/ হোম / জাতীয়
আজ পবিত্র শবে বরাত - Ekotar Kantho

আজ পবিত্র শবে বরাত

একতার কণ্ঠঃ শুক্রবার (১৮ মার্চ) পবিত্র শবে বরাত। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় মহান আল্লাহর রহমত কামনায় ‘নফল ইবাদত-বন্দেগির’ মধ্য দিয়ে পবিত্র শবে বরাত পালন করবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত সৌভাগ্যের রজনী। আরবি শব্দ লাইলা অর্থ রাত। অপরদিকে ফার্সি শব্দ শব অর্থও রাত। আর বরাত অর্থ মুক্তি বা নিষ্কৃতি। শাবান মাসের এ রাতকে মুক্তির রাত বা নাজাতের রাত হিসেবে অবহিত করা হয়। শবে বরাত এবং এই রাতে ইবাদত বন্দেগী করা নির্ভরযোগ্য হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। তাই রাসূল (সা.) ও সাহাবী ও তাবেঈনের যুগ থেকে অদ্যাবধি এ রাতে বিশেষভাবে নফল ইবাদত ধারাবাহিকতার সাথে চলে আসছে। মহিমান্বিত এ রাতে মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদের জন্য অশেষ রহমতের দরজা খুলে দেন।

ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এ রাতে মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজগারসহ বিভিন্ন ইবাদত বন্দেগি করেন।

এদিকে পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার পৃথক বাণী দিয়েছেন।

পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে আজ বাদ মাগরিব ও বাদ এশা এবং রাত দুইটায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পবিত্র শবেবরাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সব ধর্মপ্রাণ মুসল্লিকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৬. জানুয়ারী ২০২৩ ০৫:৪৭:এএম ৩ বছর আগে
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত - Ekotar Kantho

ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত

একতার কণ্ঠঃ মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ১০২ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) সূর্যোদয়ের সাথে সাথে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন।

এসময় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ আর এম সোলাইমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সিরাজুল ইসলাম ও রেজিস্ট্রার ড. মোহা. তৌহিদুল ইসলাম সাথে ছিলেন।

এরপর একটি র‌্যালী ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শেখ রাসেল হল, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্র,শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স এ্যাসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ, ৩য় শ্রেণী কর্মচারী সমিতি ও ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতি,বঙ্গবন্ধু পরিষদ,বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদ, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ও মাভাবিপ্রবি ফটোগ্রাফিক সোসাইটির পক্ষ থেকেও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সকাল ৭ টা ৩০ মিনিটে আলোকচিত্র প্রদর্শন ও সকাল ৮ টায় কেক কাটা হয়। বাদ যোহর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়।

সকল কর্মসূচিতে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, চেয়ারম্যান, হল প্রভোস্ট, প্রক্টর, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৮. মার্চ ২০২২ ০৩:২৬:এএম ৩ বছর আগে
নাপা সিরাপ নয়, মায়ের পরকীয়ায় প্রাণ যায় সেই দুই শিশুর - Ekotar Kantho

নাপা সিরাপ নয়, মায়ের পরকীয়ায় প্রাণ যায় সেই দুই শিশুর

একতার কণ্ঠঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ শিশুর মৃত্যুর ঘটনা নাটকীয় মোড় নিয়েছে। আপন মা তার পরকীয়া প্রেমিককে নিয়ে তাদের হত্যা করে বলে পুলিশ জানায়। মিষ্টির সঙ্গে বিষ খাইয়ে মারা হয় দুই শিশুকে। পরে তাদের নাপা সিরাপ খাওয়ানো হয় ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে।

এ ঘটনায় বুধবার (১৬ মার্চ) রাতে নিহত ২ শিশুর পিতা ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে স্ত্রী, তার পরকীয়া প্রেমিকসহ ৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এরপর মা লিমা বেগমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরকীয়া প্রেমিক সফিউল্লাহসহ ৩ জন পলাতক রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত লিমাকে আদালতে প্রেরণ করা হয় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য।

বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন জানান, লিমা আশুগঞ্জের একটি চাল-কলে কাজ করেন। আর তার স্বামী কাজ করেন ইটভাটায়। চাল-কলে কাজ করার সুবাদে আরেক শ্রমিক সফিউল্লার সঙ্গে লিমার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তারা বিয়ে করারও সিদ্ধান্ত নেয়।

তিনি আরও জানান, পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসেবে মিষ্টির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে দুই শিশু ইয়াছিন ও মোরসালিনকে খাইয়ে হত্যা করে মা লিমা বেগম। মৃত্যুর ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য নাপা সিরাপের রিঅ্যাকশন হয়েছে বলে প্রচার করে। কিন্তু লিমার আচরণে প্রথমেই পুলিশের সন্দেহ হয়। অধিকতর জিজ্ঞাসায় সে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় লিমার প্রেমিক সফিউল্লাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এদিকে গত ১৩ মার্চ ওই দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় দেশের সব পাইকারি ও খুচরা ফার্মেসি পরিদর্শন করে ওই ওষুধ পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে পরীক্ষার প্রতিবেদন ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরিতে পাঠানোর জন্যও বলা হয়েছে।

সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ১২ মার্চ দেশের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে জানা যায় যে, দেশের অন্যতম প্রধান ফার্মাসিউটিক্যালস-এর উৎপাদিত নাপা সিরাপ (প্যারাসিটামল ১২০মিগ্রা./৫ মি.লি.) ব্যাচ নং- ৩২১১৩১২১, উৎপাদন তারিখ: ১২/২০২১, মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ: ১১/২০২৩ নামীয় ওষুধটি সেবন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে একই পরিবারের ২ শিশু মৃত্যুবরণ করেছে।

এমতাবস্থায় ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সব বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তাকে স্ব-স্ব নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় অবস্থিত পাইকারি ও খুচরা ফার্মেসি পরিদর্শন করে ওই পদের নমুনা পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরিতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হলো। পরবর্তীতে নাপা সিরাপ পরীক্ষা করে তার মধ্যে কোনো ক্ষতিকর উপাদান পায়নি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

উল্লেখ্য, গত ১০ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের ইসমাঈল হোসেনের দুই ছেলে ইয়াছিন ও মোরসালিন নাপা সিরাপ খেয়ে মারা যায় বলে অভিযোগ তোলেন স্বজনরা।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৮. মার্চ ২০২২ ০৩:৫১:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু ম্যারাথন অনুষ্ঠিত - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু ম্যারাথন অনুষ্ঠিত

একতার কণ্ঠঃ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে টাঙ্গাইলের সখীপুরে ‘বঙ্গবন্ধু বাসাইল-সখীপুর হাফ ম্যারাথন’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) সকালে সখীপুর উপজেলার কোকিলাপাবর এলাকায় শহীদ মিনার চত্বর থেকে শুরু হয়ে আমতৈল ঘুরে একই জায়গায় গিয়ে এ ম্যারাথন শেষ হয়। এতে দেশের ৫ শতাধিক রানার অংশগ্রহণ করেন। কাকডাকা ভোরে পাহাড়ি জনপথের পিচঢালা রাস্তায় নারী-পুরুষ রানারদের ম্যারাথন দেখতে সড়কের দু’পাশে মানুষের ঢল নামে।

বাসাইল-সখীপুর রানার্সের উদ্যোগে এ ম্যারাথনের আয়োজন করা হয়। এতে পৃষ্টপোষকতায় ছিলেন ডেসকো বোর্ডের পরিচালক ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আতাউল মাহমুদ। সকাল সাড়ে ৬টায় তিনি ম্যারাথনটির উদ্বোধন করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা আলমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন করটিয়া সা’দত কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আলীম মাহমুদ, বোয়ালী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ সাইদ আজাদ, ইঞ্জিনিয়ার আতাউল মাহমুদের সহধর্মিনী রুনা লায়লা রুমা প্রমুখ। পরে সেখানে আলোচনা সভা শেষে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

দীর্ঘদিন করোনার কারণে ঘরবন্দি থাকার পর ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করতে পেরে খুশি রানাররা। প্রতিবছরই এ ম্যারাথন আয়োজনের দাবি তাদের।

একতার কণ্ঠ

সিলেট থেকে আসা নারী রার্নার নাছরিন বেগম বলেন, ‘আমি দেশের বিভিন্ন জায়গায় ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে থাকি। এছাড়াও দেশের বাইরেও ম্যারাথনে অংশ গ্রহণ করেছি। এসব প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে আমি একাধিকবার পুরস্কার পেয়েছি। সখীপুরের ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি আনন্দিত।’

ঢাকা থেকে আসা মাফিয়া ইসলাম উর্মি বলেন, ‘সখীপুরে গজারী বনের ভিতর দিয়ে এমন ম্যারাথনের আয়োজন মনোমুগ্ধকর। গতবছরও এখানে ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেছিলাম। ছোট বেলা থেকেই বাবা-মায়ের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ম্যারাথনে অংশ গ্রহণ করে আসছি। প্রথম হয়ে পুরষ্কারও পেয়েছি একাধিকবার। সখীপুরের পরিবেশটা অনেক সুন্দর। তাই প্রতিবছর এখানে ম্যারাথন আয়োজন করার দাবি জানাচ্ছি।

ম্যারাথনের পৃষ্টপোষক ইঞ্জিনিয়ার আতাউল মাহমুদ বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মদিনটিকে উৎসবমূখর করার জন্য এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এ দিন ১০ কিলোমিটার ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগেও ম্যারাথনের আয়োজন করা হয়েছিল। মূলত মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত, দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়ন মুক্ত এবং বাল্যবিয়ে মুক্ত করার লক্ষে এমন আয়োজন। সকলের সহযোগিতা পেলে এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত থাকবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৮. মার্চ ২০২২ ০২:৩২:এএম ৩ বছর আগে
জাতির জনকের ১০২তম জন্মদিন আজ - Ekotar Kantho

জাতির জনকের ১০২তম জন্মদিন আজ

একতার কণ্ঠঃ মাত্র ৫৫ বছরের একটি জীবন। সেই জীবনের লক্ষ্যই ছিল মানুষের মুক্তি, মানুষের স্বাধীনতা। তাই জীবন কেটেছে রাজপথে। কিন্তু শোষকগোষ্ঠী সেই মুক্তির সংগ্রামকে মেনে নিতে পারেনি। তাই বারবার তাকে ধরে নিয়ে গেছে কারাগারে। তাতে ৫৫ বছরের জীবনের প্রায় ১৩ বছরই কেটেছে কারাগারের প্রকোষ্ঠে। তাতে দমে যাননি। নিজের অবিচল লক্ষ্য থেকে পিছু হটেননি একচুল। আর তাই তো মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় উদ্বেল করে তুলেছিলেন যে জাতিতে, সেই জাতিকে এনে দিয়েছিলেন স্বাধীনতার স্বাদ, মুক্তির স্বাদ।

তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। টুঙ্গিপাড়ার ছোট্ট খোকা থেকে তিনি হয়ে উঠেছিলেন রাজনীতির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, হয়ে উঠেছিলেন বাংলার আপামর জনসাধারণের মুজিব ভাই। সেই শেখ মুজিবের ১০২তম জন্মবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ)।

১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত এই নেতা। তার জন্মবার্ষিকীর এই শুভলগ্ন সামনে রেখে পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিশ্বনেতায় পরিণত হওয়া এই মহান নেতার এই জন্মদিবসে জাতি আজ শ্রদ্ধাবনত। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এ বছর উদযাপন করা হবে এই দিনটি। এর আগে বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিন থেকে শুরু হয় মুজিববর্ষ, যা এবছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। একইসঙ্গে জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষে এই দিনটিকে জাতীয় শিশু কিশোর দিবস হিসেবেও পালন করা হবে।

টুঙ্গিপাড়ার ‘খোকা’ থেকে রাজনীতির মহানায়ক
১৯২০ সালে টুঙ্গীপাড়ায় শেখ মুজিবুর রহমান জন্ম নেন শেখ লুৎফর রহমান ও সায়েরা খাতুন দম্পতির ঘর আলো করে। মা-বাবা আদর করে ডাকতেন ‘খোকা’। সেই ‘খোকা’ই কালক্রমে হয়ে ওঠেন নির্যাতিত-নিপীড়িত বাঙালি জাতির মুক্তির দিশারী। রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, আত্মত্যাগ ও জনগণের প্রতি অসাধারণ মমত্ববোধের কারণেই পরিণত বয়সে হয়ে ওঠেন বাঙালি জাতির একমেবাদ্বিতীয়ম নেতা।

শেখ মুজিব সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে পড়েন কিশোর বয়সেই। গোপালগঞ্জের মিশন স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়ে প্রথমবারের মতো কারাবরণ করেন। এরপর থেকে শুরু হয় আজীবন সংগ্রামী জীবনের অভিযাত্রা। বাংলা, বাঙালি ও বাংলাদেশকে ভালোবেসে ভূষিত হন ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে। হয়ে ওঠেন মুক্তির মহানায়ক। বাঙালিকে এনে দেন স্বপ্নের স্বাধীনতা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪০ সালে যোগ দেন সর্বভারতীয় মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে। ১৯৪৬ সালে তিনি কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ (বর্তমানে মওলানা আজাদ কলেজ) ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৪৯ সালে নির্বাচিত হন তৎকালীন আওয়ামী মুসলিম লীগের পূর্ব পাকিস্তান শাখার যুগ্ম-সম্পাদক। পরে ১৯৫৩ সালে তিনি পার্টির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন সংগঠনে ভূমিকা রেখেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। এর ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ইস্ট বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা ও পরবর্তীতে ১১ দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনের পুরোধা ছিলেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় লাভ করেন বঙ্গবন্ধু উপাধি। তার দূরদর্শী নেতৃত্বেই বাঙালি জাতি ধাপে ধাপে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে থাকে।

১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জিত হলেও তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। এমন সময়ে একাত্তরের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানের সেই ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু ডাক দেন স্বাধীনতার সংগ্রামের। সেই বজ্রকণ্ঠের আওয়াজ বাংলার মানুষের মনে স্বাধীনতার দামামা বাজিয়ে তোলে। পাকিস্তানি শোষকগোষ্ঠীও টের পায়, এই জাতিকে আর ‘দাবায়ে রাখতে পারবে না’।

এমন পরিস্থিতিতে ২৫ মার্চ কালরাতে বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরেই তাই বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তার নেতৃত্বেই বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত হয় গৌরবের স্বাধীনতা।

মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে আত্মবিশ্বাসী ও আত্মনির্ভরশীল একটি জাতি হিসেবে গড়ে তোলার সংগ্রামও শুরু করেছিলেন জাতির পিতা। কিন্তু এর মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্রের জাল ছড়িয়ে পড়ে। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট ঘাতকের বুলেট ছিন্ন ভিন্ন করে দেয় পিতার শরীর। সেই কালরাত কেড়ে নেয় স্ত্রী-সন্তানসহ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সব সদস্যের জীবন। কেবল দেশের বাইরে অবস্থান করার কারণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা। তবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আজ বাবার আদর্শ আর স্বপ্নকে সামনে রেখেই এগিয়ে নিয়ে চলেছেন বাংলাদেশকে, সোনার বাংলার পথে।

জাতীয় শিশু দিবস
রাজনীতির মহান কবি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন কোমল হৃদয়ের অধিকারী। শিশু-কিশোরদের প্রতি তার বাৎসল্য ছিল অপরিসীম। ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাসভবনে শিশুদের ছিল অবাধ বিচরণ। বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন, আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আগামীতে দেশ গড়ার নেতৃত্ব তারাই দেবে। বঙ্গবন্ধু কোনো শিশুদের সমাবেশে গেলে বা শিশুরা বঙ্গভবনে তার সংস্পর্শে আসলে তিনি তাদের সঙ্গে মিলে-মিশে একাকার হয়ে যেতেন।

এ কারণেই তার জন্মদিনটিকে ১৯৯৭ সালে ঘোষণা করা হয় জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে। ২০০১ সালে চার দলীয় জোট ক্ষমতায় এলে রাষ্ট্রীয়ভাবে দিবসটি পালন করা হয়নি। পরে আওয়ামী লীগ ফের সরকার গঠনের পর থেকে দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হয়ে আসছে। আজ সেই শিশু দিবসও দেশব্যাপী যথাযোগ্য আয়োজনে পালন করা হবে।

জনকের জন্মবার্ষিকীতে যত কর্মসূচি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি এবং আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে বাংলাদেশি দূতাবাসগুলোতেও দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করা হবে। দিনটিকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করবেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি এদিন ‘টুঙ্গিপাড়া হৃদয়ে পিতৃভূমি’ শীর্ষক বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে জাতির পিতার সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বিকেল ২টা ৩০ মিনিটে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আজ থেকে সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। এবারের আয়োজনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘হৃদয়ে পিতৃভূমি’। ঢাকায় বৃহস্পতিবার সকালে সকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এবং সারাদেশের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল সাড়ে ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে আওয়ামী লীগ।

এদিন একটি শিশু-কিশোর সমাবেশও হবে, যেখানে যোগ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকেলে হবে আলোচনা সভা। শুক্রবারও (১৮ মার্চ) আওয়ামী লীগের উদ্যোগে টুঙ্গিপাড়ায় একটি আলোচনা সভা হবে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা সভায় অংশ নেবেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৮. মার্চ ২০২২ ০৫:০২:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে ১২ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে।সোমবার(১৪ মার্চ) দুপুরে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এ রায় দেন।

ধর্ষক ও হত্যাকারীর নাম মো.মাজেদুর রহমান (২৬)। সে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়নের মিরপুর মধ্য পাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৯ অক্টোবরে বিকাল অনুমানিক ৫ টার দিকে মিরপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মাজেদুর একই গ্রামের সাদেক আলীর ১২ বছরের মেয়ে শান্তা আক্তারকে ধর্ষণ করে। শিশুটি কাঁদতে থাকে এবং এ ঘটনা তার মা-বাবাকে জানাবে বলে। ধর্ষণের ঘটনা জানাজানির ভয়ে মাজেদুর মেয়েটিকে গলা টিপে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে হত্যা করে। পরে পাশের একটি ঝোপে তার লাশ ফেলে লতাপাতা দিয়ে ঢেকে দেয়।

এদিকে শিশু শান্তাকে না পেয়ে তার মা-বাবা খোঁজাখুঁজি করে। সন্ধ্যার দিকে ওই গ্রামের এক ছোট্ট শিশু শান্তার বাবাকে জানায়, শান্তাকে সে মাজেদুরের সঙ্গে কুশাল বাগানে যেতে দেখেছিল। পরে সেখানে গিয়ে দেখে ঝোপের মাঝে শান্তার মৃত দেহ।

টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে মাজেদুর জানায়, শান্তাকে সে কুশাল খেতে ধর্ষন করার পর শান্তাকে ভয় দেখায় যে বলে দিলে মেরে ফেলবে। পরে শান্তা বলে দেওয়ার কথা বললে তাকে হত্যা করে।

এ ঘটনায় ওই দিনই শান্তার বড় ভাই সানি আলম বাদী হয়ে মাজেদুর কে আসামি করে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করেন মাজেদুর ।

রায় পেয়ে মামলার বাদী সানি আলম বলেন, আমি অনেকটাই সন্তুষ্ট এ রায়ে। দ্রুত এর কার্যকর হোক সেটাই এখন প্রত্যাশা আমাদের।

এবিষয়ে নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি আলী আহম্মেদ বলেন, দুই বছরের মাথায় এ ঘৃনিত অপরাধের রায় হয়েছে। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৪. মার্চ ২০২২ ০৯:২৮:পিএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে দুই যুদ্ধাপরাধী গ্রেপ্তার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে দুই যুদ্ধাপরাধী গ্রেপ্তার

একতার কণ্ঠঃ একাত্তরে বুদ্ধিজীবি হত্যা এবং গণহত্যার অভিযোগে আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইবুনাল বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার দুই যুদ্ধাপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে।আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের উপপরিচালক এবং তদন্তকারি কর্মকর্তা মতিউর রহমান খবরটি নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন: উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের বেড়াডাকুরি গ্রামের মৃত সবুর মাস্টারের পুত্র মনিরুজ্জামান কোহিনূর এবং চাতুটিয়া গ্রামের মৃত শফি উদ্দীনের পুত্র আলমগীর হোসেন তালুকদার।

এদিকে ,এই দুই যুদ্ধাপরাধীকে গ্রেফতারের খবরে সর্বত্র স্বস্তির নিশ্বাস ফিরে আসে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর  kfফাঁসির দাবিতে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে গোপালপুর পৌরশহরে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিল শেষে থানা ব্রীজ চত্বরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. মার্চ ২০২২ ০৮:২৫:পিএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইল স্টেডিয়াম পরিদর্শন করলেন বিসিবি’র ওবায়েদ নিজাম - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল স্টেডিয়াম পরিদর্শন করলেন বিসিবি’র ওবায়েদ নিজাম

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলা স্টেডিয়াম পরিদর্শন করলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের(বিসিবি) বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টের চেয়ারম্যান ওবায়েদ নিজাম। এ সময় তার সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান তানভীর হাসান টিটু, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গ্রান্ডস কমিটির ম্যানেজার আব্দুল বাতেন ও সাবেক জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাইফুল ইসলাম।

এর আগে শুক্রবার( ৪ মার্চ) সকালে হেলিকপ্টার যোগে টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে অবতরন করলে টাঙ্গাইল ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মির্জা মঈনুল হোসেন লিন্টু তাঁদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম-সম্পাদক মাতিনুজ্জামান সুখন ও ইফতেখারুল অনুপম ও টাঙ্গাইল জেলা ক্রিকেট কোচ মোঃ আরাফাত রহমান।

ওবায়েদ নিজাম টাঙ্গাইল স্টেডিয়াম পরিদর্শন কালে বলেন, তিনি মাঠ ও মাঠের সুবিধা নিয়ে সন্তুষ্ট, তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে আয়োজন বড় বাঁধা টাঙ্গাইল শহরে ভালো মানের একটা পাঁচতারা হোটেল নেই। তারপরও তিনি আশাবাদী টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজনের।

 তিনি আরো বলেন, দ্রুততম সময়ে টাঙ্গাইল জেলা স্টেডিয়ামকে আর্ন্তজাতিক মানের স্টেডিয়ায় করার জন্য যা দরকার তা পূরণ করা হবে। তিনি টাঙ্গাইল ক্রিকেট দলের বয়সভিত্তিক পর্যায়ে সফলতার জন্য অভিনন্দন জানান।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. মার্চ ২০২২ ০৭:১৫:পিএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে পুলিশের ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’ চালু - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে পুলিশের ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’ চালু

একতার কণ্ঠঃ ‘দক্ষ পুলিশ, সমৃদ্ধ দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ শ্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশে সংযোজিত হয়েছে অত্যাধুনিক ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’।

বৃহস্পতিবার(২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের নিরালা মোড় এলাকায় পুলিশ সদস্যদের মাঝে এই ক্যামেরা বিতরণ করেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার।

এ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক কেন্দ্রিক সম্প্রতি সময়ে যেসকল অপরাধ সংঘটিত হয়েছে সেই সকল অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও পুলিশ সদস্যরা কীভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে তা পর্যালোচনা করার জন্য টাঙ্গাইলে ট্রাফিক পুলিশ ও মহাসড়ক কেন্দ্রিক যেসকল থানা রয়েছে তাদের মাঝে এ ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’ বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে টাঙ্গাইল জেলায় ৪২টি ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’ সংযোজিত করা হলো। এই ক্যামেরার মাধ্যমে পুলিশ সদস্যরা যেমন কাজের জবাবদিহিতায় আসবে, তেমনিভাবে অপরাধীরা কোনো প্রকার অপরাধ করে যেনো পার না পায়, তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্যই আমাদের এ আয়োজন।

‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী নুসরাত এদীব লুনা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) জয়ব্রত পাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মুহাম্মদ সরোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল সদর থানা অফিসার ইনচার্জ মীর মোশারফ হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৫. ফেব্রুয়ারী ২০২২ ১২:০৮:এএম ৩ বছর আগে
সখীপুরে পাঁচ দিনব্যাপী বই মেলার উদ্বোধন - Ekotar Kantho

সখীপুরে পাঁচ দিনব্যাপী বই মেলার উদ্বোধন

একতার কণ্ঠঃ নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলা ভাষা ও বইয়ের মহত্ব তুলে ধরতে টাঙ্গাইলের সখীপুর শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী একুশে বইমেলা। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার ডাকবাংলো চত্বরে এ মেলারে উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা জোয়াহেরুল ইসলাম। ‘দ্বিতীয় সূর্য’ নামের একটি সংগঠন এ মেলার আয়োজন করেছে।

মেলায় ১২টি স্টল স্থান পেয়েছে।

অধ্যাপক আলীম মাহমুদের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন সখীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার হায়দার, পৌর মেয়র মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকিয়া সুলতানা, সখীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত শিকদার প্রমুখ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৪. ফেব্রুয়ারী ২০২২ ০৩:২১:এএম ৩ বছর আগে
এভাবেও ঘুরে দাঁড়ানো যায়, দেখালেন আফিফ–মিরাজ - Ekotar Kantho

এভাবেও ঘুরে দাঁড়ানো যায়, দেখালেন আফিফ–মিরাজ

একতার কণ্ঠঃ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরু হওয়ার আগের আলোচনাটা ছিল একেবারেই স্পিন–কেন্দ্রিক। আফগানদের তিন স্পিনার নিয়েই ছিল বাংলাদেশ দলের যত পরিকল্পনা সিরিজের আগে দুই দিনের অনুশীলনে স্পিনারদের বিপক্ষেই বেশি ব্যাটিং করে সময় কাটিয়েছেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানরা।

কিন্তু বুধবার (২৩ ফেব্রয়ারি) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ হলো ঠিক উল্টোটা। আফগান–স্পিন ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই বাংলাদেশ দলের ওপরের সারির ছয় ব্যাটসম্যান আউট! ২৮ রান তুলতেই প্রথম ৫ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। সেটি ৪৫ রানে ৬ উইকেট হতে বেশি সময় লাগেনি। আফগানদের ছুঁড়ে দেওয়া ২১৬ রানের লক্ষ্যটা তখন অসম্ভবই মনে হচ্ছিল।

ধ্বংসস্তূপ থেকে ঘুরে উঠে দাঁড়ানোর অনেক গল্প আছে। আজ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের গল্পটাও ঠিক তেমনই। ওপরের সারির ছন্দে থাকা ব্যাটসম্যানরা যখন ড্রেসিংরুমে, তখন সপ্তম উইকেট জুটিতে আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ ঘুরে দাঁড়ালেন। সেটিও কী দারুণভাবে! ব্যাটিংয়ের কর্তৃত্ব, শৈল্পিক দিক, চোখের আনন্দ—সবই ছিল দুজনের জুটিতে।

কিন্তু ম্যাচের অবস্থা আফিফ-মিরাজদের ব্যাটিং দক্ষতার বাইরেও চাপের মুখে পারফর্ম করার পরীক্ষা নিচ্ছিল। মুজিব-রশিদদের কতক্ষণ সামলে খেলতে পারেন দুজন? ধরে খেলতে গিয়ে রান রেট যদি বেড়ে যায়? পাল্টা আক্রমণে আবার আউটের ঝুঁকিও থাকে। দুজনের মধ্যে একজন আউট হলেই বাংলাদেশ দলের নড়বড়ে লোয়ার অর্ডারের দুয়ার খুলে যাবে। ঝুঁকির অলিগলি পেরিয়ে কীভাবে লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় এসব ভাবনার ঝড় নিশ্চয়ই ছিল দুজনের মস্তিস্কে বয়ে যাচ্ছিল।

আরো পড়ুনঃ টাঙ্গাইলে দশম শ্রেণির স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

তবে সেটি মাঠে করে দেখানো চাট্টিখানি কথা না। তখনো প্রতিপক্ষের তিন মূল বোলারের ৩০ ওভার শেষ হওয়া বাকি। ম্যাচের এমন অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর পক্ষে বাজি ধরার পক্ষে আশাবাদী লোক সহজে খুঁজে পাওয়ার কথা না। ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বশেষ সিরিজে আফিফ ছোট ছোট ইনিংসে দেখিয়েছিলেন তাঁর সামর্থ্যের ঝিলিক। কিন্তু এর আগে ৮ ওয়ানডে খেলে আফিফের ছিল না কোনো ওয়ানডে অর্ধশতক। মিরাজের সর্বোচ্চ ৫১ রানের ইনিংসটি এসেছিল ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।

একতার কণ্ঠ

৭ রানের জন্য সেঞ্চুরি না করেই অজেয় আফিফ

আজ সেই আফিফই হয়ে উঠলেন ৩৬০ ডিগ্রি ব্যাটসম্যান। উইকেটের চারপাশে রান করে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরালেন ম্যাচের ভাগ্য। আক্রমণের সঙ্গে রক্ষণের দুর্দান্ত মিশেল দেখিয়ে দিলেন নিজের ওয়ানডে সামর্থ্য। মিরাজ ছিলেন তাঁরই আদর্শ সঙ্গী। পয়েন্ট ফিল্ডারের ঘুম হারাম করে কাট শটের নানা পদ দেখিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। পুল শটেও খুঁজে পেয়েছেন বাউন্ডারি।

একতার কণ্ঠ

আফিফের সঙ্গে ১৭৪ রানের জুটি গড়লেন মিরাজ

দুজনের এক-দুই রান নেওয়ার ক্ষেত্রে বোঝাপড়া ছিল এক কথায় দুর্দান্ত। কদিন আগেই চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে বিপিএলে খেলেছেন দুজন। কে জানে, বোঝাপড়াটা হয়তো সেখান থেকেই শুরু! সপ্তম উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের হয়ে রেকর্ড ১৭৪ রানের অপরাজিত জুটি সেটারই প্রমান। তাতে বাংলাদেশ দলও সিরিজে এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে।

সংবাদ সূত্র-প্রথম-আলো

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৪. ফেব্রুয়ারী ২০২২ ০২:১৬:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে হত্যার ভয় দেখিয়ে প্রতিবন্ধী গৃহবধূকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে হত্যার ভয় দেখিয়ে প্রতিবন্ধী গৃহবধূকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলায় এক প্রতিবন্ধী গৃহবধূকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। এ ছাড়া ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে সবাইকে মেরে ফেলা হবে বলেও তাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। উপজেলার পাইস্কা ইউনিয়নে রোববার ( ২০ ফেব্রয়ারি) ওই ঘটনা ঘটেছে।

আরো পড়ুনঃ টাঙ্গাইলে ছেলেকে কাছে রাখতে না পেরে অভিমানে আত্মহত্যা

অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত হযরত আলী ব্যাপারীকে (৬০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চার সন্তানের পিতা হযরত আলী ওই গৃহবধূর প্রতিবেশী ও মৃত তমড় আলী ব্যাপারীর ছেলে।

ওই গৃহবধূর বাবা বলেন, ‘সপ্তাহ দুয়েক আগে রাতে বাড়ি ফেরার সময় আমার মেয়েকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করে হযরত। বিষয়টি কাউকে বললে স্বামীসহ তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এই ঘটনার পর আমার মেয়ে অসুস্থ বোধ করলে হযরতের মামাতো ভাই সাদ্দাম হোসেন ও একই ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের ছোট ভাই আল মাহামুদ তাকে উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। এরপর থেকে সাদ্দাম ও মাহামুদ টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে আমাদের সবাইকে হুমকি দিচ্ছে। আমরা এর বিচার চাই।’

এ ব্যাপারে আল মাহামুদের কাছে জানতে চাইলে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান। সাদ্দাম হোসেন ব্যস্ত থাকার কথা বলে ফোন কেটে দেন।

ধনবাড়ী থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) চান মিয়া জানান, প্রতিবন্ধী গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২২. ফেব্রুয়ারী ২০২২ ০৩:৪৫:এএম ৩ বছর আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।