বর্তমানে মুতাওয়াল্লীর দায়িত্তে আছেন মৃধা বংশোদ্ভূত বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. হাফিজ খান তালুকদার এবং সভাপতি হিসেবে আছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. আতিকুর রহমান তালুকদার ।

সলিমাবাদ ইউনিয়নের কৃতি সন্তান সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সুজায়েত হোসেন জানায়,জেলা শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরবর্তী পল্লী অঞ্চলে মোগল স্থাপওে নির্মিত মসজিদটি ওয়াকফো বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত। সঠিক ব্যবস্থাপনায় মুসুল্লিদের চাহিদা অনুযায়ী আধুনিকায়ন সময়ের দাবি।

তেবাড়িয়া জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য মো. শরিফ খান তালুকদার বলেন, বর্তমানে মসজিদের আরো বেশ কিছু নির্মাণ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যাহা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।

মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. আতিকুর রহমান মন্টু জানায় দানকৃত জমির পরিমাণ ২৫৩ শতাংশ রয়েছে। জমি দাতার নাম মালেক খান মৃধা। দানকৃত জমি কিছুটা দখলে কম আছে বলেও দাবি করেন তিনি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৮. নভেম্বর ২০২৪ ০১:৫০:এএম ৩ মাস আগে
নাগরপুরে পান চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে জহিরুল - Ekotar Kantho

নাগরপুরে পান চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে জহিরুল

একতার কণ্ঠঃ: আমাদের দেশের মাটি ও আবহাওয়া পান চাষ করার উপযোগী। অন্যদিকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এখন বাণিজ্যিকভাবে পানের চাষাবাদ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা।

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে এই প্রথম পান চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মো.জহিরুল ইসলাম (৩৫)। সে নাগরপুর উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নের ভাতশালা গ্রামের মৃত সরব আলীর ছেলে।

জহিরুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানা যায় , প্রায় সাত বছর পূর্বে রাজশাহীতে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে সেখানে পান চাষ দেখে অনুপ্রাণিত হন তিনি। পরে আত্মীয়র সহযোগিতায় রাজশাহী থেকে প্রায় ১০ হাজার টাকায় চার হাজার পানের চারা কিনে এনে ২৫ শতাংশ জমিতে পানের বরজ তৈরি করেন। পর পর দুবার বেশির ভাগ চারা নষ্ট হয়ে যায় এবং ফলন ভালো না হওয়ায় বেশ আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়েন। যার কারণে কিছুটা হতাশ হয়ে পড়েন। তবে হাল ছাড়েননি। রাজশাহীতে কয়েকবার গিয়ে নিজে মাঠে থেকে পান চাষ, যত্ন ও পানগাছ রক্ষার বিষয়ে পানের চাষ করেন এমন কৃষকদের নিকট থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নেন তিনি। পরে বন্ধুদের সহযোগিতায় আবারো শুরু করেন পান চাষ। অবশেষে সফলতা পান তিনি। খরচ দ্বিগুণ হলেও বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় লাভের আশা করছেন তিনি। এরই মধ্যে তার বরজের পান পাতা বড় হয়েছে। বিক্রিও শুরু করেছেন।

তিনি বলেন, ২৫ শতাংশ জমিতে পান চাষে তার মোট খরচ হয়েছে প্রায় ২ লাখ টাকা। প্রতিসপ্তাহে প্রায় ৩ হাজার টাকার পান বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় ৬৭ হাজার টাকার পান বিক্রি করেছেন। পান চাষের নিয়ম অনুযায়ী বর্তমানে পানগাছের লতা বাড়তি হলে আবার সে লতাগুলো মাটিতে ঢেকে দিতে হয় এখন সেই প্রস্ততি চলছে। সব ঠিকঠাক থাকলে এ বাগান থেকে প্রতিবছর দেড় লাখ টাকার পান বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন। জহিরুল ইসলামের অভিযোগ উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সে কোন প্রকার পরামর্শ বা সহযোগিতা পায়না।

যদি সরকারের পক্ষ থেকে এই পান চাষের জন্য কৃষি উপকরণ, কৃষি সহায়তা ঔষধ, সার, কীটনাশক পায় তবে পানের উৎপাদন দিন দিন বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদী।

চাষ পদ্ধতি নিয়ে জহিরুল ইসলাম জানান, পান চাষের উপযুক্ত সময় বাংলা বৈশাখ মাস। তাই বৈশাখের শুরুতেই উঁচু জমিতে সারিবদ্ধ ভাবে পানের চারা রোপন করা হয়। জমি থেকে পানি সহজেই বের হওয়ার জন্য করা হয় ড্রেনেজ ব্যবস্থা। প্রখর রোদের তাপ থেকে চারা বাঁচাতে বাঁশ ও খড়ের সাহায্যে মাচা দেওয়া হয়। ৬ থেকে ৭ ফুট ওপরে ছাউনি দেওয়া হয়। সপ্তাহে অন্তঃত দু’বার কীটনাশক স্প্রে করতে হয়। পান গাছের প্রধান খাবার খৈল। যা বর্ষাকালে প্রয়োগ করা হয়। ফাল্গুন চৈত্রে খৈল প্রয়োগ করতে হয় না।

নাগরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইমরান হোসাইন শাকিল জানান, নাগরপুর উপজেলায় পান চাষে জহিরুল ইসলাম একজন সফল উদ্যোক্তা। পান চাষে জহিরুল ইসলামকে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সকল ধরনের কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। পান যেহেতু অর্থকরী ফসল তাই কৃষি অফিস থেকে জহিরুল ইসলামসহ যারা পান চাষে এগিয়ে আসবে তাদের সার্বিক সহযোগীতা প্রদানে সচেষ্ট থাকবো।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৫. নভেম্বর ২০২৪ ০৩:৩৫:এএম ৪ মাস আগে
দুর্গাপূজা উপলক্ষে নাগরপুরে জিআর চাল বিতরণ - Ekotar Kantho

দুর্গাপূজা উপলক্ষে নাগরপুরে জিআর চাল বিতরণ

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা ও জিআর চাল বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার (৭ অক্টোবর) সকালে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) দীপ ভৌমিক এর সভাপতিত্বে উপজেলার ১২৬ টি পূজা মণ্ডপ সংশ্লিষ্ট কমিটির নেতৃবৃন্দদের কাছে এই চাল হস্তান্তর করা হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, নাগরপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু বক্কর, মৎস্য কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ, উপজেলা শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন পরিচালনা কমিটির সহ সভাপতি শ্যামল কুমার সাহা (রাদু), রাজন ভট্টাচার্য, সুব্রত শীল, সাধারণ সম্পাদক প্রভাস চক্রবর্তী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ঝুটন কুমার সাহাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৮. অক্টোবর ২০২৪ ০২:২৭:এএম ৪ মাস আগে
টাঙ্গাইলে স্বামীর ‘বিশেষ অঙ্গ’ কর্তন, কুড়ালের কোপে স্ত্রী নিহত - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে স্বামীর ‘বিশেষ অঙ্গ’ কর্তন, কুড়ালের কোপে স্ত্রী নিহত

একতার কণ্ঠঃ পারিবারিক কলহের জেরে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কর্তন করেছে স্ত্রী। পরে স্বামী ময়নাল (৬০) তার স্ত্রী মনোয়ারাকে (৫০) কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের ফয়েজপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ময়নাল দপ্তিয়র ইউনিয়নের ফয়েজপুর গ্রামের তোফান শেখের ছেলে এবং নিহত মনোয়ারা একই ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মৃত তাহেরুল আমিনের মেয়ে।

সাবেক ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, ময়নাল ও তার স্ত্রী একই সঙ্গে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা থেকে এলাকায় আসে। পরে বাজার করা নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ময়নালের স্ত্রী তার স্বামীর পুরুষাঙ্গ কর্তন করে। পরে ময়নাল ঘরে থাকা গাছ কাটার কুড়াল নিয়ে তার স্ত্রীর ঘাড়ে দুটি কোপ দেয়। এতে সঙ্গে সঙ্গেই তার মৃত্যু হয়। তাৎক্ষণিকভাবে ময়নালকে স্থানীয়রা আটক করে গাছে বেঁধে রাখে এবং পরবর্তীতে থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

এ বিষয়ে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি ) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, খবর পাওয়া মাত্রই তিনি ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, পারিবারিক কলহের জেরে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে। পরে ময়নালকে আটক করতে গিয়ে দেখা যায়, তার পুরুষাঙ্গ কাটা এবং পরনের লুঙ্গি রক্তাক্ত অবস্থায় রয়েছে। তখন তাকে উদ্ধার করে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে ময়নালকে টাঙ্গাইল জেলার হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

তিনি আরও জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মরদেহ যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং অভিযোগ প্রাপ্তি ও তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. হাবিবুর রহমান জানান, ময়নালের পুরুষাঙ্গের কিছু অংশ কাটা অবস্থায় ছিল। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৩. অক্টোবর ২০২৪ ০২:২০:এএম ৫ মাস আগে
নাগরপুরে গণ অধিকার পরিষদের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত - Ekotar Kantho

নাগরপুরে গণ অধিকার পরিষদের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশের ৫১তম রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদ (জিওপি) ‘ট্রাক’ প্রতীকে নিবন্ধন পাওয়ায় টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বিশাল কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের ভূগোল হাট বাজারে নাগরপুর গণ অধিকার পরিষদ অঙ্গ, ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তারা বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে গণ অধিকার পরিষদ দেশের সাধারণ মানুষের মাঝে সাড়া ফেলেছে। ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত হলে গণঅধিকার পরিষদ ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে গণ অধিকার পরিষদ সরকার গঠন করবে।

টাঙ্গাইল জেলা গণ অধিকার পরিষদের সাবেক যুগ্ম-সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার কবির আহম্মেদের সভাপতিত্বে ও যুব অধিকার পরিষদের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান নাছিরের সঞ্চালনায় উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় গণ অধিকার পরিষদ (ঢাকা বিভাগ) সাংগঠনিক সম্পাদক মো. তোফাজ্জল হোসেন।

এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় যুব অধিকার পরিষদের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো. ওয়াহেদুজ্জামান সুমন, টাঙ্গাইল জেলা যুব অধিকার পরিষদের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কবির হোসেন নয়ন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মো. ফাহাদুল ইসলাম, নাগরপুর উপজেলা গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মো. আল-আমিন, যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মো. সিপন রানাসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৪. সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৩:১৫:এএম ৫ মাস আগে
টাঙ্গাইলে চাচা-ভাতিজাকে কুপিয়ে হত্যা, গণপিটুনিতে হামলাকারী নিহত - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে চাচা-ভাতিজাকে কুপিয়ে হত্যা, গণপিটুনিতে হামলাকারী নিহত

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে চাচা ও ভাতিজাকে কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনা ঘটেছে।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা হামলাকারী তালেব (৩৫) নামের এক যুবককে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় তাজমুল (৪২) নামের আরও একজন আহত হয়েছেন। তাকে পার্শ্ববর্তী মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ধুবড়িয়া ইউনিয়নের কাতার বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- ছাত্তার (৫০) ও আসাদুল (২৮)। সম্পর্কে তারা চাচা-ভাতিজা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্তারের সঙ্গে একই গ্রামের তালেব মিয়ার কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে তালেবের সঙ্গে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছাত্তারকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। এ সময় তার ডাক-চিৎকারে ভাতিজা আসাদুল এগিয়ে এলে তাকেও কুপিয়ে আহত করে তালেব। গুরুতর আহতাবস্থায় তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই জনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা ঘাতক তালেবকে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচএম জসীম উদ্দিন বলেন, নিহত চাচা-ভাতিজার মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং তালেবের লাশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। তার মরদেহ উদ্ধারে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৬. সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৪:৪২:এএম ৬ মাস আগে
টাঙ্গাইলে সাবেক প্রতিমন্ত্রী টিটুসহ ১২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে সাবেক প্রতিমন্ত্রী টিটুসহ ১২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে নাগরপুর উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মিছিলে হামলার অভিযোগে সাবেক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুসহ ১২৯ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম পশুপতি বিশ্বাস মামলাটি আমলে নিয়ে নাগরপুর থানাকে নথিভুক্ত করার আদেশ দেন বলে জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী এম এ মালেক আদনান।

মামলার বাদী মো. মনির হোসেন ঢাকার ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ এর আইন বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। তিনি নাগরপুর উপজেলার কলমাইদ গ্রামের নুরু মল্লিকের ছেলে।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে আদালত থেকে জানানো হয়, বিচারক মামলাটি নাগরপুর থানাকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় আহসানুল ইসলাম টিটুর ভাই মজিবল হক পান্নাসহ ১২৯ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৮ জুলাই নাগরপুর কলেজ গেইট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ও তার ভাই মজিবল হক পান্নার নির্দেশে আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র, দা-কুড়াল ও লাঠিসোঁটাসহ বিভিন্ন দেশি অস্ত্র নিয়ে মিছিলে হামলা চালায়।

সেই সময় আসামিদের ছোড়া ফাঁকা গুলি এবং ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। এতে বাদীসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।

আইনজীবী মালেক আদনান জানান, দণ্ডবিধির কয়েকটি ধারাসহ দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি করা হয়েছে। শুনানির দিন বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে মামলাটি নথিভুক্ত করতে নাগরপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৩:৩৬:এএম ৬ মাস আগে
সুষম বন্টন ও বাস্তবায়ন সঠিক হলে সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে: বানিজ্য প্রতিমন্ত্রী - Ekotar Kantho

সুষম বন্টন ও বাস্তবায়ন সঠিক হলে সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে: বানিজ্য প্রতিমন্ত্রী

একতার কণ্ঠঃ বানিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এমপি বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুষম বন্টন ও বাস্তবায়নের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন। বন্টন ও বাস্তবায়ন সঠিক হলে সার্বিক উন্নয়ন তরান্বিত হবে।

তিনি বলেন, আমাদের উন্নয়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া। স্থানীয় উন্নয়নে উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের ভূমিকা অপরিসীম।

রবিবার (৭ জুলাই) সকালে বানিজ্য প্রতিমন্ত্রী নাগরপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ৬ষ্ট উপজেলা পরিষদের প্রথম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বন্যা কবলিত স্ব-স্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সার্বক্ষনিক মনিটরিং করার আহ্বান জানান। কোথাও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হলে তাৎক্ষণিক ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধানের সভাপতিত্বে উপজেলা চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার শালমান শামস (জিৎ), উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) দ্বীপ ভৌমিক, ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জরিনা বেগম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রোকনুজ্জামান খান, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভার:) মো. আনিসুর রহমান আনিস, নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচএম জসিম উদ্দিনসহ ১২ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৮. জুলাই ২০২৪ ০২:২৭:এএম ৮ মাস আগে
সাংবাদিক আনিছ খানের স্ত্রী আর নেই - Ekotar Kantho

সাংবাদিক আনিছ খানের স্ত্রী আর নেই

একতার কণ্ঠঃ মাই টিভি’র টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর-দেলদুয়ার উপজেলা প্রতিনিধি আনিছ খানের স্ত্রী রুনি খন্দকার বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকালে ঢাকার শমরিতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন, (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৩৬ বছর। তিনি স্বামী, দুই মেয়েসহ অসংখ্য আত্বীয়-স্বজন রেখে গেছেন।

বৃহস্পতিবার বাদ যোহর টাঙ্গাইলের সন্তোষ জাহ্নবী স্কুল মসজিদের সামনে মরহুমার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক নাসির উদ্দিন, যুগ্ম-সম্পাদক ইফতেখারুল অনুপম, মাই টিভির টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি মির্জা মাসুদ রুবলসহ সাংবাদিকবৃন্দ, মরহুমার আত্বীয়-স্বজন ও এলাকাবাসীরা জানাজার নামাজে অংশ নেন।

জানাজার নামাজ শেষে টাঙ্গাইল বেবিস্ট্যান্ড কেন্দ্রীয় গোরস্থানে মরহুমার মরদেহ দাফন করা হয়।

তার মৃত্যুতে বানিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ও মরহুমার শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২১. জুন ২০২৪ ০১:২৭:এএম ৮ মাস আগে
এমপি আনার হত্যা, শিলাস্তির সর্বোচ্চ শাস্তি চান তার দাদা - Ekotar Kantho

এমপি আনার হত্যা, শিলাস্তির সর্বোচ্চ শাস্তি চান তার দাদা

একতার কণ্ঠঃ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার সাথে জড়িত, গ্রেপ্তারকৃত শিলাস্তি রহমানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন তার দাদা বীরমুক্তিযোদ্ধা সেলিম মিয়া।

শনিবার (২৫ মে) দুপুরে শিলাস্তি রহমানের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ধুবড়িয়া ইউনিয়নের পাইসানা গ্রামে গিয়ে দেখা যায় পুরো বাড়ি ফাঁকা।

শিলাস্তিদের টিনের ঘরে তালা ঝুলছে। টিনের ঘরের পাশেই নির্মান করা হয়েছে দোতলা একটি বাড়ি। তবে তাদের বাড়ির ভেতরে নেই কোন আসবাবপত্র।
এসময় পাশের ঘর থেকে বেড়িয়ে আসেন শিলাস্তির দাদা সেলিম মিয়া।

তিনি জানান, দুই বোনের মধ্যে শিলাস্তি বড়। তার বাবা আরিফুর রহমান জুট ব্যবসায়ী, দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় বসবাস করে। । ছোট বেলা থেকেই তারা ঢাকার উত্তরায় বসবাস করে। মাঝে মধ্যে গ্রামের বাড়িতে আসলেও দুই একদিন পর আবার চলে যেত। শিলাস্তির চলাফেরা উশৃংখল এবং বাড়ির বাইরে দিনের পর দিন সময় কাটানোর কারণে তাদের সাথে কথা বলা বাদ দিয়েছেন সেলিম মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন।
এসময় সেলিম মিয়া তার নাতির সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।

তিনি বলেন, মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি শিলাস্তি আসামী। যদি তিনি আসলেও জড়িত থাকেন, তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করছি।

স্থানীয় লোকজন জানায়, শিলাস্তি রহমান ও তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরেই ঢাকায় বসবাস করে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পরই শিলাস্তি রহমানের দাদার সম্পত্তি তার বাবা আরিফুর রহমান বিক্রি করে ঢাকায় চলে যায়। বাড়িটা থাকলেও তারা কেউ এখানে তেমন একটা আসে না।

এ বিষয়ে নাগরপুরের ধুবরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান খান বলেন, ‘ওরা অনেক আগে থেকেই ঢাকায় থাকে। কেউ সঠিকভাবে বলতেও পারে না যে শিলাস্তি কোথাকার। এখন আমরা জানতে পারলাম যে তার বাড়ি নাগরপুরে। গতকাল (শুক্রবার) পর্যন্তও বিষয়টি জানতাম না।

নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, ‘শিলাস্তি নামের মেয়েটি নাগরপুরের- এমন কোনো তথ্য এখনও পাইনি। তার বিষয়েও আর কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত আমার কাছে নেই। জানলে জানাতে পারব।’

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৬. মে ২০২৪ ০২:৩৫:এএম ৯ মাস আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।