একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সর্ব বৃহৎ পাইকারী বাজার পার্ক বাজারের ব্যবসায়ীদের সংগঠন মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান চাঁদ বাজার(পার্ক বাজার) দোকান মালিক ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির উদ্যোগে এক জাঁকজমক প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার(২৮ ডিসেম্বর) বিকালে টাঙ্গাইল আউটার স্টেডিয়ামে এই ফুটবল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।
মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান চাঁদ বাজার(পার্ক বাজার) দোকান মালিক ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. বাবলু মিয়ার সভাপতিত্বে ও আমির হামজা রুবেলের সঞ্চলনায় প্রীতি ফুটবল ম্যাচের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মো. আজগর আলী।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা সমবায় অফিসার ওয়াজেদ আলী, বিআরডিপির চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম বাদল, পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মালেক সরকার, দৈনিক মজলুমের কন্ঠ পত্রিকার সহ-সম্পাদক এস এম আওয়াল মিয়া, জেলা ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নুরুল ইসলাম, জেলা জাসাসের যুগ্ম আহবায়ক মাহবুবুর রহমান সুমন, পৌর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফিরোজ বেপারী, আলহাজ্ব এছাক আলী, মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান চাঁদ বাজার (পার্ক বাজার) দোকান মালিক ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় সাহা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. শাহাজাদা হোসেন, ব্যবসায়ী ফিরোজুর রহমান ফিরোজ, মো. হাবিবুর রহমান হাবু, আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল আলীম, আজিবর রহমান, ও মো. রকিসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।
এরআগে কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন ও পার্ক বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. বাবুল মিয়া।
পরে পার্ক বাজারে কর্মরত ব্যবসায়ীরা লাল ও নীল দলে বিভক্ত হয়ে একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচে অংশ গ্রহন করে। খেলায় সবুজ দল ৪-১ গোলে লাল দলকে হারিয়েছে।
এ সময় বিপুল সংখ্যক দর্শক প্রীতি ফুটবল ম্যাচটি উপভোগ করেন।
একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গেইম ডেভেলপমেন্ট কমিটির আয়োজনে ও টাঙ্গাইল জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় ইয়ং টাইগার্স অনূর্ধ্ব-১৮ জাতীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৪-২৫ সিজনে ঢাকা বিভাগ উত্তরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টাঙ্গাইল জেলা অনুর্ধ্ব-১৮ দল।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) টাঙ্গাইল শহিদ মারুফ স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের ফাইনালে টাঙ্গাইল জেলা অনুর্ধ্ব-১৮ ক্রিকেট দল ১১ রানের ব্যবধানে কিশোরগঞ্জ জেলা অনুর্ধ্ব-১৮ ক্রিকেট দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই খেলায় ম্যান অব দ্যা ফাইনাল হবার গৌরব অর্জন করে টাঙ্গাইল জেলা দলের বোলার মুনতাসির রহমান।
সকালে টস জয়ী টাঙ্গাইল জেলা ক্রিকেট দল প্রথমে ব্যাটিং করে ২৯ ওভারে ১০ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান করে। দলের পক্ষে সামিউল আলম ৫০ বলে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করে। এছাড়া আবিদ হোসেন ২২ রান করে।
বোলিংয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা ক্রিকেট দলের রোমান ও বাদশা যথাক্রমে ১৮ ও ২৫ রান দিয়ে ৩টি করে উইকেট লাভ করে।
জবাবে কিশোরগঞ্জ জেলা ক্রিকেট দল- ৪১ওভার ২ বলে ১০ উইকেটে ১২২ রান করে অলআউট হয়। ফলে টাঙ্গাইল জেলা ১১ রানে জয়লাভ করে। কিশোরগঞ্জ জেলা দলের পক্ষে তামিম ভূঁইয়া সাকিব ৭৬ বলে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করে। এছাড়া ইমরান মিয়া ও বাদশা দু’জনেই ২১ করে রান করে।
বিজয়ী টাঙ্গাইল জেলা দলের মুনতাসির রহমান ১০ ওভার বল করে ৩৪ রানে বিনিময়ে ৩টি উইকেট দখল করে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়।
খেলায় আম্পায়ার ছিলেন বজলুর রহমান ও আসিফুর রহমান।সাথে স্কোরার ছিলেন ভ্রমর চন্দ্র ঘোষ ঝোটন।
খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,টাঙ্গাইলের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ শিহাব রায়হান।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) জিয়াউল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ফাহিম শাহরিয়া, জেলা ক্রীড়া অফিসার আফাজ উদ্দিন, কিশোরগঞ্জ জেলা ক্রীড়া অফিসার মাছুদ রানা।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করে,টাঙ্গাইল জেলা ক্রিকেট কোচ আরাফাত রহমান। ।
উল্লেখ্য,টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলার দুই ভেন্যুতে ২টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ৮টি জেলা অংশগ্রহন করেছিলো। টাঙ্গাইল ভেন্যুতে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে অনুর্ধ্ব-১৮ জাতীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার (১ ডিসেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল শহীদ মারুফ স্টেডিয়ামে জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সার্বিক সহযোগীতায় অনুর্ধ্ব-১৮ জাতীয় ক্রীকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাহিদা আক্তার।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিভাগীয় সহকারী ক্রিকেট কোচ (ঢাকা উওর) ও টুর্নামেন্টের সিলেক্টর মো. আরাফাত রহমান, টাঙ্গাইল জেলা ক্রিকেটার কল্যান সমিতির সভাপতি আবু নাসের মানিক, টাঙ্গাইল জেলা অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের ম্যানেজার শাহ আজিজ তালুকদার বাপ্পি প্রমূখ। এসময় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চাণা করেন টাঙ্গাইল জেলা ক্রীড়া অফিসার মো. আফাজ উদ্দিন।
উল্লেখ্য, উদ্বোধনী খেলায় কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ জেলা অংশগ্রহন করেন। এই টুর্নামেন্টে ৫ টি জেলা অংশগ্রহন করবে। জেলা গুলো হলো, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ , নেত্রকোনা, গাজীপুর ও নরসিংদী জেলা দল।
একতার কণ্ঠঃ এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। যুব বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে ধরা হয় এই ওয়ানডে ফরমেটের টুর্নামেন্টকে। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ তাদের প্রথম ম্যাচ খেলবে শক্তিশালী আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। এই খেলায় বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলবেন টাঙ্গাইলের ৩ যুবা ক্রিকেটার।
তারা হলেন, বাঁহাতি ওপেনার রিফাত বেগ (১৮), ডানহাতি লেগব্রেক বোলার কাম ব্যাটসম্যান দেবাশীষ সরকার দেবা (১৮) ও ডানহাতি মিডিয়াম পেসার রিজান হোসেন (১৮)।
ইতিমধ্যে রবিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইলের এই ৩ ক্রিকেটার এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহন করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে মূল দলের সঙ্গে চলে গেছেন।
আসুন সংক্ষেপে জেনে নেওয়া যাক টাঙ্গাইলের এই ৩ প্রতিভাবান ক্রিকেটার সম্পর্কে –
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার কামান্য গ্রামে জন্মগ্রহন করা বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) প্রতিভাবান ক্রিকেটার বাঁহাতি ওপেনার রিফাত বেগ।
গত ১১ ফেব্রুয়ারী রাজশাহী শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে অনুর্ধ্ব-১৮ জাতীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে অপরাজিত ট্রিপল সেঞ্চুরী (৩২০) করে ইতিহাস গড়েছেন এই ক্রিকেটার। এই পর্যায়ের ক্রিকেটে এটাই কোন বাংলাদেশি ক্রিকেটারের সেরা ইনিংস। ৬৫০ মিনিট ক্রিজে থেকে ৪৮৩ বলে ২৯টি চার আর ৪টি ছক্কা হাঁকান রিফাত।
রিফাত বেগ জানান, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অপরিহার্য ক্রিকেটার হওয়াই তার স্বপ্ন। তৃতীয় শ্রেনীতে পড়ার সময় তারই বড় ভাই বরকতের হাত ধরে ক্রিকেট খেলার প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হয় তার। তার ধ্যান-জ্ঞান ক্রিকেট আর ক্রিকেট।
টাঙ্গাইলের আরেক যুবা ক্রিকেটার দেবাশীষ সরকার দেবা। টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার ফুলকী ইউনিয়নের ঝনঝনিয়া গ্রামের আশিষ সরকারের ছেলে। ছোট বেলা থেকেই ক্রিকেট খেলার প্রতি তীব্র আকর্ষণ তাকে ক্রিকেট মাঠের মনোযোগী অলরাউন্ডার বানিয়েছে।
গত বছর বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হিসেবে ভারত সফর করেছেন তিনি। তার নেতৃত্বে ভারতের আঞ্চলিক দলের বিরুদ্ধে দু’টি ম্যাচেই বিশাল জয় উপহার দিয়েছেন। দেবাশীষ একজন পরিশ্রমী ও চতুর অফস্পিন বোলার কাম ব্যাটসম্যান। লক্ষ্য তার বাংলাদেশ জাতীয় দলের নিয়মিত ক্রিকেটার হওয়া।
টাঙ্গাইল শহরের প্যারাডাইস পাড়ায় জন্ম নেওয়া আবুল হোসেনের ছেলে রিজান হোসেন একজন ওপেনিং ব্যাটসম্যান ও ওপেনিং বোলার। সে প্রকৃতপক্ষে একজন জেনুইন অলরাউন্ডার।
ঢাকা বিভাগ (উত্তর) এর সহকারি ক্রিকেট কোচ ও টাঙ্গাইল জেলা ক্রিকেট কোচ মো. আরাফাত রহমান বলেন, টাঙ্গাইলের তিন জন মেধাবী যুবা ক্রিকেটার এবার কাতারে অনুষ্ঠিত অনুর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে খেলছে এটা অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের বিষয়। তারা তিনজনই আমার ছাত্র। আমার দৃঢ় বিশ্বাস তারা বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে খেলার যোগ্যতা রাখে। আমি তাদের সর্বাঙ্গীন উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯, ১৪ সদস্যের স্কোয়াডে রয়েছে, আজিজুল হাকিম তামিম (অধিনায়ক), জাওয়াদ আবরার (সহ-অধিনায়ক), রিফাত বেগ, সামিউন বশির রাতুল, দেবাশীষ সরকার দেবা, রিজান হোসেন, আল ফাহাদ, ইকবাল হাসান ইমন, রাফিউজ্জামান রাফি, ফরিদ হাসান ফয়সাল, মারুফ মৃধা, শিহাব জেমস, আশরাফুজ্জামান বরেণ্য এবং সাদ ইসলাম রাজিন।
অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে রাখা হয়েছে, কালাম সিদ্দিকী, শাহরিয়ার আজমীর, ইয়াসির আরাফাত এবং সানজিদ মজুমদারকে।
এবারের আসরে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ২৯ নভেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে। দ্বিতীয় ম্যাচে ১ ডিসেম্বর নেপালের মুখোমুখি হবে তামিমের দল। এরপর ৩ ডিসেম্বর গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে তারা লড়বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
৬ ডিসেম্বর হবে দুটি সেমিফাইনাল। আর ৮ ডিসেম্বর দুবাইয়ে হবে ফাইনাল।
একতার কণ্ঠঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিহত শহীদদের স্মরনে “শহীদ স্মৃতি ক্রিকেটার্স কাপ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট-২৪” ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। খেলায় আমেনা স্পোর্টস হাউস চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল ক্রিকেট খেলোয়ার কল্যাণ সমিতির আয়োজনে ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা এবং ওয়ালটনের সার্বিক সহযোগিতায় টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
ফাইনাল খেলায় আমেনা স্পোর্টস হাউস ও টাঙ্গাইল ইউনিক ক্লাব অংশগ্রহন করে। শুরুতে টাঙ্গাইল ইউনিক ক্লাব টসে জিতে ব্যাটিং করে ১৮ ওভার ১ বলে ৭১ রান করে। বিপরীতে আমেনা স্পোর্টস হাউস ২ উইকেট হারিয়ে ৮ ওভার ৪ বলে ৭৬ রান করে।
আমেনা স্পোর্টস হাউস ৮ উইকেটে বিজয়ী হয়।
এই খেলায় দেবাশীষ ২২ বলে ২১ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহ করে।
পরে বিজয়ী ও টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ স্কোরারদের মাঝে পুরষ্কার বিতরন করা হয়। পুরষ্কার বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সঞ্জয় কুমার মহন্ত, বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন,জেলা ক্রীড়া অফিসার মো. আফাজ উদ্দিন, পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন গ্রুপের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক (গেমস অ্যান্ড স্পোর্টস, মার্কেটিং) এফএম ইকবাল-বিন-আনোয়ার (ডন), টাঙ্গাইল জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারন সম্পাদক আলী ইমাম তপন, দৈনিক পথে প্রান্তরে পত্রিকার সম্পাদক ফিরোজ মান্না, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এসএসএস এর সহকারী পরিচালক (মানব সম্পদ ও প্রশাসন) মোহাম্মদ ফয়সাল আহমেদ, টাঙ্গাইল জেলা যুবদলের সদস্যসচিব তৌহিদুর ইসলাম বাবুসহ খেলায় অংশগ্রহনকারী ক্লাবের কর্মকর্তা, খেলোয়ার ও টাঙ্গাইল ক্রিকেট খেলোয়ার কল্যাণ সমিতির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পুরষ্কার বিতরন অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন টাঙ্গাইল ক্রিকেট খেলোয়ার কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবু নাসের মানিক।
এ সময় ম্যান অফ দ্যা টুর্নামেন্ট রিজান, সর্বোচ্চ উইকেট রিফাত আল জাবির, সর্বোচ্চ রান তালহা, টুর্নামেন্টের সেরা ক্যাচ সোহাগ ও ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ মো. হাসানকে পুরস্কার দেয়া হয়। পরে দুই দলকে চ্যাম্পিয়ান ও রানারআপের পুরস্কার দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১লা নভেম্বর) সকাল ১০টায় টাঙ্গাইল ক্রিকেট খেলোয়ার কল্যাণ সমিতির আয়োজনে জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও ওয়ালটনের সার্বিক সহযোগিতায় টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে “ শহীদ স্মৃতি ক্রিকেটার্স কাপ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট-২০২৪ ” শুরু হয়। এই টুর্নামেন্টে মোট ৮ টি ক্রিকেট দল অংশগ্রহণ করে।
এই ৮ টি ক্রিকেট দল গ্রুপ “এ” তে ইয়ং স্পোর্টিং ক্লাব, টাঙ্গাইল টাইগার্স, টাঙ্গাইল ইউনিক ক্লাব ও আরামবাগ স্পোর্টিং ক্লাব এবং গ্রুপ “বি” তে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব, সখিপুর ক্রিকেট এলিভেন, কালিহাতী গ্রিন ওয়ারিয়স ও আমেনা স্পোর্টস হাউস অংশগ্রহণ করে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে বিবেকানন্দ হাইস্কুল এন্ড কলেজের ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপের (ভিএফসি) উদ্বোধন করা হয়েছে।
রবিবার (২৩ জুন)সকালে টাঙ্গাইল জেলা স্টেডিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে এ চ্যাম্পিয়নশীপের উদ্বোধন করে জেলা প্রশাসক কায়সারুল ইসলাম।
টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মীর্জা মঈনুল ইসলাম লিম্টু, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, ভিএফসি’র উপদেষ্টা মীর নাসিমুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কলেজের অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে।
এ সময় প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বর্ষের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। চ্যাম্পিয়নশীপে ১৫ টি দল অংশ গ্রহণ করবে। এতে বিবেকানন্দ হাইস্কুল এন্ড কলেজের এসএসসি ব্যাচ ২০১০ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সাবেক শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। আগামী ২৪ জুন ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল শহরের প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিবেকানন্দ হাইস্কুল এন্ড কলেজের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহনে বিবেকানন্দ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপের (ভিএফসি) জার্সি উম্মোচন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২১ জুন) সন্ধ্যায় জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে শহরের শহীদ স্মৃতি পৌরউদ্যানে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. ছানোয়ার হোসেন।
অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাফর আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, সদর উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান ইসতিয়াক আহমেদ রাজীব, বিবেকানন্দ হাইস্কুল এন্ড কলেজের পরিচালনা পরিষদের সদস্য আকরাম হোসেন কিসলু।
অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন অত্র কলেজের অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে, ভিএফসির উপদেষ্টা মীর নাসিমুল ইসলাম। এ সময় প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বর্ষের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে বিবেকানন্দ চ্যাম্পিয়নশীপ উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের গুরত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পৌরউদ্যানে গিয়ে শেষ হয়।
প্রসঙ্গত, বিবেকানন্দ হাইস্কুল এন্ড কলেজের এসএসসি ব্যাচ ২০১০ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ১৫ টি টিম খেলায় অংশগ্রহণ করবে। আগামী ২৩ জুন থেকে টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে এ খেলা শুরু হবে।
একতার কণ্ঠঃ দীর্ঘদিন পর টাঙ্গাইলের করটিয়া সরকারি সা’দত কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে করটিয়া সরকারি সা’দত কলেজ প্রাঙ্গণে ওই কলেজের উদ্যোগে এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ছানোয়ার হোসেন।
করটিয়া সরকারি সা’দত কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সুব্রত নন্দীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, সরকারি সা’দত কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর সুলতান আহম্মেদ, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আহবায়ক প্রফেসর শফিকুল ইসলাম ভূঁইঞা প্রমুখ।
এসময় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পরিচালনা করেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সাব্বির হাসান পল, অধ্যাপক ইমরুল কায়েস, ক্রীড়া শিক্ষক আব্দুস সাত্তার।
সা’দত কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সুব্রত নন্দীর প্রচেষ্টায় দীর্ঘদিন পর সরকারি সা’দত কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হওয়াতে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দরা আনন্দিত।
১৮টি ইভেন্টে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। পরে অতিথিরা বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
একতার কণ্ঠঃ মিক্সড মার্শাল আর্ট প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জয়ী টাঙ্গাইলের মো. হাফিজুর রহমানকে আর্থিক সহযোগিতা করলেন জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নিজ কার্যালয়ে বিজয়ীর হাতে উপহারটি তুলে দেন জেলা প্রশাসক।
স্বর্ণপদক জয়ী মো. হাফিজুর রহমান টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি উপজেলার পানকাতরা গ্রামের মো. আমির আলীর ছেলে। সে ধনবাড়ি সরকারি কলেজের এইচ.এস.সি (মানবিক বিভাগ) এর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
সম্প্রতি হাফিজুর ঢাকার মিরপুর স্টেডিয়ামে রয়েল বেঙ্গল ফাইটিং চ্যাম্পিয়শীপ প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জয় এবং শেখ কামাল স্মৃতি মার্শাল আর্ট প্রতিযোগিতা ও হাবিব’স এম এম এ একাডেমি ক্লাব ফাইটিং চ্যাম্পিয়নশীপ প্রতিযোগিতায় মিক্সড মার্শাল আর্টে স্বর্ণপদক জয় করেন। ঢাকায় উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম হাফিজুরকে এই আর্থিক সহযোগিতা দিলেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে চক খিলদা ক্রিকেট টূর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। চক খিলদা নবজাগরণ ক্রীড়াঙ্গন ক্লাবের আয়োজনে বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে স্থানীয় বিলবরনী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
খেলায় ফুলতলা ক্রিকেট একাদশকে ৫ উইকেটে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছে পালিমার নাবিল ক্রিকেট একাদশ । খেলাটি উদ্বোধন করেন বাংড়া ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফি।
খিলদা নবজাগরণ ক্লাবের সভাপতি আরশেদ মন্ডলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন মোল্লা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোতালেব হোসেন, সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, দপ্তর সম্পাদক সাকের আহমেদ প্রমূখ।
খেলাটি পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন হাফেজ মো. আসাদুজ্জামান আসাদ।
ফাইনাল খেলায় বিপুল সংখ্যক দর্শক উপস্থিতি ছিলো।
একতার কণ্ঠঃ ১৩৬ বছরের প্রাচীন ২৯.৪৩ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ডে ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে খেলার মাঠ। বিগত ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যেই পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে হারিয়ে গেছে ১৬টি খেলার মাঠ। আরও বেশ কয়েকটি খেলার মাঠ হারাতে বসেছে। বর্তমানে বিভিন্ন ওয়ার্ডের শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সচেতন পৌর বাসিন্দাদের খেলাধুলা ও শরীর চর্চা করার মাঠগুলোতে গড়ে উঠেছে বড় বড় আকাশচুম্বী অট্টালিকা। কোন কোন মাঠে কাঁচা বাজার বসানো হয়েছে। আবার অনেক মাঠের জায়গার মালিকেরা প্লট আকারে বিক্রি করে দিয়েছেন তাঁদের ব্যক্তিগত জায়গা।
আবার কোন মাঠে বছর জুড়ে বানিজ্য মেলাসহ রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানেই ব্যস্ত থাকে। যে কারণে উঠতি বয়সী ছেলে মেয়েরা খেলাধুলার সুযোগ পাচ্ছে না। এতে অভিভাবকরা যেমন আতঙ্কিত তেমনি সুশীল সমাজের নাগরিকেরাও শংকিত। আর এসবের জন্য বিশেষজ্ঞরা দায়ী করছেন বর্তমান সমাজ ব্যবস্থাকে।
এছাড়া পৌর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে যে কয়টি খেলার মাঠ এখনো রয়েছে সেগুলোও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধীরে ধীরে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) তাঁদের গবেষণায় বলছে, শিশু-কিশোরদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য প্রতিদিন ন্যূনতম ১ ঘন্টা করে খেলাধুলা ও শারীরিক সক্রিয় কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত থাকা প্রয়োজন।
টেকসই নগরায়ন-সংক্রান্ত জাতিসংঘের সংস্থা ইউএন-হ্যাবিটেটের মতে, হাঁটার দূরত্বে খেলার মাঠ থাকা উচিত। অতিঘন নগর এলাকায় প্রতি অর্ধবর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যা বিবেচনায় ন্যূনতম একটি করে খেলার মাঠ থাকা প্রয়োজন।
পর্যাপ্ত মাঠ না থাকায় টাঙ্গাইল পৌর শহরের উঠতি বয়সের শিশু-কিশোর ও যুবকেরা খেলাধুলার সুযোগ না পেয়ে ধীরে ধীরে ঝুঁকে পড়ছে মোবাইল গেমসহ বিভিন্ন ধরনের অনলাইন জুয়ায়। এলাকাভিত্তিক রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় তৈরি হচ্ছে কিশোরগ্যাং। বাড়ছে পৌর এলাকায় অপরাধমূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড।
জেলা প্রশাসন, পৌর পিতাসহ টাঙ্গাইলের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের এ বিষয়ে নেই কোন মাথাব্যথা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টাঙ্গাইল পৌর এলাকার ১৩নং ওয়ার্ডে সবচেয়ে বেশি খেলার মাঠের জায়গায় বসতভিটা গড়ে উঠেছে। এই ওয়ার্ডের থানাপাড়া এলাকার রেঞ্জার মাঠ, সবুজ সেনা মাঠ, থানাপাড়া ইস্টার্ন ক্লাব মাঠের (বাবুর্চির মাঠ) জায়গায় ইতিমধ্যে বসতি গড়ে উঠেছে। ব্যক্তি মালিকানাধীন এইসব মাঠগুলোর এখন আর অস্তিত্ব নেই। ঘনবসতিপূর্ণ এই ওয়ার্ডে ৩টি খেলাধুলার ক্লাব থাকলেও তাদের কোন খেলার মাঠ নেই।
২নং ওয়ার্ডের ঠাকুর বাড়ির মাঠটি মালিকানা দ্বন্দ্বে এলাকার শিশু-কিশোরদের ওই মাঠে খেলাধুলা প্রায় বন্ধ। স্থানীয়দের আন্দোলনের মুখে, বর্তমানে শিশু-কিশোররা ওই মাঠে খেলাধুলার সুযোগ পাচ্ছে। তবে ভবিষ্যতে ওই মাঠের জায়গা প্লট আকারে বিক্রির আলোচনা চলছে।
৩নং ওয়ার্ডের মির্জা মাঠ ও হাউজিং মাঠে নিকট অতীতে ওই এলাকার শিশু-কিশোররা খেলাধুলা করতো। এছাড়া সকাল ও বিকালে স্বাস্থ্য সচেতন লোকজন শরীরচর্চা করতো এই মাঠ দুটিতে। বর্তমানে মাঠ গুলোতে বসতি গড়ে উঠেছে।
৬নং ওয়ার্ডের কলেজ পাড়ার বালুর মাঠে গড়ে উঠেছে বিশাল বিশাল ইমারত। একই এলাকার পানির ট্যাংকের মাঠে এখন আর শিশু-কিশোরদের প্রবেশ অধিকার নেই। দক্ষিণ কলেজ পাড়ার বড় বড় চক গুলোতে এক সময় ওই এলাকার শিশু-কিশোররা খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকতো। বর্তমানে সেখানে গড়ে উঠেছে বসতি।
১১নং ওয়ার্ডের খালপাড় মাঠে এখন গড়ে উঠেছে বসতি। ফলে শিশু-কিশোরদের খেলাধুলার জন্য পর্যাপ্ত মাঠ নেই এই ওয়ার্ডে।
টাঙ্গাইল পৌর এলাকার ১৬নং ওয়ার্ডের ছোট কালিবাড়ী খেলার মাঠ ও কেওছার মাঠের এখন আর অস্তিত্ব নেই। এছাড়া নজরুল সেনা মাঠের জায়গায় গড়ে উঠেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যান। এই ওয়ার্ডের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ মাঠে এক সময় টাঙ্গাইল শহরের বিভিন্ন এলাকার শিশু-কিশোরসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি খেলাধুলা ও শরীরচর্চায় ব্যস্ত থাকতো। বর্তমানে এই মাঠের অধিকাংশ জায়গা জুড়ে বসেছে ট্রাকস্ট্যান্ড। ফলে শিশু-কিশোরসহ বিভিন্ন বয়সের লোকজন শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এই মাঠটি খেলাধুলা ও শরীরচর্চার জন্য এখন আর ব্যবহার করতে পারছে না। এই ওয়ার্ডের আউটার স্টেডিয়ামে ৮টি কংক্রিটের ক্রিকেট পিচ রয়েছে। কিন্তু বছরের প্রায় সময়ই এই জায়গায় বাণিজ্য মেলাসহ বিভিন্ন ধরনের মেলার আয়োজন করা হয়। ফলে বছরের অধিকাংশ সময় জেলা টিমের ক্রিকেটারসহ বিভিন্ন বয়সের ক্রিকেটারগণ অনুশীলনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত থাকেন।
১৭নং ওয়ার্ডের শিমুলতলী এলাকার বালুর মাঠে এখন গড়ে উঠেছে বসতি ও বিভিন্ন ধরনের ফল ও গাছের বাগান।
১৮নং ওয়ার্ডের কোদালিয়া মাঠটি এখন শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একাডেমিক ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া একই ওয়ার্ডের সাবালিয়া এলাকার ফুলকুঁড়ি মাঠটি অনেক আগেই তার অস্তিত্ব হারিয়েছে।
শহরের নামকরা একটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র জিসান আহমেদের (ছদ্মনাম) সাথে এই প্রতিবেদকের কথা হয় শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে। জিসান জানান, বিকেল থেকে অনেক রাত পর্যন্ত বন্ধুদের সাথে পৌর উদ্যানে আড্ডা দেন তিনি। এক সময় তার ওয়ার্ডে ৩টি খেলার মাঠ থাকলেও বর্তমানে কোন খেলার মাঠ নেই। ফলে খেলাধুলার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেকটা বাধ্য হয়েই পৌর উদ্যানে এসে আড্ডা দেন তিনি।
শহরের আরেকটি স্বনামধন্য বেসরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র রাতিন খানের (ছদ্মনাম) সাথে এই প্রতিবেদকের কথা হয় টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ মাঠে অবস্থিত বাঁশ বাজারে । রাতিন বলেন, তিনি একাদশ শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। তার এলাকায় মাঠ না থাকায় কোন ধরনের খেলাধুলার সুযোগ পাননি তিনি। মাদকাসক্তির পাশাপাশি তিনি অনলাইন জুয়ায় (ক্রিকেট বেটিং) আসক্ত হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে তিনি অনেক টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে হতাশায় ভুগছেন। তিনি আফসোস করে বলেন, তার এলাকায় খেলাধুলার মাঠ অথবা খেলাধুলার কোন ক্লাব থাকলে তিনি হয়তো এসবের মধ্যে নিজেকে জড়াতেন না।
সরকারি সৈয়দ মহাব্বত আলী কলেজর সহকারী অধ্যাপক মো. শাহজাহান মিয়া একতার কণ্ঠকে বলেন, পৌর শহরে পর্যাপ্ত খেলার মাঠ না থাকার ফলে শিশু-কিশোরদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তারা ধীরে ধীরে ঝুঁকে পড়ছে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন গেম ও জুয়াতে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া একশ্রেণীর উঠতি বয়সী শিশু-কিশোর মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। এদের এসবের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য পৌর এলাকায় শিশু-পার্ক ও খেলার মাঠের কোন বিকল্প নেই। পৌর শহরে যে কয়টি খেলার মাঠ এখনো অবশিষ্ট আছে সেগুলো রক্ষা করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল পৌর মেয়র এস,এম সিরাজুল হক আলমগীর একতার কণ্ঠকে বলেন, ব্যক্তি মালিকানাধীন মাঠগুলোর ব্যাপারে পৌর কর্তৃপক্ষের করণীয় কিছু নেই। তবে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্, জেলা পরিষদ মাঠ ও শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে পৌরসভার উন্নয়নমূলক কাজের জন্য কিছু জিনিসপত্র রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আগামী ১ মাসের মধ্যেই মাঠগুলো পরিষ্কার করে আবার খেলাধুলার উপযোগী করা হবে। এছাড়া ৩নং ওয়ার্ডের হাউজিং স্টেটে শিশু-কিশোরদের জন্য একটি খেলার মাঠ তৈরি করার সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে।
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. ছানোয়ার হোসেন একতার কণ্ঠকে বলেন, পৌরসভার নিয়ন্ত্রণাধীন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ মাঠ, জেলা পরিষদ মাঠ, কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ ও জেলখানার পাশে যে মাঠটি রয়েছে আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা হচ্ছে মাঠগুলোতে শিশু-কিশোরদের খেলাধুলার উপযুক্ত করে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা। বিশেষ করে শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ মাঠটি শুধুমাত্র শিশু-কিশোরাই খেলাধুলা করে না। এখানে স্বাস্থ্য সচেতন বিভিন্ন বয়সের লোকজন সকাল বিকাল শরীর চর্চা করে থাকেন। ঈদগাহ্ মাঠকে যত দ্রুত সম্ভব খেলাধুলার উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে। ইতিমধ্যে আমি এ বিষয়ে পৌর মেয়রের সাথে আলোচনা করেছি।
তিনি আরও বলেন, শিশু-কিশোরদের খেলাধুলা ও মানসিক বিকাশের জন্য টাঙ্গাইল পৌর শহরের অদূরে দাইন্যা ইউনিয়নের বাসাখানপুরে নির্মিত হচ্ছে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খেলাধুলাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন বলেই দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম তৈরীর প্রকল্প হাতে নিয়েছেন তিনি।
একতার কণ্ঠঃ বঙ্গোপসাগরের ঢেউয়ের মতো বার বার গাজীপুরের অতন্দ্র প্রহরী গোলরক্ষক মাহফুজের গায়ে টাঙ্গাইল জেলার আক্রমণ আচঁড়ে পড়লেও অটল মাহফুজকে পরাস্ত করতে পারেনি। উল্টো ৩৭ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে গোল হজম করা টাঙ্গাইলের পরাজয় দেখলো ক্রীড়ামোদী হাজারো দর্শক।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকালে টাঙ্গাইল জেলা স্টেডিয়ামে বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে বিভাগীয় কমিশনার গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে গাজীপুর জেলা ফুটবল দলের কাছে ১-০ গোলে পরাজিত হলো টাঙ্গাইল জেলা ফুটবল দল।
শুরুতে টাঙ্গাইল জেলা স্টেডিয়ামে বিভাগীয় কমিশনার গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় ১১টি জেলার জেলা প্রশাসক, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, টাঙ্গাইল পৌর মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ওলিউজ্জামান, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মির্জা মঈনুল হোসেনসহ ১২টি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
খেলার শুরু থেকে টাঙ্গাইল জেলা ফুটবল দলের খেলোয়াড়গণ আক্রমণ করে খেলতে থাকে। দক্ষ স্টাইকারের অভাবে টাঙ্গাইল জেলা কাঙ্খিত গোল করে এগিয়ে যেতে পারেনি। উল্টো পাল্টা আক্রমণ থেকে ৩৭ মিনিটের সময় গাজীপুর জেলা দলের রানা আহমেদ গোল করে ১-০ গোলে দলকে এগিয়ে নেয়।
খেলায় পিছিয়ে পড়ে টাঙ্গাইল জেলা বার আক্রমণ করে খেলতে থাকে। কিন্তু গোল করে খেলায় সমতা আনতে ব্যর্থ হয়। দ্বিতীয়ার্ধের পুরো সময় টাঙ্গাইল একচেটিয়া আক্রমণ করে খেললেও গাজীপুরের গোলরক্ষক মাহফুজকে পরাস্ত করে গোল করতে পারেনি। গাজীপুরের গোলরক্ষক মাহফুজ টাঙ্গাইল জেলা দলের হেড কিংবা শট অসামান্য দক্ষতা ও ক্ষীপ্ততায় নিশ্চিত ৫টি গোল রক্ষা করেছেন।
টুর্নামেন্টে ঢাকা বিভাগের ১২টি জেলা “যমুনা”ও “পদ্মা” ২টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে গোল্ডকাপ চ্যাম্পিনশীপে অংশগ্রহণ করছে।
কমিশনার গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের “যমুনা” গ্রুপের জেলা ফুটবল দলগুলো হলো ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও স্বাগতিক টাঙ্গাইল জেলা ফুটবল দল।
শরিয়তপুর স্টেডিয়ামে “পদ্মা” গ্রুপের দল গুলো হলো নারায়ানগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী ও স্বাগতিক শরিয়তপুর জেলা ফুটবল দল।
যমুনা ও পদ্মা গ্রুপ থেকে গ্রুপ ফাইনাল খেলে বিজয়ী দুটি জেলা শরিয়তপুর স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়নের জন্য ফাইনাল খেলায় মুখোমুখি হবে।