আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ক্ষতিকর রং-কেমিক্যাল দিয়ে মেয়াদহীন আইসক্রিম উৎপাদন করায় দুই আইসক্রিম ফ্যাক্টরি মালিককে ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার পৌলী এলাকা ও এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর টাঙ্গাইল এ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ টাঙ্গাইল কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেলের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক নাজিমুদ্দিনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যবৃন্দ।
ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর সূত্র জানা যায়, ভেজাল ওই দুই আইসক্রিম ফ্যাক্টরিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। সেখানে অনুমোদনহীন বিভিন্ন ক্ষতিকর রং ও কেমিক্যাল, বিভিন্ন নামে বেনামে ঠিকানা ব্যবহার করে মেয়াদহীন আইসক্রিম উৎপাদন করে আসছিল এই দুই ফ্যাক্টরি। পরে পৌলী বাজার এলাকায় জিথী আইসক্রীম ও স্বাধীন আইসক্রীম কারখানায় অভিযান চালিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এসময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে জিথী আইসক্রীম কারখানা মালিককে ৫০ হাজার এবং স্বাধীন আইসক্রীম কারখানা মালিককে ১৫ হাজার টাকা করে মোট দুই কারখানা মালিককে ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, দুই আইসক্রিম ফ্যাক্টরির মালিক অঙ্গীকার করেছেন বৈধ কাগজপত্র না হওয়া পর্যন্ত কার্যক্রম বন্ধ রাখা হবে। আগামীতে ভেজাল খাদ্য উৎপাদনের বিরুদ্ধে আমাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের পূর্ব ঘোনারচালা গ্রামের প্রবাসী দুলাল মিয়ার স্ত্রী আমেনা বেগমকে (৪৫) হত্যার রহস্য উদঘাটন ও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে আসামিকে টাঙ্গাইল আদালতে সোপর্দ করে সখীপুর থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত এনামুল হক (৪১) কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হযরত আলীর ছেলে।
এর আগে হত্যা মামলা হওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে অভিযুক্তকে টাঙ্গাইল সদর থানার করটিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে সখীপুর থানা পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে।
নিহত আমেনার মেয়ে লিতু আক্তার জানান, বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে তার মা আমেনা বেগম স্বামীর সাথে মোবাইলে কথা বলতে ঘর থেকে বের হন। এরপর দীর্ঘক্ষণ ঘরে না ফেরায় বাড়ির লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে ভোরে বাড়ির পাশের একটি ধানখেতে মায়ের লাশ দেখতে পেয়ে তারা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাকির হোসেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ওসি জাকির হোসেন জানান, গ্রেপ্তারকৃত এনামুল হক কুড়িগ্রাম থেকে সখীপুর উপজেলার পূর্ব ঘোনারচালায় নিহত আমেনাদের বাড়িতে এসে গত ৮ বছর ধরে কাজ করছেন। আমেনার স্বামী দুলাল দীর্ঘ ২২ বছর ধরে সৌদি আরবে থাকেন। এ সময় আমেনার সাথে এনামুলের পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে এনামুল তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সে তার স্ত্রীকে তালাক দেয়ার শর্তে বিয়ের জন্য রাজি হয়। এনামুল শর্ত অনুযায়ী নিজের স্ত্রীকে তালাক দিলেও আমেনা বিয়ে করতে গড়িমসি করায় এনামুল ক্ষুব্ধ হয়। পরে সুযোগ বুঝে আমেনাকে ডেকে নিয়ে গলায় উড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে বাড়ির পেছনের ধানক্ষেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
তবে গ্রেপ্তারকৃত এনামুলের বক্তব্যকে অস্বীকার করেছেন নিহত আমেনার ছেলে পারভেজ। তিনি বলেন, আমার মা কেমন তা প্রতিবেশীরা খুব ভালো করেই জানেন। মূলত সে আমার মাকে হত্যা করে এমন মনগড়া অপবাদ দিচ্ছে। এনামুল এর আগেও এলাকার অনেক নারীর বিরুদ্ধে এমন অপবাদ দিয়েছিল। তার অপবাদের কারণে অনেকের সংসারও ভেঙে গেছে।
পারভেজ আরও বলেন, এনামুল একা আমার মাকে হত্যা করেনি। সে একা এমন কাজের সাহস করতে পারবে না। নিশ্চয়ই তার সাথে আরো কেউ জড়িত আছে। আমি এনামুলসহ জড়িতদের সর্বোচ্চ বিচার চাই।
সাহান হাসানঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশুকন্যাকে (১১) ধর্ষণের অভিযোগে বাবা মোজাম্মেল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে ফেনী জেলা সদর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে মির্জাপুর থানা পুলিশ।
উপজেলার গোড়াই বালুর মাঠ এলাকায় সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটে। মোজাম্মেল হোসেন রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার তেঁতুলিয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের দেলাজ মিস্ত্রির ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মোজাম্মেল হোসেন স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে উপজেলার গোড়াই বালুর মাঠ এলাকায় একটি টিনশেড বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। মোজ্জামেল গোড়াই-সখীপুর আঞ্চলিক সড়কে সিএনজি চালাতেন। তার স্ত্রী গোড়াই সাউথ ইস্ট টেক্সটাইল মিলে চাকরি করেন।
গত ২৭ মার্চ সকাল ছয়টা দশ মিনিটে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশু মেয়েকে বাসায় রেখে মা মিলে কাজ করতে যান। এর ফাঁকে লম্পট বাবা শিশু মেয়েটিকে বাসায় একা পেয়ে ধর্ষণ করে। দুপুরে মিল থেকে মা বাসায় ফিরলে শিশু মেয়ে জানায়, তার স্পর্শকাতর জায়গায় ব্যথা করছে। পরে ব্যথার ওষুধ কিনে খাওয়ান মা। কিন্তু তাতেও ব্যথা না সারায় ৫ এপ্রিল শিশুটি তার মাকে জানায়, বাড়িতে একা পেয়ে তার বাবা ব্যথা দিয়েছে।
এ কথা কাউকে বললে তাকে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকিও দেয় তার বাবা। ঘটনা জানার পর শিশুটির মা ওই দিনই মির্জাপুর থানায় শিশুটির বাবা মোজাম্মেল হোসেনের নামে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
এদিকে মামলার পর ধর্ষক মোজাম্মেল আত্মগোপনে চলে যান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে ফেনী জেলা সদর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তার করে মির্জাপুর থানা পুলিশ।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা হয়। পরীক্ষা শেষে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর মামলা নেওয়া হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফেনী জেলা সদর থেকে ধর্ষক মোজাম্মেল হোসেনকে গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কটুক্তি ও অশোভন কার্টুন পোষ্টের জেরে গণপিটুনির শিকার হয়েছে এক হিন্দু যুবক। বর্তমানে এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ওই যুবককে উদ্ধার করে প্রথমে দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে নিরাপত্তা জনিত কারণে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রবিবার (৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে দেলদুয়ার সদর উপজেলার দেলদুয়ার দক্ষিণ পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃত ওই যুবকের নাম অখিল চন্দ্র মন্ডল (৪০)। সে দেলদুয়ার সদর উপজেলার দেলদুয়ার দক্ষিণ পাড়া এলাকার গেদু চন্দ্র মন্ডলের ছেলে। সে পেশায় একজন স্বর্ণকার।
জানা যায়, টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কটুক্তি ও অশোভন কার্টুন পোস্ট করে উপজেলা সদর ইউনিয়নের দেলদুয়ার দক্ষিণ পাড়া এলাকার গেদু চন্দ্র মন্ডলের ছেলে অখিল চন্দ্র মন্ডল নামের এক হিন্দু যুবক। পোস্টটি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ বিক্ষুব্দ হয়ে ওঠেন। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে ওই যুবকের নিজ কর্মস্থল দেলদুয়ার দক্ষিণ পাড়া বাজারের জুয়েলারী দোকানে গিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চায় ওই যুবকের কাছে। পরে চারপাশের অবস্থা উত্তপ্ত দেখে অভিযুক্ত অখিল পাশের আরেকটি দোকানে আশ্রয় নেয়। এসময় বিক্ষুব্ধ জনগণ তার বিচার চেয়ে দোকানটির চারপাশ ঘিরে রেখে স্লোগান দিতে থাকে।
খবর পেয়ে দেলদুয়ার থানা পুলিশ ও স্থানীয় বিএনপি নেতারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। পরে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীকেও জানানো হয়। এরমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহমেদ ঘটনাস্থলে পৌছে সবাইকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। এসময় সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই বিক্ষুব্ধ জনতা ওই যুবককে দোকানের ভিতরে ঢুকে গণপিটুনি দিতে শুরু করে।
এ সময় পুলিশ সদস্য ও উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আজাদ মিয়া জনতার হাত থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করে সিএনজিতে তুলে দেন। পরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় ওই যুবককে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে গণপিটুনিতে আহত ওই যুবক টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পুলিশি পাহারায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ নিয়ে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এদিকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা উপজেলা পরিষদের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানায় এবং স্লোগান দিতে থাকে।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহমে তাদের শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেন, এ বিষয়ে যতদ্রুত সম্ভব সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে দেলদুয়ার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল হক হাওলাদার জানান, অভিযুক্ত ওই যুবককে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে সে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পুলিশি পাহারায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) সকালে তাকে টাঙ্গাইল আদালতে প্রেরণ করা হবে।
আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহমেদ ওরফে আমান উল্যাহকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ।
শনিবার (৫ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় উপজেলার কাগমারী পাড়া এলাকায় অবস্থিত তার শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আমানউল্যাহ উপজেলার বাহাদীপুর গ্রামের হাসান আলীর ছেলে।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।
ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার কাগমারী পাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনগত পদক্ষেপের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে পরকীয়া থেকে ফেরাতে না পেরে স্বামী জুয়েল রানাকে (৩৮) লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেছেন স্ত্রী তানিয়া আক্তার।
শনিবার (৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার কালিয়ানপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জুয়েল রানা ওই গ্রামের মজনু সিকদারের ছেলে। এ ঘটনায় জুয়েলের বাবা বাদী হয়ে সখীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৫ বছর আগে জুয়েল ভালোবেসে তানিয়াকে বিয়ে করেন। তাদের তিনটি সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর ভালোই চলছিল তাদের সংসারজীবন। সম্প্রতি জুয়েলের সঙ্গে এক নারীর পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। কিন্তু এতেও তাদের সম্পর্ক বাদ যায়নি। উপায়ান্তর না পেয়ে শনিবার রাতে কাঠের টুকরা দিয়ে ঘুমিয়ে থাকা স্বামী জুয়েলকে মাথায় আঘাত করেন স্ত্রী তানিয়া। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান জুয়েল।
সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন স্ত্রী তানিয়া। এর সঙ্গে অন্য কোনো বিষয় আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছি। এ ঘটনায় জুয়েলের বাবা বাদী হয়ে সখীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। শনিবার দুপুরে আসামিকে টাঙ্গাইল আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
আরমান কবীর টাঙ্গাইলে প্রেমিকাকে(২৫) ভিডিও কলে রেখে এক কিশোর প্রেমিকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। পরকিয়া প্রেমের জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
বুধবার (২ এপ্রিল) সকালে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের দরুন উত্তরপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই প্রেমিকাকে গাছে বেঁধে রাখে স্থানীয়রা । পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ তানভীর আহমেদ।
নিহত ঐ কিশোরের নাম রাসেল মিয়া (১৬)। সে দরুন উত্তর পাড়া এলাকার মোঃ চাঁন মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে। রাসেল পেশায় একজন অটোরিকশা মেকানিক ছিল।
স্থানীয়রা জানায়,প্রেমের সম্পর্ক ছিল রাসেল ও স্থানীয় মারিয়ার মধ্যে। মারিয়ার বিয়ে হয়ে গেছে এক প্রফেসরের সঙ্গে এবং একটি ছেলেও আছে তাদের। এদিন হঠাৎ সকাল ১১টার সময় খবর পাই রাসেল আত্মহত্যা করেছে। তখন মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে দেখতে পাই মারিয়ার সঙ্গে কথোপকথন।
রাসেল ও মারিয়ার মধ্যে ঝগড়া চলছিল মনে হয়। রাসেল আত্মহত্যা করার সময় মারিয়ার সঙ্গে কথাও বলেছে। আত্মহত্যার বিষয়টি জানাজানি হলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায়। অপরদিকে, প্রেমিকা মারিয়াকে এলাকাবাসী আটক করে গাছের সঙ্গে বেধে রাখে।
নিহতের পিতা চাঁন মিয়া জানান, তিনি ঈদ উপলক্ষে তার বড় ছেলের শশুর বাড়ী ঘাটাইল বেড়াতে গিয়েছিলেন। টাঙ্গাইলের অন্য একটি বাড়িতে তার স্ত্রী ও মেঝ ছেলে ছিল । ছোট ছেলে রাসেল একাই বাড়িতে ছিল। বুধবার সকালে তার মেঝ ছেলে বাড়ি গিয়ে রাসেলের ঘর ভিতর থেকে বন্ধ দেখে, বাহির থেকে ডাকাডাকি শুরু করে। রাসেলের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে তারা ঘরের খোলা জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে রাসেলকে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখে। পরে তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে ঘরের দরজা ভেঙে রাসেলকে সিলিং ফ্যান থেকে নামিয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
তিনি আরো জানান, ধারণা করা হচ্ছে রাসেল অভিমান করে মঙ্গলবার বিকাল ৪ টা ৩০ মিনিট থেকে বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে যে কোন সময় আত্মহত্যা করেছে।আমি এই ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছি।
টাঙ্গাইল সদর থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীর আহমেদ জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের পিতা চাঁন মিয়া বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গরু চুরি করতে এসে গণধোলাইয়ের শিকার হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (২৭ মার্চ) রাত ২টা ৩০ মিনিটের দিকে উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের বাইমাইল পশ্চিমপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই যুবকের বাড়ি পাবনায় বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, সম্প্রতি এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গরু চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ খবরে গরুর মালিকরা সচেতন হয়ে গরু পাহারায় থাকেন। শুক্রবার রাত ২টা ৩০ মিনিটের দিকে তিনজন গরুচোর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের বাইমাইল পশ্চিমপাড়া এলাকার দেওয়ান সাহামুদ্দিনের বাড়িতে যান। হাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে দুজন রাস্তায় পাহারায় থাকেন এবং অন্যজন গোয়ালঘরের টিনের তারকাঁটা খুলতে থাকেন। এ সময় শব্দ পেয়ে ৮০ বছরের বৃদ্ধ সাহামুদ্দিন তার নাতিকে ডেকে তোলেন এবং চিৎকার করতে থাকেন।
পরে আশপাশের বাড়ির লোকজন ধাওয়া করে একজনকে আটক করে ধোলাই দেন। পরে শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় বলে জানান স্থানীয়রা।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, ‘গণধোলাইয়ের শিকার হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের নাম পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
সাহান হাসানঃ ২৫ মার্চ (মঙ্গলবার) গণহত্যা দিবস ও ২৬ মার্চ (বুধবার) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে টাঙ্গাইলে গণহত্যা ও মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইল বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়োজনে বিদ্যালয়ের হলরুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হক মোহন।
অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক হামিদুল হক মোহন বলেন, ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যথানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। বিগত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগ শাসনামলে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা বারবার উল্লেখ করা হয়েছে। এটাই সঠিক ইতিহাস নয়। মুক্তিযুদ্ধে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীসহ আরো অনেকের অবদানও কম ছিল না। এ সব বিষয়ে স্কুলের শিক্ষার্থীদের জানতে দেওয়া হয়নি। এ জন্য তিনি স্কুলের শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জেনে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ২৫ মার্চের গণহত্যা শুধু এক রাতের হত্যাকান্ডই ছিলনা, এটা ছিল মূলতঃ বিশ্ব সভ্যতার জন্য এক কলংকজনক জঘন্যতম গণহত্যার সূচনা মাত্র। ২৫ মার্চ রাতেই বাংলাদেশে প্রায় ১ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল, যা গণহত্যার ইতিহাসে এক জঘন্যতম ভয়াবহ ঘটনা।
বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুর রাজ্জাক মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক শফিকুল ইসলাম, আ.ন.ম বজলুর রহমান প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে অতিথিবৃন্দ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রচনা ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বই বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের একটি নাশকতা মামলায় টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও ভূঞাপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল ইসলাম তালুকদার বাবলুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২২ মার্চ) বিকালে উপজেলার শিয়ালকোল হাট থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। পরে একটি নাশকতা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বলেন, টাঙ্গাইলের একটি নাশকতা মামলায় খায়রুল ইসলাম তালুকদার বাবলুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সনি ব্রিকস নামে একটি ইটভাটা মালিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও ইটভাটাটি স্থায়ীভাবে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মাসুদুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের মীর দেওহাটা এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জানা যায়, উপজেলার মীর দেওহাটা এলাকায় অবস্থিত মেসার্স সনি ব্রিকস পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই অবৈধভাবে পরিচালনা করার দায়ে ভাটার চিমনী ও কিলিন ভাঙ্গা হয়। এছাড়া স্থায়ীভাবে ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ প্রদান করা হয়।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান বলেন, ভাটা মালিককে জরিমানা ও ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অবৈধ ইটভাটা বন্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এসময় টাঙ্গাইল পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক বিপ্লব কুমার সূত্রধর, সেনাবাহিনী, পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আমরা কবীরঃ টাঙ্গাইলে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের করা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সদর উপজেলার রাবনা বাইপাস এলাকায় দুপুর পৌনে ১২টা থেকে শুরু করে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে।
এই মহাসড়ক অবরোধের কারণে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গমুখী দু’পাশে প্রায় ২০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, মঙ্গলবার হাইকোর্ট ৩০ শতাংশ পদ দিয়ে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের পদন্নোতির পক্ষে রায় দিয়েছেন। এতে তারা প্রমোশন পেয়ে জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর হবে। আর এই পদটি হচ্ছে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য। যারা ডিপ্লোমা পাস করে বের হবে তাদের চাকরির শূন্য পদ ৩০ শতাংশ কমে গেল। হাইকোর্টের এমন রায় টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সঙ্গে আমরা টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীদের সব ক্লাস এবং চলমান পর্ব মধ্য পরীক্ষা পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বর্জন করছি। দাবি না মানলে মহাসড়ক থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করব না।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করছেন জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।