একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মধুপুর বনাঞ্চলে গাছের পাতার দাম এখন ৩ হাজার টাকা। শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই দাবি স্থানীয়দের। রীতিমতো রশিদ দিয়ে টাকা নেয়ার কথা স্বীকারও করেছেন বনকর্মীরা। তাদের দাবি, বনের দেখভালে ব্যবহার করা হয় এই অর্থ। তবে এই বিষয়ে কিছুই জানেন না টাঙ্গাইলের বন কর্মকর্তা।
ফাল্গুন-চৈত্র মাসে গাছের ঝরা পাতার স্তুপ জমে মধুপুর বনাঞ্চলে, যা কুড়িয়ে জ্বালানির কাজ চলে স্থানীয়দের। কেউ আবার কুড়ানো পাতা বিক্রি করে রোজগার করেন। কিন্তু এতে বাধ সেধেছেন রেঞ্জ কর্মকর্তারা। দোখলা রেঞ্জে শুকনো পাতার জন্য প্রতিজনের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা করে নিচ্ছেন তারা।
অভিযোগ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে পাওয়া যায়নি দোখলা রেঞ্জ কর্মকর্তাকে। তবে রশিদ দিয়ে টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করছেন এক বনকর্মী। তার দাবি, বনরক্ষায় খরচ হয় এই অর্থ।
এদিকে, অভিযোগের বিষয়ে কিছুই জানা নেই বলে দাবি বিভাগীয় বন কর্মকর্তার। টাঙ্গাইল বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো সাজ্জাদুজ্জামান বলেন, এমন কোনো অভিযোগ থাকলে এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করবো।
প্রসঙ্গত, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ১৯৮২ সালে বনের ৮৪ হাজার ৩৬৬ হেক্টর জায়গাকে মধুপুর ও ভাওয়াল নামে দু’টি জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করা হয়।