একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে শহর যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সক্রিয় সদস্য মানিক বাবু ও ছাত্রলীগ নেতা ইসমাইলকে ছাড়ানোর তদবির চালাচ্ছেন জামায়াত নেতাকর্মীরা বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার(১৩ জানুয়ারি )রাতে তাদের পৌর শহরের বৈল্লা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন,টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মানিক বাবু ও শহর ছাত্রলীগের কর্মী ইসমাইল।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে দেখা গেছে, টাঙ্গাইল মডেল থানায় জামায়াতের জেলা ও শহর শাখার নেতাকর্মীরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার রুমে বসে আছেন। তারা জানান, তাদের দুইজন কর্মীকে ছাড়াতে এসেছেন। অতীতে তারা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন বলে স্বীকার করেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,বিগত সময়ে মানিক বাবু ও ইসমাইল দু’জনে টাঙ্গাইল সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সভাপতি ছানোয়ার হোসেন,টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম সিরাজুল হক আলমগীর, শহর আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান ইমুর ঘনিষ্ঠ ছিলেন মানিক বাবু ও ইসমাইল।
এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে বিভিন্ন সময়ের ছবিও রয়েছে এই দু্ইজনের। পাশাপাশি ২০১৯ সালের টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী যুবলীগের অনুমোদিত আহ্বায়ক কমিটির তালিকায় ২০ নং সদস্য রয়েছেন মানিক বাবু।
টাঙ্গাইল পৌরসভার আমীর মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন,একজনে এক দল করতেই পারে কিন্তু ২০১৯ সালে আটককৃতরা আমাদের দলের সহযোগী কর্মী হয়। অন্য দল হলে আমরা ছাড়াতে আসবো কেন ?
টাঙ্গাইল জামায়াতের সাংগঠনিক সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম বলেন,যে দুজন আটক হয়েছে তারা আমাদের কর্মী, তারা এক সময় আওয়ামীলীগের রাজনীতি করতো। তবে তারা এখন আমাদের কর্মী।
টাঙ্গাইল জামায়াতের আমীর আহসান হাবীব মাসুদ বলেন,দীর্ঘদিন আগে আটককৃতরা আওয়ামীলীগের কর্মী ছিলো। এরপর থেকে তারা আমাদের দলের হয়ে কাজ করছে ও দলের সক্রিয় সদস্য ।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি) তানবীর আহাম্মেদ জানান,জামায়াতের লোকজন দাবী করছে তাদের কর্মী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তারা আন্দোলনে সক্রিয় ছিলো। এছাড়াও মানিক বাবু নিজেকে ছাত্র সমন্বয়ক হিসেবে দাবী করছে। যাছাই বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একতার কণ্ঠঃ সন্ত্রাসবিরোধী আইনের দায়ের করা মামলায় নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের টাঙ্গাইল জেলা সভাপতি সোহানুর রহমান সোহানসহ ৩ জনকে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। এর আগে আসামিদের আদালতে হাজির করে কলাবাগান থানা পুলিশ।
অন্য আসামিরা হলেন- টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানার যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী রাসেল কবির (৪০) ও গোপালপুর উপজেলার ছাত্রলীগ কর্মী কবির হোসেন (২১)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কলাবাগান থানার উপ-পরিদর্শক তারেক মোহাম্মদ মাসুম তাদের বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাঁদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ ডিসেম্বর ভোরে রাজধানীর কলাবাগান থানাধীন পান্থপথের আল বারাকা রেস্টুরেন্টের সামনে পাকা রাস্তার ওপর এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতানামা ১০০ থেকে ১৫০ জন আসামি একত্রে সমবেত হয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ব্যানার ব্যবহার করে জনসম্মুখে সরকারের বিরুদ্ধে অপ-প্রচারের উদ্দেশ্যে এবং ছাত্রলীগের কার্যক্রমকে গতিশীল করার জন্য মিছিল বের করে। আসামিরা বিভিন্ন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উসকানিমূলক স্লোগান দেয়। এছাড়া তাদের মিছিল ও স্লোগান ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রচার করতে থাকে। সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার জন্য তারা পরিকল্পনা করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকার পতনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে ‘সন্ত্রাসী’ কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৩ অক্টোবর ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এ ছাড়া টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান সোহানের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় স্কুল ছাত্র মারুফ হত্যা ও সন্ত্রাস দমন আইনে করা দুটি মামলা রয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে জেলা বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ পাহেলীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন মানববন্ধনে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে শহরের পার্ক বাজার মোড়ে ঘন্টা ব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।এই মানববন্ধনে বিপুল সংখ্যক বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
টাঙ্গাইলের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে আয়োজিত এই মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সম্রাট পাহলী, টাঙ্গাইলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী ইসরাত জাহান ইতি, পৌর মৎস্যজীবী ব্যবসায়ী সমিতি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোতালেব হোসেন রানা, জেলা যুবদলের সাবেক সদস্য এম আমিনুল হক,এনামুল হক মনি পাহেলী, আশরাফ পাহেলীর বোন শম্পা পাহেলি, মোঃ শরিফুল ইসলাম প্রমূখ।
মানববন্ধন বক্তারা বলেন, বিএনপি নেতা আশরাফ পাহেলী একদিনে তৈরি হয়নি। ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামের পরীক্ষিত নেতা আশরাফ পাহেলী। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার মাত্র এক ঘন্টা আগেও পাহেলী বাসায় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
বক্তারা আরোও বলেন, সম্প্রতি টাঙ্গাইল জজ কোর্টে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা একটি মামলার ঘটনায় আশরাফ পাহেলীকে জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন মানববন্ধনে অপপ্রচারের চালানো হচ্ছে। মামলায় বাদী জয়নাল আবেদিন আশরাফ পাহেলীর রাজনৈতিক সহকর্মী। তিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহত হয়েছেন। এবং এর বিচার চেয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আমাদের জানা মতে, তিনি যাদের নামে মামলা করেছেন তাঁরা সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আমরা এই মানববন্ধন থেকে অবিলম্বে সেই সব মিথ্যা অপপ্রচার কারীদের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় তাঁদের বিরুদ্ধে মানহানীর মামলা দায়ের করা হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণরত ১৪ কনস্টেবলকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইলের পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান স্বাক্ষরিত আদেশে তাদেরকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
আদেশে বলা হয়েছে, শৃঙ্খলা ভঙ্গজনিত কারণে অদ্য ২ জানুয়ারি অপরাহ্ণ থেকে প্রশিক্ষণ থেকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
এদিকে, অব্যাহতি পাওয়া প্রশিক্ষণরত কনস্টেবলরা রাতেই ট্রেনিং সেন্টার ত্যাগ করে যার যার বাড়িতে রওনা হয়েছে বলে সূত্রে গেছে।
মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ জুন থেকে ৫৪তম ব্যাচের টাঙ্গাইলের মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে ৭৯৩ জনের ছয় মাস মেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়। এর মধ্যে ছয় জন অসুস্থ হওয়ায় তাদের বাদ দেওয়া হয়। পরে ৭৮৭ জন কনস্টেবল প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন।
১৯ ডিসেম্বর প্রশিক্ষণরত ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবলের (টিআরসি) সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান হওয়ার কথা থাকলেও সেটির তারিখ বাতিল করে ১২ জানুয়ারি করা হয়।
অ্যাডিশনাল ডিআইজি মাহফুজা আক্তারের স্বাক্ষরিত বাতিল হওয়া কুচকাওয়াজের চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ প্রাপ্তদের ছয় মাস মেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণ গত ২৪ জুন থেকে সাতটি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, সারদা, রাজশাহী; পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, (টাঙ্গাইল, নোয়াখালী, খুলনা, রংপুর); পিএসটিএস, বেতবুনিয়া, রাঙামাটি ও এএসটিসি, খাগড়াছড়িতে চলমান রয়েছে। চলমান প্রশিক্ষণের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ নির্ধারিত ছিল। অনিবার্য কারণবশত সমাপনী কুচকাওয়াজ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়। উক্ত কুচকাওয়াজ আগামী ১২ জানুয়ারি পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
অব্যাহতি পাওয়া কনস্টেবলরা দাবি করেন, ১৯১ দিন প্রশিক্ষণ হয়েছে। ৭৮৭ জন কনস্টেবলের প্রশিক্ষণ হয়েছে। পাসিং প্যারেড হওয়ার কথা থাকলে সেটির তারিখও পরিবর্তন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার হঠাৎ অব্যাহতির চিঠি দেওয়া হয়। শৃঙ্খলা ভঙ্গের কোনও কাজ না করেও তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নিয়োগ হওয়ায় অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের পুলিশ সুপার সাহেদ মিয়া জানান, এই বিষয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার ছাড়া আমরা কোনও বক্তব্য দিতে পারবো না।
মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে মোবাইলে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল পৌরসভার কান্দাপাড়া মৌজায় থানাপাড়া সুইপার কলোনিতে পত্তনসুত্রে প্রাপ্ত ৪০ শতাংশ জায়গায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বহুতল ভবন নির্মাণের পায়তার অভিযোগ উঠেছে টাঙ্গাইল পৌরসভা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় পৌরসভার মেয়রকে বিবাদী করে উক্তভুমির মালিক কার্তিক চন্দ্র হরিজন বাদী হয়ে টাঙ্গাইল যুগ্ম জেলা জজ আদালতে একটি ১৪৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং ৪৫/২০২২। মামলাটি বর্তমানে চলমান রয়েছে। এদিকে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পৌর কর্তৃপক্ষ বহুতল ভবণ নির্মাণের পায়তারা করায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
মামলা সুত্রে জানাগেছে, সন্তোষের জমিদার প্রমথ নাথ রায় চৌধুরীর স্বত্ব দখলীয় জোত (পাঁচআনী জমিদার স্টেটের) ভুমির ৪০ শতাংশ জায়গা তাদের জমিদারী এলাকায় পয়নিস্কাশনের জন্য ভারতের এলাহাবাদ থেকে এনে মহদেব জমাদার এর পরিবারদের থাকার জন্য পত্তন দেন। যাহার কাগমারী পরগনার কান্দাপাড়া মৌজার খতিয়ান নং ৩, ক্রমিক নং ২১৮ হিসাব নং ১১৫, সিএস দাগ নং ১৩৫। যাহার উত্তরে থানাপাড়া বিসিক রোড, দক্ষিনে মাসুদ গংয়ের বাড়ি, পুর্বে টাঙ্গাইল পৌরসভার জায়গা ও পশ্চিমে দেলদুয়ার রোড। বর্তমানে টাঙ্গাইল দেলদুয়ার রোডের জন্য উক্ত ভুমির ১.৮৬ পয়েন্ট সরকার ভুমি অধিগ্রহন করায় ৩৮.১৪ শতাংশ ভুমি কার্তিক হরিজনের দখলে রয়েছে।বর্তমানে ওই ভুমিতে নিঃস্তান মহাদেব চন্দ্র জমাদারের দত্তক সন্তান কার্তিক চন্দ্র হরিজন তার পরিবার-পরিজন নিয়ে শতবছর ধরে বসবাস করে আসছে এবং জায়গাটি স্বত্বঃবান রয়েছে।
গত এসএ জরিপে ১৩৫ দাগটি এসএ ২২৫ দাগে রুপান্তরিত হওয়ায় এবং ভুলক্রমে মহাদেব চন্দ্র হরিজনের নামে লিপিবদ্ধ না হইয়া এসএ ৩নং খতিয়ানে ২২৫ নং দাগ হিসেবে বাড়ি শ্রেণীরুপে টাঙ্গাইল পৌরসভার নামে লিপিবদ্ধ হয়। কিন্তু উক্ত ভুমিটি হালের বিএসে ৪৩৮ খতিয়ানে মহাদেব হরিজনের দত্তক পুত্র কার্তিক হরিজনের নামে ২৪.২৫ শতাংশ ভুলক্রমে মাঠপর্চায় অর্ন্তভুক্ত হয়। পরে উক্ত ভুমিটি নিয়ে কার্তিক হরিজন পৌরসভাকে বিবাদী করে আদালতে ৩৮.১৪ শতাংশ জমি দাবি করে রেকর্ড কারেকশনের মামলা করেন। যাহার নাম্বার ৪৫/২২। মামলাটি এখনও চলমান রয়েছে। কিন্তু টাঙ্গাইল পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ২০২১ সালের অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে উক্ত পত্তন সুত্রে প্রাপ্ত মালিকানা অস্বীকার করিয়া নিজেদের মালিকানা দাবিতে মামলা করেন।
গত নভেম্বরের ৮ তারিখে পৌরসভার নিয়োজিত ঠিকাদার উক্ত ভুমি দখল নিতে গেলে স্থানীয়দের বাধার মুখে চলে আসে।
এ প্রসঙ্গে, কার্তিক চন্দ্র হরিজন বলেন, উক্ত ভুমির পত্তন সুত্রে পাওয়া মালিক মহাদেব নিঃসন্তান হওয়ায় আমাকে দত্তক আনেন। হঠাৎ তার পালক পিতা মহাদেব হরিজন অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করলে তার পিতার অনুমতিক্রমে মাতা মহাদের স্ত্রী লক্ষী ওরফে কমলী হরিজন ১৯৯০ সালের মে মাসের ১৭ তারিখে তার সকল স্থাবর-অস্থাবর আমাকে রেজিষ্ট্রি করে দেন। সে থেকে আমি পৈত্রি সুত্রে পাওয়া ভুমিতে শতবছর যাবত পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছি। সম্প্রীতি টাঙ্গাইল পৌরসভা মালিকানা দাবি করলে আমি আদালতে মামলা দায়ের করি, মামলাটি চলমান আছে।
স্থানীয় মিনজু হরিজন,পন্ন হরিজনসহ অনেকেই জানান, পৈত্রিক সুত্রে এই জমির মালিক কার্তিক হরিজন। এলাকার কিছু অসাধু লোক পৌরসভার লোকজনের সাথে আতাত করে জমিটি বহুতল ভবন নির্মাণ করার পায়তারা চালাচ্ছে।
টাঙ্গাইল জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, টাঙ্গাইল পৌরসভা তাদেরকে জায়গা বুঝিয়ে দিলে তারা কাজ ধরবে। পৌর কর্তৃপক্ষ জায়গা বুঝিয়ে দিতে না পারলে বহুতল ভবনের প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকবে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পৌরসভার দায়িত্বরত প্রশাসক ও জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার মন্ত্রালয়ের উপসচিব মো. শিহাব রায়হান জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। যেহেতু বহুতল ভবনটি টাঙ্গাইল এলজিইডির প্রকল্প সেহেতু এলজিইডির নির্বাহী কর্মকতার নিকট কথা বলার পরামর্শ দেন।
একতার কণ্ঠঃ ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৪ সদস্যকে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তরকৃতরা হলেন, টাঙ্গাইল শহরের দক্ষিণ থানাপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে আল আমিন (২৭), জেলার কালিহাতী উপজেলার সিঙ্গাইর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রায়হান আহম্মেদ লিজন (২৮) এবং নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার বিজবাগ গ্রামের মজিবল হকের ছেলে হাসান(২৬) ও একই গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে আশরাফ হোসেন (২৫)। এর মধ্যে গ্রেপ্তারকৃত আল আমিনের বিরুদ্ধে ছিনতাই, ডাকাতিসহ ২৭ টি মামলা রয়েছে।
এছাড়াও গ্রেপ্তারকৃত অন্যন্য আসামীদের নামেও একাধিক মামলা রয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, টাঙ্গাইল সদর ও মির্জাপুর থানায় দুটি ডাকাতী মামলা হওয়ায় টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ অভিযানে নেমে কক্সবাজার জেলা হতে দুইজনকে ও নোয়াখালী থেকে অপর দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের সাথে থাকা ৩টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। আল আমিন ও লিজনকে আটকের পর রিমান্ডে নেওয়া হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হাসান ও আশরাফকে আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে বগুড়াগামী মোটরসাইকেল আরোহী নোমান শেখ উত্তরবঙ্গ-ঢাকা মহাসড়কে গত ১৪ নভেম্বর টাঙ্গাইলের কান্দিলা পৌঁছলে পেছন থেকে দু’টি মোটরসাইকেল এসে তার উপর হামলা করে। হামলাকারীরা তাকে আহত করে দুই লাখ ৯৭ হাজার টাকা মূল্যের মোটরসাইকেলটি ছিনতাই করে উত্তরবঙ্গের দিকে চলে যায়। এ বিষয়ে মো. নোমান শেখ টাঙ্গাইল সদর থানায় বাদীহয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার সূত্র ধরে টাঙ্গাইলের কালিহাতী ও মির্জাপুর উপজেলা এবং কক্সবাজার ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে উল্লেখিতদের গ্রেপ্তার করা হয়।
একতার কণ্ঠঃ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু দীর্ঘ ১৭ বছর পর কারামুক্ত হলেন।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে তিনি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ থেকে মুক্তি পান। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর সিনিয়র জেল সুপার আল মামুন।
তিনি বলেন, সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) জামিনের কাগজপত্র কারাগারে আসলে যাচাই-বাছাই ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টা ৪ মিনিটে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। এ সময় তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি’র এই নেতার মুক্তির খবরে সকাল থেকেই কারাফটকে শত শত নেতাকর্মীরা ভিড় জমান। পরে তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কারাগারের মূল ফটক দিয়ে বের হয়ে যান। এ সময় শত শত নেতাকর্মীদের হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান কারামুক্ত বিএনপি’র এই নেতা।
কারাগার সূত্রে জানা যায়, রাজধানী বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন ২৪ জন। ওই ঘটনায় আহত হন অন্তত ৪ শতাধিক। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর এ মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে।
এদিকে, গত ১ ডিসেম্বর একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন পাওয়া সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়কে অবৈধ বলে পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্জ এ রায় ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, আব্দুস সালাম পিন্টু ১৯৯১ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তিনি উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে তিনি একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় গ্রেফতার হন। গ্রেফতারের পর থেকেই তিনি কারাগারে আটক ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ডাকাত দলের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে কালিহাতী থানা পুলিশ।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে কালিহাতী থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কালিহাতী সার্কেল এএসপি আব্দুল্লাহ আল ইমরান এ তথ্য জানান।
শনিবার(২২ ডিসেম্বর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে অভিযান চালিয়ে উপজেলার ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র, ১টি ট্রাকসহ বিভিন্ন ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন- সিরাজগঞ্জ সদরের চর বনবাড়িয়া এলাকার গহের আলী শেখের ছেলে শামীম শেখ (৩০), টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের বেলতৈল উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত আমছের আলীর ছেলে আব্দুল লতিফ (৪৭), হাট ফতেপুর এলাকার মৃত একাব্বর মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া (২৮), ভূঞাপুর উপজেলার উত্তর চর বিহারী এলাকার রহিজ উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলাম রবি (২৭), সিরাজকান্দি মাস্টারপাড়া এলাকার মৃত সোরহাব আলীর ছেলে খাদেম আলী (২৮), কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী মধ্যপাড়া গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে আব্দুল্লা হিল কাফি (২০)।
সংবাদ সম্মেলনে (কালিহাতী সার্কেল) এএসপি আব্দুল্লাহ আল ইমরান জানান, গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত দলের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করে আসছিল এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাদেরকে টাঙ্গাইল আদালত প্রেরণ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে কালিহাতী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম ভূঁইয়াসহ থানার অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ: টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত কলেজ ছাত্র ইমন হত্যা মামলার আসামী সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের জামিন নামঞ্জুর করেছে আদালত।
বুধবার(১১ ডিসেম্বর )বিকালে মির্জাপুর আমলী আদালতের বিচারক সোহেল ম্রোং এ রায় দেন।
এরআগে বিকেলে সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাককে আদালত চত্বরে আনা হলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে। পরে প্রিজন ভ্যান থেকে তাকে আদালতের ভিতরে না নিয়ে কারাগারে ফেরত নেওয়া সময় শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ জানায়। এসময় প্রিজন ভ্যানে থাকা সাবেক মন্ত্রীকে লক্ষ করে ডিম ছুড়ে মারে শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে প্রিজন ভ্যানের গতিরোধ করার চেষ্টা করে শিক্ষার্থীরা। এসময় পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এতে পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এসময়ে শিক্ষার্থীদের উপর লাঠি চার্জ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, লাঠি চার্জ করা পুলিশকে এক ঘণ্টার মধ্যে বরখাস্ত না করলে বড় পরিসরে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে পিপি শফিকুল ইসলাম রিপন জানান, সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক একাধিক মামলার আসামী। মির্জাপুরে ইমন হত্যা মামলায় তাকে বুধবার আদালতে হাজির করার তারিখ ধার্য করা ছিল। এ মামলায় তার আইনজীবীরা জামিন আবেদন করলে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করেন।
তিনি আরও জানান,এছাড়াও নিরাপত্তা জনিত কারণে তাকে আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি। আদালত চত্বর থেকেই তাকে ফেরত নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এসময় শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কলেজ পাড়ায় চলাচলের রাস্তার জায়গা দখল চেষ্টা ও হয়রানিমুলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী মইনুল রহমান জুয়েলের স্ত্রী সালমা আক্তার। তিনি বলেন, আমরা টাঙ্গাইল পৌর সভার ৬নং ওয়ার্ডের কলেজ পাড়া ও প্যাড়াডাইস পাড়ার বাসিন্দা। আমাদের বাসায় যাতায়াতের জন্য দীর্ঘ দিনের ১০ শতাংশ রাস্তাটি জেলা প্রশাসক ভূমি প্রজ্ঞাপন আকারে বরাদ্দ প্রদান করেছেন। যাহা টাঙ্গাইল পৌর সভার রেকর্ড ও নকশাকৃত। এমতাবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রতিবেশী এডভোকেট আলী ইমাম তপন ও তার ভাই আলী আযম রিপন উক্ত ভূমি জোর পূর্বক দখল করতে আসলে আমার স্বামী মইনুল রহমান জুয়েল ও প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন শহীদসহ এলাকাবাসী বাধা প্রদান করে। এই কারনে ক্ষিপ্ত হয়ে টাঙ্গাইল রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা এডভোকেট আলী ইমাম তপন গত ১৯ নভেম্বর রিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসে মারামারি, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আমার স্বামী মইনুল রহমান জুয়েল, প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন শহীদসহ এলাকার বড় ভাই মাই টিভির জেলা প্রতিনিধি মির্জা মাসুদ রুবলকে জড়িয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। যাহা টাঙ্গাইল সদর থানার মামলায় নং- সি আর ২৭১২/ ২৪। এই মামলায় আমার স্বামী মইনুল রহমান জুয়েল ৯নং আসামি ও প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন শহীদকে ১০নং আসামি করা হয়েছে। একই ঘটনায় রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক গত ২১ নভেম্বর আরও একটি মামলা দায়ের করেন। যাহা আদালতে ৩৮৮/২৪ জি আর মোকাদ্দমা হিসেবে চলমান আছে। উক্ত রাস্তাটি পাকা করন ও ড্রেনের টেন্ডার আহ্বান করার কারনে টাঙ্গাইল পৌর সভার সাবেক মেয়র এস.এম সিরাজুল হক আলমগীরকে মামলার ১নং আসামি করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, আমরা এই মিথ্যা মামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে আমার স্বামী মইনুল রহমান জুয়েল, প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন শহীদ ও মাই টিভির জেলা প্রতিনিধি মির্জা মাসুদ রুবল এর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মাই টিভির জেলা প্রতিনিধি মির্জা মাসুদ রুবলের স্ত্রী আশরাফুন্নাহার রোজি বলেন, রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার সময় সাংবাদিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন আমার স্বামী। তাকে কেন এই মামলায় ২৩ নাম্বার আসামি করা হয়েছে, এটা আমার বোধগম্য নয়। আমি অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আনোয়ার হোসেন শহীদের স্ত্রী শামসুন্নাহার আক্তার, হাবিবা আক্তার, মাহবুবা বেগম, সাজেদা বেগম, সুরাইয়া বিনতে আনোয়ার প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় প্রায় ১৭ বছর পর খালাস পেলেন বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে তাঁর খালাসের খবরে নিজ এলাকা টাঙ্গাইলে আনন্দমিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন জেলা বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা।
রায় ঘোষণার খবর পাওয়ার পরই বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে জড়ো হন। সেখানে মিষ্টি বিতরণ শেষে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।
এ সময় মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সভাপতি হাসিনুজ্জামান শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, সাবেক সদস্যসচিব মাহমুদুল হক সানু প্রমুখ।
জেলা বিএনপি’র সাবেক সদস্যসচিব মাহমুদুল হক সানু বলেন, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম পিন্টু খালাস পাওয়ায় টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি জাগ্রত হয়েছে। টাঙ্গাইলবাসী আজ খুবই আনন্দিত।
জেলা বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুর রহমান খান বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্বৈরাচার হাসিনা সরকার তাঁকে জেলে বন্দী করে রেখেছিল। বর্তমান সরকার নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ করায় আজ আমরা ন্যায়বিচার পেলাম। আমরা টাঙ্গাইলবাসী আজ অনেক আনন্দিত।
প্রকাশ, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম পিন্টু ১৯৯১, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তিনি শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তারের পর থেকেই তিনি কারাগারে রয়েছেন। কেন্দ্রীয় বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু তাঁর ছোট ভাই।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বাবলু সিকদার নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে মৃত্যু বরণ করেন তিনি।
এর আগে শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের গান্ধিনা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বাবলু সিকদার পার্শ্ববর্তী সখিপুর উপজেলা কালিয়ান গ্রামের মো. কামাল হোসেন ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, নিহত বাবলু সিকদারের মাটির ব্যবসা নিয়ে মনোমালিন্য চলছিল স্থানীয় বেশ কয়েকজনের সঙ্গে। ঘটনার দিন শনিবার বাবলু সিকদার কাজ শেষে বাজার থেকে ফিরে সন্ধ্যার পর বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। মোবাইল ফোনে বাবলুকে বাড়ি থেকে ডেকে গান্ধিনা বাজারে নেওয়া হয়। পরে গান্ধিনা বাজারে ইসলামী এজেন্ট ব্যাংকের সামনে মা এন্টারপ্রাইজ দোকানে ভেতরে ঢুকিয়ে কথা-কাটাকাটি একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা বাবলু সিকদারকে হাত-পাসহ শরীরে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে।
এ সময় বাবলুর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। পরে তাকে ঢাকা একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সোমবার ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে বাবলু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করে।
নিহত বাবলুর চাচা মালেক জানান ‘শনিবার রাত ৮টার দিকে বাবলুর এক প্রতিবেশী তাঁকে ডেকে নিয়ে গান্দিনাপাড়া বাজারের রাহিনের সিমেন্টের দোকানের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই ওত পেতে থাকা ওই এলাকার হারুন, সোহেলসহ আরও কয়েকজন বাবলুকে ধাক্কা দিয়ে দোকানের ভেতর ফেলে দেয়। পরে তারা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে বাবলুকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় হারুনকে প্রধান আসামি করে মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। মামলার বাদী হচ্ছেন আমার ভাই (নিহতের বাবা) কামাল হোসেন।’
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তদন্ত শরিফুল ইসলাম ।
তিনি জানান, এ ঘটনায় সোমবার(১৮ নভেম্বর )নিহতের পিতা কামাল হোসেন বাদী হয়ে কালিহাতী থানায় অভিযুক্ত হারুন মিয়াসহ ১৪ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।