একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে ভুল চিকিৎসায় মনোরঞ্জন দাস ( ৪৫) নামে এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত সোনিয়া নাসিং হোমে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
নিহত মনোরঞ্জন দাস ( ৪৫) দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের সোরা দাসের ছেলে।
জানা গেছে, মনোরঞ্জন দাস গত ৪ দিন যাবত জ্বরে ভুগছিলেন। শনিবার সকালে চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে এক দালালের মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোনিয়া নাসিং হোমে রোগীকে ভর্তি করেন স্বজনরা। নিয়ম অনুযায়ী ইসিজি ও ডায়বেটিস টেষ্ট করানো হয়। রোগীর শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে কর্তব্যরত আবাসিক চিকিৎসক মো. মনিরুল ইসলাম রোগীকে ইনজেকশক পুশ করেন। ইনজেকশক দেওয়ার পরপরই রোগীর শ্বাসকষ্ট আরো বেড়ে যায় ও অবস্থার অবনতি ঘটে। পরে ডাক্তার এক্সরে করার জন্য রোগীকে এক্সরে রুমে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
রোগীর শ্যালক বৃন্দাবন ও ভাতিজা জয় দাস বলেন, নিহত মনোরঞ্জনকে প্রথমে টাঙ্গাইল জেলারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন তারা। সেখানে ডাক্তার আসতে দেরি হওয়ায় এক দালালের মাধ্যমে সোনিয়া নাসিং হোমে নিয়ে যান। ক্লিনিকের কর্তব্যরত আবাসিক ডাক্তার মো. মনিরুল ইসলামের তত্বাবধানে চিকিৎসা শুরু হয়। ডাক্তার ইনজেকশন পুশ করার পরপরই রোগীর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। শ্বাসকরষ্টের বিষয়টি ডাক্তারকে জানালে রোগীকে এক্সরে করার জন্য রুমে নেন, সেখানে মনোরঞ্জনের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পরে তার প্রেসকিপশনে ঢাকায় রেফার্ড লিখে দেন ডাক্তার।
তারা আরও বলেন, মেডিক্যাল অফিসার মনিরুল ইসলামের ভুল চিকিৎসায় তার বোন জামাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। এর প্রতিবাদ করায় নাসিং হোমের কর্মচারিরা আমাদের উপর চড়াও হয়। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান তারা।
সোনিয়া নাসিং হোমের ম্যানেজার বাবুল সরকার বলেন, গত চারদিন যাবত জ্বর থাকায় রোগীর প্রেসার কমে যায়। একারনেই তার মৃত্যু হয়েছে। এখানে ভুল চিকিৎসার জন্য মৃত্যু হয়েছে, এটা সঠিক নয়। রোগীর স্বজনদের উপর চড়াও হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে সোনিয়া নাসিং হোমের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মনিরুল ইসলাম জানান, রোগীকে মুমুর্ষ অবস্থায় ক্লিনিকে আনা হয়। রোগীর প্রেসার কমে যাওয়ায় তাকে ঢাকায় রেফার্ড করি। রেফার্ড করার পর মৃত্যু হলে আমি কি করবো।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলায় বেড়েই চলছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৬৬ জন মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫৮০ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪৮ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৪৩৯ জন। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৪১ জন রোগী। জেলায় ডেঙ্গু জ্বরে মোট ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৮ আগস্ট) সকালে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা: মিনহাজ উদ্দিন মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদরে ২২ জন, নাগরপুরে ১৭ জন, মির্জাপুরে ৯ জন, মধুপুরে ৮ জন, গোপালপুরে ৬ জন ও ধনবাড়ী উপজেলায় ৪ জন রয়েছেন।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা: মিনহাজ উদ্দিন মিয়া জানান, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি ঘরবাড়ি ও আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন রাখতে হবে। জমানো পানি পরিষ্কার রাখতে হবে। যাতে করে ডেঙ্গু বিস্তার করতে না পারে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রোজিনা আক্তার (৩৩) নামে এক গৃহবধূ মৃত্যুবরণ করেছেন।
গৃহবধূ রোজিনা দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটি গ্রামের ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী।
শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মো. মিনহাজ উদ্দিন মিয়া।
তিনি জানান, রোজিনা আক্তার বৃহস্পতিবার সকালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি হন। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ পর্যন্ত জেলায় মোট পাঁচ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২২ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ১০ জন, নাগরপুরে ৬ জন, মধুপুরে ৪ জন ও মির্জাপুরে রয়েছেন ২ জন।
তিনি জানান, জেলায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা এক হাজার ৪৬৫ জন। গেল ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১১ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৩২৭ জন। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৩৮ জন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল পৌর এলাকার কলেজ পাড়া নিবাসী বিশিষ্ট চিকিৎসক,সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী এম এ হালিম ইন্তেকাল করেছেন।
তিনি শুক্রবার ( ২৫ আগস্ট) রাত ১০টায় ছোট মেয়ের ঢাকাস্থ বসুন্ধরার বাসভবনে বার্ধক্য জনিত কারনে মৃত্যু বরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যু কালে তার বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। তিনি স্ত্রী ,দুই পুত্র, পাঁচ কণ্যা, নাতি-নাতনি সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তার বড় ছেলে মোঃ সাইফুর রহমান খোকন দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার ক্রীড়া বিভাগের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ডা: হালিমের প্রথম নামাজে জানাযা শনিবার(২৬ আগষ্ট ) সকাল ১০টায় পৌর শহরের কলেজ পাড়া পানির ট্যাংক মসজিদে ও বাদ যোহর করটিয়া ইউনিয়নের খুদিরামপুর জামে মসজিদ মাঠে দ্বিতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।পরে তাকে খুদিরামপুরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
তার মৃত্যুতে টাংগাইল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ছানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আতোয়ার রহমান, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট মামুনুর রশীদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হামিদুল হক মোহন, করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেকুজ্জামান চৌধুরী মজনু গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের বিশিষ্ট চিকিৎসক, সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী ডা. হারুন অর রশীদ খান (ডা. এইচ আর খান) আর নেই।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সকালে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া প্রদেশের রাজধানী মেলবোর্নের মোনাশ হেলথ সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি প্রায় দেড়বছর যাবত বার্ধক্য জনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।
মৃতুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। তিনি স্ত্রী, দুইপুত্র ও নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) অস্ট্রেলিয়ার সময় সকাল দশটায় মেলবোর্নের ড্যানডেনঙের আলবেনিয়া মসজিদ প্রাঙ্গণে ডা. এইচ আর খানের জানাজার নামাজ শেষে সেখানকার বুনুরঙ মেমোরিয়াল পার্ক গোরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য, ডা. এইচ আর খান বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন- বিএমএ টাঙ্গাইল শাখা, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল প্রাকটিশনার্স এসোসিয়েশন টাঙ্গাইল শাখা, বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি- এফপিএবি টাঙ্গাইল শাখা ও বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি- নাটাব টাঙ্গাইল শাখার সাবেক সভাপতিসহ বহু সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ বিশ্ব মশা দিবসে টাঙ্গাইলে ২ জন ডেঙ্গু রোগী মৃত্যুবরণ করেছেন। রবিবার (২০ আগস্ট) টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী হামপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দুই গৃহবধূ মৃতুবরণ করেন।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মো. মিনহাজ উদ্দিন মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তারা হলেন- দেলদুয়ার উপজেলার পাচুরিয়া গ্রামের গৃহবধূ লাভলী আক্তার(৩৮) ও একই উপজেলার দেলুয়াখাদি গ্রামের গৃহবধূ রেজিয়া বেগম(৪০)। ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে তারা মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এ নিয়ে জেলায় ডেঙ্গুজ্বরে এ পর্যন্ত মোট চার জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানাগেছে, টাঙ্গাইল জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪২ জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন।
এরমধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ১৩ জন, নাগরপুরে ৬ জন, সখীপুরে ৩ জন, মির্জাপুরে ৮ জন, মধুপুরে ২ জন, গোপালপুরে ৩ জন এবং ধনবাড়ী উপজেলায় ৭ জন রয়েছেন।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মো. মিনহাজ উদ্দিন জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে দুই গৃহবধূ মৃত্যুবরণ করেছেন। এ নিয়ে জেলায় ডেঙ্গুজ্বরে মোট চার জন মৃত্যুবরণ করলেন। এ পর্যন্ত টাঙ্গাইল জেলায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা মোট এক হাজার ২৬৭ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৪১ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট এক হাজার ১৩২ জন। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৩৫ জন রোগী।
একতার কণ্ঠঃ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে টাঙ্গাইল জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল বাছেদের (৭৫) মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকালে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আব্দুল বাছেদের মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মহসিনা আক্তার আঁখি জানান, তার বাবা টাঙ্গাইল শহরের সাবালিয়াস্থ বাসায় থেকে টাঙ্গাইল জজ কোর্টে নিয়মিত প্র্যাকটিস করতেন। গত ১৪ আগস্ট ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন তিনি।
তিনি আরও জানান, প্রথমে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার শ্যামলীতে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হসপিটালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকাল ৮টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এদিন জুমার নামাজের পর টাঙ্গাইল কোর্ট চত্বরে প্রথম এবং বাদ আছর বাসাইল উপজেলার আইসরায় নিজ গ্রামে দ্বিতীয় জানাজা শেষে সামাজিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, তিন ছেলে ও চার মেয়ে রেখে গেছেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই রোগীর মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মিনহাজ উদ্দিন মিয়া।
এদিকে জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৪২ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৪২ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ১৬ জন, নাগরপুর উপজেলায় ৪ জন, দেলদুয়ার উপজেলায় ১ জন, মির্জাপুর উপজেলায় ৮ জন, ঘাটাইল উপজেলায় ২ জন, মধুপুর উপজেলায় ৪ জন, গোপালপুর উপজেলায় ৩ জন ও ধনবাড়ী উপজেলায় রয়েছেন ৪ জন।
এ পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৫৬ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ১০ জন। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৪৬ জন রোগী। এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মোট ২ জন মৃত্যুবরণ করছেন
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মিনহাজ উদ্দিন মিয়া জানান, নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৮০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। বার্ধক্য জনিত নানা সমস্যাসহ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। এছাড়া জেলায় প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগের সংখ্যা বাড়ছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৫০ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১১৪ জন।
এ ছাড়া মোট সুস্থ হয়েছেন ৯৬৬ জন। বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীণ রয়েছেন ১৪৮ জন রোগী। মোট এ পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যুবরণ করেছেন ১ জন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ২১ জন, নাগরপুর উপজেলায় ৮ জন, মির্জাপুর উপজেলায় ৯ জন, মধুপুর উপজেলায় ৫ জন, গোপালপুর উপজেলায় ৩ জন এবং ধনবাড়ী উপজেলায় ৪ জন রয়েছেন।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. খন্দকার সাদেকুর রহমান জানান, বর্তমানে ডেঙ্গুর রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি মানুষের ঘরবাড়ি ও বসত বাড়ির আশপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন রাখতে হবে। যাতে করে ডেঙ্গু রোগ বিস্তার করতে না পারে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে দিন দিন বেড়েই চলছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে ৫৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এতে জেলায় একদিনে সর্বোচ্চ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলো।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত জেলায় মোট ৮৪৮ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলো। আক্রান্তরা জেলা শহরের হাসপাতাল ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদিকে ডেঙ্গু জেলা শহরের বাইরে গ্রাম অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এর আগে জেলায় গত ১ আগস্ট সর্বোচ্চ ৫৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলো। জেলায় এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪৮ জন। তাদের মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৬৯৮ জন। হাসপাতালে একজন রোগী মৃত্যুবরণ করেছেন। হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৫০ জন রোগী। জেলা শহরের বাইরে উপজেলা পর্যায়ে সবার্ধিক ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে নাগরপুর উপজেলায়।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ১, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ২৪ জন, মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতালে ২ জন, সদরে ১ জন, নাগরপুরে ৯ জন, ঘাটাইলে ৩ জন, মধুপুরে ৭ জন, গোপালপুরে ৬ জন এবং ধনবাড়ী উপজেলায় ৪ জন রয়েছেন।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. খন্দকার সাদেকুর রহমান জানান, বর্তমানে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি মানুষের ঘরবাড়ি ও আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন রাখতে হবে। জমানো পানি পরিষ্কার রাখতে হবে। যাতে করে ডেঙ্গু বিস্তার করতে না পারে। আক্রান্ত রোগীদের জন্য মশারি টাঙিয়ে আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলায় কমছেই না ডেঙ্গুর সংক্রমন। প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। শহর থেকে গ্রাম সবর্ত্রই ছড়িয়ে পরছে এডিস মশা। জেলায় একদিনে নতুন করে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ জন।
মঙ্গলবার(২৫ জুলাই ) দুপুরে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মিনহাজ উদ্দিন মিয়া।
তিনি জানান, জেলায় নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৮ জন, নাগরপুর উপজেলায় ২ জন, মির্জাপুর উপজেলায় ৫ জন, দেলদুয়ার উপজেলায় ১ জন, গোপালপুর উপজেলায় ১জন রয়েছেন।
তিনি আরও জানান, জেলায় ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ২৭ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারী মাস হতে মঙ্গলবার পর্যন্ত টাঙ্গাইল জেলায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৫৩ জন। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫২ জন।
একতার কণ্ঠঃ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের আওতায় ভেজালরোধে তদারকিমূলক অভিযান চালিয়ে টাঙ্গাইলের ভুঞাপুরে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ, সেবার মূল্য না থাকা ও মূল্যবিহীন ঔষধ বিক্রি করার অপরাধে দুই ওষুধ ব্যবসায়ীকে মোট ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পাড়ের পাথাইলকান্দি (যমুনা সেতু) বাজারে বিভিন্ন দোকানে তদারকিমূলক এই অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শিকদার শাহীনুর আলম।
সহকারী পরিচালক শিকদার শাহীনুর আলম জানান, মূল্য বিহীন ঔষধ, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ সংরক্ষণ ও বিক্রি বিক্রি করার দায়ে ফেরদৌসি মেডিকেল হল এন্ড ডেন্টাল কেয়ারকে ২০ হাজার ও ইউসুফ ফার্মেসীকে ৫ হাজার, মোট ২৫ হাজার টাকা প্রশাসনিক ব্যবস্থায় জরিমানা করা হয়। এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।