একতার কণ্ঠঃ যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে নাগরপুরের বিভিন্ন ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় প্রকল্প গ্রহনে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব কবির-বিন-আনোয়ার। রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দিনভর তিনি স্পিডবোর্ড যোগে টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনের জাতীয় সাংসদ আহসানুল ইসলাম টিটুকে সাথে নিয়ে যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীর ভাঙন কবলিত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন।
দুপুরে তিনি উপজেলার খাষঘুনিপাড়া এলাকার ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে কথা বলেন। এসময় ভাঙনরোধে পাউবোর চলমান প্রকল্পেরও খোজ খবর নেন। এদিকে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব পরিদর্শনে এসেছেন এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে নদী পাড়ের হাজারো অসহায় পরিবার সেখানে উপস্থিত হয়। তারা ভাঙন কবলিত এলাকায় তীর সংরক্ষন বাঁধ নির্মানে ব্যবস্থা গ্রহনে জোর দাবি জানায় ।
পরে সাংবাদিকদের সিনিয়র সচিব কবির-বিন-আনোয়ার জানান, যমুনার পশ্চিম পাড় মোটামুটি বাঁধের আওতায় আসলেও পূর্ব পাড়ের বেশিরভাগ অঞ্চল এখনও অরক্ষিত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ১০০ বছরের ডেল্টা প্লান হাতে নিয়েছেন, তারই ধারাবাহিকতায় আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে নদীর এ পাড়ও বাঁধের আওতায় আসবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ময়মনসিংহ সার্কেলের তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহজাহান সিরাজ, টাঙ্গাইল পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ইমদাদুল হক, উপ-সহকারী প্রকৌশলী নুরুজ্জামান, সোলাইমান ভূইয়া, আবু ইউসুফ, নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত-ই-জাহান প্রমুখ।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় পরকীয়ার সন্দেহ স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তার স্বামী আবদুল লতিফ বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার(২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘাটাইলের রসুলপুর ইউনিয়নের রসুলপুর তেঁতুলতলা গর্জনাপাড় গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। স্ত্রী পরকীয়ার সন্দেহের বহির্প্রকাশে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে ।
নিহতের নাম সবুরা বেগম (৪৫) বেগম। তিনি রসুলপুর তেঁতুলতলা গর্জনা গ্রামের মৃত ইব্রাহিম মিয়ার মেয়ে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই কায়ছার হামিদ বাদী হয়ে রবিবার( ২৬ সেপ্টেম্বর) ঘাটাইল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন,
মামলার বাদী কায়ছার হামিদ বলেন, তার বোনজামাই কাতার প্রবাসী। তিন মাস আগে দেশে ফেরেন। ফেরার পর থেকে মিথ্যা অপবাদে তার বোনের সঙ্গে ঝগড়া করত। তাকে ভয় দেখিয়ে বলত— ‘আমি যদি আজকে তোকে মেরে ফেলি তবে আজকেই বিদেশ চলে যাব’-এ রকম ভাবে বকাবকি ও নির্যাতন করত।
তিনি আরো বলেন, শনিবার সকাল ১০টার দিকে তার ভাগ্নে সাব্বির স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় যায়। সেখান থেকে দুপুর ১২টার বাড়ি ফিরে ঘরের ভেতরে দেখতে পায় তার বোনের মুখে টেপ পেঁচানো অবস্থায় একখাটে আর বোনজামাই বিষপান করে অন্য খাটে পড়ে রয়েছে।পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার বোনের মুখে টেপ পেঁচানো লাশ দেখতে পাই। আর তার বোনস জামাইকে প্রথমে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলে তিনি দাবি করেন।
ঘাটাইল থানা অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মো. আজহারুল ইসলাম সরকার জানান, প্রাথমিকভাবে এটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে স্বামী বিষপানে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, ঘটনার পর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্ত কাজ চলছে।
একতার কণ্ঠঃ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, তৃণমূলের কর্মীরা দলের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে। সামাজিক সম্মানটুকু ছাড়া আর কোন সুযোগ সুবিধা তারা পান না। কাজেই, তৃণমূলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচন হবে, প্রার্থী মনোনয়ন করা হবে। আওয়ামী লীগ একটি সুশৃঙ্খলিত একটি রাজনৈতিক দল। নতুন প্রজন্মের মেধাবী তরুণদের আওয়ামীলীগের পতাকাতলে নিয়ে আসতে হবে। এই মেধাবীরা আগামী দিনে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আগামী নির্বাচনের আগে জেলার সম্মেলন শেষ করতে হবে। ।
রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা সদরে অবস্থিত টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী ওই সব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, যত দ্রুত সম্ভব ইউনিয়ন থেকে শুরু করে টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সম্মেলন শেষ করা হবে। দলকে সুশৃংখল এবং ঐক্যবদ্ধ করে নতুন ও শিক্ষিত তরুণ সমাজকে নেতৃত্বে আনা হবে। শিক্ষিত মানুষ দ্বারা দলকে পরিচালনা করতে হবে। তারা র্নিমোহ জাতির বিবেক হিসেবে কাজ করবে। শুধু ধর্ম নিরপেক্ষতা বললেই মানবতাবাদী হবে না। সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে জাতিকে মানবিক চেতনায় উদ্ধুদ্ব করতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, আগামীতে বিএনপি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনের নামে জ্বালাও পোড়াও করতে চাইবে। তাদেরকে রাজনৈতিকভাবেই প্রতিহত করার জন্য নেতাকর্মীদের মোকাবেলা করার প্রস্তুত থাকতে হবে। অতীতেও আমরা টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগ স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি, আগামীতেও বিএনপি জামাতের আন্দোলন প্রতিহত করতে হবে। বিএনপির মতো আওয়ামী লীগ কোনদিন চোরাগলি পথে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসেনি। আওয়ামী লীগ সবসময় সহজ-সরল পথে হেঁটে, গণতান্ত্রিকভাবে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছে। সরকার গঠন করেছে, দেশ পরিচালনা করেছে এবং এখনও করছে।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ড. আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি এখনো তৎপর। তারা এখনো নানান ষড়যন্ত্র করছে। তারা এখনো এই বাংলাদেশকে পাকিস্তানের একটি অঙ্গরাজ্যে পরিণত করার চেষ্টা করছে। তাদের প্রতিহত করতে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। যারা আজও পর্দার অন্তরাল থেকে নীল কুটির, লাল কুটির ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চায়। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।
বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের এমপি, ছানোয়ার হোসেন এমপি, হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী এমপি, তানভীর হাসান ছোট মনির এমপি, আহসানুল ইসলাম টিটু এমপি, আতাউর রহমান খান এমপিসহ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির নেতৃবৃন্দ।
একতার কণ্ঠঃ আলেশা মার্ট ও ই-অরেঞ্জসহ নয়টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে-ধামাকা, আলাদিনের প্রদীপ, বুম বুম, আদিয়ান মার্ট, সিরাজগঞ্জ শপ, কিউকুম, নিড ডটকম ডটবিডি। এসব প্রতিষ্ঠানের সর্বশেষ আর্থিক অবস্থা, মোট দায় এবং প্রতিষ্ঠানের চলতি ও স্থায়ী মূলধনের তদন্ত করা হচ্ছে। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক এসব প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষা প্রতিবেদন চেয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছে মন্ত্রণালয়। এর বাইরে আরও কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের ওপর নজর রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।
এদিকে প্রতারণা ঠেকাতে ই-কমার্সের বিজ্ঞাপনের নিচে ‘অনলাইনে পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রতারণা থেকে সাবধান’-এমন সর্তকবাণী লিপিবদ্ধ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এটি নিশ্চিত করতে তথ্য মন্ত্রণালয়কে বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টম্বর) চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া বিদ্যমান মানি লন্ডারিং আইনে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে বিদ্যমান আইনের সংশোধনীর কাজ শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার ই-কমার্স সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছিলেন, ইভ্যালির মতো আর কোনো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান যেন প্রতারণার সুযোগ না পায়, সেজন্য পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে আলেশা মার্টসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে। এখন সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে। প্রলোভনে পড়া যাবে না।
জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং ই-কমার্স সেলের প্রধান মো. হাফিজুর রহমান জানান, মানুষকে সচেতন করতে একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞাপন দিলে সেখানে নিচে একটি সতর্কবাণী লেখা বাধ্যতামূলক থাকবে। সেটি হচ্ছে অনলাইনে পণ্য কেনার ক্ষেত্রে প্রতারণা থেকে সাবধান। এটি নিশ্চিত করতে তথ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৯টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কোম্পানিগুলোর আয়-ব্যয়, দায় ও সম্পদের পরিমাণ তদন্ত করা হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টম্বর) রাজধানীর প্রেস ক্লাব-মৎস্য ভবন-এসব এলাকায় ই-অরেঞ্জের প্রতারিত ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি প্রদানের আগেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গ্রাহকের ১১০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্তের তালিকায় রয়েছে ধামাকা। ইনভেরিয়েন্ট টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেডের নামে নিবন্ধন ও ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ধামাকা নামে লোভনীয় অফার ও ভার্চুয়াল সিগনেচার কার্ড বিক্রির মাধ্যমে ব্যবসা করে আসছিল। মানুষের কাছ থেকে তারা ৮০৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়, যার একটি অংশ পাচার করা হয়। এজন্য ৯ সেপ্টেম্বর ৫ জনের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
এছাড়া ই-মানি আকারের ৪৭ কোটি ৪৩ লাখ ১৮ হাজার ৯৬৩ টাকা প্রতারণা করে নিয়ে গেছে সিরাজগঞ্জ শপ। নগদের পক্ষ থেকে সিরাজগঞ্জ ডটকমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। এরপর থেকে সিরাজগঞ্জ ডটকমের মালিক জুয়েল রানার ফোন বন্ধ। চট্টগ্রামের বাসিন্দা এস জামাল চৌধুরী জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন আদিয়ান মার্ট অন লাইনের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ‘গত ৫ এপ্রিল ২টা ইনভয়েসের (চালান) বিপরীতে এডিম-০৪০৪২৩১৮৫৪২৫, এডিম-০৪০৫১৩০৫২৮৩৭) ৪টা রাইস কুকার এবং একটি ওয়ালটন ৪৩” স্মার্ট টিভি অর্ডার করেন। ২১ কার্যদিবসের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার প্রতিশ্র“তি দিলেও এখন পর্যন্ত সব পণ্য দেওয়া হয়নি।’ তিনি যোগাযোগ করার পর মাত্র ৩টি রাইস কুকার পেয়েছেন; কিন্তু ১টি রাইস কুকার ও টিভি বুঝে পাননি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স শেষবর্ষের শিক্ষার্থী মালিক মেহেদী হাসান মুন। কম সময়ে অধিক টাকা আয়ের জন্য বেছে নিয়েছেন অনলাইন ব্যবসা। কিন্তু অসৎ উপায়ে। ‘আলাদিনের প্রদীপ’ নামে অনলাইন কোম্পানি খুলে চটকদার বিজ্ঞাপনে অল্প সময়ে অসংখ্য ক্রেতা জুটিয়েছেন। মাত্র সাত মাসে হাতিয়ে নিয়েছেন ১০০ কোটি টাকারও বেশি। লক্ষাধিক ক্রেতার অর্ডার নিয়ে এখন আর পণ্য দিচ্ছেন না। এমনকি বন্ধ করে দিয়েছেন অফিসও। কল সেন্টারও বন্ধ, ফোন ধরছেন না কেউ। কোম্পানির মালিক মেহেদী হাসান মুন পলাতক। আর আর্তনাদ করছেন অগ্রিম টাকা দিয়ে পণ্যের অপেক্ষায় থাকা ক্রেতারা।
এদিকে ই-কমার্সের আদলে বিদেশে অর্থ পাচার প্রতিরোধ করতে মানি লন্ডারিং আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, বর্তমান মানি লন্ডারিং আইনে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে কাভার করছে না। ফলে এই আইনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে করা মামলা আদালতে টিকবে না। এখন আইনটি সংশোধন করে সেখানে ই-কমার্স বসাতে হবে।
সূত্রমতে, বর্তমান এক হাজার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর কোনোটিরই নিবন্ধন নেই। অনেক ই-কমার্স চলছে পুরোপুরি নিজস্ব নীতিতে। মন্ত্রণালয়ের দাবি, গত ৪ জুলাই ই-কমার্স নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। এরপর থেকে এ খাতে নৈরাজ্য ধীরে ধীরে কমছে। এর উদাহরণ তুলে ধরে বলা হয়, নীতিমালা প্রণয়নের আগে ইভ্যালিতে ৬ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। আর নীতিমালা প্রণয়নের ৪ মাসে সেখানে লেনদেন হয়েছে ৪শ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২শ কোটি টাকা পণ্য ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে। অন্য কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা অনেকটা ফিরে আসছে।
সংবাদ সূত্র-যুগান্তর আনলাইন
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে শুরু হয়েছে সরকারি অনুদান পাওয়া চলচ্চিত্রের ‘গলুই’ এর শুটিং। বৃহস্পতিবার(২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের মহেরা জমিরদারবাড়িতে একঝাঁক থিয়েটারকর্মী নিয়ে শুটিং শুরু হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ছবিটির পরিচালক এস এ হক অলিক।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘গলুই’ এর ক্যামেরা ওপেন হলো, প্রথম দিনে একঝাক থিয়েটারকর্মী ও সিনিয়র কয়েকজন অভিনেতা শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন।
গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা ও বিস্তীর্ণ এক জনপদের মানুষের জীবন উপজীব্য করে নির্মিত হচ্ছে ‘গলুই’ সিনেমা। এতে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করবেন শাকিব খান। তার বিপরীতে রয়েছেন পূজা চেরি। কিন্তু শুটিং শুরুর প্রথম দিন তারা অংশ গ্রহণ করেননি।
পূজা আগামীকাল শুক্রবার এবং শাকিব খান ২৮ তারিখে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন পরিচালক।
পরিচালক জানান, নৌকার সঙ্গে জীবন, জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক, পরিবার, রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা মিলিয়ে একটা জীবন ধারা। এরমধ্যে রয়েছে প্রেম, টানাপোড়েন, বন্ধন। পুরো সিনেমায় থাকবে এটাই। সেজন্যই ছবির নাম ‘গলুই’। শুটিং শুরু হলেও শাকিব-পূজা প্রথম কয়েক দিন থাকছেন না। থাকবেন ২৮ তারিখ থেকে।
পরিচালক আরও জানান যমুনার চরে শুটিং শুরু হলেও পরে অনেকটা দুর্গম এলাকায় শুটিং হবে। যে অঞ্চলে আগে কখনই কোনো সিনেমার শুটিং হয়নি। একেবারে ‘র’ লোকেশনে আমরা শুটিংয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছি। সিনেমাটির একটা বড় অংশ জুড়ে থাকবে নৌকা বাইচ। টানা শুটিংয়ের মাধ্যমে কাজ শেষের ইচ্ছে আছে।
সরকারি অনুদান পাওয়া সিনেমাটি প্রযোজনা করছেন খোরশেদ আলম খসরু। মিউজিক করছেন কুমার বিশ্বজিৎ, হাবিব, শাহ আলম সরকার, ইমন সাহা প্রমুখ।
পরিচালক এস এ হক অলিক বলেন, অনেকটা দুর্গম এলাকায় শুটিং হবে। ওই অঞ্চলে আগে কখনই কোনো সিনেমার শুটিং হয়নি। একেবারে ‘র’ লোকেশনে আমরা শুটিংয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছি। সিনেমাটির একটা বড় অংশ জুড়ে থাকবে নৌকা বাইচ।
সিনেমাতে নায়ককে এমন লুকে হাজির করা হবে যা তার ক্যারিয়ারে আগে কখনই দেখা যায়নি। সবমিলিয়ে চেষ্টা করছি অসাধারণ কিছু দর্শকদের উপহার দেয়ার বলে জানান তিনি।
সরকারি অনুদানের সিনেমা হলেও আয়োজনে কোনো কমতি রাখছেন না প্রযোজক খসরু। নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় গ্রামাঞ্চলে উৎসব বিরাজ করেন, সেসব কিছু তুলে আনা হবে গলুইতে – বলেন এস এ হক অলিক।
তিনি বলেন, ‘গলুই’ মানে নৌকার গলুই। নৌকার সঙ্গে জীবন, জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক, পরিবার, রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা মিলিয়ে একটা জীবন ধারা। এরমধ্যে প্রেম, টানাপোড়েন, বন্ধন – পুরো সিনেমার মধ্যে থাকবে। সেজন্যই এর নাম ‘গলুই’।
এস এ হক অলিক বলেন, নৌকার একপ্রান্তে থাকে মাঝির আসন, অন্যপ্রান্তের নিশানা যদি ঠিক না থাকে – তাহলে নৌকা কিন্তু এদিক সেদিক করবে। জীবনটাও কিন্তু তাই। পরিবারে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে একজন যদি একটু এদিক সেদিক হয়, তাহলে সংসারটা কিন্তু ঠিকঠাক চলে না। এদিক সেদিক হয়ে যায়। গলুইয়ের দার্শনিক জায়গাটা কিন্তু এটা।
সরকারি অনুদান পাওয়া সিনেমাটি প্রযোজনা করছেন খোরশেদ আলম খসরু। তিনি জানিয়েছেন, গলুই হবে ভিন্নধারার বাণিজ্যিক সিনেমা।
একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশে পাঁচ ধরণের সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।মঙ্গলবার(২১ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমানোর তথ্য দিয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে পাঁচ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র এবং পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, যারা নতুন করে সঞ্চয়পত্র কিনবেন, শুধু তাদের জন্য পরিবর্তিত এই হার কার্যকর হবে। আগের কেনা সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সেটি পুনঃবিনিয়োগ করলে তখন নতুন মুনাফার হার কার্যকর হবে। ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক উভয়ের জন্য নতুন এই মুনাফার হার প্রযোজ্য হবে।
ডাকঘর সঞ্চয়পত্রের মধ্যে ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক সাধারণ হিসাবের মুনাফার হার অপরিবর্তিত থাকলেও, মেয়াদী হিসাবের মুনাফার হার কমেছে।
পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র:
পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে বর্তমানে মেয়াদ শেষে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ মুনাফা পাওয়া যায়। নতুন নিয়মে যাদের এই সঞ্চয়পত্রে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ রয়েছে তারা মেয়াদ শেষে মুনাফা পাবেন ১০ দশমিক ৩ শতাংশ হারে। আর ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ থাকলে মুনাফার হার হবে ৯ দশমিক ৩ শতাংশ।
তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক:
তিন বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রে বর্তমানে মেয়াদ শেষে মুনাফার হার ১১ দশমিক শূন্য চার শতাংশ। সেটি এখন ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কমিয়ে করা হয়েছে ১০ শতাংশ। আর এই সঞ্চয়পত্রে যাদের বিনিয়োগ ৩০ লাখ টাকার বেশি তারা মেয়াদ শেষে মুনাফা পাবেন ৯ শতাংশ হারে।
পেনশনার সঞ্চয়পত্র
অবসরভোগীদের জন্য নির্ধারিত পাঁচ বছর মেয়াদি পেনশনার সঞ্চয়পত্রে মেয়াদ শেষে এতদিন ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ হারে মুনাফা পাওয়া যেত। এখন এই সঞ্চয়পত্রে যাদের বিনিয়োগ ১৫ লাখ টাকার বেশি তারা মেয়াদ শেষে মুনাফা পাবেন ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে। আর ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ থাকলে এই হার হবে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
পরিবার সঞ্চয়পত্র:
পাঁচ বছর মেয়াদি এই সঞ্চয়পত্রে মেয়াদ শেষে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ। এখন এই সঞ্চয়পত্রে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফার হার কমিয়ে করা হয়েছে সাড়ে ১০ শতাংশ। আর ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই হার সাড়ে ৯ শতাংশ।
ডাকঘর সঞ্চয় পত্রঃ
ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে তিন বছর মেয়াদী হিসাবে বর্তমানে মুনাফার হার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। এখন ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফার হার হবে ১০ দশমিক ৩ শতাংশ। আর ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে হবে ৯ দশমিক ৩ শতাংশ।
ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের সাধারণ হিসাবে বর্তমানে মুনাফার সাড়ে ৭ শতাংশ, এতে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, যারা নতুন করে সঞ্চয়পত্র কিনবেন, শুধু তাদের জন্য পরিবর্তিত এই হার কার্যকর হবে। আগের কেনা সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সেটি পুনঃবিনিয়োগ করলে তখন নতুন মুনাফার হার কার্যকর হবে। ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক উভয়ের জন্য নতুন এই মুনাফার হার প্রযোজ্য হবে।
সংবাদ সূত্র- বিবিসি বাংলা
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল পৌরসভার কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুর রহমান মোর্শেদের বিরুদ্ধে প্রায় পাঁচ বছর আগে স্ত্রী সৈয়দ আমেনা পিংকিকে হত্যা এবং লাশ গুমের অভিযোগে টাঙ্গাইল থানায় মামলা করা হয়েছে।আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে মামলাটি রেকর্ড করা হয়।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন মামলা করার বিষয় নিশ্চিত করে জানান, এ হত্যা মামলায় মোর্শেদকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ দেখানোর জন্য বৃহস্পতিবার(২৩ সেপ্টেম্বর) আদালতে আবেদন করা হবে।
মোর্শেদকে পুলিশ গত ১৯ আগস্ট একটি চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার করে। পরে ওই দিনই তার বাড়িতে তল্লাশী চালিয়ে দুইটি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করা হয়। তিনি অস্ত্র ও চাঁদাবাজি মামলায় বর্তমানে টাঙ্গাইল কারাগারে রয়েছেন।
মোর্শেদ ছাড়াও হত্যা মামলার অন্য আসামিরা হলেন, মোর্শেদের প্রথম স্ত্রী সোমা ওরফে মনা, মুন্সি তারেক পটন ও তার স্ত্রী লিনা, পারভেজ খান রনি, সোহেল ওরফে বাবু, অনন্ত সুত্রধর, রাফসান ও আয়নাল মিয়া। এরা সবাই শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার বাসিন্দা। মামলায় এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও তিন চারজনকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, মোর্শেদের দ্বিতীয় স্ত্রী সৈয়দ আমেনা পিংকির বাবা সৈয়দ শরিফ উদ্দিন বাদি হযে গত ২৪ আগস্ট টাঙ্গাইল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ২০১২ সালের জুন মাসে তার মেয়ে সৈয়দ আমেনাকে মোর্শেদ অপহরণ করে বিয়ে করেন। তাদের ছয় বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। দুই স্ত্রী থাকায় মোর্শেদের পরিবারে মাঝে মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি রাতে ওই এলাকার এক বাসায় দাওয়াতের কথা বলে মোর্শেদ আমেনাকে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে অন্য আসামিদের সহযোগিতায় মোর্শেদ তাকে হত্যা করে মরদেহ গুম করেন। মোর্শেদের ভয়ে তিনি মামলা করতে সাহস পাননি। পরে মোর্শেদ ১৯ আগস্ট গ্রেপ্তার হওয়ার পর আদালতে মামলা দায়ের করেন।
আদালত এ হত্যার বিষয়ে থানায় কোন মামলা বা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছিল কিনা তার প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য টাঙ্গাইল সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। কোন মামলা বা জিডি হয়নি বলে টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে আদালত মামলা করার জন্য টাঙ্গাইল থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন জানান, এ হত্যা মামলায় মোর্শেদকে গ্রেপ্তার দেখানোর পর তদন্তের প্রয়োজনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হতে পারে। এছাড়া অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, মোর্শেদ টাঙ্গাইল শহর ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। পরে জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে দলীয় পদ না থাকলেও শহর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে নিয়মিত অংশ নিতেন। পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী মোর্শেদের বিরুদ্ধে করা ছাত্রদল নেতা রেজা হত্যা মামলা ২০১৩ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে দুই যুবলীগ নেতা হত্যা, ব্যবসায়ী তুহিন হত্যা মামলাসহ চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী এক ডজন মামলা হয়েছে বিভিন্ন সময়। গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে তিনি টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
একতার কণ্ঠঃ শিশুসাহিত্যে জাতীয় পর্যায়ে অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে টাঙ্গাইল সাহিত্য সংসদ পুরস্কার-২০২১ এর জন্য মনোনিত হয়েছেন ছড়াকার ও সাংবাদিক কাশীনাথ মজুমদার পিংকু। শিশুসাহিত্যে জাতীয় পর্যায়ে অবদান রাখায় তরুন ক্যাটাগরিতে তাকে এ পুরস্কারের জন্য মনোনিত করা হয়েছে । মঙ্গলবার(২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল সাহিত্য সংসদের সভাপতি কবি মাহমুদ কামাল ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম বাদল স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞতিতে ওই তথ্য জানানে হয়।
আগামী ৮ অক্টোবর টাঙ্গাইল সাধারণ গ্রন্থাগার মিলনায়তনে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক ও জাতিসত্তার কবি মুহাম্মদ নূরুল হুদার কাছ থেকে তিনি এই পুরস্কার গ্রহন করবেন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে থাকার কথা রয়েছে টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. ফজলুর রহমান খান ফারুক ও সভাপতিত্ব করার কথা রয়েছে টাঙ্গাইলের জেলাপ্রশাসক ডক্টর. মো. আতাউল গনির।
প্রকাশ, কাশীনাথ মজুমদার পিংকু ১৯৭৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর মধুপুর উপজেলা সদরের স্বনামধন্য চৌধুরী বাড়িতে মাতুলালয়ে জন্ম গ্রহণ করেন। পিংকু’র বাবা গোপীনাথ মজুমদার এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক এবং তার মা এলেঙ্গা জিতেন্দ্রবালা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষিকা। কাশীনাথ মজুমদার পিংকু বর্তমানে এলেঙ্গাস্থ লুৎফর রহমান মতিন মহিলা কলেজে ইংরেজী ভাষা ও সাহিত্যের সহকারী অধ্যাপক হিসেকে কর্মরত আছেন। এ পর্যন্ত তার ৫টি ছড়াগ্রন্থ, ২টি গল্পগ্রন্থ এবং ১টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
ইতিপূর্বে তিনি ছড়াসাহিত্যে অবদানের জন্য মাটির মা ফাউন্ডেশন প্রদত্ত ‘ কাব্যতীর্থ” সম্মাননা এবং ছোটগল্পে বাংলাদেশ রাইটার্স ইউনিয়ন প্রদত্ত ‘ অমরাবতী পান্ডুলিপি পুরস্কার লাভ করেছেন।
একতার কণ্ঠঃ সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করে ‘রিং আইডি’। ফেসবুকের মতো এ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও বিনামূল্যে ভয়েস ও ভিডিও কল, মেসেজিং ও গোপন চ্যাটিং করা যায়। কানাডায় নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান হলেও এর প্রায় সব কার্যক্রম বাংলাদেশ ঘিরে। আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম বলা হলেও মূলত বাংলাদেশিদের জন্যই তৈরি হয়েছে রিং আইডি। এখানে সোশ্যাল কমার্স (সামাজিক বাণিজ্য) নামে গ্রাহকদের কাছে পণ্য বিক্রি করা যায়। এসব পণ্যের দাম বাজারমূল্যের চেয়ে বেশি বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে চলতি বছরের মার্চে আয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অর্থের বিনিময়ে ব্যাপক পরিসরে গ্রাহক বানানোর কাজ শুরু করলে দেখা দেয় সন্দেহ।
অর্থ আয়ের লোভনীয় অফার দিয়ে তরুণ, ছাত্র ও গৃহিণী, বিশেষ করে বিশাল বেকার জনগোষ্ঠীকে সহজেই আকৃষ্ট করছে কথিত সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্মটি। অর্থের বিনিময়ে ‘এজেন্ট’ ও ‘ব্র্যান্ড প্রমোটার’ নামে সদস্য বানিয়ে এরই মধ্যে হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। গ্রাহকের এ টাকা লোপাট হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এটিও এক ধরনের পঞ্জি স্কিম। এদের কাজের ধরন বহু স্তর বিপণনের (এমএলএম) সঙ্গে মিলে যায়। রিং আইডি কয়েক মাস আগে একটি ‘সেবা’ চালু করেছে, যার মাধ্যমে শুধু বিজ্ঞাপন দেখেই আয় করা যায়। এ জন্য যারা বিজ্ঞাপন দেখে আয় করতে চান, তাদের একটি আইডি কিনতে হয়। এদের বলা হয় ব্র্যান্ড প্রমোটার। আর এই প্রমোটার সংগ্রহের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয় এজেন্ট। এজেন্টদেরও নিয়োগ পেতে বড় অঙ্কের টাকা দিতে হয়। এজেন্টরা পান বিভিন্ন ধরনের কমিশন।
কানাডাপ্রবাসী বাংলাদেশি শরিফ ইসলাম ও আইরিন ইসলাম দম্পতি রিং আইডির প্রতিষ্ঠাতা। প্রতিষ্ঠানটির একমাত্র অফিস ঢাকার গুলশানে; যেখানে ৫০ জনের মতো কর্মী কাজ করছেন। রিং আইডি কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের প্ল্যাটফর্মে দুই কোটির বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছেন, যাদের ৯৫ ভাগই বাংলাদেশি।
চলতি বছরের ২৮ মার্চ ‘কমিউনিটি জব’ নামে বিশেষ সেবা চালু করে রিং আইডি। এর আওতায় এজেন্ট ও ব্র্যান্ড প্রমোটার নিয়োগ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এরই মধ্যে কয়েক হাজার এজেন্টের পাশাপাশি পাঁচ লক্ষাধিক ব্র্যান্ড প্রমোটার যুক্ত হয়েছেন প্ল্যাটফর্মটিতে। এজেন্ট ও ব্র্যান্ড প্রমোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এজেন্ট হতে একেকজনকে এক থেকে পাঁচ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়েছে। এজেন্টদের কাজ ব্র্যান্ড প্রমোটার নিয়োগ করা; তার বিনিময়ে কমিশন নেওয়া। ব্র্যান্ড প্রমোটারের দুটি ক্যাটাগরি- গোল্ড ও সিলভার। যথাক্রমে ২২ ও ১২ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে ব্র্যান্ড প্রমোটার হতে পারেন গ্রাহকরা।
সংশ্নিষ্টরা বলছেন, এরই মধ্যে গোল্ড ক্যাটাগরিতে চার লাখ ব্র্যান্ড প্রমোটার নিয়োগ দিয়ে ৮৮০ কোটি টাকা তুলেছে রিং আইডি। পাশাপাশি এজেন্টসহ অন্যান্য ক্যাটাগরিতে আরও অন্তত ২০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে।
“আমাদের একটা শ্রেণি বিনা পরিশ্রমে কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ আয়ের স্বপ্ন দেখে, কেউ যদি এরকম কোনো অফার দেয়, তারা লুফে নেয়। কিন্তু যাচাই করে না কিংবা বোঝে না, এভাবে বৈধভাবে কেউ দিনের পর দিন অর্থ দিতে পারে না। একটা সময় ওই কোম্পানি উধাও হয়ে যায়। তখন সবাই হায় হায় করতে থাকে”
যা করছে রিং আইডি :তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে রিং আইডি খানিকটা ভিন্ন আঙ্গিকে এমএলএম পদ্ধতির ব্যবসাই করছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটিতে তিন ক্যাটাগরিতে এজেন্ট হওয়া যায়। এর মধ্যে ডায়মন্ড ক্যাটাগরির এজেন্ট হতে পাঁচ লাখ টাকা, গোল্ডেন দুই লাখ টাকা এবং সিলভার ক্যাটাগরির এজেন্ট হতে এক লাখ টাকা দিতে হচ্ছে। এজেন্ট হওয়ার পর তারা রিং আইডির অফিসিয়াল প্রতিনিধি হিসেবে ব্র্যান্ড প্রমোটার নিয়োগ করতে পারেন। ১২ হাজার টাকায় সিলভার এবং ২২ হাজার টাকায় গোল্ড ক্যাটাগরির ব্র্যান্ড প্রমোটার নিয়োগ করেন তারা। এ ছাড়া এক বছরের জন্য ২৫ হাজার টাকায় ভিভিআইপি এবং ১৫ হাজার টাকায় ভিআইপি সদস্যপদ দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রবাসী ক্যাটাগরিতে বিনিয়োগ করেও প্রতিদিন এক হাজার টাকা আয়ের লোভনীয় অফার রয়েছে। এ ছাড়া ‘সোশ্যাল কমার্স’ নামে পণ্য বেচাকেনায়ও এসব এজেন্ট ও ব্র্যান্ড প্রমোটারদের জন্য রয়েছে কমিশন। ব্র্যান্ড প্রমোটারদের লেনদেনের অধিকাংশই হচ্ছে বিকাশ ও নগদের মতো ওয়ালেটে।
লোভের ফাঁদে বেকার ও তরুণরা :রিং আইডির অফারে দিনে সর্বোচ্চ ১০০টির মতো বিজ্ঞাপন দেখলেই মিলছে ৫০০ টাকা! প্রতিটি বিজ্ঞাপন দেখার বিনিময়ে পাঁচ টাকা আয় করতে পারছেন ব্র্যান্ড প্রমোটাররা। গোল্ড ক্যাটাগরিতে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১০০টি এবং সিলভার ক্যাটাগরিতে প্রতিদিন ৫০টি বিজ্ঞাপন দেখার সুযোগ রয়েছে। এভাবে গোল্ড ব্র্যান্ড প্রমোটাররা দিনে ৫০০ টাকা এবং সিলভাররা ২৫০ টাকা আয় করেন। এজেন্টদের বিনিয়োগ বেশি, আয়ও বেশি।
প্রতি ব্র্যান্ড প্রমোটার নিয়োগে এজেন্টরা পান ৮ শতাংশ কমিশন। এভাবে রেফার সিস্টেমে ব্র্যান্ড প্রমোটারদেরও আয়ের সুযোগ রয়েছে। একজন গোল্ড প্রমোটার নিয়োগ করলে কমিশন বাবদ এজেন্ট পায় এক হাজার ৭৬০ টাকা। ব্র্যান্ড প্রমোটাররা বিজ্ঞাপন দেখে অর্জিত অর্থ এজেন্টের মাধ্যমে তুললে তারা পান ৪ শতাংশ কমিশন। তেমন কোনো পরিশ্রম ছাড়াই অর্থ আয়ের লোভে একেকজন সদস্য ৫-১০টা, এমনকি ৫০টা পর্যন্ত ব্র্যান্ড প্রমোটার আইডি কিনছেন। অনেকেই একাধিক এজেন্ট আইডি কিনছেন।
গোল্ড ক্যাটাগরির ৫০টি আইডি কিনেছেন দিনাজপুরের এক যুবক। তিনি জানান, রিং আইডিতে গত এপ্রিল মাসে তিনি ১১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ৫০টা আইডিতে তার প্রতিদিন ২৫ হাজার টাকা আয় হওয়ার কথা। শুরুতে মাস দুয়েক ঠিকঠাক টাকা তুলতে পেরেছেন। কিন্তু এখন ঝামেলা হচ্ছে। এজেন্টরা চাহিদা মতো ক্যাশআউট দিচ্ছে না। সরাসরি অফিসিয়াল ক্যাশআউট করতে গেলে রিং আইডির সার্ভার ব্যস্ত দেখাচ্ছে।
টাকা তুলতে এমন নানা ঝামেলার কথা সমকালকে জানিয়েছেন অনেকেই। টাকা ফেরত পাওয়া নিয়েও অনেকে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাগুরার এক ডায়মন্ড এজেন্ট জানান, তিনি ১০ লাখ টাকায় দুটি ডায়মন্ড এজেন্ট আইডি নিয়েছেন। তাদের সরাসরি কোনো অর্থ দেয় না রিং আইডি। ব্র্যান্ড প্রমোটার নিয়োগ করে প্রাপ্ত কমিশন থেকে তাদের অর্থ তুলতে হয়।
রিং আইডি প্রতারণা করতে পারে কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, খুব তাড়াতাড়ি এমনটা হবে না। এর মধ্যেই বিনিয়োগ লাভসহ উঠিয়ে আনা যাবে।
শরিফ-আইরিন দম্পতি :ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্ম শরিফ ইসলামের। তার পরিচিতজনরা জানায়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক করা শরিফ ইসলাম ২০০৫ সালে পিআর (পারমানেন্ট রেসিডেন্স) ভিসায় কানাডায় যান। আইরিন ইসলাম কানাডার কনকর্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে ব্যাচেলর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। ওই সময় বিয়ে করেন তারা। কানাডায় চাকরির পাশাপাশি আইরিন শরিফ ইসলামের সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক নানা উদ্যোগ শুরু করেন।
আইজিডব্লিউ এবং আইসিএক্স প্রতিষ্ঠান খুলে কল জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অবৈধ উপায়ে কোটি কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ রয়েছে এই দম্পতির বিরুদ্ধে। কল জালিয়াতি, সরকারের বকেয়া পরিশোধ না করা এবং আইজিডব্লিউ প্রতিষ্ঠান ভিশনটেল ও আইসিএক্স প্রতিষ্ঠান ক্লাউডটেলের বিরুদ্ধে করা একাধিক মামলায় আইরিন ইসলাম ও শরিফ ইসলাম ২০১৬ সালে জেল খেটেছেন। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) মামলায় ২০১৬ সালের ২০ ডিসেম্বর এই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আইজিডব্লিউ প্রতিষ্ঠান ভিশনটেল এবং আইসিএক্স প্রতিষ্ঠান ক্লাউডটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফ ইসলাম এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আইরিন ইসলাম। ২০১৫ সালের ১৬ জুন ভিশনটেলের লাইসেন্স বাতিল করে কমিশন।
বিটিআরসি সূত্র সমকালকে নিশ্চিত করেছে, শরিফ-আইরিন দম্পতি ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি উচ্চ আদালত থেকে মামলাটির স্থগিতাদেশ (স্টে অর্ডার) নেয়। বিটিআরসি এরপর স্থগিতাদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করলেও এ মামলায় পরবর্তী শুনানি হয়নি।
বিজ্ঞাপন দেখে আয়ের সুযোগ কতটা :বিজ্ঞাপন দেখে বৈধ পথে আয়ের সুযোগ আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ফ্রিল্যান্সার ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার আল আমীন কবির সমকালকে বলেন, কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান তার পণ্যের প্রচারণার জন্য বিনিয়োগ করতে পারে। অনলাইন বিজ্ঞাপন প্রদর্শনে বিশ্বজুড়ে সিপিএম (কস্ট পার মিল বা প্রতি হাজারে খরচ) স্বীকৃত পদ্ধতি। নির্দিষ্ট পণ্য কিংবা ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়াতে এ ধরনের পদ্ধতি ব্যবহূত হয়। এটা বৈধ, স্বল্প পরিসরে এটা হয়। তবে একটি প্রতিষ্ঠান হাজার হাজার মানুষকে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে প্রতিদিন ৫০০ কিংবা এক হাজার টাকা আয়ের সুযোগ করে দেবে- এটা বাস্তবতা বিবর্জিত। যখন কোনো প্রতিষ্ঠান এ ধরনের কর্মকাণ্ড করবে, তখন বুঝতে হবে কোথাও গলদ আছে।
দেশের অন্যতম শীর্ষ ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ক্রিয়েটিভ আইটির কর্ণধার মনির হোসেন বলেন, দক্ষতা অর্জন ছাড়া বিজ্ঞাপন দেখে আয় করার অফার একমাত্র প্রতারণার উদ্দেশ্যেই দেওয়া যায়। আমরা এক সময় ডুল্যান্সার নামে একটি কোম্পানির এ ধরনের অপতৎপরতা দেখেছি। তারা একটা সময় পর গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা লোপাট করে পালিয়েছে। রিং আইডি এখন যা করছে, তা কোনোভাবেই বাস্তবসম্মত নয়।
রিং আইডি কর্তৃপক্ষের বক্তব্য :প্রায় দুই মাস ধরে রিং আইডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফ ইসলাম এবং প্রধান নির্বাহী আইরিন ইসলাম কানাডায় রয়েছেন। রিং আইডির বিষয়ে শরিফ ইসলামের সঙ্গে কয়েক দফায় মেসেঞ্জার কলে কথা হয়। তিনি বলেন, তাদের প্ল্যাটফর্মে দুই কোটিরও বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছেন, যার মধ্যে দুই লাখ ব্র্যান্ড প্রমোটার আর এজেন্ট রয়েছেন ৫০০ থেকে ৬০০ জন। কর্মী আছেন ৫০ জন।
দুই কোটিরও বেশি ব্যবহারকারীর প্ল্যাটফর্ম এত কম সংখ্যক কর্মীতে কীভাবে চলে- এমন প্রশ্নের জবাবে শরিফ বলেন, বিনিয়োগ না পাওয়ায় অর্থ সংকটে আছি। জাপানসহ একাধিক বিদেশি বিনিয়াগকারী গ্রুপের সঙ্গে আলাপ চলছে। অচিরেই নতুন বিনিয়োগ ঢুকবে বলে আশা করছি।
কমিউনিটি জব প্রসঙ্গ তুললে তিনি বলেন, ‘এটা সাময়িক, আমরা নতুন এজেন্ট ও ব্র্যান্ড প্রমোটার নেওয়া দ্রুত বন্ধ করে দেব।’
বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন :বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্মের আড়ালে কেউ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে কিনা কিংবা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছে কিনা তা সরকারের সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষকে খতিয়ে দেখা উচিত। প্ল্যাটফর্মটি কোনো রকম অবৈধ পন্থা অবলম্বন করলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। আর যদি বৈধভাবে সব কিছু হয়ে থাকে, তবে জবাবদিহি নিশ্চিত করে নজরদারির মধ্যে রাখতে হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান সমকালকে বলেন, রিং আইডির বিষয়ে বিস্তারিত জানা নেই। তবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের আড়ালে গ্রাহকের অর্থ হাতিয়ে নিলে পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, রিং আইডির বিষয়ে আমাদের কাছে এখনও কোনো অভিযোগ আসেনি। এখানে অবৈধ কিছু ঘটে থাকলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি দেখবে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, আমাদের একটা শ্রেণি বিনা পরিশ্রমে কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ আয়ের স্বপ্ন দেখে, কেউ যদি এরকম কোনো অফার দেয়, তারা লুফে নেয়। কিন্তু যাচাই করে না কিংবা বোঝে না, এভাবে বৈধভাবে কেউ দিনের পর দিন অর্থ দিতে পারে না। একটা সময় ওই কোম্পানি উধাও হয়ে যায়। তখন সবাই হায় হায় করতে থাকে।
সংবাদ সূত্র- সমকাল অনলাইন
একতার কণ্ঠঃকেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট মামুনুর রশিদ বলেছেন, আন্দোলনের হুমকি দিয়ে বিএনপি লম্ফজম্ফ করছে। তারা ডিসেম্বর থেকে সরকার বিরোধী আন্দোলন শুরু করবে। নেত্রী হুকুম দিলে সামনের ডিসেম্বর কেন, কোন ডিসেম্বরেই বিএনপি মাঠে নামতে পারবে না। তাদের জ্বালাও পোড়াও নাশকতা প্রতিরোধে যুবলীগই যথেষ্ট। তারা কোন দিনই রাজপথে বের হতে পারবে না। বুধবার(২২ সেপ্টেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি ওই কথা বলেন।
জেলা যুবলীগের সভাপতি রেজাউর রহমান চঞ্চলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি। জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন মানিকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম জোয়ার্দার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জহির উদ্দিন খসরু, সহসম্পাদক হিমেলুর রহমান হিমেল, কার্যনির্বাহী সদস্য মেহেরুল হাসান সোহেল, সদস্য মাহমুদুল হাসান, মনিরুল ইসলাম কবির ও জহিরুল হক জাকির প্রমুখ
সভায় জেলার যুবলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
যুবলীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক, আঞ্চলিক সড়ক এবং শহরের গুরত্বপূর্ণ সড়কগুলো ব্যানার, ফেসটুন ও বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে। বর্ধিত সভায় নেতাকর্মীতের মাঝে উৎসবের আমেজ দেখা গেছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দেওয়ার কথা বলে এক নারীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ওই নারী টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছেন। সোমবার(২০ সেপ্টেম্বর) সকালে ধনবাড়ী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ওই তথ্য জানিয়েছেন ভুক্তভোগী নারী।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের নাম ওসমান গণি। তিনি উপজেলার মুশুদ্দি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছেও ভুক্তভোগী অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগীর বক্তব্য ও মামলার বিবরণে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেতে ইউপি সদস্য ওসমান গণির কাছে ধর্ণা দেন ওই নারী। ঘর পাইয়ে দিতে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন ওসমান। পরে মৌখিক চুক্তির পর ২৭ হাজার টাকা দেন ভুক্তভোগী। কিন্তু দীর্ঘদিন হয়ে গেলে ঘর না পাওয়ায় ইউপি সদস্যকে চাপ দেন ওই নারী। এ সময় ওই ইউপি সদস্য নতুন শর্ত জুড়ে দেন। তিনি ওই নারীকে কুপ্রস্তাব দেন।
কু-প্রস্তাবে রাজি না হয়ে ওই নারী ঘর পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়ে নিজের টাকা ফেরত পাওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি ওসমান গণির কাছ থেকে টাকা ফেরত চান। অবশেষে গত ২৭ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে ওসমান টাকা ফেরত নিতে তার বাড়িতে আসতে বলেন। কথা অনুযায়ী সেখানে গেলে ওই নারীকে যৌন নির্যাতন করেন ওসমান গণি। ঘটনাস্থলে তার স্ত্রী ফাহিমা উপস্থিত হয়ে উল্টো ওই নারীর ওপর পড়াও হন। তারা ওই নারীকে বেধড়ক মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউপি সদস্য ওসমান গণি। তিনি বলেন, ‘একটি মহল আমাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে মিথ্যা অভিযোগ ও আদালতে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।’
এ ব্যাপারে মুশুদ্দি ইউনিয়নের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঘর প্রদানে টাকা লেদদেনের কথা তিনি শুনেছেন। ইউপি সদস্য ওসমান গণি দুই নারীসহ আরও কয়েকজনের কাছ থেকে ঘর দেওয়ার কথা বলে অর্থ নিয়েছেন বলেও অভিযোগও রয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের শীর্ষ সন্ত্রাসী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান ওরফে কোয়ার্টার রনিকে গ্রেপ্তারের পর এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। একটি ছিনতাই মামলায় রবিবার(১৯ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁর এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শনিবার(১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে তাঁকে ঢাকার মোহম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আতিকুর রহমান টাঙ্গাইল শহরের দেওলা মিল্ক ভিটা সড়কের সি অ্যান্ড বি কলোনির বাসিন্দা। পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। টাঙ্গাইলের অপরাধ জগতে তিনি কোয়ার্টার রনি নামে পরিচিত। গত সেপ্টেম্বরে পুলিশ তালিকাভুক্ত অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী পৌরসভার কাউন্সিলর আতিকুর রহমান মোর্শেদকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারের পর রনি আত্মগোপনে চলে যান।
রবিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় জানান, টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঢাকার মোহম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে রনিকে শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করে। তাঁর বিরুদ্ধে দুটি হত্যা, চারটি অস্ত্র মামলাসহ নয়টি মামলা আছে। শহরের তালিকাভুক্ত অন্যান্য শীর্ষ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।
ওসি মীর মোশারফ হোসেন বলেন, সদর থানার একটি ছিনতাই মামলায় আতিকুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে রবিবার টাঙ্গাইল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের বিচারক ফারজানা হাসানাত শুনানি শেষে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে কোয়াটার রনি ও তার সহযোগীরা টাঙ্গাইলের পিচুরিয়া এলাকা থেকে শামীম ও মামুন নামের দুইজনকে অপহরণের পর খুন করে লাশ গুম করার ঘটনায় সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় রনির বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হয়। কোয়াটার রনির বিরুদ্ধে দুইটি খুন, ৪টি অস্ত্র মামলাসহ আরো তিনটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়াও সে সদর থানায় দায়ের হওয়া ছিনতাই মামলার সন্ধিগ্ধ আসামী।