আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাসাইল উপজেলার করাতিপাড়া বাইপাসের পাশ থেকে অভিজিত কুমার (২৬) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে বাসাইল থানা পুলিশ।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার হাবলা ইউনিয়নের গুল্যা এলাকা থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত অভিজিত কুমার সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার পাঁচগাছি গ্রামের রিপন চন্দ্র সরকারের ছেলে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে যুবকের মরদেহ দেখতে পাই। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। প্রথমে যুবকের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব না হলেও পরে তার প্যান্টের প্যাকেটে থাকা জন্ম সনদ, সার্টিফিকেট দেখে পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রথমে যুবকের পরিচয় শনাক্ত করা যাইনি। পরে তার প্যান্টের প্যাকেট থেকে কাগজ দেখে পরিচয় শনাক্ত করা হয়। স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যানের মাধ্যমে তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের বাসাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৩টি ইটভাটা মালিককে সাড়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার(৪ ফেব্রুয়ারি) দুুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নেয়ামত উল্ল্যা অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা আদায় করেন।
জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় লাইসেন্স নবায়ণসহ ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ এর বিভিন্ন ধারায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘনের দায়ে উপজেলার নাইকানীবাড়ী-মিরিকপুর এলাকার মেসার্স এবিএল ব্রিক ফিল্ড, মেসার্স এইচ এমবি ব্রিক ফিল্ড ও বাংড়া এলাকায় মেসার্স কিং ব্রিক ফিল্ডের মালিককে সাড়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নেয়ামত উল্ল্যা বলেন, ‘লাইসেন্স নবায়ণসহ ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপনের বিভিন্ন আইন লঙ্ঘনের দায়ে তিনটি ইটভাটার মালিককে সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
আরমান কবীরঃ কৃষক-শ্রমিক জনতালীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, এত ছোট্ট দেশে কীসের দলমত। আমি বাসাইল-সখীপুরের রাজনীতিও করি না। জন্ম আমার এখানে, বড় হয়েছি এখানে। এ অঞ্চলের মানুষের বিপদে-আপদে সব সময় পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। যতক্ষণ বেঁচে থাকবো ততক্ষণ আমি সবার। এখানে আমার কোনও দলমত কিছুই নেই।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার কেন্দ্রীয় শ্মশান মন্দিরে অষ্টকালীন লীলা কীর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমি এখানে কোনও রাজনীতির কথা বলতে আসিনি। যাদের দল করা দরকার তারা করুক। আমি আছি মানুষের পেছনে। সেখানে আমার কাছে হিন্দু-মুসলমান নেই, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টানও নেই। আমি ছেলে বেলায় লেখাপড়া করতাম না। কিন্তু এখন আমি লেখাপড়া করি। আমি লেখাপড়া করে দেখেছি স্রষ্টা একজন। তার সৃষ্টি আমরা সবাই। আল্লাহ এক, ভগবানও এক। আমি সেই আল্লাহ’র সৃষ্টি কাউকে অবহেলা করতে পারি না।
তিনি আরও বলেন, যারা ক্ষমতা দেখায়, তারা প্রকৃত মানুষ না। প্রকৃত মানুষ হতে আল্লাহ’র প্রতি শ্রদ্ধা রাখতে হবে, মানুষকে ভালোবাসতে হবে। এই পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে শুধু ভালোবাসার কারণে। আপনারা একে অপরকে ভালোবাসবেন, সবাইকে সম্মান করবেন, অন্যের পাশে দাঁড়াবেন। জন্মের পর মৃত্যু অবধারিত। যত ক্ষমতা, যত ধন-দৌলত একদিন এর কোনও মূল্য থাকে না। যারা শ্রদ্ধা নিয়ে ভালোবাসা নিয়ে ও ভক্তি নিয়ে স্রষ্টার নাম নিতে পারে তারাই শুধু সসম্মানে সারাজীবন কাটাতে পারে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি ও বাসাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র রাহাত হাসান টিপু, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান খান, জেলা যুব আন্দোলনের যুগ্ম সম্পাদক ইবনে হাসান টিটু, বাসাইল পৌর যুব আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সমির নাগ প্রমুখ।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের বাসাইলে শিশু সন্তানকে হত্যা মামলায় মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রবিবার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর)দুপুরে বাসাইল আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসমত আরা এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া হীরা আক্তারকে (৩৫) । তিনি বাসাইল পূর্ব পাড়া গ্রামের ইব্রাহীম মিয়ার স্ত্রী।
গত শুক্রবার নিজের দুই বছর বয়সি ছেলে মোহাম্মদ আলীকে হত্যার অভিযোগে মা হীরা আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এঘটনায় নিহত মোহাম্মদ আলীর বাবা ইব্রাহীম মিয়া বাদী হয়ে শুক্রবার দিবাগত রাতে হীরা আক্তারকে একমাত্র আসামি করে বাসাইল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ইব্রাহীম মিয়া রাতের খাবার খেয়ে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ৩ টার দিকে ছেলে মোহাম্মদ আলীকে প্রসাব করানোর কথা বলে ঘরের বাইরে নিয়ে যান। রাত সাড়ে ৩টার দিকে ইব্রাহীমকে ডেকে তার স্ত্রী জানান মোহাম্মদ আলীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তখন ইব্রাহীম বের হয়ে ছেলেকে খুঁজতে শুরু করে। এক পর্যায়ে বাড়ির পাশের পুকুর থেকে ছেলেকে উদ্ধার করা হয়। পরে বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে শুক্রবার সকাল ৮ টার দিকে বাসাইল থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাসাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাফিজুর রহমান জানান, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হীরা আক্তার ছেলেকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তবে কারা তাকে হত্যায় সহায়তা করেছে সে সম্পর্কে কোন তথ্য দেয়নি। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছিল। আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের বাসাইলে কৃষি জমিতে সৃষ্টি হওয়া জলাবদ্ধতা নিরসনে এলাকা পরিদর্শন করেছেন ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও ঘাটাইলের এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল হুসাইন মুহাম্মদ মাসীহুর রহমান।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে তিনি বাসাইল দক্ষিণপাড়া, এসআরপাড়া ও ভাটপাড়ায় কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়া এলাকা পরিদর্শন করেন।
এসময় তিনি স্থানীয় কৃষক ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন। জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন সেনাবাহিনীর এ কর্মকর্তা।
জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শনের সময় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মামুনুর রশিদ, টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) সঞ্জয় কুমার মহন্ত, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহরুখ খানসহ সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, অপরিকল্পিতভাবে বাসাইল দক্ষিণপাড়া এলাকায় সড়ক নির্মাণের কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এ বছর বাসাইল দক্ষিণপাড়াসহ কয়েকটি এলাকায় সরিষা আবাদ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন অসংখ্য কৃষক। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রচার হলে কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।
একতার কণ্ঠঃ এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। যুব বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে ধরা হয় এই ওয়ানডে ফরমেটের টুর্নামেন্টকে। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ তাদের প্রথম ম্যাচ খেলবে শক্তিশালী আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। এই খেলায় বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলবেন টাঙ্গাইলের ৩ যুবা ক্রিকেটার।
তারা হলেন, বাঁহাতি ওপেনার রিফাত বেগ (১৮), ডানহাতি লেগব্রেক বোলার কাম ব্যাটসম্যান দেবাশীষ সরকার দেবা (১৮) ও ডানহাতি মিডিয়াম পেসার রিজান হোসেন (১৮)।
ইতিমধ্যে রবিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইলের এই ৩ ক্রিকেটার এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহন করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে মূল দলের সঙ্গে চলে গেছেন।
আসুন সংক্ষেপে জেনে নেওয়া যাক টাঙ্গাইলের এই ৩ প্রতিভাবান ক্রিকেটার সম্পর্কে –
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার কামান্য গ্রামে জন্মগ্রহন করা বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) প্রতিভাবান ক্রিকেটার বাঁহাতি ওপেনার রিফাত বেগ।
গত ১১ ফেব্রুয়ারী রাজশাহী শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে অনুর্ধ্ব-১৮ জাতীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে অপরাজিত ট্রিপল সেঞ্চুরী (৩২০) করে ইতিহাস গড়েছেন এই ক্রিকেটার। এই পর্যায়ের ক্রিকেটে এটাই কোন বাংলাদেশি ক্রিকেটারের সেরা ইনিংস। ৬৫০ মিনিট ক্রিজে থেকে ৪৮৩ বলে ২৯টি চার আর ৪টি ছক্কা হাঁকান রিফাত।
রিফাত বেগ জানান, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অপরিহার্য ক্রিকেটার হওয়াই তার স্বপ্ন। তৃতীয় শ্রেনীতে পড়ার সময় তারই বড় ভাই বরকতের হাত ধরে ক্রিকেট খেলার প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হয় তার। তার ধ্যান-জ্ঞান ক্রিকেট আর ক্রিকেট।
টাঙ্গাইলের আরেক যুবা ক্রিকেটার দেবাশীষ সরকার দেবা। টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার ফুলকী ইউনিয়নের ঝনঝনিয়া গ্রামের আশিষ সরকারের ছেলে। ছোট বেলা থেকেই ক্রিকেট খেলার প্রতি তীব্র আকর্ষণ তাকে ক্রিকেট মাঠের মনোযোগী অলরাউন্ডার বানিয়েছে।
গত বছর বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হিসেবে ভারত সফর করেছেন তিনি। তার নেতৃত্বে ভারতের আঞ্চলিক দলের বিরুদ্ধে দু’টি ম্যাচেই বিশাল জয় উপহার দিয়েছেন। দেবাশীষ একজন পরিশ্রমী ও চতুর অফস্পিন বোলার কাম ব্যাটসম্যান। লক্ষ্য তার বাংলাদেশ জাতীয় দলের নিয়মিত ক্রিকেটার হওয়া।
টাঙ্গাইল শহরের প্যারাডাইস পাড়ায় জন্ম নেওয়া আবুল হোসেনের ছেলে রিজান হোসেন একজন ওপেনিং ব্যাটসম্যান ও ওপেনিং বোলার। সে প্রকৃতপক্ষে একজন জেনুইন অলরাউন্ডার।
ঢাকা বিভাগ (উত্তর) এর সহকারি ক্রিকেট কোচ ও টাঙ্গাইল জেলা ক্রিকেট কোচ মো. আরাফাত রহমান বলেন, টাঙ্গাইলের তিন জন মেধাবী যুবা ক্রিকেটার এবার কাতারে অনুষ্ঠিত অনুর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে খেলছে এটা অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের বিষয়। তারা তিনজনই আমার ছাত্র। আমার দৃঢ় বিশ্বাস তারা বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে খেলার যোগ্যতা রাখে। আমি তাদের সর্বাঙ্গীন উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯, ১৪ সদস্যের স্কোয়াডে রয়েছে, আজিজুল হাকিম তামিম (অধিনায়ক), জাওয়াদ আবরার (সহ-অধিনায়ক), রিফাত বেগ, সামিউন বশির রাতুল, দেবাশীষ সরকার দেবা, রিজান হোসেন, আল ফাহাদ, ইকবাল হাসান ইমন, রাফিউজ্জামান রাফি, ফরিদ হাসান ফয়সাল, মারুফ মৃধা, শিহাব জেমস, আশরাফুজ্জামান বরেণ্য এবং সাদ ইসলাম রাজিন।
অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে রাখা হয়েছে, কালাম সিদ্দিকী, শাহরিয়ার আজমীর, ইয়াসির আরাফাত এবং সানজিদ মজুমদারকে।
এবারের আসরে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ২৯ নভেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে। দ্বিতীয় ম্যাচে ১ ডিসেম্বর নেপালের মুখোমুখি হবে তামিমের দল। এরপর ৩ ডিসেম্বর গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে তারা লড়বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
৬ ডিসেম্বর হবে দুটি সেমিফাইনাল। আর ৮ ডিসেম্বর দুবাইয়ে হবে ফাইনাল।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মতিউর রহমান গাউসের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশ।
রবিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পশুপতি বিশ্বাসের এজলাসে এই রিমান্ড আবেদন করা হয়।
পরে বিজ্ঞ আদালত আগামী ১০ নভেম্বর রিমান্ডের শুনানি দিন ধার্য করে সি/ ডব্লিউ মূলে হাজি মতিউর রহমান গাউসকে টাঙ্গাইল জেল হাজতে প্রেরণ করে।
টাঙ্গাইলের কোট ইন্সপেক্টর লোকমান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর পূর্বে গাউসকে গত ৪ আগস্ট বিবেকানন্দ হাইস্কুল এন্ড কলেজের সামনে বৈষম্যে বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি হিসেবে টাঙ্গাইল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হাজির করা হয়।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীর আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, শনিবার (২ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মতিয়ার রহমান গাউসকে বাসাইল দক্ষিণপাড়া এলাকায় নিজ বাসায় থেকে আটক করে সেনাবাহিনী। হাজী মতিয়ার রহমান গাউস বাসাইল দক্ষিণপাড়া এলাকার আব্দুল কাদের মিয়ার ছেলে।
নাশকতামূলক গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাত ৮টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি টিম বাসাইল দক্ষিণপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় হাজী মতিয়ার রহমান গাউসের বাড়ি ঘেরাও করে সেনাবাহিনী। পরে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেনা ক্যাম্পে আনা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে রাত ১০টার দিকে বাসাইল থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে বাসাইল থানা থেকে তাঁকে টাঙ্গাইল সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়
বাসাইল সেনা ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজর শেখ ইসতিয়াক উদ্দিন বলেন, ‘নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততা থাকার কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে বাসাইল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে সেনাবাহিনীর বাসাইল থানায় হস্তান্তর করে। পরে তাকে টাঙ্গাইল সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের বাসাইলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্যোগে গরীব ও দুস্থ মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান ও ঔষধ বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দিনব্যাপী উপজেলার কাশিল ইউনিয়নের কাশিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং এর দিকনিদের্শনায় এ ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়।
জানা গেছে, ১৯ পদাতিক ডিভিশনের অধিনস্থ ৯৮ সংমিশ্রিত ব্রিগেডের তত্ত্বাবধানে ১৫ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স এবং ২৪ই বেংগল এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় মেডিসিন, গাইনী এবং চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়।
এ সময় ১ হাজার ১৭৫ জন গরীব ও দুস্থ মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ঔষধ এবং ৯৫ জন চক্ষু রোগীকে বিনামূল্যে চশমা প্রদান করা হয়।
ক্যাম্পেইন চলাকালে বঙ্গবন্ধু সেনানিবাসের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মামুনুর রশীদ পরিদর্শন করেন। এসময় সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ভবিষ্যতেও ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়।
চিকিৎসাসেবা নিতে আসা একাধিক ব্যক্তি জানান, ‘প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেনাবাহিনীর ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন কার্যক্রম প্রশংসার দাবি রাখে। বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা, ঔষধ ও চক্ষু রোগীরা চশমা পেয়ে আনন্দিত। তারা সেনাবাহিনীকে এ অঞ্চলের গবীর ও দুস্থ জনসাধারণের পাশে দাঁড়ানোসহ সার্বিক কল্যাণ এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সক্রিয় ভূমিকা রাখার দাবি জানান।
কাশিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রমজান মিয়া বলেন, ‘বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ঔষধ পেয়ে মানুষ অনেক খুশি হয়েছেন। এ অঞ্চলের গরীব ও দুস্থ মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও তাদের মাঝে ঔষধ বিতরণ করায় সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের বাসাইলে এক প্রবাসীর বাড়ির পাশ থেকে জীবিত নবজাতক উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়দের ধারণা- নবজাতকটি এ বাড়িতেই ভূমিষ্ঠ হয়েছে। কেউ কেউ নবজাতক পুত্রসন্তানটি ক্রয়ের আগ্রহ প্রকাশ করছেন। বিষয়টি নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার (৩ জুলাই) সকালে উপজেলার কাশিল মধ্যপাড়া এলাকার প্রবাসী ছাত্তার মিয়ার বাড়ির গোসলখানা ও টয়লেটের পাশ থেকে সদ্যভূমিষ্ঠ নবজাতকটি উদ্ধার করা হয়।
বর্তমানে নবজাতকটি ছাত্তার মিয়ার স্ত্রী নিলুফা বেগমের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। তবে পুলিশ এসে নবজাতকটিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। নবজাতকটির সঙ্গে হাসপাতালে নিলুফা বেগম, তার ছেলে আকাশ ও আকাশের স্ত্রী নার্স লিমা আক্তারও রয়েছেন।
জানা যায়, প্রবাসী ছাত্তার মিয়ার বাড়ির গোসলখানা ও টয়লেটের সামনে ভোরে নবজাতকটি দেখতে পায় তার স্ত্রী নিলুফা বেগম। পরে তিনি বাড়ির লোকজনকে বিষয়টি জানান। এক পর্যায়ে তারা সদ্যভূমিষ্ঠ নবজাতকটি উদ্ধার করেন। খবরটি মূহুর্তের মধ্যে এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে লোকজন এসে ভীড় জমান। সেসময় অনেকে নবজাতক পুত্রসন্তানটিকে দুই লাখ টাকায় কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে ওই প্রবাসীর স্ত্রীর নিলুফা বেগম শিশুকে বিক্রি করতে রাজি হয়নি। নিলুফা বেগম শিশুকে লালন-পালন করবেন বলে জানান।
স্থানীয়রা জানান, প্রবাসী ছাত্তার মিয়ার বাড়িটি রাস্তা থেকে অনেক ভেতরে। একাধিক বাড়ির ওপর দিয়ে তার বাড়িতে যেতে হয়। ওই বাড়িতে নবজাতকটি কিভাবে এলো। নিলুফা বেগমের ছেলে আকাশ মিয়ার স্ত্রী নার্স হওয়ায় অনেকে ধারণা করছেন- নবজাতকটিকে ওই বাড়িতেই ভূমিষ্ঠ (ডেলিভারি) করা হয়েছে। বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় রক্ত থাকায় এই সন্দেহটা তাদের আরও বেড়ে গেছে। তবে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবি জানান স্থানীয়রা।
নবজাতকটিকে দেখতে আসা পরীবানু নামের এক নারী বলেন, ওই মহিলা মা হওয়ার যোগ্য না। মা হওয়ার যোগ্য থাকলে তিনি ফুটফুটে শিশুটিকে এভাবে ফেলে যেতে পারতেন না। হয়তো ওই মহিলা অবৈধভাবে সন্তান জন্ম দেওয়ায় ফেলে গেছেন। শিশুটির পরিচয় বের করে ওর মাকে শাস্তির আওতায় আনা দরকার।
বাড়ির মালিক প্রবাসী ছাত্তার মিয়ার স্ত্রী নিলুফা বেগম বলেন, রাত ৩ টার দিকে আমি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে ঘুম থেকে ওঠে টয়লেটে গেলে শিশুটি মা বলে ডাক দেয়। একে একে কয়েকবার মা বলে ডাক দিয়েছে। পরে আমি বাড়িতে থাকা ছেলে ও ছেলের বউকে ডেকে আনি। এছাড়া আরও কয়েকজনকে বিষয়টি জানানো হয়। এক পর্যায়ে টয়লেটের পাশ থেকে নবজাতকটিকে পাওয়া যায়। সেসময় শিশুটির শরীর ও কানে পিঁপড়া ছিল। ভালোভাবে শরীর ধূয়ে ও পরিষ্কার করা হয়। আমার দুই সন্তান রয়েছে। এই পুত্র সন্তানটিকেও আমার নিজ সন্তানের মতো করে লালন-পালন করতে চাই।
কাশিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রমজান মিয়া বলেন, নবজাতকটি কে বা কারা রেখে গেছে তা জানা যায়নি। যার বাড়িতে শিশুটি পাওয়া গেছে তিনিই শিশুটিকে লালন-পালন করবেন বলে আগ্রহ দেখাচ্ছে। পরে পুলিশ এসে নবজাতকটির চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেছে।
বাসাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবু হানিফ সরকার বলেন, শিশুকে একটি বাড়ির পাশে পাওয়া গেছে। ওই বাড়ির টিউবওয়েল ও টয়লেটের সামনে রক্ত রয়েছে। নবজাতকটির চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। তারা এলে শিশুটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)শাহরুখ খান বলেন, নবজাতকটিকে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের জেলা কমিটির কাছে পাঠানো হবে। নবজাতকটির চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। জেলা প্রশাসক মহোদয় নবজাতকটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের বাসাইলে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬০ জন নারী শিক্ষার্থী’র মাঝে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি’র বাইসাইকেল বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ বাইসাইলে বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে বাইসাইকেল তুলে দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কায়ছারুল ইসলাম।
বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহরুখ খানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নেয়ামত উল্ল্যা, বাসাইল পৌর মেয়র রাহাত হাসান টিপু ও উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলার কাউলজানী লুৎফা শান্তা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার সাইকেল পেয়ে খুশি। তিনি বলেন, আমি হেঁটে স্কুলে যাইতাম। এখন আর হেঁটে স্কুলে যেতে হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
কাউলজানী নওশেরীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাতেহা আক্তার বলেন, আমার স্কুলে আসা-যাওয়া সমস্যা ছিল। এখন সাইকেল পেলাম আর সমস্যা থাকবে না। আমাদের লেখাপড়ার আগ্রহ আরও বেড়ে যাবে।
জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম বলেন, সামাজিক এই উন্নয়নে পাশে থাকার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের ধন্যবাদ জানাই।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি’র অংশ হিসেবে তোমাদের সাইকেল বিতরণ করা হয়েছে। তোমরা সামনাসামনি প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে না পারলেও তার এই উপহার, তার স্নেহ তোমাদের সাথে থাকবে। তোমরা ভালো থাকলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভালো থাকবেন।
উল্লেখ্য, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ৬০ জন দরিদ্র, মেধাবী শিক্ষার্থীকে বাছাই করে তাদের মাঝে সাইকেল বিতরণ করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের বাসাইলে কৃষিজমিতে কাজ করতে গিয়ে মাঠে বজ্রপাতে বুলবুল আহমেদ (৫০) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২২ জুন) দুপুরে উপজেলার সুন্যা উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বুলবুল আহমেদ ওই গ্রামের ইসমাঈল হোসেনের ছেলে।
জানা যায়, বুলবুল সকালে সুন্যা উত্তরকোড় চকে ধানক্ষেত পরিস্কার করতে যায়। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ বজ্রপাত শুরু হলে বুলবুল বাড়িতে ফেরার জন্য রওনা দেন। এসময় রাস্তায় ওঠার আগেই বজ্রপাতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নিহতের পরিবার।
নিহতের চাচাতো ভাই স্কুলশিক্ষক আসাদুজ্জামান বলেন, সকালে আমার ভাই ধানক্ষেত পরিস্কার করতে গিয়েছিলেন। পরে বজ্রপাত শুরু হলে তিনি বাড়িতে ফেরার জন্য রওনা দেয়। এসময় বজ্রপাতে তিনি গুরুতর আহত হন। প্রায় এক ঘণ্টা পর খবর পেয়ে আমরা তাকে উদ্ধার করি। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের চাচাতো ভাই নাইকানীবাড়ী আলহাজ্ব হায়দার হামিদ মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে তার পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তিনি কৃষি জমি আবাদ করে সংসার চালিয়ে আসছিলেন। এখন তার স্ত্রী ও দুই মেয়ে অসহায় হয়ে পড়লেন। তার মৃত্যুতে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে সংবাদকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করলেন বহুল প্রচারিত দৈনিক কালবেলার যুগ্ম-সম্পাদক মো. ইলিয়াস হোসেন। বুধবার (১৯ জুন) দুপুরে বাসাইল উপজেলার বাসুলিয়াতে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি মো.আবু জুবায়ের উজ্জল জেলার বিভিন্ন সংবাদের বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা তুলে ধরেন। এরপর সকল উপজেলার প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে দৈনিক কালবেলার যুগ্ম-সম্পাদক মো. ইলিয়াস হোসেন জেলার দৈনিক কালবেলায় কর্মরত সকল সংবাদকর্মীদের বলেন, জ্ঞান গরিমা ও দক্ষতার দিক থেকে কালবেলার সাংবাদিকরা এগিয়ে যাবে। সাংবাদিকরা তাদের লেখনির মাধ্যমে সঠিক তথ্য তুলে ধরে দৈনিক কালবেলা পত্রিকার পাশাপাশি দেশের সার্বিক উন্নয়নে অগ্রণী ভুমিকা পালন করবে। তাই সঠিক তথ্য প্রচারে আরো সচেষ্ট থাকতে হবে। এতে সঠিক তথ্য প্রচারের মাধ্যমে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে।
অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে সকল উপজেলার সংবাদকর্মীদের নিয়ে ঈদ আনন্দে বাসুলিয়া বিলে নৌকা ভ্রমনে শামিল হন তিনি। এসময় জেলার সকল সংবাদকর্মীরা যুগ্ম-সম্পাদকের কাছ থেকে ঈদ শুভেচ্ছাও গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলার মির্জাপুর উপজেলা প্রতিনিধি মো.মোজাম্মেল হক, সখীপুর প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান রিমন, ভূঞাপুর প্রতিনিধি মিজানুর রহমান, গোপালপুর প্রতিনিধি নুর আলম প্রমুখ।