/ মূলপাতা / অপরাধ
টাঙ্গাইলে দেড় বছর পর গৃহবধূ নার্গিস হত্যার রহস্য উন্মোচন - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে দেড় বছর পর গৃহবধূ নার্গিস হত্যার রহস্য উন্মোচন

একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে গৃহবধূ নার্গিসকে ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যা করেন  তার সাবেক স্বামী মনিরুজ্জামান। পরে তার লাশ ধান ক্ষেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যান পাষন্ড সাবেক স্বামী  মনিরুজ্জামান। ঘটনার দেড় বছর পর তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরে রবিবার আদালতে জবানবন্দিতে মনিরুজ্জামান এ কথা স্বীকার করেন।সোমবার(১৫ মার্চ)পিবিআই টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সিরাজ আমীন বিভিন্ন  গণমাধ্যাম কর্মীদের এ তথ্য জানান।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মধুপুর উপজেলার নেকিপাড়া গ্রামের মো. নাসির উদ্দিনের মেয়ে নার্গিস ২০১৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হন। দুই দিন পর তাদের বাড়ির উত্তর পাশে একটি ধান ক্ষেত থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ১৪ সেপ্টেম্বর তার বাবা অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মধুপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ প্রথমে মামলাটি তদন্ত করে। পরে এ তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় পিবিআইকে।

পিবিআই তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই ঘটনার সাথে নার্গিসের সাবেক স্বামী মনিরুজ্জামান জড়িত থাকার বিষয়টি চিহ্নিত করে। গত শনিবার মনিরুজ্জামানকে তার বাড়ি ধনবাড়ী উপজেলার কান্দিপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মনিরুজ্জামান নার্গিসকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেন। আদালতে জবানবন্দি দিতেও রাজি হন। রবিবার টাঙ্গাইল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে তিনি জবানবন্দি দেন।

পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার সিরাজ আমীন জানান, জবানবন্দিতে মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন- তার সাথে নার্গিসের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে তারা বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর থেকে তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। ফলে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। মনিরুজ্জামান পরে আবার বিয়ে করেন। দ্বিতীয় বিয়ে করার পরে নার্গিসের সাথে আবার যোগাযোগ হয়। নার্গিস তাকে জানায় আগের স্ত্রীকে তালাক দিলে সে আবার বিয়ে করবে।

নার্গিসের কথা মতো মনিরুজ্জামান দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দেন। ঘটনার দিন মনিরুজ্জামান নার্গিসদের বাড়িতে যান। সেখানে তাকে একা পেয়ে এক দফা ধর্ষণ করেন। পরে দ্বিতীয়বার ধর্ষণের চেষ্টা করলে নার্গিস বাধা দেন। তখন নার্গিসের গলা চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা শুরু করেন। এক পর্যায়ে নার্গিস মারা যান। পরে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য নার্গিসের গলায় ওড়না শক্ত করে পেঁচিয়ে লাশ ধান ক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যান মনিরুজ্জামান। ঘটনার পর মনিরুজ্জামান এলাকা ছেড়ে চলে যান । সে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিলেন। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় আবার বিয়ে করেন তিনি।

টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আকরামুল ইসলাম মনিরুজ্জামানের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৬. মার্চ ২০২১ ০৩:৫১:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে বড় ভাই খুন - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে বড় ভাই খুন

একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার বাথুলী সাদি গ্রামে রোববার(১৪ মার্চ) সকালে ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে বড় ভাই খুনের ঘটনা ঘটেছে। নিহত আব্দুল মজিদ(৩৩) উপজেলার ওই গ্রামের সেন্টু মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ ছোট ভাই শফিকুল ইসলামকে(৩১) আহত অবস্থায় আটক করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বাসাইল উপজেলার বাথুলী সাদি গ্রামের সেন্টু মিয়ার পাঁচ ছেলে দীর্ঘদিন ধরে কাপড় তৈরির ব্যবসা করছিলেন। ব্যবসার হিসাব নিয়ে সম্প্রতি তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এক পর্যায়ে তা পারিবারিক কলহে রূপ নেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রোববার সকালে তাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম ছুরি দিয়ে তার বড় ভাই আব্দুল মজিদের বুকে আঘাত করেন। গুরুতর আহতাবস্থায় স্বজনরা আব্দুল মজিদকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত  ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে। হত্যার ঘটনায় তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৫. মার্চ ২০২১ ০২:৫৯:এএম ৩ বছর আগে
সখীপুরে অর্থ আত্মসাতের প্রতিবাদে শিক্ষক-কর্মচারীদের সমাবেশ - Ekotar Kantho

সখীপুরে অর্থ আত্মসাতের প্রতিবাদে শিক্ষক-কর্মচারীদের সমাবেশ

একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির অধীনস্থ কল্যাণ তহবিলের সভাপতির বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে ২৭ লাখ টাকা নানা অনিয়ম দুর্নীতি অর্থ আত্মসাৎ এবং বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ৩৭ জন শিক্ষকের নামে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।

শনিবার(১৩ মার্চ) দুপুরে সখীপুর-সাগরদিঘী সড়কের উপজেলার কচুয়া বাজার চৌরাস্তা মোড়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির ছয় শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী অংশ নেন। ইতোমধ্যে অভিযুক্ত তুলা মিয়াকে তহবিলের সভাপতির পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত তুলা মিয়া উপজেলার কচুয়া পাবলিক উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

সমাবেশে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি শহীদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম হোসেন, কাইয়ুম হুসাইন, মিজানুর রহমান, একে ফজলুল হক, মতিউর রহমান ভূঁইয়া, ফরমান আলী, আতিকুল হক ছমির, লাল মিয়া, বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ মিয়া এবং টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের সদস্য গোলাম কিবরিয়া বাদল প্রমুখ বক্তব্য দেন।

সমাবেশে উপস্থিত শিক্ষকরা জানান, কল্যাণ তহবিলের সভাপতি মো. তুলা মিয়া (সংগঠনের কল্যাণ তহবিলের) ২৭ লাখ ৪৬ হাজার ২০০ টাকা আত্মসাৎ করেছে। আগামী সাতদিনের মধ্যে এ টাকা পরিশোধ না করলে শিক্ষক-কর্মচারীরা কঠোর আন্দোলনে যাবেন।

তারা আরও বলেন, কচুয়া পাবলিক উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তুলা মিয়া সমিতির কল্যাণ তহবিলের চেয়ারম্যান ছিলেন। তার কাছে থাকা ওই তহবিলের প্রায় সাড়ে ২৭ লাখ টাকা ফেরত না দেওয়ায় ওই পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও তিনি উল্টো বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ৩৭ জন শিক্ষকের নামে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। কল্যাণ তহবিলের সমুদয় কাগজপত্র, এফডিআর, রেজিস্টার, ব্যাংক চেকবই ফেরত দিচ্ছেন না। টাকা আত্মসাতের বিষয়ে সংগঠনের ৮ শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। তারা আরও জানান, ইতোমধ্যে উপজেলার ১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী অবসরে চলে গেছেন।

তুলা মিয়া ওই টাকা ও কাগজপত্র না দেওয়ায় অবসরে যাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীদের মাঝে কল্যাণ তহবিলের প্রাপ্ত টাকা বিতরণও করা যাচ্ছেনা।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৪. মার্চ ২০২১ ০৩:৪৮:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে মালবাহী লরি থেকে বিপুল পরিমান  গাঁজা উদ্ধার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে মালবাহী লরি থেকে বিপুল পরিমান গাঁজা উদ্ধার

একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ  টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মালবাহী একটি লরি থেকে ৭৪ কেজি গাঁজাসহ দুইজনকে আটক করেছে র‌্যাব-৩ এর সদস্যরা। ৭৪ কেজি গাঁজার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১৯ লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

শনিবার (৬ মার্চ) ভোর ৬টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গোড়াই ইউনিয়নের জোরপুকুর এলাকা থেকে ৭৪ কেজি গাঁজা, একটি মালবাহী লরি  এবং ড্রাইভার ও হেলপারকে আটক করে র‌্যাব-৩।

আটককৃতরা হলেন, কুমিলা থানার উলুরচর গ্রামের মৃত বশরত এর ছেলে মো. জামাল (৩৬)  এবং একই থানার তারাপুর গ্রামের এসহাক মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন (৩৫) বলে জানা গেছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, গ্যাসের চুলার সরঞ্জাম নিয়ে ঢাকা থেকে রাজশাহী গামী একটি লরি (চট্ট মেট্রো ঢ-৮১২২৭৫) গ্যাসের চুলার  সরঞ্জামের সাথে বিপুল পরিমাণ গাঁজা নেয়া হচ্ছে। এমন  গোপন তথ্য পেয়ে মহাসড়কের জোরপুকুর এলাকায় অবস্থান নেয় র‌্যাব-৩ এর সদস্যরা। পরবর্তীতে ওই লরি থেকে ৭৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় তারা। সেই সাথে লরি, ড্রাইভার ও হেলপারকে আটক করা হয়।

এ বিষয়ে মির্জাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ( ওসি) মোহাম্মদ রিজাউল হক বলেন, এ ঘটনায় আটককতৃদের বিরুদ্ধে থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৯. মার্চ ২০২১ ০১:০২:এএম ৩ বছর আগে
গোপালপুরে খলিল হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানব বন্ধন - Ekotar Kantho

গোপালপুরে খলিল হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানব বন্ধন

একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ  টাঙ্গাইলের গোপালপুর পৌরসভা নির্বাচনি সহিংসতার ঘটনায় প্রতিপক্ষের আঘাতে নিহত অটো-ভ্যান চালক খলিলুর রহমান খলিলের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। শনিবার (৬ মার্চ) দুপুরে উপজেলার ডুবাইল বাসষ্ট্যান্ডে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে কেএম ইঞ্জিনিয়ার গিয়াসউদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- ডুবাইল গণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদিউজ্জামান শিকদার, আওয়ামীলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম রঞ্জু,  উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মানিক হাসান মিলু, শহর যুবলীগের সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম টগর, সম্পাদক রাসেল কবীর, ছাত্রলীগের আহবায়ক শফিকুল ইসলাম, নিহতের পিতা নাসিম উদ্দীন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, নিহত খলিলের পিতার অভিযোগ, গত ৮ ফেব্রুয়ারী খলিল চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হন।  ওই দিন তিনি খুনের সাথে জড়িত আসামীদের নামধাম উল্লেখ করে গোপালপুর থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে থানা পুলিশ আসামীদের নামধাম নিয়ে খুনের মামলা নিতে অস্বাীকার করেন।
এরপর ৯ ফেব্রুয়ারী থানা পুলিশ অজ্ঞাতনামাদের আসামি দেখিয়ে থানায় খুনের মামলা নেন। এমতাবস্থায় গত ১৭ ফেব্রুয়ারী নিহতের পিতা নাসিম উদ্দীন টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে খুনের সাথে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনে ২০ জন আসামীর নামধাম উল্লেখ করে খুনের মামলা রেকর্ডের আবেদন জানান।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৭. মার্চ ২০২১ ০২:৫০:এএম ৩ বছর আগে
নিজভূমে পরবাসী টাঙ্গাইলের সুবল রাজবংশী - Ekotar Kantho

নিজভূমে পরবাসী টাঙ্গাইলের সুবল রাজবংশী

একতার কণ্ঠ ডেক্সঃ  বয়স তার ৫০, নাম সুবল রাজবংশী। অনাহার-অর্ধাহারে জীর্ণ শরীর। বয়সের ভারে নয় পুষ্টির অভাবে ন্যূয়ে পড়েছে। জীবনযুদ্ধে পরাজিত সুবল রাজবংশী বর্তমানে নিজ ভূমে পরবাসী। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের সূতানরী গ্রামে।

পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৬০ শতক ভূমি ১৫ বছর ধরে গ্রামের প্রভাবশালীরা জবর দখল করে রেখেছে। সুবলের বসতভিটা-জমি নিয়ে গ্রাম্য সালিশ-দরবার হয়েছে বিস্তর, কোন সমাধান হয়নি।

সংখ্যালঘু হওয়ায় প্রভাবশালীদের ভয়ে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে গ্রামে যেতে পারেন না তিনি- যে কোন সময় চাপে ফেলে বাড়ি-জমি লিখে নিতে পারে জবর দখল কারীরা।

কিছুদিন বাস করেছেন মামা চান মোহন রাজবংশীর বাড়িতে। এখন তিনি গাজিপুরের চন্দ্রায় ভাড়া ঝুঁপড়িতে স্ত্রী চিত্রা রাজবংশীকে নিয়ে বাস করছেন এবং কিশোর ছেলে সুকুমার রাজবংশীকে(১১) নিয়ে বিভিন্ন স্থানে দিনমজুরি করে দিন কাটাচ্ছেন। কথা বলতে গিয়ে ছেলের ভবিষ্যত ভাবনায় হামেশাই অশ্রু ঝড়ান সুবল।

সরেজমিনে জানা গেছে, ফতেহপুর ইউনিয়নের ফতেহপুর মৌজার গ্রামের স্বর্গীয় গণেশ রাজবংশীর ছেলে সুবল রাজবংশীরা বংশ পরম্পরায় সূতানরী গ্রামের বাসিন্দা। সুবল রাজবংশী দুই মেয়ে ও এক ছেলের জনক। মেয়ে বিনোদিনী রাজবংশী ও নূপুর রাজবংশীকে অন্য উপজেলায় বিয়ে দিয়েছেন।

১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের সময় স্থানীয় ছালাম খান, মানিক খান, হযরত খান, ফরিদ খান ও ছানু খানের পূর্বপুরুষরা আসাম থেকে এসে সূতানরী গ্রামে বসতি স্থাপন করে।

সুবল রাজবংশীর বিএস-৩২৮ খতিয়ানে ২২৪ নং দাগের ২৪ শতক বসত ভিটা ভাগাভাগি করে বসবাস করছেন একই গ্রামের মৃত মজিদ খানের দুই ছেলে ছালাম খান ও মানিক খান এবং মৃত রুস্তম খানের ছেলে হযরত খান ও মৃত কাশেম খানের ছেলে ফরিদ খান।

একই খতিয়ানের ২২৩ দাগের ১৯ শতাংশ কান্দা ভূমি ছালাম খান ও মানিক খান জবরদখলের মাধ্যমে ভোগ করছেন। ওই খতিয়ানের ৪৫৯ দাগের ১৭ শতাংশ নামা ভূমি মৃত ধলা খানের ছেলে ছানু খানের দখলে রয়েছে। নিজ নামে পৈত্রিক ৬০ শতাংশ বাড়ি-জমির মালিক হলেও সুবল রাজবংশী সংখ্যালঘু হওয়ায় প্রভাবশালীরা তাকে পরিবারসহ সূতানরী গ্রাম থেকে কৌশলে বিতারিত করেছে।

এ বিষয়ে সুবল রাজবংশী ইতোপূর্বে মির্জাপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। ওই জিডির পরিপ্রেক্ষিতে উভয় পক্ষকে মির্জাপুর থানায় তলব করা হয়- সেখানেও বিষয়টির কোন সমাধান হয়নি। সর্বশেষ সুবল রাজবংশী গত ২৫ জানুয়ারি প্রতিকার চেয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।

সূতানরী গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ মিয়া(৬৫), আব্দুল করিম(৭০), নিরঞ্জন রাজবংশী(৫০), নরেশ রাজবংশী(৪০) সহ অনেকেই জানান, সুবল রাজবংশী অত্যন্ত সহজ-সরল প্রকৃতির মানুষ। স্থানীয় নদী ও মুক্ত জলাশয়ে মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার বাবা-কাকারা তিন ভাই ছিলেন- স্বর্গীয় গণেশ রাজবংশী, স্বর্গীয় জিতেন রাজবংশী ও স্বর্গীয় জিনি রাজবংশী। স্বর্গীয় জিতেন রাজবংশী ও স্বর্গীয় জিনি রাজবংশী স্বাধীনতার আগে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে ভারতে চলে যান।

কিন্তু স্বর্গীয় গণেশ রাজবংশী তার অংশের সম্পত্তি বিক্রি করেন নাই এবং সুবল রাজবংশী অপ্রাপ্ত বয়স্ক থাকাকালে দেশেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

সুবল রাজবংশী কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, পৈত্রিক ৬০ শতক বসতবাড়ি-জমি থাকা সত্বেও তিনি ভূমি ও ঠিকানাহীন। সংখ্যালঘু হওয়ায় তার সম্পত্তি ছালাম খান ও তার আত্মীয়রা গায়ের জোরে জবরদখল করে নিয়েছে।

বার বার গ্রাম্য সালিশ-বিচারে উপস্থিত হয়ে জমির কাগজপত্র দেখিয়েও তিনি বাড়ির দখল ফিরে পাননি। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করায় ডিবি এলাকায় গিয়ে তদন্ত করে এসেছে। কিন্তু কোন প্রতিবেদন দেয় নাই। এলাকায় থাকলে জবরদখলকারীরা তাকে মেরে ফেলতে পারে তাই তিনি স্ত্রী, ছেলেকে নিয়ে চন্দ্রায় দিনমজুরি করে কোন রকমে বেঁচে আছেন।

অভিযুক্ত ছালাম খানের অনুপস্থিতিতে তার স্ত্রী বয়োবৃদ্ধ রহিমা খানম জানান, সুবল রাজবংশী বাড়ির কিছু অংশের মালিক। সুবল চাইলে বসবাসের জন্য তারা বাড়ি ছেড়ে দেবেন। তবে সুবল যদি তার জায়গা বিক্রি করতে চায় তারা বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি দামে কিনে রাখবেন।

ছালাম খানের ভাতিজা মো. রুবেল খান জানান, তারা কারো সম্পত্তি জবরদখল করেননি। বাড়ি ও জমির দলিল তাদের কাছে রয়েছে। প্রয়োজনে যথাস্থানে উপস্থাপন করা হবে। তবে সুবল যদি জায়গা বিক্রি করতে চায় তারা কিনে নেবেন।

ফতেহপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. মজনু মিয়া জানান, বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে বার বার সালিশের আয়োজন করা হয়েছে। প্রথম দিকে অভিযুক্ত ছালাম খানরা তাদের কাছে ওই জমির দলিল আছে বলে জানিয়েছে পরে আর কোনদিন সালিশে হাজির হয়নি।

ফতেহপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রৌফ মিয়া জানান, সুবল রাজবংশীর বাড়ি ও জমি নিয়ে একাধিকবার ইউনিয়ন পরিষদে সালিশের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে। ছালাম খানরা বিষয়টির সমাধান চাইলেও পরে আর সালিশে উপস্থিত হয়নি। মূলত: সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন তালুকদারের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মিমাংসা করা সম্ভব হয়নি।

টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের(ডিবি-দক্ষিণ) অফিসার ইনচার্জ আমীর হোসেন জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি পুরোপুরি অবগত নন। তিনি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৩. মার্চ ২০২১ ০৩:৩৬:এএম ৩ বছর আগে
নাগরপুরে যৌন হয়রানি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত - Ekotar Kantho

নাগরপুরে যৌন হয়রানি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের  নাগরপুরে  ঐতিহ্যবাহী  পচাসারটিয়া মেহের আলী খান উচ্চ বিদ্যালয়ের অর্থআত্মসাত ও এক মহিলাকে যৌন হয়রানির অডিও ক্লিপস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. ফরহাদআলীকে (৪৫) স্থায়ী ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে ।

তার বিরুদ্ধে আনিত অর্থ আত্মসাত ও নারী কেলেংকারীর অভিযোগ সন্দেহাতিত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় তাকে চুড়ান্ত ভাবে বরখাস্ত করা হয়। রবিবার (১ মার্চ )সকালে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও পচাসারটিয়া মেহের আলী খান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.  ফরহাদ আলীর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে দুই সন্তানের জননীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুক্তভোগী  ওই নারীর সাথে শিক্ষক ফরহাদ আলীর যৌন উত্তেজক আপত্তি কর কথপোকথনের একাধিক অডিও ক্লিপস ভাইরাল হয়। এ ঘটনা বিভিন্ন জাতীয় ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রচার হলে এলাকা সহ বিভিন্ন মহলে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ফরহাদ আলী উপজেলার শাখাইল গ্রামের দুঃখু মিয়ার ছেলে।

সূত্রে আরো জানা যায়, উপজেলার ভারড়া ইউনিয়নের ভারড়া গ্রামের হত দরিদ্র কাঠ মিস্ত্রী আ. মোতালেবের স্ত্রী (৩৭) কে চাকুরী দেওয়ার সূত্র ধরে তার সাথে ঘনিষ্ঠ হন পচাসারটিয়া মেহের আলী খান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

চাকুরী প্রত্যাশী ভুক্তভোগীর দরিদ্রতার সুযোগ নিয়ে মোবাইলফোনে ও সরাসরি প্রতিনিয়ত শারিরিক মিলনের জন্য কু-প্রস্তাব দিতে শুরু করে। পরে ভুক্তভোগী নারী টাঙ্গাইলের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাগরপুর আমলী আদালতে ৩ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।

বিষয়টি সে সময় বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচার হলে কতৃপক্ষ  ২১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে তাকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করে। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে অডিটের নামে সহকারী শিক্ষকদের নিকট টাকা নিয়ে তা আত্মসাত ও নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ ওঠে। এ সকল অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় অবশেষে তাকে চুড়ান্ত ভাবে বরখাস্ত করা হয়।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্কুল পরিচলনা কমিটির সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ তাহেরুল ইসলাম জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে স্পর্শকাতর । এখানে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা লেখাপড়া করে। জেনে শুনে চরিত্রহীন ও বিদ্যালয়ের অর্থআত্মসাত কারিকে বহাল রাখতে পারিনা। প্রতিষ্ঠানের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে এবং শিক্ষার্থীদের ফের স্কুল মুখী করতে এ সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

 

 

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৩. মার্চ ২০২১ ০২:৪৭:এএম ৩ বছর আগে
সখীপুরে দুই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই সন্তানের জনকের বিরুদ্ধে মামলা - Ekotar Kantho

সখীপুরে দুই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই সন্তানের জনকের বিরুদ্ধে মামলা

 একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে প্রলোভন দেখিয়ে দুই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।  এ ঘটনায় সোমবার( ২ মার্চ) বিকালে ধর্ষণের শিকার এক শিশুর বাবা বাদী হয়ে সখীপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।অভিযুক্ত হায়দার আলী (৪৮) উপজেলার দামিয়া এলাকার আবদুল কদ্দুস মিয়ার ছেলে। অভিযুক্ত  হায়দার আলী  দীর্ঘদিন ধরে কচুয়া বাজারে মনোহারী দোকান করে আসছিল। সে দুই সন্তানের জনক।

এ প্রসঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওসমান গনি জানান, ব্যবসায়ী হায়দার আলী প্রতিবেশী দুই শিশুকে প্রলোভন দেখিয়ে ফুঁসলিয়ে তার নিজ ঘরে ডেকে নেয়। সেখানে প্রথমে শিশু দু’টিকে ধর্ষণ করে বলে মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে। পরে একাধিকবার ধর্ষণের চেষ্টা করলে শিশু দু’টি অভিভাবকদের বিষয়টি জানায়।

সখীপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই বদিউজ্জামান বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে ইতোমধ্যে মামলা হয়েছে। শিশু দু’টিকে ডাক্তারি পরীক্ষা জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে ওই দুই শিশু অভিভাবকদের হেফাজতে রয়েছে।  তিনি আরো বলেন, পুলিশ অভিযুক্ত হায়দার আলীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৩. মার্চ ২০২১ ০১:২৬:এএম ৩ বছর আগে
মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি ঘর ভাঙচুরের প্রতিবাদে ভূঞাপুরে মানববন্ধন - Ekotar Kantho

মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি ঘর ভাঙচুরের প্রতিবাদে ভূঞাপুরে মানববন্ধন

একতার কণ্ঠ ডেস্ক: চাঁদা না দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি ঘর ভাঙচুরের ঘটনায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে মুক্তিযোদ্ধারা। সোমবার (১ মার্চ) দুপুরে ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে মুক্তিযোদ্ধাদের আয়োজনে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।

পরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুক্তিযোদ্ধা ইকরাম উদ্দিন তারা মৃধা।

সাংবাদিক সম্মেলনে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ইকরাম উদ্দিন তারা মৃধা লিখিত অভিযোগে বলেন, পার্শ্ববর্তি ঘাটাইল উপজেলার গৌরাঙ্গী গ্রামে ক্রয়কৃত বাড়ি ও জমিজমা পাহাড়া দেয়ার জন্য কেয়ার টেকার রয়েছে।

সম্প্রতি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারমান কাজী আরজু মৌখিকভাবে ও মোবাইলে আমার কাছে চাঁদা দাবী করে আসছিল। পরে চাঁদার টাকা না দেয়ায় ভাইস চেয়ারম্যানের নির্দেশে তার লোকজন বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ি ঘর ভাঙচুর ও কেয়ার টেকারের স্ত্রী আসমা বেগমকে মারধর করে নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। পরে এঘটনায় জেলা প্রশাসক ও ঘাটাইল থানা বরাবর আবেদন করেছি।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার আজিজুল হক আজিজ, গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম আমিন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ খানসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা।

অভিযোগ অস্বীকার করে ঘাটাইল উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আরজু জানান, ওই মুক্তিযোদ্ধা অন্যের জমি দখল করে আছেন। যার জমি দখল করে আছেন তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর তার জমি দখলমুক্ত করতে আবেদন করেছেন। উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে আমাকে জড়ানো হচ্ছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০২. মার্চ ২০২১ ০২:৩৫:এএম ৩ বছর আগে
মোটরসাইকেল চোর সন্দেহে সখীপুরে ৩ জনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোর্পদ - Ekotar Kantho

মোটরসাইকেল চোর সন্দেহে সখীপুরে ৩ জনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোর্পদ

একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে মোটরসাইকেল চোর সন্দেহে তিনজনকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে স্থানীয়রা।  সোমবার (১ মার্চ) দুপুর ১২টায় উপজেলা পরিষদের সামনে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো- উপজেলার কাহারতা রামখাঁ গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে রবিন আহমেদ (২৫), কালিহাতী উপজেলার সরিষাআটা গ্রামের সাত্তার মিয়ার ছেলে শাকিল হাসান (২০) এবং একই এলাকার লিটন হোসেনের ছেলে মনির হোসেন (২২)

মোটরসাইকেল মালিক লালন সিদ্দিকী বলেন, উপজেলা পরিষদের সামনে মোটরসাইকেল রেখে বীমা দিবসের অনুষ্ঠানে যাই। অনুষ্ঠান শেষে দেখি ওরা আমার মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের আটক করি।

আটকের সময় উল্টো তারাই আমাকে মারধরের চেষ্টা করে। স্থানীয়রা বিষয়টি জানতে পেরে ওই তিনজনকে গণধোলাই দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফয়সাল আহমেদ বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আটককৃতরা ঘটনার সাথে জড়িত থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০২. মার্চ ২০২১ ০১:০২:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে ৪০০পিস ইয়াবা সহ যুবক গ্রেপ্তার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ৪০০পিস ইয়াবা সহ যুবক গ্রেপ্তার

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সল্লা ইউনিয়নের ভাবলা দক্ষিণ পাড়া থেকে মঙ্গলবার(১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে এখলাছুর রহমান ওরফে নাহিদকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র‌্যাব-১২)। গ্রেপ্তারকৃত নাহিদ(২২) কালিহাতী উপজেলার ওই ইউনিয়নের ভৈরববাড়ী গ্রামের মো. মাসুদ ইকবালের ছেলে।

র‌্যাব-১২ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিপিসি-৩’র (টাঙ্গাইল) ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মো. এরশাদুর রহমানের নেতৃত্বে একদল র‌্যাব কালিহাতী উপজেলার সল্লা ইউনিয়নের ভাবলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে মো. এখলাছুর রহমান ওরফে নাহিদকে গ্রেপ্তার করে।

এ সময় তার কাছ থেকে ৪০০পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, একটি মোবাইল ফোন ও একটি সিমকার্ড জব্দ করে। তার বিরুদ্ধে কালিহাতী থানায় ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) এর ১০(ক) ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৪. ফেব্রুয়ারী ২০২১ ০৩:৪৩:এএম ৩ বছর আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।