/ হোম / দেলদুয়ার
টাঙ্গাইলে মহানবী (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তি, যুবককে গণপিটুনি - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে মহানবী (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তি, যুবককে গণপিটুনি

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কটুক্তি ও অশোভন কার্টুন পোষ্টের জেরে গণপিটুনির শিকার হয়েছে এক হিন্দু যুবক। বর্তমানে এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।

বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ওই যুবককে উদ্ধার করে প্রথমে দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে নিরাপত্তা জনিত কারণে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

রবিবার (৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে দেলদুয়ার সদর উপজেলার দেলদুয়ার দক্ষিণ পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তারকৃত ওই যুবকের নাম অখিল চন্দ্র মন্ডল (৪০)। সে দেলদুয়ার সদর উপজেলার দেলদুয়ার দক্ষিণ পাড়া এলাকার গেদু চন্দ্র মন্ডলের ছেলে। সে পেশায় একজন স্বর্ণকার।

জানা যায়, টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কটুক্তি ও অশোভন কার্টুন পোস্ট করে উপজেলা সদর ইউনিয়নের দেলদুয়ার দক্ষিণ পাড়া এলাকার গেদু চন্দ্র মন্ডলের ছেলে অখিল চন্দ্র মন্ডল নামের এক হিন্দু যুবক। পোস্টটি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ বিক্ষুব্দ হয়ে ওঠেন। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে ওই যুবকের নিজ কর্মস্থল দেলদুয়ার দক্ষিণ পাড়া বাজারের জুয়েলারী দোকানে গিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চায় ওই যুবকের কাছে। পরে চারপাশের অবস্থা উত্তপ্ত দেখে অভিযুক্ত অখিল পাশের আরেকটি দোকানে আশ্রয় নেয়। এসময় বিক্ষুব্ধ জনগণ তার বিচার চেয়ে দোকানটির চারপাশ ঘিরে রেখে স্লোগান দিতে থাকে।

খবর পেয়ে দেলদুয়ার থানা পুলিশ ও স্থানীয় বিএনপি নেতারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। পরে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীকেও জানানো হয়। এরমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহমেদ ঘটনাস্থলে পৌছে সবাইকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। এসময় সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই বিক্ষুব্ধ জনতা ওই যুবককে দোকানের ভিতরে ঢুকে গণপিটুনি দিতে শুরু করে।

এ সময় পুলিশ সদস্য ও উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আজাদ মিয়া জনতার হাত থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করে সিএনজিতে তুলে দেন। পরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় ওই যুবককে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে গণপিটুনিতে আহত ওই যুবক টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পুলিশি পাহারায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ নিয়ে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এদিকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা উপজেলা পরিষদের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানায় এবং স্লোগান দিতে থাকে।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহমে তাদের শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেন, এ বিষয়ে যতদ্রুত সম্ভব সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে দেলদুয়ার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল হক হাওলাদার জানান, অভিযুক্ত ওই যুবককে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে সে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পুলিশি পাহারায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) সকালে তাকে টাঙ্গাইল আদালতে প্রেরণ করা হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৯. এপ্রিল ২০২৫ ০৩:৫৬:এএম ২ সপ্তাহ আগে
টাঙ্গাইলে অগ্নিকাণ্ডে ২১টি দোকান পুড়ে ছাই - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে অগ্নিকাণ্ডে ২১টি দোকান পুড়ে ছাই

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে তেলের লরির আগুনে ২১টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আনুমানিক ৮০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

শুক্রবার (২১ মার্চ) সকালে উপজেলার লাউহাটি বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট প্রায় ৫ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিসের সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯টার দিকে লাউহাটি বাজারে তেলের দোকানের একটি মোটরসাইকেল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে মুহূর্তেই আগুন আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করে। পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টার পর দুপুর ২টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকাণ্ডে খাবারের দোকান, মুদি দোকান, কম্পিউটারের দোকানসহ প্রায় ২১টি দোকান পুড়ে হাই হয়ে যায়।

এ বিষয়ে দেলদুয়ার উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা হাদিউল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে টাঙ্গাইল, নাগরপুর, দেলদুয়ার এবং মির্জাপুরের ৬টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহত হয়নি। আনুমানিক ধারণা করা হচ্ছে প্রায় ৮০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২২. মার্চ ২০২৫ ০২:২৯:এএম ১ মাস আগে
টাঙ্গাইলে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

সাহান হাসানঃ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে ।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সোয়া ৯টার দিকে দেলদুয়ার-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক সড়কের পাথরাইল বটতলা এলাকায় একটি ট্রাকের ধাক্কায় বেল্লাল হোসেন (৫৫) নামের এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

নিহত বেল্লাল হোসেন উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের পাথরাইল গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, বেল্লাল হোসেন বটতলায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় একটি ট্রাক পিছন দিক থেকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

অপরদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নাটিয়াপাড়া এলাকায় ভোর সোয়া ৫টার দিকে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী একটি পিকআপ অপর একটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দিলে পিকআপ চালক রাশেদ (৩৪) ঘটনাস্থলেই মারা যান।

নিহত রাশেদ বগুড়ার শাহজাহানপুর উপজেলার বৃকুষ্টিয়া গ্রামের মৃত নায়েব আলীর ছেলে।

উভয় ঘটনায় নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেলদুয়ার থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোহেব খান।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২০. ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ০১:৪৮:এএম ২ মাস আগে
দেলদুয়ারে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে চুরি,থানায় অভিযোগ - Ekotar Kantho

দেলদুয়ারে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে চুরি,থানায় অভিযোগ

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে মুক্তিযোদ্ধা বদিউজ্জামান তোতার বাসায় রাতের আধারে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মালামাল ও নগদ অর্থসহ চুরি যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গত বুধবার (১ জানুয়ারি) ভুক্তভোগীর মেয়ে শাহনাজ আক্তার তৃষ্ণা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

মঙ্গরবার দিবাগত রাতে দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের শুভকী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শাহনাজ আক্তার তৃষ্ণা উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের শুভকী গ্রামে চাঁন মিয়ার স্ত্রী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউজ্জামান তোতার মেয়ে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,গত ৩১ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার শুভকী গ্রামে তার বাড়িতে প্রতিদিনের ন্যায় রাতের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে তার ভাগনী জামাই সজীব ঘরের দরজা-জানালা ভালভাবে আটকিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। রাতের যেকোন সময় অজ্ঞাতনামা চোর বা চোরেরা উক্ত বাড়ি-ঘরের দরজা খুলে ঘরে প্রবেশ করে ঘরে রাখা আলমারীর তালা ভেঙ্গে আলমারীতে রাখা নগদ ১ লাখ সত্তুর হাজার টাকা এবং ১ ভরি ৫ আনা ওজনের স্বর্ণের গহনা (যার মূল্য অনুমান ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা) নিয়ে যায়। অজ্ঞাতনামা চোর বা চোরেরা চলে যাওয়ার সময় উক্ত ঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো করে রাখে যায়। তার ভাগনী জামাই ও ভাগনী শব্দ পেয়ে ঘুম থেকে উঠে দেখে যে, ঘরের দরজা এবং ঘরের আলমারী খোলা। আলমারীতে রাখা উক্ত টাকা এবং গহনা অজ্ঞাতনামা চোর বা চোরেরা নিয়ে গেছে। পরে শাহনাজ আক্তার তৃষ্ণা বুধবার (১ জানুয়ারি) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

প্রতিবেশী সামেদা আক্তার, রাশেদা বেগম, নুরুল ইসলাম ,মো. আফজাল হোসেনসহ অনেকেই জানায়, আযান দেওয়ার আধঘন্টা পুর্বে মুক্তিযোদ্ধা বদিউজ্জামান তোতার বাড়িতে হাউমাউ করার শব্দ পেয়ে তারা এগিয়ে যান। পরে দেখেন স্টিলের আলমারী ও সুকেচ ভাঙা। ওই বাড়িতে বেড়াতে আসা আলতাফ হোসেন নামের এক ব্যক্তি জানান, মুক্তিযোদ্ধার ছেলে আরিফ তার খালাতো ভাই। কিছুদিন পুর্বে তার খালাতো ভাই আরিফ ৩ লাখ টাকা ধার করেন। সেই ধারের টাকার জন্য বাড়িতে সাইনবোর্ড লাগিয়েছে পাওনাদার। পাওনাদারের টাকা পরিশোধ করার জন্য তিনি গরু বিক্রি করে ১ লাখ সত্তুর হাজার টাকা নিয়ে এসেছেন।

মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে ও মামলার বাদী শাহনাজ আক্তার তৃষ্ণা বলেন, তার ভাই সম্প্রীতি ৩ লাখ টাকা সুদ করেন। সেই টাকার জন্য সুদ কারবারীরা আদালতে মামলা দায়ের করেন। ইতোমধ্যে তিনি ওই সুদকারবারীকে কিছু টাকা পরিশোধ করেছেন। সাকুল্য টাকা দিতে না পারায় তাদের বাড়িতে ওই সুদ কারবারীরা সাইনবোর্ড লাগায়। ওই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য আমার খালতো ভাই আক্তার হোসেন গরু বিক্রি টাকা নিয়ে আসছিলো। সেই টাকা ও আমাদের স্বর্ণ অলংকার গুলো চুরি করে নিয়ে যায়। এঘটনায় তিনি দেলদুয়ার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে দেলদুয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোয়েব খান বলেন, ঘটনার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত পুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৫. জানুয়ারী ২০২৫ ০৭:৪৩:পিএম ৪ মাস আগে
৩১ দফা বাস্তবায়নে আটিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র জনসভা অনুষ্ঠিত - Ekotar Kantho

৩১ দফা বাস্তবায়নে আটিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র জনসভা অনুষ্ঠিত

একতার কন্ঠঃ বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের প্রতিশ্রুত ৩১ দফা জনগনের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে আটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আটিয়া ইউনিয়নের নান্দুরিয়া চক বাজারে ইউনিয়ন বিএনপি’র আয়োজনে এই জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।

আটিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম- আহ্বায়ক মোঃ মহব্বত হোসেন রানার সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদল নেতা মোঃ আলমগীর হোসেন।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি এসএম আলমগীর হোসেন।

জনসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন,ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম- আহ্বায়ক মোঃ ইব্রাহিম খলিল, মোঃ আব্দুল কুদ্দুস,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি রিপন চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক বাবুল খান, জেলা মহিলা দলের সহ-সভাপতি লায়লা আনজুমান বানু,উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইনসান আলী,উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ন-আহবায়ক মোঃ রায়হান,ছাত্রদল নেতা রাকিব আল হাসান শরৎ প্রমূখ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক জায়েদুর রহমান জাহিদ।

জনসভায় বক্তারা, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের প্রতিশ্রুত ৩১ দফার বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।

জনসভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও দলীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।

এ সময় ইউনিয়ন বিএনপির নেতা-কর্মীসহ বিপুলসংখ্যক বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিল।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৭. ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:৩৬:পিএম ৪ মাস আগে
দুবাই অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে খেলছে টাঙ্গাইলের ৩ ক্রিকেটার - Ekotar Kantho

দুবাই অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে খেলছে টাঙ্গাইলের ৩ ক্রিকেটার

একতার কণ্ঠঃ এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। যুব বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে ধরা হয় এই ওয়ানডে ফরমেটের টুর্নামেন্টকে। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ তাদের প্রথম ম্যাচ খেলবে শক্তিশালী আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। এই খেলায় বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলবেন টাঙ্গাইলের ৩ যুবা ক্রিকেটার।

তারা হলেন, বাঁহাতি ওপেনার রিফাত বেগ (১৮), ডানহাতি লেগব্রেক বোলার কাম ব্যাটসম্যান দেবাশীষ সরকার দেবা (১৮) ও ডানহাতি মিডিয়াম পেসার রিজান হোসেন (১৮)।

ইতিমধ্যে রবিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইলের এই ৩ ক্রিকেটার এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহন করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে মূল দলের সঙ্গে চলে গেছেন।

আসুন সংক্ষেপে জেনে নেওয়া যাক টাঙ্গাইলের এই ৩ প্রতিভাবান ক্রিকেটার সম্পর্কে –

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার কামান্য গ্রামে জন্মগ্রহন করা বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) প্রতিভাবান ক্রিকেটার বাঁহাতি ওপেনার রিফাত বেগ।

গত ১১ ফেব্রুয়ারী রাজশাহী শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে অনুর্ধ্ব-১৮ জাতীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে অপরাজিত ট্রিপল সেঞ্চুরী (৩২০) করে ইতিহাস গড়েছেন এই ক্রিকেটার। এই পর্যায়ের ক্রিকেটে এটাই কোন বাংলাদেশি ক্রিকেটারের সেরা ইনিংস। ৬৫০ মিনিট ক্রিজে থেকে ৪৮৩ বলে ২৯টি চার আর ৪টি ছক্কা হাঁকান রিফাত।

রিফাত বেগ জানান, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অপরিহার্য ক্রিকেটার হওয়াই তার স্বপ্ন। তৃতীয় শ্রেনীতে পড়ার সময় তারই বড় ভাই বরকতের হাত ধরে ক্রিকেট খেলার প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হয় তার। তার ধ্যান-জ্ঞান ক্রিকেট আর ক্রিকেট।

টাঙ্গাইলের আরেক যুবা ক্রিকেটার দেবাশীষ সরকার দেবা। টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার ফুলকী ইউনিয়নের ঝনঝনিয়া গ্রামের আশিষ সরকারের ছেলে। ছোট বেলা থেকেই ক্রিকেট খেলার প্রতি তীব্র আকর্ষণ‌ তাকে ক্রিকেট মাঠের মনোযোগী অলরাউন্ডার বানিয়েছে।

গত বছর বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হিসেবে ভারত সফর করেছেন তিনি। তার নেতৃত্বে ভারতের আঞ্চলিক দলের বিরুদ্ধে দু’টি ম্যাচেই বিশাল জয় উপহার দিয়েছেন। দেবাশীষ একজন পরিশ্রমী ও চতুর অফস্পিন বোলার কাম ব্যাটসম্যান। লক্ষ্য তার বাংলাদেশ জাতীয় দলের নিয়মিত ক্রিকেটার হওয়া।

টাঙ্গাইল শহরের প্যারাডাইস পাড়ায় জন্ম নেওয়া আবুল হোসেনের ছেলে রিজান হোসেন একজন ওপেনিং ব্যাটসম্যান ও ওপেনিং বোলার। সে প্রকৃতপক্ষে একজন জেনুইন অলরাউন্ডার।

ঢাকা বিভাগ (উত্তর) এর সহকারি ক্রিকেট কোচ ও টাঙ্গাইল জেলা ক্রিকেট কোচ মো. আরাফাত রহমান বলেন, টাঙ্গাইলের তিন জন মেধাবী যুবা ক্রিকেটার এবার কাতারে অনুষ্ঠিত অনুর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে খেলছে এটা অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের বিষয়। তারা তিনজনই আমার ছাত্র। আমার দৃঢ় বিশ্বাস তারা বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে খেলার যোগ্যতা রাখে। আমি তাদের সর্বাঙ্গীন উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯, ১৪ সদস্যের স্কোয়াডে রয়েছে, আজিজুল হাকিম তামিম (অধিনায়ক), জাওয়াদ আবরার (সহ-অধিনায়ক), রিফাত বেগ, সামিউন বশির রাতুল, দেবাশীষ সরকার দেবা, রিজান হোসেন, আল ফাহাদ, ইকবাল হাসান ইমন, রাফিউজ্জামান রাফি, ফরিদ হাসান ফয়সাল, মারুফ মৃধা, শিহাব জেমস, আশরাফুজ্জামান বরেণ্য এবং সাদ ইসলাম রাজিন।

অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে রাখা হয়েছে, কালাম সিদ্দিকী, শাহরিয়ার আজমীর, ইয়াসির আরাফাত এবং সানজিদ মজুমদারকে।

এবারের আসরে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ২৯ নভেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে। দ্বিতীয় ম্যাচে ১ ডিসেম্বর নেপালের মুখোমুখি হবে তামিমের দল। এরপর ৩ ডিসেম্বর গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে তারা লড়বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।

৬ ডিসেম্বর হবে দুটি সেমিফাইনাল। আর ৮ ডিসেম্বর দুবাইয়ে হবে ফাইনাল।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৮. নভেম্বর ২০২৪ ০৩:৪৫:এএম ৫ মাস আগে
টাঙ্গাইলে কলেজ ছাত্র ইমন হত্যা মামলা, আ’লীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে কলেজ ছাত্র ইমন হত্যা মামলা, আ’লীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত কলেজ ছাত্র ইমন হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ২ আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৪।

সোমবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জেলার দেলদুয়ার ও মির্জাপুর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

মঙ্গলবার( ৮ অক্টোবর) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩ কোম্পানি এর কমান্ডার মেজর মনজুর মেহেদী ইসলাম।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল ইউনিয়নের নাসির গ্লাস ইন্ডাস্ট্রির এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাকুল্ল্যা-বাইপাস সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেনকে (৪৫) গ্রেফতার করে র‌্যাব।

একই দিন জেলার মির্জাপুর উপজেলার দুল্লাবেগম এলাকায় অভিযান চালিয়ে উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফুল আলম বাচ্চুকে (৬৪) গ্রেফতার করে র‌্যাব।

গ্রেফতারকৃত দু’জন টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত কলেজ ছাত্র ইমন হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি।

র‌্যাব আরও জানায়, গ্রেফতারকৃত দুই জনকে মির্জাপুর থানা হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ধরনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৯. অক্টোবর ২০২৪ ০২:০২:এএম ৬ মাস আগে
টাঙ্গাইলে হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে হত্যা মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। টাঙ্গাইল স্পেশাল জর্জ আদালতের বিচারক দিলারা আলো চন্দনা সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে এই রায় দিয়েছেন।

দন্ডিত ব্যক্তির নাম রুহুল আমীন (৪৪)। তিনি টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার আগ এলাসিন গ্রামের তাজুল মিয়ার ছেলে। তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।

টাঙ্গাইলের সরকারী কৌশুলী (পিপি) এস আকবর খান জানান, বিগত ২০১২ সালের (১২ এপ্রিল) দন্ডিত রুহুল আমিনসহ আরও কয়েকজন আগ এলাসিন গ্রামের আলম বাদশার ছেলে ফিরোজ আল মামুনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ওই দিন রাতেই মামুন বাড়ি ফেরার পথে তার উপর হামলা করা হয়। হামলাকারীরা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে তাকে। পরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, পরদিন নিহত মামুনের মা শামসুন্নাহার বাদী হয়ে দেলদুয়ার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে গোয়েন্দা পুলিশ বিগত ২০১৩ সালের (২৭ মে) আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। মামলার অপর ৪ আসামী জাহাঙ্গীর, আনিসুর রহমান, কালু ও রবি’র বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় আদালত তাদের বেকসুর খালাস দেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৮. অক্টোবর ২০২৪ ০৩:৪৯:এএম ৭ মাস আগে
টাঙ্গাইলে পাটের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে পাটের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

একতার কণ্ঠঃ আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় টাঙ্গাইলে চলতি বছর পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রথম দিকে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের অভাবে পাট আবাদ করতে সমস্যা হলেও মৌসুমের শেষ দিকে এসে বৃষ্টি হওয়ায় পাটের আবাদ বৃদ্ধি পায়। নিবিড় পরিচর্যা আর কৃষি অফিসের পরামর্শের কারণে পাটের তেমন কোনো রোগবালাই নেই। পাটের বাজারদর ভালো হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে।

পাট চাষিরা বলছে, পাটের ভাল দাম পেতে শতভাগ পলিথিনের বস্তা পরিহারের পাশাপাশি দেশের সকল পাটকল চালু ও বিদেশে রপ্তানির উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকে।

টাঙ্গাইলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দাম ভাল পাওয়ায় জেলায় প্রতিবছরই বাড়ছে সোনালী আঁশ চাষ। গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ১৯ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৫২ হাজার ৫৫৮ বেল উৎপাদন হয়েছে। চলতি মৌসুমে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ১৯ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৩০ হাজার ৬৯০ বেল পাট উৎপাদন হবে। চলতি বছরের পাট আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৯ হাজার ৬’শ হেক্টর। লক্ষমাত্রার চেয়ে ৫০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ বেশি হয়েছে। চলতি বছর জেলায় ৬ হাজার ২’শ জন কৃষককে এক কেজি করে পাটের বীজ বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, জেলার ১২টি উপজেলায় পাটের আবাদ করা হয়েছে। চাষিরা এখন ব্যস্ত জাগ দেওয়া পাটের আঁশ ছাড়াতে। বেশিরভাগ জমির পাটই কাটা শেষ হয়ে গেছে। এর অধিকাংশই জাগ দেওয়া হয়ে গেছে। অনেকে পাট থেকে আঁশ ছাড়াচ্ছেন। কেউ বা পাটশোলার আঁটি বেঁধে রোদে শুকাচ্ছেন। কেউ আবার পাট ভাঁজ করে রোদে মেলে দিচ্ছেন। পাট ও পাটশোলার বাজার দরও ভালো। মণ প্রতি সাড়ে তিন হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাটের আঁশ বিক্রি করে যেমন কৃষক টাকা পায় তেমনি পাটের কাঠি জ্বালানি হিসেবে, ঘরের বেড়া দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হয়। ধীরে ধীরে আবার সোনালী আঁশের রাজত্ব ফিরে আসছে এ জেলাতে।

পাট চাষিরা জানান, দেশি, তোষা, কেনাফ, রবি-১ ও ভারতীয় বঙ্গবীর জাতের পাট সব থেকে বেশি আবাদ হয়। পাট অফিস ও কৃষি অফিস থেকে প্রায় প্রতিবছর পাটের বীজ ও সার বিনামূল্যে দেওয়া হয়। কিন্তু এই বীজ গুলো সময় মতো আমাদের কাছে পৌঁছায় না। এতে পাটের আবাদ ব্যাহত হয়। সময় মতো পাট বীজ হাতে পেলে আবাদ অনেক অংশে বৃদ্ধি পাবে।

দেলদুয়ার উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের আগ দেউলী গ্রামের কৃষক শাহাদৎ হোসেন বলেন, পাট আবাদের প্রথম দিকে বৃষ্টি না থাকায় সেচ দিয়ে পাট বপণ করেছিলাম। যে পাট গুলো বীজ বপন করেছিলাম সেগুলো চার হাজার টাকা মণ বিক্রি করেছি। পরে পাট গুলো ৩৪০০ থেকে ৩৫০০ টাকা মণ বিক্রি করেছি। এখনো আমার কিছু পাট কাটা বাকি রয়েছে। সেগুলোর দাম কেমন পাবো এখনো বুঝা যাচ্ছে না। তবে পাটের যে ফলন হয়েছে এখন যে দাম রয়েছে তাতে আমরা অনেক খুশি।

একই গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, এবছর আমি ৪ বিঘা জমিতে পাট আবাদ করেছি। প্রতি বিঘায় সাত মণ ফলন হয়েছে। ৪ বিঘা জমির পাট ৩৪০০ টাকা মন হারে বিক্রি করে ৯৫ হাজার টাকা পেয়েছি। ৪ বিঘা জমির পাট আবাদ করতে আমার খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। এতে আমার ৫৫ হাজার টাকার উপরে লাভ হয়েছে।

কৃষক ছানোয়ার হোসেন বলেন, আমি ১০ শতাংশ জমি বর্গা নিয়ে পাট চাষ করেছিলাম। এতে তিন মণ পাট পেয়েছিলাম। প্রথমে যে বাছ পাট পেয়েছিলাম সেগুলো ২৪০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছি। পরের পাট ৩৮০০ টাকা মণ বিক্রি করেছি।

দেলদুয়ার উপজেলার ছিলিমপুর হাটের পাট ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে পাট কিনে বাংলাদেশের বিভিন্ন মিল পার্টির কাছে বিক্রি করি। এছাড়া প্রতি শুক্রবার ছিলিমপুর হাটে কৃষকদের কাছ থেকে পাট কেনা হয়। হাটের দিনে প্রায় ৫’শ থেকে ৬’শ মণ পাট কেনাবেচা হয়। এ বছর ৩৫০০ থেকে ৩৮০০ টাকা মণ দরে পাট কিনছি। মণে ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে লাভ করে বিভিন্ন মিল পার্টির কাছে বিক্রি করি।

জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান খান জানান, পাট অধিদপ্তর থেকে চলতি বছর জেলার ১২টি উপজেলার ৩৬ হাজার কৃষককে এক কেজি পাট বীজ ও ১২ কেজি করে সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও তালিকাভুক্ত ৯’শ জন কৃষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

টাঙ্গাইলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার দুলাল উদ্দিন বলেন, পাট চাষিদের সুদিন ফিরেছে। পাটের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবার পাট চাষে ঝুঁকেছে কৃষক। পাট চাষ করে কৃষক এখন অনেক লাভবান হচ্ছেন। কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৫. সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৪৮:এএম ৮ মাস আগে
বিএনপি নেতা স্বপন ফকিরের আর্থিক সহায়তা পেল আহত আরও ৯ পরিবার - Ekotar Kantho

বিএনপি নেতা স্বপন ফকিরের আর্থিক সহায়তা পেল আহত আরও ৯ পরিবার

একতার কণ্ঠঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত আরও ৯ পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব ফকির মাহবুব আনাম স্বপন (স্বপন ফকির)।

বিএনপি’র চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দিনব্যাপি জেলার দেলদুয়ার, নাগরপুর ও মির্জাপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের আহত পরিবারের হাতে এই আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়া হয়।

আহতদের মাঝে আর্থিক সহযোগিতা তুলে দেন- কেন্দ্রীয় বিএনপি’র শিশু বিষয়ক সম্পাদক ও মির্জাপুর-৭ আসনের সাবেক এমপি আবুল কালাম সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মির্জাপুর উপজেলা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট আব্দুর রউফ, সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন আরিফ, দেলদুয়ার উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি চাঁন খান, সাধারণ সম্পাদক এস এম ফেরদৌস, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক দুর্জয় হোড় শুভ, সদস্য সচিব এম এ বাতেন, জেলা ছাত্রদল নেতা মাহমুদুল হাসান শরীফ ও টাঙ্গাইল জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ববৃন্দ।

এরআগে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করা ধনবাড়ীর ইকরামুল হক সাজিদ, পোশাককর্মী বিপ্লব, ভূঞাপুরের ফিরোজ তালুকদার পলাশ ও গোপালপুরের নলিন গ্রামের কলেজছাত্র ইমনসহ জেলার মধুপুর, টাঙ্গাইল সদর, মির্জাপুর, দেলদুয়ার ও নাগরপুর উপজেলায় আহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত নিহত ও আহত ৩২ পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন মাহবুব আনাম স্বপন (স্বপন ফকির)। এই সহায়তা কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানা গেছে ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০১. সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:২০:এএম ৮ মাস আগে
সাংবাদিক আনিছ খানের স্ত্রী আর নেই - Ekotar Kantho

সাংবাদিক আনিছ খানের স্ত্রী আর নেই

একতার কণ্ঠঃ মাই টিভি’র টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর-দেলদুয়ার উপজেলা প্রতিনিধি আনিছ খানের স্ত্রী রুনি খন্দকার বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকালে ঢাকার শমরিতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন, (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৩৬ বছর। তিনি স্বামী, দুই মেয়েসহ অসংখ্য আত্বীয়-স্বজন রেখে গেছেন।

বৃহস্পতিবার বাদ যোহর টাঙ্গাইলের সন্তোষ জাহ্নবী স্কুল মসজিদের সামনে মরহুমার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক নাসির উদ্দিন, যুগ্ম-সম্পাদক ইফতেখারুল অনুপম, মাই টিভির টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি মির্জা মাসুদ রুবলসহ সাংবাদিকবৃন্দ, মরহুমার আত্বীয়-স্বজন ও এলাকাবাসীরা জানাজার নামাজে অংশ নেন।

জানাজার নামাজ শেষে টাঙ্গাইল বেবিস্ট্যান্ড কেন্দ্রীয় গোরস্থানে মরহুমার মরদেহ দাফন করা হয়।

তার মৃত্যুতে বানিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ও মরহুমার শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২১. জুন ২০২৪ ০১:২৭:এএম ১০ মাস আগে
টাঙ্গাইলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে ২৯ বছর যাবত চলছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়! - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে ২৯ বছর যাবত চলছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়!

একতার কণ্ঠঃ টানা ২৯ বছর ধরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের অলোয়া তারিনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম।

বিদ্যালয় ভবনে কোচিং বাণিজ্য, উপবৃত্তির আবেদনের নামে টাকা নেওয়া, শিক্ষার্থী কমে যাওয়া, মাধ্যমিক পাশ করা পছন্দের ব্যক্তি টাঙ্গাইল পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফারুক হোসেনকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মনোনয়ন দেওয়াসহ গুরুত্বর অসংখ্য শিক্ষা নৈরাজ্যের অভিযোগ রয়েছে ভারপ্রাপ্ত ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

এরপরও উচ্চ আদালতে পদ বহাল রাখার মামলা করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন রথিন্দ্রনাথ সরকার কাজল নামের ওই শিক্ষক।

পদটি বহাল রাখতে উচ্চ আদালতে নিজে বাদি হয়ে মামলা করে দায়িত্ব পালন করছেন রথিন্দ্রনাথ সরকার কাজল বলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছেন। মামলাটি চলমান থাকায় অসংখ্য অভিযোগ সত্ত্বেও তাকে বদলী করতে পারছেন না বলেও জানান তারা।

যদিও ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিদ্যালয়-২ শাখার জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে নূন্যতম স্নাতক ডিগ্রীধারী ব্যক্তি বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি করার বিধান রাখা হয়েছে। তবে অলোয়া তারিনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমান সভাপতি টাঙ্গাইল পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফারুক হোসেনের শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ.এস.সি পাশ বলে স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও পৌরসভার ওয়েবসাইটে পৌর পরিষদের মেয়র ও কাউন্সিলরগণের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর ও শিক্ষাগত যোগ্যতা লেখা থাকলেও টাঙ্গাইল পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফারুক হোসেনের মোবাইল নম্বর ব্যতিত অন্য কোন তথ্য দেওয়া হয়নি।

অন্যদিকে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেওয়ার বিধান থাকলেও এ বিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থীই রয়েছে বঞ্চিত। অপরদিকে উপবৃত্তির আবেদনের নামে ৫০ থেকে ৩’শ টাকা ফি নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

জানা যায়, ১৯৯৪ সালে ৪২ শতাংশ জমির উপর টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নে স্থাপিত হয় অলোয়া তারিনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১৯৯৫ সালের ১১ মার্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন রথিন্দ্রনাথ সরকার কাজল। তৎকালিন সময়ে এটি ছিল কমিউনিটি বিদ্যালয়। কিছুদিন পর এটি রেজিস্টার ও ২০১৩ সালে হয় জাতীয়করণ। বর্তমানে এর ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১১২জন। এর মধ্যে ৫ম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে ২৬ জন। বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকসহ রয়েছেন চার জন সহকারি শিক্ষক।

বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, ২০১৭-১৮ সালে তৃতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় দ্বিতল বিশিষ্ট অতিরিক্ত একটি শ্রেণী কক্ষ নির্মাণ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। আছে পাকা একটি সৌচাগারও। নেই পানিপানের কোন টিউবওয়েল। কোন এক সময় টিউবওয়েল থাকলেও স্মৃতি স্বরূপ এখন রয়েছে শুধু পাইপ।

ছাত্র-ছাত্রীরা জানায়, প্রায় তিন বছর যাবৎ আমাদের স্কুলের টিউবওয়েল নষ্ট হয়েছে। পানির অভাবে আমাদের ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। অন্যের বাড়িতে গিয়ে পানি খাই আমরা। এছাড়া আমাদের অনেকেই উপবৃত্তি পাচ্ছেনা। কাজল স্যারও প্রতিদিন স্কুলে আসেন না বলে জানায় তারা।

দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী নুসরাত, তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী সামিরা, তানিসা আক্তার, জাকিয়া, চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী লামিয়া, জুঁই, ইব্রাহিম, শাহিন আলম,পঞ্চম শ্রেণীর সিহাব, সিয়ামসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী উপবৃত্তি থেকে রয়েছে বঞ্চিত।

পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র রিফাতের মা বলেন, উপবৃত্তির জন্য ৫০ টাকা নিয়েছেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কাজল মাস্টার। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণী পর্যন্ত আমার ছেলে উপবৃত্তির টাকা পেলেও গত তিন বছর যাবৎ পাচ্ছেনা। কেন উপবৃত্তির টাকা আসছেনা জানতে গেলে স্যার শুধু বলেন আসবোনি।

৩য় শ্রেণীর ছাত্রী জাকিয়ার নানী ও অলোয়া গ্রামের শেরিনা বলেন, উপবৃত্তির জন্য আমার ও জাকিয়ার নানার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপিসহ জন্ম নিবন্ধনের জন্য কাজল স্যার আমার কাছ থেকে ২’শ টাকা নিয়েছেন। এরপরও আমার নাতনী উপবৃত্তির টাকা পাচ্ছেনা।

চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র আহাদ এর বাবা সবুজ মিয়া বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীতে উপবৃত্তি পেলেও তৃতীয় আর চতুর্থ শ্রেণীতে উপবৃত্তি পায়নি। কেন পাচ্ছে জানতে চাওয়ায় কাজল স্যার আমার কাছে ইংরেজী ও বাংলা জন্মসনদ দাবি করেন। জন্মসনদ দেওয়ার পরও উপবৃত্তি পাচ্ছেনা আমার সন্তান। এখন স্যার বলেছেন এটি দেলদুয়ার প্রাথমিক অফিসের সমস্যা।

নাহিদ, জিহাদসহ একাধিক ৫ম শ্রেণীর ছাত্ররা জানায়, মাসে ৩’শ টাকা নিয়ে তাদের বিদ্যালয় ভবনে কোচিং করাচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রথিন্দ্রনাথ সরকার কাজল। মোট ২৬জন ছাত্র-ছাত্রী পড়ছে এই কোচিং এ। সকাল ৬ টা থেকে ৮টা পর্যন্ত তাদের পড়ানো হচ্ছে। এছাড়া সাড়ে ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত স্কুলে ক্লাস করে তারা।

অভিভাবক রিনা বলেন, টিউবওয়েল নেই, পায়খানায় তালা দিয়ে রাখাসহ বাচ্চাদের দিয়ে কাজ করানোর পাশাপাশি ঠিক মত পড়াশোনা করানো হয়না। প্রতিবাদ ও বক্তব্য দেয়ার কারণে আমাদের সন্তানদের সমস্যা করবেন কাজল মাস্টার বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
জীবন সুত্রধর বলেন, ইউনিয়নের স্থায়ি লোক ছাড়া স্কুলে চাকুরি দেয়া হবেনা নিয়োগে এমন শর্ত ছিল সে সময়। কাজল মাস্টারের বাড়ি পৌরসভার অংশে পরায় চাকুরিটা হচ্ছিলানা তার। এ কারণে কাজল মাস্টার আমার বাবা প্রয়াত তারাপদ সুত্রধরের কাছে অনুরোধ করে ও টাকা ছাড়া পাথরাইল ইউনিয়নের অলোয়া তারিনীর তিন শতাংশ জমি লিখে নিয়ে স্থায়ি ঠিকানা দেখায়। চাকুরি পাওয়ার পর জমিটি ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন কাজল মাস্টার। চাকুরি পেয়ে এখন জমিটি ফিরিয়ে দেয়ার কথাই বলছেননা। কাজল মাস্টার একজন প্রতারক। জমি লিখে নেয়ার বিষয়টি গ্রামের সকল মানুষই জানে বলে জানান তিনি। জমিটি ফিরে পেতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ শিক্ষা বিভাগের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।

স্থানীয় মাতাব্বর জুলহাস বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রথিন্দ্রনাথ সরকার কাজল ও সহকারি শিক্ষক কোরবান আলী এক হয়ে স্কুলে অনিয়ম ও দূর্নীতির স্বর্গ রাজ্য গড়ে তুলেছেন। উপবৃত্তির আবেদনের নামে টাকা নেয়ার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তাদের কারণে দিনদিন স্কুলের মান নিচের দিকে যাচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীরা এখনও স্কুলের নামটিই ঠিক মত বলতে পারেনা, স্কুলের নাম বলে কাজল মাস্টারের স্কুল। ইতোপূর্বে আমরা তাদের অনিয়ম ও দূনীতির প্রতিবাদে লিখিত অভিযোগ করেছি, কিন্তু এরপরও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা হয়নি।

তিনি বলেন, এই স্কুলে চাকুরি নেয়ার জন্য পাথরাইল ইউনিয়নের স্থায়ি বাসিন্দা হওয়ার শর্ত ছিল। তবে কাজল মাস্টারের বাড়ি ছিল পৌরসভা এলাকায়। চাকুরি পেতে তিনি প্রয়াত তারাপদ সুত্রধরের কাছে অনুরোধ করে ও টাকা ছাড়া তিন শতাংশ জমি লিখে নিয়ে স্থায়ি ঠিকানা বানায়। চাকুরি পাওয়ার পর জমিটি ফিরিয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছিল কাজল মাস্টার, কিন্তু চাকুরি পেয়ে এখন তার সন্তানদের জমিটি ফিরিয়ে দিচ্ছেননা তিনি।

তিনি আরও বলেন, কাজল মাস্টার নিজের পছন্দের লোকজন নিয়ে পরিচালনা কমিটি করে দূর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন। দ্রুত তার অপসারণ ও সরাসরি প্রধান শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানান তিনি।

দিনদিন ছাত্র ছাত্রী কমে যাওয়ার কথা স্বাীকার করে ১৯৯৫ সাল থেকে বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত কোরবান আলী বলেন, এর আগে আমাদের বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রী ছিল ১৮৫জন। এরপর কমে গত বছর হয় ১৩৫জন আর এখন আছে ১১২জন। পাশাপাশি অলোয়া তারিনী নূরাণী হাফিজিয়া মাদরাসা ও নতুন কূড়ি কিন্ডার গার্ডেন গড়ে উঠায় ছাত্র ছাত্রী কমছে বলে জানান তিনি।

বিদ্যালয়ের জামিদাতা ও পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আমি দশ বছর যাবৎ এ বিদ্যালয়ে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। আমি সভাপতির দায়িত্বে থাকা অবস্থায় জানতে পারি টাঙ্গাইল পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুককে সভাপতি বানানো হয়েছে। কিভাবে আর কাদের নিয়ে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠণ করা হয়েছে, সেটি আমি বা স্থানীয় কেউই জানেন না।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রথিন্দ্রনাথ সরকার কাজল বলেন, মামলা চলমান থাকায় ২৯বছর যাবৎ আমি এ বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। সাক্ষাতে আপনার চাওয়া সকল তথ্য আমি দিব বলে আর যোগাযোগ করেননি।
একাধিকবার মুঠোফোনে চেষ্টা করা হলেও বিদ্যালয়ের সভাপতি ও টাঙ্গাইল পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফারুক হোসেন ফোন রিসিভ করেননি।

দেলদুয়ার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গৌড় চন্দ্র বলেন, আমরাও ওই শিক্ষকের অপকর্মের বেশ কিছু সংবাদ দেখেছি। তবে উচ্চ আদালতে উনার করা স্ব পদে বহাল রাখার একটি মামলা চলমান থাকায় তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারছিনা। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বিষয়টি আমি দেখবো এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে অবগত করা হবে।

এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার বনিক জানান, উচ্চ আদালতে স্ব পদে বহাল রাখার জন্য করা তার একটি মামলা চলমান থাকার সুযোগ নিয়ে রথিন্দ্রনাথ সরকার কাজল অলোয়া তারিনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এতদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ওই মামলার কারণে উনাকে বদলীও করা যাচ্ছেনা।

তিনি বলেন, তবে উনার বিরুদ্ধে নানা ধরণের অপকর্মের সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় শিক্ষকদের মানহানী হচ্ছে। শিক্ষকদের সম্মান রক্ষা, বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করাসহ অনিয়মের বিষয়গুলো উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৩. জুন ২০২৪ ০৩:১০:এএম ১০ মাস আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।