একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিস্কুট, কেক, ব্রেড তৈরি করায় জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যমুনা ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরীকে(বেকারী) ৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
মঙ্গলবার(৪ মে) বিকালে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ওই জরিমানা করেন।
ইফতেখারুল আলম রিজভী জানান, টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনাকালে মানহীন নোংরা পরিবেশে বেকারী পণ্য উৎপাদন এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি করায় যমুনা বেকারীকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এসময় বেকারীতে কর্মরত সংশ্লিষ্টদেরকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।পরবর্তীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরির বিষয়টির প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি দেওয়া হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের তদারকি অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ৪ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে নসু মন্ডলকে (৬৫) নামে একজন বৃদ্ধকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে এই দিকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত নসু মন্ডল উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের মালতী গ্রামের মৃত আব্দুল মন্ডলের ছেলে। আহত শিশুটিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ভূক্তভোগী শিশুটি সাথীদের নিয়ে মসজিদ প্রাঙ্গণে খেলছিল। খেলার সাথীরা চলে গেলে একা পেয়ে নসু মন্ডল ওই শিশুকে ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। শিশুটি শারীরিক যন্ত্রণায় চিৎকার করলে তার পরিবার ও স্থানীয়রা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। বিষয়টি স্থানীয় মাতাব্বরা ধামাচাঁপা দেয়ার চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়।
অপরদিকে, অভিযুক্ত ব্যক্তির স্ত্রী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। সেইসাথে তার শাস্তি দাবী করেছেন।
নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শুকুর মাহমুদ বলেন, স্থানীয় মাদ্রাসার সেক্রেটারী বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। অভিযুক্ত নসু মন্ডল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। আমি বিষয়টি থানায় অবগত করেছি। পরে পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে সার্কেল এএসপি রাসেল মনির বলেন, মালতী গ্রামের এক বৃদ্ধ ৪ বছরের শিশু ধর্ষণ করে। স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে এবং নসু মন্ডলকে আটকে রেখে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। থানায় মামলা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হাফেজ খানের ছেলে মো. আশরাফুল ইসলাম (৫৫)। তিনি কারণে-অকারণে সাধারণ মানুষের নামে মামলা করেন। কেউ তার কাছে টাকা পান, সেই টাকা চাইতে গেলে মামলা, তাকে কিছু বলতে গেলে মামলা, তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হলেও মামলাসহ অনেকটা অকারণেই তার মামলার শিকার হয়েছেন উপজেলার অর্ধশতাধিক মানুষ।
এ কারণে আশরাফুল ইসলাম এলাকায় ‘মামলাবাজ আশরাফ’ নামে পরিচিত। সেই মামলাবাজ আশরাফ এবার মামলার জালেই আটক হয়েছেন। বৃহস্পতিবার(২৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পৌরসভার কাঁচা বাজার এলাকা থেকে সখীপুর থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। শুক্রবার(৩০ এপ্রিল) দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অর্থ আত্মসাৎ মামলায় আশরাফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ জানায়, ২০২০ সালের ৪০৬ ও ৪২০ ধারার মামলায় মো. আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ওই পরোয়ানার ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওমর ফারুক ও মনিরুজ্জামান বলেন, সে সখীপুরের একজন চিহ্নিত মামলাবাজ লোক। তার মেয়ের জামাই, জামাই বাড়ীর লোকজন ও স্থানীয় লোকজনের নামে বিভিন্ন সময় থানায় ও আদালতে মামলা করে আসছে। সে প্রায় ৩০টি মামলার বাদী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তার মামলার শিকার এক ভুক্তভোগী জানান, মামলাবাজ আশরাফ অন্যের মামলা ক্রয় করে পরিচালনা করে। টাকার বিনিময়েও অন্যের পক্ষে মামলা করে দেয়। ওই ভুক্তভোগী আরও বলেন, আমি আমার ভায়রার পাওনা টাকা ফেরত দিতে বলায় সে একটি মামলায় আমার নাম ঢুকিয়ে দিয়েছিল। ওই মামলায় আমি ২১ দিন জেল খেটেছি। ওই মামলাবাজ বহু মানুষকে হয়রানি করেছে। এবার নিজেই মামলার ফাঁদে পড়েছে।
সখীপুর থানার ওসি একে সাইদুল হক ভূঁইয়া বলেন, আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মূলে মো. আশরাফুল ইসলাম নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সে একজন মামলাবাজ লোক, কম করে হলেও সে উপজেলার বিভিন্ন মানুষের বিরুদ্ধে ২০টি মামলার বাদী।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ৯০ বোতল ফেন্সিডিলসহ ২ যুবককে আটক করেছে গোড়াই হাইওয়ে থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার(২৯ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের ধেরুয়া এলাকায় অবস্থিত নাসির গ্লাস অ্যান্ড ফ্যাক্টরি সংলগ্ন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার মাশাইলডাঙ্গি গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে মো. আ. গফুর (২৮) একই গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে রাকিব হোসেন (২২)।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোর পৌনে ৬টার দিকে মহাসড়কের ওইস্থানে অভিযান পরিচালনা করে ৯০ বোতল ফেন্সিডিলসহ ২ জনকে আটক করা হয়।
গোড়াই হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে মির্জাপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।শুক্রবার( ৩০ এপ্রিল) তাদের কোর্টে হাজির করা হবে।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ পবিত্র রমজান মাসে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পঁচা খেজুর বিক্রির অপরাধে ৫ জনকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
বুধবার(২৮ এপ্রিল) বিকেল ৫ টায় উপজেলার এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে টাঙ্গাইল র্যাব-১২ এর সহযোগীতায় ভ্রাম্যমান আদালতের এ অভিযান পরিচালনা করেন কালিহাতী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুল হাসান।
এ সময় র্যাব-১২, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ এরশাদুর রহমান সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য উপস্থিত ছিল।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুল হাসান জানান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী মাহে রমজান মাসে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পঁচা খেজুর বিক্রির অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালতের এ অভিযান পরিচালনা করে উপজেলার এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের দোকান ব্যবস্যায়ী সবুজকে ৩০ হাজার, ফয়সালকে ৩০ হাজার, খুশি মোহন দাসকে ৩০ হাজার, সাইফুলকে ২০ হাজার ও দ্বীপকে ৫০ হাজার টাকা সহ মোট ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, পবিত্র রমজান মাসে প্রশাসন সার্বক্ষনিকভাবে বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে মনিটরিং করে থাকে। তারই অংশ হিসাবে এই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হলো।
একাতর কণ্ঠ ডেস্কঃ বঙ্গবন্ধুসেতু-ঢাকা মহাসড়কে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার করাতিপাড়া বাইপাসে মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) ভোরে অভিযান চালিয়ে ৮টি চোরাই গরু সহ একটি ট্রাক জব্দ করেছে পুলিশ।বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুনুর রশিদ এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুনুর রশিদ জানান, বঙ্গবন্ধুসেতু-ঢাকা মহাসড়কে মোবাইল ডিউটি করার সময় ঢাকাগামী একটি ট্রাক দেখে ট্রাকটিতে তল্লাসী চালালে তিনটি বাছুরসহ মোট আটটি গরু পা বাধা অবস্থায় রেখে চালক ও জড়িতরা পালিয়ে যায়। গরুগুলো ত্রিপল দিয়ে ঢাকা ছিল।তবে এ ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি।
ধারণা করা হচ্ছে- পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গরুসহ ট্রাক(ঢাকা মেট্রো-ড-১২-২৮৯৯) পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে গরুসহ ট্রাকটি উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়।
উদ্ধারকৃত গরুগুলো থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। ট্রাক ও গরুর মালিকের এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি বলেও তিনি জানান।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলে মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) গভীর রাতে র্যাবের সহযোগিতায় সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি)ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. খায়রুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন একটি ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে ১১ জন অবৈধ বালু উত্তোলন কারীকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে। টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের এলেংজানী নদীর উত্তর তারটিয়া অংশে ওই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে অবৈধ বালু উত্তোলনের মূলহোতা উত্তর তারটিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. উজ্জ্বল মিয়াকে(৪৮) ৩ মাস, একই এলাকার পূর্ব লামছী গ্রামের মো. জামাল উদ্দিনের ছেলে রায়হানকে(২৫) ৭ দিন ও বাকি ৯ জনকে ৫দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডিত অন্যরা হচ্ছেন- উত্তর তারটিয়া গ্রামের মো. হুরমুজ আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক(৪০), বররিয়া গ্রামের মৃত খন্দকার রকিবুল হকের ছেলে খন্দকার মাসুম(৪৩), উত্তর তারটিয়ার মো. সামাদ খানের ছেলে মো. নিলয় খান(২২), কালাচাদের ছেলে মো. মঞ্জুর(৩০), মো. তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে আবুল কালাম আজাদ(৩৮), একই এলাকার খাবিদা গ্রামের আ. মজিদ খানের ছেলে মো. রাসেল খান(৪০), গোলড়া গ্রামের মো. সোহেল মিয়ার ছেলে মো. অভি(২০), বররিয়া গ্রামের নারায়নের ছেলে নিরঞ্জন(১৯) এবং কালিহাতী উপজেলার ছাতিহাটী গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে মনির(২০)।
সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. খায়রুল ইসলাম জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও সরবরাহের দায়ে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪(খ) ধারায় মূলহোতা মো. উজ্জ্বল মিয়াসহ ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে বালু উত্তোলন ও সরবরাহের কাজে ব্যবহৃত চারটি ড্রাম ট্রাক ও একটি ভেকু জব্দ করা হয়।
অভিযানকালে র্যাব-১২ সিপিসি-৩ টাঙ্গাইলের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মো. এরশাদুর রহমান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে স্ত্রীর আঘাতে মৃত্যু হয়েছে তার স্বামীর। সোমবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার ইছাদিঘী গ্রামে এমন ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর আটক করা হয় অভিযুক্ত ওই নারীকে। পরে গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাকে।
জানা গেছে, নিহত ওই স্বামীর নাম কিতাব আলী (৪০)। তিনি উপজেলার ইছাদিঘী গ্রামের মৃত কেরামত আলীর ছেলে। নিহত কিতাব আলী ভাঙারির ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন । আর গ্রেপ্তার হওয়া তার স্ত্রীর নাম হামিদা আক্তার (২৫)।
উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার আবুল কালাম আজাদ বলেন, সোমবার বিকেলে তিনটার দিকে কিতাব আলীর সঙ্গে তার স্ত্রী হামিদা আক্তারের ঝগড়া হয়। সে সময় তারা একে অপরকে কামড় দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে স্বামীর স্পর্শকাতর স্থানে কামড় দেন স্ত্রী, তাতেই ঢলে পড়েন স্বামী কিতাব আলী। পরে তাকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন কতর্ব্যরত চিকিৎসক।
এ বিষয়ে সখীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এএইচএম লুৎফুল কবির বলেন, নিহত কিতাব আলীর তৃতীয় স্ত্রী হামিদা আক্তারকে আটকের পর গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। নিহত কিতাব আলীর আগের ঘরে মেয়ে বাবলি আক্তার বাদী হয়ে তার সৎ মা হামিদা আক্তারের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃত ওই নারীকে মঙ্গলবার(২৭ এপ্রিল) আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পরিদর্শক লুৎফুল কবির।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার কাশিল ইউনিয়নের কাশিল পশ্চিমপাড়া থেকে কনা আক্তার (২৪) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সকালে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন বাসাইল থানার অফিসার-ইন -চার্জ(ওসি) হারুনুর রশিদ।
নিহত গৃহবধূর পরিবার জানায়, প্রায় পাঁচ বছর আগে কাশিল পশ্চিমপাড়া এলাকার বাবু মিয়ার দুবাই প্রবাসী ছেলে কবির মিয়ার সঙ্গে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের দরুন গ্রামের জয়নাল মিয়ার মেয়ে কনা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাকে যৌতুকের জন্য শাশুড়ি ও দুই ননাশের নানা নির্যাতন সহ্য করতে হয়। এরপর তার শাশুড়ি কহিনূর বেগম ও স্বামী কবির মিয়া পুনরায় প্রবাসে পাড়ি জমান।
ফলে ওই গৃহবধূ তার শিশু সন্তানকে নিয়ে বাকপ্রতিবন্ধী শ্বশুরের সঙ্গে বসবাস করছিলেন। এরমধ্যে এক ননাশের স্বামী অন্যত্র বিবাহ করায় ও আরেক ননাশের স্বামী প্রবাসে থাকায় তারা শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়িতেই অবস্থান নেয়। সেই থেকে দুই ননাশই গৃহবধূর উপর নানা ধরনের নির্যাতন চালাতে থাকে।
সর্বশেষ সোমবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায়ও ওই গৃহবধূ কনাকে তার দুুই ননাশ মিলে মারধর করে। পরে (মঙ্গলবার) সকালে তার বসত ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত গৃহবধূর মা বলেন, ‘রাতের কোনও এক সময় তারা আমার মেয়েকে হত্যা করে লাশ ঘরের ধন্নার সাথে ঝুঁলিয়ে রেখে আমাদের খবর দেয়। খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখি ঘরের বাইরে থেকে তালা লাগানো অবস্থায় রয়েছে। আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য আক্কাছ মিয়া বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ এসে নিহতের লাশটি ঝুঁলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা কিছু বলা যাচ্ছে না।’
বাসাইল থানার অফিসার-ইন -চার্জ ( ওসি )হারুনুর রশিদ বলেন, ‘খবর পেয়ে নিহতের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। পরে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেয়ে মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে। এ ঘটনায় ইউডি মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
একতার কণ্ঠ ডেস্ক: টাঙ্গাইল সদর উপজেলার হুগড়া ইউনিয়নের কাজীর বাজার এলাকায় যমুনা নদীতে অবৈধ ড্রেজার এর মাধ্যমে বালু উত্তোলনের দায়ে, বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪(খ) ধারা লংঘন করায়, হুগড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে তোফাজ্জল হোসেনকে ৫০০০০/ ( পঞ্চাশ হাজার) টাকা ও পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে একই এলাকার মোঃ চান মোল্লার ছেলে মাজেদুর রহমানকে ১০০০০/-(দশ হাজার) টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার(২৬ এপ্রিল) দুপুরে, টাঙ্গাইল সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি )ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ খায়রুল ইসলামের নেতৃত্বে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা হয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ খায়রুল ইসলাম জানান, অবৈধ ড্রেজার এর বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ জন্মের চার দিনের মাথায় পিতার হাতে মাতা খুন এবং খুনের মামলায় আসামি হয়ে পিতা পলাতক থাকায় অসহায় শিশুর ঠিকানা হয়েছিল কুমুদিনী হাসপাতালের শিশু বিভাগে। হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সগণ শিশুটিকে আদর আর মমতা দিয়ে লালন পালন করে নাম রেখেছিল ‘রোদেলা’।
আইনি প্রক্রিয়ায় ৩৫ দিন পর প্রশাসনের সহযোগিতায় অবশেষে কুমুদিনী হাসপাতালের সেই ফুটফুটে শিশু কন্যার ঠাঁই হলো মামা-মামির ঘরে। এখন থেকে মামা মামীই তার বাবা-মা। শিশুটিকে হস্তান্তরের সময় এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। রবিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় শিশু কল্যাণ বোর্ডের সদস্যগণ কুমুদিনী হাসপাতালে এসে শিশু কন্যাকে বৈধ অভিভাবক হিসেবে মামা খন্দকার আশরাদুল হক এবং মামি সাবিহা ইসলামের হাতে তুলে দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ মার্চ দুপুরে কুমুদিনী হাসপাতালে টাঙ্গাইল জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার খন্দকার রেদোয়ানা ইসলাম ইলুকে তার স্বামী দেলোয়ার রহমান মিজান বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার পর পালিয়ে যান। তখন থেকেই বাবা-মা ছাড়া অসহায় ফুটফুটে শিশু কন্যার আশ্রয় হয় কুমুদিনী হাসপাতাল।
শিশুটির লালন-পালন নিয়ে গত ১ এপ্রিল টাঙ্গাইল জেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। শিশুটির দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে জেলা প্রশাসক ডক্টর মো. আতাউল গনির সভাপতিত্বে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
অন্যদিকে, মামলার বাদি ও কালচারাল অফিসার খন্দকার রেদোয়ানা ইসলাম ইলুর ভাই খন্দকার আশরাদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকেই তার বোনের উপর স্বামী মিজান অমানবিক অত্যাচার-নির্যাতন করছিল। মিজান সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি টাঙ্গাইল থেকে সম্প্রতি ভোলা জেলায় বদলি হয়ে যান।
গত ২২ মার্চ প্রসব ব্যাথা নিয়ে তার বোন খন্দকার রেদোয়ানা ইসলাম ইলু কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি হন।ওইদিনই কন্যা শিশুর জন্ম হয়। তার বোনের ছুটি হলেও শিশু কন্যা অসুস্থ্য থাকায় কেবিন ভাড়া নিয়ে তিনি থেকে যান।
গত ২৭ মার্চ মিজান কুমুদিনী হাসপাতালে শিশু কন্যাকে দেখতে আসেন। মিজানকে ওয়ার্ডে রেখে তার মামি খোদেজা বেগম শিশু কন্যাকে দুধ খাওয়ানের জন্য তিন তলায় যান। ফিরে এসে দেখেন রুমের দরজায় তালা।
ঘটনাটি কর্তব্যরত নার্স ও চিকিৎসকদের জানালে তারা বিকল্প চাবি এনে দরজা খুলে দেখেন বালিশ চাপা দিয়ে তার বোন ইলুকে হত্যার পর ঘাতক স্বামী মিজান পালিয়েছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, তার বোনকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে। এ বিষয়ে মির্জাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। খুনের পর থেকেই দেলোয়ার রহমান মিজান পলাতক রয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মির্জাপুর থানার এসআই মো. শাজাহান মিয়া জানান, মামলার পর থেকে একমাত্র আসামি দেলোয়ার রহমান মিজানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তাকে গ্রেপ্তারে বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।