/ হোম / কৃষি
টাঙ্গাইলে জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শনে জিওসি - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শনে জিওসি

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের বাসাইলে কৃষি জমিতে সৃষ্টি হওয়া জলাবদ্ধতা নিরসনে এলাকা পরিদর্শন করেছেন ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও ঘাটাইলের এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল হুসাইন মুহাম্মদ মাসীহুর রহমান।

রবিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে তিনি বাসাইল দক্ষিণপাড়া, এসআরপাড়া ও ভাটপাড়ায় কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়া এলাকা পরিদর্শন করেন।

এসময় তিনি স্থানীয় কৃষক ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন। জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন সেনাবাহিনীর এ কর্মকর্তা।

জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শনের সময় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মামুনুর রশিদ, টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) সঞ্জয় কুমার মহন্ত, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহরুখ খানসহ সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, অপরিকল্পিতভাবে বাসাইল দক্ষিণপাড়া এলাকায় সড়ক নির্মাণের কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এ বছর বাসাইল দক্ষিণপাড়াসহ কয়েকটি এলাকায় সরিষা আবাদ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন অসংখ্য কৃষক। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রচার হলে কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৯. ডিসেম্বর ২০২৪ ০১:০২:এএম ২ মাস আগে
নাগরপুরে পান চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে জহিরুল - Ekotar Kantho

নাগরপুরে পান চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে জহিরুল

একতার কণ্ঠঃ: আমাদের দেশের মাটি ও আবহাওয়া পান চাষ করার উপযোগী। অন্যদিকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এখন বাণিজ্যিকভাবে পানের চাষাবাদ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা।

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে এই প্রথম পান চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মো.জহিরুল ইসলাম (৩৫)। সে নাগরপুর উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নের ভাতশালা গ্রামের মৃত সরব আলীর ছেলে।

জহিরুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানা যায় , প্রায় সাত বছর পূর্বে রাজশাহীতে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে সেখানে পান চাষ দেখে অনুপ্রাণিত হন তিনি। পরে আত্মীয়র সহযোগিতায় রাজশাহী থেকে প্রায় ১০ হাজার টাকায় চার হাজার পানের চারা কিনে এনে ২৫ শতাংশ জমিতে পানের বরজ তৈরি করেন। পর পর দুবার বেশির ভাগ চারা নষ্ট হয়ে যায় এবং ফলন ভালো না হওয়ায় বেশ আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়েন। যার কারণে কিছুটা হতাশ হয়ে পড়েন। তবে হাল ছাড়েননি। রাজশাহীতে কয়েকবার গিয়ে নিজে মাঠে থেকে পান চাষ, যত্ন ও পানগাছ রক্ষার বিষয়ে পানের চাষ করেন এমন কৃষকদের নিকট থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নেন তিনি। পরে বন্ধুদের সহযোগিতায় আবারো শুরু করেন পান চাষ। অবশেষে সফলতা পান তিনি। খরচ দ্বিগুণ হলেও বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় লাভের আশা করছেন তিনি। এরই মধ্যে তার বরজের পান পাতা বড় হয়েছে। বিক্রিও শুরু করেছেন।

তিনি বলেন, ২৫ শতাংশ জমিতে পান চাষে তার মোট খরচ হয়েছে প্রায় ২ লাখ টাকা। প্রতিসপ্তাহে প্রায় ৩ হাজার টাকার পান বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় ৬৭ হাজার টাকার পান বিক্রি করেছেন। পান চাষের নিয়ম অনুযায়ী বর্তমানে পানগাছের লতা বাড়তি হলে আবার সে লতাগুলো মাটিতে ঢেকে দিতে হয় এখন সেই প্রস্ততি চলছে। সব ঠিকঠাক থাকলে এ বাগান থেকে প্রতিবছর দেড় লাখ টাকার পান বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন। জহিরুল ইসলামের অভিযোগ উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সে কোন প্রকার পরামর্শ বা সহযোগিতা পায়না।

যদি সরকারের পক্ষ থেকে এই পান চাষের জন্য কৃষি উপকরণ, কৃষি সহায়তা ঔষধ, সার, কীটনাশক পায় তবে পানের উৎপাদন দিন দিন বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদী।

চাষ পদ্ধতি নিয়ে জহিরুল ইসলাম জানান, পান চাষের উপযুক্ত সময় বাংলা বৈশাখ মাস। তাই বৈশাখের শুরুতেই উঁচু জমিতে সারিবদ্ধ ভাবে পানের চারা রোপন করা হয়। জমি থেকে পানি সহজেই বের হওয়ার জন্য করা হয় ড্রেনেজ ব্যবস্থা। প্রখর রোদের তাপ থেকে চারা বাঁচাতে বাঁশ ও খড়ের সাহায্যে মাচা দেওয়া হয়। ৬ থেকে ৭ ফুট ওপরে ছাউনি দেওয়া হয়। সপ্তাহে অন্তঃত দু’বার কীটনাশক স্প্রে করতে হয়। পান গাছের প্রধান খাবার খৈল। যা বর্ষাকালে প্রয়োগ করা হয়। ফাল্গুন চৈত্রে খৈল প্রয়োগ করতে হয় না।

নাগরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইমরান হোসাইন শাকিল জানান, নাগরপুর উপজেলায় পান চাষে জহিরুল ইসলাম একজন সফল উদ্যোক্তা। পান চাষে জহিরুল ইসলামকে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সকল ধরনের কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। পান যেহেতু অর্থকরী ফসল তাই কৃষি অফিস থেকে জহিরুল ইসলামসহ যারা পান চাষে এগিয়ে আসবে তাদের সার্বিক সহযোগীতা প্রদানে সচেষ্ট থাকবো।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৫. নভেম্বর ২০২৪ ০৩:৩৫:এএম ৪ মাস আগে
টাঙ্গাইলে সফল ভাবে কফি চাষ: শুধু ছানোয়ারের বাগানে বছরে উৎপাদন ১ টন - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে সফল ভাবে কফি চাষ: শুধু ছানোয়ারের বাগানে বছরে উৎপাদন ১ টন

একতার কণ্ঠঃ শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে সফল কৃষকের খ্যাতি পেয়েছেন টাঙ্গাইলের মধুপুরের মো. ছানোয়ার হোসেন (৫০)।

কলা, আনারস,ভূট্টা, পেঁপে, ড্রাগন ফল ও পেয়ারাসহ বিভিন্ন ধরণের শাকসবজির পর এবার কফি চাষেও সফল হয়েছেন তিনি। গড়ে প্রতি বছর প্রায় ১ টন কফি উৎপাদন করছেন কফি চাষী ছানোয়ার।

কফিসহ কমপক্ষে ১০ ধরনের ফলের চাষাবাদ হচ্ছে তার বাগানে। নিরাপদ ফল উৎপাদনে এলাকার মানুষের কাছে আদর্শ চাষীও এখন ছানোয়ার। অনেকেই গ্রামটিতে আসছেন তার কফি বাগান দেখাসহ চাষাবাদের পরামর্শও নিতে।

শুধু আদর্শ চাষী হিসেবেই স্বীকৃতি পাননি ছানোয়ার, পেয়েছেন সফল কৃষক হিসেবে রাষ্ট্রীয় বঙ্গবন্ধু কৃষি স্বর্ণপদক।

পাশাপাশি জেলার মধুপুর গড়ের উঁচু ও লাল মাটিতে আনারস,কলা,পেঁপের মত কফি চাষের উজ্জল সম্ভাবনাও দেখিয়েছেন তিনি। যার ধারাবাহিকতায় কফি চাষকে এ অঞ্চলের কৃষিতে নতুন ফসল হিসেবে যোগ করতে কাজ শুরু করেছে কৃষি বিভাগ। সম্ভাবনা কাজে লাগাতে এরই মধ্যে কাজুবাদাম এবং কফি গবেষণা উন্নয়ণ ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় কৃষি বিভাগও কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেয়াসহ কফির চারা বিতরণ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাকুরা নাম্নী।

মো. ছানোয়ার হোসেন টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার মহিষমারা গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে। ১৯৮৮ সালে মধুপুরের চাপড়ি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি, ১৯৯০ সালে কালিহাতী কলেজ থেকে এইচ.এস.সি আর ১৯৯২ সালে মধুপুর কলেজ থেকে ডিগ্রী সম্পন্ন করেন মো. ছানোয়ার হোসেন। পরবর্তীতে ১৯৯৩-৯৮ সাল পর্যন্ত সিলেটের রেঙ্গাহাজীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে ইংরেজী শিক্ষক আর পরবর্তী দুই বছর জেলার ঘাটাইলের গারোবাজার সুনামগঞ্জ পাবলিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক এর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এরপরই শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে এসে গ্রামে শুরু করেন চাষাবাদ।

দেবদারু চারার মত অনেকটাই দেখতে কফির চারা। কফির পাকা গুটিগুলো দেখতে টক টকে লাল ও কোন কোনটা কাঁচা হলুদের মতো। কাঁচাগুলো সবুজ। মার্চ থেকে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে প্রতিটি পরিপক্ক গাছে ফুল ধরা শুরু হয়। কফির পাশাপাশি ২৮০টি ড্রাগন পিলার, ১৯টি সৌদি খেজুর, ৫’শ পেঁপে, এক হাজার মাল্টা, ৫’শ লেবু, আনারস, ঔষধি, কলা, জাম্বুরা গাছে ভরপুর কৃষক ছানোয়ার হোসেনের বাগান। বর্তমানে প্রায় ১৫ একর জমিতে চলছে তার এই চাষাবাদ।

জানা যায়, মে থেকে জুন মাসের মধ্যে ফুল থেকে গুটিতে পরিণত হয়। আগষ্ট মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে গুটিগুলো পরিপক্ক হয়। লালচে হয়ে যাওয়া কফির ফল গাছ থেকে সংগ্রহ করে প্রথমে পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হয়। এরপর লম্বা সময় পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়। একটু নরম হওয়ার পর কফির ওপরের চামড়া ছাড়িয়ে নিতে হয়। পরে গুটিগুলো রৌদে শুকিয়ে নিতে হয়। বাজারজাত ও কফিপান করার উপযোগী করতে মেশিনের মাধ্যমে গুড়া পাউডারের মতো করে নিতে হয়। আবার কফির বীজ থেকে চারা উৎপাদনও করা যায়।
আরও জানা যায়, ফলন ভাল ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে হেক্টর প্রতি ৭৫০ থেকে ১০০০ কেজি এবং বছরে গাছ প্রতি ৫ কেজি কফি পাওয়া সম্ভব। এছাড়াও ফলন দেওয়া শুরু হলে গাছগুলো থেকে একটানা ২০ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত কফি পাওয়া যায়।
মধুপুর উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, কাজুবাদাম এবং কফি গবেষণা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত মধুপুরের ১২০ জন কৃষক ৩৫ হেক্টর জমিতে কফি চাষ শুরু করেছে। চাষাবাদ বৃদ্ধিতে ২০২১-২২ অর্থ বছরে কফি গবেষণা উন্নয়ণ ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেয়াসহ প্রথম পর্যায়ে ৫৩ জন কৃষকের মধ্যে সাড়ে ৭ হাজার কফির চারা বিতরণ করা হয়েছে। সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৭ টি প্রদর্শনী বাস্তবায়ন করাসহ জনপ্রতি ১৩৫ টি করে মোট ৯৪৫ টি কফি চারা দেয়া হয়। কৃষিবিভাগ থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কফির চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিশ্বে ৬০ প্রজাতির কফি থাকলেও এ এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে অ্যারাবিকা ও রোবাস্টা জাতের কফি চাষ শুরু হয়েছে। চাষ উপযোগী আবহাওয়া ও জলবায়ু অনুকুল থাকায় মধুপুর পাহাড়ী এলাকায় উন্নতমানের এবং ঘ্রাণের কফি চাষের বিশেষ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। রোবাস্টা জাতের কফি চাষে বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চল ও টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়ের আবহাওয়া আর মাটি যথেষ্ট উপযোগী বলেও জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

কফি চাষী ছানোয়ার হোসেন জানান, ২০১৭ সালে রাঙ্গামাটি জেলার রায়খালী থেকে ২’শ চারা সংগ্রহ করে এ উপজেলায় প্রথম আমি কফি চাষ শুরু করি। চাষ শুরুর দুই বছর পর থেকেই আমি কফি বিক্রি করতে পারছি। বর্তমানে আমার প্রায় ৫০ শতাংশ জমিতে কফির আবাদ রয়েছে। আমার বাগানে অ্যারাবিক ও রোবাস্টা জাতের কফি গাছ আছে। প্রতি বছর আমি গড়ে প্রায় ১ টন কফি বিক্রি করতে পারছি। এছাড়াও কফির বীজ থেকে চারাও তৈরি করছি।

তিনি আরও জানান,বর্তমানে আমার বাগানের ৫’শ কফি গাছে ফলন হচ্ছে। গত সাত বছরে কফি বাগান বাবদ আমার ৩ লাখ টাকার মত খরচ হয়েছে। তবে এরই মধ্যে আমি প্রায় দ্বিগুণ টাকা আয় করতে পেরেছি। এভাবে টানা ২০ বছর আয় হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ছানোয়ার জানান, প্রসাধনী কোম্পানির মাধ্যমে আমি প্রতি কেজি উৎপাদিত গ্রীণ কফি দুই হাজার টাকা মূল্যে বিক্রি করছি। উৎপাদিত কফির মধ্যে ১৮ প্রকারের স্বাদ ও গন্ধ আছে। বাজারজাত ও কফিপান করার উপযোগী করতে মেশিনের মাধ্যমে কফিবীজ গুঁড়া করে নিতে হয়। কফি প্রক্রিয়াজাত করার কাজটিই কঠিন। এ কারণে আমি কফি প্রক্রিয়াজাত করার মেশিন কিনেছি। কফিকে একটি বড় শিল্পে পরিনত করাই এখন আমার স্বপ্ন।
মধুপুরসহ দেশের কয়েকস্থানে শখের বশে ও বাণিজ্যিকভাবে কফির সফল চাষাবাদ হচ্ছে। দেশের মাটিতে কফি চাষের বিরাট সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। কৃষকের আগ্রহ কাজে লাগিয়ে কফি চাষের বিপ্লব ঘটানো সম্ভব বলে মনে করেন ছানোয়ার।

মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাকুরা নাম্নী বলেন, এ উপজেলায় অ্যারাবিক ও রোবাস্টা জাতের কফি চাষ হচ্ছে। কৃষক ছানোয়ার হোসেন এ উপজেলায় ২০১৭ সাল থেকে কফি চাষ শুরু করলেও কাজু বাদাম এবং কফি গবেষণা উন্নয়ণ ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেয়াসহ কফির চারা বিতরণ করেছে কৃষি বিভাগ।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে এ উপজেলা কফি চাষের কৃষক সংখ্যা ১২০জন আর আবাদ হচ্ছে ৩৫ হেক্টর জমিতে। এ উপজেলার কৃষক ছানোয়ার হোসেন ব্যক্তি উদ্যোগে কফি বিক্রি করলেও বাণিজ্যিক ভাবে প্রক্রিয়াজাতকরণ শুরু হয়নি।

তিনি বলেন, সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ৭জন কৃষকের ৭ টি প্রদর্শনী বাস্তবায়ন করাসহ জনপ্রতি ১৩৫ টি করে মোট ৯৪৫ টি কফি চারা দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. কবির হোসেন জানান, মধুপুরের মাটির উর্বরতা শক্তি কফি চাষের উপযোগী। এ এলাকায় সহজে বন্যার পানি ওঠে না, তেমন খরাও হয় না। বৃষ্টিপাত ও মাটির গঠন বিন্যাস মিলে গড় এলাকার লাল মাটিতে কফি চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।
কফিকে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কাজু বাদাম ও কফি গবেষণা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেয়াসহ কফির চারা বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২১. অক্টোবর ২০২৪ ০২:৪৭:এএম ৪ মাস আগে
টাঙ্গাইলে পাটের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে পাটের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

একতার কণ্ঠঃ আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় টাঙ্গাইলে চলতি বছর পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রথম দিকে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের অভাবে পাট আবাদ করতে সমস্যা হলেও মৌসুমের শেষ দিকে এসে বৃষ্টি হওয়ায় পাটের আবাদ বৃদ্ধি পায়। নিবিড় পরিচর্যা আর কৃষি অফিসের পরামর্শের কারণে পাটের তেমন কোনো রোগবালাই নেই। পাটের বাজারদর ভালো হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে।

পাট চাষিরা বলছে, পাটের ভাল দাম পেতে শতভাগ পলিথিনের বস্তা পরিহারের পাশাপাশি দেশের সকল পাটকল চালু ও বিদেশে রপ্তানির উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকে।

টাঙ্গাইলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দাম ভাল পাওয়ায় জেলায় প্রতিবছরই বাড়ছে সোনালী আঁশ চাষ। গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ১৯ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৫২ হাজার ৫৫৮ বেল উৎপাদন হয়েছে। চলতি মৌসুমে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ১৯ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৩০ হাজার ৬৯০ বেল পাট উৎপাদন হবে। চলতি বছরের পাট আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৯ হাজার ৬’শ হেক্টর। লক্ষমাত্রার চেয়ে ৫০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ বেশি হয়েছে। চলতি বছর জেলায় ৬ হাজার ২’শ জন কৃষককে এক কেজি করে পাটের বীজ বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, জেলার ১২টি উপজেলায় পাটের আবাদ করা হয়েছে। চাষিরা এখন ব্যস্ত জাগ দেওয়া পাটের আঁশ ছাড়াতে। বেশিরভাগ জমির পাটই কাটা শেষ হয়ে গেছে। এর অধিকাংশই জাগ দেওয়া হয়ে গেছে। অনেকে পাট থেকে আঁশ ছাড়াচ্ছেন। কেউ বা পাটশোলার আঁটি বেঁধে রোদে শুকাচ্ছেন। কেউ আবার পাট ভাঁজ করে রোদে মেলে দিচ্ছেন। পাট ও পাটশোলার বাজার দরও ভালো। মণ প্রতি সাড়ে তিন হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাটের আঁশ বিক্রি করে যেমন কৃষক টাকা পায় তেমনি পাটের কাঠি জ্বালানি হিসেবে, ঘরের বেড়া দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হয়। ধীরে ধীরে আবার সোনালী আঁশের রাজত্ব ফিরে আসছে এ জেলাতে।

পাট চাষিরা জানান, দেশি, তোষা, কেনাফ, রবি-১ ও ভারতীয় বঙ্গবীর জাতের পাট সব থেকে বেশি আবাদ হয়। পাট অফিস ও কৃষি অফিস থেকে প্রায় প্রতিবছর পাটের বীজ ও সার বিনামূল্যে দেওয়া হয়। কিন্তু এই বীজ গুলো সময় মতো আমাদের কাছে পৌঁছায় না। এতে পাটের আবাদ ব্যাহত হয়। সময় মতো পাট বীজ হাতে পেলে আবাদ অনেক অংশে বৃদ্ধি পাবে।

দেলদুয়ার উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের আগ দেউলী গ্রামের কৃষক শাহাদৎ হোসেন বলেন, পাট আবাদের প্রথম দিকে বৃষ্টি না থাকায় সেচ দিয়ে পাট বপণ করেছিলাম। যে পাট গুলো বীজ বপন করেছিলাম সেগুলো চার হাজার টাকা মণ বিক্রি করেছি। পরে পাট গুলো ৩৪০০ থেকে ৩৫০০ টাকা মণ বিক্রি করেছি। এখনো আমার কিছু পাট কাটা বাকি রয়েছে। সেগুলোর দাম কেমন পাবো এখনো বুঝা যাচ্ছে না। তবে পাটের যে ফলন হয়েছে এখন যে দাম রয়েছে তাতে আমরা অনেক খুশি।

একই গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, এবছর আমি ৪ বিঘা জমিতে পাট আবাদ করেছি। প্রতি বিঘায় সাত মণ ফলন হয়েছে। ৪ বিঘা জমির পাট ৩৪০০ টাকা মন হারে বিক্রি করে ৯৫ হাজার টাকা পেয়েছি। ৪ বিঘা জমির পাট আবাদ করতে আমার খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। এতে আমার ৫৫ হাজার টাকার উপরে লাভ হয়েছে।

কৃষক ছানোয়ার হোসেন বলেন, আমি ১০ শতাংশ জমি বর্গা নিয়ে পাট চাষ করেছিলাম। এতে তিন মণ পাট পেয়েছিলাম। প্রথমে যে বাছ পাট পেয়েছিলাম সেগুলো ২৪০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছি। পরের পাট ৩৮০০ টাকা মণ বিক্রি করেছি।

দেলদুয়ার উপজেলার ছিলিমপুর হাটের পাট ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে পাট কিনে বাংলাদেশের বিভিন্ন মিল পার্টির কাছে বিক্রি করি। এছাড়া প্রতি শুক্রবার ছিলিমপুর হাটে কৃষকদের কাছ থেকে পাট কেনা হয়। হাটের দিনে প্রায় ৫’শ থেকে ৬’শ মণ পাট কেনাবেচা হয়। এ বছর ৩৫০০ থেকে ৩৮০০ টাকা মণ দরে পাট কিনছি। মণে ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে লাভ করে বিভিন্ন মিল পার্টির কাছে বিক্রি করি।

জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান খান জানান, পাট অধিদপ্তর থেকে চলতি বছর জেলার ১২টি উপজেলার ৩৬ হাজার কৃষককে এক কেজি পাট বীজ ও ১২ কেজি করে সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও তালিকাভুক্ত ৯’শ জন কৃষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

টাঙ্গাইলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার দুলাল উদ্দিন বলেন, পাট চাষিদের সুদিন ফিরেছে। পাটের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবার পাট চাষে ঝুঁকেছে কৃষক। পাট চাষ করে কৃষক এখন অনেক লাভবান হচ্ছেন। কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৫. সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৪৮:এএম ৬ মাস আগে
যমুনার পানিতে তলিয়ে গেছে হাজারো হেক্টর জমির ফসল - Ekotar Kantho

যমুনার পানিতে তলিয়ে গেছে হাজারো হেক্টর জমির ফসল

একতার কণ্ঠঃ উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারি বর্ষণে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে কয়েক সপ্তাহ ধরে অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার নিম্ন অঞ্চলের প্রায় শতাধিক এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। এতে করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন চরাঞ্চলসহ হাজার হাজার মানুষ।

এদিকে, পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার যমুনার চরাঞ্চলসহ কৃষকের প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমির ফসল পানিতে ভাসছে ও তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এনিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। এরমধ্যে উপজেলার গাবসারা, অর্জুনা, নিকরাইল ও গোবিন্দাসী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার কার্যালয় জানিয়েছে, চলমান বন্যায় অর্জিত ৮৯০ হেক্টর জমির আউশ ধানের মধ্যে তলিয়ে ও পচে গেছে ৫৮০ হেক্টর জমি, অর্জিত পাট ২ হাজার ৮৩৫ হেক্টর জমির মধ্যে তলিয়ে গেছে ২৮০ হেক্টর জমি, অর্জিত ১ হাজার ৬১০ হেক্টর তিলের মধ্যে তলিয়ে গেছে ১০ হেক্টর, অর্জিত ৩২০ হেক্টর জমির মধ্যে তলিয়ে গেছে ২০ হেক্টর ও অর্জিত ৫১০ হেক্টর বোনা আমনের মধ্যে তলিয়ে গেছে ২০ হেক্টর জমির ফসল।

গাবসারা ইউনিয়নের কালিপুর গ্রামের সফিকুল ইসলাম বলেন, গেল কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর সবচেয়ে বেশি বন্যা হয়েছে। ইতোমধ্যে আমাদের চরাঞ্চলের তিল, পাট, আউশ ধানসহ বিভিন্ন সবজি পানিতে তলিয়ে পচে নষ্ট হয়ে গেছে। চারদিকে পানি আর পানি। এসব ফসল তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়েছে।

গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েড়া গ্রামের মজিবুর রহমান বলেন, ১ বিঘা জমিতে উন্নত জাতের ঢেঁড়শ, মরিচ, পুঁইশাক ও পাটশাকসহ অন্যান্য সবজি চাষ করেছিলাম। মুহুর্তেই পানিতে তা তলিয়ে পচে যাচ্ছে। এসব ফসল তলিয়ে যাওয়ার কারণে অবশিষ্ট আর কিছু রইল না। ঘুরে দাঁড়াতে কৃষি প্রণোদনা দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মোখলেছুর রহমান জানান, টানা ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে চলতি মৌসুমে প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমির আউশ ধান, তিল, পাট ও বোনা আমনসহ বিভিন্ন ফসল নিমজ্জিত হয়েছে এবং বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের কৃষি প্রণোদনা দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৮. জুলাই ২০২৪ ০১:১৫:এএম ৮ মাস আগে
টাঙ্গাইলে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ

একতার কণ্ঠঃ ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের খরিপ-২/২০২৪-২৫ মৌসুমের উফশী আমন আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার ১ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসন ও সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে এ বীজ ও সার বিতরণ করা হয়।

এই বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. ছানোয়ার হোসেন।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান-বিন-মুহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. লোকমান হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুমানা আকতার, করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খালেকুজ্জামান চৌধুরী মজনু, মাহমুদনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসলাম হোসেন শিকদার, ছিলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুজায়েত হোসেন প্রমুখ।

প্রকাশ, প্রণোদনা কর্মসূচিতে সদর উপজেলার ১ হাজার কৃষককের মধ্যে রোপা আমন ধানের বীজ ৫ কেজি, ডিএপি সার ১০ কেজি ও এমওপি সার ১০ কেজি মোট ২৫ কেজি করে বিতরণ করা হয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৩. জুলাই ২০২৪ ০৩:৫৯:এএম ৮ মাস আগে
টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে দুই ধানকাটা শ্রমিক নিহত - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে দুই ধানকাটা শ্রমিক নিহত

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার(১৮ মে) সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার বীর বাসিন্দা ইউনিয়নের নোয়াবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, আফজাল হোসেন ও আমির হোসেন। তারা দিনাজপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার চকদফরপুর গ্রামের বাসিন্দা। নিহতরা সম্পর্কে আপন খালাতো ভাই।

স্থানীয়রা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে উপজেলার আউলিয়াবাদ বাজারে ঘর ভাড়া নিয়ে সেখানে থেকে আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটার কাজ করতো তারা। পরে শনিবার ভোরে বীরবাসিন্দা ইউনিয়নের নোয়াবাড়ী গ্রামের হযরত আলীর ধান ক্ষেতে তাঁরা ৬ জন শ্রমিক ধান কাটতে ব্যস্ত ছিল। এসময় বৃষ্টি শুরু হলে ধান ক্ষেত থেকে দৌঁড়ে বাড়িতে যাওয়ার সময় আফজাল ও আমীরের ওপর বজ্রপাত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।

বীরবাসিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন জানান, সকালে কয়েকজন শ্রমিক হযরত আলীর ক্ষেতে ধান কাটতে যান। এসময় গুড়িগুড়ি বৃষ্টি সাথে বজ্রপাত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজনের মৃত্যু হয়। আহত হন আরো চারজন। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

কালিহাতী থানার এসআই রাজীব জানান, নিহতের স্বজনরা অপমৃত্যু মামলা দায়ের করলে ওসি স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৮. মে ২০২৪ ০৭:৪৩:পিএম ৯ মাস আগে
টাঙ্গাইলে কৃষি মাঠ দিবসে ব্রি’র মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে কৃষি মাঠ দিবসে ব্রি’র মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান

একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেছেন, দেশে এখন চালের পুষ্টি ও গুণগত মানের কথা চিন্তা করে ধানের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করা হচ্ছে। স্বল্প জীবন কালের উচ্চ ফলনশীল জাত নিয়ে গবেষণা করে যাচ্ছে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট। খরা সহিষ্ণু জাত, লবানাক্ততাসহ বিভিন্ন সহনশীল জাত উদ্ভাবন করা হচ্ছে। যে কারণে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

অল্প সময়ে একই জমিতে বছরে অধিক ফসল উৎপাদন করে কিভাবে কৃষকরা লাভবান হবে, সে কথা চিন্তা করে ধানের জাত নিয়ে গবেষণা করছি। এখন চালের পুষ্টি, জিংক সমৃদ্ধ চাল উৎপাদনে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু ব্রি-১০০,১০৪ ও ১০৫ জাতের ধানের কথা উল্লেখ করে বলেন, এ ধানের পুষ্টিমান বেশি, উৎপাদন বেশি। এ ধানের চাল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী।

এ সব জাতের ধান উৎপাদনের মধ্যে দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি পুষ্টির চাহিদাও পূরণ হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ির মুশুদ্দি গ্রামে সরিষা অন্তভুক্তির মাধ্যমে দুই ফসলী শস্য বিন্যাসকে তিন ফসলী বিন্যাসে উন্নয়ন প্রদর্শনীর বঙ্গবন্ধু ধান ব্রি- ১০০ ব্রি-ধান ১০৪ ও ১০৫ জাতের ধানের মাঠ দিবস ও মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ধনবাড়ির মুশুদ্দি গ্রামে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউটের রাইস ফার্মিং সিস্টেমস বিভাগ এ মাঠ দিবস ও মতবিনিময় সভা বাস্তবায়নে গাজীপুরের ব্রি আরএফএসর বিভাগের সিএসও ড. মো. ইব্রাহীম এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. কবির হোসেন, ধনবাড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান, ধনবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি আনছার আলী, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদ হোসেন প্রমুখ।

এ সময় কৃষক-কৃষাণী কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারী ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

পরে মুশুদ্দি গ্রামের বটতলায় সরিষা অন্তভুক্তির মাধ্যমে দুই ফসলী শস্য বিন্যাসকে তিন ফসলী বিন্যাসে উন্নয়ন প্রদর্শনীর বঙ্গবন্ধু ধান ব্রি- ১০০ ব্রি-ধান ১০৪ ও ১০৫ জাতের মাঠ দিবসে ধান কর্তন করা হয়। পরে বিভিন্ন প্রদর্শণী পরিদর্শন করেন তিনি।

এর আগে সকালে মধুপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট গাজীপুরের বোরো ২০২৪ মৌসুমে স্থাপিত এসপিডিপি প্লটে চাষকৃত ব্রির ধান ১০২ জাতের ফসল কর্তণ ও মাঠ দিবস করেছে ফলিত গবেষনা বিভাগ ব্রি গাজীপুর।

মধুপুর কৃষি সম্প্রসারণের সহযোগিতায় মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ব্রি ফলিত গবেষনা বিভাগের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হুমায়ুন কবির। মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাকুরা নান্মির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তাজবি নুর রাত্রি, মধুপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাবিবুর রহমানসহ কৃষকরা এসময় বক্তব্য রাখেন। এসময় মাঠ দিবসে কৃষক কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারি উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৭. মে ২০২৪ ০২:৩৮:এএম ৯ মাস আগে
কৃষিবিদ টাঙ্গাইলের দিনব্যাপী মিলনমেলা অনুষ্ঠিত - Ekotar Kantho

কৃষিবিদ টাঙ্গাইলের দিনব্যাপী মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে অবস্থানরত কৃষিবিদদের নিয়ে ‘কৃষিবিদ টাঙ্গাইল’ এর আয়োজনে মিলনমেলা ও সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী এ মিলনমেলা ও সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সাধারণ সভায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন, অর্থ ও সাপোর্ট সার্ভিসেস) মো. জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. ফরিদুল হাসান, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (অব:) ডা. মোঃ আফাজ উদ্দিন মিঞা, কে-কোচার এর চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ডা. খন্দকার হেলাল উদ্দিনসহ অন্যান্য কৃষিবিদগণ বক্তব্য রাখেন।

সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রেস প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আজিজুল হক।

মিলনমেলা ও সাধারণ সভায় টাঙ্গাইলে অবস্থানরত কৃষিবিদরা সপরিবারে অংশগ্রহণ করেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৪. ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০১:২৮:এএম ১২ মাস আগে
নৌকার বাইরে কাজ করার সুযোগ নেই: কৃষিমন্ত্রী - Ekotar Kantho

নৌকার বাইরে কাজ করার সুযোগ নেই: কৃষিমন্ত্রী

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে কৃষিমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আমি মনে করি, দলের কোন নেতাকর্মী দল বা নৌকার বাইরে কাজ করার কোন সুযোগ নেই। যারা দলের আদর্শ মেনে চলে তাদের অবশ্যই নৌকার পক্ষে কাজ করতে হবে। এই নৌকাকে আমরা বলি হক ভাসানীর নৌকা, এই নৌকা বঙ্গবন্ধুর নৌকা, এই নৌকা আওয়ামী লীগের নৌকা, এই নৌকা শেখ হাসিনার নৌকা। তাই নৌকার বাইরে কাজ করার সুযোগ নেই।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর ) বেলা সাড়ে ১১ টায় টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় যোগদানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ সব কথা বলেন তিনি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, দল থেকে বহিষ্কার হওয়া একটি বিষয়। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, দলের আদর্শের প্রতি অটুট থেকে, অবিচল থেকে, কমিটেড থেকে আদর্শের জন্য কাজ করা। নৌকা হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রতীক, অসাম্প্রদায়িক সমাজ ব্যবস্থা, বাঙালী জাতীয়তাবাদ, গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্রের প্রতীক। ১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে কোন সাম্প্রদায়িকতার সাথে কোন দিন আপোষ করেনি, গনতন্ত্রের সাথে কোন আপোষ করেনি। আমরা চাই, ন্যায় ও সমতার ভিত্তিতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। একটি সুন্দর সুষ্ঠ আদর্শ সমাজ প্রতিষ্ঠা করাই আওয়ামী লীগের লক্ষ।

তিনি আরও বলেন, অর্থনীতির ক্ষেত্রে বৈষম্য ঘুচিয়ে মানুষের মধ্যে ধনী-গরীবের যে পার্থক্য সেটিকে কমিয়ে নিয়ে আসা। কাজেই এটা আদর্শের কমিটমেন্ট। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের স্বার্থে হয়তো বলেছে প্রতিযোগিতার জন্য। কিন্তু তিনি বলেন নাই, নৌকা বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের একজন কর্মী বা অন্য প্রার্থীর জন্য কাজ করতে হবে। নৌকার বাইরে যারা নির্বাচন করছে, আমার দৃষ্টিতে তারা অবশ্যই বিদ্রোহী প্রার্থী।

মন্ত্রী বলেন, আমরা সামনের দিনে কিভাবে দেশের অর্থনীতিকে পুর্নজীবিত করবো, আবার আগের ধারায় শক্তিশালী করবো আমরা সেই বিবেচনা রেখে নির্বাচনে যাচ্ছি। জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় সিদ্ধান্ত নেবো কিভাবে দল ও নৌকার প্রার্থীকে বিজয় করা যায়। আমাদের সাফল্য অর্জনের ও উন্নয়নের বিভিন্ন দিক কিভাবে মানুষের মাঝে তুলে ধরবো তা নিয়ে আলোচনা করবো। আমাদের কি উদ্দেশ্যে, কি অঙ্গীকার ও কি লক্ষ তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। কৃষি, শিক্ষা, সেবা প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা আমরা রক্ষা করতে চাই।

জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুকের সভাপতিত্বে বিশেষ বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের) এমপি, টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর- দেলদুয়ার) আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু, টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী প্রমুখ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৭. ডিসেম্বর ২০২৩ ০১:০১:এএম ১ বছর আগে
সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে সরকার জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: কৃষিমন্ত্রী - Ekotar Kantho

সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে সরকার জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: কৃষিমন্ত্রী

একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, আজকে দেশে একটি রাজনৈতিক দল উন্মাদনা এবং আগুন সন্ত্রাস করছে৷ নির্বাচন করতে দিবে না, সংবিধান অনুযায়ী দেশ চলবে না৷ আমি মনে করি, তারা দেশের মঙ্গল ও কল্যাণ চায় না৷ তারা বিগত সময়ে যেভাবে আগুন দিয়েছিল তা বর্বরোচিত। আমরা দেখেছি ১৪ থেকে ১৫ সালে তারা গাড়ি পুড়িয়েছে, রেল লাইন তুলেছে, বিদ্যুতের লাইন কেটেছে এবং জীবন্ত মানুষকে গাড়িতে পুড়িয়েছে৷ ২৮ আগস্ট একই কায়দায় বর্বরোচিতভাবে পুলিশকে হত্যা করেছে৷

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার মুসুদ্দি উত্তর পাড়া গ্রামে খামারি মোবাইল অ্যাপের কার্যকারিতা যাচাই ও উচ্চ ফলনশীল আমন ধানের ফসল কর্তন ও কৃষক সমাবেশে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন৷

তিনি আরও বলেনে, আমরা যদি দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রাখতে চাই, তাহলে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার৷ দেশে শান্তি দরকার এবং সুন্দর ও সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দরকার। সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে সরকার জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বিএনপি আগুন সন্ত্রাস সহিংসতা পথ ছেড়ে, তারা আবার নির্বাচনে আসবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে ধরপাকড় করা হচ্ছে না। তাদের কর্মীদেরকে প্ররোচিত করা হচ্ছে আগুন সন্ত্রাস করার জন্য। সেটি কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়৷ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব মানুষের জানমাল নিরাপত্তা দেওয়া। তাদের গাড়িগুলোর নিরাপত্তা দেওয়া। দোকানপাট খুলে ব্যবসা বাণিজ্যকে অব্যহত রাখা। দোকান বন্ধ থাকলে কর্মচারীরা না খেয়ে মারা যাবে। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে । শান্তিপ্রিয় কোন বিএনপি নেতা-কমীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।

মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ ঘনবসতির দেশ। জমি কমে যাচ্ছে। ৭ কোটির মানুষ এখন ১৭ থেকে ১৮ কোটি৷ এই মানুষকে খাওয়াতে হলে আরও উন্নত জাতের ফলনশীল উৎপাদন করতে হবে৷ সে লক্ষ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দুটি কাজ করছেন৷

কৃষি মন্ত্রালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব রহুল আমিন তালুকদার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাসুদ করিম, বাংলাদেশ মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জালাল উদ্দীন, বাংলাদেশের পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আবদুল আউয়াল প্রমুখ৷

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৩. নভেম্বর ২০২৩ ১১:১৫:পিএম ১ বছর আগে
টাঙ্গাইলের সাধারণ ক্রেতাদের আলু-পেঁয়াজ কিনতে হিমশিম অবস্থা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলের সাধারণ ক্রেতাদের আলু-পেঁয়াজ কিনতে হিমশিম অবস্থা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে গত কয়েক দিন ধরে বেড়েই চলেছে আলু, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম। বাড়তি দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। জেলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে বাজার মনিটরিং কমিটি থাকলেও তাদের কোন দৃশ্যমান কার্যক্রম নেই। বাজারে নেই জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা শাখার তৎপরতা।

তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, সর্বশেষ বৃষ্টিতে সবজি খেত নষ্ট এবং হরতাল-অবরোধের কারণে আমদানি কমে যাওয়ায় আলু, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন সবজির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ব্যবসায়ী নেতাদের দাবি, টাঙ্গাইলের ব্যবসায়ীরা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে সবজি কিনে আনেন। সেখানে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এখানেও পাইকারি ও খুচরা বাজারে সবজির দাম বেশি। দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে টাঙ্গাইলের ব্যবসায়ীদের কোনো হাত নেই।

ব্যবসায়ীরা জানান, টাঙ্গাইলের প্রধান পাইকারি কাঁচা বাজার পার্কবাজারে প্রতিদিন মধ্যে রাত থেকে পাইকারি দরে আলু-পেঁয়াজসহ বিভিন্ন সবজি বিক্রি করা হয়। শহরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা এবং কালিয়াকৈর, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জের বিভিন্ন হাট বাজারের ব্যবসায়ীরা এখান থেকে পাইকারি দরে আলু-পেঁয়াজসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি কিনে নিয়ে যান। এই বাজারে খুচরা মূল্যে বগুড়া, রাজশাহী, নাটোর দিনাজপুরসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে আলু-পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। কেনার দামে নির্ভর করে বিক্রির দাম নির্ধারণ করেন পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা। পণ্যে গুলোর দাম বাড়ায় বিক্রি কমে গেছে বলেও জানালেন তারা।

পাইকারি ব্যবসায়ী আলী আকবর ও হাফিজ মিয়া বলেন, বর্তমানে টাঙ্গাইলের বাজারে নিজস্ব কোনো আলু নেই। সব আলু উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে আমদানি করতে হয়। পাইকারি দরে প্রতি কেজি আলু ৬৫ টাকা ও পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১৩৫ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। আমাদের যেমন কেনা, তেমন বিক্রি করছি। আমাদের কেউ দাম বাড়ায় না।

খুচরা বিক্রেতা নাজমুল মিয়া বলেন, আলু ৭৫ টাকা, পেঁয়াজ ১৩৫ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, ফুল কপি ৫০ টাকা, শসা দেশী ৮০ টাকা, কচুর মুখি ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।

বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে পার্ক বাজারে কথা হয় অটোরিক্সা চালক মজিবুর রহমানের সাথে। তিনি জানান, আধা কেজি পেঁয়াজ ৭০ টাকা ও আধা কেজি আলু ৪০ টাকা দিয়ে কিনলাম । নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার কারণে আমাদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের নজরদারি বাড়ানোর জোর দাবি করছি।

বাজারে সবজি কিনতে আসা সহকারী অধ্যাপক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, আমরা বেসরকারি চাকরি করি। সব কিছুর দাম দিনের পর দিন বেড়েই চলছে। আগে যে বাজার করতে সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা লাগতো, এখন সেই বাজার করতে চার হাজার টাকার বেশি লাগে। এই অতিরিক্ত টাকার যোগান দেওয়া আমার জন্য কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

পার্কবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুর বারেক মিয়া বলেন, এই বাজারে প্রতিদিন প্রায় ১০০টন করে আলু-পেঁয়াজ বিক্রি হয়। এখানে কয়েক জন ব্যবসায়ী ভারত থেকে এলসি করেও পেঁয়াজ আনেন। হরতাল ও অবরোধের প্রভাব পড়েছে এই সব পণ্যের উপর।কয়েক দিন ধরে হরতাল অবরোধের কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে টাঙ্গাইলের ব্যবসায়ীদের কোনো হাত নেই।

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু জোবায়ের উজ্জ্বল একতার কণ্ঠকে জানান, গত বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) আমাদের সংগঠনের উদ্যোগে জেলা ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক সিকদার শাহিনুর আলম ও জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা খানের সঙ্গে কৃষি পণ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তারা বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার আশ্বাস দিয়েছেন।

টাঙ্গাইল জেলা ভোক্ত অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সিকদার শাহিনুর আলম একতার কণ্ঠকে জানান, কৃষি পণ্য আলু ও পিঁয়াজের দাম বৃদ্ধি মনিটরিংয়ের দায়িত্ব কৃষি বিপণন ও সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের । এই অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগন বিষয়টি দেখাশোনা করে থাকেন।

জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা খান একতার কণ্ঠকে জানান, জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে নিয়মিত বাজার মনিটারিং করা হয়। তবে আলু ও পিঁয়াজের ক্ষেত্রে এই কৃষি পণ্য দুটি জেলার মোট চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় উত্তরবঙ্গ থেকে আমদানি করতে হয়। ফলে টাঙ্গাইলে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ের এই পণ্য দুটির দাম বেশি হয়ে যায়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০২. নভেম্বর ২০২৩ ০২:২১:এএম ১ বছর আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।