/ হোম / অপরাধ
টাঙ্গাইলে স্কুলছাত্রী সুমাইয়া’র হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে স্কুলছাত্রী সুমাইয়া’র হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গায় স্কুলছাত্রী সুমাইয়া হত্যায় জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।রবিবার(৭ নভেম্বর) দুপুরে এলেঙ্গা কলেজ মোড়ে আয়োজিত ওই মানববন্ধনে স্থানীয় পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই সহস্রাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ  গ্রহন করে।

মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, কালিহাতী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মোল্লা, সরকারি শামসুল হক কলেজের অধ্যক্ষ আনোয়ারুল কবীর, লুৎফর রহমান মতিন মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম, এলেঙ্গা বিএম কলেজের অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম, এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল করিম তালুকদার, জিতেন্দ্রবালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোবিন্দ চন্দ্র সাহা, নিহত সুমাইয়ার চাচা ফিরোজ মিয়া প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, এলেঙ্গায় কিশোর গ্যাং ও বখাটেদের উৎপাত বহুগুনে বেড়েছে। ওরা সংঘবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। পুলিশ ও অভিভাবকসহ সবাইকে কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

বক্তারা সুমাইয়ার হত্যাকারী সহ সকল অপরাধী ও তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

প্রকাশ, গত ২৭ অক্টোবর এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া আক্তারের(১৫) গলাকাটা লাশ শামসুল হক কলেজের পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। স্কুলছাত্রী সুমাইয়া কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের পালিমা গ্রামের ফেরদৌস রহমানের মেয়ে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৮. নভেম্বর ২০২১ ০২:০৩:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে কবিরাজের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে কবিরাজের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে আবদুল লতিফ (৪০) নামের এক কবিরাজের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উপজেলার হামিদপুর এলাকা থেকে  রবিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে পুলিশ তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে। লতিফ ওই এলাকার বাসিন্দা। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ের রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে সখীপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, লতিফ দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় কবিরাজি চিকিৎসা করতেন। কিছুদিন আগে থেকে তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। রবিবার সকালের খাবার খেয়ে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। পরে বেলা ১১টার দিকে উক্ত এলাকার একটি আম গাছে তাঁর লাশ  ঝুলতে দেখা যায়। কয়েকজন তাঁর লাশ দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে তার লাশ উদ্ধার করে।

সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জয়নাল আবেদীন জানান, ‘প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে হয়েছে। এ বিষয়ে পরিবারের কারও কোনো অভিযোগ না থাকায় সুরতহাল তদন্তের পর লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।’

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৩. নভেম্বর ২০২১ ০২:০৭:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে আলোচিত তিন হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে আলোচিত তিন হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দিগড় ইউনিয়নের কাশতলা দক্ষিণ পাড়া গ্রামের খামারপাড়া এলাকার সৌদি প্রবাসী জয়েন উদ্দিনের বাড়ি থেকে শনিবার(৩০ অক্টোবর) দুই নারীসহ তিনজনের লাশ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ।

তাৎক্ষণিক তদন্ত ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শনিবার বিকালে টাঙ্গাইলের নবাগত পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ‘ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় আমরা রহস্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয়েছি। প্রবাসী জয়েন উদ্দিনের স্ত্রী সুমি আক্তার ও তার শাশুড়ি জমেলা বেগমকে হত্যার পর পরকীয়া প্রেমিক শাহজালাল নিজেই আত্মহত্যা করেছেন।’

ওই সময় কাশতলা গ্রামের সৌদি প্রবাসী জয়েন উদ্দিনের বসতঘর থেকে তার স্ত্রী সুমি আক্তার(২৫), জয়েন উদ্দিনের মা জমেলা বেগম(৫৫) এবং পরকীয়া প্রেমিক শাহজালাল ইসলাম সোহাগের(৩০) রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।

মুমূর্ষু অবস্থায় জয়েন উদ্দিনের চার বছরের ছেলে সাফিকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সুমি আক্তারের পরকীয়া প্রেমিক শাহ জালালের বাড়ি কালিহাতী পৌরসভার সাতুটিয়া এলাকায়। তিনি সাতুটিয়ার সোহরাব আলীর ছেলে।

গৃহবধূ সুমি আক্তার ঘাটাইলের কাশতলা দক্ষিণ পাড়া সুতার বাড়ির জিন্নত আলীর মেয়ে। সুমি ও শাহ জালালের লাশ প্রবাসী জয়েন উদ্দিনের বসত ঘরের বিছানার ওপর এবং জমেলা বেগমের লাশটি ঘরের মেঝেতে পড়েছিল। তিন জনের লাশ উদ্ধার হওয়া বসত ঘরের দেয়ালে নিহতদের রক্ত দিয়ে বার্তা লেখা ছিল- ‘এমনটা হত না যদি আমার সুমী আমার কাছে থাকত, এই সবকিছুর জন্য সুমীর বাবা দায়ী’।

পুলিশ সুপার বলেন, ‘বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জের ধরে সুমি ও শাহজালাল পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। প্রায় পাঁচ মাস তারা ঘর-সংসার করে। এরপর সুমির বাবা জিন্নত আলী তাদের দাওয়াত দিয়ে ডেকে এনে সুমিকে বাড়িতে রেখে দেয়। ওই সময় সুমি অন্তঃসত্তা ছিল।

পরে তার গর্ভে থাকা সন্তান নষ্ট করার শর্তে সুমির আগের স্বামী জয়েন উদ্দিন বিদেশ থেকে দেশে ফিরে সুমিকে আবার তার কাছে ফেরত নেন। এর কিছুদিন পর জয়েন উদ্দিন আবার বিদেশে চলে যান। সন্তান নষ্ট করায় সুমির সাবেক স্বামী অর্থাৎ পরকীয়া প্রেমিক শাহজালাল ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।’

তিনি বলেন, ‘সুমির স্বামী জয়েন উদ্দিন বাড়িতে না থাকায় শাহজালাল মাঝে মধ্যেই সুমির শশুরবাড়িতে আসত। ঘরের বারান্দার লোহার গ্রিলের চাবিও ছিল শাহজালালের কাছে। পরে শুক্রবার(২৯ অক্টোবর) দিনগত রাতে শাহজালাল সুমির ঘরে প্রবেশ করে।

একপর্যায়ে ছুরি দিয়ে তার সাবেক স্ত্রী সুমি ও সুমির শাশুড়িকে হত্যা করে। এসময় সুমির শিশু সন্তানকে সাফিকেও হত্যার চেষ্টা করে। এরপর শাহজালাল নিজেই আত্মহত্যা করে।’

তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত ছুরি সহ বিভিন্ন আলামত ঘেটে আমরা বিষয়টির রহস্য উদ্ঘাটন করতে পেরেছি। তারপরও ঘটনাটির অধিকতর তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৩১. অক্টোবর ২০২১ ০৯:১৯:পিএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে আলোচিত তিন হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে আলোচিত তিন হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে চাঞ্চল্যকর তিন হত্যাকান্ডের ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার(৩০ অক্টোবর) রাতে নিহত জামেলা বেগমের বড় ছেলের স্ত্রী শাহানাজ বেগম বাদি হয়ে ঘাটাইল থানায় ওই মামলা দায়ের করেন। তবে এখনো পর্যন্ত মামলার কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি।

ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আজহারুল ইসলাম জানান, শনিবার রাতে নিহত জামেলা বেগমের বড় ছেলের বউ শাহনাজ বেগম বাদি হয়ে অজ্ঞাতদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা করেছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আলোচিত হত্যাকান্ডের দ্রুত রহস্য উন্মোচন করা হবে।

উল্লেখ্য,শনিবার সকালে টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে একটি বাসা থেকে দুই নারীসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘাটাইল উপজেলার দিঘর ইউনিয়নের কাশতলার খামারপাড়া এলাকা থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা হলো-ওই গ্রামের জয়েন উদ্দিনের স্ত্রী সুমি (৩০) জয়েনের মা জমেলা বেগম (৬৫) ও কালিহাতী উপজেলার সহবতপুর গ্রামের শাহজালাল (২৫)। এ ঘটনায় নিহত সুমির পাঁচ বছরের ছেলে শাফিকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৩১. অক্টোবর ২০২১ ০৮:০৩:পিএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে পরকীয়ার জেরে তিন খুন! - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে পরকীয়ার জেরে তিন খুন!

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে পরকীয়ার জেরে তিন খুন হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছে র‌্যাব। এ ছাড়া তিনজনের লাশ উদ্ধারের ঘটনার কারণ হিসেবে পুরোনো প্রেমকে দায়ী করছেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বরত কর্মকর্তাসহ স্থানীয়রা।

টাঙ্গাইলের র‌্যাব-১২ সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, জমেলা, সুমি ও শাহজালাল নামের তিনজনের লাশ বসতঘর থেকে পাওয়া গেছে। এসময় সুমির শিশু সন্তানকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লাশের পাশে ছুরি ও হাতুড়ি পাওয়া গেছে। এছাড়া যে ঘরে লাশ পাওয়া গেছে তার দেওয়ালে লেখা আছে, ‘এমনটা হতো না যদি আমার সুমি আমার কাছে থাকতো। এই সব কিছুর জন‌্য সুমির বাবা দায়ী।’ তাই পরকীয়ার জেরে এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আবু সাইদ জানান, স্কুলজীবন থেকে শাহজালালের সঙ্গে সুমির প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। ৫ বছর আগে সুমির সঙ্গে জয়েনুদ্দিনের বিয়ে হয়। কিছুদিন সংসার করার পর জয়েনুদ্দিন বিদেশ চলে যায়। এ সুযোগে সুমি আবার শাহজালালের সঙ্গে সম্পর্ক শুরু করে। গত ৬ মাস আগে শাহজালালের সঙ্গে সুমি চলে যায়। শাহজালালের সঙ্গে প্রায় দুই মাসের মতো সংসার করে। পরে জয়নুদ্দিন প্রায় তিন মাস আগে দেশে ফিরলে সুমিকে নিয়ে পুনরায় সংসার শুরু করে। আড়াই মাস আগে জয়েনুদ্দিন সৌদি চলে যায়। গতরাতে আবার শাহজালাল সুমির সঙ্গে দেখা করতে আসে। সকালে শুনি জয়নুদ্দিনের ঘরে তিন জনের লাশ পরে আছে।

দিঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ মামুন জানান, ‘শাহজালালের সঙ্গে সুমি অবৈধ সম্পর্ক ছিল। প্রায় ৬ মাস আগে শাহজালালের সঙ্গে সুমি পালিয়ে গিয়েছিল। শুনেছি তারা বিয়েও করেছিল। পরে সুমির স্বামী বিদেশ থেকে ফিরে আবার তাকে বাড়িতে এনেছিল।’

উল্লেখ্য, শ‌নিবার (৩০ অ‌ক্টোবর) সকা‌ল ১০টায় উপ‌জেলার দিঘর ইউ‌নিয়‌নের কাশতলার খামারপাড়া এলাকার নিজ বা‌ড়ি থে‌কে
মৃত হয়রত আলী স্ত্রী জমেলা বেগম (৬৫), তার প্রবাসী ছেলে জয়েন উদ্দিনের স্ত্রী সুমি বেগম (২৬) ও কালিহাতী উপজেলার সাতুটিয়া পূর্বপাড়া এলাকার সোহরাব আলীর ছেলে শাহজালাল ইসলাম সোহাগের (৩০) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৩১. অক্টোবর ২০২১ ০১:০২:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে বাসা থেকে শ্বাশুড়ি-বউসহ তিনজনের লাশ উদ্ধার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে বাসা থেকে শ্বাশুড়ি-বউসহ তিনজনের লাশ উদ্ধার

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে একটি বাসা থেকে দুই নারীসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার( ৩০ অক্টোবর) সকালে উপজেলার দিঘর ইউনিয়নের কাশতলার খামারপাড়া এলাকা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলো- ওই গ্রামের জয়েন উদ্দিনের স্ত্রী সুমি বেগম (৩০) জয়েনের মা জমেলা বেগম (৬৫) এবং কালিহাতী উপজেলার সাতুটিয়া বাজার এলাকার সোহরাব আলীর ছেলে শাহজালাল (২৫)।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, হামিদপুরের খামারপাড়া গ্রামে সৌদি আরব প্রবাসী জয়েনের বাড়ি থেকে তার মা, স্ত্রী ও এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের ভেতরে লাশগুলো পরে ছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এক শিশুকে (৫) আহত অবস্থায় উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। শিশুটির অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

এ ব্যাপারে ঘাটাইল থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকার জানান, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটা এখনো পুলিশ নিশ্চিত নয়। তদন্ত করে এর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে তিনি জানান।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৩০. অক্টোবর ২০২১ ০৭:১৪:পিএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে প্রেমিকার গলাকাটার পর আহত প্রেমিকেরও মৃত্যু - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে প্রেমিকার গলাকাটার পর আহত প্রেমিকেরও মৃত্যু

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার শামছুল হক ডিগ্রি কলেজের পাশে স্থানীয় খোকন ড্রাইভারের একটি নির্মাণাধীন ভবনের সিঁড়িতে স্কুলছাত্রী সুমাইয়া আক্তারের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের রহস্য ছায়া তদন্তের মাধ্যমে উদ্ঘাটন করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র‌্যাব-১২)। র‌্যাবের তদন্তে প্রেমিক মনিরকে ছেড়ে অন্য এক ছেলের সাথে প্রেমে জড়ানোর কারণে স্কুলছাত্রী সুমাইয়া আক্তারকে গলাকেটে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে উল্লেখ করা হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুরুতর আহত প্রেমিক মনির হোসেনকে বুধবার(২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে গ্রেপ্তার দেখায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আহত প্রেমিক মনির হোসেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার(২৮ অক্টোবর) ভোরে মৃত্যুবরণ করেছে।

প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব-১২ জানায়, ঘটনার আকস্মিকতা ও চাঞ্চল্য বিবেচনায় র‌্যাবের সিপিসি-৩ টাঙ্গাইলের একটি চৌকষ টিম স্বপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত শুরু করে।

নিহত স্কুলছাত্রী সুমাইয়া আক্তার(১৫) কালিহাতী উপজেলার পালিমা গ্রামের ফেরদৌস রহমানের মেয়ে ও এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তারা এলেঙ্গা পৌরসভার মসিন্দা এলাকায় ভাড়া বাসায় পরিবারসহ বসবাস করতেন। গুরুতর আহত মনির হোসেন(১৭) এলেঙ্গা পৌরসভার মশাজান এলাকার মেহের আলীর ছেলে। তিনি ট্রাক চালকের সহকারী ছিলেন।

র‌্যাব-১২ জানায়, সিপিসি-৩ টাঙ্গাইলের কোম্পানী কমান্ডার লে. কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে গঠিত একটি চৌকষ টিম র‌্যাবের গোয়েন্দা টিমের সহযোগিতায় ঘটনার ১০ ঘণ্টার মধ্যে স্কুলছাত্রী নিহতের রহস্য উন্মোচন করেছে।

র‌্যাব-১২ আরও জানায়, ভিকটিম সুমাইয়া আক্তারের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, প্রতিবেশী ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং বিভিন্ন লোকজনের সাথে প্রকাশ্য ও গোপনে কথা বলে র‌্যাবের টিম। তারা জানতে পারে ভিকটিম সুমাইয়ার সাথে ট্রাকের হেলপার মনির হোসেনের দীর্ঘ দুই বছর যাবত প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

সম্প্রতি মনির তার প্রেমিকা সুমাইয়ার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য একাধিকবার প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় মনির মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। মাদকাসক্ত অবস্থায় ইতোপূর্বে কয়েক দফায় সুমাইয়ার উপর শারীরিক নির্যাতনও করেছে। প্রায় দুই মাস আগে সুমাইয়া তার সাথে সম্পর্ক চ্ছেদ করে অন্য একটি ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এতে মনির অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়। ৫-৭ দিন আগেও ভিকটিম সুমাইয়াকে মনির রাস্তায় একা পেয়ে মারপিট করায় সুমাইয়া আহত হয়ে চিকিৎসা করায়।

ওই চড় থাপ্পরের দৃশ্য মনির ভিডিও করে রেখে তার বন্ধুদের দেখায়। ২৬ অক্টোবর রাতে মনির তার কয়েক বন্ধুকে নিয়ে এলেঙ্গা সামসুল হক কলেজের মাঠে বসে মিটিং করে এবং সুমাইয়া ও তার নতুন প্রেমিকের উপর প্রচন্ড ক্ষোভ প্রকাশ করে। এ সময় বন্ধুরা তাকে সুমাইয়ার পথ থেকে সরে যেতে পরামর্শ দেয়। এরপর থেকে মনির পাগলের মত আচরণ করতে থাকে এবং ২০-২৫ মিনিট পর সবাই বাড়ি চলে যায়।

র‌্যাব জানায়, সংশ্লিষ্ট বিবেচনায় একটি ভিডিও বিশ্লেষন করে দেখা যায়- ট্রাক হেলপার মনির একটি সুইচ গিয়ার সংগ্রহ করে এবং লাইকির জন্য ভিডিও তৈরি করে। বিভিন্ন স্টাইলে মনির ওই সুইচ গিয়ার ছুরির ব্যবহার করার ভিডিও করে। ওই সুইচ গিয়ারটিই ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ জব্দ করে। প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হয়ে র‌্যাবের তদন্ত টিম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুরুতর আহত মনির হোসেনকে বুধবার রাতে গ্রেপ্তার দেখায়। কিন্তু বৃহস্পতিবার ভোরে চিকিৎসাধীন মনিরের মৃত্যু হয়।

এলেঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র সুকুমার ঘোষ জানান, পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে তিনি জানতে পেরেছেন- ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোর রাতে মনির হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার বিকালে মরদেহ মশাজান গ্রামে আনা হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৮. অক্টোবর ২০২১ ০৭:২৮:পিএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে কিশোরীকে গলা কেটে হত্যা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে কিশোরীকে গলা কেটে হত্যা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গায় এক কিশোরীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়া একই স্থান থেকে গলাকাটা অবস্থায় আহত এক কিশোরকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকালে এলেঙ্গা পৌর এলাকার শামসুল হক কলেজের সামনে ওই ঘটনা ঘটে।

নিহত কিশোরীর নাম ছুমাইয়া আক্তার (১৬)।সে কালিহাতী উপজেলার নারন্দিয়া ইউনিয়নের পালিমা গ্রামের ফেরদৌসুর রহমানের মেয়ে। নিহতের পরিবার এলেঙ্গা পৌরসভার রিসোর্ট এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। ছুমাইয়া স্থানীয় এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ছিল।

আহত কিশোরের নাম মনির হোসেন (১৭)। সে এলেঙ্গা পৌর সভার মশাজান এলাকার মেহের আলীর ছেলে। সে বাস চালকের সহকারী হিসেবে কাজ করতো।

নিহত কিশোরীর বাবা ফেরদৌসুর রহমান জানান, বুধবার সকাল ৬টায় তার মেয়ে স্থানীয় প্রাইম একাডেমিতে প্রাইভেট পড়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সকাল ৮ টায় স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পান যে তার মেয়েকে (ছুমাইয়া) কে বা কারা জবাই করে হত্যা করে শামসুল হক কলেজের সামনে লাশ ফেলে রেখেছে। তবে ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা ছেলেটিকে তিনি চেনেন না বলে জানান।

আহত মনিরের খালা রোজিনা বেগম জানান, মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) রাতে বাড়ি থেকে মনির বের হয়ে যায়। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সকালে স্থানীয় লোকজনদের কাছে খবর পেয়ে মনিরকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে তার সঙ্গে যে মেয়েটিকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে তাকে তিনি চেনেন না।

হত্যাকান্ড প্রসঙ্গে কালিহাতী থানার অফিসার-ইন-চার্জ(ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, সকালে স্থানীয় লোকজন শামসুল হক কলেজের সামনে গলাকাটা এক কিশোরী ও এক কিশোরকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় ওই কিশোর জীবিত ছিল। পরে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত ওই কিশোরের ঘাড়সহ বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তিনি আরো জানান, প্রেমঘটিত কোনো কারণে ওই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

 

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৭. অক্টোবর ২০২১ ০৮:৩৫:পিএম ৩ বছর আগে
যোগাযোগ বন্ধ করায় টাঙ্গাইলে প্রেমিকাকে কোপাল প্রেমিক - Ekotar Kantho

যোগাযোগ বন্ধ করায় টাঙ্গাইলে প্রেমিকাকে কোপাল প্রেমিক

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে প্রেমিকের অবাধ্য হওয়ায় প্রেমিকাকে কুপিয়ে আহত করেছে হৃদয় (১৮) নামে এক প্রেমিক। শনিবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঘাটাইল উপজেলার ছয়আনী বকশিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে, ওই প্রেমিকা আহত অবস্থায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ ব্যাপারে ঘাটাইল থানায় নির্যাতিতার নানা বাদী হয়ে রবিবার রাতেই বখাটে হৃদয়কে একমাত্র আসামি করে নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছে। রবিবার রাতেই বখাটে প্রেমিককে আটক করেছে পুলিশ।

আহত স্কুল ছাত্রী জানায়, গত দুই বছর পূর্বে বকশিয়া এলাকার টেক্কা মিয়ার ছেলে হৃদয়ের সঙ্গে তার প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। দীর্ঘদিন তাদের সম্পর্ক চলমান থাকার এক পর্যায়ে গত দুই মাস পূর্বে বিষয়টি পরিবারের মধ্যে জানাজানি হয়।

পরে স্থানীয়ভাবে দু’পক্ষ মিলে সমঝোতায় পৌঁছায়। এবং সিদ্ধান্ত হয় আগামী দুই বছর পর পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে দু’পক্ষের অভিভাবকই স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে সমঝোতা করেন।

এদিকে প্রেমিক হৃদয় কিছুদিন যেতে না যেতেই প্রেমিকাকে পড়ালেখা বন্ধ করে দিতে বলে এবং তার অনুমতি ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু প্রেমিকা তার কথায় কর্ণপাত না করে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়াসহ স্বাধীনভাবেই চলাচল করতে থাকে। এতে হৃদয় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে কথা না শুনলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

এরপর থেকেই ওই প্রেমিকা হৃদয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয় প্রেমিক। গত শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ প্রেমিকার বাসায় গিয়ে হাজির হয় হৃদয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রেমিকার ঘরে গিয়ে তাকে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে পরিবারের লোকজন এগিয়ে এসে হৃদয় সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

এসময় গুরুতর আহত অবস্থায় প্রেমিকাকে প্রথমে ভুঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে রেফার করে। বর্তমানে ওই স্কুলছাত্রী আশঙ্কামুক্ত রয়েছে।

এ ব্যাপারে ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আজাহারুল ইসলাম সরকার জানান, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। রবিবার ওই বখাটের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে। মামলা হওয়ার পরেই আসামিকে গ্রেপ্তার করে সোমবার(২৫ অক্টোবর) সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৬. অক্টোবর ২০২১ ০১:২০:এএম ৩ বছর আগে
সাবেক মেয়র মুক্তি’র জামিন আবেদন ফের নামঞ্জুর - Ekotar Kantho

সাবেক মেয়র মুক্তি’র জামিন আবেদন ফের নামঞ্জুর

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আসামি সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিন আবেদন না মঞ্জুর হয়েছে।সোমবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে এ বিষয়ে শুনানি শেষে এমন আদেশ দিলেন আদালত।এ নিয়ে মোট ১৬ বার তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হল।

সহিদুর টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানার ভাই এবং ওই আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় বর্তমান এমপি আতাউর রহমান খানের ছেলে। প্রায় ১১ মাস ধরে কারাগারে রয়েছেন।

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারি কৌসুলি মনিরুল ইসলাম জানান, প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মুক্তির আইনজীবীরা তার জামিন আবেদন করেছিলেন। সোমবার (২৫ অক্টোবর) এই আবেদনের শুনানিতে তারা যে কোনো শর্তে সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিন প্রার্থনা করেন। শুনানি শেষে বিচারক মাসুদ পারভেজ তাদের আবেদন নামঞ্জুর করেন।

ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পর দীর্ঘ ছয় বছর পলাতক থাকার পর গত ২ ডিসেম্বর সহিদুর রহমান খান মুক্তি টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। তারপর থেকে তিনি টাঙ্গাইল জেলা কারা হেফাজতে আছেন।

গত ১৮ আগস্ট সহিদুর রহমান খান মুক্তি কারাগারে অসুস্থ হওয়ার পর তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়েছিল। সেখানে প্রায় এক মাস চিকিৎসা শেষে তাকে আবার টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ তার কলেজ পাড়া বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশ আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামের দুই জনকে গ্রেপ্তার করে।

আদালতে এ দু’জনের দেওয়া স্বাীকারোক্তিতে এই হত্যার সঙ্গে তৎকালীন এমপি আমানুর রহমান খান রানা, তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। এরপর অভিযুক্তরা আত্মগোপনে চলে যান। আমানুর রহমান খান রানা ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আত্মসমর্পন করেন। প্রায় তিন বছর হাজতবাসের পর তিনি জামিনে মুক্তি পান। তাদের অন্য দুই ভাই এখনও পলাতক।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৬. অক্টোবর ২০২১ ১২:২০:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী আটক - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী আটক

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মধুপুর থেকে ইয়াসমিন (১৯) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার কুড়াগাছা ইউনিয়নের ধরাটি টানপাহাড় এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই গৃহবধূর স্বামী নুরুন্নবীকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত ইয়াসমিন ওই এলাকার আব্দুল লতিফ মৃধার মেয়ে।

গৃহবধূর চাচা জুলহাস উদ্দিন জানান, কুড়াগাছা ইউনিয়নের ধরাটি গ্রামের হাসু মিয়ার ছেলে নুরুন্নবীর সাথে পারিবারিকভাবে ইয়াসমিনের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে পারিবারিক কলহের জের ধরে ইয়াসমিনের শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার উপর নির্যাতন করত। এক বছর আগে ইয়াসমিন একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেয়। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ধরাটি টানপাহাড় এলাকায় একটি জলপাই গাছের নিচে ইয়াসমিনকে রক্তাক্ত অচেতন অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ইয়াসমিনকে মৃত ঘোষণা করেন।

গৃহবধূর শাশুড়ি নূরজাহান বেগম জানান, তাদের নতুন বাড়িতে কাজ চলছে। এ জন্য তিনি সেখানেই ছিলেন। ছেলের বউ বাড়িতে একাই ছিল। কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে তা তিনি বলতে পারছেন না।

মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিক কামাল জানান, বিকেলে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। গৃহবধূর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা আব্দুল লতিফ মৃধা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামী নুরুন্নবীকে আটক করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২২. অক্টোবর ২০২১ ০৪:৩৬:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে দুই কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে দুই কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলায় ঘটনা আলাদা হলেও একই এলাকায় একই সময়ে দুই কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।বুধবার(২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার কাউলজানী ইউনিয়নের বোর্ডবাজার ও বার্থা দক্ষিণপাড়া থেকে তাদের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহতদের লাশ সন্ধ্যায় হাসপাতালের বেডে একই সময় পাশাপাশি রাখা ছিল। দুটি ঘটনা আলাদা হলেও একই এলাকা ও একই সময়ে হওয়ায় উপজেলাব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

নিহতরা হলেন— উপজেলার কাউলজানী বোর্ডবাজার এলাকার কামাল মিয়ার মেয়ে শারমিন আক্তার (১৫) ও একই ইউনিয়নের বার্থা দক্ষিণপাড়া গ্রামের মোস্তফা সিকদারের মেয়ে মুক্তা (১৫)।

স্থানীয়রা জানান, বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার কাউলজানী বোর্ডবাজার এলাকায় শারমিন আক্তারের লাশ ঘরের ধন্যার সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা।

পরিবারের লোকজন ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজমুল হাসান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অপরদিকে, একই ইউনিয়নের বার্থা দক্ষিণপাড়া গ্রামে মুক্তাকেও বিকাল ৫টার দিকে ঘরের ধন্যার সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের লোকজন। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজমুল হাসান তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।

বাসাইল থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) হারুন অর রশিদ, দুটি ঘটনায়ই আলাদা দুটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, দুই কিশোরীই পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২২. অক্টোবর ২০২১ ০৩:০৪:এএম ৩ বছর আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।