/ মূলপাতা / লাইফ স্টাইল
টাঙ্গাইলের সাধারণ ক্রেতাদের আলু-পেঁয়াজ কিনতে হিমশিম অবস্থা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলের সাধারণ ক্রেতাদের আলু-পেঁয়াজ কিনতে হিমশিম অবস্থা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে গত কয়েক দিন ধরে বেড়েই চলেছে আলু, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম। বাড়তি দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। জেলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে বাজার মনিটরিং কমিটি থাকলেও তাদের কোন দৃশ্যমান কার্যক্রম নেই। বাজারে নেই জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা শাখার তৎপরতা।

তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, সর্বশেষ বৃষ্টিতে সবজি খেত নষ্ট এবং হরতাল-অবরোধের কারণে আমদানি কমে যাওয়ায় আলু, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন সবজির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ব্যবসায়ী নেতাদের দাবি, টাঙ্গাইলের ব্যবসায়ীরা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে সবজি কিনে আনেন। সেখানে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এখানেও পাইকারি ও খুচরা বাজারে সবজির দাম বেশি। দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে টাঙ্গাইলের ব্যবসায়ীদের কোনো হাত নেই।

ব্যবসায়ীরা জানান, টাঙ্গাইলের প্রধান পাইকারি কাঁচা বাজার পার্কবাজারে প্রতিদিন মধ্যে রাত থেকে পাইকারি দরে আলু-পেঁয়াজসহ বিভিন্ন সবজি বিক্রি করা হয়। শহরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা এবং কালিয়াকৈর, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জের বিভিন্ন হাট বাজারের ব্যবসায়ীরা এখান থেকে পাইকারি দরে আলু-পেঁয়াজসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি কিনে নিয়ে যান। এই বাজারে খুচরা মূল্যে বগুড়া, রাজশাহী, নাটোর দিনাজপুরসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে আলু-পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। কেনার দামে নির্ভর করে বিক্রির দাম নির্ধারণ করেন পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা। পণ্যে গুলোর দাম বাড়ায় বিক্রি কমে গেছে বলেও জানালেন তারা।

পাইকারি ব্যবসায়ী আলী আকবর ও হাফিজ মিয়া বলেন, বর্তমানে টাঙ্গাইলের বাজারে নিজস্ব কোনো আলু নেই। সব আলু উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে আমদানি করতে হয়। পাইকারি দরে প্রতি কেজি আলু ৬৫ টাকা ও পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১৩৫ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। আমাদের যেমন কেনা, তেমন বিক্রি করছি। আমাদের কেউ দাম বাড়ায় না।

খুচরা বিক্রেতা নাজমুল মিয়া বলেন, আলু ৭৫ টাকা, পেঁয়াজ ১৩৫ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, ফুল কপি ৫০ টাকা, শসা দেশী ৮০ টাকা, কচুর মুখি ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।

বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে পার্ক বাজারে কথা হয় অটোরিক্সা চালক মজিবুর রহমানের সাথে। তিনি জানান, আধা কেজি পেঁয়াজ ৭০ টাকা ও আধা কেজি আলু ৪০ টাকা দিয়ে কিনলাম । নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার কারণে আমাদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের নজরদারি বাড়ানোর জোর দাবি করছি।

বাজারে সবজি কিনতে আসা সহকারী অধ্যাপক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, আমরা বেসরকারি চাকরি করি। সব কিছুর দাম দিনের পর দিন বেড়েই চলছে। আগে যে বাজার করতে সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা লাগতো, এখন সেই বাজার করতে চার হাজার টাকার বেশি লাগে। এই অতিরিক্ত টাকার যোগান দেওয়া আমার জন্য কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

পার্কবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুর বারেক মিয়া বলেন, এই বাজারে প্রতিদিন প্রায় ১০০টন করে আলু-পেঁয়াজ বিক্রি হয়। এখানে কয়েক জন ব্যবসায়ী ভারত থেকে এলসি করেও পেঁয়াজ আনেন। হরতাল ও অবরোধের প্রভাব পড়েছে এই সব পণ্যের উপর।কয়েক দিন ধরে হরতাল অবরোধের কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে টাঙ্গাইলের ব্যবসায়ীদের কোনো হাত নেই।

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু জোবায়ের উজ্জ্বল একতার কণ্ঠকে জানান, গত বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) আমাদের সংগঠনের উদ্যোগে জেলা ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক সিকদার শাহিনুর আলম ও জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা খানের সঙ্গে কৃষি পণ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তারা বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার আশ্বাস দিয়েছেন।

টাঙ্গাইল জেলা ভোক্ত অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সিকদার শাহিনুর আলম একতার কণ্ঠকে জানান, কৃষি পণ্য আলু ও পিঁয়াজের দাম বৃদ্ধি মনিটরিংয়ের দায়িত্ব কৃষি বিপণন ও সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের । এই অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগন বিষয়টি দেখাশোনা করে থাকেন।

জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা খান একতার কণ্ঠকে জানান, জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে নিয়মিত বাজার মনিটারিং করা হয়। তবে আলু ও পিঁয়াজের ক্ষেত্রে এই কৃষি পণ্য দুটি জেলার মোট চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় উত্তরবঙ্গ থেকে আমদানি করতে হয়। ফলে টাঙ্গাইলে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ের এই পণ্য দুটির দাম বেশি হয়ে যায়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০২. নভেম্বর ২০২৩ ০২:২১:এএম ১ মাস আগে
টাঙ্গাইলে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে দেখানো হলো ‘মুজিব একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্র - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে দেখানো হলো ‘মুজিব একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্র

একতার কণ্ঠঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত ‘মুজিব একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্র টাঙ্গাইলে বিনামূল্যে দেখার সুযোগ পেলো শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এ চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় টাঙ্গাইল কালেক্টরেট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রথমে বিনামূল্যে চলচ্চিত্রটি উপভোগ করেন। এরপর দুপুর দেড়টায় বিবেকানন্দ হাই স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা চলচ্চিত্রটি দেখেন। আগামী ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টায় বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং দুপুর দেড়টায় মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান আদর্শ মহাবিদ্যালয়; ৩০ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টায় টাঙ্গাইল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং দুপুর দেড়টায় পুলিশ লাইনস আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়; ৩১ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টায় কুমুদিনী সরকারি কলেজ এবং দুপুর দেড়টায় বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়; ১ নভেম্বর সরকারি শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজ এবং দুপুর দেড়টায় নার্সিং মিডওয়াইফারি কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে চলচ্চিত্রটি দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ওলিউজ্জামান, জেলা কালচারাল অফিসার এরশাদ হাসান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক এলেন মল্লিক প্রমুখ।

এ সময় জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থী ছাড়াও জেলা পর্যায়ে সকল সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকদের জন্য বিনামূল্যে ‘মুজিব একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্র দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই সিনেমাটি দেখে বঙ্গবন্ধুর জীবন নীতি আর্দশকে দর্শকদের হৃদয়ে লালন করতে পারবো। মুজিব একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি দেখার জন্য পর্যায়ক্রমে উপজেলাগুলোতে বিনা টিকিটে দেখার জন্য সুযোগ করে দেওয়া হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৭. অক্টোবর ২০২৩ ০২:৫৫:এএম ১ মাস আগে
টাঙ্গাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনে আ’বিমা উৎসব উদযাপিত - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনে আ’বিমা উৎসব উদযাপিত

একতার কণ্ঠঃ ‘শেকড়ের টানে প্রজন্মের মেলবন্ধন’ এ স্লোগানে মুখরিত হয়ে নাচ গান ও মহামিলনের মধ্য দিয়ে টাঙ্গাইলের মধুপুরের পাহাড়ি জনপদে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি সম্প্রদায় উদযাপন করলেন আ’বিমা ফেস্টিভ্যাল -২০২৩।

আ’বিমা’র এ কৃষিররাজ্যে টাঙ্গাইলের মধুপুরের গভীর অরণ্যে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি গারো সম্প্রদায়ের বসবাস।

আ’বিমা হল একটি আচিক বা গারো শব্দ। এর অর্থ মাটির মা। গারোরা ভারতের মেঘালয়সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে জুম চাষ করতো। তাদের পূর্ব পুরুষেরা জুমের ফসল ফলনের দিক বিবেচনা করে মধুপুর অঞ্চলকে আ’বিমা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। মাটির উর্বরতার কারণে তারা মধুপুরের মাটিকে আ’বিমা অর্থাৎ মাটির মা বলে থাকে।

মধুপুর পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসকারী গারো জনগোষ্ঠীর ফসল কেটে ঘরে তোলার পর শস্য দেবতা ও ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে সম্মিলিতভাবে বিশেষ প্রার্থনা ও নাচ গানের মধ্য দিয়ে প্রতিবছর আ’বিমা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন। এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গারো জনগোষ্ঠীর আদি সংস্কৃতি ও সভ্যতা সবাইকে স্মরণীয় করিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যেই এ আ’বিবা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গারো নারী পুরুষ ও শিশু-কিশোর তাদের আদি ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে ও সেজেগুজে অনুষ্ঠান প্রাণবন্ত করে তুলেন। আ’বিমা মেলা হয়ে উঠে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের প্রাণের মেলবন্ধন।

শুক্রবার(১৩ অক্টোবর) দিনব্যাপী উপজেলার মমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

প্রলয় নকরেক এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠান উদ্ভোধন করেন অজয় এ মৃ সভাপতি আ’বিমা কালচারাল ডেভেলপমেন্ট ফোরাম, অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রেমন্ড আরেং, ফুলবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট ইমদাদুল হক সেলিম, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ হারুন, মধুপুর উপজেলার ভাইসচেয়ারম্যান যষ্ঠিনা নকরেক, জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেক, আচিক মিচিক সোসাইটির সভাপতি সুলেখা ম্রং, অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির আহবায়ক মিঃ নির্জন সিমসাং, সদস্য সচিব পৌল সিমসাং প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন ব্যন্ডদল শিল্পী আচিক ব্লুজ, ব্রিং, দি রাবুগা, ব্লিডিং ফর সারভাইভাল ও স্থানীয় সঙ্গীত শিল্পী বৃন্দ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৪. অক্টোবর ২০২৩ ০২:৪৩:এএম ২ মাস আগে
পুত্র সন্তানের পিতা হলেন এমপি ছোট মনির - Ekotar Kantho

পুত্র সন্তানের পিতা হলেন এমপি ছোট মনির

একতার কণ্ঠঃ পুত্র সন্তানের পিতা হয়েছেন টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির ।

রবিবার (৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. তৃপ্তি রানী জান্নাত ও ডা. জান্নাতুল ফেরদৌসীর তত্ত্বাবধানে সিজারের মাধ্যমে নবজাতকের জন্ম হয়। ডাক্তার জানান বর্তমানে মা ও নবজাতক উভয়েই সুস্থ আছেন।

নবজাতকের আগমনের খবর পেয়েই শ্বশুর সাবেক নৌ পরিবহনমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান খান এমপিকে মিষ্টি মুখ করান জামাতা ছোট মনির।

জানা যায়, দোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ছোট মনির ও ঐশী খান দম্পতির প্রথম সন্তানের নাম রাখা হবে।

তানভীর হাসান ওরফে এমপি ছোট মনির জানান, পৃথিবীতে এর থেকে আর কোন বড় পাওয়া নেই, ঘর আলোকিত হওয়ায় আমরা অনেক খুশি। সন্তানের জন্য সকলের নিকট দোয়া কামনা করছি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১০. অক্টোবর ২০২৩ ০২:২৪:এএম ২ মাস আগে
অপ্রত্যাশিত শরৎকালে বৃষ্টির আগমন - Ekotar Kantho

অপ্রত্যাশিত শরৎকালে বৃষ্টির আগমন

একতার কণ্ঠঃ প্রকৃতির হিসাবে এখনো শরৎকাল। কিন্তু এ বছরের বেশির ভাগ সময় গ্রীষ্মের গরম। আর মাঝেমধ্যে বর্ষাকেও হার মানানো বৃষ্টি। গত এক সপ্তাহ টানা গরমের পর আবারও টানা বৃষ্টির আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপটি রোববার(২ অক্টোবর)  বিকেল নাগাদ একটি স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।

ফলে দেশের সব কটি সমুদ্রবন্দর ও উপকূলকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত নামিয়ে ফেলতে বলেছে আবহাওয়া বিভাগ। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হবে। মঙ্গলবার(৩ অক্টোবর) থেকে বৃষ্টি আরও বেড়ে দুই দিন টানা চলতে পারে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর চলতি অক্টোবর মাসের জন্য দেওয়া দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলেছে, চলতি মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

চলতি মাসের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে মৌসুমি বায়ু বা বর্ষা বিদায় নিতে পারে। তবে যাওয়ার আগে দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রঝড় হতে পারে। এ মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৫. অক্টোবর ২০২৩ ০৯:০৪:পিএম ২ মাস আগে
টাঙ্গাইলে “ব্লোমিং বিউটি বাই মুন’র স্কিন কেয়ার” শোরুম উদ্বোধন করলেন অপু বিশ্বাস - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে “ব্লোমিং বিউটি বাই মুন’র স্কিন কেয়ার” শোরুম উদ্বোধন করলেন অপু বিশ্বাস

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল শহরে ব্লোমিং বিউটি বাই মুন’র স্কিন কেয়ার শোরুম উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার (১১ আগস্ট) বিকেলে পৌর শহরের রেজিস্ট্রি পাড়ায় অবস্থিত সাফ শক্তি টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় ব্লোমিং বিউটি বাই মুন’র স্কিন কেয়ারের শোরুম ফিতা ও কেক কেটে উদ্বোধ করেন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মডেল বারিশা হক, টাঙ্গাইল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ, ব্লোমিং বিউটি বাই মুন’র স্বত্বাধিকারী মুন ভুইয়ান প্রমুখ।

চলচ্চিত্র অভিনেত্রী অপু বিশ্বাসকে দেখতে শত শত নারী-পুরুষ ভিড় করেন।

উদ্বোধন শেষে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস বলেন, টাঙ্গাইলের রাস্তা পার হয়ে আমার জন্মস্থান উত্তরবঙ্গে বগুড়া যেতে হয়। টাঙ্গাইলের সাথে আমার ছোট বেলা থেকে একটা ভালো পরিচয় ছিল, সেটা রাস্তার সাথে। আজকে ব্লোমিং বিউটি বাই মুন’র স্বত্বাধিকারী মুনের প্রতিষ্ঠানে আসতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।

আপু বিশ্বাস আরও বলেন, আমার লাল শাড়ীর সিনেমার সাথে টাঙ্গাইলের একটা যোগসূত্র আছে যেখান থেকে চিন্তা ধারা। সেই চিন্তা ধারা থেকেই লাল শাড়ী সিনেমা সৃষ্টি হয়েছে। টাঙ্গাইলে এসে অনেক ভালো লাগছে। আমি প্রিয়তমা ছবি দেখেছি আমার ফেসবুকে ছবিও পোস্ট করেছিলাম। প্রিয়তমা সিনেমা আপনাদের ভালোবাসার সিনেমা হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১২. অগাস্ট ২০২৩ ০১:০১:এএম ৪ মাস আগে
টাঙ্গাইলে নারী উদ্যোক্তাদের উই হাটবাজার মেলা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে নারী উদ্যোক্তাদের উই হাটবাজার মেলা

একতার কণ্ঠঃ ঈদ উপলক্ষে টাঙ্গাইলে নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে দিনব্যাপী উই হাটবাজার মেলা বসেছিলো।

শনিবার (১৫ এপ্রিল) টাঙ্গাইল পৌরসভা মিলনায়তনে নারী উদ্যোক্তাদের সংগঠন উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স (উই) ট্রাস্টের উদ্যোগে এ মেলার আয়োজন করা হয়। সকাল ১১ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত একটানা চলে এ মেলা।

মেলায় ১৩টি স্টল বসেছিলো। যেখানে টাঙ্গাইলের সফল নারী উদ্যোক্তাদের পণ্য সরাসরি পরখ করে কেনার সুযোগ মিলে ক্রেতাদের।

এখানে নারী উদ্যোক্তাদের হাতে তৈরি নানা ধরনের পণ্যে সাজানো হয়েছিল একেকটি স্টলে। কোনোটিতে দেশীয় তৈরি পোষাক, দেশীয় অলংকার, দেশীয় হস্তশিল্প, কোনো স্টলে বাহারি সাজসজ্জার উপকরণ। হাতে বানানো শীতল পাটির ব্যাগসহ বিভিন্ন পণ্য এ মেলায় উঠেছিলো।

মেলায় আসা তানজিন তালুকদার জানান, উই হাটবাজারে ঘুরে ভীষণ ভালো লাগলো। দেশি পণ্যের একসাথে সব সমাহার দেখে মন ভরে উঠে। সেই সাথে দামটাও আমার কাছে কম মনে হয়েছে মার্কেটের তুলনায়। সব ধরণের দেশি পণ্যই মোটামোটি ছিলো হাটবাজারের স্টলগুলোতে।

আয়োজকরা জানান, উই’র এ ধরনের উদ্যোগে স্থানীয় পর্যায়ে নারী উদ্যোক্তারা আরও উদ্বুদ্ধ হবে। দেশীয় পণ্য উৎপাদন ও প্রসারে ভূমিকা রাখবে। ছোট ছোট পরিসরে এমন মেলা স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সম্ভাবনার খাত তৈরি করবে। নারীদের স্বাবলম্বী করে তোলা, কর্মসংস্থান তৈরি করা, দেশীয় পণ্যের প্রসার এবং তৃণমূল পর্যায়ে উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যেই উই হাটবাজার মেলার আয়োজন।

তারা আরও জানান, ঢাকাসহ দেশের ৬৪ জেলায় উই হাটবাজার মেলা শনিবার থেকে শুরু হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে টাঙ্গাইলের নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে এ মেলার আয়োজন করা হয়। আশা করি, বিভিন্ন উৎসবে এ রকম আয়োজন করা হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৬. এপ্রিল ২০২৩ ০৩:৫৮:এএম ৮ মাস আগে
টাঙ্গাইলে আড়ংয়ের ২৮তম আউটলেটের উদ্বোধন - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে আড়ংয়ের ২৮তম আউটলেটের উদ্বোধন

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে উদ্বোধন হয়ে গেলো দেশের বৃহত্তম লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড আড়ংয়ের ২৮তম আউটলেট। অত্যাধুনিক নির্মাণশৈলীর ১৪ হাজার ৯৮ বর্গফুটের তিনতলা বিশিষ্ট শহরের বড় কালীবাড়ি রোডের সিটি সেন্টারে এই আউটলেটে নারী-পুরুষ ও শিশুদের পোশাক, বাড়ির সাজসজ্জা, গহনাসহ আড়ংয়ের সাব-ব্র্যান্ড তাগা, তাগা ম্যান, এবং আড়ং আর্থ এর পণ্যগুলো পাওয়া যাবে।

শনিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে আউটলেটটির উদ্বোধন করেন আড়ংয়ের চিফ অপারেটিং অফিসার মোহাম্মদ আশরাফুল আলম। এছাড়াও এসময় ব্র্যাকের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় আশরাফুল আলম বলেন, ক্রেতাদের ঈদ উদযাপনকে মাথায় রেখে ঈদ শপিংয়ের একদম উপযুক্ত এই সময়ে সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং নানা কারুশিল্পে সমৃদ্ধ টাঙ্গাইলে আড়ংয়ের এই আউটলেটটি খুলতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। আমরা আশা করি, নতুন আউটলেটটি এই প্রাণবন্ত শহরের বাসিন্দাদের কেনাকাটার জন্য অন্যতম প্রধান গন্তব্য হয়ে উঠবে এবং একইসঙ্গে টাঙ্গাইলবাসীর ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ভিত্তিক চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে।

এছাড়াও গ্রাহকরা সীমিত সময়ের জন্য ৫০০০ টাকা বা তার বেশি কেনাকাটা করে আড়ংয়ের কাস্টমার লয়্যালটি প্রোগ্রাম ‘মাই আড়ং রিওয়ার্ডস কার্ড’-এর সদস্য হতে পারবেন এবং বছরব্যাপী বিশেষ সুযোগ সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। তাছাড়া ‘মাই আড়ং রিওয়ার্ডস কার্ড’-এর অন্তর্ভুক্ত সদস্যরা আড়ং টাঙ্গাইল আউটলেটে প্রতিটি কেনাকাটায় দ্বিগুণ পয়েন্ট অর্জন করতে পারবেন। এই অফারটি ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।

আড়ং বিশ্বের বৃহত্তম বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক এর একটি সামাজিক উদ্যোগ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৯. এপ্রিল ২০২৩ ০২:১৩:এএম ৮ মাস আগে
রমজানে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে টাঙ্গাইলে প্রশাসনের লিফলেট বিতরণ - Ekotar Kantho

রমজানে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে টাঙ্গাইলে প্রশাসনের লিফলেট বিতরণ

একতার কণ্ঠঃ আসন্ন রমজানে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পৌর এলাকার বাজারগুলোতে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সকালে জেলা প্রশাসক মো. জসীম উদ্দীন হায়দারের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের টিম শহরের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার পার্ক বাজার পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে বাজারের ব্যবসায়ীদের মাঝে লিফলেট বিতরণসহ প্রতিটি দোকানে পণ্যের মুল্য তালিকা টাঙানো ও অতিরিক্ত দামে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যে বিক্রি না করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এছাড়া একই সাথে প্রশাসনের ৬টি টিম শহরের বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন ও লিফলেট বিতরণ করে।

এ প্রসঙ্গে, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যে ক্রেতা পর্যায়ে সহনীয় রাখতে বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সচেতন করার লক্ষে সকলের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ী ও ক্রেতা সকলেরই দায়িত্ব রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ব্যবসায়ীরা যাতে মজুদ করে অতিরিক্ত দামে পণ্যে বিক্রি না করে সেই জন্য তাদের অবহিত করা হয়েছে। কেউ বিধিনিষেধ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।বাজার স্থিতিশীল রাখতে সকলকেই প্রশাসনকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান তিনি

এ সময় টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, পৌর মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাবির্ক) ওলিউজ্জামান, প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাফর আহমেদ, জেলা ব্যবসায়ী ঐক্যজোটের সভাপতি আবুল কালাম মোস্তফা লাবু , কুনজুমার অ্যাসোসিয়েশনের (ক্যাব) এর টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু জুবায়ের উজ্জলসহ পার্ক বাজার সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৪. মার্চ ২০২৩ ০২:৫৫:এএম ৯ মাস আগে
উদ্বেগ-হতাশা কমায় কাঁচা হলুদ! - Ekotar Kantho

উদ্বেগ-হতাশা কমায় কাঁচা হলুদ!

একতার কণ্ঠঃ দিন দিন যত গতিময় হচ্ছে জীবন, ততই মানসিক রোগ বাড়ছে মানুষের। বিশেষ করে গতিময় জীবনে পিছিয়ে পড়ার চিন্তায় অস্থির হচ্ছেন অনেকেই।

ফলে ঘরে ঘরে দেখা দিচ্ছে উদ্বেগের সমস্যা।

কিন্তু কথায় কথায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লে সমস্যা বাড়ে। কাজেও তার ছাপ পড়ে। কমে কাজ করার ক্ষমতা। তবে ওষুধ খেয়ে উদ্বেগ কমাতে চান না অনেকেই। মনে করেন, একবার ওষুধ খেতে শুরু করলে তার ওপর নির্ভরশীল হয়ে যাবে।

নিয়মিত ধ্যান করলে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যায় যেকোনও মানসিক সমস্যা। তবে আরও একটি ঘরোয়া টোটকা রয়েছে। প্রতিদিন একটু করে কাঁচা হলুদ খেতে হবে মাত্র। তাহলেই অনেকটা শান্ত থাকবে মন।

বিজ্ঞানীরা বহু দিন ধরেই গবেষণা করছেন বিভিন্ন মশলার গুণ নিয়ে। দেখা গেছে, হলুদে উপস্থিত কার্কুমিন শরীরের প্রদাহ কমায়। এর প্রভাবে কমে মানসিক চাপও। মনের মধ্যে তৈরি হওয়া অস্থিরতা নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় শরীর-মন দুই থাকে স্থিতিশীল। কার্কুমিনের আরেক গুণ হল, তা মস্তিষ্ক সচল রাখতে সাহায্য করে। তাতেও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো হয় বলে বক্তব্য মনোবিদদের।

উদ্বেগ-হতাশায় ভুগলে প্রতিদিন কতটুকু হলুদ খেতে হবে?

গবেষকেরা দেখেছেন, প্রতিদিন ১৫০-২৫০ মিলিগ্রাম হলুদ খেলেই যথেষ্ট কাজ হয়। তবে ব্যক্তি বিশেষে হলুদের পরিমাণ কম বা বেশি প্রয়োজন হতে পারে। তবে নিয়মিত হলুদ খেতে শুরু করার আগে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৭. ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ০৩:১৫:এএম ১০ মাস আগে
ভালোবাসার পাঁচ অভিব্যক্তি: চিরঞ্জীব সম্পর্কের মূল সূত্র - Ekotar Kantho

ভালোবাসার পাঁচ অভিব্যক্তি: চিরঞ্জীব সম্পর্কের মূল সূত্র

একতার কণ্ঠঃ বলা হয়ে থাকে ভালোবাসা নিজেই নাকি একটি ভাষা। দেশ, জাতি, গোত্রের যত বিভাজনই থাকুক না কেন, ভালোবাসার ভাষা এমনই সার্বজনীন যে, সকলেই তা বুঝতে পারে। আসলেই কি তা-ই?

আমেরিকান লেখক ডক্টর গ্যারি চ্যাপম্যান কিন্তু তার The Five Love Languages: The Secret to Love that Lasts বইতে বলছেন, ভালোবাসা প্রকাশ এবং অনুভব করার পাঁচটি ভিন্ন ভিন্ন ভাষা রয়েছে। প্রত্যেক মানুষের এই পাঁচটির মধ্যে একটিই প্রধান ভাষা থাকে, যার মাধ্যমে ভালোবাসা প্রকাশ করলে মানুষটি সবচেয়ে গভীরভাবে সেটি অনুভব করতে পারেন।

চ্যাপম্যান এগুলোকে Love Language বা ভালোবাসার ভাষা বলে অভিহিত করেছেন। সেই ভাষা বা মাধ্যমগুলো হলো-

১. মৌখিক অভিব্যক্তি (words of affirmation), ২. কাজের মাধ্যমে (act of service), ৩. স্পর্শ (physical touch), ৪. গুণগত সময় (quality time), এবং ৫. উপহার পাওয়া (receiving gifts)।

এই পাঁচটির মধ্যে এক বা একাধিক মাধ্যমে একজন মানুষ ভালোবাসা অনুভব করে থাকেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই ভাষাগুলোর গুরুত্ব সম্পর্কে আমাদের সম্যক ধারণা থাকে না। ফলে ঠিক যেভাবে আমরা সঙ্গীর কাছ থেকে ভালোবাসা পেতে চাই, সেই প্রত্যাশামাফিক সঙ্গীর প্রতি নিজের ভাষাতেই ভালোবাসা প্রকাশ করি।

কিন্তু সঙ্গীর ভাষা ভিন্ন হলে আমাদের এই ভালোবাসা সঙ্গীকে সেভাবে আপ্লুত করতে পারে না। ব্যাপারটি অনেকটা ভিনদেশী কারও সাথে বাংলায় কথা বলার মতো। যেন আমি আমার ভাষায় কথা বলেই যাচ্ছি, কিন্তু তিনি তার একটি অক্ষরও বুঝতে পারছেন না। ফলে সম্পর্কে সৃষ্টি হয় টানাপোড়েন, ভুল বোঝাবুঝি। তাই সম্পর্কে ভাবের সার্থক আদান প্রদানের জন্যে সঙ্গীর এবং নিজের ভালোবাসার ভাষা সম্বন্ধে জানা থাকা ভীষণ দরকার।

মৌখিক অভিব্যক্তির মাধ্যমে ভালোবাসার প্রকাশ

অনেকের কাছে ভালোবাসার মৌখিক প্রকাশই সর্বাধিক পছন্দের। সঙ্গীর কাছ থেকে পাওয়া প্রেমময় সম্ভাষণ, আন্তরিক প্রশংসা, সমর্থন, সম্মান, সমাদর ও অনুপ্রেরণামূলক কিছু কথা তাদেরকে ভালোবাসায় পরিপূর্ণ অনুভব করায়। সামনাসামনি বলা, ফোনালাপ, ক্ষুদেবার্তা, চিঠি, কার্ড, ছোট একটি চিরকুট কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে উৎসর্গ করে পোস্ট- এ সবই হতে পারে তার প্রতি আপনার ভালোবাসার বার্তাবাহক।

তবে এসব ক্ষেত্রে মুখস্থ বুলির ব্যবহার পারতপক্ষে করবেন না; ভাষার স্বকীয় ব্যবহারে সচেষ্ট হোন। সেটি খুব কঠিন কিছু নয়, দরকার শুধু চর্চা। যেমন- প্রতিবারই “তোমাকে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে” না বলে কখনও তার সাজ, কখনও ব্যক্তিত্ব, কখনও পোশাকের রুচিতে মুগ্ধতা প্রকাশ করুন।

আবার সবসময় “আমি তোমাকে ভালোবাসি” বলার চেয়ে খুঁজে বের করুন আপনার জীবনে তার কী কী ইতিবাচক অবদান রয়েছে? একেক সময় একেকটির জন্যে তার প্রতি মন থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। তাকে জানতে দিন জীবনসঙ্গী, মা-বাবা, সন্তান, ভাই-বোন হিসেবে তিনি সফলভাবে যে ভূমিকা পালন করছেন, তা নিয়ে আপনি গর্বিত।

সঙ্গীর প্রতি নিজে কোনো ভুল করে ফেললে ভুল স্বীকার করতেও দেরি করবেন না। কর্মক্ষেত্রে তার বিশেষ কোনো অর্জনের আনন্দে নিজেও শামিল হোন।

আবার সঙ্গী যখন নিজের দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপের কথা আপনাকে জানাচ্ছেন, তখন ধৈর্য্য ধরে তার কথা শুনুন। তাকে মন হালকা করতে দিন। “শান্ত হও, এত দুশ্চিন্তা করার মত কিছুই হয়নি”, “এত চাপ নিয়ে কী হবে, অযথাই অস্থির হচ্ছ”– এমন মন্তব্য করে তাকে থামিয়ে দেওয়া একেবারেই উচিত হবে না।

আবার যেহেতু তারা কথার প্রতি অনেক বেশি গুরুত্ব দেন, সেহেতু তাদের সমালোচনা করার ব্যাপারেও বিশেষভাবে সতর্ক থাকা দরকার। অসচেতনভাবে করে ফেলা একটি আপাত নির্দোষ নেতিবাচক মন্তব্যও তাদের মনে গভীরভাবে দাগ কাটতে পারে। অতএব, সাধু সাবধান।

কাজের মাধ্যমে প্রকাশ

এরা কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। অর্থাৎ এই ধরনের মানুষকে মুখে “ভালোবাসি ভালোবাসি” বলার চেয়ে ব্যালকনিতে তার শখের বাগানের গাছগুলোর যত্ন নিতে তাকে সাহায্য করলে বরং তারা বেশি সমাদৃত অনুভব করবেন।

আপনার সঙ্গীও এই দলের হলে, ঘরের কলিংবেলটি নষ্ট হয়ে গেলে সঙ্গীর অপেক্ষায় না থেকে নিজেই তা সারানোর ব্যবস্থা করুন। ছুটির দিনে অতিথি আপ্যায়নের গুরুদায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে সঙ্গীর ওপর না চাপিয়ে নিজেও কাজে হাত লাগান।

সঙ্গী যখন জরুরি দাপ্তরিক কাজ বা পরীক্ষার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, কিংবা যখন তার টানা বিশ্রাম প্রয়োজন, তখন তা যেন নির্বিঘ্ন হয়, সেটি নিশ্চিত করুন। বাজারের কেনাকাটা, রান্না করা, ঘরদোর পরিষ্কার রাখা, বিল পরিশোধ, সন্তানকে স্কুলে আনা-নেওয়া করা- এমন যেসব কাজের দায়িত্ব সঙ্গীর ঘাড়ে থাকে, মাঝে মাঝে স্বপ্রণোদিত হয়ে নিজেই তা সেরে ফেলুন।

মোদ্দা কথা হলো, তাদের ভাগের দায়িত্বটা মাঝেমধ্যে নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে তাকে বিশ্রাম দেওয়া, দৈনন্দিন কাজে তিনি সাহায্য চাওয়ার আগেই তাকে সাহায্য করা, তার খেয়াল রাখা– এগুলোই তার কাছে আপনার দায়িত্ববোধ, যত্নশীলতা ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ধরা দেবে। তবে হ্যাঁ, কাজগুলো করতে হবে আপনার সঙ্গী আপনাকে কাজটি করতে বলার আগেই!

শারীরিক সংস্পর্শের মাধ্যমে ভালোবাসার প্রকাশ

একে লঘু, অগভীর বা নিছক শরীরকেন্দ্রিক আকর্ষণ ভাবলে ভুল হবে। মানুষের পারস্পরিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে স্পর্শ সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হয়ে থেকেছে। আবেগের চিরাচরিত বহিঃপ্রকাশ, যেমন- হাত ধরা, চুম্বন ইত্যাদি তো বটেই, হাঁটার সময় সঙ্গীকে ধরে থাকা, প্রতিদিন সঙ্গীর কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার সময় বা ঘরে ফিরে তাকে আলিঙ্গন করা, দুঃসময়ে তার কাঁধে হাত রেখে সহমর্মিতা প্রকাশ করা, সবই শারীরিক সংস্পর্শের অন্তর্ভুক্ত।

ভিন্ন ভিন্ন কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, সঙ্গীর হৃদ্যতাপূর্ণ স্পর্শ মানুষের মধ্যে নিরাপত্তা, সন্তুষ্টি ও বিশ্বস্ততার বোধ তৈরি করে, ‘ভালোবাসার হরমোন’ অক্সিটোসিনের নিঃসরণ ঘটায়। ফলে পারস্পরিক বন্ধন আরও জোরালো হয়, ব্যথা ও মানসিক চাপ কমে যায়, এমনকি রক্তচাপ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপরেও তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। বোঝাই যাচ্ছে, সম্পর্ক অটুট রাখতে নিয়মিত স্পর্শের ভূমিকা একেবারেই ফেলনা নয়।

কাছের মানুষের সান্নিধ্য ও স্পর্শের এত সব উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও এ ধরনের স্পর্শের চর্চা আমাদের পরিবারগুলোতে তেমন থাকে না বললেই চলে। পরিবারের সদস্য সংখ্যা এবং দম্পতির বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে তা যেন আরও কমে যায়। ফলে স্পর্শই যাদের ভালোবাসা অনুভবের প্রধান ভাষা, তারা এক্ষেত্রে উপেক্ষিত বা বঞ্চিত অনুভব করতে পারেন। সঙ্গীর এই ব্যাপারে বিশেষ খেয়াল রাখা দরকার।

গুণগত সময়ের মাধ্যমে ভালোবাসার প্রকাশ

ঘড়ি ধরে লম্বা সময় একসঙ্গে কাটানো এখানে প্রধান বিবেচ্য নয়। বরং বাকি সবকিছু থেকে সাময়িক বিরতি নিয়ে পরস্পরকে নিরবচ্ছিন্ন মনোযোগ ও আন্তরিকতাপূর্ণ কিছু সময় উপহার দেওয়াই এখানে মূল লক্ষ্য। ব্যস্ত জীবনের দৌড়ঝাঁপের ফাঁকে ফাঁকে সঙ্গীর সাথে সময় কাটানোর ছোটখাট সুযোগগুলোও হাতছাড়া করা উচিত নয়।

দুজনে মিলে ভোরে জগিংয়ে বেরিয়ে পড়ুন, ঘরে ফিরে একসাথে নাশতা করুন, দিন শেষে কিছু সময় আলাপচারিতায় কাটান, ছুটির দিনে মিলেমিশে ঘর গোছান, বই পড়ুন, গেমস্‌ খেলুন, পছন্দের সিরিজ দেখুন, পছন্দের কোনো খাবার তৈরি করুন, লম্বা ছুটিতে যান ভ্রমণে; প্যারেন্টিং, আত্মোন্নয়ন, ভাষা শিক্ষা বা এমন যে কোনো প্রশিক্ষণে ভর্তি হয়ে যান। এসবই গুণগত সময় বলে গণ্য হতে পারে।

গুণগত সময় কাটানো যাদের ভালোবাসা অনুভবের প্রধান মাধ্যম, তারা সঙ্গীর কাছ থেকে পর্যাপ্ত সময় ও মনোযোগ না পেলে নিজেকে অবহেলিত বা উপেক্ষিত বোধ করতে পারেন। যৌক্তিক কারণে সঙ্গী বেশি সময় দিতে অপারগ হলে, সেটা যেমন বোঝা প্রয়োজন, তেমনি একজন অতিমাত্রায় ব্যস্ত থাকায় অপরজন যেন বিচ্ছিন্ন বোধ না করেন, সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। অতএব, এসব ক্ষেত্রে মনঃক্ষুণ্ণ হয়ে না থেকে পরস্পরের সাথে আলাপ ও বোঝাপড়া করে নেওয়াই উচিত।

উপহারের মাধ্যমে ভালোবাসার প্রকাশ

ভালোবাসা অনুধাবনের এই ধরনটি কারো কারো কাছে স্থূল বা অতিমাত্রায় বৈষয়িক মনে হতে পারে। কিন্তু উপহার যাদের ভালোবাসার ভাষা, তাদের ক্ষেত্রে মূলত উপহারের অর্থমূল্য নয়, উপহারের পেছনের ভাবনাটাই বেশি গুরুত্ববহ। তার সঙ্গী তার মুখে এক চিলতে হাসি ফোটানোর জন্যে তার পছন্দসই একটি উপহার এনেছেন- এই বোধটুকুই তাকে অভিভূত করবার জন্যে যথেষ্ট।

এরা মূলত এমন কিছু নিদর্শনের প্রত্যাশা করেন, যা তাদের আত্মিক ভালোবাসাকে তুলে ধরে। যত্নে গড়া সম্পর্কটিকে চোখে দেখতে পারলে, ছুঁতে পারলেই যেন তাদের স্বস্তি!

আপনার সঙ্গী যদি উপহারের মাধ্যমে ভালোবাসার প্রকাশ পছন্দ করেন, তাহলে তার কথোপকথন খেয়াল করুন। তিনি কি নতুন কোনো বই কেনার কথা ভাবছেন? তিনি কিনে ফেলার আগে আপনিই বইটি কিনে তার টেবিলে রেখে দিন। সম্পর্কের বর্ষপূর্তিতে আপনাদের প্রথম দেখার দিনের স্মৃতিবিজড়িত জায়গাটিতে বেড়িয়ে আসুন দু’জনে।

সঙ্গীর প্রিয় ফুল, প্রিয় স্ন্যাকস, পছন্দের শিল্পীর অনুষ্ঠান বা পছন্দের দলের ক্রিকেট ম্যাচ দেখার টিকেট এনে দেওয়া- এমন যেকোনো কিছুই এখানে ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এ ধরনের মানুষদের কাছে জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী, ভালোবাসা দিবস- এ ধরনের উপলক্ষগুলো বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। তাই এই তারিখগুলো মনে রেখে এই দিনগুলোতে সাধ্যমত বিশেষ কিছু আয়োজন করলে সঙ্গীর মনে আপনার স্থান আরও বেশি পাকাপোক্ত হবে।

ডক্টর গ্যারি চ্যাপম্যানের মতে, প্রতিটি মানুষের কাছে একটি কাল্পনিক ভালবাসার পাত্র বা love tank থাকে। সঙ্গীর কাছ থেকে প্রতিনিয়ত ভালোবাসা অনুভব করলে সেই পাত্র ক্রমান্বয়ে পূর্ণ হতে থাকে, দুজনে সদ্ভাব বজায় থাকে। সুতরাং সম্পর্কে সুখময় পরিপূর্ণতা আনতে হলে জানতে হবে ভালবাসার ভাষা, শিখতে হবে সম্পর্কের ব্যাকরণ।

ঈষৎ অনুলেখন – মোঃ আরমান কবীর

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৫. ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ০৩:৪১:এএম ১০ মাস আগে
ও‌য়েব ডেভেলপমেন্টে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে - Ekotar Kantho

ও‌য়েব ডেভেলপমেন্টে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে

একতার কণ্ঠঃ আমরা ব্রাউজার দিয়ে যেসব সাইটে ব্রাউজ করি সেগুলো কিন্তু সবই তৈরি ওয়েব ডেভেলপারদের দিয়ে।আর সাধারনত এই ওয়েব ডেভলপার বা ওয়েব ডিজাইনাররাই নিত্য নতুন ওয়েবসাইট তৈরী করে আমাদের জীবনকে দিন দিন করে তুলছে আরো বৈচিত্র্যময়। তবে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং ডিজাইন একই জিনিস নয়। একে অপরের পরিপূরক।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি ও এর কাজ শিখতে যা যা লাগবে এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ কোথায় পাবেন ?

সাধারণত ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হলো একটা ওয়েবসাইটের প্রাণ সঞ্চার করা। আর সহজ কথায় বলতে গেলে web-development হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটের জন্য সাধারণত অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা। আর একজন ওয়েব ডিজাইনার যে ডিজাইন করে থাকুন না কেন তার প্রতিটা উপকরণকে সাধারণত ফাংশনাল করার জন্য পরিচালিত কর্মকাণ্ডই হল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট।

সাধারণত একটি ওয়েবসাইটকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।যেমনঃ

  • টেমপ্লেট বা ডিজাইন
  • কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম
  • ডাটাবেজ

সাধারণত একজন ভালো ওয়েব ডিজাইনার এই তিনটি বিষয়ের সমন্বয় রেখে পুরো সিস্টেম কে সংক্রিয় করে থাকেন। আর একজন ওয়েব ডেভেলপারের কাজ হচ্ছে ডাটা প্রসেসিং, ডাটাবেজ নিয়ন্ত্রণ, সিকিউরিটি নির্মাণ, এডমিন এবং ইউজারের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করা, অ্যাপ্লিকেশন এর সকল সিস্টেমকে ফাংশনাল করা এবং সমস্ত সিস্টেম এর কার্যকারিতা এবং ব্যবহারযোগ্যতা নিয়ন্ত্রণ করা।

সাধারণত ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ শিখতে যা যা লাগে

সেগুলো হচ্ছে- html, css, javascript, jquery, Php, এসবের পাশাপাশি যেকোনো একটি সিএমসি (content management system) যেমন- wordpress, joomla, dropal, bbpress এগুলো প্রয়োজন পরে। এছাড়াও আরো অনেক সিএমসি রয়েছে। সাধারণত আপনি যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করবেন তারাই আপনাকে বলে দিবে কোনটা শিখতে হবে । তবে উপরোক্ত বিষয় গুলো হচ্ছে কোর বিষয় যা আপনাকে প্রাথমিক অবস্থায় জানতে হবে।

ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ কোথায় পাবেন ?

আপনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে অনেক কাজ পেয়ে যাবেন। অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে প্রধান হচ্ছেঃ

  • Freelauncer.com
  • fiverr.com
  • upwork.com
  • ইত্যাদি

এছাড়া আপনি যদি ভাল ওয়েব পেজ ডিজাইন করতে পারেন তাহলে আপনার এই কাজেরও যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। আপনি আপনার অ্যাপ্লিকেশনটি অনেক ওয়েব মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করতে পারবেন এবং বিভিন্ন কনটেস্ট এ যোগদান করার মাধ্যমেও আয় করতে পারেন। যেমন-

  • themeforest.net
  • codecanyon.net
  • codester.com
  • 99design.com

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর ভবিষ্যৎ চাহিদা

সাধারণত যতদিন ওয়েবসাইট থাকবে ততদিন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর চাহিদাও থাকবে। দিনদিন ওয়েবসাইটের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যেমন ধরুন, ২০১৭ সাল ওয়েবসাইটের সংখ্যা ছিলো ১১৫ কোটির বেশি, সর্বশেষ ২০২৩ সাল এ হিসাব পৌছেছে ২০০ কোটিরও বেশী।

যেকোনো মার্কেটপ্লেসে একজন ওয়েব ডেভেলপার তার কাজের ধারা অনুযায়ী ঘন্টায় ২০ ডলার থেকে একশ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করে থাকে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৪. ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ১১:১৩:পিএম ১০ মাস আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।