একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার সারাহ কুক।
এ সময় তিনি বলেছেন, কুমুদিনী কমপ্লেক্সে অবস্থিত সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলি খুব ভাল কাজ করছে। এখানকার প্রতিষ্ঠানগুলো দেখে আমি খুবই মুগ্ধ।
শনিবার(১২ আগষ্ট )সকালে কুমুদিনী কমপ্লেক্স পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন ব্রিটিশ হাই কমিশনার।
সাংবাদিকরা দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করলে এড়িয়ে যান ব্রিটিশ হাই কমিশনার।
এ সময় কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাহা ফুল দিয়ে তাদের স্বাগত জানান।
কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের পরিচালক শ্রীমতি সাহা, সম্পা সাহা, মহবীর পতি, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. আব্দুল হালিম, কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায়, কুমুদিনী হাসপাতালের ডেপুটি ম্যানেজার (অপারেশন) অনিমেষ ভৌমিক লিটন উপস্থিত ছিলেন।
কুমুদিনী কমপ্লেক্স বাংলাদেশের জনকল্যাণমূলক সংগঠন কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের সদরদপ্তর।
উল্লেখ্য,শিল্পপতি সমাজসেবক শহীদ রণদা প্রসাদ সাহা ১৯৪৭ সালে মা কুমুদিনীর স্মরণে এ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন। সে সময় থেকে এ সংস্থা বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের প্রধান জনকল্যাণকর কার্যক্রমগুলো হল-কুমুদিনী হাসপাতাল (মির্জাপুর), নার্সিং স্কুল, মহিলা মেডিকেল কলেজ, ভিলেজ আউটরিচ প্রোগ্রাম, ভারতেশ্বরী হোমস, ট্রেড ট্রেনিং স্কুল, কুমুদিনী হ্যান্ডিক্রাফ্টস প্রভৃতি।
মানব সেবায় অবদানের জন্য ১৯৮৪ সালে এটিকে ‘সমাজসেবায়’ স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়।
একতার কণ্ঠঃ ২৫তম বিশ্ব স্কাউট জাম্বুরি ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস টিমে অংশ নিতে দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামানগুমে যাচ্ছেন টাঙ্গাইলের মো. সোলায়মান হোসেন।
বাংলাদেশের কন্টিনজেন্টের সদস্য হিসেবে শুক্রবার (২৮ জুলাই) রাতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন সোলায়মান হোসেন।
আগামী ১ থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বিশ্ব স্কাউট জাম্বুরির এই আসরে বিশ্বের ১৫৮টি দেশের ৪৩ হাজার ২৮১ জন স্কাউট এতে অংশ গ্রহণ করবেন। বাংলাদেশ কন্টিনজেন্ট থেকে মোট ৭১০ জন স্কাউট, রোভার স্কাউট, ইয়াং অ্যাডাল্ট ও অ্যাডাল্ট লিডার অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছেন যার মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস টিমের সদস্য রয়েছেন ২২০ জন।
জাম্বুরির ক্যাম্পের দৈর্ঘ্য ৮ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ২ কিলোমিটার।
সোলায়মান বেতার শ্রোতা সংগঠন সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক) বাংলাদেশ জেলা শাখার সভাপতি ও মধুপুর রাণী ভবানী মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন স্কাউট ও টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট রোভার স্কাউট গ্রুপের সাবেক সিনিয়র রোভার মেট।
মো. সোলায়মান হোসেনের সাফল্যে তাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ বেতারের সাবেক পরিচালক ড. মির শাহ আলম, ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও রেডিও এক্টিভিস্ট দিদারুল ইকবাল, ভাইস চেয়ারম্যান তাছলিমা আক্তার লিমা, উপদেষ্টা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রফেসর ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া এবং মহাসচিব নুর মোহাম্মদ, ক্লাবের শিশু সদস্য লাবীব ইকবাল।
ক্লাবের চেয়ারম্যান দিদারুল ইকবাল বলেন, স্কাউটের বিশ্ব আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারা অত্যন্ত সৌভাগ্যের ও গর্বের। সোলায়মানের এই সাফল্য ভবিষ্যতে ক্লাবের মুক্ত স্কাউট দলের সদস্যদের অনুপ্রাণিত করবে। ক্লাবের
প্রধান উপদেষ্টা ড. মির শাহ আলম বলেন, যারা স্কাউটিং এর সাথে জড়িত শুধু তারা নয় স্কাউটে যুক্ত নয় তারাও এতে উদ্ধুদ্ধ হয়ে স্কাইটিংয়ে সম্পৃক্ত হবে।
মো. সোলায়মান হোসেন বলেন, এ ধরনের বিশ্ব আসরে বাংলাদেশের হয়ে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনতে চাই।
প্রসঙ্গত, মো. সোলায়মান হোসেন এই নিয়ে তৃতীয়বার বিদেশে আন্তর্জাতিক ক্যাম্পে অংশ গ্রহনের সুযোগ পেলো। আগামী ১৪ আগস্ট তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশ থেকে চলতি বছর এখন পর্যন্ত (১১ জুন রাত ১টা ৫৯ মিনিট) ৭০ হাজার ২৫৬ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯ হাজার ৩৫০ ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ৬০ হাজার ৯০৬ জন। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৮ হাজার ৩৫৭টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।
হজ সম্পর্কিত সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এয়ারলাইন্স, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা এবং সৌদি আরব সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে হেল্পডেস্ক।
এদিকে হজ করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ১০ জন হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে আট জন পুরুষ ও দুই জন নারী। তারা সবাই মক্কায় মারা গেছেন। সবশেষ ৬ জুন মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম মো. শহীদুল আলম (৬৭) ।
সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী হজ এজেন্সির সংখ্যা ৬০৩টি। হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে ২১ মে। শেষ হজ ফ্লাইট ২২ জুন। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ২ জুলাই আর শেষ ফিরতি ফ্লাইট ২ আগস্ট।
একতার কণ্ঠঃ: আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় আবারো বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশের হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরিম।
এবার ২৬ তম দুবাই আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে প্রথম হলেন তাকরিম।
প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হয়েছেন ইথিওপিয়ার আব্বাস হাদি ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন সৌদি আরবের খালিদ সুলাইমান।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল)বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় প্রথম স্থান অধিকারী হিসেবে তাকরিমের নাম ঘোষণা করা হয়।
হাফেজ তাকরিমের হাতে পুরস্কার তুলে দেন দুবাইয়ের শেখ পরিবারের সদস্য শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ মুহাম্মদ আল মাকতুম। উপস্থিত ছিলেন কুরআন প্রতিযোগিতার ভাইস প্রেসিডেন্ট সায়েদ হারেব-যাযাদি
তাকরিমের প্রথম স্থান অর্জন করার বিষয়টি ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন মারকাযু ফয়জিল কুরআনের শিক্ষক হাফেজ আব্দুল্লাহ আল মামুন।
হাফেজ তাকরিম মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী ঢাকা-এর কিতাব বিভাগের ছাত্র ও টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নের ভাদ্রা গ্রামের হাফেজ আব্দুর রহমানের ছেলে।
এ বছরের ১২ জানুয়ারি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক নির্বাচনী পরীক্ষায় একদল বিজ্ঞ বিচারক মণ্ডলির রায়ে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি নির্বাচিত হয় তাকরিম।
এবারের প্রতিযোগিতায় শুধু তাকরিম-ই দেশের নাম উজ্জ্বল করেনি। দুবাইয়ের এই প্রতিযোগিতার বিচারক প্যানেলে ছিলেন শায়খ শোয়াইব মোহাম্মদ আলআজহারি নামে এক বাংলাদেশী আলেম।
প্রতিযোগিতার মূল পর্বে নিয়ম অনুযায়ী, তিলাওয়াতের সময় একাধারে পাঁচটি প্রশ্নের নির্ভুল উত্তর দেন হাফেজ তাকরিম। কোনো প্রশ্নের উত্তরের ক্ষেত্রে ভুল হয়নি তার। মিষ্টি মধুর কন্ঠে তার তিলাওয়াত শুনে বিচারকেরা মুগ্ধ হয়ে পড়েন।
এর আগে বাংলাদেশের হাফেজ সালেহ আহমেদ তাকরিম সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেন।
এছাড়াও গত মার্চে ইরান আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় হাফেজ সালেহ আহমেদ তাকরিম প্রথম, মে মাসে লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় সপ্তম স্থান অর্জন করেন। ২০২০ সালে পবিত্র রমজান মাসে বাংলাভিশন টেলিভিশন আয়োজিত হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হোন তিনি।
একতার কণ্ঠঃ তুরস্কের হাতায় প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পের ২৮ দিন পর তিনটি বাচ্চাসহ শিলা নামের একটি কুকুরকে বুধবার (৯ মার্চ) ধ্বংসস্তূপ থেকে তাদের জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গেছে, দুই অথবা তার থেকে কম বয়সী তুরস্কের দক্ষিণ হাতায় প্রদেশের একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে তিনটি নবজাতক কুকুরছানা ও একটি কুকুর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ২৮ দিন পর এটি উদ্ধার করা হয়।
কুকুরটির মালিক কাদির কিইফলি বলেন, কুকুরটিকে ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করে আনার জন্য স্থানীয় উদ্ধারকারী দলের কাছে সাহায্য চেয়েছিলাম। কিন্তু কেউ প্রবেশ করতে পারেনি।তবে মেয়াকোর আঞ্চলিক প্রাণী উদ্ধারকারী দল সোমবার সাহায্য করেছিল। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করার পর তারা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। সেখানে দেখা গেছে, শুধু কুকুরটি আটকা পড়ে জীবিত ছিল এমনটি নয়, তিনটি কুকুরছানাও জন্ম দিয়েছে।
কুকুরের মালিক আরও বলেন, আমার কুকুরগুলো এক মাস থেকে বাইরে আছে। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ। শিলা ও তার ছানাকে চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী শহর আদানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে গত মাসের ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৫২ হাজারের কাছাকাছি দাঁড়িয়েছে।
খবর: ডেইলি সাবাহর
একতার কণ্ঠঃ সৌদি আরব আসছে রমজান মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১০ লাখ কপি পবিত্র কুরআন বিতরণ করবে। সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ রোববার(৫ মার্চ) এ বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছেন।
আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে, পবিত্র কুরআনের কপিগুলো বিশ্বের ২২টি দেশের ইসলামিক কেন্দ্রে দেওয়া হবে। প্রকল্পের অধীনে ৭৬টির বেশি ভাষায় অনুবাদ করা কুরআনের কপি থাকবে। সেই সঙ্গে কুরআনের কপির সাইজেও থাকবে ভিন্নতা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পবিত্র কুরআনের কপিগুলো মুদ্রণ করেছে মদিনার বাদশাহ ফাহাদ গ্লোরিয়াস কোরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স।
এ বিষয়ে দেশটির ইসলাম, দাওয়াত ও দিকনির্দেশনা বিভাগের মন্ত্রী শেখ আবদুল লতিফ বিন আবদুল আজিজ আল শেখ জানিয়েছেন, আসছে রমজানেই সংশ্লিষ্ট দেশগুলোয় কুরআনের কপিগুলো পৌঁছে দিতে চান তারা। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ সৌদি সরকারের তত্ত্বাবধানে পবিত্র মক্কায় ৪২তম বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন টাঙ্গাইলের হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীম (১৩)।
হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরিম ঢাকার মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী মাদরাসার শিক্ষার্থী। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার ভাদ্রা গ্রামে। তার বাবা হাফেজ আব্দুর রহমান মাদরাসার শিক্ষক এবং মা গৃহিণী।
স্থানীয় সময় বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে মক্কার পবিত্র হারাম শরিফে অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে চূড়ান্ত বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এসময় তৃতীয় স্থান অর্জন করা তাকরীমকে এক লাখ রিয়াল (প্রায় সাড়ে ২৭ লাখ টাকা) পুরস্কার দেয়া হয়। এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর শুরু হয় বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতা। চূড়ান্ত পর্ব শেষ হয় বুধবার।
এ প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ১১১টি দেশ থেকে ১৫৩ জন অংশ নেন। চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ ১৫ প্রতিযোগীকে ২৭ লাখ টাকা পুরস্কার দেয়া হয়।
বাঁধ নির্মাণের কারণে তলিয়ে গিয়েছিল পানির নিচে। তবে নিমজ্জিত হওয়ার তিন দশক পর এসে এবার খরার প্রভাবে পানির নিচ থেকে জেগে উঠেছে একটি মসজিদ।
এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের বিহার রাজ্যের নওয়াদা জেলার ফুলওয়ারিয়া বাঁধের কারণে তিন দশক আগে তলিয়ে যাওয়া একটি মসজিদ এবার খরার প্রভাবে জেগে উঠেছে। বাঁধের জলাধারের দক্ষিণ প্রান্তে পানি শুকিয়ে যাওয়ার পর রাজৌলি ব্লকের চিরাইলা গ্রামে ওই মসজিদটির দেখা মিলেছে।
স্থানীয়রা জানান, ১৯৮৫ নালে ফুলওয়ারিয়া বাঁধ নির্মাণের পর ধীরে ধীরে পানির নিচে তলিয়ে যায় ‘নূরী মসজিদ’ নামে পরিচিত ওই মসজিদটি। মাটি থেকে ওপরের গম্বুজ পর্যন্ত মসজিদটির উচ্চতা প্রায় ৩০ ফুট।
কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিসের বরাতে এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানায়, পানির নিচ থেকে মসজিদটি জেগে ওঠার পর এ নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মাঝে ব্যাপক কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে এবং মসজিদটি দেখতে ভিড় করছেন অনেকে।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় অনেকেই মসজিদটির ভেতরে প্রবেশ করেছেন এবং তিন দশক পানির নিচে থাকার পরও মসজিদ ভবনটি সম্পূর্ণ অক্ষত দেখে অবাক হয়েছেন। সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, কয়েক দশক ধরে ডুবে থাকার পরও এই মসজিদের কাঠামোর সামান্যতম ক্ষতিও হয়নি।
এর আগে খরার প্রভাবে পানির স্তর কমতে শুরু করলে নূরা মসজিদের গম্বুজের একটি অংশ দেখা যাচ্ছিল। তখন এটি ওই মসজিদই কি-না, তা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন স্থানীয়রা। কিন্তু সম্পূর্ণ পানি শুকিয়ে গিয়ে মসজিদটি পুরোপুরি দৃশ্যমান হওয়ার পর তাদের সব কৌতুহলের অবসান হয়েছে।
জানা যায়, মসজিদটি ২০ শতকের প্রথম দিকে নির্মিত হয়েছিল এবং এটি প্রায় ১২০ বছর পুরোনো হতে পারে।
একতার কণ্ঠঃ অনিয়ম-দুর্নীতির সংবাদ সংগ্রহকালে সাংবাদিকদের ওপর ধারাবাহিক হামলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে এসব হামলার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।
আইন ও শালিস কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত ১১৯ জন সাংবাদিক নানামুখী হামলা, মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩৮ জন পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলার এবং ১৯ জন প্রকাশিত সংবাদের জেরে মামলার শিকার হয়েছেন। এসব ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হলেও বাস্তব অর্থে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিচার শেষ হয় না বলে মনে করে টিআইবি।
বুধবার (১০ আগস্ট) টিআইবি থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সম্প্রতি ধারাবাহিকভাবে সাংবাদিকদের ওপর হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং ক্ষমতার অপব্যবহার, হামলা-মামলা ও বিচারহীনতার ও মাধ্যমে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের চলমান প্রক্রিয়ার অপপ্রয়াসের অব্যাহত প্রবণতা।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যখন দেশের মানুষ প্রভাবশালী ও ক্ষমতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুর্নীতিবাজদের অর্থপাচার এবং নানাবিধ দুর্নীতির কারণে বহুমুখী সংকট মোকাবিলা করছে। তখন দুর্নীতির তথ্য উদঘাটন ও প্রকাশের জন্য সাংবাদিকদের ওপর ধারাবাহিক হামলা কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা নয়। বিশেষ করে, অতিসম্প্রতি চিকিৎসাসহ বিভিন্ন জনসেবা প্রদানকারী ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য সংগ্রহকালে বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল ও পত্রিকার সাংবাদিকদের ওপর নৃশংস হামলার ঘটনায় স্পষ্ট যে, দুর্নীতিবাজরা কতটা বেপরোয়া, ক্ষমতাধর এবং সংঘবদ্ধ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তো বটেই, রাষ্ট্রীয় কোন কর্তৃপক্ষকেই তারা পরোয়া করে না। এই বেপরোয়া আচরণ প্রমাণ করে, কোন না কোন প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় তারা সুরক্ষা ও দায়মুক্তি পেয়ে থাকে।
তিনি বলেন, নিয়মিত বিরতিতে সাংবাদিক নির্যাতন এবং গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে হামলা-মামলার ঘটনা ঘটলেও, কঠোর আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে যথোপযুক্ত শাস্তির দৃষ্টান্ত কার্যত অনুপস্থিত, যা নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরেই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছি।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি স্বাস্থ্যখাতে দীর্ঘদিন ধরে বিরাজমান অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহকালে ঢাকা ও বরিশালে অন্তত তিনজন টেলিভিশন সাংবাদিকের ওপর সংঘবদ্ধ ভয়াবহ হামলা এ খাতে শক্তিশালী সিন্ডিকেট এবং তাদের সুরক্ষাদাতাদের বেপরোয়া দৌরাত্মের প্রমাণ দেয়, যা টিআইবির বিভিন্ন গবেষণা এবং গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে।
ধারাবাহিক হামলা সাংবাদিকদের মনোবল ভেঙে দিয়ে দুর্নীতির তথ্য প্রকাশে বাধা সৃষ্টির সুগভীর ও সংঘবদ্ধ অপকৌশল কিনা? এমন প্রশ্ন তুলে নির্বাহী পরিচালক বলেন, বিশ্ব দায়মুক্তি সূচক-২০২১ অনুযায়ী সাংবাদিকদের নিরাপত্তাহীনতায় বাংলাদেশের দশম অবস্থান লজ্জাজনকভাবে দেশে সাংবাদিকতার প্রকট ঝুঁকির দৃষ্টান্ত। বিশ্বমুক্ত গণমাধ্যম সূচক ২০২২ অনুযায়ী ১০ ধাপ পিছিয়ে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের ১৬২তম অবস্থানও প্রমাণ করে যে, সাংবাদিকতা এদেশে ধারাবাহিকভাবেই কঠিন হয়ে উঠছে। তাই সাংবাদিকদের সুরক্ষায় অবিলম্বে বিশেষ আইন প্রণয়ন এবং তার কার্যকর প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
একতার কণ্ঠঃ প্রেমের টানে বাংলাদেশে এসে সুখের সংসার পেতেছেন নেপালি তরুণী সানজু কুমারী খাত্রী। বাঙালিদের মতোই এখন তার চলাফেরা, খাবার ও পোশাক। এমনকি বাংলা ভাষায় সাবলীলভাবে কথাও বলছেন তিনি।
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের গৃহবধূ সানজু স্বামী-সংসারের জন্য ছেড়েছেন পরিবার-পরিজন এবং ধর্ম। বিয়ের সময় ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী নেপালি তরুণীর বর্তমান নাম খাদিজা আক্তার। স্বামী প্রবাসে থাকায় শ্বশুর-শাশুড়ি আর একমাত্র শিশুকন্যাকে নিয়েই কাটছে তার সময়।
স্থানীয়রা জানান, ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি নেপালি ওই তরুণী টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা হুমায়ুন আলীর মালয়েশিয়া প্রবাসী পুত্র নাজমুল ইসলামের কাছে ছুটে আসেন। সম্প্রতি ওই বাড়িতে গিয়ে প্রেম ও সংসার জীবন নিয়ে কথা হয় সানজুর সঙ্গে। এ সময় সুখেই সংসার করছেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, আমার বাড়ি নেপালের কাঠমান্ডু শহরে। বাবার নাম দমর বাহাদুর খাত্রী। তিন বোনের মধ্যে আমি দ্বিতীয়। তবে বাংলাদেশি যুবককে বিয়ে করে ধর্ম পরিবর্তন করে এখন আমার নাম খাদিজা আক্তার।
নাজমুলের সঙ্গে প্রেম ও বিয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় একই কোম্পানিতে কাজ করার সময় নাজমুলের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায় তিন বছর প্রেমের সম্পর্কের পর ২০১৯ সালের শেষের দিকে মালয়েশিয়া থেকে আমি নিজ দেশে ফিরি। পরে নাজমুলও বাংলাদেশে ফেরেন। এরপর নামজুল তার এক আত্মীয়কে নিয়ে নেপালে আমার বাড়িতে এসে পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। পরিবারকে রাজি করিয়ে ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি আমাকে নিয়ে বাংলাদেশে ফেরে নাজমুল। পরে টাঙ্গাইলে আদালতের মাধ্যমে কোর্ট ম্যারেজসহ স্থানীয় নিকাহ রেজিস্ট্রার দিয়ে বিবাহ সম্পন্ন করা হয়। ওই সময় আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করি। আমার নতুন নাম খাদিজা আক্তার।
তিনি আরও জানান, বিয়ের কিছু দিন পর তিনি নিজ দেশে ফিরে যান। সেখানে কিছু দিন থাকার পর আবার স্বামীর কাছে বাংলাদেশে চলে আসেন। কিছু দিন সংসারের পর নাজমুল মা-বাবার কাছে তাকে রেখে ফিরে যান মালয়েশিয়ায়।
সানজু বলেন, স্বামী মালয়েশিয়া যাওয়ার পর থেকে শ্বশুর-শাশুড়ি, ননদ ও একমাত্র মেয়ে তাসফিয়া ইসলাম নূরকে নিয়েই সময় কাটছে। এছাড়া নেপালে আমার মা ও দুই বোনসহ আত্মীয়-স্বজন রয়েছে। তাদের সঙ্গেও নিয়মিত ভিডিও কলে কথা হয়।
সানজুর শ্বশুর হুমায়ুন আলী বলেন, ‘নেপালি মেয়েকে পুত্রবধূ হিসেবে পেয়ে আমি আনন্দিত। আমার ছেলের বউ এখন বাংলায় কথা বলতে পারে। বাঙালি মেয়েদের মতোই তার চলাফেরা। নেপালে তার মা ও দুই বোন রয়েছে। তাদের সঙ্গে আমরাও নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। তার কোনও সমস্যা হচ্ছে না। সবকিছু স্বাভাবিকভাবেই চলছে। তবে মজার বিষয় হলো, বিয়ের দুই বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও তাকে দেখার জন্য অনেকেই বাড়িতে আসেন।’
মোবাইল ফোনে কথা হয় নাজমুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সানজুকে স্ত্রী হিসেবে পেয়ে আমি অনেক খুশি। সে এখন আপাদমস্তক বাঙালি। এছাড়া কোরআন পড়ে, পর্দা করে। বাঙালি নারীদের মতোই সংসার সামলাচ্ছে। আমরা একমাত্র মেয়েকে নিয়ে সামনের দিনের স্বপ্ন বুনছি।’
একতার কণ্ঠ: টাঙ্গাইলে”বিশ্বনবীর অপমান মানবে না মুসলমান” শ্লোগানে মিছিল ও প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে।শুক্রবার (১০ জুন) বাদ আছর টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সম্মুখে সভা শেষে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।
মিছিলটি মসজিদ চত্ত্বর থেকে বের হয়ে নিরালা মোড় হয়ে আবার মসজিদ চত্ত্বরে এসে শেষ হয়। মিছিল ও প্রতিবাদ সভায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ টাঙ্গাইল জেলা শাখার নেতাকর্মীসহ প্রায় সহস্রাধিক ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীরা অংশ গ্রহণ করেন।
সম্প্রতি ভারতের উগ্র সাম্প্রদায়িক ক্ষমতাসীন বিজেপির মুখপাত্র নুপুর শর্মা ও মিডিয়া সেল প্রধান নবীন জিন্দাল মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা. ও উম্মাহাতুল মুমিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রাযি. কে নিয়ে চরম অশ্লীল ও অবমাননাকর মন্তব্য করায় ভারতীয় পণ্য বয়কট এবং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর দাবিতে এই মিছিল ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে বক্তারা,অনতি বিলম্বে সরকারের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারীও দেন তারা।
সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মাদ আকবর আলীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মুহাম্মদ আঁখিনূর মিয়ার সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আকরাম আলী, যুগ্ম-সম্পাদক আলহাজ্ব আনিসুর রহমান সিল্টু, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক প্রভাষক রেজাউল করিম, সদস্য মাওলানা রেজাউল করিম, জেলা ইসলামী যুব আন্দোলনের সেক্রেটারি মোহাম্মদ আবদুর রহিম, জেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ফয়সাল আহমেদ প্রমুখ।
একই দাবিতে জেলার প্রতিটি উপজেলায় মিছিল ও সমাবেশ করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীরা।
একতার কণ্ঠ: কোভিড সংক্রমণের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে এখন আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস। এই ভাইরাস বাহিত রোগটি নিয়ে ইতোমধ্যেই সকলকে সতর্ক করেছে ব্রিটেন।
৭ মে লন্ডনে এক ব্যক্তির দেহে এই রোগটি দেখা যায়। জানা যায় সেই তখন নাইজেরিয়া থেকে ফিরেছিলেন। অতএব, তিনি আফ্রিকায় ভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছিলেন তা বলাই বাহুল্য। সম্প্রতি বেশ কিছু দেশে এই ভাইরাস দেখা গিয়েছে। স্পেন, পর্তুগাল, কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এই মাঙ্কিপক্সের দেখা মিলেছে।
এই রোগটি বায়ুবাহিতই। সেই কারণে শ্বাসযন্ত্র, নাক, মুখ চোখ এই ভাইরাসে আগে আক্রান্ত হয়। তবে সাম্প্রতিক রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে, যৌন সংস্পর্শে এই রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয় এবং তিনি যদি যৌন কার্যকলাপে লিপ্ত হন, সেক্ষেত্রে অপর সুস্থ স্বাভাবিকদেহে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। পরেও তিনিও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন।
এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত সচেতনতা অবলম্বন করতে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। UK Health Security Agency (UKHSA) জানায় যে এই রোগের বিন্দুমাত্র লক্ষণ প্রকাশ পেলেই সচেতন হন, সঙ্গম থেকে দূরে থাকুন। গায়ে র্যাশের মতো উপসর্গ আর জ্বর হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে যান।
মাঙ্কিপক্স একটি বিরল ভাইরাল সংক্রমণ যা পশ্চিম আফ্রিকায় প্রথম দেখতে পাওয়া গিয়েছিলো। ১৯৫৮ সালে বানরের মধ্যে প্রথম আবিষ্কৃত হয়েছিলো, এই ভাইরাসটি। এই রোগটি স্মল পক্স বা গুটি বসন্তের মতোই হয়ে থাকে। ১৯৭০ সালে প্রথম মানব দেহে এই মাঙ্কিপক্স শনাক্ত করা হয়েছিলো।