/ হোম / অপরাধ
টাঙ্গাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা

একতার কণ্ঠঃ কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে টাঙ্গাইলে বিভিন্ন দোকান, চায়ের স্টল ও মাস্ক পরিধান না করা, বিনা কারনে ঘর থেকে বের হওয়া ব্যক্তিদের উপর ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। শনিবার(২৪ জুলাই) দিনব্যাপী এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খায়রুল ইসলাম । এ সময় বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে থেকে ৩৩ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা আদায় করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।ওই অভিযানে র‍্যাব ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খায়রুল ইসলাম জানান, সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। টাঙ্গাইল পৌর এলাকার কলেজ পাড়ায় অবস্থিত গৌর ঘোঁষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডার এর ঘি মেয়াদোত্তীর্ণ  ছিল  বিধায়  বাংলাদেশ ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং জব্দকৃত মালামাল ধ্বংস করা হয়েছে।  এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এছাড়াও মাইকিং করে লোকজনকে স্বাস্থ্যবিধি পালনে সকলকে সচেতন করা হয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৫. জুলাই ২০২১ ০২:৪০:এএম ৩ বছর আগে
সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিন আবেদন আবারও নামঞ্জুর - Ekotar Kantho

সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিন আবেদন আবারও নামঞ্জুর

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আসামি সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিন আবেদন আবারও নামঞ্জুর করেছেন আদালত।সোমবার (১৯ জুলাই) দুপুরে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাসুদ পারভেজ তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারি কৌশুলী মনিরুল ইসলাম খান জানান, ফারুক হত্যা মামলায় গত বছরের ২ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের পর আদালত সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে আরো নয় বার তার জামিন আবেদন আদালত নামঞ্জুর করেন।  বৃহস্পতিবার( ১৫ জুলাই) সহিদুর রহমান খান মুক্তির পক্ষে তার আইনজীবীরা আদালতে জামিন আবেদন করেন। আদালত সোমবার শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

সহিদুর রহমান খান মুক্তির পক্ষে আইনজীবি আব্দুল বাকী মিয়া, আরফান আলী মোল্লা, শফিকুল ইসলাম রিপন, আনন্দ মোহন আর্য্য শুনানিতে অংশ নেন। তারা যে কোনো শর্তে মুক্তির জামিন মঞ্জুরের দাবি জানান।

রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত সরকারি কৌশুলী মনিরুল ইসলাম খান, বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুল গফুর ও রফিকুল ইসলাম জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া বাসার সামনে থেকে উদ্ধার করা হয়। এ হত্যকান্ডের তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে গোয়েন্দা পুলিশ আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামের দুইজনকে গ্রেফতার করে। আদালতে দুইজনের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে এ হত্যার সঙ্গে তৎকালীন এমপি আমানুর রহমান খান রানা, তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। এরপর অভিযুক্তরা আত্মগোপনে চলে যান। আমানুর রহমান খান রানা ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আত্মসমর্পণ করেন।প্রায় তিন বছর হাজত বাসের পর জামিনে মুক্তি পান।

সহিদুর রহমান খান মুক্তি এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানার ভাই এবং টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি আতাউর রহমান খানের ছেলে।সহিদুর রহমান খান মুক্তি গত বছরের ২ ডিসেম্বর  টাঙ্গাইলের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তার অন্য দুই ভাই এখনো পলাতক।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২০. জুলাই ২০২১ ০২:০১:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে করোনায় অর্থাভাবে শিশু বিক্রি করলেন বাবা-মা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে করোনায় অর্থাভাবে শিশু বিক্রি করলেন বাবা-মা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার নগদাশিমলা ইউনিয়নের সৈয়দপুর পূর্বপাড়া গ্রামে করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে অর্থাভাবে ৪৫ হাজার টাকায় তিন মাস বয়সী নিজের সন্তানকে বিক্রি করার ঘটনা ঘটেছে। এ খবর পেয়ে শিশুটি বিক্রি করার ১৬দিন পর স্থানীয় প্রশাসন শুক্রবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় শিশুটিকে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছে।

জানা যায়, গোপালপুর উপজেলার নগদাশিমলা ইউনিয়নের সৈয়দপুর পূর্বপাড়া গ্রামের দিন মজুর শাহ আলম ও রাবেয়া দম্পতির তিন পুত্র সন্তান রয়েছে। দিন মজুর শাহ আলমের উপার্জনে পাঁচজনের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। এর মধ্যে করোনায় কয়েক মাস ধরে শাহ আলম বেকার। বেকার অবস্থায় তিনি ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। পাওনাদাররা প্রতিদিনই টাকার জন্য তাগিদ দিচ্ছিল। হতাশায় তিনি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন।

শিশুর মা রাবেয়া জানান, তার স্বামী শাহ আলম পাওনা টাকা পরিশোধ ও সংসারের অভাব-অনটনের কারণে তিন মাস বয়সী শিশু আলহাজকে বাইশকাইল গৈজারপাড়া গ্রামের সবুজ মিয়া ও স্বপ্না দম্পতির কাছে ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন।

গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোশাররফ হোসেন জানান, সবুজ ও স্বপ্না দম্পতি নিঃসন্তান। তারা শাহ আলম-রাবেয়া দম্পতির অভাব-অনটনের সুযোগ নিয়ে টাকার বিনিময়ে শিশুটি কিনে নেন। আদালতের অনুমতি নিয়ে দত্তক নেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু তারা তা করেননি। এ কারণে প্রশাসন সবুজ মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে শিশু আলহাজকে উদ্ধার করে মা রাবেয়া বেগমের কোলে তুলে দেয়। মানবিক দিক বিবেচনায় থানায় কোন মামলা নেওয়া হয়নি।

গোপালপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার পারভেজ মল্লিক জানান, ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে দারিদ্রতা। পরিবারটিকে সার্বিকভাবে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। রাবেয়া বেগমকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে আয়া পদে চাকুরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তাও দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ডক্টর মো. আতাউল গনি জানান, প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত ওই শিশুর যাবতীয় ভরণপোষণ ও লেখাপড়ার দায়িত্ব প্রশাসনের পক্ষ থেকে বহন করা হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৮. জুলাই ২০২১ ০২:৪৬:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে মাদকাসক্ত যুবকের হাতে নির্মাণ শ্রমিক খুন - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে মাদকাসক্ত যুবকের হাতে নির্মাণ শ্রমিক খুন

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলায় শরিফ মিয়া (৩০) নামে এক নির্মাণ শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে মো. মোন্তাজ মিয়া নামে এক মাদকাসক্ত যুবককে আটক করেছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার এলাসিন ইউনিয়নের মুশুড়িয়া গ্রামে ওই খুনের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, মুশুড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের নেশাগ্রস্থ ছেলে মো. মোন্তাজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে হাতে দা নিয়ে এলাকায় ঘোরাফেরা করছিলেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি মুশুড়িয়া দক্ষিণপাড়া খেলার মাঠে মো. সোনা মিয়ার ছেলে নির্মাণ শ্রমিক শরিফকে পেয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এসময় শরিফের গলার বেশিরভাগ অংশই কেটে যায়। এ অবস্থায় দৌড়ে মাঠের পাশে সোমেজ সিকদারের বাড়ির উঠানে গিয়ে পড়ে যান তিনি। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

সোমেজ সিকদার জানান, রাতে শব্দ পেয়ে ঘুম থেকে জেগে বাইরে এসে দেখেন যে পাশের বাড়ির মোন্তাজ হাতের দা ঘুরাচ্ছেন। বাড়িতে রক্তাক্ত ও নিথর অবস্থায় পড়ে আছেন শরিফ। এসময় তারা চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে জড়ো হন। মোন্তাজ পরে বাড়ি গিয়ে দা হাতে ঘরের ভেতর অবস্থান নেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার দা’য়ের কোপে এক পুলিশ সদস্য আহত হন।

দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিসুর রহমান জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনায় জড়িতকে গ্রেফতার করা হয়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শুক্রবার(১৬ জুলাই) সকালে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৭. জুলাই ২০২১ ০৩:৪৮:এএম ৩ বছর আগে
লতিফ সিদ্দিকীর দখল থেকে উদ্ধার জমিতে শেখ রাসেল শিশুপার্কের দাবিতে মানববন্ধন - Ekotar Kantho

লতিফ সিদ্দিকীর দখল থেকে উদ্ধার জমিতে শেখ রাসেল শিশুপার্কের দাবিতে মানববন্ধন

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর দখল থেকে উদ্ধার করা ৬৬ শতাংশ জমিতে শেখ রাসেল শিশুপার্ক প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী। রবিবার (১১ জুলাই) দুপুরে বৃহত্তর আকুরটাকুর পাড়া ও টাঙ্গাইলবাসীর ব্যানারে জেলা সদর রোডে ওই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এরআগে গত বুধবার (৭ জুলাই) একই দাবিতে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসকের কাছে স্থানীয় দেড় শতাধিক ব্যক্তি সাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। স্মরকলিপির অনুলিপি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সহ বিভিন্ন দপ্তর ও জেলার জনপ্রতিনিধিদের কাছে দেওয়া হয়েছে। একই দাবিতে আগামি শুক্রবার (২৩ জুলাই) বৃহত্তর আকুর টাকুরপাড়ার উদ্যোগে গণসমাবেশ আহ্বান করা হয়েছে।

রবিবার দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মানবন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম, কেএম জাকিরুল ইসলাম সংগ্রাম, মো. ওয়ালিদ হোসেন, গাজী সালাহ উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম স্বপন, এনামুল কবীর, ওয়ালিদ হোসেন, আকরাম হোসেন কিসলু প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, টাঙ্গাইল শহরের বৃহত্তর আকুর টাকুরপাড়া সবচেয়ে ঘণবসতিপূর্ণ এলাকা। এখানে শিশুদের বিনোদনের কোন জায়গা নেই। প্রাজ্ঞ রাজনীতিক আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর দখল থেকে উদ্ধার করা ৬৬শতাংশ জমিতে জেলা প্রশাসন প্রথমে শেখ রাসেল শিশুপার্ক নির্মাণ করার ঘোষণা দিলে আমরা উৎফুল্ল হয়েছিলাম। কিন্তু পরে জেলা প্রশাসন ওই জমি পৌরসভাকে বার্ষিক ইজারা দেয়। পৌরসভা সেখানে কাঁচাবাজার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ৬৭টি দোকান এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য উন্মুক্ত শেড নির্মাণকাজ শুরু করেছে।

বক্তারা আরও বলেন, জায়গাটি হঠাৎ করে পৌরসভাকে ইজারা দেওয়ায় আমরা খুবই মর্মাহত হয়েছি। ওই জায়গায় শেখ রাসেল শিশুপার্ক নির্মান না করে কাঁচাবাজার বসানোর তীব্র নিন্দা ও ঘোরতর বিরোধিতা করছি। অবিলম্বে কাঁচাবাজারের শেড নির্মাণ বন্ধ করে শেখ রাসেল শিশুপার্ক নির্মাণের জন্য আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১১. জুলাই ২০২১ ১০:২৩:পিএম ৩ বছর আগে
শেখ রাসেল শিশু পার্ক নয় উদ্ধার হওয়া জমিতে বসছে কাঁচা বাজার - Ekotar Kantho

শেখ রাসেল শিশু পার্ক নয় উদ্ধার হওয়া জমিতে বসছে কাঁচা বাজার

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলে সাবেক  মন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর দখল থেকে উদ্ধার করা জমিতে আধুনিক কাঁচাবাজার নির্মিত হচ্ছে। টাঙ্গাইল পৌরসভা জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে অস্থায়ী ভিত্তিতে বাৎসরিক ইজারা নিয়ে সেখানে বাজার নির্মাণ করছে। উদ্ধার করা ওই জমিতে শেখ রাসেল শিশুপার্ক করার কথা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতা থাকার কারণে পার্ক নির্মাণ করা যায়নি বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। শহরের আকুরটাকুর পাড়ায় সড়কের ওপর বটতলা বাজার স্থানান্তর করে উদ্ধার করা ওই জমিতে কাঁচাবাজার নির্মিত হচ্ছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, শহরের আকুরটাকুর পাড়া মৌজায় ২৪২ খতিয়ানের ৭৮৮ দাগে ৬৬ শতাংশ অর্পিত সম্পত্তি মামলা মূলে ১৯৭২ সালে ইজারা নেন সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত নিয়মমতো লিজমানি পরিশোধ করেন। এরপর দীর্ঘ সময় তিনি ইজারার শর্ত ভঙ্গ করেন। এ ছাড়া টাঙ্গাইল জেলা জজ আদালতে ওই জমির মালিকানা দাবি করে মামলা করেন। মামলায় তিনি ডিক্রিও পান। সরকারপক্ষ জেলা জজ আদালতে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে লিভ টু আপিল করেন। ওই সিভিল রিভিশন মামলায় সরকারপক্ষে রায় দেন আদালত। এ ঘটনায় আবদুল লতিফ সিদ্দিকী উচ্চ আদালতে সরকারপক্ষের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে লিভ টু আপিল করেন। সুপ্রিম কোর্টও সরকারের পক্ষে রায় দেন। পরে গত ২৪ জানুয়ারি আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর অবৈধভাবে দখলে রাখা ৬৬ শতাংশ জমি উদ্ধার করে জেলা প্রশাসন।

এদিকে আকুরটাকুর পাড়ার কয়েকজন ঘনবসতি এলাকা হওয়ায় সেখানে বাজার না করার দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি দিয়েছেন।

স্থানীয় মাসুদ রানা, রাসেল সিদ্দিকী, সংগ্রাম খন্দকার, সৈয়দ সাদেক জানান, এলাকাটির একদিকে জেলা সদর রোড় অন্য দিকে তালতলা রোড়। এখানে বাজার বসলে চলাচল করা কষ্টকর হয়ে পড়বে। আবাসিক এলাকায় নতুন করে বাজার বসানো সিদ্ধান্তটি  সঠিক হয়নি। এখানে শিশুদের জন্য বিনোদন কেন্দ্র চাই, বাজার নয়।

জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি জানান, উদ্ধার করা জমির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা পার্ক না করে জনহিতকর কোনো কাজে ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। এ ছাড়া জমিটি ক তফসিলভুক্ত অর্পিত সম্পত্তি হওয়ায় সরকারি কোনো দপ্তরকে স্থায়ী ভিত্তিতে দেওয়া যায়নি। মাসিক উন্নয়ন সভায় বিভিন্ন মহল থেকে উদ্ধার করা ওই জায়গায় সড়কের ওপর অবস্থিত বটতলা বাজার স্থানান্তরের দাবি তোলা হয়। সভার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভিন্ন শর্তসাপেক্ষে টাঙ্গাইল পৌরসভাকে অস্থায়ীভাবে বাৎসরিক ইজারা দেওয়া হয়েছে। সেখানে ৬৭টি কাঁচা সেমিপাকা দোকান হবে। পয়ঃনিস্কাশনের ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থাকবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১১. জুলাই ২০২১ ০১:৪৭:এএম ৩ বছর আগে
কঠোর বিধিনিষেধ মানাতে পাড়া-মহল্লায় অভিযান চালাবে র‌্যাব - Ekotar Kantho

কঠোর বিধিনিষেধ মানাতে পাড়া-মহল্লায় অভিযান চালাবে র‌্যাব

একতার কন্ঠঃ করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ মানাতে পাড়া-মহল্লায়ও কঠোর অভিযান পরিচালনার কথা জানিয়েছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

শনিবার (৩ জুলাই) দুপুর ১২টায় রাজধানীর রাসেল স্কয়ারে র‍্যাবের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কামান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, ‘কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও যারা বাইরে বের হচ্ছেন তাদের অনেকেই সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান করছেন না। তাদেরকে সচেতনতার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে  শাস্তিমমূলক ব্যবস্থা  নেওয়া হচ্ছে।’

‘বিধিনিষেধ মানাতে র‍্যাব এখন পর্যন্ত দেশব্যাপী চার শতাধিক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে, আর জরিমানা করেছে চার লক্ষাধিক টাকা। দেশজুড়ে নিয়মিত টহল ও চেকপোস্টের বাইরে চার শতাধিক অতিরিক্ত চেকপোস্ট পরিচালনা করে যারা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন তা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘পাড়া-মহল্লায় টহল পরিচালনা করার সময় দেখেছি, অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। বিভিন্ন চার স্টলে-দোকানে গণজমায়েত দেখা গেছে। তাই সবার প্রতি অনুরোধ পরিবারের কথা বিবেচনা করে হলেও এই কটা দিন করোনার ঝুঁকিপূর্ণ সময়টাতে ঘরে থাকুন। অন্যথায় মোবাইর কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা  নেওয়া হবে ।’

এক প্রশ্নের জবাবে র‍্যাবের  কর্মকর্তা বলেন, তিনি এখানে আসার আগে ১০টি চেকপোস্ট পরিদর্শন করেছেন, পাড়া-মহল্লায় গিয়েছেন। সাংবাদিকরা যথার্থই বলেছে, পাড়া-মহল্লায় অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। শনিবার(৩ জুলাই) থেকে পাড়া-মহল্লায় স্পেশাল অভিযান পরিচালনা করা হবে। সম্মানিত নাগরিকদের অনুরোধ করবো পাড়া-মহল্লায় আপনারা জমায়েত হবেন না।’

গত দুইদিনের বিধিনিষেধে র‍্যাবের অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রথমদিন বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সারাদেশে ১৮২ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আর জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। শুক্রবার( ২ জুলাই)    সারাদেশে ২২০ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি জরিমানা করা হয়েছে আড়াই লক্ষাধিক টাকা। গত দুইদিনের প্রেক্ষাপটে  শনিবার চেকপোস্ট বেশি ছিল। যারা নির্দেশনা মানছেন না, তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না।’

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এখন বিশেষ পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে। যারা জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হচ্ছেন, তাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করছি। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সবাইকে ঘরে থাকার অনুরোধ করছি।’

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. জুলাই ২০২১ ০২:১৯:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে ইয়াবা সহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ইয়াবা সহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ৩০০ পিস ইয়াবাসহ রুবেল ফকির (২৩) নামে এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। শুক্রবার (২ জুলাই) সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার মীরহামজানি গ্রামের বাংলালিংক টাওয়ারের পূর্ব পাশ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।

রুবেল ফকির কালিহাতী উপজেলার সল্লা খামার পাড়া গ্রামের আব্দুল বাছেদের ছেলে। লকডাউনের সুযোগে সে নিয়মিত ইয়াবা বিক্রি করে আসছিলো।

র‌্যাব-১২, সিপিসি-৩ টাঙ্গাইলের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ মুশফিকুর রহমান জানান, রুবেল দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা অবৈধভাবে সংগ্রহ করে কালিহাতীসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সরবরাহ করে আসছিলো। শুক্রবার (২ জুলাই) সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার মীরহামজানি গ্রামের বাংলালিংক টাওয়ারের পূর্ব পাশ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ৩০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে কালিহাতী থানায় একটি মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০২. জুলাই ২০২১ ১০:২৭:পিএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে নারী ইউপি সদস্যের টেন্ডার ছিনতাই : আ.লীগ নেতা ও ছেলের বিরুদ্ধে মামলা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে নারী ইউপি সদস্যের টেন্ডার ছিনতাই : আ.লীগ নেতা ও ছেলের বিরুদ্ধে মামলা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নারী সদস্যের হাত থেকে টেন্ডার ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতা ও তার ছেলের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে তাদের দু’জনকে আসামি করে টাঙ্গাইলের সখীপুর থানায় মামলা হয়েছে।

মামলার বাদী বহেড়াতৈল ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত (৭,৮,৯) ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য রেনু আক্তার। আর আসামিরা হলেন- সখীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নজরুল ইসলাম নবু (৫০) ও তার ছেলে লিঙ্কন আহম্মেদ (২৫)।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, বহেড়াতৈল বাজার খেয়াঘাটের এক বছরের জন্য ইজারা দেয়ার লক্ষ্যে ২১ জুন(সোমবার) দরপত্র আহ্বান করা হয়। শিডিউল কেনার সর্বশেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয় ২৮ জুন (সোমবার)। এরপর ৫০০ টাকা করে জমা দিয়ে ১০ জন শিডিউল কিনেন।

মঙ্গলবার(২৯ জুন) বেলা ১টা পর্যন্ত টেন্ডার জমা দেয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়। সকাল ১১টায় প্রথমে উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নজরুল ইসলাম নবুর ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা লিঙ্কন আহম্মেদ শিডিউল জমা দেন।

ইউপি সদস্য রেনু আক্তার বলেন, ‌’বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আমি টেন্ডার জমা দেয়ার জন্য ইউএনও কার্যালয়ের সামনে এলে আসামিরা আমার হাতে থাকা দরপত্র ছিনিয়ে নেন। এ সময় আমি কান্নাকাটি করে ইউএনওকে বিষয়টি ফোনে জানাই। এরপরও ওই নেতা ও তার ছেলে আমার হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়া টেন্ডার ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এ কারণে আমি ওই দুইজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছি।’

অভিযোগের বিষয়ে নজরুল ইসলাম নবু বলেন, ‘ইতোপূর্বে কোনো টেন্ডার ছাড়াই এই খেয়াঘাটটি পরিচালনা করতেন ইউপি চেয়ারম্যানসহ তার লোকজন। এ বছরই প্রথম এই খেয়াঘাটটির অস্থায়ী ভিত্তিতে মাত্র তিনমাসের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়ায় আনা হয়। তবে টেন্ডার ছিনিয়ে নেয়ার বিষয়ে কি ঘটেছে সেটি আমার জানা নেই।’ এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে এমনটাই দাবি করেন তিনি।

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে সাইদুল হক ভুঁইয়া বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা ও তার ছেলের বিরুদ্ধে খেয়াঘাট টেন্ডারের শিডিউল ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা করেছেন রেনু আক্তার নামের এক ইউপি সদস্য। আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।

সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চিত্রা শিকারী জানান, এ বিষয়ে ওই নারী ইউপি সদস্য সখীপুর থানায় অভিযোগ করেছেন।  ওই খেয়াঘাটের ইজারা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০১. জুলাই ২০২১ ০২:৫২:এএম ৩ বছর আগে
আ.লীগ নেতা ফারুক হত্যা মামলার আসামি সহিদুরের জামিন আবারও নামঞ্জুর - Ekotar Kantho

আ.লীগ নেতা ফারুক হত্যা মামলার আসামি সহিদুরের জামিন আবারও নামঞ্জুর

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আসামি সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খানের (মুক্তি) জামিন আবেদন আবারও নামঞ্জুর করেছেন আদালত।বুধবার (৩০ জুন) টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাসুদ পারভেজ  জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। সহিদুর ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাবেক সাংসদ আমানুর রহমান খান রানার ভাই।

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মনিরুল ইসলাম খান বলেন, ফারুক হত্যা মামলায় গত বছরের ২ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের পর আদালত সহিদুর রহমান খানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে আরও আটবার তাঁর জামিন আবেদন আদালত নামঞ্জুর করেন। গত সোমবার সহিদুরের পক্ষে তাঁর আইনজীবী আবদুল বাকী ও আরফান আলী মোল্লা জামিন আবেদন করেন। আদালত বুধবার শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি মনিরুল ইসলাম খান ও বাদীপক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম জামিনের বিরোধিতা করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তাঁর কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার তিন দিন পর তাঁর স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে।

আদালতে দুজনের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে এই হত্যার সঙ্গে তৎকালীন সাংসদ আমানুর রহমান খান, তাঁর তিন ভাই তৎকালীন টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র সহিদুর রহমান খান, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান  কাকন ও ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। এরপর অভিযুক্তরা আত্মগোপনে চলে যান। আমানুর রহমান খান রানা ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আত্মসমর্পণ করেন। প্রায় ৩ বছর হাজতবাসের পর জামিনে মুক্তি পান। সহিদুর রহমান খান মুক্তি গত বছরের ২ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করেন। তাঁর অন্য দুই ভাই এখনো পলাতক রয়েছে ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০১. জুলাই ২০২১ ০১:৪০:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলের সেই ছাত্রলীগ নেতা বহিস্কার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলের সেই ছাত্রলীগ নেতা বহিস্কার

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের বাসাইলে গ্রাহকের কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় উপজেলার ফুলকী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সারোয়ার হোসেন সবুজকে বহিস্কার করা হয়েছে। টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের সাথে পরামর্শ ক্রমে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাসাইল উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কামরান খান বিপুল।

জানা যায়, উপজেলার ফুলকী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সবুজের বিরুদ্ধে ডাচ্-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) বিভিন্ন অনলাইন ও পত্রিকায় সংবাদ প্রচার হয়। সংবাদ প্রচারের পরপরই টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের। শুক্রবার রাতে এক জরুরী সভায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতির পদ থেকে সবুজকে বহিস্কার করা হয়। উপজেলা আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সবুজ ডাচ্-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করার কারণে তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।

বাসাইল উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কামরান খান বিপুল জানান, জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দদের সাথে পরামর্শক্রমে আমরা উক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। সবুজকে স্থায়ী বহিস্কারের বিষয়ে আমরা জেলা কমিটিকে জানিয়েছি বলেও তিনি জানান।

সবুজের চাচাতো ভাই আরিফ সরকার বলেন, গত ১৫ দিন যাবৎ সবুজ পলাতক রয়েছে। তার কোন প্রকার খোঁজ আমরা পাচ্ছি না। যে সকল গ্রাহকদের টাকা নিয়ে সে পালিয়েছে, পারিবারিকভাবে তাদের টাকা পরিশোধ করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

উল্লেখ্য, তিন বছর আগে ডাচ্-বাংলা কেন্দ্রীয় ব্যাংক উপজেলার আইসড়া বাজারে এজেন্ট ব্যাংকিং বুথ চালু করে। বাসাইলের ফুলকী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সবুজ ব্যাংকটির এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। ব্যাংকিং কার্যক্রমের আড়ালে তিনি গ্রাহকদের কোটি টাকা আত্মসাৎ করে গাঁ ঢাকা দেয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৭. জুন ২০২১ ০৩:৩১:এএম ৩ বছর আগে
পরীমনির মামলা প্রত্যাহার ও অমির মুক্তির দাবিতে টাঙ্গাইলে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত - Ekotar Kantho

পরীমনির মামলা প্রত্যাহার ও অমির মুক্তির দাবিতে টাঙ্গাইলে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

একতার কণ্ঠঃ পরীমনির দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও তুহিন সিদ্দিকী অমির মুক্তির দাবিতে টাঙ্গাইলের বাসাইলে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। শনিবার (২৬ জুন) সকালে বঙ্গবন্ধুসেতু-ঢাকা মহাসড়কের বাসাইল উপজেলার হাবলা ইউনিয়নের গুল্যাহ এলাকায় ঘন্টা ব্যাপি এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

বাসাইল উপজেলা ও হাবলা ইউনিয়নবাসির ব্যানারে আয়োজনে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন বাসাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম, হাবলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম, স্থানীয় ইউপি সদস্য আকবর আলী, এলাকাবাসী হায়েত আলী, হাজেরা বেগম প্রমুখ। মানববন্ধনে বিভিন্ন এলাকার প্রায় সহস্রাধিক নারী-পুরুষ অংশ গ্রহন করে।

বক্তারা বলেন,  বাসাইলের গুল্যাহ গ্রামের অমি একজন ভাল মানুষ। সে ও তার বাবা সমাজ সেবক। অনেক মসজিদ, মাদ্রাসার উন্নয়ন করেছেন। এছাড়াও করোনাকালীন সময়ে হাজার হাজার মানুষকে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন। অমি মানব পাচারের সাথে জড়িত নয়। তাকে এই মামলা থেকে প্রত্যাহার করে মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় টাঙ্গাইল থেকে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।

জানা যায়, গত (৯ জুন) মধ্যরাতে সাভারে অবস্থিত ঢাকা বোট ক্লাবে চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টা করা হয় বলে পরীমনি থানায় অভিযোগ করেন। ঘটনার চার দিন পর রোববার (১৩ জুন) রাত ৮টার দিকে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে এবং রাত ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘটনা প্রকাশ করেন নায়িকা পরীমনি। পরদিন গত (১৪ জুন) সকালে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা করেন তিনি। ওই দিন বিকেলে উত্তরা থেকে নাসির ও অমিসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়। এরপর ডিবির গুলশান জোনাল টিমের এসআই মানিক কুমার সিকদার বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় গত (১৫ জুন) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি নাসির ও অমির সাতদিনের রিমান্ড  মঞ্জুর করেন ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৭. জুন ২০২১ ০৩:০৫:এএম ৩ বছর আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।