একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নের ঘোষপাড়া এলাকার ধলেশ্বরী নদীতীরে রোববার(২১ নভেম্বর) দুপুরে গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় আফজাল হোসেন নামে এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত আফজাল হোসেন(৪০) দাইন্যা ইউনিয়নের ফতেপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত মন্তাজ আলীর ছেলে।
দাইন্যা পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান লাভলু মিয়া লাবু জানান, শনিবার(২০ নভেম্বর) রাতে আফজাল হোসেন বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফিরেনি। পরদিন রোববার ধলেশ্বরী নদীতীরে গাছের সাথে গলায় কাপড় পেঁচানো অবস্থায় তার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। তিনি কৃষি কাজ করতেন।
এ বিষয়ে কাগমারী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ(পুলিশ পরিদর্শক) মো. মোশারফ হোসেন জানান, ধলেশ্বরী নদীর তীর থেকে গাছের সাথে গলায় কাপড় পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় আফজাল নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে।নিহতের লাশ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে পারিবারিক কলহের জেরে মিনারা বেগম (২২) নামে এক গৃহবধুকে খুন করে স্বামীর আত্মসমর্পনের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার(২০ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের ভাবনদত্ত পন্ডিত কাছড়া গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। ঘাটাইল থানা অফিসার ইন চার্জ(ওসি) মো. আজাহারুল ইসলাম সরকার ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
ঘাতক স্বামী ওই গ্রামের শামছুলের ছেলে।ঘটনার পর স্বামী আমিনুল ইসলাম (২৮) কে আটক করেছে ঘাটাইল থানা পুলিশ।
স্থানিয় ইউপি সদস্য আঃ ছালাম জানান, গৃহবধু মিনারা বেগম(২২কে) স্বামী আমিনুল গলাটিপে হত্যা করেছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন।
ঘাটাইল থানা অফিসার ইন চার্জ(ওসি) মো. আজাহারুল ইসলাম সরকার বলেন, স্ত্রীকে হত্যার পর ঘাতক স্বামী আমিনুল ইসলাম নিজেই থানায় ফোন করে জানায় আমি আমার স্ত্রীকে হত্যা করেছি। আপনারা এসে আমাকে নিয়ে যান। পরে আমিসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক আমিনুলকে আটক করি। সে প্রাথমিকভাবে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
তিনি আরো বলেন, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রবিবার(২১ নভেম্বর) টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে।
একাতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে নির্বাচনের ৮দিন পর একটি বিদ্যালয়ের ছাদে সিল মারা ৫২৭ টি ব্যালট পেপার উদ্ধার হয়েছে। শনিবার(২০ নভেম্বর) সকালে উপজেলার ডুবাইল ইউনিয়নের সেহরাতৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদ থেকে সিল মারা তালগাছ প্রতীকের ওই ব্যালট পেপারগুলো উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, গত ১১ নভেম্বর উপজেলার ডুবাইল ইউনিয়নে দ্বিতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে তালগাছ প্রতীকের নারী সদস্য পদের প্রার্থী বিউটি আক্তার ৩০০ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। নির্বাচনের ৮ দিন পর সকালে এ ইউনিয়নের সেহরাতৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদে শিশু শিক্ষার্থীরা খেলতে গিয়ে ব্যালট পেপারগুলো দেখতে পায়। তারা বিষয়টি শিক্ষকদের জানায়। পরে শিক্ষকরা স্থানীয়দের অবগত করলে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তালগাছ প্রতীকের প্রার্থী বিউটি আক্তার ঘটনাস্থলে উপস্থিত আসেন। ব্যালট পেপার দেখে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। এই সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী সদস্য পদে মাইক প্রতীকের প্রার্থী রাশেদা বেগম ১৮শ’ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।
বিউটি আক্তার বলেন, ‘আমি নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। নির্বাচনে আমাকে ৩০০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত দেখানো হয়। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ৮দিন পর আমার নিজ কেন্দ্রের বিদ্যালয়ের ছাদে তালগাছ প্রতীকের সিল মারা ৫২৭টি ব্যালট পেপার পাওয়া গেছে। এই ব্যালট পেপারগুলো একত্রিত করলে আমি দুই শতাধিক ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হতাম। নির্বাচনে ফেল করাতেই আমার প্রতীকের সিল মারা ব্যালট পেপার বিদ্যালয়ের ছাদে রেখে দেয়। পরে ভোট গণনা করে আমাকে ফেল দেখানো হয়। বিষয়টি নিয়ে তিনি আদালতে আইনগত ব্যবস্থায় যাবো। ব্যালট পেপারগুলো আমার কাছে এনে রেখেছি।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানি না। তবে মোবাইলে শুনেছি। প্রার্থী ট্রাইবুনালে অভিযোগ করে আইনগত ব্যবস্থা চাইতে পারেন।
এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান বলেন কে বা কারা ব্যালট পেপারগুলো বিদ্যালয়ের ছাদে রেখে গেছেন, সেটা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। নির্বাচন শেষ করে সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সিলগালা করে ফলাফল ঘোষণা করে এসেছেন। তখন কোন প্রার্থীর অভিযোগ ছিল না।
দেলদুয়ার থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন অফিসিয়ালি অভিযোগ বা কোন নির্দেশনা পেলে বিষয়টি আমরা তদন্ত করবো।
একতার কণ্ঠঃ পৃথিবীর ইতিহাসে নৃশংসতম গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে। পাকিস্তানী সেনা বাহিনী বাঙালী নিধনের উৎসবে মেতেছিল। তাদের পরিচালিত সুপরিকল্পিত হত্যাকান্ডের স্থান ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে সারা বাংলাদেশে। সেই সব বধ্যভূমির সবগুলো এখনও চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।
এই প্রেক্ষাপটে স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দেশের সকল জেলায় ‘গণহত্যার পরিবেশ থিয়েটার’ শিরোনামে নাটক নির্মাণ করছে।
এবছর বাঙ্গালী জাতির গৌরবের বছর। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে লাখো শহীদের শবের পলিতে উর্বর জনপদ এই বাংলায় মহান স্বাধীনতার সুবর্ণবর্ষ পালন করার প্রস্তুতি চলছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপনে বেশকিছু কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে চলেছে। এসব কর্মসূচির প্রধান উদ্দেশ্য, মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির বীর সন্তানদের যে ত্যাগ তার মহিমাকে নতুন প্রজন্মের সামনে বিভিন্ন প্রযোজনার মাধ্যমে তুলে ধরা এবং বাঙ্গালি জাতির মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে শিল্পের আলোয় নতুনভাবে পাঠ ও সংরক্ষণসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে উপস্থাপনের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ভূমিকা পালন করা। আর সেই লক্ষ্যে টাঙ্গাইলের বধ্যভূমি নিয়ে নির্মিত হচ্ছে না খুলি।
“খুলি” বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বলি হওয়া মানুষের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নির্মিত নাটক। নাটকটি লিখেছেন ড. তানভীর আহদে সিডনী, নির্দেশনা দিয়েছেন প্রফেসর ড. মীর মেহবুব আলম নাহিদ। সমন্বয়কারী হিসেবে আছেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার মো. এরশাদ হাসান।
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ডক্টর মোঃ আতাউল গনির সভাপতিত্বে প্রেস ব্রিফিংয়ে নাটকটির রচয়িতা ডক্টর তানভীর আহমেদ সিডনী ও সহযোগী নির্দেশক শামীম সাগর ও জেলা কালচারাল অফিসার এরশাদ হাসান নাটকটির বিষয়বস্তু তুলে ধরেন।
বক্তরা জানান, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে টাঙ্গাইল পানির ট্যাংক বধ্যভূমি এলাকায় পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর কর্তৃক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী বীর বাঙ্গালীর উপর নির্মম অত্যাচারের সঠিক চিত্র নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই এ আয়োজন। শনিবার (২০ নভেম্বর) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহা-পরিচালক লিয়াকত আলী লাকী ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে নাটকটির উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক, সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেনসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার ও সমন্বয়কারী মো. এরশাদ হাসান বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যা নিয়ে এই বিশাল কাজের সাথে যুক্ত থাকতে পেরে আমি গর্বিত বোধ করছি। আগামি ২০ নভেম্বর পানির ট্যাংক বধ্যভূমিকে উন্মুক্ত মঞ্চ করে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হবে। সকলের উপস্থিতি কামনা করছি।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনী টাঙ্গাইল সার্টিক হাউসে অবস্থান নিয়ে শুরু করে হত্যাযজ্ঞ। রাজাকার আলবদরদের সহায়তায় টাঙ্গাইল শহর আর আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে স্বাধীনতার সপক্ষের মানুষ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে আনতো এই সার্কিট হাউসে। নির্যাতন চালানোর পর এই পানির ট্যাংকি এলাকায় নিয়ে তাদের হত্যা করে ফেলে রাখা হতো।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে ৭ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে রিশাদ মিয়া (৩০ ) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার( ১৮ নভেম্বর) ভোরে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব-১২ সিপিসি-৩ এর টাঙ্গাইলের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রিশাদ জেলার সখীপুর উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামের মফিজ মিয়ার ছেলে। সে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বড় বেলতা এলাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস করছিল। পেশায় ট্রাক্টর চালক।
র্যাব জানায়, অভিযুক্ত রিশাদ মিয়া টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বড় বেলতা এলাকায় বাড়া বাসা নিয়ে বসবাস করছিল। হঠাৎ করে গত ১৪ নভেম্বর রিশাদ ওই এলাকার ৭ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে। ওই ঘটনায় কিশোরীর পরিবার টাঙ্গাইল সদর থানা ও র্যাব কার্যালয়ে অভিযোগ দেয়। এরপর র্যাব বিষয়টি নিয়ে অভিযানে নামে। ওই কিশোরীকে নিয়ে বারবার স্থান ত্যাগ করায় বেকায়দায় পড়ে র্যাব। বুধবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি বাসা থেকে হাত, পা ও মুখ বাধা অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় রাতেই রিশাদের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার ভোরে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল এলাকা থেকে রিশাদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অভিযুক্ত রিশাদকে গ্রেফতার করা হয়। রিশাদ ওই কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। এঘটনায় আরও ৩-৪জন তাকে সহযোগিতা করে। তাদেরকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তারকৃত রিশাদকে বৃহস্পতিবার(১৮ নভেম্বর) দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। কিশোরীকে উদ্ধারের পর প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ মওলানা ভাসানীর মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে এসে হামলার শিকার হওয়ার পৌনে তিন ঘণ্টা পর পুলিশি নিরাপত্তায় টাঙ্গাইল ছেড়েছেন গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া এবং সংগঠনটির সদস্য সচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
এই দীর্ঘ সময় কাগমারি পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশি হেফাজতে থাকার পর বুধবার (১৭ নভেম্বর) বিকাল সোয়া ৩টার দিকে তারা তাদের সফরসঙ্গী ও দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে বের হন।
এর আগে ডা. জাফরুল্লাহ একই মাজারে ফুল দিয়ে ভিপি নুরের সঙ্গে দেখা করতে এসে একত্রে পুলিশ ফাঁড়ি থেকে বের হন। পরে যাওয়ার সময় টাঙ্গাইল সদর থানায় পুলিশি হেফাজতে থাকা ড. রেজা কিবরিয়াকে নিয়ে তারা ঢাকার দিকে রওনা হন।
এদিকে হামলার পর মাজার ও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। পুলিশের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ‘আমরা মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে এলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় আমার সহযোদ্ধারা আমাকে নিরাপত্তা দিয়ে মাজারের পাশে থাকা একটি পুলিশভ্যানে তোলেন। এরপরও মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিশোটা নিয়ে পুলিশের সামনেই পুনরায় হামলা করে।’
নুর বলেন, ‘একপর্যায়ে নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ আমাদের সেখান থেকে টাঙ্গাইলের কাগমারি পুলিশ ফাঁড়িতে হেফাজতে নেয়। আর ড. রেজা কিবরিয়াকে টাঙ্গাইল সদর থানায় নেওয়া হয়। হামলার ঘটনায় আমাদের অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নিবির পাল বলেন, ‘ড. রেজা ও ভিপি নুর সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিল। এসময় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করায় তারা আমাদের ওপর হামলা করে। এতে ছাত্রলীগের চার সদস্য আহত হয়েছেন।’
টাঙ্গাইলের অতিরক্তি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সরোয়ার হোসেন জানান, ‘গণঅধিকার পরিষদের নেতারা মওলানা ভাসানীর মাজারে কাছাকাছি পৌঁছার পর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালান। পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে ড. কিবরিয়া ও ভিপি নুরসহ গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের পুলিশি নিরাপত্তায় ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে তারা চলে গেছেন।’
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা ভাসানীর মাজারে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন জানাতে এসে হামলার শিকার হয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া এবং সংগঠনটির সদস্য সচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। এক পর্যায়ে রেজা কিবরায়া ও নুরুল হক নূরসহ নেতাকর্মীরা পুলিশ ভ্যানে আশ্রয় নেয়। এ ঘটনায় ৫ থেকে ৬ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) দুপরে বিশ্বিবদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাদের ওপর এ হামলা করে বলে অভিযোগ করেন সংগঠনটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিলুজ্জামান।
তিনি বলেন, দুপুরে ১২টার দিকে মওলানা ভাসানীর মাজারের কাছাকাছি পৌঁছালে ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী দলীয় স্লোগান দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালান। এতে আমাদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া ও সদস্য সচিব নুরুল হক নুরসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, কয়েক দফায় দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেলসহ আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। প্রায় ৪০ মিনিট পর আমাদের নেতাদের পুলিশের গাড়িতে করে বের করে নেওয়ার সময় ফের হামলা চালানো হয়।
এ ঘটনার পর থেকে ভাসানীর মাজার এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে সংগঠিত মাজার এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। তারা কিবরিয়াও নুরবিরোধী নানা স্লোগান দেন।
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নিবির পাল বলেন, ড. রেজা ও ভিপি নুর সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিলো। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তার প্রতিবাদ করায় তারা আমাদের উপর হামলা করেন। এতে ছাত্রলীগের চার সদস্য আহত হয়। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ছাত্রলীগ সব সময় সান্তির প্রতীক।
হামলার বিষয়ে টাঙ্গাইলের অতিরক্তি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সরওয়ার হোসেন বলেন, গণঅধিকার পরিষদের নেতারা মওলানা ভাসানীর মাজারে কাছাকাছি পৌঁছার পর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালান। এক পর্যায়ে ড. কিবরিয়া ও নুরসহ গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের পুলিশি নিরাপত্তায় ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এ ঘটনায় ছাত্রলীগের বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন। তবে অপর পক্ষের কেউ আহত হয়েছেন কি না তা তিনি বলতে পারেননি।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে মায়ের কাছে মুঠোফোন না পেয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রের আত্মহত্যা ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর)সকালে সখীপুর উপজেলার ঘোনারচালা গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোর আশিক আহমেদ (১৩) মালয়েশিয়া প্রবাসী আলী আকবর ও ছালমা বেগমের ছেলে। সে ঘোনারচালা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। ছালমা বেগম দুই সন্তানকে নিয়ে ঘোনারচালা গ্রামে থাকেন।
ছালমা বেগম জানান, আশিক বেশির ভাগ সময় তাঁর মুঠোফোন নিয়ে গেমস খেলত। মঙ্গলবার সকালে মেয়েকে পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার সময় আশিক মায়ের মুঠোফোনটি বাসায় রেখে যাওয়ার জন্য বায়না ধরে। কিন্তু তিনি ফোন নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে চলে যান। তিনি বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় আশিককে কান্না করতে দেখেছিলেন। কিছুক্ষণ পর আশিকের দাদি ঘরে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় আশিকের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে ছালমা বেগম বাড়িতে আসেন। পরে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
আশিকের স্বজনদের ধারণা, মায়ের কাছে মুঠোফোন না পেয়ে আশিক ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মজিবর রহমান জানান, পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই আশিকের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মুঠোফোন না দেওয়ায় ওই স্কুলছাত্র আত্মহত্যা করেছে বলে পরিবারের সদস্যরা ধারণা করছেন। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে কালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান বলেন, অল্প বয়সী ছেলে-মেয়েদের জন্য মুঠোফোন ও গেমস এক ধরনের নেশা। মুঠোফোনের নেশায় আসক্ত হয়ে অনেক কিশোর কিশোরীরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। এ সমস্যা থেকে রেহাই পেতে সবাইকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে বিয়ে না করেই স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসাভাড়া নিয়ে ৮ মাস ঘর সংসার করার অভিযোগ ওঠেছে রাবিব নামের এক কলেজ ছাত্রের বিরুদ্ধে। বিয়ের দাবিতে গত দুইদিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন এক কলেজ ছাত্রী (১৯)।
পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাহার্তা রামখা পাড়া কটাবাড়িতে ওই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনার পর থেকে প্রেমিক জাকারিয়া ইসলাম রাব্বী লাপাত্তা।রাব্বী ওই গ্রামের প্রবাসী লুৎফর রহমানের ছেলে এবং সরকারি মুজিব কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
সোমবার(১৫ নভেম্বর) বিকেলে সরেজমিন দেখা যায়, রাব্বিদের বাড়ির প্রতিটি ঘরের দরজা বন্ধ করে ভেতরে অবস্থান করছেন বাড়ির অন্য সদস্যরা। আর বাইরে এক কাপড়ে বসে অনশন করছেন ওই কলেজছাত্রী। স্থানীয়রা তাকে দেখতে ভিড় করছেন। খাবার দেয়া হয়েছে কী না জানতে চাইলে মেয়েটি কান্নায় ভেঙে পড়েন। জানান ঘরে ঢুকার চেষ্টা করলে তাকে লাথি মেরে ফেলে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন রাব্বির পরিবারের লোকজন। বিয়ে না করা হলে তিনি এ বাড়িতেই আত্মহত্যা করবেন বলে জানান।
জানা যায়, প্রায় দেড় বছর আগে রাব্বির এক বন্ধুর মাধ্যমে মুঠোফোনে প্রথম পরিচয় হয় আবাসিক মহিলা অর্নাস কলেজ পড়–য়া ওই ছাত্রীর সঙ্গে। এক পর্যায়ে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পৌরসভার উত্তরা মোড় আবদুস সালামের বাসা এবং ক্যাপ্টেনমোড় ঐশিদের বাসা ভাড়া নিয়ে ৮ মাস স্বামী-স্ত্রী হিসেবে ঘর সংসার করেন তারা। বার বার বিয়ের চাপ দিলেও নানা তাল বাহান শুরু করেন রাবিব। নিরুপায় হয়ে রবিবার(১৪ নভেম্বর) থেকে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন ওই কলেজছাত্রী।
এ ব্যাপারে রাব্বির দাদা আবদুর রহমান বলেন, নাতি অন্যায় করেছে মাতাব্বররা যে ব্যবস্থা নেবেন আমরা তা মেনে নেব।
ওই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর খলিলুর রহমান বলেন, গত রাতে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য উভয় পক্ষকে নিয়ে বসা হয়। পরে ছেলে পক্ষের অনিহার কারণে নিষ্পত্তি সম্ভব হয়নি।স্থানীয় কাউন্সিলর ফজলুর রহমান বলেন,স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সুষ্ঠু ব্যবস্থা না হলে আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানান ওই কলেজ ছাত্রীর বাবা লেবু মিয়া।
সখীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে সাইদুল হক ভূইয়া বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ১নং দেউলাবাড়ি ইউনিয়নের পাকুটিয়া বটতলী নামক স্থানে সড়ক দূর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। ওই ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়েছেন আরও দুইজন। রবিবার (১৪ নভেম্বর) গভীর রাতে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।সোমবার (১৫ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকার।
এ ঘটনায় নিহতরা হলেন রক্তিপাড়া নয়াবাড়ি গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে সাইদুর রহমান (৪৫) এবং গাংগাইর পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত মোকছেদ আলীর মেয়ে নাছিমা বেগম (৪৫)।
মারাত্মক আহত দুইজন হলেন গাংগাইর বেকারকোনা গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে ভ্যান চালক আব্দুল মালেক (৩০) এবং গাংগাইর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত আমান আলীর ছেলে মোঃ রুবেল মিয়া (৩৫)।
স্থানীয়রা জানায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ধনবাড়িগামী বিনিময় পরিবহনের দুটিবাস নিয়ন্ত্রনহীন গতিতে যাচ্ছিল। গাড়ি দুটি পাকুটিয়া বাজার সংলগ্ন বটতলীতে পৌছালে একটি যাত্রীবাহী বাস ব্যাটারিচালিত অটো ভ্যানকে চাপা দেয়। এসময় ভ্যানের যাত্রীরা রাস্তার পাশে পড়ে গেলে হাত, পা ও শরীরের উপর দিয়েই গাড়িটি চালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজনের মৃত্যু হয়।
আহতদের স্বজনরা জানান, নিহতদের এক আত্মীয় মধুপুর ইব্রাহীমের দোকান থেকে ২৭ লাখ দশ হাজার টাকা চুরি হয়। ওই টাকা উদ্ধারের উপায় খুঁজতে ঘাটাইল উপজেলার কোন এক কবিরাজের কাছে যায়। সেখান থেকে গভীর রাতে অটোভ্যান যোগে বাড়ি ফেরার পথে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় আহত ভ্যানচালক মালেক মিয়াকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও রুবেল মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। দু’জনের মধ্যে ভ্যানচালক আব্দুল মালেকের দুটি পা শরীর থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং রুবেলের একটি হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শিরা।
এ বিষয়ে ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকার বলেন, সংবাদ পেয়ে আহতদের হাসপাতালে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। দূর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছে । দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি আটকের চেষ্টা চলছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার আইনপুর গ্রাম থেকে রোকেয়া বেগম (৫০) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে ঘাটাইল থানার পুলিশ।মঙ্গলবার(৯ নভেম্বর) রাতে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, রোকেয়া উপজেলার দেউলাবাড়ি ইউনিয়নের আইনপুর গ্রামের বেলাল হোসেনের স্ত্রী।মঙ্গলবার স্বামী সাংসারিক কাজে বাহিরে থাকায় রোকেয়া একাই বাড়িতে ছিল। তার স্বামী সন্ধ্যায় বাড়িতে এসে বসত ঘরের ধর্নার সাথে রশি দিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় রোকেয়ার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। পরে স্থানীয়রা ঘটনাটি পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে তার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহতের মেয়ে লিপি বলেন, তার মায়ের কিছুটা মানসিক সম্যসা ছিল।তবে গলায় ফাঁস দিয়ে মা এভাবে বিদায় নিব তা কখনও ভাবি নাই।
ঘাটাইল থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) আজহারুল ইসলাম জানায়, গৃহবধূর নিজ গৃহ থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বলা যাবে ঘটনাটি হত্যা বা আত্মহত্যা।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মাদক সেবনকালে তিন মাদকসেবীকে আটক করে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০০ টাকা করে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি ইয়াবা জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) সকালে মির্জাপুর রেল স্টেশন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. জুবায়ের হোসেন ওই সাজা দেন। এ সময় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টাঙ্গাইলের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের গোড়াই গ্রামের ফজলু মিয়ার ছেলে মো. রাজিব মিয়া (৩৮), উপজেলা সদরের পোষ্টকামুরী পূর্বপাড়ার বছির উদ্দিনের ছেলে মো. রায়হান (৩৬) ও আনাইতারা ইউনিয়নের আটিয়া মামুদপুর গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩২)।
মঙ্গলবার সকালে মির্জাপুর রেলস্টেশন এলাকায় ওই তিন যুবক মাদক সেবনকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক তাদের হাতনাতে আটক করে এই সাজা দেন। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যহত থাকবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. জুবায়ের হোসেন।