/ হোম / এক্সক্লুসিভ
মির্জাপুরে গুলি করে গরু ব্যবসায়ীদের ৭৮ লাখ টাকা লুট - Ekotar Kantho

মির্জাপুরে গুলি করে গরু ব্যবসায়ীদের ৭৮ লাখ টাকা লুট

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ডাকাতেরা গুলি করে গরু ব্যবসায়ীদের ৭৮ লাখ টাকা লুট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার(২২ মার্চ) সন্ধায় গোড়াই-সখীপুর আঞ্চলিক সড়কে উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী গরু ব্যবসায়ীরা হলেন, রাজশাহীর পবা উপজেলার বিন্দারামপুর গ্রামের মোকসেদ আলীর ছেলে পিয়ারোল, একই এলাকার লিটন মিয়া, মনিরুল ও জেবেল মিয়া।

ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, টাঙ্গাইলে গরুর অন্যতম বৃহৎ হাট হচ্ছে মির্জাপুরের কাইতলা। শনিবার ছিল সাপ্তাহিক হাটবার। ভুক্তভোগী গরু ব্যবসায়ীরা বেচাবিক্রি শেষে সন্ধায় প্রাইভেট কারে হাট থেকে ফিরছিলেন। পথে নয়াপাড়া এলাকায় ৮ থেকে ১০টি মোটরসাইকেল ও একটি মাইক্রোবাসে এসে ডাকাতেরা ব্যবসায়ীদের প্রাইভেট কারের গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। পরে ডাকাতেরা প্রাইভেট কারের গ্লাস ভেঙে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাঁদের সঙ্গে থাকা ৭৮ লাখ টাকাভর্তি দুটি ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। এর পর খাটিয়ারহাট সড়ক দিয়ে তারা পালিয়ে যায় বলে গরু ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

খবর পেয়ে মির্জাপুর সার্কেলের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজওয়ান মাহাবুব সিদ্দিকী ও মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন পুলিশের একাধিক টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তাঁরা এ ব্যাপারে গরু ব্যবসায়ী ও আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।

গরু ব্যবসায়ী পিয়ারোল বলেন, ‘ডাকাতেরা গুলি ছুড়লে আমরা ভয় পেয়ে যাই। পরে অস্ত্র ঠেকিয়ে আমাদের ৭৮ লাখ টাকাভর্তি দুটি ব্যাগ নিয়ে চম্পট দেয়। খবর পেয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে আসেন।’

মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি )মো. মোশারফ হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ শুরু করেছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৩. মার্চ ২০২৫ ০৫:২৯:এএম ৩ দিন আগে
টাঙ্গাইলে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে কোটি টাকা আত্মসাৎ: ভুক্তভোগীদের মানববন্ধন - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে কোটি টাকা আত্মসাৎ: ভুক্তভোগীদের মানববন্ধন

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলে বেসরকারী সংস্থা সোনিয়া ফাউন্ডেশনের স্বত্বাধিকারী সোনিয়া আক্তারের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়া লোক পাঠানোর নাম করে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ এর অভিযোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

রবিবার (১৬ মার্চ) সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে দুই ঘন্টা ব্যাপী ওই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সরকারি এমএম আলী কলেজের সাবেক ভিপি অ্যাডভোকেট আজীম উদ্দিন বিপ্লব, ভাসানী পরিষদের খোদা-ই-খেদমতগারের হাসরত খান ভাসানী, টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর রকি হায়দার, জোবায়ের হোসেন প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, বেসরকারি সংস্থা সোনিয়া ফাউন্ডেশনের স্বত্বাধিকারী সোনিয়া আক্তার আস্ট্রেলিয়ায় ভালো বেতনে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন জায়গার মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত অস্ট্রেলিয়া নিতে না পারায় ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত চাইলে নানা তালবাহানা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। সম্প্রতি সোনিয়া টাঙ্গাইল পৌরসভার সন্তোষ এলাকার সাজু মিয়ার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে গ্রেফতার করিয়েছেন। অবিলম্বে সাজুর মুক্তির দাবি জানান তারা। বক্তারা অনতিবিলম্বে সোানিয়াকে বিচারের আওতায় আনার দাবিও জানান মানববন্ধন থেকে।

মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল প্রেস ক্লাব থেকে শুরু হয়ে শহরের নিরালা মোড় হয়ে পুনরায় প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।

এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় পাঁচ শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ গ্রহণ করে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৭. মার্চ ২০২৫ ০৫:০২:এএম ১ সপ্তাহ আগে
১৭ বছর পর নিজ জন্মভূমি টাঙ্গাইলে বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু - Ekotar Kantho

১৭ বছর পর নিজ জন্মভূমি টাঙ্গাইলে বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু

আরমান কবীরঃ দীর্ঘ ১৭ বছর পর নিজ জন্মভূমি টাঙ্গাইলে এসেছেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান সদ্য কারামুক্ত আব্দুস সালাম পিন্টু।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটে তিনি সড়ক পথে ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল শহরের প্রবেশদ্বার নগরজলফৈ বাইপাসে পৌঁছালে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ তাঁকে স্বাগত জানায়।

এ সময় তাকে বহনকারী গাড়ি বহরে ফুলের পাপড়ি ছিটানো হয়। নগরজলফৈ বাইপাস থেকে শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানের আসার পথে তাকে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। দীর্ঘ ১৭ বছর পর তার টাঙ্গাইল আগমনকে কেন্দ্র করে জেলা শহর জুড়ে উৎসব মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

পরে বিকেলে জেলা বিএনপি’র পক্ষ থেকে টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে সদ্য কারামুক্ত বিএনপি’র কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টুর গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটি সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আবেগ-আপ্লুত কণ্ঠে সালাম পিন্টু বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আমাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছিল। দেশবাসী ও বিশেষ করে টাঙ্গাইলবাসির দোয়া ও ভালোবাসায় আজ আমি আমার জন্মভূমিতে জীবিত অবস্থায় ফিরতে পেরেছি। মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমি আজ আপনাদের মাঝে পৌঁছাতে পেরেছি। যতদিন জীবিত থাকবো- আপনাদের কল্যাণে আমি নিজেকে উৎসর্গ করলাম।

শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে আয়োজিত সংবর্ধনা স্থলে প্রিয় নেতাকে দেখতে নেতাকর্মীসহ সাধারন মানুষের ঢল নামে। নানা স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পৌর উদ্যান এলাকা। এ উপলক্ষে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন জায়গায় সাজানো হয়েছে তোরণ দিয়ে । লাগানো হয়েছে ব্যানার ও পোস্টার।

জেলা বিএনপি’র সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীনের সভাপতিত্বে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আহমেদ আযম খান, বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপি’র সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সাঈদ সোহরাব, বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য ওবায়দুল হক নাসির, জেলা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধাা হামিদুল হক মোহন, জেলা বিএনপি’র সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মাহমুদুল হক সানু প্রমূখ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে আব্দুস সালাম পিন্টু দলের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মাজার জিয়ারত ও দোয়া পাঠ করেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৪. ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ০৪:০৩:এএম ১ মাস আগে
বিএনপি’র ৩১ দফার পুরোটাই সংস্কার কর্মসুচি: নজরুল ইসলাম খান - Ekotar Kantho

বিএনপি’র ৩১ দফার পুরোটাই সংস্কার কর্মসুচি: নজরুল ইসলাম খান

আরমান কবীরঃ বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বাংলাদেশের কিছু রাজনৈতিক দল আছে কিছু নতুন, কিছু পুরাতন। তারা জনগণকে বোঝাতে চেষ্টা করছে বিএনপি নাকি সংস্কার চায় না। সংস্কার কী? খায় না মাথায় দেয়। বাংলাদেশে সকল কল্যাণকর সংস্কার করেছে বিএনপি। বিএনপি যে ৩১ দফা দিয়েছে তার পুরোটাই সংস্কার কর্মসূচি। সংস্কারের প্রত্যেকটা বিষয় ৩১ দফার মধ্যে রয়েছে।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে সদ্য কারামুক্ত বিএনপি’র কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টুর গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ১৬ বছর ধরে স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদের পতনের জন্য বিএনপি’র নেতাকর্মীরা লড়াই করেছে। এখনও লড়াই শেষ হয়ে যায় নাই। লাখ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অনেকের কারাগারে বা গুম অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। ৫ আগস্ট আমি জেলখানায় ছিলাম। আমাদের ৫১৮ জন নেতাকর্মী নিহত হয়েছে। আমাদের অনেক নেতাকর্মী কারাগারে ছিল। অনেক লড়াই, সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতিক্ষার পর দেশে পরিবর্তন এসেছে। স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। কিন্তু গণতন্ত্র এখনও পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয় নাই। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।

নির্বাচন প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম খান বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয় না। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার নির্বাচন হচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেজন্য বলি সবার আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। বলি নাই বিএনপিকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেন। যারা জয়লাভ করবে, তারাই সরকার গঠন করবে।

তিনি বলেন, আব্দুস সালাম পিন্টু মৃত্যুদন্ডের আদেশ মাথায় নিয়ে কারাগারেও অনিশ্চিত জীবন কাটিয়েছেন। শতশত নেতাকর্মী গুম-খুনের স্বীকার হয়েছেন।

জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীনের সভাপতিত্বে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি’র ভাইচ চেয়ারম্যান এডভোকেট আহমেদ আযম খান, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপি’র সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সাঈদ সোরহাব, বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য ওবায়দুল হক নাসির, জেলা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধাা হামিদুল হক মোহন, জেলা বিএনপি’র সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মাহমুদুল হক সানু, ৯০এর এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের ছাএদল নেতা মোঃ আব্দুল্লাহ আকন্দ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল।

এদিকে দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর পর আব্দুস সালাম পিন্টু নিজ জেলা টাঙ্গাইলে পৌছলে শহরের নগর জলফৈ বাইপাসে তাকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়। বিকেলে শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে আয়োজিত সংবর্ধনাস্থলে প্রিয় নেতাকে দেখতে নেতাকর্মীসহ সাধারন মানুষের ঢল নামে। নানা স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পৌর উদ্যান এলাকা।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে আব্দুস সালাম পিন্টু দলের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মাজার জিয়ারত ও দোয়া পাঠ করেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৪. ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ০২:৫৩:এএম ১ মাস আগে
সাবেক এমপি ছানোয়ারের গ্রেপ্তারের খবরে টাঙ্গাইলে মিষ্টি বিতরণ - Ekotar Kantho

সাবেক এমপি ছানোয়ারের গ্রেপ্তারের খবরে টাঙ্গাইলে মিষ্টি বিতরণ

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সাবেক এমপি ও টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছানোয়ার হোসেন ঢাকায় গ্রেপ্তার হওয়ার খবরে টাঙ্গাইলে মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল করা হয়েছে।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের নিরালা মোড়, নিউ মার্কেটসহ আশপাশের এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়। পরে একটি আনন্দ মিছিল শহরের নিরালা মোড় থেকে বের হয়ে শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে গিয়ে শেষ হয়।

এই আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণের নেতৃত্বদেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দ্যাইনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লাভলু মিয়া লাবু। এসময় দ্যাইনা ইউনিয়নের বিএনপি’র বেশ কিছু নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করে।

এ প্রসঙ্গে লাভলু মিয়া লাবু বলেন, টাঙ্গাইল সদর আসনের সাবেক এমপি ছানোয়ার হোসেন আমার বড় ভাই দ্যাইনা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফারুক চেয়ারম্যানের হত্যাকান্ডের অর্থদাতা। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ফারুক চেয়ারম্যান হত্যাকাণ্ডের সমস্ত তথ্য বের হয়ে আসবে বলে মনে করি।

তিনি আরও বলেন, ছানোয়ারের বাহামভূক্ত দ্যাইনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আফজাল হোসেনের অত্যাচার ও নির্যাতনের কারণে অনেক নিরীহ গ্রামবাসী এলাকা ছাড়া হয়েছিল। অবিলম্বে আফজাল চেয়ারম্যানের গ্রেপ্তারেরও জোর দাবি জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, ছানোয়ার হোসেনের গ্রেপ্তারের সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথেই আমারা শহরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছি। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে দ্যাইনা ইউনিয়ন থেকে একটি বিশাল আনন্দ মিছিল বের করা হবে।

এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল বলেন, ছানোয়ার হোসেনের গ্রেপ্তারের সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথেই টাঙ্গাইল শহরসহ সদর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের বৃদ্ধ থেকে শুরু করে ছাত্র-জনতা আনন্দ উল্লাস করেছে।

তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে টাঙ্গাইল শহরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। লোকটি নিজেকে সাদা মনের মানুষ বলে দাবি করলেও এমন কোন অন্যায় কাজ নেই যেটা সে করেনি। আমি দ্রুত তাকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, রাজধানী ঢাকার ভাটারায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছানোয়ার হোসেন (৫৪) সহ তিন আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির ভাটারা থানা পুলিশ।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টা ৩০ মিনিটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ব্লক- এল এর ১০নং রোডের ২৫০১ নং বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছানোয়ার পেশায় তামাক ব্যবসায়ী, যিনি গত তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনে সংসদ সদস্য হন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে তার বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল সদর ও মির্জাপুর থানায় শিক্ষার্থী মারুফ ও ইমন হত্যাসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে।

সরকার পতনের দুদিন আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনের কৌশল ঠিক করতে টাঙ্গাইল সার্কিট হাউজে স্থানীয় কয়েকজন সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে গোপন বৈঠক করেছিলেন তিনি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৭. ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ০৩:২৬:এএম ১ মাস আগে
টাঙ্গাইল সদরের সাবেক এমপি ছানোয়ার ঢাকায় গ্রেপ্তার  - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল সদরের সাবেক এমপি ছানোয়ার ঢাকায় গ্রেপ্তার 

আরমান কবীরঃ রাজধানী ঢাকার ভাটারায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছানোয়ার হোসেন (৫৪) সহ তিন আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির ভাটারা থানা পুলিশ।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টা ৩০ মিনিটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ব্লক- এল এর ১০নং রোডের ২৫০১ নং বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ভাটারা থানা সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সকাল ১০টায় ভাটারা থানার জে ব্লকের ৯ নম্বর রোডের সড়কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী মিঠুন ফকির (২৮) হামলায় আহত হন। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে ১৯ ডিসেম্বর ভাটারা থানায় একটি মামলা করেন। তদন্তাধীন এ মামলায় গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার রাতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা হতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত সালাউদ্দিন সালেক ওরফে সালেক ঢালী এ মামলায় এজাহারনামীয় ও এমপি ছানোয়ার হোসেন ও আবু মুসা আনসারী মামলার সন্দেহভাজন আসামি। গ্রেপ্তারকৃতদের রবিবার দুপুরে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল বলেন, বিনা ভোটে নির্বাচিত টাঙ্গাইল সদর আসনের এমপি ছানোয়ার হোসেন গ্রেপ্তারের খবরে শহরে আনন্দ উৎসব হচ্ছে। আশা করি, অতি দ্রুত বিচার করে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

এদিকে, ছানোয়ার হোসেনের গ্রেপ্তারের খবরে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ লাবলু মিয়া লাবুর নেতৃত্বে শহরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৬. ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১০:৩৩:পিএম ১ মাস আগে
টাঙ্গাইল জেলা সংবাদপত্র পরিষদের নবনির্বাচিত সভাপতি মওলা- সম্পাদক হাবিব  - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদপত্র পরিষদের নবনির্বাচিত সভাপতি মওলা- সম্পাদক হাবিব 

আরমান কবীরঃ বাংলাদেশ আঞ্চলিক সংবাদপত্র পরিষদ টাঙ্গাইল জেলা শাখার নতুন কমিটি শনিবার(১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঘোষণা করা হয়েছে।

টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভা শেষে সাপ্তাহিক প্রযুক্তির সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলাকে সভাপতি ও দৈনিক যুগধারা পত্রিকার সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমানকে (সরকার হাবিব) সাধারণ সম্পাদক করে ওই কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির অন্যান্য পদে নির্বাচিত সদস্যরা হচ্ছেন- দৈনিক আজকের টেলিগ্রামের সম্পাদক সাহাব উদ্দিন মানিক ও আলোকিত মধুপুরের সম্পাদক মো. আব্দুল আজিজ (সহ-সভাপতি), টাঙ্গাইল সমাচারের সম্পাদক মো. মাসুদুল হক ও সাপ্তাহিক জাহাজমারার সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান (যুগ্ম সম্পাদক), টাঙ্গাইল প্রতিদিনের সম্পাদক মো. মোস্তাক হোসেন (কোষাধ্যক্ষ), সাপ্তাহিক পাপিয়ার সম্পাদক মো. সেলিম তরফদার (সাংগঠনিক সম্পাদক), সাপ্তাহিক শোষিতের কন্ঠের সম্পাদক কাজী শায়লা ইয়াছমীন (আইন বিষয়ক সম্পাদক), সাপ্তাহিক আমাদের টাঙ্গাইলের সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান (প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক)।

কার্যকরী কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন- দৈনিক মজলুমের কন্ঠের সম্পাদক জাফর আহমেদ, সাপ্তাহিক গণবিপ্লবের সম্পাদক মোশাররফ হোসেন সিদ্দিকী, সাপ্তাহিক ইনতিজারের সম্পাদক এবিএম আব্দুল হাই মিয়া, সাপ্তাহিক সময় তরঙ্গের সম্পাদক কাজী হেমায়েত হোসেন হিমু, সাপ্তাহিক লোকধারার সম্পাদক এনামুল হক দীনা, আজকের দেশবাসীর সম্পাদক অরণ্য ইমতিয়াজ, সাপ্তাহিক কালের স্বরের সম্পাদক শামছুজ্জামান, সাপ্তাহিক সমাজচিত্রের সম্পাদক মামুনুর রহমান, সাপ্তাহিক সামালের সম্পাদক মাহবুবুল আলম আব্বাসী, দৈনিক লোককথার সম্পাদক আবিদা সুলতানা, দৈনিক টাঙ্গাইল সময়ের মো. পারভেজ হাসান, সাপ্তাহিক বারবেলার সম্পাদক হোসনি জোবাইরি।

উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশ মোতাবেক কমিটি পুন:গঠন নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি জাফর আহমেদ ১৫ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) কমিটি ঘোষণা করেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৬. ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১২:৫১:এএম ১ মাস আগে
টাঙ্গাইলে ভালোবাসা দিবসে ফুল বিক্রি করায় দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ভালোবাসা দিবসে ফুল বিক্রি করায় দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ

আরমান কবীরঃ বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসে ফুল বিক্রি করায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় দোকানে `তৌহিদী জনতা’র ব্যানারে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে ‘ভালোবাসা বিরোধী’ বিক্ষোভ করেছেন তারা।

শুক্রবার(১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের ভূঞাপুর থানা কাছে কলেজ রোডে ‘মামা গিফট কর্নারে’ এই ভাঙচুর ও বিক্রির জন্য রাখা ফুল রাস্তায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন দোকানদার।

এসময় বিক্ষুদ্ধরা ‘ভালোবাসা দিবস, ভালোবাসা দিবস- চলবে না, চলবে না’, ‘প্রেমিক-প্রেমিকার গালে গালে, জুতা মারো তালে তালে’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

ফুলের দোকানদার আলম
জানান, “দীর্ঘদিন ধরে দোকানে ফুল বিক্রি করি। এর মধ্যে শুক্রবার বিকালে কিছু লোকজন এসেই দোকানে হঠাৎ আক্রমণ ও ভাঙচুর করে ফুলগুলো রাস্তায় ফেলে দেয়।

“ভালবাসা দিবসে কেন ফুল বিক্রি করছি সেটাই অপরাধ। আরেকটি দোকান ভেঙেছে তাও কিছু বলিনি। আগেরদিন তারা নিষেধ করে গিয়েছিল।”

এদিকে স্থানীয় নিরিবিলি ফুড কর্নারের ম্যানেজার আসাদ খান বলেন, “ ১৩ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) হুজুররা এসে ফাস্টফুড বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল। তখন তারা ফাস্টফুডে বিক্ষোভ করে বিভিন্ন স্লোগানে দিয়েছিল। ফলে বাধ্য হয়ে শুক্রবার প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।”

এদিকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে শনিবার ভূঞাপুরে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর ‘বসন্তবরণ অনুষ্ঠান’ স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভূঞাপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মেহেদী হাসান।

তিনি বলেন, “ভালোবাসা দিবসের বিভিন্ন ঘটনার কারণে অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে বসন্তবরণের অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরবর্তীতে বসন্তবরণ অনুষ্ঠান করা হবে।”

তবে ভূঞাপুর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বলেন, “ফুল দোকানের ঘটনার বিষয়টি জানা নেই। এছাড়া ভাঙচুরের বিষয়েও কোনো অভিযোগ পাইনি বলে দায়িত্ব এড়িয়ে যান।

 

শুক্রবার(১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের ভূঞাপুর থানা কাছে কলেজ রোডে ‘মামা গিফট কর্নারে ভাঙচুর করা হয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৫. ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ০৯:২২:পিএম ১ মাস আগে
টাঙ্গাইলে ভালোবাসা দিবসে শহরের রাস্তায় উত্ত্যক্তের শিকার নারী সমন্বয়ক - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ভালোবাসা দিবসে শহরের রাস্তায় উত্ত্যক্তের শিকার নারী সমন্বয়ক

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নারী সমন্বয়ক ফাতেমা রহমান বীথি উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছেন।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯ টার দিকে শহরের প্রাণকেন্দ্রে ভিক্টোরিয়া ফুড জোনের সামনে সমন্বয়ক বীথিসহ তার সঙ্গে থাকা মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে চার বখাটে যুবক।

প্রতিবাদ করলে উল্টো ওই নারী সমন্বয়কের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়। এ সময় আশে পাশে থাকা লোকজন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করলেও তাকে বাঁচাতে কেউ এগিয়ে আসেনি বলে জানা গেছে।

সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের মধ্যে দুজনকে শনাক্ত করা গেছে। তাঁদের একজন অমিয় ও অন্যজন মুন্না। বাকি দুজনের পরিচয় এখনও মেলেনি।

ফাতেমা রহমান বীথি টাঙ্গাইল আইন কলেজের শিক্ষার্থী এবং জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থগিত হওয়া কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও  ছাত্র ফেডারেশন টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সিসিটিভির ভিডিওতে দেখা গেছে, মোটরসাইকেলের ওপর বসা দুই যুবক সমন্বয়ক বীথির সঙ্গে তর্কাতর্কি করছে। এ সময় ঘটনাস্থলে লোকজন জড়ো হয়ে গেলে তারা মোটরসাইকেল নিয়ে চলে যায়।

এ বিষয়ে ফাতেমা রহমান বীথি বলেন, ‘শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে থেকে ওই বখাটেরা অনুসরণ করছিল। পরে সেখান থেকে ভিক্টোরিয়া ফুড জোনে আসার পর তারা উত্ত্যক্ত করে। এ সময় তারা বিভিন্ন বাজে মন্তব্য করেছে। পরে প্রতিবাদ করলে তারা খারাপ আচরণ করে। একপর্যায়ে লোকজন জড়ো হয়ে গেলে তারা পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। ওই বখাটেদের শাস্তি দাবি করছি।’

টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীর আহমেদ জানান, ঘটনার পর ফাতেমা রহমান বীথি আমাকে ফোনে জানালে আমি ছুটিতে থাকায় সাব-ইন্সপেক্টর (এস আই) নজরুলকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৫. ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ০৭:৩২:পিএম ১ মাস আগে
টাঙ্গাইলে আ’লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ তালুকদার গ্রেপ্তার  - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে আ’লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ তালুকদার গ্রেপ্তার 

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও স্থানীয় নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুদ তালুকদারকে(৬০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার নারান্দিয়ার নিজ বাসভবন তাকে গ্রেপ্তার করে কালিহাতী থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত মাসুদ কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি বলে জানা গেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে উপজেলার নারান্দিয়ায় নিজ বাসভবন থেকে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কালিহাতী থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে চেয়ারম্যানকে আটক করা হয়।

এবিষয়ে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম ভূঁইয়া জানান, নিয়মিত মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মাসুদ তালুকদারকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১১. ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১১:৩৩:পিএম ১ মাস আগে
টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহান ৪ দিনের রিমান্ডে  - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহান ৪ দিনের রিমান্ডে 

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতিসহ তিনজনকে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

তারা হলেন- জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, গোপালপুর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল কবির ও গোপালপুর উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী কবির হোসেন।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে তাঁদের টাঙ্গাইল আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরা তিনজন ৫ আগস্টের পর আত্মগোপনে চলে যান। গত ৬ জানুয়ারি ঢাকার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে ঢাকার একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৯ জানুয়ারি তিনদিনের রিমান্ডে নেয় গোয়েন্দা পুলিশ।

আদালত পরিদর্শক লুৎফর রহমান জানান, সোমবার তাদের টাঙ্গাইল আদালতে হাজির করা হয়। প্রথমে গোপালপুরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর হামলার অভিযোগে দায়েরকৃত একটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে ওই মামলায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়। বিচারক সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পশুপতি বিশ্বাস তাদের তিনজনকেই দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পরে টাঙ্গাইল সদর আমলী আদালতে ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমানকে হাজির করে স্কুল ছাত্র মারুফ হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়। বিচারক সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাদল চন্দ্র চন্দ দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর টাঙ্গাইল শহরে ছাত্র-জনতা বিজয় মিছিল বের করে। ওই মিছিলে গুলিবর্ষনের ঘটনা ঘটে। এতে স্কুল ছাত্র মারুফ নিহত হয়। নিহত মারুফের মা মোর্শেদা বাদি হয়ে দুইশতাধিক নাম উল্লেখ করে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। সোহানুর রহমান সেই মামলার অন্যতম আসামি। এদিকে গোপালপুর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল কবির ও ছাত্রলীগ কর্মী কবির হোসেনকে টাঙ্গাইল শহরে গত ৪ আগস্ট ছাত্র জনতার মিছিলে হামলার অভিযোগে দায়েরকৃত একটি মামলায় আদালতে হাজির করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।আ’লীগ-ছাত্রলীগের তিন নেতা কারাগারে

নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের টাঙ্গাইল শহর শাখার সহ-সভাপতি ইকবাল হায়াতসহ আরও দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

অপর দুইজন হলেন, টাঙ্গাইল পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য মুন্না গোয়ালা (৫২) ও কাতুলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং টাঙ্গাইল সদর থানা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল কুদ্দুস খান (৫৫)। রবিবার রাতে তাদের পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানবীর আহমেদ জানান, সোমবার বিকেলে গ্রেপ্তারকৃতদের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলকারীরের উপর হামলার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। এর মধ্যে ছাত্রলীগে নেতা ইকবাল হায়াতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।

টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক লুৎফর রহমান জানান, ইকবাল হায়াতের রিমান্ড শুনানি হয়নি। আদালত গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকেইকা রাগারে পাঠিয়েছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১১. ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ০৭:৫০:পিএম ১ মাস আগে
টাঙ্গাইলে মহাসড়কের পাশ থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে মহাসড়কের পাশ থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাসাইল উপজেলার করাতিপাড়া বাইপাসের পাশ থেকে অভিজিত কুমার (২৬) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে বাসাইল থানা পুলিশ।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার হাবলা ইউনিয়নের গুল্যা এলাকা থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত অভিজিত কুমার সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার পাঁচগাছি গ্রামের রিপন চন্দ্র সরকারের ছেলে বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে যুবকের মরদেহ দেখতে পাই। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। প্রথমে যুবকের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব না হলেও পরে তার প্যান্টের প্যাকেটে থাকা জন্ম সনদ, সার্টিফিকেট দেখে পরিচয় শনাক্ত করা হয়।

বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রথমে যুবকের পরিচয় শনাক্ত করা যাইনি। পরে তার প্যান্টের প্যাকেট থেকে কাগজ দেখে পরিচয় শনাক্ত করা হয়। স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যানের মাধ্যমে তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১০. ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ০৯:০৪:পিএম ১ মাস আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।