একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে উজ্জ্বল মিয়া (১৮) নামের এক কিশোরের বিরুদ্ধে ৭ বছরের শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার আড়াইপাড়া দামিয়া এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।
অভিযুক্ত উজ্জ্বল মিয়া ওই গ্রামের ফজলুল হক ওরফে ফজল মিয়ার ছেলে। শিশুটির উপর এমন অমানবিক ঘটনা ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত ওই যুবকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ।
শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রতিবেশী উজ্জ্বল মিয়া গত সোমবার(১৬ আগস্ট) দুপুরে উজ্জ্বল ওই শিশুকে তাঁর বাড়িতে ডেকে নেন। বাড়িতে লোক না থাকায় শিশুকে জোরপূর্বক বলাৎকার করে। পরে চিৎকারে এক প্রতিবেশী এগিয়ে আসলে উজ্জ্বল দৌড়ে পালিয়ে যায়।
গুরুতর আহত অবস্থায় ওই শিশুকে প্রথমে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে শিশুটির বাবা জানান, শিশুটির পায়ু পথে এক থেকে দেড় ইঞ্চি পরিমান ক্ষত হওয়ায় একাধিক সেলাই দেওয়া হয়েছে। ছেলেটির পায়খানা করতে কষ্ট হচ্ছে। ডাক্তার বলছে, সুস্থ হতে অনেক সময় লাগবে। হাসপাতালে ভর্তি থাকার কারণে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। এখান থেকে ফিরেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একে সাইদুল হক ভূঁইয়া বলেন, শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চার জন ও উপসর্গ নিয়ে দুই জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এদিন জেলায় নতুন ৩২৪টি নমুনা পরীক্ষায় ৭২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২২ শতাংশ। বুধবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চি করেছেন।
তিনি জানান, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৭২ জনের শরীরে করোনা শনাক্তের মধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ৫০ জন, দেলদুয়ারে ছয় জন, কালিহাতীতে দুই জন, ঘাটাইলে সাত জন, মধুপুরে চার জন ও ভূঞাপুর উপজেলায় তিন জন রয়েছেন।
তিনি আরও জানান, এ পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১৫ হাজার ৮৩৯ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ৯ হাজার ৯৩৭ জন। এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট ২৪৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলা পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা ও অনুদানের দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে। বুধবার(১৮ আগস্ট) দুপুরে জেলা প্রশাসক ডক্টর মো. আতাউল গনি স্মরকলিপি গ্রহন করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন। এরআগে শহরের ভিক্টোরিয়া রোড থেকে র্যালি নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে পুস্তক বিক্রেতারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ করে।
এ সময় বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি মো. সহিদুল ইসলাম খান, সহ-সভাপতি আ. সালাম, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হারুন-অর-রশিদ, সাবেক সভাপতি খন্দকার আবু হানিফ ও শাহ হারুন-অর-রশিদ, কোষাধ্যক্ষ মোর্শেদ আলী খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে করোনাকালীন (দ্বিতীয় পর্যায়) ক্ষতিগ্রস্ত ৩২ জন সাংবাদিককে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আর্থিক সহযোগিতার চেক প্রদান করা হয়েছে। বুধবার (১১ আগস্ট) বেলা ১১ টার দিকে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে ওই চেক প্রদান করা হয়।
টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ডক্টর আতাউল গণি। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আমিনুল ইসলাম, জেলা সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সত্যেন্দ্র পাল।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক ইফতেখারুল অনুপম, কোষাধক্ষ্য আব্দুর রহিম, দপ্তর ও পাঠাগার সম্পাদক অরণ্য ইমতিয়াজ।
পরে সাংবাদিকদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আর্থিক সহযোগিতার চেক প্রদান করা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে টাঙ্গাইলে কর্মরত ৩২ জন সাংবাদিক ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন।
আর্থিক সহায়তা পাওয়া সাংবাদিকগণ হচ্ছেনঃ সাপ্তাহিক গণবিপ্লব পত্রিকার বার্তা সম্পাদক মাসুম ফেরদৌস, সময় মিডিয়ার চিত্র সাংবাদিক রাশেদ খান, বাংলাদেশ সমাচারের স্টাফ রিপোর্টার মনিরুজ্জামান মনির, আজকের দর্পণ জেলা প্রতিনিধি দেলোয়ার হোসেন, সাপ্তাহিক পাপিয়ার প্রধান সম্পাদক সেলিম তরফদার, সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন ও তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রাকিব আদনান, আজকের দেশবাসীর স্টাফ রিপোর্টার নিলুফা ইয়াসমিন, কালের বার্তার চীফ রিপোর্টার খোরশেদ আলম, বনিক বার্তার জেলা প্রতিনিধি পারভেজ হাসান, ডেল্টা টাইমস জেলা প্রতিনিধি এম কবির, সাম্প্রতিক দেশকাল জেলা প্রতিনিধি নওশাদ রানা সানভী, ফিনান্সিয়াল এক্স্রপ্রেস জেলা প্রতিনিধি শাহাব উদ্দিন মানিক, বাংলা টিভি জেলা প্রতিনিধি খন্দকার হাবিবুল্লাহ কামাল, বাংলাদেশের আলো জেলা প্রতিনিধি শামীম আল মামুন, একুশের বানী জেলা প্রতিনিধি মোস্তাক হোসেন, মাতৃভমির খবর জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ হোসেন, বাংলাদেশ নিউজ জেলা প্রতিনিধি মাসুদুল হক, ভোরের পাতা জেলা প্রতিনিধি আব্দুস সাত্তার, দেশের কন্ঠ জেলা প্রতিনিধি আব্দুল লতিফ তালুকদার, নবচেতনা জেলা প্রতিনিধি সাব্বীর আহমেদ আব্বাসী, আমার সংবাদ জেলা প্রতিনিধি রাইসুল ইসলাম, সকালের সময় জেলা প্রতিনিধি রাশেদ খান মেনন, ভাসানীর কথার স্টাফ রিপোর্টার সুজন মিয়া, জনতার কথা পত্রিকার সহ-সম্পাদক আব্দুল কাদের, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মোকাদ্দেছ আলী, স্টাফ রিপোর্টার বজলুর রহমান খান সাবু, হাসান মিয়া ও জহিরুল ইসলাম, গুড মনিং জেলা প্রতিনিধি আতোয়ার রহমান, দেশবার্তা জেলা প্রতিনিধি আলমগীর হোসেন ও আজকের বসুন্ধরা জেলা প্রতিনিধি সিরাজ আল মাসুদ।
একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ(ওএসসি, এনডিইউ, পিএসসি) বলেছেন, সারা বাংলাদেশের মতো টাঙ্গাইল জেলায়ও করোনা পরিস্থিতি এখন উন্নতির দিকে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সরকার একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে- আপাতত লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর পেট্রোল কার্যক্রমও সেইভাবে পুনর্বিন্যাস করা হবে।
তিনি বলেন, আবারও যদি করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যায়, সরকার যদি আবারও কঠোর লকডাউন দেয় তাহলে সেনাবাহিনী তার কার্যক্রম চালাবে। মঙ্গলবার(১০ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে টাঙ্গাইলে সেনাবাহিনীর অপারেশন কোভিড শিল্ড(পর্ব-২) এর আওতায় টহল কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সেনাবাহিনী প্রধান আরও বলেন, সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে। যে সহযোগিতা সবার কাছ থেকে পেয়েছি তাতে আমি খুব খুশি। বেসামরিক প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সবার সাথে মিলে সেনাবাহিনী কিন্তু এবার অত্যন্ত ভালোভাবে কাজ করেছে। সব থেকে ভালো লাগছে যে সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে আমরা কিন্তু করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি।
আমরা যদি এইভাবে সবাই মিলে কাজ না করতাম এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারতো। তারপরও করোনা পরিস্থিতি তেমনটা ভালো হয়নি। তবে ইনশাল্লাাহ আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমরা সবাই একসাথে কাজ করলে এবং জনগণ যদি সবাই সচেতন থাকে আমাদের এই পরিস্থিতি দ্রুত অনেক উন্নতি হবে।
এর আগে তিনি হেলিকপ্টারযোগে টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে অবতরণ করেন। সেখান থেকে সেনা কর্মকর্তাদের নিয়ে শহরের নিরালামোড় ও ভিক্টোরিয়া রোডে টহলরত সেনাসদস্যদের কার্যক্রম পরিদর্শন ও কুশল বিনিময় করেন। এছাড়াও তিনি টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ডক্টর মো. আতাউল গনি, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, পৌর মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর ও টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদের সাথে লকডাউনের বিষয়ে কথা বলেন।
এ সময় ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন, ৯৮ সংমিশ্রিত বিগ্রেড বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এসএম আসাদুল হক পিএসসি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে অবশেষে জয় পেল বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টির সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে এই প্রথম অসিদের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পেল টাইগাররা।
পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম খেলায় অস্ট্রেলিয়াকে ২৩ রানে হারায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল। এই জয়ে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল টাইগাররা।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩১ রান করে বাংলাদেশ।
সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে নাসুম আহমেদের স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে ১০৮ রানে অলআউট হয় অসিরা।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৩২ রানের সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলে উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। মেহেদী হাসানের স্পিন বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার অ্যালেক্স কেরি।
দলীয় ১০ রানে স্টাম্পিং হয়ে ফেরেন অন্য ওপেনার জশ পিলিপি। মেহেদির মতো সাকিব আল হাসানও প্রথম বলে সাফল্য পান। এ বাঁ-হাতি স্পিনারের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ময়েস হেনরিক্স।
২.১ ওভার তথা ১৩ বলে দলীয় ১১ রানে ৩ উইকেট পতনের পর অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন মিসেল মার্শ।
চতুর্থ উইকেটে ৩৮ রানের জুটি গড়ে নাসুম আহমেদের দ্বিতীয় শিকার হন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক ওয়েড। তিনি ২৩ বলে মাত্র ১৩ রান করে ফেরেন।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
৩.৩ ওভারে দলীয় ১৫ রানে জশ হ্যাজলউডের গতির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন সৌম্য। ৯ বলে মাত্র ২ রান করে ফেরেন এ ওপেনার।
দলকে খেলায় ফেরানোর আগেই বিপদে পড়েন অন্য ওপেনার নাঈমও। দলীয় ৩৭ রানে ২৯ বলে দুই চার ও দুই ছক্কায় ৩০ রান করে অ্যাডাম জাম্পার স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে ফেরেন টাইগার এ ওপেনার।
জশ হ্যাজলউডের করা আগের বলেটি ডিপ ব্যাকওয়ার্ স্কয়ারের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকান বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
ঠিক পরের বলে লং অপের ওপর দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে হেনরিকসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন রিয়াদ। ১২.২ ওভারে দলীয় ৭৩ রানে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক (২০)।
ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ বলে ৩ রান করা নুরুল হাসান সোহান ফেরেন ৪ বলে ৩ রান করে।
১৬.৬ ওভারে দলীয় ১০৪ রানে হ্যাজলউডের তৃতীয় শিকারে পরিনত হয়ে সাজঘরে ফেরেন সাকিব আল হাসান। তার আগে ৩৩ বলে তিন চারে ৩৬ রান করেন সাবেক এ অধিনায়ক।
সাকিব আউট হওয়ার পর ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি শামিম হোসেন। ৩ বলে ৪ রান করে মিসেল স্টার্কের বলে বোল্ড হন তিনি।
ব্যাটসম্যানদের এই আসা-যাওয়ার মিছিলে ইনিংসের শেষ বলে আউট হন আফিফ হোসেন। তার আগে ১৭ বলে তিন বাউন্ডারিতে করেন ২৩ রান।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর-তারাকান্দি আঞ্চলিক সড়কে পাশে অর্জুণা ইউনিয়নের ভরুয়া নামক স্থানে মঙ্গলবার(৩ আগস্ট) সকালে জলাশয় থেকে সাদা প্লাস্টিকের বস্তাবন্দি অজ্ঞাত(২৫) এক যুবতীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসী জানায়, ভূঞাপুর-তারাকান্দি আঞ্চলিক সড়কে ভরুয়া নামক স্থানে জলাশয় থেকে মঙ্গলবার সকালে প্লাস্টিকের বস্তার ভেতর লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি ) আব্দুল ওহাব মিয়া জানান, বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার হওয়া প্রায় ২৫ বছর বয়সী ওই যুবতীর পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ধারণা করা হচ্ছে- রাতের কোন এক সময় কেউ তাকে হত্যার পর লাশ সড়কের পাশে ফেলে রেখে গেছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে সুলতানা খাতুন (২৪) নামে এক নারী স্ত্রীর অধিকার আদায়ে বিষের বোতল আর কাবিননামা হাতে নিয়ে গত তিনদিন তিনরাত ধরে স্বামীর বাড়ির বারান্দায় বসে আছেন।
গত শনিবার (৩১ জুলাই) থেকে উপজেলার দাড়িয়াপুর দক্ষিণপাড়া ফাইলা পাগলার মাজার এলাকায় অধিকার আদায়ের জন্য এ অনশন চলছে তার।
স্ত্রীর অধিকার না পেলে তিনি সেখানেই বিষপানে আত্মহত্যা করবেন বলে জানান। তিনি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা সদরের আজগর আলীর মেয়ে। খবর শুনে দলবেঁধে আশপাশের লোকজন ওই নারীকে এক নজর দেখতে ভিড় করছেন।
জানা যায়, সুলতানা খাতুন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা সদরের আজগর আলীর মেয়ে। গাজীপুর চৌরাস্তায় সেবা এনজিও নামে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুবাদে উপজেলার দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের দাড়িয়াপুর ফাইলা পাগলার মাজার এলাকার মৃত মোজাফ্ফর মিয়ার ছেলে আবদুর রহিম মিয়ার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
ওই এনজিওতে সুলতানা ছিলেন মাঠকর্মী আর রহিম ছিলেন সহকারী ম্যানেজার। ২০১৭ সালের ৩ আগস্ট ৭ লাখ টাকা দেনমোহরে তারা বিয়ে করেন। সেই থেকে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে গাজীপুর চৌরাস্তার ভাওয়াল কলেজ সংলগ্ন আক্কাছ আলীর বাসায় ভাড়া থাকতেন। কিছুদিন আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রহিম বাসা থেকে চলে যান এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের নম্বর পাল্টিয়ে গ্রামের বাড়ি দাড়িয়াপুরে চলে আসেন। পরবর্তীতে ওই নারী রহিমের সঙ্গে নানাভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি তাকে স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করেন। একপর্যায়ে ঠিকানা মোতাবেক ৩১ জুলাই শনিবার স্ত্রীর অধিকার আদায়ে কাবিননামা এবং বিষের বোতল হাতে নিয়ে রহিমের বাড়ি চলে আসেন সুলতানা। তার আসার খবর শুনে রহিম ও তার পরিবারের লোকজন বাড়িঘরে তালা ঝুলিয়ে অন্যত্র চলে যান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আবদুর রহিমের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ওই নারীকে জোরপূর্বক বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনসার আলী আসিফ জানান, বিষয়টি মীমাংসার লক্ষ্যে বুধবার (৪ আগস্ট) স্বামী রহিমসহ উভয়পক্ষের লোকজনকে ডাকা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নে ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় রোববার(১ আগস্ট) দিনগত রাত নির্ঘুম কাটায় এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাড়ীগ্রামে ডাকাত পড়েছে বলে এক ইউপি সদস্য প্রথমে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে এলাকাবাসীকে সতর্ক করেন। এ খবরটি মুহুর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সেল ফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়লে উপজেলার মসজিদে মসজিদে সতর্কতামূলক মাইকিং করা হয়। এতে জনমনে ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ডাকাত আতঙ্কে জান-মাল রক্ষায় এলাকাবাসী রাত জেগে পাহারা দেয়। রাতে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় জনগণের সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। খবর পেয়ে নাগরপুর থানা পুলিশ বাড়ীগ্রাম সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টহল জোরদার করে।
মামুদনগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন জানান, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ থেকে ৫-৬ জন অপরিচিত লোক বাড়ীগ্রামের ত্রি-রাস্তার মোড়ে আসেন। সেখানে তারা চা পানের ফাঁকে ফোনে কথা বলতে থাকেন। তাদের ফোনালাপ ও গতিবিধি স্থানীয়দের মাঝে সন্দেহের সৃষ্টি করে। পরে তাদেরকে সেখানে আর দেখতে না পেয়ে তিনি মসজিদে মাইকিংয়ের মাধ্যমে এলাকাবাসীকে সতর্ক করেন।
মামুদনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন জানান, তার ইউনিয়নের বাড়ীগ্রামে ডাকাত পড়েছে এ খবরটি ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রথমে মসজিদের মাইকে ঘোষণা করেন। পর্যায়ক্রমে কলমাইদ, শুনসী, বেলতৈল, মেঘনা, চারাবাগ, পংবাইজোড়া ও বেটুয়াজানী গ্রামের মানুষকে সতর্ক করার জন্য মসজিদে মসজিদে মাইকিং করা হয়। এরপর নাগরপুর সদর সহ পুরো উপজেলা জুড়ে ডাকাতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমনটা প্রচারে মাইকিং করা হয়।
নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ডাকাতের খবরটি নিছক গুজব ছাড়া আর কিছুই নয়। রোববার রাতে খবর পেয়ে ৪-৫টি টিম ভোর ৫টা পর্যন্ত টহলে ছিল। কোথাও কোন ডাতাতির ঘটনা ঘটেনি। এক শ্রেণির মানুষ গুজবটি মাইকিং করে জনগণের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নবনির্মিত ১৫তলা ভবনের প্রথম এবং দ্বিতীয় তলায় করোনা রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। সোমবার(২ আগস্ট) সকালে এ উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ডক্টর মো. আতাউল গনি, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনসারী, পৌরসভার মেয়র এসএম. সিরাজুল হক আলমগীর এবং টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে কর্মকর্তা ও চিকিৎসকরা স্বাস্থবিধি মেনে উপস্থিত ছিলেন।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ডক্টর মো. আতাউল গনি জানান, টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ১৫ তলা বিশিষ্ট ভবনটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। হাসপাতাল ভবন উদ্বোধনের আগেই দেশে করোনা দুর্যোগ শুরু হওয়ায় ওই হাসপাতাল ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলা করোনা রোগীদের চিকিৎসা কাজে সাময়িকভাবে ব্যবহার করা হবে।
অপরদিকে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন খান জানান, টাঙ্গাইল জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুইজন ও উপসর্গ নিয়ে দুইজন মৃত্যুবরণ করেছেন। জেলায় ৯৮৯টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ২৪৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার শতকরা ২৪ দশমিক ৯৭ ভাগ।
তিনি জানান, এ পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১৪ হাজার ১৭৩ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন সাত হাজার ৭৭৮ জন। এ পর্যন্ত জেলায় ২১৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুই জন ও উপসর্গ নিয়ে এক জন মারা গেছেন। জেলায় একদিনে নতুন করে ৭০৭টি নমুনা পরীক্ষায় ১৯৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ। জেলায় এ নিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১৩ হাজার ৩৪৪ জন। বুধবার(২৮ জুলাই) টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, জেলায় মোট আক্রান্ত ১৩ হাজার ৩৪৪ জনের মধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭ হাজার ২২৫ জন। করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন ২০৭ জন। বর্তমানে বাড়িতে ও আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন পাঁচ হাজার ৮০৩ জন। জেলার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল গুলোতে করোনা ডেডিকেটেড বেডে ১০৯ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে যমুনার উন্মত্ততায় দুই দিনের ভাঙনের শিকার হয়ে কালিহাতী উপজেলার ৯২টি পরিবার নিঃস্ব হয়েছে। একই সময়ে জেলার ঝিনাই নদীর ২০ কিলোমিটার এলাকার বাঁকে বাঁকে ভাঙন দেখা দেওয়ায় বাসাইল উপজেলার পাঁচ শতাধিক পরিবার আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। জেলা প্রশাসক ডক্টর মো. আতাউল গনি যমুনায় ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪টি পরিবারকে নগদ অর্থ ও অন্যদের খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, যমুনায় পানি কমতে থাকায় শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাতে কালিহাতী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ভৈরববাড়ী গ্রামে ভাঙন দেখা দেয়। শুক্রবার রাতের ভাঙনে ১৪টি পরিবারের বাড়ি পুরোপুরি যমুনার পেটে চলে যায়। পরে দফায় দফায় শনিবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই গ্রামের ৭৮টি পরিবারের বাড়িঘরে ভাঙন শুরু হওয়ায় তড়িঘড়ি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভাঙন কবলিত শতাধিক পরিবার আত্মীয়দের বাড়ি আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ ও শতাধিক ঘর বাড়ি ভাঙনের হুমকির মুখের রয়েছে। এদিকে শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুক্রবার রাতে ভাঙনের শিকার পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা ও চাল বিতরণ করা হয়েছে।
অপরদিকে, গত এক সপ্তাহে বাসাইল উপজেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনার শাখা ঝিনাই নদীর ২০ কিলোমিটার এলাকার বাঁকে বাঁকে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ১০-১২টি পরিবারের ভিটাবাড়ি ও বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের কারণে তীরবর্তী অনেকেই বাড়িঘর নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে। পাঁচ শতাধিক পরিবার ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। বিলপাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদের প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেওয়া বীর নিবাসটিও ভাঙনের আশঙ্কায় রয়েছে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, যমুনার ভাঙনের শিকার ভৈরববাড়ী গ্রামে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ শুরু করা হয়েছে। অপরদিকে, বাসাইল উপজেলায় ঝিনাই নদীর ভাঙন রোধে বিভিন্ন পয়েণ্টে কাজ অব্যাহত রয়েছে। নতুন করে ভাঙন কবলিত পয়েণ্টগুলোতে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, প্রতি বছর নদী ভাঙন রোধে অস্থায়ী ব্যবস্থায় শুধু টাকার অপচয় হচ্ছে। নদী ভাঙনরোধে স্থায়ী পরিকল্পনা নেওয়া জরুরি। অহেতুক টাকার অপচয় ঠেকাতে ও নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী প্রকল্প পাঠানো হয়েছে।