একতার কন্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার(ইউএনও )বদলীর আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানবন্ধন কর্মসূচী পালন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধন শেষে যাওয়ার পথে ছাত্রীদের ইভটিজিং ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫-৬ জন শিক্ষার্থী গুরুত্বর আহত হয়। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে ট্রাক শ্রমিকরা।
হামলায় গুরত্বর আহত শিক্ষার্থী আসমাউল হাসান সহ কয়কজনকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা ভূঁইয়াপুর ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী।
পরে বিকেলে শিক্ষার্থীদের উপর শ্রমিদের হামলার ঘটনায় দুই শ্রমিককে এক বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাহিমা বিনতে আখতার।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ, থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি )আহসান উল্লাহ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশীদের রবিবার হঠাৎ বদলির আদেশ হয়। ইউএনও’র এই বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে তারা। পরে শিক্ষার্থীরা ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান কর্মসূচী পালন করে। এরপর তারা সড়ক থেকে সরে গিয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে গিয়ে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচী পালন করে। কর্মসূচী শেষ করে শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফেরার পথে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাদের উপর হামলা করে পরিবহন শ্রমিকরা। এসময় শ্রমিকরা দুই জন ছাত্রীকে ইভটিজিং ও লাঞ্চিত এবং ছাত্রদের মারধর করে। এতে হামলায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে চাচা ও ভাতিজাকে কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনা ঘটেছে।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা হামলাকারী তালেব (৩৫) নামের এক যুবককে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় তাজমুল (৪২) নামের আরও একজন আহত হয়েছেন। তাকে পার্শ্ববর্তী মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ধুবড়িয়া ইউনিয়নের কাতার বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- ছাত্তার (৫০) ও আসাদুল (২৮)। সম্পর্কে তারা চাচা-ভাতিজা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্তারের সঙ্গে একই গ্রামের তালেব মিয়ার কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে তালেবের সঙ্গে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছাত্তারকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। এ সময় তার ডাক-চিৎকারে ভাতিজা আসাদুল এগিয়ে এলে তাকেও কুপিয়ে আহত করে তালেব। গুরুতর আহতাবস্থায় তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই জনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা ঘাতক তালেবকে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচএম জসীম উদ্দিন বলেন, নিহত চাচা-ভাতিজার মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং তালেবের লাশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। তার মরদেহ উদ্ধারে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে নাগরপুর উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মিছিলে হামলার অভিযোগে সাবেক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুসহ ১২৯ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম পশুপতি বিশ্বাস মামলাটি আমলে নিয়ে নাগরপুর থানাকে নথিভুক্ত করার আদেশ দেন বলে জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী এম এ মালেক আদনান।
মামলার বাদী মো. মনির হোসেন ঢাকার ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ এর আইন বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। তিনি নাগরপুর উপজেলার কলমাইদ গ্রামের নুরু মল্লিকের ছেলে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে আদালত থেকে জানানো হয়, বিচারক মামলাটি নাগরপুর থানাকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় আহসানুল ইসলাম টিটুর ভাই মজিবল হক পান্নাসহ ১২৯ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৮ জুলাই নাগরপুর কলেজ গেইট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ও তার ভাই মজিবল হক পান্নার নির্দেশে আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র, দা-কুড়াল ও লাঠিসোঁটাসহ বিভিন্ন দেশি অস্ত্র নিয়ে মিছিলে হামলা চালায়।
সেই সময় আসামিদের ছোড়া ফাঁকা গুলি এবং ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। এতে বাদীসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
আইনজীবী মালেক আদনান জানান, দণ্ডবিধির কয়েকটি ধারাসহ দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি করা হয়েছে। শুনানির দিন বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে মামলাটি নথিভুক্ত করতে নাগরপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে অবশেষে জামিনে মুক্তি লাভ করেছেন। দুপুরে জামিন লাভের পর তিনি বিকেলেই টাঙ্গাইল কারাগার থেকে বের হয়ে যান।
আদালত সূত্র জানায়, ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে বন্দি সহিদুর রহমান মুক্তির জামিনের জন্য তার আইনজীবীরা টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন।
তারা জানান, সহিদুর রহমান খান মুক্তি কারাগারে খুব অসুস্থ অবস্থায় আছেন। তার অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাচ্ছে। থাইরওয়েডের সমস্যাসহ আরো অনেক রোগে ভুগছেন। সুচিকিৎসা না পেলে তার মৃত্যু হতে পারে। যে কোন শর্তে মুক্তির জামিন চান আইনজীবীরা। পরে ওই আদালতের বিচারক মো. মাহমুদুল হাসান শুনানি শেষে সহিদুর রহমান খান মুক্তির মামলার আগামী ধার্য তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন। আগামী ধার্য তারিখে কি কি চিকিৎসা গ্রহন করলেন তা আদালতকে জানানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট ইন্সপেক্টর তানভীর হাসান।
টাঙ্গাইল জেলা কারাগারের জেল সুপার মোকলেছুর রহমান জানান, সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিন মঞ্জুরের কাগজপত্র বিকেল ৩টার দিকে কারাগারে আসে। পরে সাড়ে তিনটার দিকে তিনি কারাগার থেকে বের হয়ে যান।
সহিদুর রহমান খান মুক্তির বাবা আতাউর রহমান খান ও ভাই আমানুর রহমান খান রানা টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসন থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য। এ মামলায় মুক্তির অপর তিন ভাইও আসামী।
সহিদুর রহমান খান মুক্তির পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, মুক্তি পাওয়ার পর তিনি ঢাকায় চিকিৎসা গ্রহনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেছেন। সেখানে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহন করবেন।
২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি বের হয়ে আসে। তারপর সহিদুর রহমান খান মুক্তি আত্মগোপনে চলে যান। দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠান। পরে ২০২২ সালে ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি জামিন পেয়েছিলেন। পরে আদালত জামিত বাতিল করার পর ২৮ ফেব্রুয়ারি আবার কারাগারে যান তিনি। এরপর ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে ২২ নভেম্বর কারাগার থেকে মুক্ত হন। পরে আদালত তার জামিন বাতিল করলে পরদিনই আদালতে আত্মসমর্পণের পর কারাগারে যান। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশ এ হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামের দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। আদালতে এ দুজনের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে এই হত্যার সাথে তৎকালিন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা এবং তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা জড়িত বলে বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এতে সহিদুর হমান খান মুক্তির চার ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। অতিরিক্ত সরকারি কৌশলী মনিরুল ইসলাম খান জানিয়েছেন মামলাটির শুধু তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। অন্য সব সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল হক টিটুসহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লোকমান হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনে টাঙ্গাইল শহরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. মারুফের মা মোরশেদা বেগম বাদী হয়ে রবিবার (১৮ আগস্ট) রাতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগের পর টাঙ্গাইল শহরে বিজয় মিছিল বের করা হয়। ওই মিছিলে শাহীন স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মারুফ মিয়া অংশগ্রহণ করে। মিছিলটি শহরের মদের ঘর মোড় এলাকায় গেলে আসামিরা বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে হামলা করে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এসময় শহরের শহীন স্কুলের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মারুফ প্রাণ বাঁচাতে শহরের সিটি ব্যাংকের দ্বিতীয়তলায় গিয়ে আশ্রয় নিলে সেখানে গিয়ে আসামিরা গুলি করলে সে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে মিছিলের শিক্ষার্থীরা উদ্ধার করে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মারুফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল ইসলাম আলমগীর, টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের সংসদ সদস্য ছোট মনির, তার ভাই শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা বাস কোচ মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড় মনির, সাবেক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, সাবেক এমপি হাসান ইমান খান সোহেল হাজারী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুজ্জামান সোহেল, টাঙ্গাইল সদর আসনের সাবেক এমপি ছানোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক এমপি জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আশরাফুজ্জামান স্মৃতি, মির্জাপুর আসনের সাবেক এমপি খান আহম্মেদ শুভ, টাঙ্গাইল পৌরসভার কাউন্সিলর আতিকুর রহমান মোর্শেদ, সাবেক পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, টাঙ্গাইলের বিবেকানন্দ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি আনন্দ মোহন দে, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট মামুনুর রশীদ মামুন, জেলা যুবলীগের সভাপতি মাসুদ পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক আবু সাইম বিপ্লব, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, সাধারন সম্পাদক ইলিয়াস হোসেনসহ ৫৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লোকমান হোসেন জানান, স্কুল শিক্ষার্থী মারুফের মা বাদী হয়ে সাবেক এমপি মন্ত্রীসহ ৫৬ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
একতার কণ্ঠঃ: টাঙ্গাইল পৌর এলাকার বেড়াডোমায় লৌহজং নদীর ওপর নির্মাণাধীন ব্রিজ ভেঙে হেলে পরার ঘটনায় পৌরসভার মেয়রসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন টাঙ্গাইল জেলা শাখার সহকারী পরিচালক বিপ্লব হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় আসামিরা হলেন- টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিক্সস অ্যান্ড ব্রিজেজ লি. এবং দ্য নির্মাতা (জেভি) স্বত্বাধিকারী মোস্তফা মোহাম্মদ মাসুদ, প্রকল্প পরিচালক এ কে এম রশীদ আহমেদ, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশরী শিব্বির আহম্মেদ আজমী, সহকারী প্রকৌশলী রাজীব কুমার গুহ এবং উপসহকারী প্রকৌশলী এ কে এম জিন্নাতুল হক।
মামলা সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল পৌর এলাকার বেড়াডোমা লৌহজং নদীর ওপর এলজিইডির অর্থায়নে নির্মাণাধীন এ সেতুটি বাস্তবায়ন করছিল টাঙ্গাইল পৌরসভা। ব্রিজের নির্মাণ ব্যায় ধরা হয় ৩ কোটি ৬০ লাখ ১৮ হাজার টাকা। ৪০ মিটার দৈর্ঘ্য আর ৮ মিটার প্রস্থের ব্রিজটি সেতুটি ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের চুক্তি অনুযায়ী সেতুটির কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ১১ মে।কিন্তু নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই ওই বছর ১৬ জুন রাতে পানির স্রোতে নির্মাণাধীন সেতুর পশ্চিমপাশের বাঁশ ও কাঠের খুঁটিগুলো সরে গিয়ে একাংশ ডেবে যায়। পরে দুদকসহ বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত শুরু করে। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ও কতৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই ৩ কোটি ৬০ লাখ ১৮ হাজার টাকা ব্যায়ে নির্মিত গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজটি ডেবে যায় বলে দুদকের মামলায় উল্লেখ করা হয়।
টাঙ্গাইল পৌর মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর দেশের বাহিরে (অস্ট্রেলিয়ায়) থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীর এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু ব্রিজ এলেঙ্গা রিসোর্টে অনৈতিক কার্যক্রম চলছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তিন খদ্দেরসহ সাত নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার (৩০ জুন) গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে রিসোর্টের বিভিন্ন রুম থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
সোমবার (১ জুলাই) সকালে এ ঘটনায় মানবপাচার আইনে মামলা দায়ের করে আটককৃতদের আদালতে পাঠিয়েছে কালিহাতী থানা পুলিশ।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃত পুরুষরা হলো, পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুর গ্রামের মৃত আ. করিমের ছেলে মো. মোজাম্মেল (৫৮), টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ব্রাহ্মণশাসন গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে আফজাল হোসেন (৩৫) ও বগুড়া সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে কনক ইসলাম(৩০)।
আটককৃত নারীরা হলো, টাঙ্গাইল শহরের বোয়ালী মধ্যপাড়ার মৃত আবু সাঈদের মেয়ে হাফিজা ওরফে হাবিবা (২৫), একই শহরের অলোয়াভবানী এলাকার আ. করিমের মেয়ে শিউলী (২৪), একই জেলার গোপালপুর উপজেলার নরিল্যা গ্রামের আ. কাদেরের মেয়ে কুলসুম (১৯), টাঙ্গাইল শহরের বিশ্বাস বেতকা (সৃষ্টিস্কুল রোড) এলাকার মো. সিদ্দিকুর রহমানের মেয়ে সারিয়া রহমান জাকিয়া(২১), শহরের বটতলা এলাকার মরহুম ফজলুর রহমানের (ব্রিগেডিয়ার) মেয়ে ফারজানা (৩২), একই জেলার মির্জাপুর উপজেলার কুরণী গ্রামের মৃত কদ্দুছ খানের মেয়ে ঈশা ওরফে শাহনাজ (২৭) ও যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার বাঙালিপুর গ্রামের আশরাফ গাজীর মেয়ে মুক্তা(৩০)।
স্থানীয়রা জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের পাশেই এলেঙ্গা রিসোর্টে রেস্টুরেন্টের আড়ালে যৌন ব্যবসা পরিচালনা করা হয়। রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ খদ্দের সংগ্রহ করে যৌনকর্মীদের ভাড়া করে আনে। যৌন ব্যবসা ছাড়াও রিসোর্টে মাদকের ব্যবসা করা হয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে। এর আগেও কয়েকবার খদ্দেরসহ যৌনকর্মীদের আটক করেছিল পুলিশ। তবে রিসোর্টের কাউক আইনের আওতায় আনা হয় না। প্রতিবারই তাদের ছাড় দেওয়া হয়।
কালিহাতী থানার এসআই সাজ্জাদ হোসেন জানান, রবিবার গভীর রাতে গোপণে অসামাজিক কার্যকলাপের সংবাদ পেয়ে এলেঙ্গাস্থ বঙ্গবন্ধু ব্রিজ এলেঙ্গা রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় রিসোর্টের মোসলেম উদ্দিন(৫৫), ফাহাদ (৩৫) ও সিরাজুল(৩৫) সহ আরও ৩ থেকে ৪ জন দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ফারুক জানান, গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে এসআই সাজ্জাদ হোসেন অভিযান পরিচালনা করে তিন খদ্দেরসহ সাত নারীকে আটক করে। পরে পুলিশ বাদি হয়ে ১৩ জনের নামে মানবপাচার আইনের ১২ ও ১৩ ধারায় মামলা দায়ের করে। গ্রেপ্তারকৃতদের সোমবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতকদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের বাসাইলে জমি সংক্রান্তে বিরোধের জের ধরে মসজিদে মাইকিং করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এঘটনায় মনোয়ারা বেগম (৫০) নামের এক নারী নিহত হয়েছেন। এসময় দু’পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১২ জুন) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কাশিল ইউনিয়নের স্থলবল্লা গ্রামের উত্তরপাড়া ও দক্ষিণপাড়ার লোকজনের সাথে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। নিরাপত্তার স্বার্থে ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ অবস্থান করছে।
নিহত মনোয়ারা বেগম স্থলবল্লা উত্তরপাড়ার শওকত মিয়ার স্ত্রী। আহতদের মধ্যে উত্তরপাড়ার ১০জন ও দক্ষিণপাড়ার ৫জনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উত্তরপাড়ার মিনহাজ উদ্দিন (৩৭) ও বিল্লাল (৫৫) নামের দুইজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কাশিল ইউনিয়নের স্থলবল্লা উত্তরপাড়ার শুকুর, জালাল, কালাম ও বিল্লালের সঙ্গে একই গ্রামের দক্ষিণপাড়ার আনু, সেলিম, শফি, এনামুল হক ও রাসেলদের জমি-জমা নিয়ে প্রায় ২০ বছর ধরে বিরোধ চলে আসছে।
সেই বিরোধের জের ধরে গতকাল মঙ্গলবার(১১ জুন) বিকেলে গরুর হাট থেকে ফেরার সময় উত্তরপাড়ার জহিরুল, আয়নাল, আলাল, মজিবর ও ঠান্ডুর পথরোধ করে দক্ষিণপাড়ার এনামুল হক, আনু, রাসেল, বাদল, সেলিম সানাউল্যা ও সানুসহ কয়েকজনে। এসময় এনামুল হকসহ তারা কয়েকজনে উত্তরপাড়ার জহিরুলকে মারধর করে। পরে বুধবার সকালে মসজিদে মাইকিং করে দা, ফালা, টেটাসহ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে উত্তরপাড়ার আনোয়ারের বাড়িতে হামলা চালায় দক্ষিণপাড়ার লোকজন। এসময় উত্তরপাড়ার লোকজনে প্রতিহত করতে গেলে দুপক্ষের মাঝে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় সংঘর্ষ ফেরাতে গিয়ে মাথায় দেশির অস্ত্রের আঘাতে মনোয়ারা বেগম নামের ওই নারীর মৃত্যু হয়। এসময় দুপক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। ঘটনার পরপরই পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিহতের ছোট ভাই হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকেলে উত্তরপাড়ার জহিরুল, আয়নাল, আলাল, মজিবর ও ঠান্ডু গরুর হাট থেকে ফেলার সময় দক্ষিণপাড়ার এনামুল হক, আনু, রাসেল, বাদল, সেলিম, সানাউল্যা ও সানুসহ কয়েকজনে মিলে তাদের পথরোধ করে। এসময় কয়েকজনকে মারধর করা হয়। পরে বুধবার বিকেলে আবার দক্ষিণপাড়ার লোকজনেই মসজিদে মাইকিং করে উত্তরপাড়ায় হামলা চালায়। আমার বোন ঝগড়া ফেরাতে গিয়েছিল। এসময় মাথায় ফালার আঘাতে আমার বোন মনোয়ারা গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। আমি নিজেও মাথায় আঘাত পেয়েছি। এসময় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। আমার বোন হত্যার বিচার চাই।’
বাসাইল থানার এসআই মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নিহতের লাশ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে আছি। এ ঘটনায় দু’পক্ষের একাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।’
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ আতিক বলেন, ‘হাসপাতালে একজনের মরদেহ রয়েছে। আহত অবস্থায় কয়েকজনে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে মাদক বিরোধী অভিযানে মো. আফজাল শরীফ (৩৯) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রবিবার (৯ জুন) দুপুরে পৌর শহরের বেবিস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল নাঈম বিনতে আজিজ এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আফজাল শরীফ কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার পাছ চিনামুড়া গ্রামের মৃত সেকেন্দার আলীর ছেলে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এইচএম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার দুপুরে পৌর শহরের বেবিস্ট্যান্ড এলাকায় জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের যৌথ মাদকবিরোধী অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী মো. আফজাল শরীফকে ৫ গ্রাম হেরোইনসহ আটক করা হয়।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল নাঈম বিনতে আজিজ ধৃত আফজাল শরীফকে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ টাকা জরিমানা করেন।
তিনি আরও জানান,পরে দন্ডিত আফজালকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
অভিযানকালে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. আনোয়ারুল হাবিবসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের বাসাইলে নিবার্চন পরবর্তী সহিংসতায় একবৃদ্ধাসহ ৫ জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) রাত ৮টার দিকে উপজেলার কাশিল ইউনিয়নের নাকাছিম পূর্বপাড়া গ্রামে এই সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
সহিংসতায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ চন্দ্র সরকার, ননী গোপাল সরকার , মিনতি রানী সরকার,বাসন্তী রানী সরকার এবং আশি বছরের বৃদ্ধা সুর্য্যমনী রানী সরকার গুরুত্বর আহত হন। এ ঘটনায় ওই রাতেই দিলীপ চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে বাসাইল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী কাজী শহীদুল ইসলামের সমর্থক কাশিল গ্রামের শমশের খানের ছেলে আলমগীর, মনির হোসেনের ছেলে ফরিদ হোসেন, শাহাদত মিয়ার ছেলে তুষার মিয়া, বিয়ালা গ্রামের জামাল ভূইয়ার ছেলে আরিফ ভূইয়া ও ফয়সাল ভূইয়াসহ ১০/১৫ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দিলীপ সরকারের বাড়িতে হামলা করে।
এসময় তারা আনারস প্রতীকের প্রার্থী কাজী অলিদ ইসলামের নিবার্চন করা এবং ভোট দেয়ায় তাদেরকে গালিগালাজ এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে আতংকের সৃষ্টি করে । এ সময় শোবার ঘরে থাকা শোকেজের ড্রয়ার ভেঙে দুই ভরী স্বর্ণের গহনাসহ পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় রাতেই দিলীপ চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে আলমগীর, ফরিদ, তুষার, আরিফ, ফয়সালের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে আসামী করে বাসাইল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে বাসাইল উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম বলেন, আমার নিবার্চন করায় কাজী শহীদ মুন্সির ভাতিজা, ভাগিনাসহ কতিপয় লোক এই হামলা করেছে। প্রশাসনের সকলের সাথে বিষয়টি নিয়ে আমি কথা বলেছি। তারা এই ঘটনার কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বস্থ করেছেন। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামীদের গ্রেফতার করা না হলে বাসাইলের হিন্দু- মুসলমান সকলকে নিয়ে মানববন্ধনসহ আরো কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
এ বিষয়ে পরাজিত প্রার্থী কাজী শহিদুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি এবং তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছি। গ্রেফতারের অভিযান চলমান আছে।
একতার কণ্ঠঃ শিল্প প্রতিষ্ঠান হক ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদম তমিজি হকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন টাঙ্গাইলের আদালত।
বৃহষ্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে চেক ডিসঅনারের দুটি মামলায় টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও টাঙ্গাইল সদর থানা আমলী আদালতের বিচারক মো. মাহমুদুল মোহসীন আদম তমিজি হকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দেন।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, আদম তমিজি হকের স্ত্রী হক ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুসরাত আক্তার হক, তার আরেক স্ত্রী হক ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক লিজা আক্তার হক, হক ফুডের জিএম (ফিন্যান্স এন্ড একাউন্টস) মো. রেজাউল করিম ও সিনিয়র জিএম (বিডি এন্ড লজিস্টিকস) মুশফাকুর রহমান।
বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম এ মালেক আদনান জানান, ঢাকার মাহবুব গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান কে.বি.সি এগ্রো প্রোডাক্টস (প্রা:) লিমিটেডের সাথে হক ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবসা ছিল। ব্যবসায়িক লেনদেনে হক ফুড ১৯ লাখ ৪৫ হাজার ৩’শত টাকা বকেয়া করেন। আসামিরা এই বকেয়া টাকা পরিশোধের জন্য কে.বি.সি কোম্পানীকে দু’টি চেক প্রদান করেন। কিন্তু চেক দু’টি ‘এডভাইস নট রিসিভ্ড’ মন্তব্যে ব্যাংক কর্তৃক ডিসঅনার হয়। পরে কে.বি.সি কোম্পানীর পক্ষে ইমরান হোসেন (ম্যানেজার রিকোভারী) বাদি হয়ে ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর হক ফুডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদম তমিজি হকসহ পাঁচজনকে আসামি করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট টাঙ্গাইল সদর থানা আমলী আদালতে মামলা করেন।
তিনি আরও জানান, বিচারক মামলা আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সমনের আদেশ দেন। বৃহষ্পতিবার (২৩ মে) ছিল মামলার ধার্য তারিখ। কিন্তু আসামিরা আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচারক তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন এবং আগামী ২১ আগস্ট মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে মাদক মামলায় এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাহমুদুল হাসান সোমবার (২০ মে) দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত ওই নারীর নাম, তাসলিমা (৪৪)। তিনি মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের মঈন নগরের রাজু আহমেদের স্ত্রী।
টাঙ্গাইলের সরকারি কৌশুলি (পিপি) এস আকবর খান জানান, দণ্ডিত তাসলিমাকে মির্জাপুর থানা পুলিশ ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে ৫৩ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। ওই দিনই মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে তাসলিমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিন ২০১৭ সালের ২৮ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
তিনি আরও জানান, রায় ঘোষণার সময় তাসলিমা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।