আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলে শেষ হলো দেড়শ’ বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী তিন দিনব্যাপী ‘জামাই মেলা’। এ মেলায় জামাই ছাড়াও দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছিল। ফলে আয়োজক কমিটিসহ মেলায় আগত সকল ধরনের দোকানিরাও তাদের পণ্য ভালো বিক্রি করতে পেরে অনেক খুশি।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকাল থেকে সদর উপজেলার গালা ইউনিয়নের রসুলপুর বাছিরননেছা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তিন দিনব্যাপী এ মেলা শুরু হয়। মেলা চলেছে রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাত ৮টা পর্যন্ত।
জানা গেছে, প্রায় দেড়শ বছর ধরে সনাতন পঞ্জিকা অনুসারে প্রতিবছর ১১, ১২ ও ১৩ বৈশাখ রসুলপুরে তিন দিনব্যাপী এই ‘জামাই মেলা’ বসে। মেলাকে কেন্দ্র করে জেলার কালিহাতী, ভূঞাপুর, ঘাটাইল ও সদর উপজেলার আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মেয়েরা তাদের স্বামীকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসেন। মেলা উপলক্ষে জামাইকে বরণ করে নেওয়ার জন্য শ্বশুর-শাশুড়িরাও বেশ আগে থেকেই নেন নানা প্রস্তুতি। এ ছাড়া মেয়ের জামাইরা মেলা থেকে শ্বশুরবাড়ির জন্য বিভিন্ন কেনাকাটা করেন।
এই মেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দোকানিরা এসেছিল বিভিন্ন পণ্য নিয়ে। দোকানে বিভিন্ন ধরনের খেলনা, প্রসাধনী, খাবারের দোকান, মিষ্টির দোকানসহ ছোট-বড় দোকান বসেছিল।
রবিবার সন্ধ্যায় কথা হয় হাসান হাসান নামের এক দর্শনার্থীর সাথে। তিনি বলেন, মেলাটি জামাই মেলা নামে পরিচিত। মেলাটিকে কেন্দ্র করে এ এলাকার জামাইরা একত্রিত হয়েছিল। এমন মেলায় আসতে পেরে খুবই আনন্দিত তিনি।
স্থানীয় রসুলপুরের বাসিন্দা সেলিম মন্ডল বলেন, প্রায় দেড়শ বছর ধরে এ মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এলাকার মানুষের কাছে ঈদ বা পূজা-পার্বণের মতোই এ মেলা একটি উৎসব। মেলাটি বৈশাখী মেলা হিসেবে শুরু হলেও এখন এটি জামাই মেলা হিসেবে পরিচিত।
তিনি আরও বলেন, আমার একটি মাত্র বোন। বছরে একরার আসে এ জামাই মেলাকে কেন্দ্র করে। গতবার মেলায় জামাই আসতে পারেনি। এবার তিনি এসেছেন।
মেলায় আগত জেলার কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গার সাবিনা ইয়াসমিন জানান, তিনি প্রতিবছর এই মেলায় ঘুরতে আসেন। মেলা থেকে বাড়ীর জন্য কয়েক কেজি মিষ্টান্ন ‘রসগোল্লা’ কিনেছেন।
রসুলপুরের জামাই স্বপন মন্ডল বলেন, গতবার আসতে পারিনি। এবারের মেলাতে প্রথম দিন আসিনি। আজ তৃতীয় দিন সকালে এসেছি। শ্বশুরবাড়ি এসে বিকেলে মেলায় আসছি। শ্বশুরবাড়ির বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন জিনিস কিনেছি। পরে মাছ এবং মিষ্টি কিনে নিয়ে যাব। আমার শাশুড়ি মেলায় আসার সময় দুই হাজার টাকা দিয়েছেন।
মেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব আনিসুর রহমান বলেন, মেলা সফল করতে সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছিল। মেলায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এসেছিলেন দোকানিরা। তারা খাবারের দোকান, মিষ্টি জাতীয় পণ্যের দোকানের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের খেলনা, প্রসাধনীর দোকানও দিয়েছিলেন। এ ছাড়াও শিশু-কিশোরসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষের বিনোদনের জন্য বিভিন্ন ধরনের রাইড এর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। রসুলপুরের এ মেলাটি বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম। রবিবার রাত ৮টার দিকে মেলাটির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে। তিন দিনে মেলায় প্রায় দুই কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইল শহরের উত্তরের প্রবেশদ্বার রাবনা বাইপাস ও দক্ষিণের প্রবেশদ্বার বেবিস্ট্যান্ড এলাকা। এই শতাব্দি প্রাচীন পৌর শহরের এই ২টি প্রবেশদ্বারে অপরিকল্পিতভাবে শহরের বর্জ্য ফেলে ময়লার ভাগারে পরিণত করেছে টাঙ্গাইল পৌর কর্তৃপক্ষ।
টাঙ্গাইল পৌর শহরের উত্তর কিংবা দক্ষিণ দিক দিয়ে নতুন কেউ প্রবেশ করলে এই জেলা শহর সম্পর্কে একটি নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়। এছাড়া এই রাস্তায় চলাচলকারী শহরবাসীকে প্রতিনিয়ত দুর্গন্ধ সহ্য করে চলাচল করতে হয়। অনেকটা যেন দুর্গন্ধ দিয়ে তাদের আমন্ত্রণ জানায় এই পৌর শহরটি।
এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে খোলাস্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় এলাকার পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে। দুর্গন্ধে স্থানীয় মানুষ ও পথচারীরা অতিষ্ট। আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জোরালো দাবি থাকলেও এখনো করতে পারেনি পৌর কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, টাঙ্গাইল পৌরসভাটি ১৮৮৭ সালের ১ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয়। ২৯ দশমিক ৪৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের পৌরসভায় ২ লাখেরও বেশি লোকের বসবাস। মোট ভোটার ১ লাখ ৪০ হাজার ২৩১ জন। এ পৌরসভায় ১৩৮ বছরেও গড়ে উঠেনি আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান। নেই আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনাও।
সরেজমিনে দেখা যায়, টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাবনা বাইপাসের রাস্তার পাশে বিশাল এলাকা জুড়ে ময়লার স্তুপ। শহরের ময়লাগুলো পৌরসভার ভ্যানে করে খোলাভাবে ঢেলে ফেলা হচ্ছে। জেলার উত্তরের ৬ উপজেলা ও উত্তরবঙ্গের মানুষ শহরে যাতায়াত করেন এই সড়কটি দিয়ে। যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা দুর্গন্ধ সহ্য করতে না পেরে নাকে কাপড় চেপে যাচ্ছেন। পথচারীরা এ এলাকায় একমিনিটের জন্যও দাঁড়াচ্ছেন না।
ময়লার মধ্যে পড়ে আছে গরু-শকুরের মরদেহ। এদিকে এরমধ্যেই টোকাইরা ময়লা থেকে তাদের কাঙ্ক্ষিত জিনিস খুঁজছে।
অপরদিকে, শহরের বেবিস্ট্যান্ড এলাকার পশ্চিম-দক্ষিণ পাশের খালে প্রতিনিয়ত ময়লা ফেলা হচ্ছে। টাঙ্গাইলের নাগরপুরসহ দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ কাগরামী সড়কে যাতায়াত করেন। মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারি এমএম আলী কলেজের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা এ পথেই চলাচল করেন। দুর্গন্ধে আশপাশের বসতি ও দোকানদারদের করুণ অবস্থা।
বেবিস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের কি যে খারাপ লাগে সেটা বলে বোঝোতে পারবো না। ঘরে থাকা, রান্না ও খাওয়া কিছুই তৃপ্তি সহকারে করতে পারিনা। অনেকবার বলেছি কোন লাভ হয়নি।
আসিফ হোসেন নামের এক স্কুল ছাত্র বলেন, এখান দিয়ে স্কুলে যাবার সময় দুর্গন্ধে পেট ফুলে যায়। বাতাসে দুর্গন্ধ বাড়িতে চলে আসে। এখানে ময়লা না ফেলার অনুরোধ করি।
রাবনা বাইপাস এলাকার দোকানদার সরোয়ার হোসেন বলেন, ময়লার জন্য দোকানে গ্রাহক আসতে চায় না। দোকানের খাবারের মধ্যে মাছি বসে। দোকানদারি করা খুব কষ্টের। তবুও পেটের দায়ে দুর্গন্ধের সাথে থাকতে হচ্ছে।
আকবর আলী নামের এক অটোরিকসা চালক বলেন, আমি এ সড়কেই প্রতিদিন গাড়ি চালাই। দুর্গন্ধে অবস্থা ভয়াবহ। যাত্রীরা উঠতে চায় না।
বারেক মিয়া নামে এক যাত্রী বলেন, শহরে ঢোকার মূল রাস্তায় এমন ভাগাড় সত্যিই অশোভন।
পরিবেশবাদী সংগঠন বেলার বিভাগীয় সমন্বয়কারী গৌতম চন্দ্র চন্দ বলেন, টাঙ্গাইল পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খুবই দুর্বল। রাবনা বাইপাস এলাকা এবং কাগমারী এলাকায় যেভাবে বর্জ্য ডাম্পিং করা হচ্ছে তাতে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। শহরের প্রবেশ পথে বর্জ্য ফেলার কারণে জীববৈচিত্রসহ পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এভাবে ডাম্পিং বন্ধ করে পৌরসভার নিজস্ব জায়গায় ডাম্পিং করার দাবি করছি। পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষার্থে আইনি প্রয়োগও দরকার। পরিবেশ পরিচ্ছন্ন করে স্বাস্থ্য বান্ধব করতে পৌরসভাইে মূল ভূমিকা নিতে হবে।
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাইন্স এন্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রফেসর ড. সাইফুল্লাহ বলেন, উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য ফেলার কারনে দুর্গন্ধ ও রোগ জীবানু ছড়ায়। ময়লার ভাগাড় পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানকার মাটি হারাচ্ছে উর্বরতা। অন্যদিকে প্লাস্টিক বর্জ্য নালায় ঢুকে সৃষ্টি করছে জলাবদ্ধতা।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা: সুজাউদ্দিন তালুকদার বলেন, খোলা ময়লা আবর্জনা থেকে রোগ জীবাণু বাতাসের মাধ্যমে মানুষসহ পাখ-পাখালির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি ও ফুসফুসে বিভিন্ন জটিল রোগ হতে পারে। বায়ু দূষনের কারনে এলার্জি এবং এজমার সমস্যা প্রকট হচ্ছে। ফুসফুসের কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে। বাতাসে ভারী ধাতু ছড়িয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে মানুষের দেহে প্রবেশ করছে। ফলে লিভার-কিডনির রোগ, ক্যান্সারের ঝুঁকিও বেড়ে যাচ্ছে।
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু বলেন, খোলা জায়গায় ময়লা আবর্জনা ফেলার কারনে মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। বিগত সরকার এবং পৌর কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারনেই শতাব্দী প্রাচীন এই পৌরসভায় যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠেনি।
টাঙ্গাইল পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শিহাব রায়হান বলেন বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সরকারের কাছে জায়গা চাওয়া আছে। সেইসাথে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ডিসেম্বর মাসে কাজ শুরু হবে। আশাকরি, খুব দ্রুতই ভোগান্তির সমাধান এবং শহরবাসী একটি আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পাবে।
একতার কণ্ঠঃ ভিপিএন (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) হল একটি নেটওয়ার্ক কাঠামো যা ভার্চুয়াল টানেলের মাধ্যমে ব্যক্তিগত নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের সুযোগ দেয়। এটি ব্যক্তিগত সুরক্ষা, নিরাপত্তা বাড়ানো এবং অপ্রবেশযোগ্য কনটেন্ট দেখতে ব্যবহৃত হয়। নব্বইয়ের দশকে ভিপিএন চালু হয় নিরাপত্তার জন্য, তবে বর্তমানে স্ট্রিমিং, গোপনীয়তা, গেমিং, ভ্রমণ এবং নিষিদ্ধ সাইট অ্যাক্সেসের জন্যও ব্যবহৃত হয়।
ভিপিএনের সুবিধা হল এটি ব্যবহারকারীর আইপি অ্যাড্রেস ও অবস্থান গোপন রাখে এবং নিরাপদ সংযোগ প্রদান করে। তবে, ভিপিএন ব্যবহারে কিছু ঝুঁকিও আছে, যেমন সেবাদাতার ওপর নির্ভরশীলতা এবং ইন্টারনেটের গতি কমে যাওয়া। ভিপিএন সেটআপ এবং ব্যবহারে কারিগরি জ্ঞানের প্রয়োজন হতে পারে। এছাড়া, সরকারি সংস্থাগুলোর পক্ষে তথ্য উদঘাটন করা কঠিন হতে পারে, যা অপরাধীদের সনাক্ত করতে বাধা দেয়। বাজারে বিভিন্ন ভিপিএন সেবার মধ্যে নিরাপত্তা ফিচার, গোপনীয়তা নীতিমালা, সার্ভার নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট গতি ও সক্ষমতা বিবেচনায় সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নিচে ১০ টি জনপ্রিয় ভিপিএনের নাম দেয়া হলো যা আপনি সহজেই আপনার গুগোল প্লে স্টর থেকে ফ্রিতেই ডাওনলোড করে নিতে পারবেন।
একতার কণ্ঠঃ মিক্সড মার্শাল আর্ট প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জয়ী টাঙ্গাইলের মো. হাফিজুর রহমানকে আর্থিক সহযোগিতা করলেন জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নিজ কার্যালয়ে বিজয়ীর হাতে উপহারটি তুলে দেন জেলা প্রশাসক।
স্বর্ণপদক জয়ী মো. হাফিজুর রহমান টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি উপজেলার পানকাতরা গ্রামের মো. আমির আলীর ছেলে। সে ধনবাড়ি সরকারি কলেজের এইচ.এস.সি (মানবিক বিভাগ) এর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
সম্প্রতি হাফিজুর ঢাকার মিরপুর স্টেডিয়ামে রয়েল বেঙ্গল ফাইটিং চ্যাম্পিয়শীপ প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জয় এবং শেখ কামাল স্মৃতি মার্শাল আর্ট প্রতিযোগিতা ও হাবিব’স এম এম এ একাডেমি ক্লাব ফাইটিং চ্যাম্পিয়নশীপ প্রতিযোগিতায় মিক্সড মার্শাল আর্টে স্বর্ণপদক জয় করেন। ঢাকায় উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম হাফিজুরকে এই আর্থিক সহযোগিতা দিলেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের তিন ভিক্ষুককে দোকান ও অস্বচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে ল্যাপটব বিতরণ করেছেন জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ভিক্ষুক পূনবার্সন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় তিনজন ভিক্ষুককে দোকান ও উপকরণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। পরে উপজেলা পরিষদের হল রুমে অস্বচ্ছল ২০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম।
বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান বিন মুহাম্মদ আলী, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা নবীন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, সহকারি কমিশনার (ভূমি) অতনু বড়ুয়া প্রমুখ।
দোকানপ্রাপ্তরা হলেন-মিনতী রাণী কর্মকার, শহর আলী ও করিমন বেগম।
এর আগে অফিসার্স ক্লাব একাডেমি ইনডোর প্লে-গ্রাউন্ডের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন জেলা প্রশাসক।
একতার কণ্ঠঃ কাঙ্খিত হুইলচেয়ার পেল মো. জাহের আলী (৬০) ও ফিরোজা বেগম (৫০) দম্পতি। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের শহিদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে এক অনারম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের কাছে এই হুইলচেয়ারটি হস্তান্তর করা হয়।
হুইলচেয়ার পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়ে শারীরিক ভাবে পঙ্গু ও মানসিক ভারসাম্যহীন ফিরোজা বেগম। সে ওই মুহূর্তে কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলে। এর মাধ্যমে ফিরোজা বেগমের ভাঙ্গা ও ব্যবহার অযোগ্য হুইলচেয়ারটি পরিবর্তন করে নতুনভাবে জীবিকা নির্বাহের অবলম্বন পেল এই দম্পতি। জয় হলো আবারও মানবতার।
মানবিক আবেদনে সারা দিয়ে হুইলচেয়ারটি প্রদান করেন শারীরিকভাবে পঙ্গুদের নিয়ে কাজ করা সামাজিক সংগঠন সেন্টার ফর রুরাল ডিজেবল ডেভলপমেন্ট (সিআরডিডি) টাঙ্গাইল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিআরডিডির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবরার এইচ.কে ইউসুফ জাই, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সিফাত মোহাম্মদ আরেফিন, জনতা ব্যাংক লিমিটেড টাঙ্গাইল শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর আলম, দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের জেলা প্রতিনিধি ও একতার কণ্ঠের সম্পাদক মো. আরমান কবীর (সৈকত), টাঙ্গাইল সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক জাহিদ রানা, বিশিষ্ট সমাজ সেবক সাইদুল ইসলাম মিন্টু, একতার কণ্ঠের বার্তা-সম্পাদক সাহান হাসান প্রমূখ।
উল্লেখ্য, রবিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের বড়টিয়া গ্রামের ভিক্ষুক দম্পতি জাহের ও ফিরোজার একটি ভিডিও চিত্র ধারণ করেন দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি ও একতার কণ্ঠের সম্পাদক মো. আরমান কবীর (সৈকত)। পরে রবিবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার নিজের আইডিতে পোষ্ট করেন। ফেসবুকের সেই পোষ্ট দেখে টাঙ্গাইল জেলা ও জেলার বাহিরের অনেক হৃদয়বান ব্যক্তি তাদের কাঙ্খিত হুইলচেয়ার দেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন। পরে জনতা ব্যাংক টাঙ্গাইল শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর আলমের মাধ্যমে সামাজিক সংগঠন সেন্টার ফর রুরাল ডিজেবল ডেভলপমেন্ট (সিআরডিডি) টাঙ্গাইল শাখার সভাপতি আবরার এইচ.কে ইউসুফ জাই একটি স্টেনলেস স্টিল হুইলচেয়ার এই দম্পতিকে দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেহেদী হাসান নামের এক যুবক এই দম্পতির সাথে যোগাযোগ করে তাদের ঠিকানা জোগাড় করে দেয়। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে এই দম্পতিকে তাদের কাঙ্খিত হুইলচেয়ারটি হস্তান্তর করা হয়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে গত কয়েক দিন ধরে বেড়েই চলেছে আলু, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম। বাড়তি দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। জেলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে বাজার মনিটরিং কমিটি থাকলেও তাদের কোন দৃশ্যমান কার্যক্রম নেই। বাজারে নেই জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা শাখার তৎপরতা।
তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, সর্বশেষ বৃষ্টিতে সবজি খেত নষ্ট এবং হরতাল-অবরোধের কারণে আমদানি কমে যাওয়ায় আলু, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন সবজির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ব্যবসায়ী নেতাদের দাবি, টাঙ্গাইলের ব্যবসায়ীরা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে সবজি কিনে আনেন। সেখানে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এখানেও পাইকারি ও খুচরা বাজারে সবজির দাম বেশি। দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে টাঙ্গাইলের ব্যবসায়ীদের কোনো হাত নেই।
ব্যবসায়ীরা জানান, টাঙ্গাইলের প্রধান পাইকারি কাঁচা বাজার পার্কবাজারে প্রতিদিন মধ্যে রাত থেকে পাইকারি দরে আলু-পেঁয়াজসহ বিভিন্ন সবজি বিক্রি করা হয়। শহরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা এবং কালিয়াকৈর, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জের বিভিন্ন হাট বাজারের ব্যবসায়ীরা এখান থেকে পাইকারি দরে আলু-পেঁয়াজসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি কিনে নিয়ে যান। এই বাজারে খুচরা মূল্যে বগুড়া, রাজশাহী, নাটোর দিনাজপুরসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে আলু-পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। কেনার দামে নির্ভর করে বিক্রির দাম নির্ধারণ করেন পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা। পণ্যে গুলোর দাম বাড়ায় বিক্রি কমে গেছে বলেও জানালেন তারা।
পাইকারি ব্যবসায়ী আলী আকবর ও হাফিজ মিয়া বলেন, বর্তমানে টাঙ্গাইলের বাজারে নিজস্ব কোনো আলু নেই। সব আলু উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে আমদানি করতে হয়। পাইকারি দরে প্রতি কেজি আলু ৬৫ টাকা ও পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১৩৫ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। আমাদের যেমন কেনা, তেমন বিক্রি করছি। আমাদের কেউ দাম বাড়ায় না।
খুচরা বিক্রেতা নাজমুল মিয়া বলেন, আলু ৭৫ টাকা, পেঁয়াজ ১৩৫ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, ফুল কপি ৫০ টাকা, শসা দেশী ৮০ টাকা, কচুর মুখি ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।
বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে পার্ক বাজারে কথা হয় অটোরিক্সা চালক মজিবুর রহমানের সাথে। তিনি জানান, আধা কেজি পেঁয়াজ ৭০ টাকা ও আধা কেজি আলু ৪০ টাকা দিয়ে কিনলাম । নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার কারণে আমাদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের নজরদারি বাড়ানোর জোর দাবি করছি।
বাজারে সবজি কিনতে আসা সহকারী অধ্যাপক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, আমরা বেসরকারি চাকরি করি। সব কিছুর দাম দিনের পর দিন বেড়েই চলছে। আগে যে বাজার করতে সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা লাগতো, এখন সেই বাজার করতে চার হাজার টাকার বেশি লাগে। এই অতিরিক্ত টাকার যোগান দেওয়া আমার জন্য কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
পার্কবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুর বারেক মিয়া বলেন, এই বাজারে প্রতিদিন প্রায় ১০০টন করে আলু-পেঁয়াজ বিক্রি হয়। এখানে কয়েক জন ব্যবসায়ী ভারত থেকে এলসি করেও পেঁয়াজ আনেন। হরতাল ও অবরোধের প্রভাব পড়েছে এই সব পণ্যের উপর।কয়েক দিন ধরে হরতাল অবরোধের কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে টাঙ্গাইলের ব্যবসায়ীদের কোনো হাত নেই।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু জোবায়ের উজ্জ্বল একতার কণ্ঠকে জানান, গত বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) আমাদের সংগঠনের উদ্যোগে জেলা ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক সিকদার শাহিনুর আলম ও জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা খানের সঙ্গে কৃষি পণ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তারা বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার আশ্বাস দিয়েছেন।
টাঙ্গাইল জেলা ভোক্ত অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সিকদার শাহিনুর আলম একতার কণ্ঠকে জানান, কৃষি পণ্য আলু ও পিঁয়াজের দাম বৃদ্ধি মনিটরিংয়ের দায়িত্ব কৃষি বিপণন ও সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের । এই অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগন বিষয়টি দেখাশোনা করে থাকেন।
জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা খান একতার কণ্ঠকে জানান, জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে নিয়মিত বাজার মনিটারিং করা হয়। তবে আলু ও পিঁয়াজের ক্ষেত্রে এই কৃষি পণ্য দুটি জেলার মোট চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় উত্তরবঙ্গ থেকে আমদানি করতে হয়। ফলে টাঙ্গাইলে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ের এই পণ্য দুটির দাম বেশি হয়ে যায়।
একতার কণ্ঠঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত ‘মুজিব একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্র টাঙ্গাইলে বিনামূল্যে দেখার সুযোগ পেলো শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এ চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় টাঙ্গাইল কালেক্টরেট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রথমে বিনামূল্যে চলচ্চিত্রটি উপভোগ করেন। এরপর দুপুর দেড়টায় বিবেকানন্দ হাই স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা চলচ্চিত্রটি দেখেন। আগামী ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টায় বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং দুপুর দেড়টায় মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান আদর্শ মহাবিদ্যালয়; ৩০ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টায় টাঙ্গাইল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং দুপুর দেড়টায় পুলিশ লাইনস আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়; ৩১ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টায় কুমুদিনী সরকারি কলেজ এবং দুপুর দেড়টায় বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়; ১ নভেম্বর সরকারি শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজ এবং দুপুর দেড়টায় নার্সিং মিডওয়াইফারি কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে চলচ্চিত্রটি দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ওলিউজ্জামান, জেলা কালচারাল অফিসার এরশাদ হাসান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক এলেন মল্লিক প্রমুখ।
এ সময় জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থী ছাড়াও জেলা পর্যায়ে সকল সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকদের জন্য বিনামূল্যে ‘মুজিব একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্র দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই সিনেমাটি দেখে বঙ্গবন্ধুর জীবন নীতি আর্দশকে দর্শকদের হৃদয়ে লালন করতে পারবো। মুজিব একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি দেখার জন্য পর্যায়ক্রমে উপজেলাগুলোতে বিনা টিকিটে দেখার জন্য সুযোগ করে দেওয়া হবে।
একতার কণ্ঠঃ ‘শেকড়ের টানে প্রজন্মের মেলবন্ধন’ এ স্লোগানে মুখরিত হয়ে নাচ গান ও মহামিলনের মধ্য দিয়ে টাঙ্গাইলের মধুপুরের পাহাড়ি জনপদে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি সম্প্রদায় উদযাপন করলেন আ’বিমা ফেস্টিভ্যাল -২০২৩।
আ’বিমা’র এ কৃষিররাজ্যে টাঙ্গাইলের মধুপুরের গভীর অরণ্যে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি গারো সম্প্রদায়ের বসবাস।
আ’বিমা হল একটি আচিক বা গারো শব্দ। এর অর্থ মাটির মা। গারোরা ভারতের মেঘালয়সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে জুম চাষ করতো। তাদের পূর্ব পুরুষেরা জুমের ফসল ফলনের দিক বিবেচনা করে মধুপুর অঞ্চলকে আ’বিমা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। মাটির উর্বরতার কারণে তারা মধুপুরের মাটিকে আ’বিমা অর্থাৎ মাটির মা বলে থাকে।
মধুপুর পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসকারী গারো জনগোষ্ঠীর ফসল কেটে ঘরে তোলার পর শস্য দেবতা ও ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে সম্মিলিতভাবে বিশেষ প্রার্থনা ও নাচ গানের মধ্য দিয়ে প্রতিবছর আ’বিমা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন। এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গারো জনগোষ্ঠীর আদি সংস্কৃতি ও সভ্যতা সবাইকে স্মরণীয় করিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যেই এ আ’বিবা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গারো নারী পুরুষ ও শিশু-কিশোর তাদের আদি ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে ও সেজেগুজে অনুষ্ঠান প্রাণবন্ত করে তুলেন। আ’বিমা মেলা হয়ে উঠে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের প্রাণের মেলবন্ধন।
শুক্রবার(১৩ অক্টোবর) দিনব্যাপী উপজেলার মমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
প্রলয় নকরেক এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠান উদ্ভোধন করেন অজয় এ মৃ সভাপতি আ’বিমা কালচারাল ডেভেলপমেন্ট ফোরাম, অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রেমন্ড আরেং, ফুলবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট ইমদাদুল হক সেলিম, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ হারুন, মধুপুর উপজেলার ভাইসচেয়ারম্যান যষ্ঠিনা নকরেক, জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেক, আচিক মিচিক সোসাইটির সভাপতি সুলেখা ম্রং, অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির আহবায়ক মিঃ নির্জন সিমসাং, সদস্য সচিব পৌল সিমসাং প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন ব্যন্ডদল শিল্পী আচিক ব্লুজ, ব্রিং, দি রাবুগা, ব্লিডিং ফর সারভাইভাল ও স্থানীয় সঙ্গীত শিল্পী বৃন্দ।
একতার কণ্ঠঃ পুত্র সন্তানের পিতা হয়েছেন টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির ।
রবিবার (৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. তৃপ্তি রানী জান্নাত ও ডা. জান্নাতুল ফেরদৌসীর তত্ত্বাবধানে সিজারের মাধ্যমে নবজাতকের জন্ম হয়। ডাক্তার জানান বর্তমানে মা ও নবজাতক উভয়েই সুস্থ আছেন।
নবজাতকের আগমনের খবর পেয়েই শ্বশুর সাবেক নৌ পরিবহনমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান খান এমপিকে মিষ্টি মুখ করান জামাতা ছোট মনির।
জানা যায়, দোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ছোট মনির ও ঐশী খান দম্পতির প্রথম সন্তানের নাম রাখা হবে।
তানভীর হাসান ওরফে এমপি ছোট মনির জানান, পৃথিবীতে এর থেকে আর কোন বড় পাওয়া নেই, ঘর আলোকিত হওয়ায় আমরা অনেক খুশি। সন্তানের জন্য সকলের নিকট দোয়া কামনা করছি।
একতার কণ্ঠঃ প্রকৃতির হিসাবে এখনো শরৎকাল। কিন্তু এ বছরের বেশির ভাগ সময় গ্রীষ্মের গরম। আর মাঝেমধ্যে বর্ষাকেও হার মানানো বৃষ্টি। গত এক সপ্তাহ টানা গরমের পর আবারও টানা বৃষ্টির আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপটি রোববার(২ অক্টোবর) বিকেল নাগাদ একটি স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
ফলে দেশের সব কটি সমুদ্রবন্দর ও উপকূলকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত নামিয়ে ফেলতে বলেছে আবহাওয়া বিভাগ। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হবে। মঙ্গলবার(৩ অক্টোবর) থেকে বৃষ্টি আরও বেড়ে দুই দিন টানা চলতে পারে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর চলতি অক্টোবর মাসের জন্য দেওয়া দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলেছে, চলতি মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
চলতি মাসের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে মৌসুমি বায়ু বা বর্ষা বিদায় নিতে পারে। তবে যাওয়ার আগে দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রঝড় হতে পারে। এ মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল শহরে ব্লোমিং বিউটি বাই মুন’র স্কিন কেয়ার শোরুম উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার (১১ আগস্ট) বিকেলে পৌর শহরের রেজিস্ট্রি পাড়ায় অবস্থিত সাফ শক্তি টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় ব্লোমিং বিউটি বাই মুন’র স্কিন কেয়ারের শোরুম ফিতা ও কেক কেটে উদ্বোধ করেন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মডেল বারিশা হক, টাঙ্গাইল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ, ব্লোমিং বিউটি বাই মুন’র স্বত্বাধিকারী মুন ভুইয়ান প্রমুখ।
চলচ্চিত্র অভিনেত্রী অপু বিশ্বাসকে দেখতে শত শত নারী-পুরুষ ভিড় করেন।
উদ্বোধন শেষে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস বলেন, টাঙ্গাইলের রাস্তা পার হয়ে আমার জন্মস্থান উত্তরবঙ্গে বগুড়া যেতে হয়। টাঙ্গাইলের সাথে আমার ছোট বেলা থেকে একটা ভালো পরিচয় ছিল, সেটা রাস্তার সাথে। আজকে ব্লোমিং বিউটি বাই মুন’র স্বত্বাধিকারী মুনের প্রতিষ্ঠানে আসতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।
আপু বিশ্বাস আরও বলেন, আমার লাল শাড়ীর সিনেমার সাথে টাঙ্গাইলের একটা যোগসূত্র আছে যেখান থেকে চিন্তা ধারা। সেই চিন্তা ধারা থেকেই লাল শাড়ী সিনেমা সৃষ্টি হয়েছে। টাঙ্গাইলে এসে অনেক ভালো লাগছে। আমি প্রিয়তমা ছবি দেখেছি আমার ফেসবুকে ছবিও পোস্ট করেছিলাম। প্রিয়তমা সিনেমা আপনাদের ভালোবাসার সিনেমা হিসেবে দাঁড়িয়েছে।