একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলে মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) গভীর রাতে র্যাবের সহযোগিতায় সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি)ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. খায়রুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন একটি ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে ১১ জন অবৈধ বালু উত্তোলন কারীকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে। টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের এলেংজানী নদীর উত্তর তারটিয়া অংশে ওই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে অবৈধ বালু উত্তোলনের মূলহোতা উত্তর তারটিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. উজ্জ্বল মিয়াকে(৪৮) ৩ মাস, একই এলাকার পূর্ব লামছী গ্রামের মো. জামাল উদ্দিনের ছেলে রায়হানকে(২৫) ৭ দিন ও বাকি ৯ জনকে ৫দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডিত অন্যরা হচ্ছেন- উত্তর তারটিয়া গ্রামের মো. হুরমুজ আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক(৪০), বররিয়া গ্রামের মৃত খন্দকার রকিবুল হকের ছেলে খন্দকার মাসুম(৪৩), উত্তর তারটিয়ার মো. সামাদ খানের ছেলে মো. নিলয় খান(২২), কালাচাদের ছেলে মো. মঞ্জুর(৩০), মো. তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে আবুল কালাম আজাদ(৩৮), একই এলাকার খাবিদা গ্রামের আ. মজিদ খানের ছেলে মো. রাসেল খান(৪০), গোলড়া গ্রামের মো. সোহেল মিয়ার ছেলে মো. অভি(২০), বররিয়া গ্রামের নারায়নের ছেলে নিরঞ্জন(১৯) এবং কালিহাতী উপজেলার ছাতিহাটী গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে মনির(২০)।
সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. খায়রুল ইসলাম জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও সরবরাহের দায়ে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪(খ) ধারায় মূলহোতা মো. উজ্জ্বল মিয়াসহ ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে বালু উত্তোলন ও সরবরাহের কাজে ব্যবহৃত চারটি ড্রাম ট্রাক ও একটি ভেকু জব্দ করা হয়।
অভিযানকালে র্যাব-১২ সিপিসি-৩ টাঙ্গাইলের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মো. এরশাদুর রহমান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে স্ত্রীর আঘাতে মৃত্যু হয়েছে তার স্বামীর। সোমবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার ইছাদিঘী গ্রামে এমন ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর আটক করা হয় অভিযুক্ত ওই নারীকে। পরে গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাকে।
জানা গেছে, নিহত ওই স্বামীর নাম কিতাব আলী (৪০)। তিনি উপজেলার ইছাদিঘী গ্রামের মৃত কেরামত আলীর ছেলে। নিহত কিতাব আলী ভাঙারির ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন । আর গ্রেপ্তার হওয়া তার স্ত্রীর নাম হামিদা আক্তার (২৫)।
উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার আবুল কালাম আজাদ বলেন, সোমবার বিকেলে তিনটার দিকে কিতাব আলীর সঙ্গে তার স্ত্রী হামিদা আক্তারের ঝগড়া হয়। সে সময় তারা একে অপরকে কামড় দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে স্বামীর স্পর্শকাতর স্থানে কামড় দেন স্ত্রী, তাতেই ঢলে পড়েন স্বামী কিতাব আলী। পরে তাকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন কতর্ব্যরত চিকিৎসক।
এ বিষয়ে সখীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এএইচএম লুৎফুল কবির বলেন, নিহত কিতাব আলীর তৃতীয় স্ত্রী হামিদা আক্তারকে আটকের পর গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। নিহত কিতাব আলীর আগের ঘরে মেয়ে বাবলি আক্তার বাদী হয়ে তার সৎ মা হামিদা আক্তারের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃত ওই নারীকে মঙ্গলবার(২৭ এপ্রিল) আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পরিদর্শক লুৎফুল কবির।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার কাশিল ইউনিয়নের কাশিল পশ্চিমপাড়া থেকে কনা আক্তার (২৪) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সকালে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন বাসাইল থানার অফিসার-ইন -চার্জ(ওসি) হারুনুর রশিদ।
নিহত গৃহবধূর পরিবার জানায়, প্রায় পাঁচ বছর আগে কাশিল পশ্চিমপাড়া এলাকার বাবু মিয়ার দুবাই প্রবাসী ছেলে কবির মিয়ার সঙ্গে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের দরুন গ্রামের জয়নাল মিয়ার মেয়ে কনা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাকে যৌতুকের জন্য শাশুড়ি ও দুই ননাশের নানা নির্যাতন সহ্য করতে হয়। এরপর তার শাশুড়ি কহিনূর বেগম ও স্বামী কবির মিয়া পুনরায় প্রবাসে পাড়ি জমান।
ফলে ওই গৃহবধূ তার শিশু সন্তানকে নিয়ে বাকপ্রতিবন্ধী শ্বশুরের সঙ্গে বসবাস করছিলেন। এরমধ্যে এক ননাশের স্বামী অন্যত্র বিবাহ করায় ও আরেক ননাশের স্বামী প্রবাসে থাকায় তারা শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়িতেই অবস্থান নেয়। সেই থেকে দুই ননাশই গৃহবধূর উপর নানা ধরনের নির্যাতন চালাতে থাকে।
সর্বশেষ সোমবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায়ও ওই গৃহবধূ কনাকে তার দুুই ননাশ মিলে মারধর করে। পরে (মঙ্গলবার) সকালে তার বসত ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত গৃহবধূর মা বলেন, ‘রাতের কোনও এক সময় তারা আমার মেয়েকে হত্যা করে লাশ ঘরের ধন্নার সাথে ঝুঁলিয়ে রেখে আমাদের খবর দেয়। খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখি ঘরের বাইরে থেকে তালা লাগানো অবস্থায় রয়েছে। আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য আক্কাছ মিয়া বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ এসে নিহতের লাশটি ঝুঁলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা কিছু বলা যাচ্ছে না।’
বাসাইল থানার অফিসার-ইন -চার্জ ( ওসি )হারুনুর রশিদ বলেন, ‘খবর পেয়ে নিহতের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। পরে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেয়ে মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে। এ ঘটনায় ইউডি মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
একতার কণ্ঠ ডেস্ক: টাঙ্গাইল সদর উপজেলার হুগড়া ইউনিয়নের কাজীর বাজার এলাকায় যমুনা নদীতে অবৈধ ড্রেজার এর মাধ্যমে বালু উত্তোলনের দায়ে, বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪(খ) ধারা লংঘন করায়, হুগড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে তোফাজ্জল হোসেনকে ৫০০০০/ ( পঞ্চাশ হাজার) টাকা ও পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে একই এলাকার মোঃ চান মোল্লার ছেলে মাজেদুর রহমানকে ১০০০০/-(দশ হাজার) টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার(২৬ এপ্রিল) দুপুরে, টাঙ্গাইল সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি )ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ খায়রুল ইসলামের নেতৃত্বে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা হয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ খায়রুল ইসলাম জানান, অবৈধ ড্রেজার এর বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ জন্মের চার দিনের মাথায় পিতার হাতে মাতা খুন এবং খুনের মামলায় আসামি হয়ে পিতা পলাতক থাকায় অসহায় শিশুর ঠিকানা হয়েছিল কুমুদিনী হাসপাতালের শিশু বিভাগে। হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সগণ শিশুটিকে আদর আর মমতা দিয়ে লালন পালন করে নাম রেখেছিল ‘রোদেলা’।
আইনি প্রক্রিয়ায় ৩৫ দিন পর প্রশাসনের সহযোগিতায় অবশেষে কুমুদিনী হাসপাতালের সেই ফুটফুটে শিশু কন্যার ঠাঁই হলো মামা-মামির ঘরে। এখন থেকে মামা মামীই তার বাবা-মা। শিশুটিকে হস্তান্তরের সময় এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। রবিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় শিশু কল্যাণ বোর্ডের সদস্যগণ কুমুদিনী হাসপাতালে এসে শিশু কন্যাকে বৈধ অভিভাবক হিসেবে মামা খন্দকার আশরাদুল হক এবং মামি সাবিহা ইসলামের হাতে তুলে দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ মার্চ দুপুরে কুমুদিনী হাসপাতালে টাঙ্গাইল জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার খন্দকার রেদোয়ানা ইসলাম ইলুকে তার স্বামী দেলোয়ার রহমান মিজান বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার পর পালিয়ে যান। তখন থেকেই বাবা-মা ছাড়া অসহায় ফুটফুটে শিশু কন্যার আশ্রয় হয় কুমুদিনী হাসপাতাল।
শিশুটির লালন-পালন নিয়ে গত ১ এপ্রিল টাঙ্গাইল জেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। শিশুটির দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে জেলা প্রশাসক ডক্টর মো. আতাউল গনির সভাপতিত্বে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
অন্যদিকে, মামলার বাদি ও কালচারাল অফিসার খন্দকার রেদোয়ানা ইসলাম ইলুর ভাই খন্দকার আশরাদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকেই তার বোনের উপর স্বামী মিজান অমানবিক অত্যাচার-নির্যাতন করছিল। মিজান সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি টাঙ্গাইল থেকে সম্প্রতি ভোলা জেলায় বদলি হয়ে যান।
গত ২২ মার্চ প্রসব ব্যাথা নিয়ে তার বোন খন্দকার রেদোয়ানা ইসলাম ইলু কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি হন।ওইদিনই কন্যা শিশুর জন্ম হয়। তার বোনের ছুটি হলেও শিশু কন্যা অসুস্থ্য থাকায় কেবিন ভাড়া নিয়ে তিনি থেকে যান।
গত ২৭ মার্চ মিজান কুমুদিনী হাসপাতালে শিশু কন্যাকে দেখতে আসেন। মিজানকে ওয়ার্ডে রেখে তার মামি খোদেজা বেগম শিশু কন্যাকে দুধ খাওয়ানের জন্য তিন তলায় যান। ফিরে এসে দেখেন রুমের দরজায় তালা।
ঘটনাটি কর্তব্যরত নার্স ও চিকিৎসকদের জানালে তারা বিকল্প চাবি এনে দরজা খুলে দেখেন বালিশ চাপা দিয়ে তার বোন ইলুকে হত্যার পর ঘাতক স্বামী মিজান পালিয়েছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, তার বোনকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে। এ বিষয়ে মির্জাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। খুনের পর থেকেই দেলোয়ার রহমান মিজান পলাতক রয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মির্জাপুর থানার এসআই মো. শাজাহান মিয়া জানান, মামলার পর থেকে একমাত্র আসামি দেলোয়ার রহমান মিজানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তাকে গ্রেপ্তারে বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পোড়াবাড়ি ইউনিয়নের বানিয়াবাড়ী এলাকায় ছেলের নামে জমি লিখে না দেয়ায় বাবা-মাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।
ছেলের এমন অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ছেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে টাঙ্গাইল সদর ফাঁড়ি পুলিশের কাছে গিয়ে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
এ ব্যাপারে অসহায় বৃদ্ধা বাবা মোহাম্মদ আলী পল্টু জানান, তার স্ত্রী রুমিছা বেগমের নামে বাড়ির সাড়ে ৯ শতাংশ জমি রয়েছে। সেই জমি ছেলে শুকুর আলী তার নামে লিখে দেয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে তাদের চাপ প্রয়োগ করে আসছে। প্রতিনিয়তই শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে।
তিনি জানান, এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (১৯ এপ্রিল) আবারও জায়গা লিখে দিতে বলে ছেলে শুকুর আলী । তার কথায় রাজি না হওয়ায় ছেলে, ছেলের বউ, নাতি, ছেলের শ্যালকসহ কয়েকজন মিলে মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী রুমিছা বেগমকে মারধর করে।
এ সময় মোহাম্মদ আলীর আরেক ছেলে ও নাতিরা এগিয়ে এলে তাদেরও মারধর করা হয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। এতে আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের।
মোহাম্মদ আলী পল্টুর আরেক ছেলে ফজল হক বলেন, গায়ের জোরে শুকুর বাবা-মাসহ সবাইকে লোক ভাড়া করে মারধর করেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আলী বলেন, বাবা-মাকে মারধর করার ঘটনাটি ন্যক্কারজনক। ছেলে হয়ে বাবা-মায়ের গায়ে হাত তোলা ঠিক হয়নি। তদন্তসাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
টাঙ্গাইলের কাগমারি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোশারফ হোসেন বলেন, বিষয়টি জানি। তবে শুনেছি তারা সামাজিকভাবে বিষয়টি সমাধান করবেন।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে একটি প্রাইভেটকারসহ ডাকাত দলের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার( ২২ এপ্রিল) রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার কোদালিয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার(২৩ এপ্রিল) তাদের ৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো পটুয়াখালী জেলার মির্জাগজ্ঞ থানার নতুন শ্রীনগর গ্রামের ইলিয়াস হাওলাদারের ছেলে জুয়েল হাওলাদার (২৭), একই জেলা সদরের কালিচন্না গ্রামের চান মিয়ার ছেলে নুর আমিন (২৪) শরীয়পুর জেলার জাকিরা উপজেলার পালেরচর গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে মুরাদ (২৫), বড়গুনা জেলার আমতলী উপজেলার বনইবুনিয়া গ্রামের মাজেদ মৃধার ছেলে নজরুল মৃধা (৩২)।
পুলিশ জানায়, মহাসড়কে প্রাইভেটকার অথবা মাইক্রোবাস নিয়ে নিজেরাই যাত্রী ও চালক সেজে যানবাহনের জন্য অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদের কম টাকা ভাড়ায় গন্তব্যে পৌছে দেয়ার কথা বলে গাড়ীতে উঠাতেন। পরে সুবিধামতো জায়গায় পৌঁছে তাদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে সর্বস্ব লুটে নিতো। অনেক সময় চলন্ত গাড়ী থেকে লাথি মেরে ফেলে দিয়ে পালিয়ে দিতো। কোন কোন ক্ষেত্রে অনেক যাত্রীকে মেরেও ফেলে।
গ্রেপ্তারকৃতরা মহাসড়কের বাইপাইল-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল এবং গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস থেকে মিরের বাজারসহ আশপাশের এলাকায় অপরাধ সংগঠিত করতো বলে মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিজাউল হক জানিয়েছেন।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে ফের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজির ৭৬ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার(২২ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার হাদিরা ইউনিয়নের চাতুটিয়া মধ্যপাড়ার লাল মিয়ার বাড়ি থেকে চালের বস্তা গুলো উদ্ধার করে উপজেলা প্রশাসন। গোপালপুর থানার অফিসার-ইন-চার্জ(ওসি) মোশাররফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ মল্লিক বলেন, দুইজন ব্যক্তি ১০ টাকা কেজি দরের ৩০ কেজি বস্তার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল ক্রয় করে লাল মিয়ার বাড়িতে মজুদ করে রাখেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ৭৬ বস্তা চাল জব্দ করা হয়।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে লাল মিয়াসহ বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা আবদুল্লাহ ইবনে হুসাইন বাদী হয়ে গোপালপুর থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করেছেন।
প্রকাশ,এর আগে মঙ্গলবার(২০ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার আলমনগর মধ্যপাড়ায় অভিযান চালিয়ে ৬০ বস্তা খাদ্য বান্ধব চাল জব্দ করা হয়।
জেলা প্রতিনিধি
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের পাঁচজন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার হাতিবান্ধা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। উভয়পক্ষ সখীপুর থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগও করেছেন।
জানা যায়, হাতিবান্ধা গ্রামের আবদুল মালেক (৪০), আবদুল আজিজ (৪৫), আবদুল আলীম (৪২) এবং বড়ভাই আবদুল হাকীমের (৫৫) মধ্যে জমির ভাগ-ভাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ চলছিল। বৃহস্পতিবার ভোরে মাত্র ১০ শতাংশ জমি নিয়ে ওই দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষের সময় দা’-শাবলের আঘাতে বড়ভাই আবদুল হাকীম, তার স্ত্রী মালেকা বেগম ও মেয়ে মাহমুদা আহত হন।
অন্যদিকে, ওই সংঘর্ষে অপরপক্ষের আবদুল আজিজ ও আবদুল আলীম আহত হয়ে হাসপতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে আবদুল আজিজের বাম হাত ভেঙে গেছে।
এ ঘটনায় আবদুল হাকীমের মেয়ে মাজেদা আক্তার অপরপক্ষের আবদুল আজিজের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার বাদী হয়ে সখীপুর থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
সখীপুর থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওমর ফারুক বলেন, মূলত পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগ নিয়ে ভাইদের মধ্যে বিরোধ।
আমরা দুই পক্ষেরই অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বালু মহালে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) তারিন মসরুরের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টে হামলা চালিয়েছে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা। হামলাকারীরা এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নাগরপুর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা তারিন মসরুরকে শারীরিক ভাবেও লাঞ্ছিত করে। বৃহস্পতিবার(২২ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার দপ্তিয়র ইউয়িনের বাগ কাটারী বালু মহালে এ ঘটনা ঘটে।
পরে এই ঘটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)ও র্যাব-১২ কে অবহিত করা হয়। টাঙ্গাইল র্যাব-১২ এর ডিএডি মো.আক্তারুজ্জামানের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল ও নাগরপুর থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌছে ভূমি কর্মকর্তাকে উদ্ধার ও হামলাকরী সেনা সদস্য শরিফ উদ্দিন সহ ২ জন কে আটক করে।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) তারিন মসরুর জানান, উপজেলার বাগ কাটারী যমুনার শাখা নদীতে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এক শ্রেণীর অবৈধ বালু ব্যবসায়ী ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছিল। এমন সংবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিন ঘটনাস্থলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় অবৈধ বালু উত্তোলনের দায়ে জাহাঙ্গীর ও উজ্জ্বল নামে দুই অবৈধ বালু ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। এ খবরে ক্ষিপ্ত হয়ে সেনা সদস্য শরীফ উদ্দিন দল বল নিয়ে মোবাইল কোর্টে হামলা করে তাকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত ও আটককৃতদের ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
সেনাসদস্য শরিফ উদ্দিন (আইডি নং-১৩০৫৭২)কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত। তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায়। সে বর্তমানে দুই মাসের ছুটিতে রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত-ই-জাহান সন্ধ্যায় তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানান, হামলাকারী সেনা সদস্য শরিফউদ্দিনকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। শুক্রবার(২৩ এপ্রিল) তাকে ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্টে হস্তান্তর করা হবে। পরে সেনা আইনে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান ইউএনও সিফাত-ই-জাহান।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে করোনার মধ্যে সরকারি বিধি নিষেধ উপক্ষো করে বিএন কোচিং সেন্টার খোলা রাখায় মালিককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। বৃহস্পতিবার(২২ এপ্রিল) সকালে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) জুবায়ের হোসেন এ জরিমানা করেন।
জানা যায়, সদরের কলেজ রোডস্থ ফারুক ভিলার নীচতলায় অবস্থিত বিএন কোচিং সেন্টারে নিয়মিত ছাত্র-ছাত্রীদের কোচিং করানো হয়। সকালে সেখানে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সত্যতা পায় ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক। সেন্টারের মালিক উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের লতিফপুর গ্রামের নাজির আহমেদকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
একই দিন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনা বৃদ্ধির লক্ষে সদরে মাইকিংও করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়েছেন এসিল্যান্ড জুবায়ের হোসেন।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে ধানক্ষেতে সেচের পানি আগে দেয়াকে কেন্দ্র করে হযরত আলী নামের এক বৃদ্ধ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার(২১ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার মঠবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওয়াজেদ আলী নামের আরেক বৃদ্ধকে আহত অবস্থায় আটক করেছে ধনবাড়ী থানা পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান , স্থানীয় সেচ পাম্প থেকে নিজ নিজ জমিতে কে আগে পানি দেবে এই নিয়ে প্রতিবেশী ওয়াজেদ আলীর সঙ্গে হযরত আলীর কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে তা মারামারিতে রূপ নেয়। পরে ওয়াজেদ আলীর উপুর্যুপরি কিল,ঘুষি ও লাথির আঘাতে হযরত আলী মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ অভিযুক্ত ওয়াজেদ আলীকে আটক করে। ওয়াজেদ আলী আহত হওয়ায় পুলিশ পাহারায় তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে ধনবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক মাজাহারুল ইসলাম জানান, সেচ পাম্প থেকে কে আগে জমিতে পানি দেবে এই নিয়ে ওয়াজেদ আলীর সঙ্গে হযরত আলীর কথা কাটাকাটি থেকে পর্যায়ে তা মারামারিতে রূপ নেয়। পরে ওয়াজেদ আলীর উপুর্যুপরি কিল,ঘুষি ও লাথির আঘাতে হযরত আলী মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। নিহতের মরদেহ বৃহস্পতিবার( ২২ এপ্রিল) ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।