একতার কন্ঠঃ রবিবার(৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টা। টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার আমতৈল পূর্বপাড়া গ্রামে ২নং বহেড়াতৈল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের নৌকা মার্কার পথসভা চলছিল। পথসভায় সভাপতিত্ব করছিলেন ওই এলাকারই বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল মালেক (মেলেটারী)।সভাপতির নির্ধারিত বক্তব্য দিচ্ছিলেন আবদুল মালেক। বক্তব্যের শেষে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলেই তিনি বসে পড়লেন। ঢলে পড়লেন মৃত্যুর কোলে।
ওই পথসভায় উপস্থিত একাধিক কর্মী সমর্থক জানান, বক্তব্যের শেষে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলেই বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল মালেক দ্রুত বসে পড়েন।বসে পড়ার পাঁঁচ মিনিটের মধ্যেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন। পরে সভায় উপস্থিত নেতাকর্মীরা তাঁকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকও তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল মালেকের এমন মৃত্যুতে পরিবার, এলাকা ও মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেকের ছেলে কাদের হাসান জানান, বাবা অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আজন্ম বঙ্গবন্ধুর ভক্ত ছিলেন তিনি।জয় বাংলা এবং বঙ্গবন্ধুর স্লোগান দিতে দিতেই তাঁর মৃত্যু হলো।
আবেগে আপ্লুত কাদের হাসান আরও বলেন, স্বপ্নেও ভাবিনি বাবার মুখে এটাই ছিলো আমাদের শোনানোর মতো শেষ কথা!
ওই পথসভায় উপস্থিত উপজেলা আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নজরুল ইসলাম নবু বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তেও তিনি যে বক্তব্য রেখে গেছেন, তা অবশ্যই আমাদের জন্য অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ( ১ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল মালেক মেলেটারীর লাশ দাফন করা হবে।
৬০০
একতার কণ্ঠঃ পণ্য কিনতে গিয়ে পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা গ্রাহকদের ফেরত দিতে গত ২১ অক্টোবর ভোক্তা অধিকার সংস্থা ‘কনসাস কনজুমার্স সোসাইটি’র (সিসিএস) পক্ষে ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। বাংলাদেশ ব্যাংক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিকাশ, নগদ কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।
এই রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার (১ নভেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন ও ব্যারিস্টার এম আব্দুল কাইয়ুম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
এর আগে গত ১৭ অক্টোবর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে পণ্য কিনতে গিয়ে পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা গ্রাহকদের ফেরত দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সাত প্রতিষ্ঠানকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠায় সিসিএস।
প্রসঙ্গত, ই-কমার্সে কোনো গ্রাহক পণ্যের অর্ডার দিলে তার টাকা বর্তমানে পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকে। পণ্য ডেলিভারি হওয়ার পর প্রমাণ জমা দিয়ে সেই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান টাকা ছাড় পান।
গত ৩০ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগ থেকে এক নির্দেশনায় এ পদ্ধতি চালু করা হয়। কিন্তু গ্রাহক পণ্য না পেলেও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের অনুমতি ছাড়া টাকা ফেরত পান না। ফলে গ্রাহকের টাকা আটকে থাকছে।
এ পদ্ধতি চালু হওয়ার পর থেকে ইতোমধ্যে গ্রাহকের কয়েকশ’ কোটি টাকা গেটওয়েগুলোতে আটকে আছে।
সূত্রঃ সময় নিউজ টিভি
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দিগড় ইউনিয়নের কাশতলা দক্ষিণ পাড়া গ্রামের খামারপাড়া এলাকার সৌদি প্রবাসী জয়েন উদ্দিনের বাড়ি থেকে শনিবার(৩০ অক্টোবর) দুই নারীসহ তিনজনের লাশ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ।
তাৎক্ষণিক তদন্ত ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শনিবার বিকালে টাঙ্গাইলের নবাগত পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ‘ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় আমরা রহস্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয়েছি। প্রবাসী জয়েন উদ্দিনের স্ত্রী সুমি আক্তার ও তার শাশুড়ি জমেলা বেগমকে হত্যার পর পরকীয়া প্রেমিক শাহজালাল নিজেই আত্মহত্যা করেছেন।’
ওই সময় কাশতলা গ্রামের সৌদি প্রবাসী জয়েন উদ্দিনের বসতঘর থেকে তার স্ত্রী সুমি আক্তার(২৫), জয়েন উদ্দিনের মা জমেলা বেগম(৫৫) এবং পরকীয়া প্রেমিক শাহজালাল ইসলাম সোহাগের(৩০) রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
মুমূর্ষু অবস্থায় জয়েন উদ্দিনের চার বছরের ছেলে সাফিকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সুমি আক্তারের পরকীয়া প্রেমিক শাহ জালালের বাড়ি কালিহাতী পৌরসভার সাতুটিয়া এলাকায়। তিনি সাতুটিয়ার সোহরাব আলীর ছেলে।
গৃহবধূ সুমি আক্তার ঘাটাইলের কাশতলা দক্ষিণ পাড়া সুতার বাড়ির জিন্নত আলীর মেয়ে। সুমি ও শাহ জালালের লাশ প্রবাসী জয়েন উদ্দিনের বসত ঘরের বিছানার ওপর এবং জমেলা বেগমের লাশটি ঘরের মেঝেতে পড়েছিল। তিন জনের লাশ উদ্ধার হওয়া বসত ঘরের দেয়ালে নিহতদের রক্ত দিয়ে বার্তা লেখা ছিল- ‘এমনটা হত না যদি আমার সুমী আমার কাছে থাকত, এই সবকিছুর জন্য সুমীর বাবা দায়ী’।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জের ধরে সুমি ও শাহজালাল পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। প্রায় পাঁচ মাস তারা ঘর-সংসার করে। এরপর সুমির বাবা জিন্নত আলী তাদের দাওয়াত দিয়ে ডেকে এনে সুমিকে বাড়িতে রেখে দেয়। ওই সময় সুমি অন্তঃসত্তা ছিল।
পরে তার গর্ভে থাকা সন্তান নষ্ট করার শর্তে সুমির আগের স্বামী জয়েন উদ্দিন বিদেশ থেকে দেশে ফিরে সুমিকে আবার তার কাছে ফেরত নেন। এর কিছুদিন পর জয়েন উদ্দিন আবার বিদেশে চলে যান। সন্তান নষ্ট করায় সুমির সাবেক স্বামী অর্থাৎ পরকীয়া প্রেমিক শাহজালাল ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।’
তিনি বলেন, ‘সুমির স্বামী জয়েন উদ্দিন বাড়িতে না থাকায় শাহজালাল মাঝে মধ্যেই সুমির শশুরবাড়িতে আসত। ঘরের বারান্দার লোহার গ্রিলের চাবিও ছিল শাহজালালের কাছে। পরে শুক্রবার(২৯ অক্টোবর) দিনগত রাতে শাহজালাল সুমির ঘরে প্রবেশ করে।
একপর্যায়ে ছুরি দিয়ে তার সাবেক স্ত্রী সুমি ও সুমির শাশুড়িকে হত্যা করে। এসময় সুমির শিশু সন্তানকে সাফিকেও হত্যার চেষ্টা করে। এরপর শাহজালাল নিজেই আত্মহত্যা করে।’
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত ছুরি সহ বিভিন্ন আলামত ঘেটে আমরা বিষয়টির রহস্য উদ্ঘাটন করতে পেরেছি। তারপরও ঘটনাটির অধিকতর তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে পরকীয়ার জেরে তিন খুন হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছে র্যাব। এ ছাড়া তিনজনের লাশ উদ্ধারের ঘটনার কারণ হিসেবে পুরোনো প্রেমকে দায়ী করছেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বরত কর্মকর্তাসহ স্থানীয়রা।
টাঙ্গাইলের র্যাব-১২ সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, জমেলা, সুমি ও শাহজালাল নামের তিনজনের লাশ বসতঘর থেকে পাওয়া গেছে। এসময় সুমির শিশু সন্তানকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লাশের পাশে ছুরি ও হাতুড়ি পাওয়া গেছে। এছাড়া যে ঘরে লাশ পাওয়া গেছে তার দেওয়ালে লেখা আছে, ‘এমনটা হতো না যদি আমার সুমি আমার কাছে থাকতো। এই সব কিছুর জন্য সুমির বাবা দায়ী।’ তাই পরকীয়ার জেরে এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আবু সাইদ জানান, স্কুলজীবন থেকে শাহজালালের সঙ্গে সুমির প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। ৫ বছর আগে সুমির সঙ্গে জয়েনুদ্দিনের বিয়ে হয়। কিছুদিন সংসার করার পর জয়েনুদ্দিন বিদেশ চলে যায়। এ সুযোগে সুমি আবার শাহজালালের সঙ্গে সম্পর্ক শুরু করে। গত ৬ মাস আগে শাহজালালের সঙ্গে সুমি চলে যায়। শাহজালালের সঙ্গে প্রায় দুই মাসের মতো সংসার করে। পরে জয়নুদ্দিন প্রায় তিন মাস আগে দেশে ফিরলে সুমিকে নিয়ে পুনরায় সংসার শুরু করে। আড়াই মাস আগে জয়েনুদ্দিন সৌদি চলে যায়। গতরাতে আবার শাহজালাল সুমির সঙ্গে দেখা করতে আসে। সকালে শুনি জয়নুদ্দিনের ঘরে তিন জনের লাশ পরে আছে।
দিঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ মামুন জানান, ‘শাহজালালের সঙ্গে সুমি অবৈধ সম্পর্ক ছিল। প্রায় ৬ মাস আগে শাহজালালের সঙ্গে সুমি পালিয়ে গিয়েছিল। শুনেছি তারা বিয়েও করেছিল। পরে সুমির স্বামী বিদেশ থেকে ফিরে আবার তাকে বাড়িতে এনেছিল।’
উল্লেখ্য, শনিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১০টায় উপজেলার দিঘর ইউনিয়নের কাশতলার খামারপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে
মৃত হয়রত আলী স্ত্রী জমেলা বেগম (৬৫), তার প্রবাসী ছেলে জয়েন উদ্দিনের স্ত্রী সুমি বেগম (২৬) ও কালিহাতী উপজেলার সাতুটিয়া পূর্বপাড়া এলাকার সোহরাব আলীর ছেলে শাহজালাল ইসলাম সোহাগের (৩০) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে একটি বাসা থেকে দুই নারীসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার( ৩০ অক্টোবর) সকালে উপজেলার দিঘর ইউনিয়নের কাশতলার খামারপাড়া এলাকা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলো- ওই গ্রামের জয়েন উদ্দিনের স্ত্রী সুমি বেগম (৩০) জয়েনের মা জমেলা বেগম (৬৫) এবং কালিহাতী উপজেলার সাতুটিয়া বাজার এলাকার সোহরাব আলীর ছেলে শাহজালাল (২৫)।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, হামিদপুরের খামারপাড়া গ্রামে সৌদি আরব প্রবাসী জয়েনের বাড়ি থেকে তার মা, স্ত্রী ও এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের ভেতরে লাশগুলো পরে ছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এক শিশুকে (৫) আহত অবস্থায় উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। শিশুটির অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এ ব্যাপারে ঘাটাইল থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকার জানান, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটা এখনো পুলিশ নিশ্চিত নয়। তদন্ত করে এর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে তিনি জানান।
একতার কন্ঠঃ বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) একথা জানান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।
রওশন এরশাদ ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রয়েছেন।
৭৮ বছর বয়সী রওশন এরশাদ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছেন। গত বছরের মার্চের পর তাকে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। এই সময়ের মধ্যে তিনি দুইবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হওয়ায় পাঁচজনকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সকালে ডাকবাংলোতে অনুষ্ঠিত উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুতুব উদ্দিন সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত শিকদার দুপুর ১২টায় সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
বহিষ্কৃত ব্যক্তিরা হলেনঃ- উপজেলার কাঁকড়াজান ইউপিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য মো. দুলাল হোসেন, বহেড়াতৈল ইউপিতে বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গোলাম ফেরদৌস, যাদবপুর ইউপিতে সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ খন্দকার বজলুর রহমান, বহুরিয়া ইউপিতে আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ১ নম্বর সদস্য নুরে আলম এবং একই ইউপির প্রার্থী আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য নিরাঞ্জন বিশ্বাস।
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া বলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশে উপজেলার সব বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিষ্কারের জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের বলা হয়েছে। এ কারণেই আজকের সভায় বিদ্রোহীদের দল থেকে বহিষ্কারের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজই(বৃহস্পতিবার) তাঁদের দল থেকে বহিষ্কারের চিঠি পৌঁছে দেওয়া হবে।
বহুরিয়া ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী নিরাঞ্জন বিশ্বাস বলেন, ‘আমি একজন চলচ্চিত্র পরিচালক ও অভিনেতা। আমি আওয়ামী লীগ সমর্থন করি। তবে উপজেলায় বা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটিতে কোথাও আমার নাম নেই। আমাকে বহিষ্কার করলেই কী আর না করলেই কী। আমি তো দলেই নেই।’
বহেড়াতৈল ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম ফেরদৌস বলেন, ‘আমি দলীয় মনোনয়ন চাইনি। আমি বিদ্রোহী নই। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী। তাই আমার বহিষ্কার কার্যকর হবে না।’
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া ইউনিয়ন পরিষদে এক প্রার্থীর মৃত্যুতে চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে আটিয়া ইউনিয়নে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিলো। কিন্ত চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান বাবুল উজ্জামান মোল্লা (৪১) সোমবার রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে বাবুল উজ্জামান মোল্লা স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। হঠাৎ তার মৃত্যু হওয়ায় নির্বাচন বাতিল চেয়ে কমিশনে চিঠি পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন স্থগিত থাকবে। এ ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ২৪ হাজার ৩২২ জন।
এদিকে বাবুল উজ্জামান মোল্লার মৃত্যুতে তার পরিবার ও নেতা-কর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি আটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন।
জেলা নির্বাচন অফিসার এএইচএম কামরুল হাসান বলেন, ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। তবে সদস্য পদের নির্বাচন হবে কি না সেটা কমিশনের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিক্ষার্থীসহ দুইজন নিহত হয়েছে। ওই ঘটনায় আহত হয়েছে আরো একজন। বুধবার(২৭ অক্টোবর) সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাসাইল উপজেলার গুল্লা এবং সদর উপজেলার তারটিয়া এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বহুরিয়া গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে খালেদ হাসান (২৫)। সে মির্জাপুর কলেজের অনার্সের শিক্ষার্থী ছিল। অপরজন নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার আলাউদ্দিন আহমেদের ছেলে রবিউল ইসলাম (২১)।
মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) আজিজুল হক জানান, বুধবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাসাইল উপজেলার গুল্লা এলাকায় রবিউল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি রাস্তা পার হচ্ছিল। এ সময় ঢাকাগামী সিমেন্ট বোঝাই একটি ট্রাক তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পুলিশ ট্রাকটি আটক করলেও চালক পালিয়ে যায়।
অপরদিকে, সকালে মহাসড়কের সদর উপজেলার তারটিয়া এলাকায় অজ্ঞাত গাড়ির চাপায় মোটরসাইল আরোহী খালেদ হাসান নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়। এ ঘটনায় তার বড় ভাই বিপ্লব খান (৩৫) গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এএসআই নবীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গায় এক কিশোরীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়া একই স্থান থেকে গলাকাটা অবস্থায় আহত এক কিশোরকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকালে এলেঙ্গা পৌর এলাকার শামসুল হক কলেজের সামনে ওই ঘটনা ঘটে।
নিহত কিশোরীর নাম ছুমাইয়া আক্তার (১৬)।সে কালিহাতী উপজেলার নারন্দিয়া ইউনিয়নের পালিমা গ্রামের ফেরদৌসুর রহমানের মেয়ে। নিহতের পরিবার এলেঙ্গা পৌরসভার রিসোর্ট এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। ছুমাইয়া স্থানীয় এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ছিল।
আহত কিশোরের নাম মনির হোসেন (১৭)। সে এলেঙ্গা পৌর সভার মশাজান এলাকার মেহের আলীর ছেলে। সে বাস চালকের সহকারী হিসেবে কাজ করতো।
নিহত কিশোরীর বাবা ফেরদৌসুর রহমান জানান, বুধবার সকাল ৬টায় তার মেয়ে স্থানীয় প্রাইম একাডেমিতে প্রাইভেট পড়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সকাল ৮ টায় স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পান যে তার মেয়েকে (ছুমাইয়া) কে বা কারা জবাই করে হত্যা করে শামসুল হক কলেজের সামনে লাশ ফেলে রেখেছে। তবে ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা ছেলেটিকে তিনি চেনেন না বলে জানান।
আহত মনিরের খালা রোজিনা বেগম জানান, মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) রাতে বাড়ি থেকে মনির বের হয়ে যায়। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সকালে স্থানীয় লোকজনদের কাছে খবর পেয়ে মনিরকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে তার সঙ্গে যে মেয়েটিকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে তাকে তিনি চেনেন না।
হত্যাকান্ড প্রসঙ্গে কালিহাতী থানার অফিসার-ইন-চার্জ(ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, সকালে স্থানীয় লোকজন শামসুল হক কলেজের সামনে গলাকাটা এক কিশোরী ও এক কিশোরকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় ওই কিশোর জীবিত ছিল। পরে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত ওই কিশোরের ঘাড়সহ বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তিনি আরো জানান, প্রেমঘটিত কোনো কারণে ওই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ নানা কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে টাঙ্গাইলে বিশ্ব নিরাপদ সড়ক দিবস পালন করা হয়েছে। শুক্রবার(২২ অক্টোবর) সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বেলুন উড়িয়ে দিবসটির উদ্বোধন করেন টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহমুদ হাসান। পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের গুরত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সামনে গিয়ে শেষ হয়।
দিবসটি উপলক্ষে ‘গতিসীমা মেনে চলি, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহমুদ হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়দেব পাল, বিআরটিএ টাঙ্গাইল সার্কেল সহকারী পরিচালক মো. আলতাব হোসেন, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি ইকবাল হোসেন, মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড়মনি, নিরাপদ সড়ক চাই টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ঝান্ডা চাকলাদার প্রমুখ।
এ সময় জেলা প্রশাসন, সড়ক বিভাগ, বিআরটিএ ও নিরাপদ সড়ক চাই জেলা শাখার সহ-সভাপতি,অর্থ সম্পাদক,প্রচার সম্পাদকসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মধুপুর থেকে ইয়াসমিন (১৯) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার কুড়াগাছা ইউনিয়নের ধরাটি টানপাহাড় এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই গৃহবধূর স্বামী নুরুন্নবীকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত ইয়াসমিন ওই এলাকার আব্দুল লতিফ মৃধার মেয়ে।
গৃহবধূর চাচা জুলহাস উদ্দিন জানান, কুড়াগাছা ইউনিয়নের ধরাটি গ্রামের হাসু মিয়ার ছেলে নুরুন্নবীর সাথে পারিবারিকভাবে ইয়াসমিনের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে পারিবারিক কলহের জের ধরে ইয়াসমিনের শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার উপর নির্যাতন করত। এক বছর আগে ইয়াসমিন একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেয়। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ধরাটি টানপাহাড় এলাকায় একটি জলপাই গাছের নিচে ইয়াসমিনকে রক্তাক্ত অচেতন অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ইয়াসমিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
গৃহবধূর শাশুড়ি নূরজাহান বেগম জানান, তাদের নতুন বাড়িতে কাজ চলছে। এ জন্য তিনি সেখানেই ছিলেন। ছেলের বউ বাড়িতে একাই ছিল। কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে তা তিনি বলতে পারছেন না।
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিক কামাল জানান, বিকেলে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। গৃহবধূর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা আব্দুল লতিফ মৃধা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামী নুরুন্নবীকে আটক করা হয়েছে।