একতার কণ্ঠঃ সম্প্রীতির ঐকতানে গাহি সাম্যের গান’ এই স্লোগানকে সামনে নিয়ে টাঙ্গাইল জেলার সকল ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে সম্প্রীতি শোভাযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা পুলিশের আয়োজনে জেলা সদর হেলিপ্যাড চত্বর থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুলিশ লাইনস মাল্টিপারপাসে গিয়ে শেষ হয়।
পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শরফুদ্দিন, টাঙ্গাইল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি শফিকুল ইসলাম রিপন, জেলা হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক রমেশ চন্দ্র সরকার, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাধন চন্দ্র চক্রবর্তী, জেলা পুজা উদযাপন কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি চিত্ত রঞ্জন সরকার, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার গুণ ঝন্টু, টাঙ্গাইল জেলা ইমাম ও মুয়াজ্জিন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জন জেৎরা, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ বোর্ডের ট্রাস্টি শ্যামল হোড় প্রমুখ।
এই সম্প্রীতি সমাবেশে জেলার বিভিন্ন ধর্মের মানুষ অংশগ্রহণ করেন। পরে সকল ধর্মের মানুষদের নিয়ে পুলিশ লাইনের ভিতরে সম্প্রতির বৃক্ষরোপণ করা হয়। শেষে সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
একতার কণ্ঠঃ ধর্মীয় সংগঠন ইসকন কর্তৃক এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যার বিচারের দাবিতে ও রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করা করেছে।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বাদ জুম্মা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে টাঙ্গাইল জেলা ক্বওমী ওলামা পরিষদ ও টাঙ্গাইল জেলা ইমাম ও মুয়াজ্জিন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
পরে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল জেলা ক্বওমী ওলামা পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুর রহমান ও টাঙ্গাইল জেলা ইমাম ও মুয়াজ্জিন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
বিক্ষোভ সমাবেশে বিপুলসংখ্যক তৌহিদী জনতা উপস্থিত ছিল।
একতার কণ্ঠঃ সাদপন্থিদের টাঙ্গাইলে তিন দিনব্যাপী জেলা ইজতেমা শুরু হয়েছে। টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নের বাসাখানপুর মিনি স্টেডিয়াম মাঠে এ ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) ফজরের নামাজের পর মাওলানা সৈয়দ আনিসুজ্জামানের আমবয়ানের মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী তাবলিগ জামাতের জেলা ইজতেমা শুরু হয়।
জুমার নামাজে ইমামতি করেন টাঙ্গাইলের মহেড়া পিটিসি মসজিদের মুফতি নিজাম উদ্দিন বকশি। জুমার নামাজ শেষে কাকরাইল মসজিদের মুরব্বি মাওলানা আরিফুর রহমান বয়ান করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাসাখানপুর মিনি স্টেডিয়াম মাঠজুড়ে বিশাল প্যান্ডেল বানানো হয়েছে। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা কয়েক হাজার মুসল্লি সেখানে অবস্থান করছেন। নিরাপত্তার জন্য সেখানে পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।
মুসল্লি রাসেল আহমেদ বলেন, এবারের ইজতেমাটা অনেক ভালো হবে। অনেক বড় জামাত হয়েছে। একসঙ্গে হাজারো মানুষ নামাজ আদায় করেছে। আমিও এই জায়গায় ভাগিদার হতে এসেছি। আমরা কোনো গ্রুপিং চাই না। সবাই মিলে দিনের কাজ করতে চাই।
আরেক মুসল্লি জাহিদ মিয়া বলেন, শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শুরু হয়েছে। এক দিন আগেই আমরা ময়দানে চলে এসেছি। ময়দানে এসে খুবই ভাগ্যবান মনে হচ্ছে নিজেকে।
ইজতেমা পরিচালনা কমিটির সদস্য শামীমুল ইসলাম জানান, ইজতেমায় তাবলিগের মূল শিক্ষা, দাওয়াত ও তওবার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা চলছে। জেলার ১২ উপজেলা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মুসল্লিরা এসেছেন।
এ ছাড়া ইন্দোনেশিয়া থেকে নয়জনের একটি দল ইজতেমায় অংশ নিয়েছে। জুমার নামাজে প্রায় ১৫ হাজার মুসুল্লি অংশ নেন। আগামী রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শেষ হবে।
এদিকে সাদপন্থিদের ইজতেমাকে পণ্ড করার জন্য শুক্রবার বিকেলে শহরের নিরালা মোড় এলাকায় যোবায়েরপন্থির অনুসারীরা সমবেত হওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা দেখা গেছে।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানবীর আহাম্মেদ বলেন, জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে তাদের কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। নিরাপত্তার জন্য কোনো পুলিশ সদস্যও মোতায়েন করা হয়নি।
একতার কন্ঠঃ মসজিদে দান করলেই পূরণ হয় মনের বাসনা এবং পাশের পুকুরে গিয়ে বলে এলেই ভেসে ওঠে পিতলের থালা-বাসন। এছাড়াও রাতের আঁধারে এতে নামাজ পড়তে আসে জ্বীন’রা! এমন সব আলোচিত ধারণা প্রচলিত আছে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের তেবাড়িয়া গ্রামে অবস্থিত প্রায় ৪০০ শত বছরের পুরাতন মসজিদকে ঘিরে।
মোঘল আমলে নির্মিত এই মসজিদ ঘিরে রয়েছে নানা রহস্য, যমুনা নদীর ভাঙ্গনে পুরো এলাকা বিলীন হলেও অক্ষত রয়েছে এই অলৌকিক আল্লাহ’র ঘর। নদীর স্রোত আর ঢেউয়ের প্রখরতায় মসজিদটি দোলতে থাকে কিন্তুু ভেঙে যায় না বলে দাবি স্থানীয়দের।
মসজিদটির নির্মাণ লগ্ন থেকে একটি দৃষ্টি নন্দন বড় গম্বুজ সহ চার পাশে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ১২ টি মিনার ও উত্তর-দক্ষিন দিকে দুইটি দৃষ্টি নন্দন ঘর রয়েছে। যেখানে বিশ্বাসী জনসাধারণ দাঁড়িয়ে মানত করেন হাঁস-মুরগী ও গরু-ছাগল থেকে শুরু করে স্বর্ণ সহ নগদ টাকার বিনিময়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইতিহাস-ঐতিহ্য সমৃদ্ধ তেবাড়িয়া জামে মসজিদ প্রবাহমান যমুনা নদীর কোলঘেষে আনুমানিক ১৬০১ খ্রীষ্টাব্দে ২৫৩ শতাংশ জায়গা নিয়ে মৃধা বংশোদ্ভূত আব্দুল মালেক খাঁ মৃধা এই মসজিদ নির্মাণ করেন।
যখন এটি নির্মিত হয় তখন মূল ভবনের পাশে একটি বিশাল আকারের জাম গাছে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত পণ্যবাহী নৌযান বেধে রাখা হত। তৎকালীন নদী থেকে মসজিদ একটু উচু স্থানে নির্মাণ করা হয়েছিলো, যেখানে সিঁড়ি চড়ে মসজিদে প্রবেশ করা হতো। মসজিদটি নির্মাণ করার পর আব্দুল মালেক খাঁ মৃধা মিম্বারে দাড়িয়ে উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে অছিয়ত করে বলেন, ওনার মৃত্যু যে স্থানে হবে তাকে যেন ওইখানে কবর দেওয়া হয় পরবর্তীতে উনি মিম্বার থেকে নেমে যাওয়ার পর পরই তিনি ইন্তেকাল করেন।
পরবর্তীতে মৃধা বংশোদ্ভূত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. আতিকুর রহমান তালুকদার মসজিদের পশ্চিম দিকের এলাকা থেকে মোট ৩৭ শতাংশ জমি নিজস্ব অর্থায়নে এবং অত্র এলাকার মৃত মোহাম্মদ আতোয়ার খান ১০ শতাংশ ও মৃত আকাজত খা’র ৬ কন্যাদ্বয় ৬ বিঘা জমি মসজিদের নামে দান করেন। উক্ত জমির উৎপাদিত ফসল বিক্রি করে অর্জিত অর্থ মসজিদের কোষাগারে জমা করা হয়। আরও দেড় বিঘা জমি মোসলেম তালুকদার মসজিদের নামে দান করেছিলেন, যা বিগত কয়েক বছর আগে যমুনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
কথিত আছে, তৎকালীন সময়ে মসজিদের ভিতরে একজন নেককার পরহেজগার ব্যক্তি অবস্থান করতেন উনাকে সবাই পাগল ভাবতেন কিন্তু প্রকৃতপক্ষে উনি একজন আল্লাহর ওলি ছিলেন। মসজিদটি যখন প্রবাহমান যমুনা নদীর গ্রাসে বিলীন হতে ছিল তখন উক্ত ব্যক্তি নদীর উপর দিয়ে হেটে মসজিদের পশ্চিম দিকে অনেক দূর পর্যন্ত চলে যান পরবর্তীতে উনাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারপর থেকে যমুনা নদী মসজিদ থেকে অনেক দূর পর্যন্ত পশ্চিম দিকে সরে যায়। পরবর্তীতে মসজিদটিতে পর্যায়ক্রমে মুসুল্লিদের নামাজের জন্য সন্মুখভাগে দুইটি ছাদ নির্মাণ করা হয়। নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া পূর্বের মিনারটি বর্তমানে মসজিদের উত্তর-পশ্চিম পাশে প্রায় ১০০ ফিট উঁচু করে নির্মাণাধীন আছে। বর্তমানে মসজিদটিতে প্রায় ২,২০০ জন মুসল্লী এক সাথে নামাজ আদায় করতে পারেন । মসজিদ নির্মাণের পর থেকে মৃধা বংশোদ্ভূত সদস্যরা পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। বর্তমানে মুতাওয়াল্লীর দায়িত্তে আছেন মৃধা বংশোদ্ভূত বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. হাফিজ খান তালুকদার এবং সভাপতি হিসেবে আছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. আতিকুর রহমান তালুকদার ।
সলিমাবাদ ইউনিয়নের কৃতি সন্তান সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সুজায়েত হোসেন জানায়,জেলা শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরবর্তী পল্লী অঞ্চলে মোগল স্থাপওে নির্মিত মসজিদটি ওয়াকফো বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত। সঠিক ব্যবস্থাপনায় মুসুল্লিদের চাহিদা অনুযায়ী আধুনিকায়ন সময়ের দাবি।
তেবাড়িয়া জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য মো. শরিফ খান তালুকদার বলেন, বর্তমানে মসজিদের আরো বেশ কিছু নির্মাণ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যাহা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।
মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. আতিকুর রহমান মন্টু জানায় দানকৃত জমির পরিমাণ ২৫৩ শতাংশ রয়েছে। জমি দাতার নাম মালেক খান মৃধা। দানকৃত জমি কিছুটা দখলে কম আছে বলেও দাবি করেন তিনি।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইনা ইউনিয়নের ‘জয় মা’ ক্লাবের উদ্যোগে সার্বজনীন দুর্গোৎসব উদযাপন করা হচ্ছে।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দুর্গোৎসবের মহা অষ্টমী তিথিতে জয় মা’ ক্লাবের পূজা মণ্ডপে ‘দেবী দুর্গার মর্ত্যে আরোহন, অশূর বধ ও মাতৃধামে ফিরে যাওয়া নিয়ে নাটক মঞ্চস্থ হয়। জয় মা ক্লাবের সদস্যরা এই নাটকে অভিনয় করেন।
এ ছাড়া মন্ডপে চলে পূজা-অর্চনা। ভক্তগণ এসে দেবী দুর্গাকে অর্চনা নিবেদন করেন। ভক্তদের ভিড়ে মুখরিত ছিল পূজা মন্ডপ।
‘জয় মা’ ক্লাবের সভাপতি রামপ্রসাদ সাহার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পলাশ সাহার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দাইনা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লাভলু মিয়া লাবু।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ গুণ ঝন্টু, দাইনা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবু সাঈদ, মহিলা সদস্য বিলকিস বেগম , ক্লাবের
কার্যকরী সভাপতি শুভ সাহা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জনি সাহা, সহ-সাধারণ সম্পাদক তাপস সাহা, আকাশ সাহা, স্বাধীন সাহা, কোষাধ্যক্ষ, আবির সাহা, সদস্য অন্তত সাহা,অনিক সাহা,নীবির সাহা প্রমূখ।
উল্লেখ্য,বুধবার ২ অক্টোবর মহালয়ার শুরুর মধ্যে দিয়ে হিন্দু ধর্মালম্বীদের মনে পূজোর ভাব চলে আসছে। দেবী দূর্গা এবার দোলায় চড়ে আগমন করেছেন এবং প্রস্থানও করবেন ঘোটকে চড়ে। আগমন শুভ এবং প্রস্থান এবার অশুভ।
এবার পূজায় প্রার্থনা থাকবে পৃথিবী ও দেশ থাকুক শান্তিময়। ৯ অক্টোবর ষষ্ঠীতে দেবীর দুর্গার বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। আগামী ১৩ অক্টোবর বিজয় দশমীতে প্রতিমা বিসর্জন ও বিজয়া শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এই বর্ণিল উৎসব।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা ও জিআর চাল বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) সকালে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) দীপ ভৌমিক এর সভাপতিত্বে উপজেলার ১২৬ টি পূজা মণ্ডপ সংশ্লিষ্ট কমিটির নেতৃবৃন্দদের কাছে এই চাল হস্তান্তর করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নাগরপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু বক্কর, মৎস্য কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ, উপজেলা শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন পরিচালনা কমিটির সহ সভাপতি শ্যামল কুমার সাহা (রাদু), রাজন ভট্টাচার্য, সুব্রত শীল, সাধারণ সম্পাদক প্রভাস চক্রবর্তী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ঝুটন কুমার সাহাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
একতার কন্ঠঃ মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, গত কেবিনেট সভায় গুরুত্বের সাথে আলোচনা হয়েছে এবারের পূজাটি যেন নতুন বাংলাদেশের পূজা হয়। ইতিপুর্বে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাথে প্রধান উপদেষ্টা সভা করেছেন।
সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশের সকলেই একটি পরিবার। এখানে সংখ্যালঘু সংখ্যাগরিষ্ঠ বলতে কিছু নেই।
সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, আমরা ঈদে আনন্দ করবো আর পূজায় ভয় পাবো এটা হয়না। আমরা সবাই মিলে যদি চেষ্টা করি তাহলে ভাল একটা পূজা করতে পারবো।
পূজা উপলক্ষে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন ইতিমধ্যেই যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে নিরাপত্তার কোন ঘাটতি নেই বলে জানান উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
জেলা প্রশাসক শরিফা হকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাবু চিত্তরঞ্জন সরকার ও সাধারন সম্পাদক প্রদীপ কুমার গুন ঝন্টুসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সাঃ) ও জশনে জুলুছ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জেলা ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন কমিটির উদ্যোগে এর আয়োজন করা হয়।
জশনে জুলুছে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সাঃ) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা ইসলামিয়া আরোগ্যসনদের মহাব্যবস্থাপক ও বাংলাদেশ মেডিকেল (ডেন্টাল) কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল শাহ্ সুফী ড. মুহাম্মদ আমীরুল ইসলাম (পি.এইচ.ডি)।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- করটিয়া সরকারি সা’দত কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর আল কাদেরী।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ অধ্যক্ষ মো. আব্দুল হাই।
অনুষ্ঠানে বিশেষ মেহমান ছিলেন- আহমাদাবাদ শরীফ করটিয়ার পীর সাহেব আলহাজ্ব শাহ্ সুফি সাইফুল্লাহিল ক্বাতেয়ী, আহমাদাবাদ দরবার শরীফ বুহুলী টাঙ্গাইলের পীর সাহেব আলহাজ্ব শাহ্ সুিফ ক্বারী মাওলানা হাবিবুল্লাহ আল আহমাদি, মাহবুবিয়া দায়রা শরীফের পীর সাহেব আলহাজ্ব ডা. সৈয়দ শাহ্ ছাইদুল্লাহ কাদরী, দেলদুয়ার মৌলভীপাড়া শাহীবাগ দরবার শরীফের পীর সাহেব শাহ্ হারুন-অর-রশিদ।
জেলা ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন কমিটির সভাপতি ও হাজিবাগ দরবার শরীফের খাদেম আলহাজ্ব অধ্যাপক মুহাম্মদ আব্দুল কদ্দুস খসরু সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও আহমাদাবাদ শরীফ করটিয়ার বিশিষ্ট খলিফা পীরজাদা আলহাজ্ব শাহ্ সুফি মোহাম্মদ শাহ্ জালাল।
সরকারি এম এম আলী কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগি অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ খান আর গাউছিয়া কমিটি টাঙ্গাইল জেলা শাখার প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোর্শেদ আলম মাসুদের সঞ্চালনায় বিশেষ আলোচক ছিলেন- সরকারি এম এম আলী কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল প্রফেসর খন্দকার আরিফ মাহমুদ, সরকারি সা’দত কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ছাইফুল মালেক আনসারী, পিচুরিয়া দরবার শরীফের পীর সাহেব আলহাজ্ব শাহ সুফি আহমাদ আলী, দেলদুয়ার আলালপুর ফাজিল মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল আলহাজ্ব মাওলানা শাহ সুফি আব্দুল ওহাব সিরাজী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খোদা-ই খেদমতগার সন্তোষের সভাপতি হাসরত খান ভাসানী, দেলদুয়ার টেউরিয়া তাফিজিয়া দরবার শরীফের পীরজাদা মাওলানা সৈয়দ মারুফ আল হোসাইনসহ বিশিষ্ট ওলামায়েদ্বীন ও ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীরা উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় আয়োজকদের পক্ষ থেকে জশনে জুলুছ (আনন্দ র্যালি) শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পূনরায় শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে সমবেত হয়ে বিশেষ মোনাজাতে অংশ গ্রহণ করেন তারা। মোনাজাত পরিচালনা করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঢাকা ইসলামিয়া আরোগ্যসনদের মহাব্যবস্থাপক ও বাংলাদেশ মেডিকেল (ডেন্টাল) কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল শাহ্ সুফী ড. মুহাম্মদ আমীরুল ইসলাম (পি.এইচ.ডি)।
একতার কণ্ঠঃ ঢাকার মিরনজিল্লা সিটি হরিজন কলোনীতে হামলা ও মন্দির ভাংচুরের প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার(১৩ জুলাই )বিকেলে টাঙ্গাইল শহরের শ্রী শ্রী বড় কালিবাড়ী মন্দিরের সামনে জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, পূজা উদযাপন পরিষদ, হরিজন ঐক্য পরিষদ ও নাগরিক সমাজের যৌথ উদ্যোগে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট খোরশেদ আলম, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক সমরেশ চন্দ্র পাল, যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক তমাল বিহারী দাস, দপ্তর সম্পাদক সুমন সরকার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুভাষ সরকার, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার গুণ ঝন্টু, গালা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রাজকুমার সরকার, সদর উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি মুকুল সাহা, সাধারণ সম্পাদক লিটন সাহা, কেন্দ্রীয় যুব ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি স্বাধীন হরিজন, টাঙ্গাইল জেলা হরিজন ঐক্য পরিষদের সভাপতি সুমন হরিজন, সাধারণ সম্পাদক রিপন হরিজন, হরিজন সম্প্রদায়ের নেতা সুমন হরিজন প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদেরকে অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
একতার কণ্ঠঃ প্রচন্ড তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ। আকাশে মেঘের দেখা নেই বৃষ্টিহীন চরম অস্বস্তিকর এ পরিস্থিতিতে গরম থেকে মুক্তি ও বৃষ্টির জন্য টাঙ্গাইলে খোলা আকাশের নিচে বৃষ্টির জন্য সালাতুল ‘ইস্তিসকার’ নামাজ ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১০টায় টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
নামাজে ইমামতি করেন শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের খতিব ও জেলা ইমাম মুয়াজ্জিন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন ঈমান।
নামাজে টাঙ্গাইল পৌর মেয়র এস.এম সিরাজুল হক আলমগীর, সাবেক পৌর মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খোরশেদ আলমসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আগত সহস্রাধিক মুসল্লি অংশ নেয়।
নামাজে অংশ নেওয়া কয়েকজন মুসল্লি জানান, টানা কয়েক দিনের প্রচন্ড তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রখর রোদের কারণে জীবিকা নির্বাহের তাগিদে বাইরে বের হতে পারছে না অনেক মানুষ। এ কারণে বৃষ্টি চেয়ে আল্লাহর দরবারে দুই রাকাত সালাতুল ‘ইস্তিসকার’ আদায় করা হয়।
উল্লেখ্য, মূলত সালাতুল ‘ইস্তিসকার’ সুন্নতি আমল। এ নামাজ ঈদের নামাজের মতো। নামাজ শেষে খুৎবা পাঠ করা হয়। তারপর দোয়ায় অনাবৃষ্টি ও অসহ্য গরম থেকে মুক্তি এবং মহান আল্লাহর রহমত কামনা করা হয়।
একতার কণ্ঠঃ:টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার বাড়ির পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন ব্রিটিশ ও ভারতীয় হাইকমিশনার এবং বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি।
সোমবার(২৩ অক্টোবর )সন্ধ্যায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুক, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন।
সন্ধায় কুমুদিনী হাসপাতাল লাইব্রেরীতে পৌছালে কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাহা, কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায়, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. আব্দুল হালিম ও ডিজিএম (অপারেশন) অনিমেষ কুমার ভৌমিক তাঁদের স্বাগত জানান।
এসময় টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিলা বিনতে মতিন ,সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুচি রানী সাহা উপস্থিত ছিলেন।
পরে অতিথিবৃন্দ রঙিন বজরা যোগে লৌহজং নদী পার হয়ে দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার বাড়ির দুর্গা মন্ডপে যান। সেখানে মন্ডপ পরিদর্শন ও ভারতেশ্বরী হোমসের ছাত্রীদের মনোজ্ঞ আরতী নৃত্য উপভোগ করেন। এছাড়া বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. খাইরুল আলম, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদার, মো. রুহুল কুদ্দুস, আকরাম হোসেন চৌধুরী, অতিরিক্ত ডিআইজি মারুফ হাসান এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান দুর্গা মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার হুগড়া ইউনিয়নের ফাতেমা-তুজ জোহরা মহিলা মাদ্রাসায় ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) আছরের নামাজের পর ইউনিয়নের মন্ডল মোরের মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে এই ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
ওয়াজ মাহফিলে মো.আজগর আলী মন্ডলের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখবেন গাজীপুরের ইসলামী আলোচক হাফেজ হযরত মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ.তোফাজ্জল হোসেন ও হযরত মাওলানা মোহাম্মদ.আবু বকর সিদ্দিক।
ওয়াজ মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন হুগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.নূর-এ আলম তুহিন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন সাপ্তাহিক গনবিপ্লব পত্রিকার বার্তা-সম্পাদক মো.মাসুম ফেরদৌস নান্নু, হুগড়া হাবিব কাদের উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.শামীম আল মামুন জুয়েল, এস আই মো.শাহাদাত হোসেন ও বিজয় টিভি এবং দৈনিক কালবেলার টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি মো.আবু জুবায়ের উজ্জল ।