/ হোম / অপরাধ
টাঙ্গাইলে বিড়িতে নকল ব্যান্ডরোল লাগানোয় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে বিড়িতে নকল ব্যান্ডরোল লাগানোয় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ভূক্তা গ্রামে বৃহস্পতিবার(১২ আগস্ট) ভোরে অভিযান চালিয়ে নকল ব্যান্ডরোল লাগানো ১৩ হাজার ৯০ প্যাকেট মিষ্টি বিড়ি ও মোহিনী বিড়ি সহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গ্রেপ্তারকৃতদের নামে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন- কালিহাতী উপজেলার সহদেবপুর ইউনিয়নের ভূক্তা গ্রামের মৃত আব্দুল হালিম বেপারীর ছেলে মো. তোফাজ্জল হোসেন(৩৫) ও একই গ্রামের মো. খোরশেদ আলমের ছেলে শিপু হোসেন(৩০)।

র‌্যাব-১২ জানায়, সিপিসি-৩ টাঙ্গাইলের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার এএসপি মো. এরশাদুর রহমানের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি চৌকশ দল গোপনে খবর পেয়ে কালিহাতীর ভূক্তা গ্রামে অভিযান চালায়। অভিযানকালে ১৩ হাজার ৯০ প্যাকেট মিষ্টি ও মোহিনী বিড়িতে নকল ব্যান্ডরোল লাগানো অবস্থায় জব্দ করা হয়(যার মূল্য প্রায় দুই লাখ ৩৫ হাজার টাকা)। বিড়ির প্যাকেটে নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করার অভিযোগে উল্লেখিত ব্যক্তিদ্বয়কে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন যাবত বিড়িতে নকল ব্যান্ডরোল লাগিয়ে বিভিন্ন দোকানে সরবরাহ করছিল। তাদের বিরুদ্ধে কালিহাতী থানায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ক (ক)/২৫ক(খ) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১২. অগাস্ট ২০২১ ০৬:৫৮:পিএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে চোলাই মদ সহ দু’ব্যক্তি গ্রেপ্তার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে চোলাই মদ সহ দু’ব্যক্তি গ্রেপ্তার

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার রামপুর গ্রাম থেকে বুধবার(১১ আগস্ট) ভোরে অভিযান চালিয়ে ৫০ লিটার চোলাই মদ সহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন- রামপুর গ্রামের মোতালেব মিয়ার ছেলে মিজানুর রহমান(৩০) ও একই এলাকার মিন্টু মিয়ার ছেলে সুজন বাবু(২৫)।

র‌্যাব-১২ জানায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সিপিসি-৩ টাঙ্গাইলের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার এএসপি মো. এরশাদুর রহমানের নেতৃত্বে একদল র‌্যাব রামপুর ব্রিজপাড়ে পাকা রাস্তার পাশে অভিযান চালায়। এ সময় ৫০ লিটার চোলাই মদ সহ উল্লেখিত দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব-১২ আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা অবৈধভাবে দেশীয় চোলাই মদ সংগ্রহ করে বিক্রি করছিল। গ্রেপ্তারকৃতদের নামে কালিহাতী থানায় ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ (১) এর ২৪(খ) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১২. অগাস্ট ২০২১ ০১:৩৭:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে একদিনে পৃথক স্থানে চার জনের মরদেহ উদ্ধার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে একদিনে পৃথক স্থানে চার জনের মরদেহ উদ্ধার

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল সদর, সখীপুর ও নাগরপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মঙ্গলবার(১০ আগস্ট) এক শিশু সহ চার জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্ব স্ব স্থানীয়রা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া সরকারি সা’দত কলেজের অফিস সহায়ক আমিনুল ইসলাম(৩৪) ফাঁসিতে ঝুঁলে আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার সকালে কলেজের টিনসেড ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি পাশের গড়াসিন গ্রামের বাসিন্দা।

নাগরপুর উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নের বাড়িগ্রামের মৃত কাদেরের ছেলে মিয়া চাঁন (৬৫) সেচ পাম্প চালাতে গিয়ে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন।

এছাড়া উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নের লক্ষীদিয়া এলাকায় যমুনার শাখা নদী নোয়াই থেকে মধ্য বয়সী এক অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করেছে।

অপরদিকে, সখীপুর উপজেলার কালিদাস গ্রামের নমপাড়ায় মঙ্গলবার(১০ আগস্ট) সকালে ঘরের পেছনে খেলতে গিয়ে বিদ্যুতের ছেঁড়া তারে জড়িয়ে স্মৃতি রাণী সরকার(৭) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শিশুটি ওই এলাকার রতন কুমার সরকারের মেয়ে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১১. অগাস্ট ২০২১ ০২:২৫:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে মোবাইল ফোনের বাক্সের সূত্রে ধর্ষণ ও হত্যা রহস্য উদঘাটন - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে মোবাইল ফোনের বাক্সের সূত্রে ধর্ষণ ও হত্যা রহস্য উদঘাটন

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে মোবাইল ফোনের পরিত্যক্ত একটি বাক্সের সূত্র ধরে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন(পিবিআই)। রোববার(৮ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইল পিবিআই কার্যালয়ে জণাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিরাজ আমিন ভূঞাপুরে অজ্ঞাত যুবতীর পরিচয় উদ্ধার ও মামলায় জড়িত চার ব্যক্তির গ্রেপ্তার সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কে বীরভরুয়া নামকস্থান থেকে গত ৩ আগস্ট এক অজ্ঞাত যুবতীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিচয় না পেয়ে মরদেহটি বেওয়ারিশ হিসেবে স্থানীয় ছাব্বিশা গোরস্থানে দাফন করা হয়। ঘটনার গুরুত্ব অনুধাবন করে টাঙ্গাইলের পিবিআই স্বপ্রণোদিত হয়ে গত ৫ আগস্ট মামলাটির দায়িত্ব নেয়। ওইদিনই পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান আনসারীকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

পুলিশ সুপার জানান, পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান আনসারীর নেতৃত্ব পিবিআইয়ের একটি চৌকশ টিম গঠন করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেন। বিভিন্ন সোর্স ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ধনবাড়ী উপজেলার বলিভদ্র ইউনিয়নের ইসপিনজারপুর গ্রামে মৃত মজিবর রহমানের ছেলে মো. মিজানুর রহমানের ভাড়া বাড়িতে যোগাযোগ করেন।

তদন্ত টিম মো. মিজানুরকে কৌশলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদকালে তার ঘরে পড়ে থাকা মোবাইল ফোনের পরিত্যক্ত একটি বাক্স কুড়িয়ে পায়। বাক্সটিতে দুটি মোবাইল ফোনের ভাঙা অংশ ছিল। পরে ওই বাক্সের গায়ে লেখা আইএমই নম্বরের সূত্র ধরে অজ্ঞাত যুবতীর বাবা গোপালপুর উপজেলার জয়নগর গ্রামের মো. খোকন মন্ডলের সন্ধান পান। ছবি ও পড়নের কাপড় দেখে মো. খোকন মন্ডল অজ্ঞাত ওই যুবতী তার মেয়ে খোদেজা খাতুন বলে শনাক্ত করেন।

মো. খোকন মন্ডল পুলিশকে জানান, তার মেয়ে খোদেজা খাতুন গত ২ আগস্ট তার নানিবাড়ি একই উপজেলার মনতলা থেকে বাড়ি আসার পথে নিখোঁজ হয়।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিরাজ আমিন জানান, অজ্ঞাত যুবতীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তদন্ত কাজ দ্রুত এগুতে থাকে। পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান আনসারীর তদন্ত টিম তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে সোর্সের মাধ্যমে এসএসসি পরীক্ষার্থী খোদেজা খাতুনকে ধর্ষণ ও হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ঘাতক প্রেমিক সহ চার যুবককে গ্রেপ্তার করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, গোপালপুর উপজেলার ভেঙ্গুলা গ্রামের স্বর্গীয় নগেন চন্দ্র দাসের ছেলে ঘাতক প্রেমিক কৃষ্ণ চন্দ্র দাস ওরফে সানি আহাম্মেদ(২৮), ধনবাড়ী উপজেলার ইসপিনজারপুর গ্রামের মো. মোশারফ হোসেনের ছেলে সৌরভ আহাম্মেদ হৃদয়(২৩), একই উপজেলার কেরামজানী গ্রামের মো. গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মো. মেহেদী হাসান টিটু(২৮) এবং একই উপজেলার ইসপিনজারপুর গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে মো. মিজানুর রহমান(৩৭)। গ্রেপ্তারকৃতদের রোববার দুপুরে ৩ দিনের করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত কৃষ্ণ চন্দ্র দাস ওরফে সানি আহাম্মেদ পুলিশকে জানায়, পেশায় তিনি একজন নরসুন্দর(নাপিত)। মোবাইল ফোনে মিস কলের মাধ্যমে খোদেজা খাতুনের সাথে তার পরিচয় হয়। তিনি মুসলিম নাম সানি আহাম্মেদ ধারণ করে খোদেজার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন।

পরে দেখা করার কথা বলে ডেকে এনে তার বন্ধু সৌরভের মোটরসাইকেলে ধনবাড়ী উপজেলার ইসপিনজারপুর গ্রামে অপর বন্ধু মো. মিজানুর রহমানের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে খোদেজা খাতুনকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে কৃষ্ণ চন্দ্র দাস একাধিকবার ধর্ষণ করেন।

চিৎকার-চেঁচামেচিঁ করায় ঘরে থাকা গামছা গলায় পেঁচিয়ে তারা চার বন্ধু মিলে খোদেজাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে লাশটি বস্তাবন্দি করে একটি ভাড়াকৃত সিএনজি চালিত অটোরিকশায় উঠিয়ে ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কে বীরভরুয়া নামকস্থানে ফেলে রাখে। এরআগে তারা খোদেজার ওড়না ও ভ্যানিটিব্যাগ যমুনা নদীতে ফেলে দেয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৯. অগাস্ট ২০২১ ০৬:৫১:পিএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে মাদ্রাসার জমির বিরোধে দাঙ্গা-হাঙ্গামার আশঙ্কা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে মাদ্রাসার জমির বিরোধে দাঙ্গা-হাঙ্গামার আশঙ্কা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটি ইউনিয়নে একটি মাদ্রাসা নিয়ে বিরোধের জের ধরে তাতশ্রী জামে মসজিদ ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। ৩০০ পরিবারের সমাজ থেকে ৫০টি পরিবার আলাদা হওয়ায় ওই সমাজে দুই পক্ষের বিরোধ প্রকাশ্যে এসে দাঙ্গা-হাঙ্গামার আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে।

জানা যায়, বিগত ১৯৯৬ সালের ১৬ জুন তাতশ্রী মৌজার ১৮১ ডিপি খতিয়ানের (সাবেক খতিয়ান ১৩৯) ৪৬৮ হাল দাগের (সাবেক দাগ ২৯৭) ২৪ শতাংশ ভূমি স্থানীয় পাঁচ ব্যক্তি তাতশ্রী দুখী হাজী এবতেদায়ী মাদ্রাসার নামে ওয়াক্ফ দলিলমূলে দান করেন।

২০০৫ সালে মাদ্রাসার আয় বাড়ানোর জন্য পাঁচ কক্ষ বিশিষ্ট একতলা মার্কেট নির্মাণ করা হয়। মার্কেটের কক্ষগুলোর মধ্যে স্থানীয় আব্দুল কাইয়ুম দুইটি ও ওসমান গনি একটি দোকান ভাড়া নেন। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দোকান তিনটি যথারীতি ভাড়া পরিশোধ করে পরিচালনা করা হয়। পরে কৌশলে দোকানের ভাড়া দেওয়া বন্ধ করে দিয়ে ওসমান গনি ও তার দুই ভাই বাদী হয়ে দোকান ঘরের মালিকানা দাবি করে টাঙ্গাইলের সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা(নং-৮/২০২০খ্রি.) দায়ের করেন।

মামলার নোটিশ পাওয়ার পর মাদ্রাসা ও মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে একাধিকবার বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করা হয়। সর্বশেষ গত ৩ এপ্রিল(শুক্রবার) বাদ জুমআ তাতশ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে লাউহাটি ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম ফিরোজের সভাপতিত্বে এক গ্রাম সালিশের আয়োজন করা হয়। সালিশে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন। সালিশে মাদ্রাসার দোকান ওসমান গনি মাদ্রাসা কমিটির কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। সালিশের সিদ্ধান্ত অমান্য করে ওসমান গনির দখলে থাকা দোকানটি তালাবদ্ধ করে রেখেছেন।

তাতশ্রী দুখী হাজী এবতেদায়ী মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি মো. মনির উদ্দিন, স্থানীয় সাহাদাৎ হোসেন খান, তোফায়েল আহাম্মেদ, নুরনবী আলামিন, আবুল হাসেম মিয়া সহ গ্রামের অনেকেই জানান, তাতশ্রী জামে মসজিদের আওতাভুক্ত সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের দান-অনুদানে দুখী হাজী এবতেদায়ী মাদ্রাসার মার্কেটটি নির্মাণ করা হয়েছে। তাছাড়া দুখী হাজী এবতেদায়ী মাদ্রাসার নামে ২৪ শতাংশ ভূমির বিএস রেকর্ড রয়েছে। ভূমির খাজনা-খারিজ ও ডিসিআর মাদ্রাসর সাধারণ সম্পাদকের নামে রয়েছে।

মামলার অন্যতম বাদী ইয়াছিন আলী জানান, পৈত্রিকসূত্রে তারা মাদ্রাসার ২৪ শতাংশের মধ্যে ১২ শতাংশের মালিক। তার চাচা মরহুম খোরশেদ আলী জীবদ্দশায় তার বাবা আহাদ আলীর অংশ সহ মাদ্রাসায় ওয়াক্ফ করে গেছেন। তাই তারা ভূমির স্বত্ত্ব দাবি করে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

লাউহাটি ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম ফিরোজ জানান, তাতশ্রী দুখী হাজী মাদ্রাসার ভূমি যথারীতি ওয়াক্ফকৃত। গ্রাম্য সালিশে মাদ্রাসার মার্কেটের দোকান মাদ্রাসা কমিটির কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে মাদ্রাসাটি ‘দুখী হাজী’র নামে প্রতিষ্ঠা করায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি অসুস্থ থাকায় বিষয়টি সমাধান হয়নি, দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে বিষয়টির মিমাংসা করা হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৫. অগাস্ট ২০২১ ০৩:৫৯:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে হেরোইন সহ চার মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে হেরোইন সহ চার মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার চান্দশী পশ্চিমপাড়ায় মঙ্গলবার(৩ আগস্ট) সকালে অভিযান চালিয়ে ২৯ গ্রাম হেরোইনসহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১২। মঙ্গলবার র‌্যাব-১২, সিপিসি-৩ টাঙ্গাইলের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ মুশফিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন- ঘাটাইল উপজেলার চান্দশী গ্রামের ফজর আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম(৩০), আজহার আলীর ছেলে হারুন(৩৮), একই উপজেলার পুরুলি মাইজবাড়ী গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে সজিব(২২) এবং টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বেড়াবুচনা(সবুজবাগ) গ্রামের নেওয়াজ আলীর ছেলে ফরিদ হোসেন(৪০)।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ২৯ গ্রাম হেরোইন(যার মূল্য প্রায় দুই লাখ ৯০ হাজার টাকা) ও নগদ ৭০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।

র‌্যাব কমান্ডার জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন যাবৎ হেরোইন সংগ্রহ করে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করছিল। গোপনে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ঘাটাইল থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. অগাস্ট ২০২১ ০৩:০১:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে পাচারকালে ট্রাক বোঝাই সার সহ দুই কালোবাজারী গ্রেপ্তার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে পাচারকালে ট্রাক বোঝাই সার সহ দুই কালোবাজারী গ্রেপ্তার

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কে কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা রেল ক্রসিংয়ের পাশে মঙ্গলবার(৩ আগস্ট) সকালে অভিযান চালিয়ে ৩০০ বস্তা সরকারি সার সহ একটি ট্রাক জব্দ করেছে র‌্যাব-১২। এ সময় মো. সোহাগ মিয়া(৩০) ও মো. মঞ্জিল ইসলাম(২০) নামে দুই কলোবাজারীকে নগদ দুই লাখ টাকা সহ র‌্যাব গ্রেপ্তার করে। র‌্যাব-১২’র সিপিসি-৩ টাঙ্গাইলের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ মুশফিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃত মো. সোহাগ মিয়া জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার কান্দারপাড়া গ্রামের ছলিম উদ্দিনের ছেলে ও মো. মঞ্জিল ইসলাম টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার কাইতকাই গ্রামের মো. মোতালেবের ছেলে।

র‌্যাব কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ মুশফিকুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এলেঙ্গা রেল ক্রসিংয়ের পাশের সড়কে অভিযান চালানো হয়।এ সময় ময়মনসিংহগামী একটি ট্রাক থেকে অবৈধ ২০০ বস্তা পটাশ ও ১০০ বস্তা ডিএপি সরকারি সার জব্দ এবং উল্লেখিত দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা অধিক মুনাফার আশায় সরকারি সার সংগ্রহ করে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রির উদ্দেশ্যে ময়মনসিংহ নিয়ে যাচ্ছিল। এ বিষয়ে কালিহাতী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. অগাস্ট ২০২১ ০৩:০৯:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে অজ্ঞাত যুবতীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে অজ্ঞাত যুবতীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর-তারাকান্দি আঞ্চলিক সড়কে পাশে অর্জুণা ইউনিয়নের ভরুয়া নামক স্থানে মঙ্গলবার(৩ আগস্ট) সকালে জলাশয় থেকে সাদা প্লাস্টিকের বস্তাবন্দি অজ্ঞাত(২৫) এক যুবতীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এলাকাবাসী জানায়, ভূঞাপুর-তারাকান্দি আঞ্চলিক সড়কে ভরুয়া নামক স্থানে জলাশয় থেকে মঙ্গলবার সকালে প্লাস্টিকের বস্তার ভেতর লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি ) আব্দুল ওহাব মিয়া জানান, বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার হওয়া প্রায় ২৫ বছর বয়সী ওই যুবতীর পরিচয় পাওয়া যায়নি।

ধারণা করা হচ্ছে- রাতের কোন এক সময় কেউ তাকে হত্যার পর লাশ সড়কের পাশে ফেলে রেখে গেছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. অগাস্ট ২০২১ ০৪:০৩:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে সিরিঞ্জে করোনা ভ্যাকসিন রেখে শুধু সূচ পুশ করায় বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে সিরিঞ্জে করোনা ভ্যাকসিন রেখে শুধু সূচ পুশ করায় বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ

একতার কন্ঠঃ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিরিঞ্জে করোনার ভ্যাকসিন রেখে সূচ পুশ করার ঘটনায় সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক সাজেদা আফরিনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন খান মঙ্গলবার(৩ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, টাঙ্গাইলের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. শামীম, জেলা ইপিআই কর্মকর্তা মো. সোলাইমান ও দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শামিম সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন পেশ করে। তদন্ত প্রতিবেদনে সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক সাজেদা আফরিনের নামে আনিত অভিযোগের সত্যতা
নিশ্চিত হয়ে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে তিনি মঙ্গলবার সকালে সুপারিশ করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

প্রকাশ, রোববার(১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২নং বুথে টিকা দিচ্ছিলেন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক সাজেদা আফরিন। এ সময় সাজেদা আফরিন টিকা গ্রহণকারীদের শরীরে ভ্যাকসিন প্রবেশ না করিয়ে শুধু সূচ পুশ করে সিরিঞ্জ ফেলে দিচ্ছিলেন। বিষয়টি স্থানীয় এক যুবকের নজরে আসে। তিনি ঘটনাটি আবাসিক চিকিৎসক ডা. শামিমকে জানালে তিনি পরিত্যক্ত সিরিঞ্জগুলো বাছাই করে ২০টি সিরিঞ্জের ভেতর সম্পূর্ণ ভ্যাকসিনের উপস্থিতি দেখতে পান। সূচ পুশ করা হলেও শরীরে ভ্যাকসিন প্রবেশ করানো হয়নি বলে তিনি নিশ্চিত হন।

এ ঘটনায় সোমবার(২ আগস্ট) তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. অগাস্ট ২০২১ ০৩:১৩:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে বিষের বোতল হাতে তিনদিন ধরে স্বামীর বাড়ির বারান্দায় স্ত্রী - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে বিষের বোতল হাতে তিনদিন ধরে স্বামীর বাড়ির বারান্দায় স্ত্রী

একতার কণ্ঠঃ  টাঙ্গাইলের সখীপুরে সুলতানা খাতুন (২৪) নামে এক নারী স্ত্রীর অধিকার আদায়ে বিষের বোতল আর কাবিননামা হাতে নিয়ে গত তিনদিন তিনরাত ধরে স্বামীর বাড়ির বারান্দায় বসে আছেন।

গত শনিবার (৩১ জুলাই) থেকে উপজেলার দাড়িয়াপুর দক্ষিণপাড়া ফাইলা পাগলার মাজার এলাকায় অধিকার আদায়ের জন্য এ অনশন চলছে তার।
স্ত্রীর অধিকার না পেলে তিনি সেখানেই বিষপানে আত্মহত্যা করবেন বলে জানান। তিনি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা সদরের আজগর আলীর মেয়ে। খবর শুনে দলবেঁধে আশপাশের লোকজন ওই নারীকে এক নজর দেখতে ভিড় করছেন।

জানা যায়, সুলতানা খাতুন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা সদরের আজগর আলীর মেয়ে। গাজীপুর চৌরাস্তায় সেবা এনজিও নামে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুবাদে উপজেলার দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের দাড়িয়াপুর ফাইলা পাগলার মাজার এলাকার মৃত মোজাফ্ফর মিয়ার ছেলে আবদুর রহিম মিয়ার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

ওই এনজিওতে সুলতানা ছিলেন মাঠকর্মী আর রহিম ছিলেন সহকারী ম্যানেজার। ২০১৭ সালের ৩ আগস্ট ৭ লাখ টাকা দেনমোহরে তারা বিয়ে করেন। সেই থেকে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে গাজীপুর চৌরাস্তার ভাওয়াল কলেজ সংলগ্ন আক্কাছ আলীর বাসায় ভাড়া থাকতেন। কিছুদিন আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রহিম বাসা থেকে চলে যান এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের নম্বর পাল্টিয়ে গ্রামের বাড়ি দাড়িয়াপুরে চলে আসেন। পরবর্তীতে ওই নারী রহিমের সঙ্গে নানাভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি তাকে স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করেন। একপর্যায়ে ঠিকানা মোতাবেক ৩১ জুলাই শনিবার স্ত্রীর অধিকার আদায়ে কাবিননামা এবং বিষের বোতল হাতে নিয়ে রহিমের বাড়ি চলে আসেন সুলতানা। তার আসার খবর শুনে রহিম ও তার পরিবারের লোকজন বাড়িঘরে তালা ঝুলিয়ে অন্যত্র চলে যান।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আবদুর রহিমের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ওই নারীকে জোরপূর্বক বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনসার আলী আসিফ জানান, বিষয়টি মীমাংসার লক্ষ্যে বুধবার (৪ আগস্ট) স্বামী রহিমসহ উভয়পক্ষের লোকজনকে ডাকা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৩. অগাস্ট ২০২১ ০৫:৩২:এএম ৩ বছর আগে
নাগরপুরে ডাকাত আতঙ্কে গ্রামের মসজিদে মসজিদে মাইকিং - Ekotar Kantho

নাগরপুরে ডাকাত আতঙ্কে গ্রামের মসজিদে মসজিদে মাইকিং

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নে ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় রোববার(১ আগস্ট) দিনগত রাত নির্ঘুম কাটায় এলাকাবাসী।

স্থানীয় বাড়ীগ্রামে ডাকাত পড়েছে বলে এক ইউপি সদস্য প্রথমে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে এলাকাবাসীকে সতর্ক করেন। এ খবরটি মুহুর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সেল ফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়লে উপজেলার মসজিদে মসজিদে সতর্কতামূলক মাইকিং করা হয়। এতে জনমনে ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ডাকাত আতঙ্কে জান-মাল রক্ষায় এলাকাবাসী রাত জেগে পাহারা দেয়। রাতে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় জনগণের সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। খবর পেয়ে নাগরপুর থানা পুলিশ বাড়ীগ্রাম সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টহল জোরদার করে।

মামুদনগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন জানান, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ থেকে ৫-৬ জন অপরিচিত লোক বাড়ীগ্রামের ত্রি-রাস্তার মোড়ে আসেন। সেখানে তারা চা পানের ফাঁকে ফোনে কথা বলতে থাকেন। তাদের ফোনালাপ ও গতিবিধি স্থানীয়দের মাঝে সন্দেহের সৃষ্টি করে। পরে তাদেরকে সেখানে আর দেখতে না পেয়ে তিনি মসজিদে মাইকিংয়ের মাধ্যমে এলাকাবাসীকে সতর্ক করেন।

মামুদনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন জানান, তার ইউনিয়নের বাড়ীগ্রামে ডাকাত পড়েছে এ খবরটি ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রথমে মসজিদের মাইকে ঘোষণা করেন। পর্যায়ক্রমে কলমাইদ, শুনসী, বেলতৈল, মেঘনা, চারাবাগ, পংবাইজোড়া ও বেটুয়াজানী গ্রামের মানুষকে সতর্ক করার জন্য মসজিদে মসজিদে মাইকিং করা হয়। এরপর নাগরপুর সদর সহ পুরো উপজেলা জুড়ে ডাকাতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমনটা প্রচারে মাইকিং করা হয়।

নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ডাকাতের খবরটি নিছক গুজব ছাড়া আর কিছুই নয়। রোববার রাতে খবর পেয়ে ৪-৫টি টিম ভোর ৫টা পর্যন্ত টহলে ছিল। কোথাও কোন ডাতাতির ঘটনা ঘটেনি। এক শ্রেণির মানুষ গুজবটি মাইকিং করে জনগণের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৩. অগাস্ট ২০২১ ০৪:৩৮:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে টিকা রেজিস্ট্রেশন প্রতারণার অভিযোগে এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে টিকা রেজিস্ট্রেশন প্রতারণার অভিযোগে এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে করোনা টিকা নেওয়ার রেজিস্ট্রেশন(নিবন্ধন) করে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সাব্বির হোসেন রুবেল(৩১) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) ভোরে শহরের নগর জালফৈ(ঢাকা রোড) থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র‌্যাব-১২ এর সিপিসি-৩ টাঙ্গাইলের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার কমান্ডার এএসপি মো. এরশাদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত সাব্বির হোসেন রুবেল টাঙ্গাইল শহরের নগরজালফৈ এলাকার সামাদ মিয়ার ছেলে।

র‌্যাব কমান্ডার জানান, চলমান মহামারী করোনার(কোভিড-১৯) টিকা নেওয়ার রেজিস্ট্রেশন(নিবন্ধন) করে দেওয়ার কথা বলে সাব্বির হোসেন রুবেল বিভিন্ন জনের কাছ থেকে প্রতারণা করে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছিল। গোপনে সংবাদ পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে নগর জালফৈ এলাকার আরাফ ফটোস্ট্যাট অ্যান্ড কম্পিউটারের দোকানের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সাব্বির হোসেন রুবেল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে।

র‌্যাব কমান্ডার আরও জানান, তার বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল সদর থানায় ১৮৬০ সালের পেনাল কোড এর ৪১৭/৪২০ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে তাকে সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৩০. জুলাই ২০২১ ০২:০৭:এএম ৩ বছর আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।