একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাবেক জেলা কালচারাল অফিসার খন্দকার রেদওয়ানা ইসলামের নৃশংস হত্যাকান্ডের একমাত্র আসামী স্বামী মিজানুর রহমানের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে জেলা সাংস্কৃতিক কর্মী কল্যাণ সংস্থা।
সোমবার (২৮ মার্চ) সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে জেলা সাংস্কৃতিক কর্মী কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা সাংস্কৃতিক কল্যাণ সংস্থার সভাপতি জাকির হোসেন, প্রধান পরামর্শক এলেন মল্লিক, কার্যকরি সভাপতি বিপ্লব দত্ত পল্টন, পরামর্শক ফিরোজ আহমেদ বাচ্চু, সদস্য জহুরুল ইসলাম, মনোয়ারা বেগম, শাহনাজ সিদ্দিকী মুন্নী, ঝান্ডা চাকলাদার, কবি ডলি সিদ্দিকী প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা সম্প্রতি সিআইডি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া ঘাতক স্বামী দেলোয়ার হোসেন মিজানের দ্রুত ফাঁসির দাবি করেন। অন্যথায় মানববন্ধন থেকে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন তারা।
আরো পড়ুনঃস্বাধীনতা দিবসে বিএনপি নেতা খন্দকার হাবিবের শ্রদ্ধা
টাঙ্গাইলের আদালতের পুলিশ পরিদর্শক তানবীর আহমেদ জানান, গত ১৩ মার্চ মির্জাপুর বঙ্গবন্ধু আমলী আদালতে আত্মসমর্পন করেন মিজানুর রহমান। আদালতের বিচারক বাদল কুমার চন্দ্র আসামীর জামিন নামঞ্জুর করে সিআইডি পুলিশের করা আবেদনে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। দুইদিন শেষে পুনরায় রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। এ আবেদনে আবার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সিআইডি’র পুলিশ পরিদর্শক মো. বাবর আলী জানান, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি উচ্চ আদালতে আত্মসমর্পন করেন টাঙ্গাইল জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাবেক জেলা কালচারাল অফিসার খন্দকার রেদওয়ানা ইসলাম হত্যাকান্ডের একমাত্র আসামী স্বামী দেলোয়ার হোসেন মিজান। এরপর উচ্চ আদালতের নির্দেশে ১৩ মার্চ মির্জাপুর বঙ্গবন্ধু আমলী আদালতে আত্মসমর্পন করেন তিনি। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করে সিআইডি। আবেদনে আসামীর দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। দুইদিনের রিমান্ড শেষে ২৪ মার্চ তাকে পুনরায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২২ মার্চ মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে কন্যাসন্তান জন্ম দেন রেদওয়ানা ইসলাম। ২৭ মার্চ বিকেলে হাসপাতালের দোতলার ১১ নম্বর কেবিন থেকে মুখে বালিশচাপা ও গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় রেদওয়ানা ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে মির্জাপুর থানা পুলিশ। দাম্পত্য কলহের জেরে সন্তান প্রসবের ৫ দিন পর ২৭ মার্চ মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালের কেবিনে স্বামী মিজান রেদওয়ানাকে হত্যা করে পালিয়ে যায় বলে নিহতের পরিবারের দাবি।
এরপর ২৮ মার্চ নিহতের ছোট ভাই খন্দকার আরশাদুল আবিদ বাদি হয়ে রেদওয়ানার স্বামী মিজানকে আসামি করে মির্জাপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে অভিযুক্ত মিজানুর রহমান গা ঢাকা দেয়।
জেলা শিল্পকলা একাডেমি টাঙ্গাইলের সাবেক জেলা কালচারাল অফিসার নিহত খন্দকার রেদওয়ানা ইসলাম রংপুর সদর থানার ইসলামপুর হনুমানতলার মৃত খন্দকার রফিকুল ইসলামের মেয়ে।আসামী ও স্বামী দেলোয়ার হোসেন মিজান পাবনা সদর থানার হেমায়েতপুর চরভাঙ্গারিয়া গ্রামের মো. এলাহী মোল্লার ছেলে। তিনি স্যোশাল ইসলামী ব্যাংক ভোলা সদরের মহাজনপট্টি শাখায় কর্মরত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় ছুরিকাঘাতে দন্ত চিকিৎসক ডা. আহমেদ মাহী বুলবুল নিহত হয়েছেন। পুলিশের ধারণা, ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে তিনি মারা গেছেন।
আরো পড়ুনঃ টাঙ্গাইলে পরকীয়ার মিথ্যা অপবাদে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা
রোববার (২৭ মার্চ) ভোর ৫টার পর শেওড়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাহতাব উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ভোর ৫টার পর শেওড়াপাড়া এলাকায় অজ্ঞাত ব্যক্তির ছুরিকাঘাতে বুলবুল গুরুতর আহত হন। পরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ডিসি মাহতাব আরও বলেন, এটি ছিনতাইয়ের ঘটনা হতে পারে। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি এবং কারা তাকে ছুরিকাঘাত করেছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।
ডা. বুলবুল মগবাজারে রংপুর ডেন্টাল নামে একটি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা দেন। সেখানে তিনি দরিদ্র ও নিম্নবিত্তদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতেন। শুধু স্বাবলম্বীদের কাছ থেকে ফি নিতেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার মঞ্চ করা হয়েছিল শহীদ মিনারে।
আরো পড়ুনঃ টাঙ্গাইলে পরকীয়ার মিথ্যা অপবাদে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা
শনিবার (২৬ মার্চ) বেলা ১১টায় উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অতিথিরা ছিলেন জুতা পরেই। মুক্তিযোদ্ধাদের পায়েও ছিল জুতা। এ ঘটনায় সমালোচনার ঝড় বইছে। সংবর্ধনার কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ছবিতে দেখা যায়, শহীদ মিনারের বেদিতে তৈরি মঞ্চে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত সংবর্ধনায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম, নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা পারভীন, পৌর মেয়র আব্দুর রহিম আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম কমান্ডারসহ বাসাইল উপজেলার বিশেষ ব্যক্তিরা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল গফুর মিয়া বীরপ্রতীকের হাতে সংবর্ধনার ক্রেস্ট তুলে দিচ্ছেন। এ সময় পায়ে জুতা নিয়েই অতিথিরা মঞ্চে উঠে ক্রেস্ট দিচ্ছেন এবং সংবর্ধিত মুক্তিযোদ্ধা আবদুল গফুর বীরপ্রতীক নিজের পায়ে জুতা নিয়েই বেদিতে উঠেছেন এবং অতিথিদের হাত থেকে ক্রেস্ট নিচ্ছেন।
এ সংক্রান্ত ছবি বাসাইলের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
এ বিষয়ে আব্দুল গফুর বীরপ্রতীক বলেন, সংবর্ধনা মঞ্চে সব অতিথিরাই জুতা পায়ে ছিলেন। আমার নাম ডাকায় আমিও তাদের সঙ্গে মঞ্চে উঠে যাই। ঘটনাটি অতি দুঃখজনক।
এ বিষয়ে বাসাইল জোবেদা রোবেয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মশিউর রহমান আপেল বলেন, শহিদ মিনার একটি সম্মানের জায়গা। এ জায়গার সম্মান রক্ষা করাটা প্রত্যেকের বিবেক ও শিক্ষা। যদি কেউ সেটি না করে তাকে ব্যক্তিগতভাবে জবাবদিহি করতে হবে।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার জহুরুল হক ডিপটি বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক, কষ্টদায়ক ও অপ্রত্যাশিত। দিকনির্দেশক প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের কাছ থেকে এটি অপ্রত্যাশিত। বিষয়টি নিয়ে আমি জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলব।
বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা পারভীনের অফিসিয়াল মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় শনিবার(২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ টাঙ্গাইলে স্কুলছাত্র রাহাত হত্যার রহস্য উদঘাটন
কর্মসূচির মধ্যে ছিল- প্রত্যুষে ৩১বার তোপধ্বনি, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জেলা সদরের শহীদ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ ও শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে পুস্পস্তবক অর্পন, আলোকসজ্জা, কুচকাওয়াজ, খেলাধূলা, আলোচনা সভা, বীরমুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থণা, বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ইত্যাদি।
শনিবার দুপুরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, জেলা প্রশাসক ডক্টর মো. আতাউল গনি।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন- জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদকায়সার,পৌর মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান আনছারী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. ফজলুল হক বীরপ্রতীক, সাবেক কমান্ডার খন্দকার জহুরুল হক ডিপটি, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাফর আহমেদ প্রমুখ।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের স্কুল ছাত্র রাহাত(১৪) হত্যা রহস্য উদঘাটন করেছে র্যাব।শনিবার(২৬ মার্চ) দুপুরে র্যাব-১২ সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার মো. এরশাদুর রহমান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ওই হত্যাকান্ডের বিস্তারিত গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে তুলে ধরেন।
র্যাব কমান্ডার মো. এরশাদুর রহমান জানান, বন্ধুকে এতিম বলায় জীবন দিতে হয় স্কুলছাত্র রাহাতকে (১৪)। শুক্রবার (২৫ মার্চ) রাতে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহত রাহাতের বন্ধু বিপ্লব র্যাবের হাতে আটক হওয়ার পর হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়।
তিনি আরো জানান, রাহাত ও বিপ্লব দুই বন্ধু। তাদের বাড়িও পাশাপাশি। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) রাতে বিপ্লব ও রাহাত কালিহাতী উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের কাগুজিপাড়া বাজারে বসে লুডু খেলছিল। এ সময় বিপব্লকে কয়েকবার রাহাত এতিম বলে সম্বোধন করে। এ কারণে রাহাতের ওপর ক্ষিপ্ত হয় বিপ্লব এবং রাহাতকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় । পরে বিপ্লব বাজারের একটি দোকান থেকে ব্লেড ও সিগারেট কেনে। এরপর সে সিগারেট খাওয়ার কথা বলে রাহাতকে কাগুজিপাড়া এলাকার একটি পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। সিগারেট খাওয়া শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিপ্লব ব্লেড দিয়ে রাহাতের গলায় পোচ দেয়। এসময় রাহাত চিৎকার দিলে বিপ্লব মুখ চেপে ধরে আরও কয়েকবার পোচ দেয়। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে কাদা-মাটির মধ্যে রাহাতের মুখ চেপে ধরে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর মরদেহ পাশের পুকুরে ফেলে দিয়ে রাহাতের মোবাইল ফোন নিয়ে বাড়িতে চলে যায় বিপ্লব। বাড়িতে গিয়ে সে গোসল করে এবং তার রক্তমাখা জামা-কাপড় ধুয়ে ফেলে।
তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের আরো জানান, শুক্রবার (২৫ মার্চ) তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে কালিহাতী থেকে বিপ্লবকে আটক করার পর র্যাবের কাছে সে এ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ঘটনার বর্ণনা দেয়। পরে তার ঘর থেকে তার জামা-কাপড় ও নিহত রাহাতের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, বুধবার (২৩ মার্চ) সকালে উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের কাগুজিপাড়া এলাকা থেকে রাহাতের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। রাহাত বানিয়ারা গ্রামের শাহাদত হোসেনের ছেলে। সে বল্লা করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র ছিল। আটককৃত বিপ্লব বানিয়ারা গ্রামের নুবু মিয়ার ছেলে।
একতার কণ্ঠঃ রাজধানীর শাহজাহানপুরে বৃহস্পতিবার(২৪ মার্চ) রাত সোয়া ১০টার দিকে এলোপাতাড়ি গুলি করে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে সামিয়া আফরান জামাল প্রীতি নামের এক কলেজছাত্রীও নিহত হন।
শুক্রবার(২৫ মার্চ) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিহত টিপু ও প্রীতির লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. জান্নাতুন নাইম।
জানা গেছে, টিপুর শরীর থেকে সাতটি গুলি বের করা হয়েছে। আর প্রীতির শরীরে কোনো গুলি পাওয়া যায়নি। কারণ তার শরীরের এক দিক দিয়ে ঢুকে অন্যদিকে একটি গুলি বেরিয়ে গেছে।
প্রীতির লাশের সুরতাল করেন শাহজাহানপুর থানার এসআই তমা বিশ্বাস। সুরতহাল প্রতিবেদনে এসআই তমা উল্লেখ করেন, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে প্রীতি নিজের বাসা থেকে রিকশাযোগে বান্ধবীর সঙ্গে তাঁর বাসায় যাচ্ছিলেন। রাত আনুমানিক সোয়া ১০টার দিকে উত্তর শাহজাহানপুর সড়কে এলে দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি গুলি করে। এতে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, প্রীতির বাম স্তনের ওপরে একটি ছিদ্র এবং পিঠের ডান পাশে মাঝ বরাবর একটি গোল চিহ্ন রয়েছে।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) প্রীতির বান্ধবী সুমাইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, প্রীতি তার মা-বাবা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে পশ্চিম শান্তিবাগে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তবে গত ৪ দিন সে খিলগাঁও তিলপা পাড়ায় আমার বাসায় ছিল। সেখান থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাসায় ফিরছিল। তবে, নিজের বাসার কাছে এসেও ফিরে আসতে হয় প্রীতিকে। বাসার কাছাকাছি গেলে প্রীতিকে তার মা হঠাৎ ফোন দিয়ে বলেছিলেন- চট্টগ্রাম থেকে প্রীতির মামা-মামী এসেছেন। সে যেন আজকেও আমার বাসায় থাকে। আগামীকাল যেন বাসায় যায়।
প্রীতিদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরে। সেখানে যাতায়াত কম। বাবার চাকরিসূত্রে ঢাকায় থাকে তার পরিবার।
প্রীতির বাবা মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা সাধারণ পরিবারের নিরীহ মানুষ। আমার মেয়ের হত্যার ঘটনায় আমরা কোনো মামলা করব না। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। সাধারণ জীবনযাপন করি। কার বিরুদ্ধে মামলা করব? হয়তো এক্সিডেন্টলি ঘটনাটি ঘটে গেছে।আল্লাহ একজন আছেন, তিনিই দেখবেন।
তিনি আরো বলেন, মিরপুর-২ এ একটি কোম্পানির ফ্যাক্টরির প্রডাকশনে চাকরি করি। বেতন বেশি পাই না। অনেক কষ্টে মেয়ে প্রীতি ও ছেলে সোহায়েব জামাল সামি ও স্ত্রীকে নিয়ে পশ্চিম শান্তিবাগের একটি বাসায় ভাড়ায় থাকি।
জামাল উদ্দিন বলেন, প্রীতি বদরুন্নেসা কলেজে ইন্টারমিডিয়েটে পড়তো। পরিবারের অবস্থা বিবেচনা করে নিজে চাকরির চেষ্টা করছিল৷ ১৫ হাজার টাকায় একটা অফিসে চাকরি নিয়েছিল। সামনের মাসে জয়েন করার কথা ছিল মেয়েটার। কিন্তু সেটা আর হলো না।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার (২৫ মার্চ) সকালে নাগরপুর উপজেলার বনগ্রাম গণকবরে উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সহ গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
আরো পড়ুনঃ ঢাকায় শুরু হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী চলচ্চিত্র উৎসব “সেলুলয়েডে বঙ্গবন্ধু”
পুস্পস্তবক অর্পণ ও দোয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদুজ্জামান, সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সুজায়েত হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম সরোয়ার ছানা, বনগ্রাম শহীদ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফজলুর রহমান ফজলু সহ গ্রামবাসী।
পরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ২০২২ উদযাপন উপলক্ষে বনগ্রামে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদুজ্জামান এর সভাপতিত্বে গণহত্যা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. ইকবাল হোসেন,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো.হুমায়ুন কবীর, নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সুজায়েত হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম সরোয়ার ছানা, প্রমুখ।
আলোচনা সভায় মুক্তিযোদ্ধা, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বৃন্দ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকগণ সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এই দিনে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার গয়হাটা ইউনিয়নের বনগ্রাম রসুলপুরে (২৫ অক্টোবর) বর্বরোচিত হামলা করে পাক হানাদার বাহিনী। হামলায় নিরীহ গ্রামবাসী সহ ৫৭ জন মুক্তিযোদ্ধাকে নির্মম ভাবে হত্যা করা সহ আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয় বসত বাড়ি। সেই সাথে পুড়িয়ে মারা হয় অসংখ্য অসহায় গবাদি পশু। এমন হত্যা যজ্ঞ শেষে পাক হানাদার বাহিনী চলে গেলে গ্রামবাসীদের সহায়তায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের দেয়া হয় গণ কবর। সেই থেকে প্রতি বছর এই দিনে (২৫ মার্চ) শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা জানাতে মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা প্রশাসন ও নিহত মুক্তিযোদ্ধার পরিবার সহ গ্রামবাসীরা ছুটে যান এই গণ কবরে।
একতার কণ্ঠঃ জাতির পিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন নিয়ে নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য, প্রামাণ্যচিত্র ও পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নিয়ে ২৭ মার্চ (রোববার) আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ মিলনায়তনে শুরু হচ্ছে সেলুলয়েডে বঙ্গবন্ধু শিরোনামে চলচ্চিত্র উৎসব।
আরো পড়ুনঃ টাঙ্গাইলে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
শুক্রবার (২৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম মুভমেন্টের সভাপতি চলচ্চিত্র নির্মাতা ও গবেষক দিলদার হোসেন।
তিনি বলেন, ৩ দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজনে রয়েছে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম মুভমেন্ট। বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সহযোগিতায় সেলুলয়েডে বঙ্গবন্ধু চলচ্চিত্র উৎসবের পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনায় রয়েছে এস এস কমিউনিকেশন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা উৎসবে বিনাটিকেটে শুধুমাত্র আইডি কার্ড প্রদর্শন করে বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো দেখার সুযোগ পাবেন। আর দর্শনার্থীদের জন্য টিকেটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ টাকা। যা দিয়ে একদিনে প্রদর্শিত সবগুলো চলচ্চিত্র দেখার সুযোগ থাকছে।
তিনি বলেন, ২৭ মার্চ উৎসবের উদ্বোধনী দিনে প্রদর্শিত হবে চলচ্চিত্র টুঙ্গি পাড়ার মিয়া ভাই, চিরঞ্জীব মুজিব, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ ও তোমারই হোক জয়। উৎসব চলবে প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
এ সময়বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ কুমার রানা, এস এস কমিউনিকেশনের প্রধান নির্বাহী শফিউল্লাহ সুমন, উৎসব উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহানূর, এস এস কমিউনিকেশনের উপদেষ্ঠা শওকাত হাসান মিঞা, ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম ও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান সানভিস বাই তনী’র সত্বাধিকারী রুবাইয়াত ফাতেমা তনি উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ দক্ষিণ আফ্রিকার জঙ্গলে গুলিতে নিহত হয়েছেন টাঙ্গাইলের সখীপুরের আবদুল হামিদ (৩৬)। তিনি অবৈধ পথে বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার জঙ্গলের সীমান্তে পৌঁছালে টহলরত পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন বলে নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। আবদুল হামিদ সখীপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের গড়গোবিন্দপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কয়েক মাস আগে উপজেলার প্রতিমাবংকী গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী মিনহাজ উদ্দিন ছুটিতে বাড়িতে আসেন। তখন মিনহাজ তার পূর্বপরিচিত হামিদকে একই সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে এবং সেখানে তাকে বেশি বেতনে শ্রমিকের কাজ দেওয়ার কথা বলে হামিদের কাছ থেকে সাড়ে চার লাখ টাকাও হাতিয়ে নেয়। মিনহাজ হামিদকে সঙ্গে না নিয়ে আবদুস সাত্তার নামে এক আদম ব্যবসায়ীর মাধমে আফ্রিকা পাঠানোর ব্যবস্থা করে চলে যায়।
এ বছরের জানুয়ারিতে আবদুল হামিদ আফ্রিকার উদ্দেশে ওই আদম ব্যবসায়ীর সহযোগিতায় বাড়ি থেকে বের হন। আবদুল হামিদের সঙ্গে পরিবারের কিছুদিন যোগাযোগ থাকলেও মাসখানেক ধরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। আফ্রিকায় অবস্থারত মিনহাজ উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সে নানা টালবাহানা করতে থাকে। গত রোববার রাতে হামিদের বাড়িতে খবর আসে, তিনি দুবাই, কঙ্গো ও জিম্বাবুইয়ে হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার জঙ্গলে সীমান্ত এলাকায় ঢুকলে ওই দেশের পুলিশের গুলিতে মারা যান।
নিহতের বড় ভাই মো. হারুন জানান, রোববার রাতে খবর পেলেও ১০-১৫ দিন আগে হামিদ ওই দেশের পুলিশ অথবা সন্ত্রাসীর গুলিতে মারা গেছে। এ বিষয়ে সখীপুর থানা পুলিশকে অবগত করা হয়েছে।সখীপুর থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। উভয় পক্ষই থানায় এসেছিল। তারা সমঝোতার চেষ্টা করছেন বলে আমাকে জানিয়েছেন।
একতার কণ্ঠঃ বিয়ে ও সংসার করার দাবিতে টাঙ্গাইলে একত্রিত হওয়া দুই কিশোরীকে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে বিদায় বেলায় বিচ্ছেদে কাতর দুই জনই কান্নায় ভেঙে পড়ে। অশ্রুসজল বিদায়ের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার ফুলকী ইউনিয়ন পরিষদে তাদের নিজ নিজ অভিভাবকের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, রবিবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় প্রেমের টানে বিয়ে ও সংসার করতে সুদূর নোয়াখালী থেকে টাঙ্গাইলের কিশোরী প্রেমিকার বাড়িতে ছুটে আসে এক কিশোরী। তবে তাদের প্রেম ও এমন দাবি মেনে নিতে নারাজ পরিবার। প্রেম ও সম্পর্কে অনড় দুই কিশোরী। প্রয়োজনে গার্মেন্টে কাজ করে হলেও এক সংসার করতে চায় দুই জন। বিষয়টি নিয়ে বাসাইল উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও দুই পরিবার পড়েন চরম বিপাকে।
বাসাইল উপজেলার ফুলকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুল আলম বিজু বলেন, ‘ইউএনও আমাকে বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। পরে দুই কিশোরীর অভিভাবকের সঙ্গে বৈঠকে বসা হয়। সেখানে মুচলেকা রেখে দুই জনকে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই দুই কিশোরী যাতে আর যোগাযোগ করতে না পারে সে বিষয়ে তাদের পরিবারকে নির্দেশ নেওয়া হয়েছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা পারভীন বলেন, ‘নোয়াখালী সদরের ইউএনও-র সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই কিশোরীর পরিবারকে খুঁজে বের করা হয়। এরপর ফুলকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি নিয়ে সমাধানের জন্য বলা হয়। তিনি তাদের অভিভাবকদের কাছ লিখিত রেখে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছেন।’
উল্লেখ্য, ফেসবুকে নোয়াখালী সদর ও টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার দুই কিশোরীর প্রায় দুই বছর আগে পরিচয় হয়। সেই থেকে ফেসবুক মেসেঞ্জারে নিয়মিত যোগাযোগ হতো তাদের। এরই ধারাবাহিকতায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের টানে তারা প্রায় দুই মাস আগে ঢাকার সাভারে এক আত্মীয়ের বাসায় একসঙ্গেও থাকে। এরপর সেখান থেকে আনোয়ার নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তারা সিরাজগঞ্জের চৌহালী গিয়ে সময় কাটায়। সেখানে স্থানীয়দের কাছে দুই কিশোরীর আচরণ সন্দেহজনক হলে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। একপর্যায়ে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে দুই জনকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
সর্বশেষ রবিবার তাদের মোবাইল ফোনে কথা হয়। এরপর সন্ধ্যায় নোয়াখালীর কিশোরী টাঙ্গাইল শহরে চলে আসে। পরে বাসাইল থেকে গিয়ে তাকে নিয়ে আসে অপর কিশোরী। ‘তারা একে অপরকে বিয়ে করতে চায়’ বিষয়টি ওই রাতেই এলাকায় জানাজানি হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। তাদের দেখতে লোকজন বাড়িতে ভিড় জমান। তাদের এমন সিদ্ধান্তে স্বজনরাও হতভম্ব। অবশেষে ১৫ ও ১৭ বছর বয়সী দুই কিশোরীকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ কৃষিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, আগামী দুই বছর পর নির্বাচন। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার বিরোধী দল নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা নানা ধরনের মিথ্যাচার করছে।এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য আমাদেরকে রাজনৈতিকভাবে প্রস্তুত হতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির কারনে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু এ নিয়ে দেশে এমন কোন কিছু তৈরি হয়নি যে এটা নিয়ে দেশে হাহাকার, দেশে একটি হৈ-চৈ সৃষ্টি হয়েছে এমন কিছু নয়। বিএনপির পায়ের নিচে মাটি নেই। তারা যদি মনে করে দ্রব্যমূল্যের সামান্য কিছু উর্ধ্বগতির জন্য দেশের একটা অরাজকতা সৃষ্টি করবে, রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করবে। তাহলে তারা সেই পরিস্থিতি তৈরি করতে পারবে না। এই সরকার অত্যন্ত সচেতন। জননেত্রী শেখ হাসিনা মানুষের দুঃখ-কষ্টে সব সময় মানুষের পাশে ছিল। সরকার টিসিবির মাধ্যমে দেশের এক কোটি মানুষকে স্বল্পমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য দিচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরো বলেন, দেশে কোন হাহাকার হবে না, তারা কোন অরাজকতা সৃষ্টি করতে পারবে না।প্রয়োজনে আরো খাদ্য ও অনান্য সাহায্য নিয়ে আমরা সাধারন মানুষের পাশে দাড়াঁবো।
মন্ত্রী বলেন, এই নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ নির্বাচন করবে। আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নির্বাচনকে সহযোগিতা করা। যারা দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করতে চায়, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃস্টি করতে চায় তাদের আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করবো।
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়া তারা যেভাবে কাজ করছে তাদের এই স্বাধীনতা অব্যাহত থাকবে। তারা স্বাধীনভাবে তাদের মতামত দিতে পারবে। সুশীল সমাজ তাদের স্বাধীনভাবে মতামত দিতে পারবে।রোববার(২০ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌরউদ্যানে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ টাঙ্গাইল জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সাবেক সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক মিসেস মনোয়ারা বেগমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন একুশে পদক প্রাপ্ত টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম, ছানোয়ার হোসেন, তানভীর হাসান ছোট মনির এমপি সহ জেলার অনান্য নেতাকর্মীরা।
একতার কণ্ঠঃ কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, ১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের নয় মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত-আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম একটি মহাকাব্য। আর এ মহাকাব্যের রূপকার ও মহানায়ক হলেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু এ দেশের মানুষের কল্যাণে ও মানবতার জন্য আজীবন কাজ করেছেন, নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে, মানবতাকে ভালবেসে বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলাম। শনিবার(১৯ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে উপজেলা পরিষদের উন্মুক্ত মঞ্চে ধনবাড়ী উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বীরমুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সমবেত ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশে কৃষিমন্ত্রী বলেন, তোমরা বড় হয়ে বঙ্গবন্ধুর জীবনী পড়বে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিজেদের জীবনে ধারণ করবে এবং বাস্তবে রূপ দিবে। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে না পারলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ হবে না। বঙ্গবন্ধুর এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে তোমরা এগিয়ে আসবে। উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, শান্তির বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব তোমাদের মতো আগামী প্রজন্মের।
বীরমুক্তিযোদ্ধা ড. আব্দুর রাজ্জাক আরো বলেন, বীরমুক্তিযোদ্ধারা এ দেশের এবং সকলের জন্য গর্বের ও অহংকারের। তাঁরা জীবনবাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা এ দেশটি স্বাধীন করেছিলাম, তাতে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। কাজেই, যতদিন পদ্মা, মেঘনা-যমুনা বহমান থাকবে,যতদিন চন্দ্র-সূর্য থাকবে, ততদিন মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে অম্লান হয়ে থাকবে।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক আতাউল গণি, পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়সার, ধনবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনার রশিদ হীরা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসলাম হোসাইন, পৌরসভার মেয়র মনিরুজ্জামান বকল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর ফারুক আহমাদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. শামছুল হুদা, খন্দকার জেব-উন নাহার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে কৃষিমন্ত্রী ধনবাড়ীতে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে এক লক্ষ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও নিজেদের যুগপূর্তি উপলক্ষে টাঙ্গাইলের সবুজ পৃথিবী সংগঠনটি এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
পরে বিকালে মন্ত্রী ধনবাড়ী সরকারি কলেজ মাঠে ‘তরুণের হাট’ এর ১৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে তারুণ্যের উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।