/ হোম / স্বাস্থ্য
ডাক্তারসহ জনবল সংকটে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল, চিকিৎসা সেবা ব্যাহত - Ekotar Kantho

ডাক্তারসহ জনবল সংকটে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল, চিকিৎসা সেবা ব্যাহত

আরমান কবীরঃ ১৯৭৪ সালে টাঙ্গাইল শহরের কোদালিয়া এলাকায় ৫০ শয্যার সুবিধা নিয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে যার শয্যা সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫০ ।

এ ছাড়া বৈশ্বিক মহামারি করোনার সময় হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় তড়িঘড়ি করে ১০ শয্যার আইসিইউ বেড চালু করা হয়, যা ২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে দক্ষ জনবলের অভাবে বন্ধ রয়েছে জেলার জন্য অতি জরুরি এই সেবাটি।

ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনাসেতু মহাসড়কের পাশে অবস্থিত এই হাসপাতালের নেই দুর্ঘটনায় আহতদের জন্য ট্রমা সেন্টার। ফলে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহতদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে। আইসিইউ সেবা ও ট্রমা সেন্টার না থাকাতে রাজধানী ঢাকায় নেওয়ার পথে মৃত্যু হচ্ছে অধিকাংশ গুরুতর আহত রোগীর।

বর্তমানে চিকিৎসকসহ জনবলের অভাবে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম। ফলে প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এখানে সেবা নিতে আসা হাজার হাজার সাধারণ রোগীগণ।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৩৫০ থেকে ৪৫০ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেন। এই হাসপাতালে টাঙ্গাইল জেলার ১২টি উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে রোগী আসেন।

এ ছাড়া হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন প্রায় গড়ে ১ হাজার রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন। কিন্তু পর্যাপ্ত ডাক্তার না থাকায় আশানুরূপ সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। ৪০ লক্ষ জনসংখ্যা অধ্যুষিত টাঙ্গাইল জেলার বাসিন্দাদের জন্য জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত ৪৪জন চিকিৎসক নিতান্তই অপ্রতুল বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসাপাতালে অনুমোদিত জনবলের প্রশাসনিক ও পরিসংখ্যান কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন খাতে কর্মচারীর পদ রয়েছে ৪০১টি। এর মধ্যে চিকিৎসকসহ ৭২টি পদ শূন্য। হাসপাতালে ৫৮ জন চিকিৎসক পদের মধ্যে ১৮টি পদ শূন্য। সিনিয়র কলসালটেন্ট (মেডিসিন) ও সিনিয়র কলসালটেন্ট (সার্জারি) দুইটি পদই শূন্য, সিনিয়ন কলসালটেন্ট (স্কিন ভিডি) পদও শূন্য, সিনিয়র নার্সের ৬টি পদই শূন্য, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর ৭২টি পদের বিপরিতে শুন্য রয়েছে ৩৫টি পদ। এ প্রতিষ্ঠানে ৭৭জন আউটসোর্সিং জনবলের মধ্যে লোক নিয়োগ করেছে মাত্র ৪৮ জন, ১৬ জন সুইপার পদের বিপরিতে ৯টি পদ শূন্য। এত স্বল্প সংখ্যক আয়া, সুইপার ও পরিচ্ছন্নকর্মীর কারনে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। অন্য দিকে ডায়াবেটিক রোগীর তিন মাসে সার্বিক অবস্থা জানার একমাত্র এইচবিএওয়ানসি মেশিনটিও অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

এই হাসপাতালে সাধারণ মানের কিছু বেসিক টেস্ট করা হয়, কিন্তু সিটি স্ক্যান, এমআরআই, হরমোন টেস্ট, কালচার, হিস্টোপ্যাথলজি—এরকম গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা করা সম্ভব নয়, কারণ সরঞ্জাম নেই। এ ছাড়াও মেডিসিন ও সার্জারি পোস্টে কোনো কনসালট্যান্ট নেই। স্ট্যান্ডার্ড সেটাপে ১৭৮ জন চিকিৎসক প্রয়োজন, কিন্তু এখানে সর্বমোট চিকিৎসক রয়েছেন ৪৪ জন। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের পাশে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মিত হলেও পুরোপুরি চালু হয়নি, যার কারণে জেনারেল হাসপাতালে রোগীর চাপ সবসময় বেশি থাকে। এ ছাড়াও দালালদের দৌরাত্ম্যের কারণে রোগী ও স্বজনরা হয়রানির শিকার হন। ৪৪ জন চিকিৎসকের মধ্যে ১৫ জন প্রতিদিন বহির্বিভাগে, ৪ জন ইমারজেন্সিতে এবং বাকি ২৫ জন ইনডোরে ডিউটি করেন।

হাসপাতালে ১৪টি ওয়ার্ড রয়েছে: ১নং প্রসূতি, ২নং শিশু, ৩নং গাইনি, ৪নং মেডিসিন (মহিলা), ৫নং মেডিসিন (পুরুষ), ৬নং সার্জারি (পুরুষ), ৭নং সার্জারি (মহিলা), ৮নং অর্থোপেডিক (পুরুষ), ৮এ অর্থো (মহিলা), ৯নং ডায়রিয়া, ১০নং ইএনটি, ১১নং সিসিইউ, ১২নং আইসিইউ, ১৩নং করোনা সাসপেকটেড, ১৪নং করোনা পজিটিভ। হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার ৪টি (গাইনী, সার্জারি, অর্থোপিডিক)। পরিচ্ছন্নতা কর্মী ১৩ জন, আউটসোর্সিং ভিত্তিতে।

এ দিকে এ হাসপাতালে ১০ বেডের আইসিইউ থাকলেও আধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রয়োজনীয় ডাক্তার এবং দক্ষ জনবল না থাকার কারনে রোগীদের সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ২০২৪ সালের জুলাই থেকে আইসিইউ সেবা বন্ধ রয়েছে। তারপরও আরও একটি ১০ বেডের আইসিইউ প্রস্তুুত করা হয়েছে। সময় মতো সেটি চালু না করা গেলে মূল্যবান মেশিনগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, পরিচ্ছন্নতা কর্মী প্রয়োজন ৭৫ জন। হাসপাতালের খাবারের মান ভালো, তবে ২৫০ জন রোগীর বাইরে খাবার পরিবেশন সম্ভব নয়। ঔষধের বরাদ্দ রয়েছে, তবে অনেক রোগী ঔষধ না পাওয়ার অভিযোগও করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, কিছু সিনিয়র চিকিৎসকের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেটের কারণে এখানে অব্যবস্থাপনা বিরাজ করছে। হাসপাতালের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহারে জনবল নেই। এ কারনে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরিক্ষাও ঠিকমত হচ্ছেনা। জনবলের অভাব হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ সচল যন্ত্রপাতি ব্যবহারের অভাবে পড়ে আছে। বাধ্য হয়ে অধিকাংশ রোগী বাইরের বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে বিভিন্ন রোগের পরীক্ষা করছেন। আর এ ক্ষেত্রেও ওই সিন্ডিকেটের ভূমিকা রয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালের ১জন রেডিওলজিস্ট দিয়ে কোনভাবে এত পরিমান রোগীর সেবা প্রদান করা সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।

চিকিৎসা নিতে আসা জেলার গোপালপুরের রফিজ উদ্দিন বলেন, ডাক্তার আমাকে ব্রেনের এমআরআই পরীক্ষা করতে বলেছিলেন। সদর হাসপাতালে এমআরআই নেই, তাই প্রাইভেট হাসপাতালে ৭,৫০০ টাকা খরচ করে পরীক্ষা করেছি। সরকারি হাসপাতালে এই ব্যবস্থা থাকলে রোগীদের ভোগান্তি কম হতো।

আব্দুর রাজ্জাক নামে এক রোগীর স্বজন বলেন, হাসপাতালের আশেপাশের ঔষধের দোকানদাররা রোগীর স্বজনদের হাত থেকে ঔষধের স্লিপ নিয়ে বেশি দাম চায়। প্রতিবাদ করলে দাপট দেখানো হয়।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. খন্দকার সাদিকুর রহমান জানান, প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার ও সহকারী স্টাফ না থাকায় রোগীরা পুরোপুরি সেবা পাচ্ছে না। তবে যারা আসেন তাদের উপযুক্ত সেবা দেওয়া হয়। ঔষধ ও খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে, তবে রোগীর চাপ বেশি হলে বেগ পোহাতে হয়। আইসিইউ, ডাক্তার, পরিচ্ছন্নতা কর্মী বৃদ্ধি করলে আশানুরূপ সেবা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৫. অক্টোবর ২০২৫ ০২:৫৪:এএম ১ মাস আগে
টাঙ্গাইলে সাত মাসে সাপের কামড়ের শিকার ৫৩৫ জন - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে সাত মাসে সাপের কামড়ের শিকার ৫৩৫ জন

সাহান হাসানঃ টাঙ্গাইলে বাড়ছে সাপে কাটা রোগীর সংখ্যা। গত সাত মাসে জেলায় সাপের কামড়ে ৫৩৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৭২ জন রোগীকে বিভিন্ন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বাকি ৪৬১ জন হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এ সময়ে সাপের কামড়ে জেলায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. ফরাজী মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম মঞ্জু বলেন, সর্প দংশনের প্রতিষেধক জেলায় ১৩টি হাসপাতালে ৩৪৫টি রয়েছে। আশা করছি এর সংকট হবে না।

টাঙ্গাইল সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, গত সাত মাসে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭৫ জন, জেনারেল হাসপাতালে ১২২ জন, মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ৬৪ জন, দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪ জন, ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২১ জন, ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৫ জন, বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ জন, নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৮ জন, মিজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৩ জন, সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৯৮ জন, কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭ জন, ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৩ জন, মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩৮ জন এবং গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৭ জন ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৭২ জনকে স্থানান্তর করা হয়।

একই সময়ে সাপের ছোবলে আহত রোগীদের মধ্যে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৭৩ জন, জেনারেল হাসপাতালের ১২২ জন, কুমুদিনী হাসপাতালের ৬৪ জন, নাগরপুরে ১৬ জন, দেলদুয়ারে ৪ জন, বাসাইলে ৬ জন, মির্জাপুরে ২২ জন, সখীপুরে ৮১ জন, কালিহাতীতে ৪ জন, ঘাটাইলে ১০ জন, ভূঞাপুরে ১২ জন, গোপালপুরে ১৬ জন, মধুপুরে ২৯ জন এবং ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুজন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

এ সময়ে সাপের ছোবলে আহত হয়ে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া দুজন রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তারা হলেন, নাগরপুর উপজেলার মন্টুর স্ত্রী আসমা খাতুন ও ভূঞাপুর উপজেলার আমিনুর রহমান। তাদের মধ্যে আমিনুর রহমানকে অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন দেওয়া হলেও তিনি মারা যান।

সাপের ছোবলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া আসমা খাতুনের মেয়ে হামিদা খাতুন বলেন, আমার মাকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলতি বছরের ১১ জুন ভর্তি করি। ভর্তির পরপর কর্তব্যরত চিকিৎসক ভ্যাকসিন ইনজেকশন দেওয়ার জন্য একটি কাগজে দ্রুত অ্যান্টিভেনম এনে দেওয়ার জন্য লিখে দেন। ভ্যাকসিন ইনজেকশনটি বাইরে থেকে কিনে এনে দিলে চিকিৎসক পুশ করে এবং তার মাকে স্যালাইন দেয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি মারা যান।

একই মাসে ভূঞাপুর উপজেলার আমিনুর রহমানকে হাসপাতালে ভর্তি করে দুই ঘণ্টা পর অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন পুশ করার প্রস্তুতির কালে তিনি মারা যান। আমিনুর রহমানের বোনের স্বামী পারভেজ বলেন, সাপের ছোবলে আহতাবস্থায় আমিনুর রহমানকে টাঙ্গাইল মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির ২ ঘণ্টা পর চিকিৎসকরা জানান সেখানে অ্যান্টিভেনম নেই। অ্যান্টিভেনম না থাকায় বাইরে থেকে কিনে আনতে পরামর্শ দেন। বাইরে থেকে অ্যান্টিভেনম কিনে এনে দিলেও আমিনুর রহমানকে বাঁচানো যায়নি।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে দুজন চিকিৎসক অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন নিয়ে সিন্ডিকেটে জড়িত। হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম থাকলেও রোগীদের বাহির থেকে কিনে আনতে বলে। চিকিৎসক শাহরিয়া রহমান একটি কাগজে অ্যান্টিভেনম রোগী ভর্তির দুই ঘণ্টা পরে লিখে দিয়ে বলেন দ্রুত নিয়ে আসেন। যথারীতি ঠিকানা অনুযায়ী সেখানে দেখতে পান একই হাসপাতালের চিকিৎসক আতিকুর রহমান। তার কাছ থেকে অ্যান্টিভেনম ১৪ হাজার টাকা দাম মিটায়। ২০০০ হাজার টাকা নগদ দিয়ে বাকি ১২ হাজার টাকা রেখে আসেন। ইনজেকশন নিয়ে আসার পর চিকিৎসক অ্যান্টিভেনম মিকচার করে পুশ করা অবস্থায় রোগীকে মৃত ঘোষণা করে।

এ বিষয়ে চিকিৎসক আতিকুর রহমান বলেন, আমার নিজের প্রয়োজনে ইনসেপ্টা কোম্পানির দুটি ইনজেকশন ফার্মেসিতে রেখে দিয়েছিলাম। কখন কার বিপদ আসে সেটাকে মোকাবেলা করাতে আমার রাখা।

টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. আব্দুস কদ্দুছ বলেন, হাসপাতালে বর্তমানে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিভেনম রয়েছে। এছাড়াও অ্যান্টিভেনম নিয়ে কোনো চিকিৎসক রোগীকে বিভ্রান্ত করার কথা নয়।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. ফরাজী মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম মঞ্জু বলেন, সর্প দংশনের প্রতিষেধক জেলায় ১৩টি হাসপাতালে ৩৪৫টি রয়েছে। আশা করছি এর সংকট হবে না।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৫. সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৬:২৮:এএম ২ মাস আগে
টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে সার্বক্ষনিক চিকিৎসা সেবা চালু  - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে সার্বক্ষনিক চিকিৎসা সেবা চালু 

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জেলা বাসীর বহুল প্রতিক্ষিত জরুরী বিভাগে সার্বক্ষনিক চিকিৎসা সেবা চালু করা হয়েছে।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল হতে জরুরী বিভাগে সার্বক্ষনিক চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম শুরু করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এ দিকে জরুরী বিভাগের সার্বক্ষনিক চিকিৎসা সেবা শুরু হওয়ায় জেলাবাসীর মাঝে স্বস্তি বিরাজ করছে।

সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা: মো: আব্দুল কুদ্দুছ।

তিনি জানান,হাসপাতালের সকল চিকিৎসক, অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, কনসালটেন্ট, আরপি-আরএস, সহকারী সার্জন, নার্সিং সুপারভাইজার, বিভিন্ন বিভাগের ইনচার্জ এবং অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আউটসোর্সিং সুপারভাইজারদের অবগতির জন্য এক বিজ্ঞপ্তিতে জরুরী বিভাগে সার্বক্ষনিক চিকিৎসা সেবার নির্দশনার কথা জানানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, সপ্তাহে সাত দিন জরুরী বিভাগে সকল প্রকার রোগীদের সার্বক্ষনিক চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে।

চিকিৎসা সেবা পাওয়া রোগী ও স্বজনরা জানান, টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি কয়েক বছর আগের চালু হলেও এখানে জরুরী বিভাগে চিকিৎসা পাওয়া যেত না। সোমবার থেকে সীমিত পরিসরে এই সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা: মো: আব্দুল কদ্দুস বলেন, আমাদের চিকিৎসক সংকটসহ জনবল সংকট রয়েছে। তারপরেও জনস্বার্থে জরুরি বিভাগে সার্বক্ষণিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করার চেষ্টা চলছে। আশা করি, খুব শিগগিরই জরুরী বিভাগে পরিপূর্ণ চিকিৎসা সেবা প্রদান সম্ভব হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৩. সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০২:৪৯:এএম ২ মাস আগে
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে যৌথবাহিনীর অভিযানে দালাল চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে যৌথবাহিনীর অভিযানে দালাল চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে যৌথবাহিনীর অভিযানে দালাল চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় তাদের ১৬ হাজার ৫’শত টাকা অর্থদণ্ড ও বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল ও টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল নাঈম বিনতে আজিজের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়নের চৌধুরী মালঞ্চ গ্রামের মো. আজিজুল হকের ছেলে মো. মাসুদ রানা (২৭), টাঙ্গাইল পৌরসভার ভালুককান্দি এলাকার সোনাউল্লার ছেলে মো. খোকোন হোসেন (২৫), টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গালা ইউনিয়নের গালা গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (২২), কালিহাতী উপজেলার সল্লা ইউনিয়নের সল্লা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মো. জাহিদ হোসেন (২৩), টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের সারটিয়া গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার ছেলে মো. আনিস মিয়া (২২)।

সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল নাঈম বিনতে আজিজ জানান, দীর্ঘদিন ধরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল ও টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে দালাল চক্রের সদস্যরা এখানে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসছিল। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

তিনি আরো জানান, এসময় দালাল চক্রের ৫ সদস্যকে আটক করে ১৬ হাজার ৫’শত টাকা অর্থদণ্ড ও বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড অন্য প্রদান করা হয়। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪-ইবি ব্যাটেলিয়নের ওয়ারেন্ট অফিসার মো. ফারুকের নেতৃত্বে একটি টহল দলসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৮. অগাস্ট ২০২৫ ০৩:৫৭:এএম ৩ মাস আগে
টাঙ্গাইলে এশিয়ান মেডিকেল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে এশিয়ান মেডিকেল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ

সাহান হাসানঃ টাঙ্গাইলে এশিয়ান মেডিকেল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী ও ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ করা হয়েছে।

শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের ক্লাব রোডে অবস্থিত মহিলা সমিতি মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ডাক্তার মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এশিয়ান মেডিকেল ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. আশরাফ সিদ্দিকী।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার মো: মোস্তাফিজুর রহমান।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতির টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান জিন্নাহ, টাঙ্গাইলের যুব-উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষক রনজিৎ কুমার সূত্রধর, ঢাকা ডেন্টাল কলেজের চিকিৎসক সানজিদা আক্তার, মেহেদী আব্দুল্লাহ ও রাসেল মিয়া।

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান শেষে ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ করা হয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২০. জুলাই ২০২৫ ০২:৫৭:এএম ৪ মাস আগে
টাঙ্গাইলের মধুপুরে ‘গরীবের হাসপাতালে’ র‍্যাবের চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলের মধুপুরে ‘গরীবের হাসপাতালে’ র‍্যাবের চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণ

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে গরীবের ডাক্তার খ্যাত এড্রিক বেকারের হাসপাতালে র‍্যাবের পক্ষ থেকে চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

শনিবার (১৭ মে) দুপুরে র‍্যাব-১৪ এর উদ্যোগে এ চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এ সময় র‍্যাব-১৪ এর অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি নয়মুল হাসান আমেরিকান ডাক্তার দম্পতি জেসিন এবং মেরিন্ডিসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের কাছে চিকিৎসা সামগ্রী তুলে দেন। চিকিৎসা সামগ্রী পেয়ে খুশি হাসপাতালের কর্মকর্তারা।

এ সময় র‍্যাব-১৪ সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর কাউসার বাঁধনসহ র‍্যাবের অন্যন্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

র‍্যাব-১৪ এর অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি নয়মুল হাসান বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি র‍্যাব সেবায় যেনো অবদান রাখতে পারে, সে লক্ষ্যে হাসপাতালের চাহিদা অনুযায়ী চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এ ধারা অব্যহত থাকবে।

উল্লেখ্য, টানা ৩২ বছর টাঙ্গাইল জেলার মধুপুরগড়ে অবস্থিত কালিয়াকৈরে গ্রামের দরিদ্র মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার পর ২০১৫ সালে মারা যান নিউজিল্যান্ডের অধিবাসী ৭৪ বছর বয়স্ক ডাক্তার এড্রিক বেকার।

গ্রামের সবার কাছেই যিনি ডাক্তার ভাই হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার মৃত্যুর পর আমেরিকা থেকে ছুটে এসে বর্তমানে ডাক্তার দম্পতি জেসিন এবং মেরিন্ডি হাসপাতালটি দেখাশোনা করছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৮. মে ২০২৫ ০২:৩২:এএম ৬ মাস আগে
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চোর সন্দেহে যুবককে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চোর সন্দেহে যুবককে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ছানোয়ার হোসেন(৩৭) নামে এক যুবককে চোর সন্দেহে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। পরে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশ।

নিহত ছানোয়ার হোসেন জেলার মধুপুর উপজেলার গোলাবাড়ী ইউনিয়নের ভট্টবাড়ী গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার বিকালে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার মেডিসিন ওয়ার্ড (মহিলা) থেকে ৪/ ৫ জন যুবক নিহত ছানোয়ার হোসেনকে জোর করে ধরে এনে চোর বলে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এ সময় ছানোয়ার হোসেন জীবন বাঁচাতে যুবকদের হাতে পায়ে ধরে রক্ষা পায়নি। এমনকি ছানোয়ার হোসেনকে বাঁচাতে হাসপাতালের কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে ছানোয়ার হোসেন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লে যুবকরা পালিয়ে যায়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন জানায়, এ ভাবে দিনে-দুপুরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মতো জায়গায় চুরির অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছি না। অবিলম্বে হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীর আহমেদ জানান, জেনারেল হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় এক যুবককে চোর সন্দেহে কয়েকজন দুর্বৃত্ত পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

তিনি আরও জানান,পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৭. জানুয়ারী ২০২৫ ০৬:৩৯:এএম ১০ মাস আগে
টাঙ্গাইলে ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: ফাহমিদা লস্করের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

রবিবার (১২ জানুয়ারি)দুপুরে ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে স্থানীয় এলাকাবাসীর ব্যানারে ঘন্টা ব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম, যুবদল নেতা মাসুদ, মাসুদ রানা, হাবিব হোসেন, ব্যবসায়ী আয়নাল হোসেন, হাবিব হোসেন, নুরজাহান বেগম, সোমা আক্তার প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন যাবত এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রোগীরা পরিপূর্ণ স্বাস্থ্য সেবা ও ওষুধ পত্র পাচ্ছে না। এ ছাড়া প্যাথোলজি বিভাগ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় রোগীরা এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

তারা আরও অভিযোগ করে বলেন,অন্যদিকে টাকার বিনিময়ে আউটসোর্সিং পদে তার ইচ্ছেমত লোক নিয়োগসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নিচ্ছেন ডা: ফাহমিদা লস্কর।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১২. জানুয়ারী ২০২৫ ০৯:৫৪:পিএম ১০ মাস আগে
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে মিলছেনা র‌্যাবিস্ ভ্যাকসিন, রোগী ভোগান্তি চরমে - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে মিলছেনা র‌্যাবিস্ ভ্যাকসিন, রোগী ভোগান্তি চরমে

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল হাসপাতালে মিলছেনা সরকারিভাবে দেওয়া বিনামূল্যের র‌্যাবিস্ ভ্যাকসিন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীসহ স্বজনরা। কেউ কেউ একটি বা দুটি বিনামূল্যের ভ্যাকসিনের ডোজ পেলেও গত দুইদিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে এর সরবরাহ। রোগীরা ভোগান্তির শিকার হলেও সর্বোচ্চ বিক্রয় মূল্যে ওই ভ্যাকসিন বিক্রির ফায়দা নিচ্ছেন ওষুধ বিক্রেতা। রোগীর চাপ বাড়ায় দায়িত্বরতরা ভ্যাকসিনের সরবরাহ না থাকার অজুহাত দিয়ে ওষুধ বিক্রেতাদের মাধ্যমে বাড়তি সুবিধা নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছেন স্বজনরা।

রবিবার (১৫ ডিসেম্বর)এ চিত্র দেখা গেছে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের যক্ষ্মা ও কুষ্ঠ ক্লিনিক ভবনে স্থাপনকৃত র‌্যাবিস্ ভ্যাকসিন বিতরণ কক্ষে।

দেখা গেছে, এ ভবন চত্বরে শিশু,নারী ও পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সী প্রায় দুই শতাধিক রোগী ও স্বজনদের। বিনামূল্যের ভ্যাকসিন না থাকায় হতাশ আগত রোগী ও স্বজনরা। কেউ কুকুর আবার কেউ বিড়ালে কামড় বা খামচির শিকার। সরকারি বিনামূল্যের ভ্যাকসিন না থাকার সুযোগ নিয়ে বেসরকারি কোম্পানীর ভ্যাকসিন ওই ভবন চত্বরেই বিক্রির কাজ করছেন ওষুধ বিক্রেতার কয়েকজন প্রতিনিধি। চারজনের এক একটি গ্রুপ মিলিয়ে একটি র‌্যাবিস্ ভ্যাকসিন ও চারটি সিরিঞ্জ প্রকাশ্যে বিক্রি করছেন সর্বোচ্চ বিক্রয় মূল্য সাড়ে পাঁচশ টাকায়। যদিও ভ্যাকসিনের গায়ে সর্বোচ্চ মূল্য লেখা ৫’শ টাকা আর পাঁচ টাকা মূল্যের এক একটি সিরিঞ্জের দাম নেয়া হচ্ছে ১০ টাকা।

ভুক্তভোগী ফাতেমা জানান, গত ১১ ডিসেম্বর আমার দুই বছরের বাচ্চাকে বিড়ালে খামচি দেয়। ১২ ডিসেম্বর এখান থেকে বিনামূল্যে প্রথম ডোজটি দিয়েছি। এভাবে তিনটি ডোজ দেয়ার তারিখ লিখে দেন কর্তব্যরত নার্স। রবিবার আমার বাচ্চার দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার দিন। এসে শুনি সরকারি ভ্যাকসিন নাই। বাধ্য হয়ে জনপ্রতি ১৩৫ টাকা ভাগ করে দিয়ে একটি ভ্যাকসিন কিনে আমরা চারজনের বাচ্চাকে দিয়েছি। সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যের ভ্যাকসিন নেই এটা কি বিশ্বাসযোগ্য।

রুবী আক্তার নামের এক রোগীর স্বজন জানান, দুটি ডোজ বিনামূল্যে পেয়েছি। আজকে এসে শুনি ভ্যাকসিন নেই, তাই বাধ্য হয়ে এখানে থাকা এক ওষুধ বিক্রেতার কাছ থেকে কিনে বাচ্চাকে শেষ ভ্যাকসিনটি দিতে হলো। সরকারি ভ্যাকসিন হঠাৎ উধাও হলো, নাকি বাড়তি সুবিধা নিতে দায়িত্বরতরা না থাকার এই অজুহাত সাজিয়েছেন।

দায়িত্বরত সিনিয়র স্টাফ নার্স আমিনুল ইসলাম জানান, বরাদ্দকৃত সরকারি ভ্যাকসিন শেষ হওয়ায় রোগীদের বাইরে থেকে ভ্যাকসিন কিনতে হচ্ছে। ভবনের বাইরে যে ভ্যাকসিন বিক্রি করছে সে আমাদের কেউ নন। তাকে এই ভবন চত্বরে ভ্যাকসিন বিক্রির অনুমতি না দেয়াসহ কোন বাড়তি সুবিধা তারা নিচ্ছেননা বলে দাবি করেছেন তিনি। দালাল আর বহিরাগত ওষুধ বিক্রেতাদের বিষয়ে আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, এরআগে কয়েক দফায় পুলিশের হাতে আটকও হয়েছে তারা।

অপর দায়িত্বরত সিনিয়র স্টাফ নার্স রিজিয়া জানান,এ বছর রোগীর সংখ্যা অনেক বেশী হওয়ায় সরবরাহকৃত ভ্যাকসিন সময়ের আগেই শেষ হয়েছে। কর্তৃপক্ষকে ভ্যাকসিনের চাহিদা দেয়া হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত সরকারি ভ্যাকসিন পেয়ে যাবো।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার(আরএমও)ডা. মো. আলমগীর হোসেন বলেন,চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় র‌্যাবিস্ ভ্যাকসিন বিতরণে সমস্যা হচ্ছে। প্রতি সপ্তাহে আমরা যে পরিমানের চাহিদা দিই, সেই পরিমানের ভ্যাকসিন আসেনা। সরকারি ভ্যাকসিন আসলেই এ সমস্যার সমাধান হবে।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের ভিতরে দালাল বা বাইরের ওষুধ বিক্রেতাদের বিক্রির সুযোগ নেই। এরপরও যদি কেউ কেউ বিক্রি করে থাকেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৬. ডিসেম্বর ২০২৪ ০২:১৫:এএম ১১ মাস আগে
টাঙ্গাইলে সেনাবাহিনীর ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পেইনে ১২শ’ রোগী পেল চিকিৎসাসেবা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে সেনাবাহিনীর ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পেইনে ১২শ’ রোগী পেল চিকিৎসাসেবা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের বাসাইলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্যোগে গরীব ও দুস্থ মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান ও ঔষধ বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দিনব্যাপী উপজেলার কাশিল ইউনিয়নের কাশিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং এর দিকনিদের্শনায় এ ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়।

জানা গেছে, ১৯ পদাতিক ডিভিশনের অধিনস্থ ৯৮ সংমিশ্রিত ব্রিগেডের তত্ত্বাবধানে ১৫ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স এবং ২৪ই বেংগল এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় মেডিসিন, গাইনী এবং চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়।

এ সময় ১ হাজার ১৭৫ জন গরীব ও দুস্থ মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ঔষধ এবং ৯৫ জন চক্ষু রোগীকে বিনামূল্যে চশমা প্রদান করা হয়।

ক্যাম্পেইন চলাকালে বঙ্গবন্ধু সেনানিবাসের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মামুনুর রশীদ পরিদর্শন করেন। এসময় সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ভবিষ্যতেও ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়।

চিকিৎসাসেবা নিতে আসা একাধিক ব্যক্তি জানান, ‘প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেনাবাহিনীর ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন কার্যক্রম প্রশংসার দাবি রাখে। বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা, ঔষধ ও চক্ষু রোগীরা চশমা পেয়ে আনন্দিত। তারা সেনাবাহিনীকে এ অঞ্চলের গবীর ও দুস্থ জনসাধারণের পাশে দাঁড়ানোসহ সার্বিক কল্যাণ এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সক্রিয় ভূমিকা রাখার দাবি জানান।

কাশিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রমজান মিয়া বলেন, ‘বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ঔষধ পেয়ে মানুষ অনেক খুশি হয়েছেন। এ অঞ্চলের গরীব ও দুস্থ মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও তাদের মাঝে ঔষধ বিতরণ করায় সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১১. অক্টোবর ২০২৪ ০১:৪১:এএম ১ বছর আগে
টাঙ্গাইল ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি ছাদু, সম্পাদক রেজা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি ছাদু, সম্পাদক রেজা

একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন টাঙ্গাইল জেলা শাখার কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে ছাইদুল হক ছাদুকে সভাপতি ও রেজাউল করিম রেজাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।

রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের ভিক্টোরিয়া রোডে অবস্থিত সংগঠনের স্থায়ী কার্যালয়ে ডা. আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে সাধারণ সভায় সকল সদস্যের সম্মতিক্রমে গঠিত কমিটিকে উপদেষ্টা জাফর আহমেদ অনুমোদন দেন।

এ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হচ্ছেন, কার্যকরী সভাপতি ডা. এ কে এম আব্দুল হামিদ, সহ-সভাপতি বাহালুল হক নিপু, আজমল হোসেন খান, যুগ্ম-সম্পাদক ফজলুল হক, অর্থ সম্পাদক জয়নুল আবেদীন জয়, সাংগঠনিক সম্পাদক জগলুল হায়দার সোহেল, দপ্তর সম্পাদক আবু কায়ছার, সমাজ কল্যান সম্পাদক ওয়াহেদ রাশেদ রিটু, প্রচার সম্পাদক কামাল হোসেন, কার্যকরি সদস্য সাইফুজ্জামান কল্লোল, ওয়ারেছ সিকদার, সাজ্জাদ ইসলাম স্বপন, খ. মুবাসসিরুল হক মোবিন, খুররম খান ইউসুফী, আনোয়ার হোসেন, জসিম উদ্দিন, সৈয়দ আব্দুল ওয়াদুদ তৌহিদ, আবু ইশা মনির, ফরহাদুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, বেল্লাল হোসাইন, মোফাজ্জল হোসেন রিপন ও ইদ্রিস মিয়া।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৩০. সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৫৯:এএম ১ বছর আগে
আপনার একটু সহযোগিতায় বাঁচাত পারে মরণ ব্যাধি ক্যানসার আক্রান্ত সাংবাদিক রবিন - Ekotar Kantho

আপনার একটু সহযোগিতায় বাঁচাত পারে মরণ ব্যাধি ক্যানসার আক্রান্ত সাংবাদিক রবিন

একতার কণ্ঠঃ ইংরেজি জাতীয় দৈনিক দি ডেইলি পোস্টের টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি রবিন তালুকদার ২০১৯ সাল থেকে মরণ ব্যাধি থাইরয়েড ক্যানসার আক্রান্ত। বর্তমানে তিনি বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং নিয়মিত ওষুধ সেবন করছেন। তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা। এই টাকা যোগান দেওয়ার সামর্থ্য নেই রবিন ও তার পরিবারের। এক কন্যা সন্তানের জনক রবিন বাঁচার জন্য সকলের সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করেছেন। আপনার একটু সহযোগিতা বাঁচাতে পারে রবিন ও তার পরিবারকে।

রবিন তালুকদারকে বিকাশ ও নগদে সহায়তা পাঠানো যাবে, নম্বর – ০১৭৫২-৩০৭৭৯৫ (বিকাশ পার্সনাল) এবং ০১৭৫২-৩০৭৭৯৫ (নগদ পার্সনাল)।

রবিনের পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, মরন ব্যাধি থাইরয়েড ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে রবিন ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্লক সি-এর নাক-কান-গলা (ইএনটি) বিভাগের ৭ম তলার ৭৩৫নং কক্ষের পেয়িং বেড-১ এ ভর্তি হয়েছিলেন।

পরবর্তীতে একই সালের ৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) তার অপারেশন সম্পন্ন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক-কান-গলা (ইএনটি) বিভাগের সার্জন প্রফেসর আবুল হাসনাথ জোয়ার্দার।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এ রোগ নির্ণয়ের টেস্ট বাবদ ইতোমধ্যে খরচ হয়েছে তার প্রায় ৪০ হাজার টাকা এবং অপারেশন বাবদ খরচ হয় প্রায় ৫০ হাজার টাকা। এছাড়াও অপারেশন পরবর্তী সময়ে তার আরো বেশ কিছু টাকা ব্যয় হয়। আনুমানিক ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা চিকিৎসা বাবদ ইতিমধ্যে খরচ হয়েছে।

মরণ ব্যাধি ক্যান্সার আক্রান্ত সাংবাদিক রবিন তালুকদার বলেন, তৎকালীন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম আমার ক্যানসার আক্রান্তের কথা যেনে আমাকে ২০হাজার টাকা দিয়ে আর্থিক সহযোগীতা করেছিলেন। পাশাপাশি তৎকালীন পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় ২০হাজার টাকা দিয়েছিলেন। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।

চিকিৎসার জন্য সবার সহযোগিতা চেয়ে রবিন বলেন, আমার এক কন্যা সন্তান রয়েছে। নিজের জমানো টাকা ও স্বজনদের সহয়তায় এখন চিকিৎসা চলছে। দুটি রেডিও থেরাপি ইমপালস ক্যানসার হাসপাতালে দেওয়া হয়েছে। আরও পাঁচটি থেকে ছায়টি রেডিও থেরাপি লাগবে। এখন চিকিৎসার টাকা সংগ্রহ হলে আবার হাসপাতালে গিয়ে রেডিও থেরাপি নেওয়া যাবে।

রবিন তালুকদার আরও বলেন, ক্যানসারের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা। কিন্তু এত টাকা ব্যয় করার সামর্থ্য নেই আমার বা পরিবারের। তাই সবার কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। রোগমুক্তি কামনায় সকলের দোয়া কামনা করেছেন তিনি।

রবিন তালুকদারকে বিকাশ ও নগদে সহায়তা পাঠানো যাবে, নম্বর – ০১৭৫২-৩০৭৭৯৫ (বিকাশ পার্সনাল) এবং ০১৭৫২-৩০৭৭৯৫ (নগদ পার্সনাল)।

উল্লেখ্য, সাংবাদিক রবিন তালুকদার টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের উত্তর তারটিয়া গ্রামের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম তালুকদারের ছেলে। চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। তার বড় ভাই ঢাকায় একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন। মা, স্ত্রী, এক কন্যা সন্তান ও ছোট দুই ভাই নিয়েই তাদের সংসার।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৫. এপ্রিল ২০২৪ ০৫:০৯:এএম ২ বছর আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।