একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে বাসের চাপায় সিএনজি চালিত অটোরিক্সার দুই আরোহী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ৪জন।
বুধবার (৫ জুলাই)সকাল ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন, জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার ডুয়াইল গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে ওয়াজেদ আলী (৪০) ও একই এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে আব্দুল হালিম (৩২)।
ধনবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত )ইদ্রিস আলী জানান, বুধবার সকাল ৭টার দিকে জামালপুর থেকে ঢাকা গামী একটি যাত্রীবাহী বাস ধনাবাড়ী উপজেলার সাত্তারকান্দি এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিক্সার দুই আরোহী নিহত হয়। আহত হয় আরও ৪জন।
তিনি আরও জানান, বাস জব্দ করা হয়েছে কিন্তু বাস চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে। এদিকে আহতদের উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হসপিটালে পাঠানো হয়েছে। কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে প্রাইভেটকারের সাথে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালক কলেজ ছাত্র রাফি নিহত হয়েছে।
রোববার (২ জুলাই) দুপুরে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উপজেলার ধোপাজানি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কলেজ ছাত্রের নাম আশরাফুল ইসলাম রাফি (২০)। সে উপজেলার দিঘর ইউনিয়নের দিঘর গ্রামের হাসাজানি গ্রামের জুয়েল হোসেন (বাবলু) এর ছেলে।
রাফি ঢাকার একটি কলেজে একাদশ শ্রেণীতে পড়ালেখা করতো। রাফির বাবা র্যাব এ কর্মরত আছেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রোববার দুপুরে রাফি মোটরসাইকেলে যোগে দিঘর থেকে ঘাটাইল শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। দুপুর ১২ টার দিকে মহাসড়কের ধোপাজনি এলাকায় পৌঁছালে টাঙ্গাইলগামী একটি চলন্ত প্রাইভেটকারের সাথে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডান পাশের দরজায় গিয়ে লাগে । এতে মোটরসাইকেলটি দুমরে মুচড়ে যায় ও চালক রাফি মহাসড়কে ছিটকে পড়ে।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ প্রসঙ্গে ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন জানান ,কোন অভিযোগ না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বৈরান নদী সাঁতরে পার হওয়ার সময় পানিতে ডুবে বারেক (৬৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১ জুলাই) দুপুরে উপজেলার নগদা-শিমলা ইউনিয়নের মাকুল্যা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বারেক গোপালপুর উপজেলার নগদা-শিমলা ইউনিয়নের সেনের মাকুল্যা গ্রামের মৃত বাহাজ আলীর ছেলে।
প্রতিবেশী আব্দুল মালেক জানায়, বারেক হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। ঘটনার দিন বারেক মাকুল্যা গ্রামের কবরস্থান এলাকা থেকে নদী সাঁতরে অপর প্রান্তে যাওয়ার সময় পানিতে ডুবে যায়। এরপর আর তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও জানান, পরে টাঙ্গাইল থেকে ডুবুরির দলের দুইটি ইউনিট এসে নদীর তলদেশ থেকে বারেকের মরদেহ উদ্ধার করে।
গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে শোনার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্য পাঠিয়েছিলাম। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে ঈদে ঘুরতে বের হয়ে বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই বন্ধুসহ ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার তিন জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে অন্তত ৫ জন।
শুক্রবার(৩০ জুন )বিকেলে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হচ্ছেন, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার চালক মো. বাবু মিয়া (৩৫)। তিনি টাঙ্গাইল শহরের দক্ষিণ কলেজপাড়া মহিষখোলা এলাকার শাহজাহান মিয়ার ছেলে। নিহত অপর দুই বন্ধু হচ্ছে, একই এলাকার আতোয়ার মিয়ার ছেলে মো. আওয়াল মিয়া (১৭), আব্দুর রিপনের ছেলে মো. ফকর (১৬)।
নিহত আওয়াল মিয়ার মামা রায়হান মিয়া জানান, ঈদ উপলক্ষে ওরা বন্ধুরা ১১ জন মিলে ঘুরতে বের হয়েছিলো। ওদের অটোরিকশার সাথে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক চালকসহ তিন জনকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুত্বর আহত অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঁচ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের লাশ বাড়িতে আনা হয়েছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহিদ হাসান জানান, গোপালপুরের দ্রুতগামী পরিবহনের একটি বাস ঢাকা থেকে গোপালপুরের দিকে যাচ্ছিলো। অপর দিকে ব্যাটারি চালিত একটি অটোরিকশার সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে বাস পাওয়া যায়নি। তবে অটো রিকশা পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বন্ধুর নতুন মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে বাস চাপায় আব্দুল্লাহ তালুকদার (১৯) নামে এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় রবিন মন্ডল (১৯) নামে তার সাথে থাকা আরও এক মোটরসাইকেল আরোহী আহত হয়েছে। সে বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সফিকুল ইসলাম ও ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার (২৮ জুন) সন্ধ্যা ৬ টায় উপজেলার বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কের চিতুলিয়াপাড়া নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার প্রায় দুই ঘণ্টাপর নিহত আব্দুল্লাহ তালুকদারের মরদেহ উদ্ধার করে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানা পুলিশ।
আব্দুল্লাহ তালুকদার ঘাটাইল উপজেলার আনোহলা ইউনিয়নের যোগিহাটী গ্রামের আব্দুর রহিম তালুকদারের ছেলে
আহত রবিন মন্ডল একই গ্রামের আব্দুল আজিজ মন্ডলের ছেলে। তারা দুজনেই টাঙ্গাইল সৃষ্টি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, বিকালে একটি নতুন মোটরসাইকেল নিয়ে আব্দুল্লাহ ও রবিন বাড়ি থেকে বের হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ঘুরতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে চিতুলিয়াপাড়া নামক স্থানে পৌঁছলে ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের ধাক্কায় মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে তারা।
এতে ঘটনাস্থলে আব্দুল্লাহ রক্তক্ষরণে মারা যায় এবং আহত হয় মোটরসাইকেল চালক তার বন্ধু রবিন মন্ডল। পরে আহত রবিনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে পাঠায়।
অপরদিকে, ঘাতক বাস চালক ও শ্যামলী পরিবহন বাসটি ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নাজমুল বলেন, ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহন নামে বেপরোয়া গতির একটি বাসের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী আব্দুল্লাহ নামে এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয় এবং ও আহত হয় নিহতের বন্ধু রবিন। এ খবর পেয়ে সন্ধ্যার পর ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আহত রবিনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স হাসপাতালে পাঠায়। দুর্ঘটনা কবলিত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ঘাতক চালক ও বাসটি আটক হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করেনি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে এলেঙ্গা- জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লাকড়ি বোঝাই ট্রাকে পিকআপের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে একজন সহ দুই গার্মেন্টস কর্মী নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) রাত ৯ টার দিকে ওই মহাসড়কের কালিহাতী পৌরসভার বাগুটিয়া চাটিপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন। এদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
নিহত দুই গার্মেন্টস কর্মী হলেন- জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার মাইজবাড়ীচর গ্রামের আব্দুল হকের স্ত্রী নিশি (২০) ও তার মা নাসিমা বেগম (৪৫)।
নিহত নাসিমার ছেলে বিপ্লব জানান, তাঁরা সবাই আশুলিয়া বেরিবাঁধ এলাকায় একটি গার্মেন্টসে কাজ করত। ঈদের ছুটিতে বাইপাইল থেকে একটি পিকআপ যোগে তিনি সহ তার মা, ভাই, ভাবী, খালা ও খালু মিলে বাড়ি ফিরতেছিল। পথিমধ্যে এলেঙ্গা-জামালপুর মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার চাটিপাড়া এলাকায় পৌঁছলে সড়কের পাশে বাঁকাভাবে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লাকড়ি বোঝাই ট্রাকে ধাক্কা দেয়। এসময় সাথে সাথেই আমার ভাবী নিশি মারা যায়।
তিনি আরও জানান, ওই পিকআপে আমরা প্রায় ২০ জনের মতো যাত্রী ছিলাম। পরে এখানকার লোকজন আহতদের উদ্ধার করে কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে আমার মা মারা যায়।
কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. এলিন আরাফাত অনিক জানান, এই সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ জন রোগী আহতবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে। এদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাদেরকে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে এবং নাসিমা নামের এক নারীর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় হাসপাতালে মারা গেছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছুটি দেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে এলেঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির সাব-ইন্সপেক্টর সাকিব জানান, কালিহাতী উপজেলার বাগুটিয়া চাটিপাড়া এলাকায় মহাসড়কের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি লাকড়ি বোঝাই ট্রাকে ঢাকা বাইপাইল থেকে ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহী পিকআপ দ্রুত এবং বেপরোয়া গতিতে এসে সজোরে ধাক্কা দেয়। এসময় ঘটনাস্থলেই একজন ও কালিহাতী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন মোট দুইজন পিকআপের যাত্রী নিহত হয়। এ ঘটনায় ট্রাক ও পিকআপ জব্দ করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, লাশ দুটি আইনগত ব্যবস্থা শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নাঈম আহমেদ (২৫) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। সোমবার(২৬ জুন) দুপুরে উপজেলার বোয়ালী পেট্রোল পাম্পের সামনে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত নাঈম বোয়ালী কলেজ পাড়ার রফিকুল ইসলামের ছেলে। স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুর ১ টার দিকে বন্ধুর সাথে বোয়ালী পেট্রোল পাম্পে তেল আনতে যায়। টাঙ্গাইলগামী একটি সিএনজি পেছন দিক থেকে মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়।
মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা নাঈম রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজের রেফার্ড করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে বিকেল চারটায় তার মৃত্যু হয়।
নাঈমের মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আরেকজনকে বাঁচাতে গিয়ে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে সজিব হোসেন (২০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও তিন যাত্রী আহত হয়েছেন।
সোমবার (২৬ জুন) রাতে মির্জাপুর স্টেশনের পূর্ব গেটের কাছে বাওয়ার কুমারজানি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সজিব হোসেন নওগাঁ সদর উপজেলার রাইজুর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে।
আহত একজনের পরিচয় জানা গেছে। তিনি হলেন একই জেলার বদলগাছি উপজেলার ওলাবাজার গ্রামের এনামুল হকের ছেলে রেমন হোসেন (২৬)।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাত ১২টার দিকে মির্জাপুর স্টেশনের পূর্ব গেটের কাছে বাওয়ার কুমারজানি নামক স্থানে পৌঁছায়। এ সময় রেললাইনের ওপর দিয়ে টানানো ডিস লাইনের তারে আটকে ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে যান যাত্রী সজিব ও রেমন হোসেন। সজিব ঘটনাস্থলে মারা যান। রেমন গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করেন। ডিস লাইনের তারে আটকে আরও দুই যাত্রী আহত হলেও তারা নিচে পড়েননি। তাদেরকে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দুর্ঘটনায় আহত রেমন হোসেন বলেন, গাজীপুর স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক কারখানায় চাকরি করি। ট্রেনের ছাদে গাদাগাদি করে বসে ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছিলাম। মির্জাপুর রেল স্টেশনের কাছে আসার পর একজন লোক পড়ে যাওয়ার সময় আমার পা টেনে ধরেন। তখন আমরা দুজনই নিচে পড়ে যাই। লোকটি ওখানে মারা গেলেও আমি আল্লাহর রহমতে বেঁচে আছি।
মির্জাপুর স্টেশনের গেটম্যান শান্ত ইসলাম বলেন, দিনগত রাত ১২টার দিকে আহত লোকটি আমার কাছে এসে দুর্ঘটনার খবর দেন। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা এসে আহত ব্যক্তিকে কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে টাঙ্গাইল রেলওয়ে পুলিশ সকালে এসে নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে।
মির্জাপুর রেলস্টেশনের মাস্টার কামরুল হাসান বলেন, ঢাকা থেকে লালমনিরহাটগামী লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি মির্জাপুর স্টেশনে আসার আগেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। টাঙ্গাইল রেলওয়ে পুলিশ সকালে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।
টাঙ্গাইল রেলওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলী আকবার বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে বাইক আরোহী দুই ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হয়েছে।
রোববার (২৫ জুন) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার বাজিতপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হচ্ছেন- উপজেলার পাচনখালী গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে রিফাত (১৪) ও মৃত আয়নাল হকের ছেলে অন্তর আলী (১৬)। তারা উপজেলার বীরতারা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মী।
ধনবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন জানান, রিফাত ও অন্তর আলী মোটরসাইকেলে করে বাজিতপুর এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে সড়কের পাশে থাকা মেহগনি গাছের সঙ্গে মোটরসাইকেল সজোরে ধাক্কা লাগে।
তিনি আরো জানান,এতে ঘটনাস্থলেই তারা নিহত হয়। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে ট্রাকচাপায় হারুন দেওয়ান (৩৫) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক নিহত হয়েছে।
রোববার(২৫ জুন) ভোরে পৌর শহরের মুখতার ফোয়ারা চত্বরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা ট্রাকসহ ট্রাকের চালক জাহিদ হাসানকে (৩০) আটক করে থানায় সোপর্দ করেন। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক নজরুল ইসলাম।
নিহত অটোরিকশাচালক হারুন দেওয়ান বোয়ালী দক্ষিণপাড়া গ্রামের সোমেদ আলীর ছেলে।
ট্রাকচালক জাহিদ হাসান কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার নওদা খাদিমপুর গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রোববার ভোরে সখীপুর মুখতার ফোয়ারা চত্বরে নিজের সিএনজিচালিত অটোরিকশার কাছে চালক হারুন দেওয়ান দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় ঢাকা থেকে সাগরদীঘিগামী দ্রুত গতির একটি ট্রাক হারুনকে চাপা দেয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
সখীপুর থানার উপপরিদর্শক নজরুল ইসলাম জানান, ট্রাক ও চালককে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুর ট্রেনে কাটা পড়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুরে উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের মোহাইল গ্রামে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মোশারফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- উপজেলার রাজগোলাবাড়ী গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে মোঃ আরজু ( ৫০ ) ও তার স্ত্রী সম্পা বেগম (৪৫ ) ।
ঝাওয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান জানান, দুপুরে স্বামী-স্ত্রী দু’জনে মোহাইল গ্রামে যুগীরগোপা নামের একটি দরগায় শিন্নি দিতে যান।সেখান থেকে রেল লাইন দিয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় তারা রেল সেতু পার হওয়ার সময় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ভূঞাপুরগামী ৩৭ নম্বর মেইল ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন।এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
তিনি আরোও জানান, খবর পেয়ে নিহতদের লাশ স্বজনরা নিয়ে যায়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে গাছ কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মো. তারা মিয়া (২৮) নামের এক শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
বুধবার (২১ জুন) বিকালে নাগরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের চরকাঠুরী এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত তারা মিয়া উপজেলার কাঁচপাই গ্রামের আফছার শেখের ছেলে।
জানা যায়, বুধবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে পল্লী বিদ্যুতের লাইন চালু থাকা অবস্থায় কাঠ ব্যবসায়ী রফিক চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক দিয়ে গাছ কাটতে ছিলেন। হঠাৎ করেই বিদ্যুৎদের তারের ওপর গাছের ঢাল পড়ে সাথে সাথেই শরীর বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনা স্থলেই মারা যায় তারা মিয়া। গাছের সাথে ঝুলে থাকে তার লাশ। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোক এসে নিহতের লাশ নিচে নামিয়ে আনেন। আহত অপর দুইজনকে নাগরপুর হাসপাতালে চিৎকিসার জন্য পাঠানো হয়। আহত ব্যক্তিদের নাম ঠিকানা জানা যায়নি।
টাঙ্গাইল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নাগরপুর জোনাল অফিসের কর্মকর্তা মোহাম্মদ মেশবাহুল হক জানান, গাছ কাটার বিষয়ে আমাদের অবহিত করা হয়নি।
নাগরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন অফিসার মো. মেহেদী হাসান বলেন, বিকেল ৫টার দিকে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে নিহতের লাশ গাছ থেকে নিচে নামিয়ে আনা হয়।