/ হোম / অপরাধ
টাঙ্গাইলে চার কোটি টাকা মূল্যের খাস জমি অবৈধ দখলমুক্ত - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে চার কোটি টাকা মূল্যের খাস জমি অবৈধ দখলমুক্ত

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নের লাউজানা মৌজায় ৯০ শতাংশ সরকারি জমি অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়েছে। শুক্রবার(২৫ জুন) সকালে টাঙ্গাইল সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ খায়রুল ইসলাম এর নেতৃত্বে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলা কালে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপূল সংখ্যাক সদস্য উপস্থিত ছিল।

টাঙ্গাইল সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ খায়রুল ইসলাম জানান, পৌর এলাকার সন্নিকটে অবস্থিত লাউজানা মৌজায় ১ নং খাস খতিয়ান ভুক্ত এই ৯০ শতাংশ জমি প্রভাবশালীদের অবৈধ দখল থেকে মুক্ত করা হয়।এই ৯০ শতাংশ, জমির আনুমানিক মুল্য ৪ কোটি টাকা অবৈধ দখল থেকে মুক্ত করার পর সেখানে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণের জন্য নির্মাণ সামগ্রী নেয়া হয়েছে ।

তিনি আরো জানান,  সরকারি জমি অবৈধ দখলমুক্ত করতে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৬. জুন ২০২১ ০৩:২৮:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে পোল্ট্রি ফার্মের শিয়াল মারা ফাঁদে অজ্ঞাত যুবকের মৃত্যু - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে পোল্ট্রি ফার্মের শিয়াল মারা ফাঁদে অজ্ঞাত যুবকের মৃত্যু

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে পোল্ট্রি ফার্মে শিয়াল মারার বিদ্যুতের ফাঁদে পড়ে অজ্ঞাত এক যুবকের (৩২) মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার(২৪) দিনগত রাতের কোন এক সময়ে উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের ভাতগড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ফার্মের বেড়ায় লাগানো শিয়াল মারার ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম তার ফার্মে কুকুর, শেয়াল ও চুরি রুখতে রাতে চারদিকে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে রাখেন। গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাতেও তিনি একই ভাবে ফার্মের বেড়ার সঙ্গে বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে রাখেন। রাতে কোন এক সময় অজ্ঞাত ওই যুবক ফার্মের বেড়ার স্পর্শে এলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম বলেন, পোল্ট্রি ফার্মের মালিক বেড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে রাখে এটা তার জানা ছিল না। এছাড়া যে যুবক মারা গেছে তাকেও তিনি চেনেনা। মনে হয়  মৃত যুবকটি ওই ফার্মে চুরি করতে এসেছিল।

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) একে সাইদুল হক ভূঁইয়া বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অজ্ঞাত ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অজ্ঞাত এ  লাশের এখনো কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি। লাশ শনাক্তের জন্য পিবিআইয়ের সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৫. জুন ২০২১ ১১:৫১:পিএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের কোটি টাকা নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা উধাও - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের কোটি টাকা নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা উধাও

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে বাসাইল উপজেলার ফুলকী ইউনিয়নে আইসড়া বাজারে ডাচ্-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং এর এজেন্ট গ্রাহকের কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এজেন্টের নাম সারোয়ার হোসেন সবুজ। সে বাসাইল উপজেলার ফুলকী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি।অভিযুক্ত সবুজ ফুলকী ইউনিয়নের আইসড়া গ্রামের মারিফত মিয়ার ছেলে।

এ  ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সকালে গ্রাহকরা তাদের টাকা ফেরতের দাবীতে আইসড়া বাজারে অবস্থিত আইসড়া ডাচ্-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং বুথ ঘেরাও করে মিছিল সমাবেশ করেছে।

জানা যায়, তিন বছর আগে ডাচ্-বাংলা কেন্দ্রীয় ব্যাংক আইসড়া বাজারে এজেন্ট ব্যাংকিং বুথ চালু করে। বাসাইলের ফুলকী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সবুজ এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। বাজারে একটি দালান ভাড়া নিয়ে এজেন্ট ব্যাংকিং শুরু করেন। আইসড়া গ্রাম তাঁত সমৃদ্ধ এবং অনেক মানুষ প্রবাসী হওয়ায় তাদের স্ত্রী এবং তাদের পরিবারকে টার্গেট করেন সবুজ। ব্যাংকিং নীতিমালা উপেক্ষা করে সাধারণ রেটের চেয়ে উচ্চ হারের রেটের প্রলোভন দেখিয়ে ব্যাংকে টাকা জমা রাখতে প্রলুব্ধ করেন। অতি মুনাফার আশায় গ্রামের অনেক মানুষ বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা  এবং আইসড়া বাজারের ব্যবসায়ীরা এজেন্ট ব্যাংকে টাকা জমা রাখেন।

অতি সম্প্রতি জমাকৃত টাকা উত্তোলন করতে গিয়েস গ্রাহকরা দেখেন তাদের জমানো টাকা ব্যাংক হিসেবে নেই। এজেন্ট সবুজের কাছে টাকা বিষয়ে জানতে চাইলে সে বিভিন্ন গ্রাহকে টাকার দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে টালবাহানা  শুরু করেন  এবং গ্রাহকেদের  ঘুরাতে থাকেন। টাকা না পেয়ে গ্রাহকরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেন। তাদের জমানো টাকা পাওয়ার আশায় বাজারে সালিশী বৈঠক বসান। সেখানে সবুজ টাকা ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রতি দেন। হঠাৎ করে গত সাতদিন ধরে সবুজ এজেন্ট  ব্যাংকিং বন্ধ করে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় গ্রাহকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে মিছিল সমাবেশ করেন।

সরেজমিন তথ্য নিয়ে জানা গেছে, গ্রাহক রুম্পা বেগমের ১৪ লাখ টাকা, আফজাল হোসেনের ৯ লাখ টাকা, রাজু আহমেদের ৭ লাখ টাকা, জলি বেগমের পৌঁনে ৪ লাখ টাকা, বাজারের চা বিক্রেতা আবুল হোসেনের ১ লাখ টাকা, ইতি খানের ৪০ হাজার টাকাসহ অসংখ্য গ্রাহকের প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেছে এজেন্ট সবুজ।

ক্ষুব্ধ দোকানদার রাজু বলেন, তিনি পাঁচ লাখ জমা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন। ডাচ্-বাংলা  এজেন্ট ব্যাংকিং এর  টাঙ্গাইল অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা এর পেছনে জড়িত রয়েছে। তা নাহলে সবুজ জমাকৃত কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সাহস পেত না। আত্মসাতের সাথে জড়িতদের বিচার ও টাকা ফেরতের দাবি জানান তিনি।

গ্রাহক ইতি খান অভিযোগ করে বলেন, তিনি বিশ্বাস করে ব্যাংকে টাকা রেখেছেন। সবুজ এমন প্রতারণা করবে বুঝতে পারেননি তিনি। প্রথম যখন তিনি টাকা  জমা রাখতেন  তখন মোবাইলে এসএমএস আসতো। পরবর্তীতে ব্যাংকে টাকা জমা দিলে এসএমএস আসতো না। এ বিষয়ে ব্যাংকে জানালে তারা বলতো সার্ভার বিকল হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্থ আফজাল হোসেন বলেন, বিদেশে থেকে পাঠানো ৯ লাখ টাকা তার মা ও স্ত্রী জমা রেখেছে। উচ্চ হারের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের টাকা জমা রাখতে বাধ্য করেছে। তারাও গ্রামের ছেলে হিসেবে সবুজকে বিশ্বাস করেছে। দেশে এসে টাকা উঠাতে গেলে জানতে পারেন টাকা নিয়ে পালিয়েছে সবুজ।

এ প্রসঙ্গে  ফুলকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, গ্রাহকের টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে গত তিন দিন আগে আইসড়া বাজারের সকল গ্রাহক, ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং পলাতক সবুজের বাবাকে নিয়ে সালিশী বৈঠকে বসা হয়। সবুজের বাবা তার সম্পতি বিক্রি করে গ্রাহকের টাকা পরিশোধের রাজি হন। সকলের উপস্থিতিতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের হিসাবের ভিত্তিতে সবুজের বাবা  টাকা পরিশোধ করবেন বলে  সালিশি বৈঠকে জানান।

বাসাইল উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কামরান খান বিপুল বলেন, সবুজ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি। সে একটি ব্যাংকের এজেন্ট ছিল। বহু গ্রাহকের টাকা নিয়ে পালিয়েছে বলে শুনেছি। এ ঘটনায় তাকে পদ থেকে অব্যহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত  নিয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগ। উপযুক্ত প্রমাণ পেলে, তাকে সংগঠন থেকে বহিস্কার ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

টাঙ্গাইল ডাচ্-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং অফিসের ব্যবস্থাপক আব্দুর রউফ  বলেন, বিষয়টি নিয়ে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ একটি বৈঠক করেছে। স্থানীয় লোকজনকে সাথে নিয়ে গ্রাহকদের টাকা পরিশোধের চেষ্টা করা হচ্ছে।

 

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৫. জুন ২০২১ ০২:০০:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে নতুন করে ১৭৫ জন করোনায় আক্রান্ত, মৃত্যু ১ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে নতুন করে ১৭৫ জন করোনায় আক্রান্ত, মৃত্যু ১

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে বৃহস্পতিবার(২৪ জুন) আরও ১৭৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছে একজন। বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় এই আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়। সংক্রমণ প্রতিরোধে টাঙ্গাইল ও এলেঙ্গা পৌর এলাকায় চলছে কঠোর বিধিনিষেধ।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, জেলায় ৪৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৭৫ জন করোনা পজেটিভ হয়েছেন। আক্রান্তের হার ৩৫ দশমিক ২৮ শতাংশ আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ৮০ জন, কালিহাতীর ২৩, ঘাটাইলের ১৫, মির্জাপুরের ১৪, ভুঞাপুরের ১২, মধুপুর ও দেলদুয়ারের ৯ জন , বাসাইল ও গোপালপুরের ৫ জন এবং সখীপুরের ৩ জন রয়েছেন।

এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ৬ হাজার ৭১৯। এ পর্যন্ত মারা গেছেন মোট ১০৫ জন। আরোগ্য লাভ করেছেন ৪ হাজার ৪৩৮ জন। জেলায় আক্রান্তের হার  গত ১২ দিন ধরে ৩২ শতাংশের ওপরে রয়েছে।

করোনা সংক্রমণ রোধে টাঙ্গাইল ও কালিহাতীর এলেঙ্গা পৌর এলাকায় চলছে সপ্তাহব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধ। বিধিনিষেধ অমান্য করে রাস্তায় নামায় বৃহস্পতিবার(২৪ জুন) দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১১৩ টি  ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা  টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশ আটক করেছে। আটকৃত এই সব অটোরিকশা ও রিকশা টাঙ্গাইল জেলা  স্টেডিয়ামে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া দোকান খোলা রাখা এবং ব্যক্তিগত গাড়ি বের করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হচ্ছে।

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন বলেন, টাঙ্গাইল শহরে লকডাউন বাস্তবায়নে ১৩টি চেকপোস্ট ও ৫টি মোবাইল টিম কাজ করছে। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন আবুল ফজল মো. সাহাব উদ্দিন খান জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সামাজিক দূরত্ব ও সরকারি নির্দেশনা মেনে মাস্ক ব্যবহার করলেই দ্রুত সময়ে মধ্যে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৫. জুন ২০২১ ০১:৪৫:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ৫ দালালকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ৫ দালালকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা

একতার কন্ঠঃ  টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনদের সাথে প্রতারণা ও হয়রানির অভিযোগে ৫ দালালকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার (২১ জুন) দুপুরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খায়রুল ইসলাম অভিযুক্ত ৫ জনকে সাজা প্রদান করেন।

ভ্রাম্যমান আদালত, টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবালিয়া এলাকার মৃত সামাদ আলীর ছেলে শফিকুল ইসলামকে ১৫ দিন, একই এলাকার মৃত মোকছেদ আলীর ছেলে তারেক, কোদালিয়া এলাকার পরেশ চন্দ্রের ছেলে পল্লব চন্দ্র, দেলদুয়ার উপজেলার পরাইখালী গ্রামের মালেক সিকদারের ছেলে রাকিব সিকদার ও কালিহাতী উপজেলার ভূক্তা এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে নাহিদ হাসানকে ৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে।সোমবার (২১ জুন) দুপুরে হাসপাতালের বাইরে অবস্থানকালে তাদের আটক করা হয়।

এ প্রসঙ্গে  সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে দীর্ঘদিন যাবৎ একটি দালাল চক্র দূর-দূরান্ত থেকে আসা সাধারণ রোগী ও স্বজনদের নানাভাবে হয়রানী এবং প্রতারনা করে আসছিল। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় দালাল চক্রের ৫ সদস্যকে আটক করা হয়। পরে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’

সর্বশেষ আপডেটঃ ২২. জুন ২০২১ ০৪:৫৩:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে প্রেমিকের প্রতারণায় কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে প্রেমিকের প্রতারণায় কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া আবেদা খানম গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী শারমীন আক্তার প্রেমিকের প্রতারণার শিকার হয়ে রোববার (২০ জুন) দিনগত রাতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা পথ বেছে নিয়েছেন। তিনি করটিয়া ইউনিয়নের খাগজানা গ্রামের মনছুর আলীর মেয়ে।

পারিবারি সূত্রে জানা যায়, খাগজানা গ্রামের মনছুর আলীর কলেজ পড়ুয়া মেয়ে শারমীন আক্তারের(২০) সাথে একই এলাকার খসরু মিয়ার ছেলে সাইদুল ইসলামের(২৫) দীর্ঘদিন যাবত প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। ওই প্রেমের সম্পর্ক এক পর্যায়ে শারীরিক সম্পর্কে রূপ নেয়। শারমিন আক্তার ইতোপূর্বে প্রেমিক সাইদুলকে একাধিকবার বিয়ের জন্য চাপ দিলে নানা তালবাহানা করতে থাকে। সর্বশেষ রোববার(২০ জুন) বিকালে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সাইদুল তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। উপান্তর না দেখে শারমিন আত্মহননের পথ বেছে নেয়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

শারমীনের মা পারভীন বেগম জানান, তার মেয়ের সাথে সাইদুলের দীর্ঘদিন যাবত প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা দু’জনে স্বামী-স্ত্রীর মতো চলাফেরা করতো। সাইদুল ইসলাম তার মেয়েকে আদালতে হলফ নামার মাধ্যমে বিয়ে করে। কাবিন রেজিস্ট্রি করতে বলা হলে সাইদুল তার পরিবারের চাপে অস্বীকার করে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল লতিফ জানান, ছেলে-মেয়ের সাথে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি এলাকার সবাই জানে। ছেলে বিয়ে করতে অস্বীকার করায় মেয়েটি আত্মহননের পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়।

টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মীর মোশারফ হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২২. জুন ২০২১ ০৩:২৬:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে জুয়ার টাকা পরিশোধ করতে না পেরে আত্মহত্যা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে জুয়ার টাকা পরিশোধ করতে না পেরে আত্মহত্যা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের চর বিহারী গ্রামে জুয়ার টাকা পরিশোধ করতে না পেরে শরীফ(৩৫) নামে এক জুয়ারি বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) তার মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।

এর আগে বুধবার(১৬ জুন) রাতে তিনি বিষপান করায় স্বজনরা তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃত শরীফ ওই গ্রামের উখিলা শেখের ছেলে।

ভূঞাপুরের গাবসারা ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির জানান, শরীফ জুয়া খেলায় আসক্ত ছিলেন। তিনি বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে জুয়া খেলায় অংশ নিতেন। জুয়া খেলার কারণে জুয়ারিদের কাছে প্রায় ৭ লাখ টাকা ঋণ গ্রস্থ হয়ে পড়েন তিনি।

ওই ঋণের টাকা বুধবার রাতেই পাওনাদার জুয়াড়িদেরকে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু টাকা সংগ্রহ করতে না পেরে তিনি বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন।

ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. আব্দুল ওহাব মিয়া জানান, এ ঘটনায় কেউ কোন অভিযোগ করেনি। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৮. জুন ২০২১ ০১:১২:এএম ৩ বছর আগে
ইসলামিক স্কলার আবু ত্ব-হা আদনান ও তার সঙ্গীদের সন্ধানের দাবিতে টাঙ্গাইলে মানববন্ধন - Ekotar Kantho

ইসলামিক স্কলার আবু ত্ব-হা আদনান ও তার সঙ্গীদের সন্ধানের দাবিতে টাঙ্গাইলে মানববন্ধন

একতার কণ্ঠঃ তরুণ ইসলামিক স্কলার আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনানসহ তার তিন সফর সঙ্গীর সন্ধানের দাবিতে টাঙ্গাইলে মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার(১৭ জুন) সকালে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণের সচেতন ছাত্র ও যুব সমাজের ব্যানারে শহীদ মিনারের সামনে উপস্থিত হয়ে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা।এতে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষও অংশগ্রহণ করেন।

এসময় নিখোঁজ তরুণ ইসলামিক স্কলার আবু ত্ব-হা আদনানসহ তার সাথে নিখোঁজ হওয়া তিন সফর সঙ্গীদের অতি দ্রুত সন্ধানের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সহ প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

বক্তারা বলেন, তরুণ ও মেধাবী ইসলামী বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানসহ তার সফরসঙ্গী আব্দুল মুকিত, মোহাম্মদ ফিরোজ ও গাড়িচালক আমির উদ্দিন ফয়েজ নিখোঁজ রয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। পুলিশ চাইলেই সবকিছু সম্ভব হয়। কিন্তু নিখোঁজ আবু ত্ব-হা আদনানদের বেলায় তা হচ্ছে না কেন? এ দেশের নাগরিক হিসেবে নিখোঁজদের সন্ধান চেয়ে দাবি জানানোর অধিকার আমাদের রয়েছে। কিন্তু এতো দিনে পেরিয়ে গেলেও তাদের সন্ধান না পাওয়াটা উদ্দেগজনক।

উপস্থিত সাধারণ শিক্ষার্থীরা এসময় আরো বলেন,অতি দ্রুত ত্ব-হা ও অন্যদের সন্ধান দিতে হবে।অন্যথায় টাঙ্গাইলসহ সারাদেশে গণআন্দোলনের হুশিয়ারি দেন উপস্থিত শিক্ষার্থীরা।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৮. জুন ২০২১ ০১:৫৭:এএম ৩ বছর আগে
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারীকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় দুই ব্যক্তি গ্রেপ্তার - Ekotar Kantho

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারীকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় দুই ব্যক্তি গ্রেপ্তার

একতার কণ্ঠ: টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বাজাইল গ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এক নারীকে(৪০) বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার  অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় স্বগোত্রীয় দিনা সরকার(৩০) ও মণ্টু সরকারকে(৩২) জেলা গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি দক্ষিণ) গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার(১৫ জুন) দুপুরে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

টাঙ্গাইল পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এক নারীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে তিন জনকে আসামি করে রোববার(১৩ জুন) ভিকটিম(ওই নারী) বাদী হয়ে সখীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক হওয়ায় জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অপরাধ) মো. শরফুদ্দীনের তত্ত্বাবধানে একটি চৌকষ টিম গঠন করা হয়।

পুলিশ সুপার জানান, টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশের(ডিবি দক্ষিণ) অফিসার ইনচার্জ মো. সাজ্জাদ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত চৌকষ টিম অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জেলার মির্জাপুর ও নাগরপুর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আসামি ভিকটিমের স্বগোত্রীয় দিনা সরকার ও মণ্টু সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত দিনা সরকার ওই গ্রামের প্রকাশ সরকারের ছেলে ও মণ্টু সরকার স্বর্গীয় নারায়ন সরকারের ছেলে এবং ভিকটিমের(ওই নারীর) প্রতিবেশি।এজাহারভুক্ত অপর আসামি ময়নাল মিয়ার ছেলে সবদুল মিয়াকে(৩৫) গ্রেপ্তারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

প্রকাশ, গত ১১ জুন(বৃহস্পতিবার) দিনগত গভীর রাতে সখীপুর উপজেলার হাতীবান্ধা ইউনিয়নের বাজাইল বড়চালা গ্রামের দিনা চন্দ্র সরকার, মণ্টু চন্দ্র সরকার ও সবদুল মিয়া নামে তিন ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় ওই নারীর বাড়িতে যান। তারা ওই নারীকে ডেকে ঘরের বাইরে এনে জোর করে বাড়ির পাশের বনে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। ওই বখাটেরা ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ওই নারীর মুখম-লসহ শরীরের স্পর্শকাতর সহ নানা স্থানে কামড়ে জখম করে চলে যান। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহতাবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে প্রথমে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ও পরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে(ওসিসি) ভর্তি করা হয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৫. জুন ২০২১ ১১:৫৪:পিএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রুমি আক্তারের উপর যৌতুক লোভী স্বামীর নির্যাতনের প্রতিবাদ ও নির্যাতনকারী স্বামী স্কুল শিক্ষক মিজানুর রহমানের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল।মঙ্গলবার (১৫ জুন) পৌর সভার মোখতার ফোয়ারা চত্বরে সকাল সাড়ে দশটায় শুরু হয়ে ঘন্টা ব্যাপি এ এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে অভিযুক্ত মিজানুর রহমানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলর সাবেক কমান্ডার পৌর মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ, সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী সিকদার,সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ও গনি,সাবেক ডিপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল্লাহ মিয়া, নির্যাতিতা রুমির বাবা বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নান, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শফিউল ইসলাম কাজী বাদল, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক, কামরুল হাসান আজাদ প্রমুখ বক্তব্য দেন। এতে উপজেলার তিন শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা ও সন্তান কাউন্সিলের নেতাকর্মী অংশ নেন। এ ঘটনায় ওই স্কুল শিক্ষককে স্কুল পরিচালনা কমিটি থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৫ নভেম্বর মিজানুর রহমানের সঙ্গে উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নানের মেয়ে রুমি আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় রুমির বাবা মেয়েকে চার ভরি স্বর্ণালংকার দেন। বিয়ের পরের বছর মিজানুর একটি মোটরসাইকেল দাবি করেন। জামাতাকে দেড় লাখ টাকার একটি মোটরসাইকেলও কিনে দেন ওই বীরমুক্তিযোদ্ধা। ২০১৭ সালে রুমির গর্ভে কন্যাসন্তান আসে। অস্ত্রোপচারের জন্য শ্বশুরের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নেন মিজানুর। দুই বছর আগে চাকরিতে সমস্যার কথা বলে শ্বশুরের কাছ থেকে আরও ৫০ হাজার টাকা আদায় করেন তিনি। চার মাস ধরে আরও দুই লাখ টাকা দাবি করে স্ত্রী রুমিকে নির্যাতন করে আসছিলেন মিজানুর। না দেওয়ায় কিছুদিন আগে মিজানুর তাঁর স্ত্রীকে তালাক দেন।

প্রসঙ্গত: গত ৯ জুন বুধবার সখীপুর থানায় রুমি আক্তার বাদী হয়ে স্বামী মিজানুর রহমানকে একমাত্র আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করলে পুলিশ মামলার তিন ঘন্টার মধ্যে আসামি মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার ও আসামিসহ টাঙ্গাইল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৫. জুন ২০২১ ০৯:২৭:পিএম ৩ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তিঃঃপ্যানেল মেয়র স্বপন আ’লীগ থেকে বহিষ্কার - Ekotar Kantho

প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তিঃঃপ্যানেল মেয়র স্বপন আ’লীগ থেকে বহিষ্কার

একতার কণ্ঠঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে কটূক্তি করার কারণে টাঙ্গাইল পৌরসভার প্যানেল মেয়র হাফিজুর রহমান স্বপনকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।রোববার(১৩ জুন) দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ওই বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়।তিনি টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদে ছিলেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ৫ জুন প্যানেল মেয়র হাফিজুর রহমান শহরের আকুরটাকুর পাড়ায় একটি জমি পরিমাপকে কেন্দ্র করে ওই জমির মালিকের জামাতার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন।

কথা বলার একপর্যায়ে তিনি তাঁকে বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও মানি না’। তা ছাড়া তিনি নানা অশ্লীল বক্তব্য দেন।

তাঁর ওই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।অনেকেই তাঁকে বহিষ্কারের দাবি জানান।

এ বিষয়ে শহর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আহমদ মজিদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঘোষণা দেন হাফিজুর রহমান স্বপনকে দল থেকে বহিষ্কার করা না হলে তিনি পদত্যাগ করবেন।

এর আগে গত ৯ জুন প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কটূক্তির কারণে ১৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল সদর থানায় পৌরসভার ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আতিকুর রহমান মোর্শেদ বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন।

এ ছাড়া মুঠোফোনে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় শহরের আকুরটাকুর পাড়ার প্রয়াত আশরাফ চৌধুরীর জামাতা মফিজুর রহমান টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, হাফিজুর প্রথমে ছাত্রদল ও পরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০১৪ সালের জুন মাসে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।

যোগদানের পরই তিনি প্রথমে পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পরে সহ-সভাপতির দায়িত্ব পান। তিনি টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে পর পর চার বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।

সর্বশেষ, গত ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর প্যানেল মেয়রের দায়িত্ব পান।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৪. জুন ২০২১ ০২:৫৪:এএম ৩ বছর আগে
কালিহাতীর কুড়িল বিলের বাংলা ড্রেজার বন্ধের দাবি - Ekotar Kantho

কালিহাতীর কুড়িল বিলের বাংলা ড্রেজার বন্ধের দাবি

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার পারখী ইউনিয়নের ভিয়াইল মৌজায় অবস্থিত কড়িল(কুমরী) বিলের বাংলা ড্রেজার বন্ধের জন্য জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।

জানা যায়, ভিয়াইল মৌজার কুড়িল বিলের সরকারি খাস খতিয়ানের ভূমিতে কতিপয় দুস্কৃতকারী দুইটি বাংলা ড্রেজার বসিয়ে দিন-রাত বালু উত্তোলন করছে। পারখী ইউনিয়নের ভিয়াইল গ্রামের পশ্চিমে কুড়িল(কুমরী) বিলে বাংলা ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বীর বাসিন্দা ইউনিয়নের কস্তুরি পাড়ায় বসবাসকারী ঘাটাইল উপজেলার আশারিয়া চালা গ্রামের সিদ্দিক হোসেনের ছেলে মো. আব্দুল লতিফ। তাকে সহযোগিতা করছেন ভিয়াইল গ্রামের মৃত কাজীম উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সাত্তার, নুর মোহাম্মদের ছেলে মজনু মিয়া ও নজরুল ইসলাম। অবৈধভাবে বাংলা ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে আশপাশের ব্যক্তি মালিকানাধীন আবাদী জমি ভেঙে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। স্থানীয় পর্যায়ে তারা অত্যন্ত দুর্ধর্ষ ও দাঙ্গা-হাঙ্গামাকারী হিসেবে পরিচিত। স্থানীয়রা বাঁধা দিতে গেলে উল্লেখিত ব্যক্তিরা নানা ধরণের হুমকি দিয়ে থাকে। এজন্য এলাকার জমির মালিকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তাদের ভয়ে ভীত হয়ে স্থানীয় প্রায় অর্ধশত ব্যক্তি এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসকের কাছে গত ৭ জুন(সোমবার) লিখিত আবেদন করেছেন।

এ বিষয়ে কালিহাতী উপজেলা সহকারী কমিশন(ভূমি) কমরুল হাসান জানান, ওই বিলে ইতোপুর্বে একাধিকবার বাংলা ড্রেজারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে দাখিলকৃত অভিযোগটি হাতে পেলে তিনি দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৩. জুন ২০২১ ০২:৩০:এএম ৩ বছর আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।