একতার কন্ঠ: টাঙ্গাইলে ১৮ ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১১টিতে বিজয়ী হয়েছে। এছাড়া ৫টিতে স্বতন্ত্র ও ২টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। বুধবার (১৫ জুন) গভীর রাতে নির্বাচন কমিশন সূত্রে এসব ফলাফল পাওয়া যায়।
এর মধ্যে মধুপুরে ৬ ইউনিয়নের ৫টিতে আওয়ামী লীগ ও ১টিতে বিদ্রোহী প্রার্থী, মির্জাপুরে ৬ ইউনিয়নের ৩টিতে আওয়ামী লীগ ও ৩টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী, সখীপুরে ২ ইউনিয়নেই আওয়ামী লীগ প্রার্থী, বাসাইলে ১টি আওয়ামী লীগ ও ১টি স্বতন্ত্র, নাগরপুরে স্বতন্ত্র ও দেলদুয়ারে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, মধুপুরের ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টিতে আওয়ামী লীগ এবং ১টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।
এরা হচ্ছেন-
কুড়াগাছা ইউনিয়ন: এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফজলুল হক সরকার (নৌকা) ৫৮৭৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আজহারুল ইসলাম (আনারস) পেয়েছেন ৩৪৭৯ ভোট।
আউশনারা ইউনিয়ন: আওয়ামী লীগ প্রাথী গোলাম মোস্তফা (নৌকা) ৪৩০২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুস ছালাম (আনারস) পেয়েছেন ৪০১৪ ভোট।
শোলাকুড়ী ইউনিয়ন: আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইয়াকুব আলী (নৌকা) পেয়েছেন ৬৭০১ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আকতার হোসেন (টেলিফোন) পেয়েছেন ৩০২৬ ভোট।
বেরীবাইদ ইউনিয়ন: আওয়ামী লীগ প্রার্থী জুলহাস উদ্দিন (নৌকা) ৭৬৩৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবর রহমান (আনারস) পেয়েছেন ২১৫১ ভোট।
মহিষমারা ইউনিয়ন: আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. মহি উদ্দিন মহির (আনারস) ৯৪৩৬ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল মোতালেব (নৌকা) পেয়েছেন ৪৭৩৮ ভোট।
কুড়ালিয়া ইউনিয়ন: আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. ফজলুল হক (নৌকা) জয়লাভ করেছেন।
মহিষমারা ইউনিয়ন: আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. মহি উদ্দিন মহির (আনারস) ৯৪৩৬ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল মোতালেব (নৌকা) পেয়েছেন ৪৭৩৮ ভোট।
কুড়ালিয়া ইউনিয়ন: আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. ফজলুল হক (নৌকা) জয়লাভ করেছেন।
মির্জাপুরে ৩ ইউনিয়নে নৌকা ও ৩টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।
বহুরিয়া ইউনিয়ন: আবু সাইদ ছাদু (নৌকা) বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৬৬০০ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুস ছামাদ (ঘোড়া) পেয়েছেন ৪৫৩২ ভোট।
আজগানা ইউনিয়ন: আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল কাদের (নৌকা) ১০২৬৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ৫৪৫৪।
ফতেপুর ইউনিয়ন: আওয়ামী লীগ প্রার্থী হাজী আব্দুর রউফ (নৌকা) ৩৬৩৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী হুমায়ুন তালুকদার (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ৩৪৭৬ ভোট।
তরফপুর ইউনিয়ন: স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা আজিজ রেজা (মোটরসাইকেল) ৫৯০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফুর রহমান (চশমা) পেয়েছেন ৫৫২৩ ভোট।
ভাওড়া ইউনিয়ন: মাসুদুর রহমান (ঘোড়া) ৪৫৮৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাহিদুর রহমান খান (আনারস) পেয়েছেন ৩৭৬০ ভোট।
লতিফপুর ইউনিয়ন: স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী হোসেন রনি (মোটরসাইকেল) ৪৩২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোশারফ হোসেন (আনারস) পেয়েছেন ৩৭২৪ ভোট।
সখীপুর উপজেলা দুইটি ইউনিয়নের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।
দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন: আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনছার আলী আসিফ (নৌকা) পান ৮০২৬ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ছানোয়ার হোসেন (আনারস) পেয়েছেন ৫৫৮০ ভোট।
গজারিয়া ইউনিয়ন: আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন (নৌকা) ৪৪৬৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বাদল মিয়া (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ২ হাজার ১৮৯ ভোট।
বাসাইল উপজেলায় দুটি ইউপি’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
বাসাইল সদর ইউনিয়ন: আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী সোহানুর রহমান সোহেল (নৌকা) ২৬৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফুল ইসলাম (আনারস) পেয়েছেন ২১৫২ ভোট।
কাশিল ইউনিয়ন: স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপি নেতা রমজান আলী মিয়া (মোটরসাইকেল) ৮৬৫৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম আওয়ামী লীগের প্রার্থী মির্জা রাজিক (নৌকা) পেয়েছেন ৭২১৯ ভোট।
নাগরপুরের ভারড়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুছ মিয়া (ঘোড়া) বিজয়ী হয়েছেন।
দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ উপ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাজ্জাত হোসেন (ঘোড়া) ৫৫০১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী কৃষ্ণ কান্ত দে সরকার (নৌকা) পেয়েছেন ৩৩৭৩ ভোট।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ এইচ এম কামরুল হাসান বলেন, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোন কোন কেন্দ্রে ইভিএমে ধীরগতিতে ভোট গ্রহণ হয়। নির্বাচন সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করে।