একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বৃদ্ধ মা, তার দুই ছেলে ও এক ছেলের স্ত্রীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
পরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর-৯৯৯-এ কল পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে পুলিশ। এদের মধ্যে একজনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং দুই জনকে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার মধুপুর পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ডের পুন্ডুরা গ্রামে নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটে।
নির্যাতিতরা হলেন- একই গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের স্ত্রী শাফিয়া বেগম (৫৫), বড় ছেলে আলমগীর হোসেন, ছোট ছেলে জুব্বার আলী ও আলমগীরের স্ত্রী জ্যোৎস্না বেগম।
ছেলে আলমগীর ও জুব্বারের সঙ্গে প্রতিবেশী মৃত আবু সেকের ছেলে কালু মিয়া ও তার ভাইদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। দুই পক্ষের মধ্যে মামলা মোকদ্দমাও হয়েছে। ২৩ বছর বাটোয়ারা মামলা চলার পর চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি আদালত আলমগীর ও জুব্বাররের পক্ষে রায় দেন। রায় পেয়ে জমির খাজনা খারিজ করেন তারা। মাঠ ও প্রিন্ট পর্চা তাদের নামেই রয়েছে।
প্রতিপক্ষ কালু মিয়া শেখ, ভাই আজগর, সামাদ এ নিয়ে গত কয়েক মাস আগে ওই জমির মালিক দাবি করে আদালতে ১৪৪ ধারা জারি চেয়ে আবেদন করেন। আদালত স্থানীয় সংশ্লিষ্ট বিভাগের তদন্ত রিপোর্টের প্রেক্ষিতে ১৪৪ ধারা জারি করেন। আলমগীর, জুব্বাররা কাগজপত্রের ভিত্তিতে ১৪৪ ধারার বিপরীতে জজ কোর্টে আপিল করেছেন। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে দুই পরিবারে উত্তেজনা চলছিল।
মঙ্গলবার সকালে কালু মিয়া গং ৬০ শতক জমিতে ঘর নির্মাণ শুরু করেন। এসময় আলমগীর ও জুব্বার বাঁধা দিতে গেলে তাদের গাছের সঙ্গে বেঁধে রড ও লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকেন। এসময় তাদের মা শাফিয়া এগিয়ে এলে তাকেও গাঁছে বেঁধে রাখা হয়। শাশুড়িকে রক্ষায় এগিয়ে এলে আলমগীরের স্ত্রী জ্যোৎস্না বেগমকেও হাত পা বেঁধে বসিয়ে রাখা হয় জমিতে। পরে স্থানীয় এক ব্যক্তি ৯৯৯ নম্বরে কল করেন। পরে মধুপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে।
মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের জেরে ধাক্কা-ধাক্কি হয়েছে। তবে গাছে বেঁধে নির্যাতনের বিষয়ে তিনি জানেন না। এধরনের কোনো ঘটনা হয়ে থাকলে এবং কেউ অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, আজকে দেশে একটি রাজনৈতিক দল উন্মাদনা এবং আগুন সন্ত্রাস করছে৷ নির্বাচন করতে দিবে না, সংবিধান অনুযায়ী দেশ চলবে না৷ আমি মনে করি, তারা দেশের মঙ্গল ও কল্যাণ চায় না৷ তারা বিগত সময়ে যেভাবে আগুন দিয়েছিল তা বর্বরোচিত। আমরা দেখেছি ১৪ থেকে ১৫ সালে তারা গাড়ি পুড়িয়েছে, রেল লাইন তুলেছে, বিদ্যুতের লাইন কেটেছে এবং জীবন্ত মানুষকে গাড়িতে পুড়িয়েছে৷ ২৮ আগস্ট একই কায়দায় বর্বরোচিতভাবে পুলিশকে হত্যা করেছে৷
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার মুসুদ্দি উত্তর পাড়া গ্রামে খামারি মোবাইল অ্যাপের কার্যকারিতা যাচাই ও উচ্চ ফলনশীল আমন ধানের ফসল কর্তন ও কৃষক সমাবেশে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন৷
তিনি আরও বলেনে, আমরা যদি দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রাখতে চাই, তাহলে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার৷ দেশে শান্তি দরকার এবং সুন্দর ও সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দরকার। সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে সরকার জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বিএনপি আগুন সন্ত্রাস সহিংসতা পথ ছেড়ে, তারা আবার নির্বাচনে আসবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে ধরপাকড় করা হচ্ছে না। তাদের কর্মীদেরকে প্ররোচিত করা হচ্ছে আগুন সন্ত্রাস করার জন্য। সেটি কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়৷ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব মানুষের জানমাল নিরাপত্তা দেওয়া। তাদের গাড়িগুলোর নিরাপত্তা দেওয়া। দোকানপাট খুলে ব্যবসা বাণিজ্যকে অব্যহত রাখা। দোকান বন্ধ থাকলে কর্মচারীরা না খেয়ে মারা যাবে। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে । শান্তিপ্রিয় কোন বিএনপি নেতা-কমীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ ঘনবসতির দেশ। জমি কমে যাচ্ছে। ৭ কোটির মানুষ এখন ১৭ থেকে ১৮ কোটি৷ এই মানুষকে খাওয়াতে হলে আরও উন্নত জাতের ফলনশীল উৎপাদন করতে হবে৷ সে লক্ষ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দুটি কাজ করছেন৷
কৃষি মন্ত্রালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব রহুল আমিন তালুকদার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাসুদ করিম, বাংলাদেশ মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জালাল উদ্দীন, বাংলাদেশের পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আবদুল আউয়াল প্রমুখ৷
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে ধানক্ষেত থেকে এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১ নভেম্বর) রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার মহিষমারা ইউনিয়নের হলুদিয়া গ্রাম থেকে আলোকদিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা লাশটি উদ্ধার করে।
নিহত ওমর আলী হলুদিয়া গ্রামের মৃত আইন উদ্দিন ওরফে আনু সুতারের ছেলে। তিনি পেশায় আনারস ব্যবসায়ী ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলোকদিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আজহার।
জানা যায়, এর আগে মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) রাতে ঢাকা থেকে মধুপুর থানায় ফোনে জানানো হয়, ওমর আলী নামের এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করবেন জানিয়ে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করেছেন। পরে মধুপুর থানা নিকটস্থ আলোকদিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে বিষয়টি জানায়।
এ বিষয়ে ওমর আলীর স্ত্রী বুলবুলি বেগম বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমার স্বামী মসজিদে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়বেন বলে বেড়িয়ে যান। কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে তার সন্ধান করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে তার ফোন বন্ধ পেয়ে আমি, আমার সন্তান এবং প্রতিবেশীরা অনেক খোঁজাখুঁজি করি। পরে বুধবার (১ নভেম্বর) বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ধানক্ষেতে তার মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা।
ওমর আলীর সঙ্গে কোনো মনোমালিন্য হয়েছিল কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে বুলবুলি বেগম বলেন, মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। তখন ওমর আলীর আচরণ স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু কি কারণে এমন করলো তা জানি না।
আলোকদিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আজহার বলেন, মঙ্গলবার রাত তিনটার দিকে ঢাকা থেকে মধুপুর থানায় জানানো হয় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ওমর আলী নামের এক ব্যক্তি ফোন করে জানান বিষপানে তিনি আত্মহত্যা করবেন। ওই সংবাদ পেয়েই আমরা ওমর আলীর বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রীর নম্বর থেকে ওমর আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেন। কয়েক মিনিট পর থেকেই তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ভোর পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়েও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
মো. আজহার আলী আরও বলেন, বুধবার রাতে হলুদিয়া গ্রামের এক ধানক্ষেতে ওমর আলীর লাশ পাওয়া যায়। তার মুখ থেকে বিষের গন্ধ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে বৃদ্ধ বাবার মারা যাওয়ার খবর শুনে মেয়ের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। রবিববার (২৯ অক্টোবর) বিকালে বাবার এবং সন্ধ্যায় মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের মাতম বইছে। রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার আউশনারা ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৮ নং আউশনারা ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের মৃত সলিম উদ্দিনের ছেলে আফসার আলির (৮০) স্বাভাবিক মৃত্যু হয়। পিতার মৃত্যুর খবর শুনে বাবার বাড়িতে ছুটে আসেন মেয়ে অজুফা আক্তার (২৮)। বাবার লাশের পাশে এসে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মেয়ে অজুফা আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন।
এমন অস্বাভাবিক মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকায় শোকের মাতম বইছে। রবিবার রাতে বাবা ও মেয়ের মরদেহ জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করার প্রক্রিয়া চলছে।
এ ব্যাপারে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেরের ডা: রাফিদুল ইসলাম জানান, ওই নারীকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, ২৮ অক্টোবর আন্দোলনের নামে বিএনপি যদি সন্ত্রাসের পথে যায় ও আক্রমণাত্মক হয়, তাহলে আওয়ামী লীগ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে না। বিএনপি হুমকি দিচ্ছে ২৮ অক্টোবর দেশকে অচল করে দিবে, ঢাকাকে সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিবে, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে। বিএনপি যতোই হুমকি দিক, আমি মনে করি, ২৮ তারিখ তারা কিছুই করতে পারবে না। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অনেক সক্ষমতা অর্জন করেছে, তারাই বিএনপিকে কঠোরভাবে মোকাবেলা করবে। আর বিএনপি যদি আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসের পথে যায়, আক্রমণাত্মক হয়, গাড়িতে আগুন দেয়, বিদ্যুতের লাইন কাটে, রেললাইন তুলে, তাহলে আওয়ামী লীগ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপিকে সমুচিত জবাব দেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা অডিটোরিয়ামে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলে ধানের ও তেল ফসলের উচ্চ ফলনশীল জাতের সম্প্রসারণ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে করণীয় শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নির্বাচন যথাসময়ে হবে এবং তা সুষ্ঠু, সুন্দর ও সবার নিকট গ্রহণযোগ্য হবে। নির্বাচনে কারা আসল, কারা আসল না, সেটি কোন বিষয় না। তবে আমি আশা করি, বিএনপি’র শুভ বুদ্ধির উদয় হবে ও তারা নির্বাচনে আসবে। রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে বিএনপি দেশকে বিদেশের উপর নির্ভরশীল করতে চায়। কারণ বিএনপি’র প্রভু হলো পাকিস্তান। এখনো পাকিস্তানের মায়া তাদের কাটে নি। তারা এখনো পাকিস্তানের ধারায়, পাকিস্তানের পথে ফিরে যেতে চায়। সেজন্য তাদের লক্ষ্য নির্বাচন বানচাল করা।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, ভবিষ্যতেও যাবে। এটি মানবতার দেশ। এই দেশে সাম্প্রদায়িকতার কোন জায়গা নেই। ধর্ম নিরপেক্ষতাই আমাদের আদর্শ।
তিনি বলেন, বিএনপি’র শাসনামলে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিলো। তারা সার দিতে পারেনি। সার চাইতে গিয়ে ১৮ জন মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। ১৮ জন কৃষককে তারা গুলি করে হত্যা করেছে। দেশে বর্তমানে দুর্ভিক্ষ নেই।
উচ্চ ফলনশীল স্বল্প জীবনকালীন ধানের ও সরিষার জাতগুলোকে দ্রুত সম্প্রসারণের জন্য কর্মশালায় উপস্থিত কৃষির মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তাগিদ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশে ক্রমশ কৃষি জমি কমছে, মানুষ বাড়ছে। এ অবস্থায় ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের যোগান দেয়া খুবই কঠিন। সেজন্য, কম সময়ে অধিক ফলন ও একই জমি থেকে বার বার ফসল ফলানোর উপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। আমাদের বিজ্ঞানীরা স্বল্পজীবনকালীন উন্নত জাতের ধানের ও অন্যান্য অনেক ফসলের জাত উদ্ভাবন করেছে। যা চাষের মাধ্যমে বছরে ০১ টি অতিরিক্ত ফসল ফলানো সম্ভব হচ্ছে। একইসঙ্গে, ফলনও অনেক বেশি। এই জাতগুলোকে কৃষকের নিকট দ্রুত জনপ্রিয় করতে হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুল আলম পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের এমপি, বিনার মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার, বিএডিসির সদস্য পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে পূজায় নতুন পোশাক না পেয়ে অভিমানে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে গাছের সাথে ঝুলে ঝুমা গুহ (২২) নামের এক তরুণীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) দুর্গোৎসবের নবমীর সন্ধ্যা রাতে মধুপুর পৌর শহরের দেবের বাড়ি পূজা মন্ডপের পাশে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত ঝুমা ওই এলাকার দর্জি জনৈক নিতাই চন্দ্র গুহের মেয়ে। সম্প্রতি তিনি স্বামীর থেকে ডির্ভোস নিয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, ঝুমা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।
ঝুমার ভাই নবীন চন্দ্র গুহ জানান, দরিদ্র বাবার কাছ থেকে পূজায় আমরা কেউ কিছু পাইনি। বাবা দিতে পারেননি। এ নিয়ে ঝুমার দুঃখ ছিল। এ দুঃখে সোমবার বিকেল থেকে ঝুমা ক্ষিপ্ত হয়ে সবার সাথে খারাপ আচরণ করেছেন। সন্ধ্যার পর সবার অলক্ষ্যে বাড়ির কাছের পূজা মন্ডপের পাশের গাছের বাগানে ওড়না দিয়ে ফাঁস দেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পাশ দিয়ে স্কুলের ছাত্ররা টর্চ লাইট জ্বালিয়ে যাওয়ার পথে ঝুমাকে ঝুলতে দেখে চিৎকার করে উঠে। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে বিষয়টি দেখতে পায়।
মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, বিষয়টি দুঃখজনক, এইমাত্র খবরটি পেলাম। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একতার কণ্ঠঃ:টাঙ্গাইলের মধুপুরে ফাতেমা বেগম (১৮) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকালে উপজেলার মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের দড়িহাসিল গ্রামের একটি কলা বাগান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে মধুপুর থানা পুলিশ।
ফাতেমা বেগম উপজেলা মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের দড়িহাসিল গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে এবং হাজীপুর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে আনাম আলীর স্ত্রী।
ফাতেমার স্বামী আনাম আলী জানান, রাতে একসাথেই পূজা মন্ডপ থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। পথিমধ্যে ফাতেমা দৌড়ে কলাবাগানে প্রবেশ করে। তাকে অনেক খোঁজাখুজি করে পাইনি। ফাতেমা প্রতিবন্ধী। তাই পরে ফিরে আসবে ভেবে আমি বাড়ি এসে ঘুমিয়ে পড়ে ছিলাম। মঙ্গলবার সকালে খবর পেয়ে কলাবাগানে গিয়ে দেখি ফাতেমার মরদেহ পড়ে আছে।
মির্জাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জুয়েল আহমেদ জানান, সোমবার রাতে ফাতেমা বেগম ও তার স্বামী আনাম মির্জাবাড়ী ঘোষপল্লী এলাকার পূজা দেখতে যান। সেখানে তারা পূজার অনুষ্ঠান দেখে। পরে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে কায়ছার আহমেদ তার বোন ফাতেমা ও ফাতেমার স্বামী আনামকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
তিনি আরও জানান,মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে স্থানীয় কফি ক্ষেতের এক শ্রমিক কলাবাগানে এক নারীর মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের জানান। পরে আশ-পাশের লোকজন ছুটে আসে এবং পুলিশকে জানানো হলে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয় । পরে মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এনিয়ে কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি।
একতার কণ্ঠঃ কলেজ পড়ুয়া ছেলের কথা রাখতে বাধ্য হয়ে মোটরসাইকেল কিনে দেন বাবা। এরপর ছয় মাসও যায়নি। শখের সেই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনাতেই প্রাণ হারান সাব্বির আলম ও তার বন্ধু হামিদ।
গত ৪ জুন (রোববার) টাঙ্গাইলের মধুপুরের মহিষমারা ইউনিয়নের হাজিবাড়ি মোড়ে পৌঁছালে তাদের মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই সাব্বির ও হামিদ নিহত হয়। অপর বন্ধু সাদিক আহত হয়। সাব্বির পাশ্ববর্তী ঘাটাইল উপজেলার টেপিকুশারিয়া গ্রামের মো. সুরুজ্জামানের ছেলে। সে ঘাটাইল জিবিজি সরকারি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
সাব্বিরের বন্ধু হামিদ পার্শ্ববর্তী মানিকপুর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে। সে ঘাটাইলের ছনখোলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
শুধু সাব্বির আলম নয়, তার মতো টাঙ্গাইলের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া অনেক শিক্ষার্থী মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিশোর ও উঠতি বয়সের ছেলেদের হাতে মোটরসাইকেল দেয়ার ফলে প্রাণ হারাচ্ছেন অনেকেই। বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালানোর কারনে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘটে চলছে দুর্ঘটনা। তবে গত এক বছরে কত জন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী প্রাণ হারিয়েছে তার কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি জেলা পুলিশ ও জেলা নিরাপদ সড়ক চাইসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে।
সাব্বিরের বাবা মো. সুরুজ্জামান বলেন, প্রথমে মোটরসাইকেল কিনে দিতে রাজি ছিলাম না। তারপরও ছেলের কথা রাখতে বাধ্য হয়ে মোটরসাইকেল কিনে দিয়েছিলাম। ছেলেরে শখ পূরণ করতে গিয়ে আজীবনের জন্য ছেলেকে হারালাম।
নিহত সাব্বিরের চাচা নুরুল ইসলাম বলেন, সাব্বির ছিল মা বাবার বড় সন্তান। নিহত হামিদের ছোট এক বোন ও এক ভাই রয়েছে। ছোট ভাইটি মানসিক প্রতিবন্ধী। ঘটনায় এখনও শোক কাটেনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, ওই সময় উভয়ের বাড়িতে স্বজনদের কান্নার রোল পড়ে। উভয়ের বাড়িতে করুণ দৃশ্যের অবতারণা হয়। ওই শোকটি এখন গ্রামের মানুষ কাটিয়ে উঠতে পারেনি।
স্থানীয়রা বলছে, টাঙ্গাইল সদর, ঘাটাইল, বাসাইল সখিপুর, মধুপুরসহ বিভিন্ন উপজেলায় কিশোর মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। সড়কে বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে তারা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এসব নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
ঘাটাইল থানা সূত্র জানায়, সাব্বির, হামিদ ছাড়াও গত ২১ মাসে ঘাটাইলে অন্তত ১৩ জন কিশোর-যুবক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। তারা সবাই বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের ঘাটাইল উপজেলার গুণগ্রামে দ্রুতগামী মোটরসাইকেলের সঙ্গে অজ্ঞাত একটি গাড়ির ধাক্কা লাগে। এতে ওই মোটরসাইকেল আরোহী সোনা মিয়া (২০), শামীম (২২) ও আলমগীর (৩০) ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তারা ঘাটাইলের একটি ওয়ার্কশপের শ্রমিক ছিলেন।
গত বছরের ১২ ডিসেম্বর একই সড়কের ঘাটাইলের বানিয়াপাড়া এলাকায় দ্রুতগামী মোটরসাইকেলের সঙ্গে ট্রাকের ধাক্কা লাগে। এতে মোটরসাইকেলের আরোহী সাকিম হাসান (১৭) ও সুমন (১৬) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। তাঁরা দুজনেই ঘাটাইল গণ উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
২০২১ সালের ৮ নভেম্বর ঘাটাইলের ধলাপাড়া চেয়ারম্যানবাড়ির মোড়ে দ্রুতগামী মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে তিনজন স্কুলছাত্র ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। তারা হচ্ছে শরীফ (১৬) আবু বক্কর (১৭) ও সাইম (১৬)।
এ ছাড়া জেলায় প্রতিনিয়ত ঘটছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। যেসব দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে না, তার রেকর্ড থানা পর্যন্ত আসে না বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে।
রোববার (২২ অক্টোবর) বিকেলে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক সড়কের ঘাটাইল উপজেলার দেউলাবাড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুটি মোটরসাইকেলর মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, ঘাটাইল উপজেলার দেউলাবাড়ি ইউনিয়নের মুখ্য গাঙ্গাইর গ্রামের মো. আবু’র ছেলে মো. রনি (১৮) । নিহত রনি ঘাটাইল জিবিজি কলেজের ছাত্র ছিল। নিহত অপরজন হলেন, একই উপজেলার কদমতলী এলাকার মেছের আলীর ছেলে শহিদুর রহমান (৩৫)।
গত ১৭ মে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী শারমিন সুলতানা (২৪) ক্যাম্পাসে ফেরার পথে কাগমারী এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়।
গত বছরের ২৫ নভেম্বর টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. রাসেল নিহত হয়।
জেলা পুলিশ জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৬৩ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৯২ টি মামলা হয়েছে। এতে ১৩৪ জন নিহত ও ১০৭ জন আহত হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, ঘাটাইলে অন্যান্য উপজেলার তুলনায় বেশি মোটরসাইকেল চললেও এখানে ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্টের পদে কোনো কর্মকর্তা নেই। ট্রাফিক বিভাগ একজন শহর উপপরিদর্শক (টিএসআই) ও তিন জন ট্রাফিক কনস্টেবল দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে। তাদের কার্যক্রম উপজেলা সদরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে।
টাঙ্গাইলের সরকারি মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শামসুল হুদা বলেন, অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। স্কুল কলেজ পড়ুয়া সন্তানদের মোটরসাইকেল ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করতে হবে। সেই সঙ্গে প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হবে।
জেলা নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ঝান্ডা চাকলাদার বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় যারা মারা যায়, তাদের বেশির ভাগই কিশোর ও যুবক। রেজিষ্ট্রেশন ও লাইনেন্সবিহীন বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারনে দুর্ঘটনা ঘটে। এতে অনেক বাবা মার বুক খালি হচ্ছে। তবে জেলায় এক বছরে কত গুলো সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ও কত জন প্রাণ হারিয়েছে তার কোন তথ্য নেই।
তিনি আরও বলেন, সড়ক দুর্ঘটনারোধে অভিভাবক, পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে বংশাই নদীতে ডুবে শাজাহান আলী (৬০) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। ১৭ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বংশাই নদীর বিএডিসি এলাকার গোঁজা খালে ঘটনাটি ঘটেছে ।
নিহত শাজাহান আলী আউশনারা ইউনিয়নের বেলচুঙ্গি গ্রামের মৃত মসলিম উদ্দিন মসলতের ছেলে।
মৃতের স্বজনরা জানান, সারা বছরই মাছ ধরার নেশা ছিলো শাজাহান আলীর। মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে ছেলে হাফিজুরকে সাথে নিয়ে বংশাই নদীতে মাছ ধরতে যায়। জাল টানার জন্য নদীতে নেমে জালের বাঁশ সরিয়ে নেয়ার সময় পানিতে ডুব দেয় শাহজাহান আলী। পরে ডুব দিয়ে না উঠায় তার ছেলে নদীতে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে স্থানীয়দের খবর দিলে তারাও খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলের একটু অদূরে তার মরদেহ ভেসে উঠে এবং উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যায়।
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মো. আজিজুর রহমান শাহজাহান আলীর মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে জানান, নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।
একতার কণ্ঠঃ ‘শেকড়ের টানে প্রজন্মের মেলবন্ধন’ এ স্লোগানে মুখরিত হয়ে নাচ গান ও মহামিলনের মধ্য দিয়ে টাঙ্গাইলের মধুপুরের পাহাড়ি জনপদে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি সম্প্রদায় উদযাপন করলেন আ’বিমা ফেস্টিভ্যাল -২০২৩।
আ’বিমা’র এ কৃষিররাজ্যে টাঙ্গাইলের মধুপুরের গভীর অরণ্যে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি গারো সম্প্রদায়ের বসবাস।
আ’বিমা হল একটি আচিক বা গারো শব্দ। এর অর্থ মাটির মা। গারোরা ভারতের মেঘালয়সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে জুম চাষ করতো। তাদের পূর্ব পুরুষেরা জুমের ফসল ফলনের দিক বিবেচনা করে মধুপুর অঞ্চলকে আ’বিমা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। মাটির উর্বরতার কারণে তারা মধুপুরের মাটিকে আ’বিমা অর্থাৎ মাটির মা বলে থাকে।
মধুপুর পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসকারী গারো জনগোষ্ঠীর ফসল কেটে ঘরে তোলার পর শস্য দেবতা ও ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে সম্মিলিতভাবে বিশেষ প্রার্থনা ও নাচ গানের মধ্য দিয়ে প্রতিবছর আ’বিমা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন। এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গারো জনগোষ্ঠীর আদি সংস্কৃতি ও সভ্যতা সবাইকে স্মরণীয় করিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যেই এ আ’বিবা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গারো নারী পুরুষ ও শিশু-কিশোর তাদের আদি ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে ও সেজেগুজে অনুষ্ঠান প্রাণবন্ত করে তুলেন। আ’বিমা মেলা হয়ে উঠে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের প্রাণের মেলবন্ধন।
শুক্রবার(১৩ অক্টোবর) দিনব্যাপী উপজেলার মমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
প্রলয় নকরেক এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠান উদ্ভোধন করেন অজয় এ মৃ সভাপতি আ’বিমা কালচারাল ডেভেলপমেন্ট ফোরাম, অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রেমন্ড আরেং, ফুলবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট ইমদাদুল হক সেলিম, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ হারুন, মধুপুর উপজেলার ভাইসচেয়ারম্যান যষ্ঠিনা নকরেক, জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেক, আচিক মিচিক সোসাইটির সভাপতি সুলেখা ম্রং, অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির আহবায়ক মিঃ নির্জন সিমসাং, সদস্য সচিব পৌল সিমসাং প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন ব্যন্ডদল শিল্পী আচিক ব্লুজ, ব্রিং, দি রাবুগা, ব্লিডিং ফর সারভাইভাল ও স্থানীয় সঙ্গীত শিল্পী বৃন্দ।
একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, আগামী ৩ মাস পর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তা গোটা পৃথিবীর কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে। কোন দল এই নির্বাচনকে বানচাল করতে পারবে না। কোন ষড়যন্ত্রই এই নির্বাচনকে বানচাল করতে পারবেনা বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
শনিবার (৭ অক্টোবর ) দুপুরে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার শোলাকুড়ি দোখলা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজরিত দোখলা রেস্ট হাউজে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও দুইটি বন বিভাগের ব্যারাক উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, দেশের একটি বড় দল এই জাতীয় নির্বাচনকে বানচাল করতে চেষ্টা করছে কিন্তু বর্তমানে পুলিশ প্রশাসন খুবই তৎপর রয়েছে। তারা সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে। এদেশের জণগন আমাদের সাথে আছে। এদেশের মানুষ যদি আবারো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ভোট দেয় তাহলে এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। নির্বাচন নিয়ে যদি কোন দেশ বানচাল করার চেষ্টা করে তাহলে সেই ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করবো।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমেরিকায় ক’জন মানুষ যায়। তারা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কি করবে। যারা গুলশান বানানীর বড় লোকের ছেলেরা তারাই আমেরিকায় যায়। তারা না গেলে বাংলাদেশের কোন ক্ষতি হবে না। দু-একজন মন্ত্রী না গেলেও ক্ষতি হবে না। আমরা জেলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত, ভিসা দিয়ে আমেরিকা যেতে পারবো না এটা আমাদের কোন বিষয় না। নয় মাস একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। অর্থনীতিক ভাবে যদি তারা স্যাংশন দেয় আমরাও দেখবো কিভাবে মোকাবেলা করা যায়। আন্তর্জাতিক বিশ্বে আমেরিকাসহ অনেক দেশ মুক্তিযোদ্ধের সময় আমাদের বিপক্ষে ছিল।
কিছু মানুষকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে যারা গুলশান বনানীতে বসবাস করে তারাই আমেরিকা যায়। আমাদের আমেরিকা না গেলেও চলবে।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাহাব উদ্দিন বলেন, সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ২২% বনায়ন করতে পারছি, তবে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় ২৫ % করার চেষ্টা করছি। সামাজিক বনায়নের কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।
অবৈধ করাতকল প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, করাতকল অবৈধভাবে চলছে তবে কিছু হাইকোর্টে মামলা থাকার কারণে সমস্যা হচ্ছে। সেই মামলার জবাব দিবো কোর্টের মাধ্যমে অবৈধভাবে যে কয়লা উৎপাদন হয় সে বিষয়ে নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের এমপি, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আইরিন আক্তার, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান, মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমিন প্রমুখ।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে মানুষের কঙ্কালসহ ওমর আলী (৪০) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (২ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার মোটেরবাজার এলাকা থেকে স্থানীয় পাহারাদাররা ওই যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
আটককৃত ওমর আলী উপজেলার বেরীবাইদ ইউনিয়নের গুবুদিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
পাহারাদার বয়েস উদ্দিন ও শাহজাহান আলী বলেন, বস্তায় কবর থেকে তুলে আনা মানুষের মাথার খুলি, হাত-পাসহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের হাড় থাকায় তাঁকে আটক করি। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে মারধর করে। খবর পেয়ে মধুপুর থানা-পুলিশ এসে তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
উপজেলার আউশনারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, সোমবার ভোরে মোটেরবাজার এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ওই যুবককে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করা হয়। এ সময় তার হাতে থাকা বস্তায় তল্লাশি চালিয়ে মৃত মানুষের কঙ্কাল পাওয়া যায়। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, বস্তা থেকে মাথা, ডান হাত, দুই পাসহ কোমরের নিচের অংশবিহীন মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কঙ্কালসহ ওমর আলীকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে, মেডিকেল কলেজে কঙ্কাল বিক্রি করার যে চক্র আছে, ওমর আলী সেই চক্রেরই সদস্য। বর্তমানে তিনি মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।