/ হোম / গোপালপুর
আপনাদের দোয়া আর ভালবাসায় ফিরে এসেছি: সালাম পিন্টু - Ekotar Kantho

আপনাদের দোয়া আর ভালবাসায় ফিরে এসেছি: সালাম পিন্টু

আরমান কবীরঃ বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু বলেছেন, স্বৈরাচার হাসিনা সরকার আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর কারারুদ্ধ করে রেখেছিলো। ভেবেছিলাম মৃত্যু অবধারিত। আর আমার প্রাণপ্রিয় গোপালপুরবাসীর কাছে আসতে পারব না। তবে আল্লাহর অশেষ রহমতে আর আপনাদের দোয়া ভালবাসায় আবার ফিরে এসেছি। অনেক ত্যাগী নেতাকর্মীরা প্রয়াত হয়েছেন। যাদের সাথে আর কোনদিন দেখা হবে না। আমি কথা দিচ্ছি আপনাদের সুখে-দুখে সব সময় পাশে থাকবো।

শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেলে জেলার গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের হেমনগর গ্রামের প্রয়াত বিএনপি নেতা আলী আকবর মোল্লার কবর জিয়ারত শেষে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, দেশের প্রয়োজনে দ্রুত একটি সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন। জনগণ তাদের ভোট দিয়ে পছন্দের প্রার্থী ও সরকার নির্বাচিত করবে। তবেই গনতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, গোপালপুর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম রুবেল, কার্যকরি সদস্য মারুফ তালুকদার রাহীম, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম তালুকদার লেলিন, হেমনগর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি গোলাম রোজ তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম খান, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য সেলিম হোসেন মুন্না আকন্দ, হেমনগর ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার ও সদস্য সচিব গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, আলী আকবর মোল্লা গোপালপুর উপজেলা
প্রতিষ্ঠাতা বিএনপি সদস্য ও মমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তিনি ২০১৫ সালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী রোকেয়া বেগম, দুই মেয়ে আফরোজা আক্তার আঁখি ও জাকিয়া সুলতানা শিল্পী এবং একছেলে রাশেদুল ইসলাম রোকন মোল্লাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৫. জুন ২০২৫ ০২:২১:এএম ১৩ ঘন্টা আগে
গণঅধিকার পরিষদ আগামীতে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিবে: শাকিল উজ্জামান - Ekotar Kantho

গণঅধিকার পরিষদ আগামীতে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিবে: শাকিল উজ্জামান

আরমান কবীরঃ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার চাঁদাবাজ অসংখ্য রাঘব-বোয়ালরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও দেশে নব্য চাঁদাবাজদের আধিপত্য বেড়ে গেছে। এসব চাঁদাবাজদের কারণে ব্যবসায়ীরা ভালোভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারছে না। ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে দিন পার করছে। এই নব্য চাঁদাবাজদের প্রতিহত করতে না পারলে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে না। গণঅধিকার পরিষদ আগামীতে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিবে। সে লক্ষে গণঅধিকার পরিষদ পাড়া-মহল্লায় কাজ করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর সদস্য ও দলটির দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান।

শাকিল উজ্জামান বলেন, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়ও কারাগারে থাকা অবস্থায় রিমান্ড শেষে বলেছিল— আওয়ামী লীগের ৯০% পড়ে গেছে আর ১০% ধাক্কা দেন। আপনারাই সেই ১০% ধাক্কা দিয়েছিলেন। বিগত সময়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ে এক আপোষহীন চরিত্রের নাম নুরুল হক নুরু। এই নুর কোন সময়ে আপোষ করে নাই, ভবিষ্যতেও আপোষ করবে না।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের গোপালপুর পৌর শহরের বাজার এলাকায় গণঅধিকার পরিষদের ২১ দফা ঘোষণাপত্র দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে শাকিল উজ্জামান বলেন, গণঅধিকার পরিষদের গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। গণঅধিকার পরিষদের নেতৃত্বে চাঁদাবাজ, দূর্নীতিবাজ ও মাদকের বিরুদ্ধে আমরা ছাত্র, শ্রমিক জনতাকে সাথে নিয়ে গণআন্দোলন শুরু করছি। যুব সমাজকে মাদক মুক্ত রাখার জন্য গণঅধিকার পরিষদ কাজ করে যাচ্ছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন—টাঙ্গাইল জেলা গণঅধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি রুবেল খান, শামছুল হক সুজন, জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক এসএম সিহাব, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি সজিব, উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নসিম উদ্দিন, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি নবাব আলী, সিনিয়র সহ-সভাপতি সজিব, সহ-সভাপতি রেজাউল হান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক রনি প্রমুখ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৪. জুন ২০২৫ ০২:৪৯:এএম ২ দিন আগে
টাঙ্গাইলে বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল কেড়ে নিল স্কুলছাত্রের প্রাণ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল কেড়ে নিল স্কুলছাত্রের প্রাণ

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ড্রাম-ট্রাকের সাথে একটি বেপোরোয়া গতির মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে এক স্কুলছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় গুরুত্বর আহত হয়েছেন মোটরসাইকেল আরোহী তার সহপাঠী তুহিন।

মঙ্গলবার (২৬ মে) দুপুরে উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের উদ্যমপুর বর্ণি নির্মাণাধীন ব্রীজের পশ্চিমপাশের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত স্কুল ছাত্রের নাম রিয়াদ হোসেন (১৪)। সে উপজেলার আলমনগর ইউনিয়নের নবগ্রাম এলাকার সুরুজ্জামালের ছেলে। রিয়াদ স্থানীয় নবগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে নিহত রিয়াদ ও তার বন্ধু তুহিন এক আত্মীয়ের মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়। ঘুরাঘুরি শেষে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের উদ্যমপুর বর্ণি নির্মাণাধীন ব্রীজের পশ্চিমপাশের সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ড্রাম-ট্রাকের পেছনে তাদের বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রাকের সাথে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল চালক রিয়াদের মাথার মস্তক বের হয়ে যায়। সে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করে। তার বন্ধু তুহিন পেছন থেকে ছিটকে পড়ে গুরুত্বর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। বর্তমানে সে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) মো. মামুন ভূঞা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল করা হয়েছে। আইনগতভাবে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৮. মে ২০২৫ ০৪:৩৯:এএম ৩ সপ্তাহ আগে
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে এক দিনে ২ মরদেহ উদ্ধার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে এক দিনে ২ মরদেহ উদ্ধার

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে নিখোঁজের ১৬ দিন পর জয়নাল আবেদীন (৪৫) নামে এক কৃষকের গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের নলিন সুইচগেট সংলগ্ন যমুনার শাখা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত জয়নাল আবেদীন উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের ছোট শাখারিয়া গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে।

জানা গেছে, ১৬ দিন পূর্বে যমুনা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয় জয়নাল। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তার পরিবারের সদস্যরা সে সময় নদীতে ডুবুরী নামিয়ে অনেক খুঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি। সোমবার দুপুরের দিকে এলাকাবাসী নদীর তীরে কচুরিপানার সাথে একটি অর্ধগলিত মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে। খবর পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা লাশটি সনাক্ত করেন।

হেমনগর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ওমর আলী জানান, গলিত মরদেহর বিষয়ে ভূঞাপুর থানা পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।

অপরদিকে, গোপালপুরে আলতাফ হোসেন (৬২) নামে এক সাবেক ইউপি সদস্যের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার ভোরে বাদে মাকুল্লা গ্রামে তার নিজ বাড়ীর পাশে জামগাছে রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়।

নিহত আলতাফ উপজেলার নগদা-শিমলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য ও দলিল লেখক ছিলেন। সে বাদে মাকুল্লা গ্রামের মৃত মতিয়ার রহমানের ছেলে।

গোপালপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৯. এপ্রিল ২০২৫ ০৩:০৩:এএম ২ মাস আগে
শহীদ জিয়াউর রহমান ছিলেন নির্লোভ রাষ্ট্রনায়ক - Ekotar Kantho

শহীদ জিয়াউর রহমান ছিলেন নির্লোভ রাষ্ট্রনায়ক

মোঃ আব্দুল্লাহ আকন্দঃ “আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম”

(কুল্লিল্লাহুম্মা মালিকাল মুলকি তু’তিল মুলকা মানতাশাউ, ওয়া তানযিউল মুলকা মিম্মান তাশাউ, ওয়া তু’যিয্যু মান তাশাউ, ওয়া তুযিল্লু মান তাশাউ, বিইয়াদিকাল খাইর, ইন্নাকা আলা কুল্লি শাইইন ক্বাদির।)

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া মহান আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস নবী (সা:) এর আদর্শকে ধারণ করে লালন করা গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায় বিচারের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠা করা রাজনৈতিক দলের নাম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যেদিন ঘাতকের বুলেটে শহীদ হন, সেদিন গণমাধ্যমের তথ্যমতে উনার ব্যাগ এন্ড ব্যাগেজে ছিল একটি জায়নামাজ, একটি টুপি ও একটি তসবি। উনার বাসা থেকেও হাজার হাজার কোটি টাকা, সম্পদ, স্বর্ণ অলংকার, গাড়ি-বাড়ি এমন কিছুই খুঁজে পাওয়া যায়নি। তিনি ছিলেন দুর্নীতিমুক্ত, মিতব্যয়ি, ধর্মভীরু, বিচক্ষণ স্বাধীন বাংলাদেশের এযাবৎকালের সবচাইতে জনপ্রিয় দেশপ্রেমিক রাষ্ট্রনায়ক। তার সততা ও জনপ্রিয়তায় মুগ্ধ হয়ে পরবর্তী সরকার তার পরিবারকে একটি বাড়ি উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন।

আমরা যারা বিএনপিকে ভালোবাসি বা বিএনপি করি আমরা মূলত জিয়াউর রহমানের আদর্শ তথা নবী (সা:) এর আদর্শকে ধারণ বা লালন করি। যাহারা বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ একই মুদ্রার এপিঠ–ওপিঠ, অথবা একদল খেয়েছে, অন্য দল খাওয়ার জন্য রেডি হয়ে আছে, তাহারা মূলত ভুল বলেছেন।

দাড়িওয়ালা-টুপিওয়ালা-জুব্বা পরা লোক যারা একজন ইসলামিক স্কলার, মিজানুর রহমান আজহারির মত লোককে হ*ত্যা করতে চায় তাহারা যেমন মুসলমান হতে পারে না, অন্যদিকে বিএনপি’র লেবাসধারি আমরা যারা বিএনপিকে ব্যবহার করে দুর্নীতির প্রশ্রয় নিয়ে আওয়ামি কায়দায় হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যেতে চাই, মূলত আমরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শের বিএনপি হতে পারি নাই।

আমরা যে যত বড় নেতাই হইনা কেন আগামীর রাষ্ট্রনায়ক জনাব তারেক জিয়া আমাদের বিরুদ্ধে এমন কিছু দেখলে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবেন, ইনশাল্লাহ।

বিনীত,
মোঃ আব্দুল্লাহ আকন্দ
কোনাবাড়ি বাজার, গোপালপুর, টাঙ্গাইল।
মোবাইল: 01718593754

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৪. ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ০২:০৫:এএম ৪ মাস আগে
তারেক রহমান জন্মসূত্রেই একজন সফল রাজনীতিবিদ - Ekotar Kantho

তারেক রহমান জন্মসূত্রেই একজন সফল রাজনীতিবিদ

আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বনির রাজিম, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানীর নাম শুনেননি বা তার সম্পর্কে জানেন না, বিশ্বের ইতিহাসে এমন লোক খুব কমই আছে। তার পিতা ছিলেন একজন ধর্মভীরু, আল্লাহ ওয়ালা, পরহেজগার, একজন বড় মাপের আল্লাহ প্রেমিক লোক। তার মাতাও ছিলেন একজন পরহেজগার, দ্বীনদার, পর্দাশীল, ১৮ সিপারার কোরআনের হাফেজ, আরও অনেক গুণে গুণান্বিত। বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী মায়ের গর্ভে থেকেই ছিলেন ১৮ সিপারার কোরআনের হাফেজ। পরবর্তী আমৃত্যু পর্যন্ত তার জীবন ছিল ঐতিহাসিক সোনালী জীবন।

অন্যদিকে, বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন নবী (সাঃ) এর আদর্শের অনুসারী, মিতব্যয়ী, দুর্নীতিমুক্ত, বিচক্ষণ, ন্যায়পরায়ণ রাষ্ট্রনায়ক। তার সহধর্মিনী বেগম খালেদা জিয়াও একজন সকল ক্ষেত্রে দুর্নীতিমুক্ত গণমানুষের মা জননী নামে স্বনামধন্য রাষ্ট্রেনায়ক ছিলেন। মহান আল্লাহ তায়ালা যদি সহায় হোন আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক হবেন জনাব তারেক জিয়া। যার বাবা ও মা উভয়জনই ছিলেন বিশ্বখ্যাতি সম্পন্ন সফল রাষ্ট্রনায়ক। তাদের গর্ভের সন্তান জনাব তারেক জিয়া জন্মসূত্রেই ১৮ সিপারার রাজনীতির হাফেজ।

পরবর্তী ১৮ বছর প্রবাস জীবনে শুধু রাজনীতি নিয়েই গভীর গবেষণায় মগ্ন আছেন। গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় পিতা-মাতা-সন্তান জনগণের ভোটের দ্বারা রাষ্ট্রনায়ক হয়েছেন এমন ঐতিহাসিক নজির আমার জানা নেই। যারা জনাব তারেক জিয়াকে একজন অল্পবয়স্ক ও অনভিজ্ঞ মনে করেন তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে।

বর্তমানে ওনার ভার্চুয়াল বক্তব্যে বোঝা যায় তারেক জিয়া একজন দুর্নীতিমুক্ত বিচক্ষণ দেশপ্রেমিক আপসহীন রাষ্ট্রনায়ক হবেন। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে ওনার মা-বাবার চাইতেও দূরদর্শিতার পরিচয় দিবেন। সুদূর লন্ডন থেকে ওনার চোখ যেন সমগ্র বাংলাদেশের সিসিটিভি ক্যামেরার মত পর্যবেক্ষণ করছে। আমরা যারা বিএনপিকে ভালোবাসি বা বিএনপি করি আমাদের কোন প্রকার অপকর্মের দ্বারা যদি বিএনপির গায়ে কালিমা লেগে যায় আমরা যে যত বড় নেতাই হই না কেন, জনাব তারেক জিয়ার আপসহীন নেতৃত্বের বলে নিজেরাই দল থেকে ছিটকে পড়ে যাব এবং কঠিন বিচারের সম্মুখীন হবো। সে কারণে আমাদের সকলেরই সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।

 

বিনীত,
মোঃ আব্দুল্লাহ আকন্দ
কোনাবাড়ি বাজার, গোপালপুর, টাঙ্গাইল।
মোবাইল: 01718593754

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৩. ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ০২:২৫:এএম ৪ মাস আগে
টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ট্রাক ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মাহবুব আলম (২৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন।

সোমবার(২৭ জানুয়ারি ) ভোরে উপজেলার ভূঞাপুর-তারাকান্দি আঞ্চলিক সড়কের কুঠিবয়ড়া নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মাহবুব আলম জেলার গোপালপুর উপজেলার বসুবাড়ি গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। তিনি জামালপুরের সরিষাবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের লাইনম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তবে দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।

দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠালে, সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে‌ উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মাহবুব আলম তার এক সহকর্মীকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে ভূঞাপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। ভোর ৬টার দিকে ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কে কুঠিবয়ড়া নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা বিআরটিসির একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মাহবুবের মৃত্যু হয়। আহত হয় এক মোটরসাইকেল আরোহী।দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠালে, সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে‌ উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করে।
পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একে এম রেজাউল করিম জানান, মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৮. জানুয়ারী ২০২৫ ০১:১২:এএম ৫ মাস আগে
সাভারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সেই বাবা-মা-ছেলের দাফন সম্পন্ন হলো টাঙ্গাইলে - Ekotar Kantho

সাভারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সেই বাবা-মা-ছেলের দাফন সম্পন্ন হলো টাঙ্গাইলে

একতার কণ্ঠঃ সাভারে অ‌্যাম্বু‌লে‌ন্সে আগুনে নিহত বাবা-মা ও ছে‌লেকে গ্রা‌মের বা‌ড়ি টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে সামা‌জিক কবরস্থানে দাফন করা হ‌য়ে‌ছে। এর আগে স্থানীয় ভবনদত্ত সরকা‌রি প্রাথ‌মিক বিদ‌্যাল‌য়ে চারজ‌নের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। নিহত অপরজনকে গোপালপু‌রে দাফন করা হ‌য়ে‌ছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি )রাত সোয়া ১১টার দি‌কে ঘাটাইল উপ‌জেলার ভবনদত্ত গ্রা‌মে সামা‌জিক কবরস্থানে নিহত তিনজ‌নের দাফন সম্পন্ন হয়।

এর আগে অ্যাম্বুলেন্স গা‌ড়ি‌তে আগুনে নিহত চারজ‌নের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল থে‌কে গ্রা‌মের বাড়িতে আনা হয়।

নিহতদের জানাজায় উপ‌স্থিত ছি‌লেন— ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. শার‌মিন ইসলাম, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী- পেশার মানুষ।

নিহেতর এক স্বজন হা‌বিব সি‌দ্দিকী ব‌লেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষ ক‌রে ঢাকা থে‌কে চারজ‌নের মরদেহ রা‌তে ঘাটাইলে আসে। প্রথমে বাবা ও ছে‌লের জানাজা হ‌য়ে‌ছে। এরপর দুইবো‌নের জানাজা হয়। প‌রে সামা‌জিক কবরস্থানে বাবা মা ও ছে‌লের দাফন করা হয়। আরেকজনের গ্রা‌মের বা‌ড়ি যেহেতু গোপালপুর সেহেতু সেখা‌নে তার মরদেহ নি‌য়ে যাওয়া হ‌য়ে‌ছে।

প্রসঙ্গত, বুধবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার পুলিশ টাউনের সামনে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অ্যাম্বুলেন্স ও দুইটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে একই পরিবারের তিনজনসহ চারজন মারা যান। নিহতরা হলেন— ঘাটাইলের ভবনদত্ত গ্রা‌মের ফারুখ হোসেন সিদ্দিকী, তার স্ত্রী মহসিনা সিদ্দিকী, ছে‌লে ফুয়াদ সিদ্দিকী (১৪) ও মহসিনার বোন সীমা খন্দকার। সীমা খন্দকারের বাড়ি পার্শ্ববর্তী উপজেলা গোপালপুরে বা‌ড়ি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১০. জানুয়ারী ২০২৫ ১১:২৫:পিএম ৫ মাস আগে
টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহান ৩ দিনের রিমান্ডে - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহান ৩ দিনের রিমান্ডে

একতার কণ্ঠঃ সন্ত্রাসবিরোধী আইনের দায়ের করা মামলায় নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের টাঙ্গাইল জেলা সভাপতি সোহানুর রহমান সোহানসহ ৩ জনকে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। এর আগে আসামিদের আদালতে হাজির করে কলাবাগান থানা পুলিশ।

অন্য আসামিরা হলেন- টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানার যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী রাসেল কবির (৪০) ও গোপালপুর উপজেলার ছাত্রলীগ কর্মী কবির হোসেন (২১)।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কলাবাগান থানার উপ-পরিদর্শক তারেক মোহাম্মদ মাসুম তাদের বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাঁদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ ডিসেম্বর ভোরে রাজধানীর কলাবাগান থানাধীন পান্থপথের আল বারাকা রেস্টুরেন্টের সামনে পাকা রাস্তার ওপর এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতানামা ১০০ থেকে ১৫০ জন আসামি একত্রে সমবেত হয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ব্যানার ব্যবহার করে জনসম্মুখে সরকারের বিরুদ্ধে অপ-প্রচারের উদ্দেশ্যে এবং ছাত্রলীগের কার্যক্রমকে গতিশীল করার জন্য মিছিল বের করে। আসামিরা বিভিন্ন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উসকানিমূলক স্লোগান দেয়। এছাড়া তাদের মিছিল ও স্লোগান ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রচার করতে থাকে। সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার জন্য তারা পরিকল্পনা করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকার পতনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে ‘সন্ত্রাসী’ কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৩ অক্টোবর ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এ ছাড়া টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান সোহানের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় স্কুল ছাত্র মারুফ হত্যা ও সন্ত্রাস দমন আইনে করা দুটি মামলা রয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১০. জানুয়ারী ২০২৫ ১১:২৬:পিএম ৫ মাস আগে
১৭ বছর পর কারামুক্ত বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু - Ekotar Kantho

১৭ বছর পর কারামুক্ত বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু

একতার কণ্ঠঃ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু দীর্ঘ ১৭ বছর পর কারামুক্ত হলেন।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে তিনি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ থেকে মুক্তি পান। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর সিনিয়র জেল সুপার আল মামুন।

তিনি বলেন, সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) জামিনের কাগজপত্র কারাগারে আসলে যাচাই-বাছাই ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টা ৪ মিনিটে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। এ সময় তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি’র এই নেতার মুক্তির খবরে সকাল থেকেই কারাফটকে শত শত নেতাকর্মীরা ভিড় জমান। পরে তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কারাগারের মূল ফটক দিয়ে বের হয়ে যান। এ সময় শত শত নেতাকর্মীদের হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান কারামুক্ত বিএনপি’র এই নেতা।

কারাগার সূত্রে জানা যায়, রাজধানী বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন ২৪ জন। ওই ঘটনায় আহত হন অন্তত ৪ শতাধিক। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর এ মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে।

এদিকে, গত ১ ডিসেম্বর একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন পাওয়া সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়কে অবৈধ বলে পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্জ এ রায় ঘোষণা করেন।

প্রসঙ্গত, আব্দুস সালাম পিন্টু ১৯৯১ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তিনি উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে তিনি একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় গ্রেফতার হন। গ্রেফতারের পর থেকেই তিনি কারাগারে আটক ছিলেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৫. ডিসেম্বর ২০২৪ ০১:৩৬:এএম ৬ মাস আগে
সাবেক উপমন্ত্রী পিন্টুর খালাসের খবরে টাঙ্গাইলে আনন্দমিছিল, মিষ্টি বিতরণ - Ekotar Kantho

সাবেক উপমন্ত্রী পিন্টুর খালাসের খবরে টাঙ্গাইলে আনন্দমিছিল, মিষ্টি বিতরণ

একতার কণ্ঠঃ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় প্রায় ১৭ বছর পর খালাস পেলেন বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু।

রবিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে তাঁর খালাসের খবরে নিজ এলাকা টাঙ্গাইলে আনন্দমিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন জেলা বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা।

রায় ঘোষণার খবর পাওয়ার পরই বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে জড়ো হন। সেখানে মিষ্টি বিতরণ শেষে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।

এ সময় মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সভাপতি হাসিনুজ্জামান শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, সাবেক সদস্যসচিব মাহমুদুল হক সানু প্রমুখ।

জেলা বিএনপি’র সাবেক সদস্যসচিব মাহমুদুল হক সানু বলেন, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম পিন্টু খালাস পাওয়ায় টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি জাগ্রত হয়েছে। টাঙ্গাইলবাসী আজ খুবই আনন্দিত।

জেলা বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুর রহমান খান বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্বৈরাচার হাসিনা সরকার তাঁকে জেলে বন্দী করে রেখেছিল। বর্তমান সরকার নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ করায় আজ আমরা ন্যায়বিচার পেলাম। আমরা টাঙ্গাইলবাসী আজ অনেক আনন্দিত।

প্রকাশ, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম পিন্টু ১৯৯১, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তিনি শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তারের পর থেকেই তিনি কারাগারে রয়েছেন। কেন্দ্রীয় বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু তাঁর ছোট ভাই।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০২. ডিসেম্বর ২০২৪ ০১:২০:এএম ৭ মাস আগে
৪০ দিনেও সন্ধান মেলেনি আন্দোলনে নিহত টাঙ্গাইলের হৃদয়ের মরদেহের - Ekotar Kantho

৪০ দিনেও সন্ধান মেলেনি আন্দোলনে নিহত টাঙ্গাইলের হৃদয়ের মরদেহের

একতার কণ্ঠঃ ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়ার পর ‘বিজয় মিছিলে গিয়ে গুলিতে নিহত’ টাঙ্গাইলের হৃদয়ের লাশ ৪০ দিন পরেও পায়নি তার পরিবার।

মা রেহেনা বেগম এখনও অপেক্ষায় আছেন, জীবিত না ফিরলেও অন্তত শেষবার ‍মৃত ছেলেকে ছুঁয়ে দেখতে চান তিনি।

হৃদয় (২০) টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার আলমনগর ইউনিয়নের আলমনগর মধ্যপাড়া গ্রামের ভ্যানচালক লাল মিয়ার ছেলে। বাবা অসুস্থ হওয়ার পর থেকে নিজের লেখাপড়া আর সংসারের খরচ চালাতে গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকায় অটোরিক্সা চালাতেন হেমনগর ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী হৃদয়।

গত ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর কোনাবাড়ির কাশিমপুর সড়কের মেট্রো থানার শরীফ মেডিকেলের সামনে থেকে আনন্দ মিছিল বের হয়। সেই মিছিলে হৃদয়ের সঙ্গে তার ভগ্নিপতি ইব্রাহিম ও বন্ধু রবিন ছিলেন।

এই দুজনেরই ভাষ্য, তারা পুলিশের গুলিতে হৃদয়কে মাটিতে লুটিয়ে পড়তে এবং তার লাশ নিয়ে যেতে দেখেছেন। কিন্তু পরে আর চেষ্টা করেও হাসপাতাল মর্গ বা অন্য কোথাও হৃদয়ের লাশের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
পরে এ ঘটনার ভিডিও দেখেও স্বজনরা হৃদয়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন বলে জানান ইব্রাহিম।

১১ দিন অপেক্ষার পর গত ২৬ অগাস্ট কোনাবাড়ি থানায় ৫৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান হৃদয়ের ভগ্নিপতি ও মামলার বাদী ইব্রাহিম।

হৃদয়ের পরিবার জানায়, হৃদয় ছিলেন দুই বোনের এক ভাই। দুই বোনের অনেক আগেই বিয়ে হয়ে গেছে। বাবা লাল মিয়া এলাকায় রিকশাভ্যান চালিয়ে পরিবারের ব্যয় নির্বাহ করতেন। কিন্তু অসুস্থতার কারণে লাল মিয়া আর কাজ করতে পারতেন না।

পরে বাধ্য হয়েই সংসারের খরচ চালাতে মে মাসে লেখাপড়ার পাশাপাশি হৃদয় অটোরিক্সা চালানো শুরু করেন। তখন বাবা-মা এক বোনের বাড়িতে থাকতেন।

আলমনগরে হৃদয়দের বাড়ি গিয়ে দেখা গেছে, বাড়িটি জরাজীর্ণ। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা রেহেনা বেগম। বাড়িতে রাখা ছেলের জামা-কাপড়, খেলাধুলায় পাওয়া বিভিন্ন পুরস্কার হাতে নিয়ে তিনি সারাক্ষণ কাঁদেন আর ছেলের পথ চেয়ে বসে থাকেন। বাবা লাল মিয়াও ছেলেকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন। তিনি বুঝতে পারছেন না, আগামী দিনে তার সংসারটি কীভাবে চলবে।

হৃদয়ের বাবা লাল মিয়া বলছিলেন, বড় মেয়ের জামাইয়ের একটি ঘরে আমি স্ত্রী নিয়ে থাকি। ছেলে একটি ভাঙাচোরা ঘরে থাকে। ছেলেটা কোনাবাড়িতে অটোরিক্সা চালাতো। ঘটনার দিন লাল মিয়া ছেলেকে বাড়িতে আসতে বলেছিলেন। কিন্তু হৃদয় বলেছিল, ভাইয়ের (বোন জামাই) সঙ্গে যাবো। বাবাডা আর ফিরে এলো না। এখন আমার ছেলের মরদেহ ফেরত চাই।

হৃদয়ের মা রেহেনা বেগম বলেন, আমাদের খাবার ও হৃদয়ের পড়াশুনার খরচ যোগানোর জন্য কোনাবাড়িতে কাজ করতে গেছিল। ১০ হাজার টাকা কিস্তি তুলে ছেলেকে দিয়েছি গাড়ি চালানো শিখতে। ছেলে গাড়ি চালাবে। সেই কিস্তির টাকা এখন কে দেবে? আমার ছেলেডাকে মাইরা ফেলেছে পুলিশ গুলি করে। আমার ছেলের মরদেহ ফেরত দেন আমি দেখবো। আমি তারে ধরতে চাই। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই।

সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে হৃদয়ের বন্ধু রবিন বলেন, ৫ অগাস্ট বিকালে কোনাবাড়ির কাশিমপুর সড়কের মেট্রো থানার শরীফ মেডিকেলের সামনে থেকে আনন্দ মিছিল বের হয়। সেই মিছিলে হৃদয়, ইব্রাহিমসহ তারা গিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, মেট্রো থানার সামনেই আমরা অবস্থান নিয়েছিলাম। এ সময় পুলিশ আমাদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য কাঁদুনে গ্যাস ও গুলি করে। অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আমরা একপাশে ছিলাম। আর হৃদয় ছিল অন্যপাশে। তখন হৃদয় ভয়ে একটি বাড়ির পাশে লুকিয়ে ছিল। সেখান থেকে পুলিশ তাকে ধরে সড়কে নিয়ে যায় এবং মারধর করে।

রবিন বলছিলেন, আমরা দূর থেকে এইটা দেখছিলাম। ভাবলাম, হয়তো মারধর করে ছেড়ে দিবে। কিন্তু তারা গুলি করে হত্যা করেছে। এ সময় চতুর্দিকে গুলি করা হয়। ভয়ে এগিয়ে যেতে পারিনি। শুধু চেয়ে চেয়ে দেখলাম তার মৃত্যু।

ভেবেছিলাম, পরিবেশ শান্ত হলে তার মরদেহ আনতে যাবো। পরে পুলিশ তার মরদেহ নিয়ে চলে যায়। ওইদিন রাত ১২টার পর যেখানে তাকে হত্যা করা হয়েছে সেখানে শুধু তার রক্তাক্ত লুঙ্গিটা পাই। তবে পুলিশ মরদেহ নিয়ে কোথায় রেখেছে সেটা আর জানতে পরিনি। পরে আশপাশে খোঁজ-খবর নিতে গেলে কয়েকজনের কাছে সেদিন সেখানকার ঘটনার একটি ভিডিও পান রবিন।

সেই ভিডিও দেখার কথা জানান হৃদয়ের ভগ্নিপতি ইব্রাহিমও। তিনি বলেন, ভিডিওটি আশপাশের বাসা থেকে ধারণা করা হয়েছিল। এরকম ছোট ছোট কয়েকটি ভিডিও দেখার কথা জানান তিনি।

ঘটনার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী মো. হামিদ। তার কোনাবাড়িতে একটি দোকান আছে। মিছিলের আগে হৃদয় সেই দোকানের সামনেই ছিলেন। সঙ্গে তার ভগ্নিপতিকেও দেখেছিলেন হামিদ।

তিনি বলছিলেন, আমি তাকে মিছিলে যেতে বারণ করেছিলাম। তারপরও তারা আনন্দ মিছিলে যোগদান করেছে। বোনের জামাই ইব্রাহিম দূর থেকে দেখেছেন কিভাবে হৃদয়কে গুলি করে মেরেছে পুলিশ। কিন্তু ভয়ে কেউ সামনে যাওয়া সাহস পায়নি।

যারা হত্যা করেছে তাদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়ে দোকানদার হামিদ বলেন, হৃদয়ের মরদেহ যেন তার পরিবার ফিরে পায়।

কয়েকটি ভিডিওর একটিতে দেখা যায়, ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ এক যুবককে ধরে সড়কের উপর নিয়ে লাঠিপেটা করছে। এরপর তাকে চারদিকে ঘিরে মারধর করছে। চারদিকে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। এরমধ্যে হঠাৎ করেই গুলিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন যুবক।

পরে পুলিশ সদস্যরা সেখান থেকে চলে যায়। এরপর আবার চারজন পুলিশ সদস্য সেখানে আসেন। তাদের মধ্যে দুইজন হাত দুইজন পা ধরে তাকে চাংদোলা করে নিয়ে যাচ্ছে।

আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, তিনজন মিলে যুবকের লাশ টেনে গলির ভিতর নিয়ে যাচ্ছে। তখনও আশপাশে প্রচণ্ড গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। এরপর ওই তিনজন তার মরদেহ ফেলে চলে যায়। তার একটু পর আবার দুইজন এসে মরদেহটি গলির আরও ভিতর নিয়ে যাচ্ছে।

হৃদয়ের বোন জিয়াসমিন আক্তার বলেন, ঘটনার দিন বিকালেই মোবাইলে ভাইয়ের সঙ্গে তার সর্বশেষ কথা হয়। তখন তিনি ভাইকে বাসায় চলে যেতে বলেছিলেন। তখন হৃদয়ের কাছে স্বামী ইব্রাহিমের খোঁজ-খবরও নেন।

এর আধা ঘণ্টা পর ইব্রাহিম স্ত্রী জিয়াসমিনকে মোবাইল করে হৃদয়ের মারা যাওয়ার কথা জানান। তখন জিয়াসমিন আবার হৃদয়ের মোবাইলে ফোন দেন। তখন একজন ফোন ধরে বলেন, মোবাইলটি রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েছেন।

জিয়াসমিন আক্তার বলছিলেন, ভাইয়ের আশা ছিল লেখাপড়া করে চাকরি করবে। বাবা-মায়ের মুখে খাবার তুলে দিবে। কিন্তু সেই স্বপ্ন পুলিশ শেষ করে দিল। যারা ভাইকে হত্যা করেছে তাদের বিচার চাই। দেশ স্বাধীনে যেন শহীদের খাতায় ভাইয়ের নাম থাকে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৭. সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৩:০৯:এএম ৯ মাস আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।