/ হোম / দুর্ঘটনা
নাগরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু - Ekotar Kantho

নাগরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে গাছ কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মো. তারা মিয়া (২৮) নামের এক শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

বুধবার (২১ জুন) বিকালে নাগরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের চরকাঠুরী এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহত তারা মিয়া উপজেলার কাঁচপাই গ্রামের আফছার শেখের ছেলে।

জানা যায়, বুধবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে পল্লী বিদ্যুতের লাইন চালু থাকা অবস্থায় কাঠ ব্যবসায়ী রফিক চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক দিয়ে গাছ কাটতে ছিলেন। হঠাৎ করেই বিদ্যুৎদের তারের ওপর গাছের ঢাল পড়ে সাথে সাথেই শরীর বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনা স্থলেই মারা যায় তারা মিয়া। গাছের সাথে ঝুলে থাকে তার লাশ। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোক এসে নিহতের লাশ নিচে নামিয়ে আনেন। আহত অপর দুইজনকে নাগরপুর হাসপাতালে চিৎকিসার জন্য পাঠানো হয়। আহত ব্যক্তিদের নাম ঠিকানা জানা যায়নি।

টাঙ্গাইল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নাগরপুর জোনাল অফিসের কর্মকর্তা মোহাম্মদ মেশবাহুল হক জানান, গাছ কাটার বিষয়ে আমাদের অবহিত করা হয়নি।

নাগরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন অফিসার মো. মেহেদী হাসান বলেন, বিকেল ৫টার দিকে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে নিহতের লাশ গাছ থেকে নিচে নামিয়ে আনা হয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২২. জুন ২০২৩ ০৩:৩৬:এএম ১ বছর আগে
টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নারী নিহত - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নারী নিহত

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের বাসাইলে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় সাজেদা বেগম (৪৫) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন।

বুধবার (২১ জুন ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের নলগাইরা বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত সাজেদা বেগম বাসাইলের কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের পূর্ব পৌলি গ্রামের জামাল মিয়ার স্ত্রী।

স্থানীয়রা জানান, নলগাইরা বাজারের রাস্তার এক পাশে মহিলাটি দাঁড়িয়ে ছিলেন। বাসাইল হতে পাথরঘাটাগামী একটি মোটরসাইকেল মহিলাটিকে ধাক্কা দিলে মহিলাটি রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে যায়। স্থানীয়রা মহিলাকে উদ্ধার করে বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. রমেশ জানান, দুর্ঘটনার পর মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। ইসিজি পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হই হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২২. জুন ২০২৩ ০১:০০:এএম ১ বছর আগে
টাঙ্গাইলে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে বৃদ্ধ নিহত - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে বৃদ্ধ নিহত

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে ফসলের মাঠ (চক) থেকে গরু আনতে গিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে ফজলুল হক (৫০) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এতে ফজলুল হকের শরীরের বিভিন্ন অংশ ভষ্মিভুত হয়ে যায়।

বুধবার (২১ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে গোপালপুর উপজেলার নগদাশিমলা ইউনিয়নের বাইশকাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ফজলুল হক ওই গ্রামের জহুর আলীর ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন।

তিনি জানান, ফজলুল হক দুপুরে মাঠ থেকে গরু নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছিল। হঠাৎ বজ্রপাতের কবলে পড়েন তিনি। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। পরে খবর পেয়ে তার মরদেহ স্বজনরা বাড়ি নিয়ে গেছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২১. জুন ২০২৩ ১১:৪০:পিএম ১ বছর আগে
টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাক চালকের সহকারী কিশোর নিহত - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাক চালকের সহকারী কিশোর নিহত

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আবির হোসেন (১৪) নামে ট্রাক চালকের সহকারী এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (১১ জুন) ভোরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার দেওহাটা বেঙ্গল কারখানার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত কিশোর আবির হোসেন নাটোরের বাসমারা এলাকার খোকন মিয়ার ছেলে।

সে বাবার সঙ্গে ট্রাকে সহকারী হিসেবে কাজ করতো। বাবা খোকন মিয়া ট্রাকচালক।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, শনিবার রাতে বাবার সঙ্গে মালভর্তি ট্রাক নিয়ে ঢাকা থেকে নাটোরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে আবির হোসেন। রোববার ভোররাতে মহাসড়কের দেওহাটা বেঙ্গল কারখানার সামনে পৌঁছালে সামনে থাকা অজ্ঞাতপরিচয় একটি যানের পেছনে ট্রাকটি ধাক্কা দেয়। এতে ট্রাকে বাবার পাশে থাকা আবির ঘটনাস্থলেই মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ ও ট্রাকটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বাবা খোকন মিয়া সুস্থ আছেন।

গোড়াই হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১২. জুন ২০২৩ ০৩:৫৯:এএম ১ বছর আগে
টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেল ও অটোভ‍্যানের মুখোমুখি সংর্ঘষে নিহত ১ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেল ও অটোভ‍্যানের মুখোমুখি সংর্ঘষে নিহত ১

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে মোটরসাইকেল ও ব্যাটারি চালিত অটোভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ভ্যান চালক নিহত হয়েছে।

শনিবার (১০ জুন) রাতে উপজেলার টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের রক্তিপাড়া তারা ফিলিং স্টেশনের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত ভ্যান চালকের নাম আ. সোবহান (৭০)। তিনি উপজেলার আলোকদিয়া ইউনিয়নের রক্তিপাড়া গ্রামের মৃত কাইঞ্চা শেখের ছেলে।

এই ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক ও অপর মোটরসাইকেল আরোহী গুরুতর আহত হয়েছে।

গুরুতর আহতরা হলেন, মোটরসাইকেল চালক উপজেলার কাকরাইদ গ্রামের মোঃ আশরাফুল ইসলামের ছেলে মোঃ বিপ্লব(২২) ও মোটরসাইকেল আরোহী ঘাটাইল উপজেলার টিলা বাজার গ্রামের মোছাঃ আনজুম (২০)

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার রাত ৯ টার দিকে ভ্যানচালক সোবাহান ভ্যান নিয়ে রক্তিপাড়া নিজ বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। এসময় অপরদিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে ভ্যানটির মুখোমুখি সংর্ঘষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ভ্যানচালক সোবাহান নিহত হয়।

এসময় স্থানীয়রা মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে কত্যর্বরত চিকিৎসক আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মুরাদ হোসেন জানান, রাত ৯টার দিকে রক্তিপাড়া এলাকায় একটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই ভ্যান চালক মারা যায়। এ ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আনা হয়। পরে তাদের অবস্থার অবনতি হলে তাৎক্ষনিকভাবে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১১. জুন ২০২৩ ০৬:০৮:পিএম ১ বছর আগে
টাঙ্গাইলে শখের মোটরসাইকেলে ছেলেকে হারানোর পর পাগলপ্রায় মা-বাবা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে শখের মোটরসাইকেলে ছেলেকে হারানোর পর পাগলপ্রায় মা-বাবা

একতার কণ্ঠঃ মা–বাবা মোটরসাইকেল কিনে দিতে রাজি ছিলেন না। কিন্তু কিশোর সাব্বির আলম (১৭) নাছোড়বান্দা। ছেলের জেদে বাধ্য হয়ে মোটরসাইকেল কিনে দেন বাবা। এরপর ছয় মাসও যায়নি। শখের সেই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনাতেই প্রাণ গেল সাব্বির আলম ও তাঁর বন্ধু হামিদের (১৭)। ছেলেকে হারিয়ে পাগলপ্রায় সাব্বিরের মা–বাবা। হামিদের বাড়িতেও চলছে মাতম।

সাব্বিরদের বাড়ি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার টেপিকুশারিয়া গ্রামে। সে ঘাটাইল জিবিজি সরকারি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাবা মো. সুরুজ্জামান পেশায় রংমিস্ত্রি। মা গৃহিণী। সাব্বিরের বন্ধু হামিদ পার্শ্ববর্তী মানিকপুর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে। সে ছনখোলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

সাব্বিরের বাবা মো. সুরুজ্জামান কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘ছেলেরে শখ পূরণ করতে মোটরসাইকেল কিইনা দিলাম, সেই মোটরসাইকেলেই তাঁর জীবন গেল।’

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, গত রোববার(৪ জুন) সকালে সাব্বির তাঁর বন্ধু হামিদ ও সাদিককে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে ঘুরতে বের হয়। তারা মধুপুরের রাবারবাগান এলাকায় ঘুরে বাড়ির দিকে ফিরছিল। পথে মধুপুরের মহিষমারা ইউনিয়নের হাজিবাড়ি মোড়ে পৌঁছালে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলে সাব্বির ও হামিদ নিহত হয়। অপর বন্ধু সাদিক আহত হয়। তবে সে শঙ্কামুক্ত।

মধুপুর থানায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে রোববার সন্ধ্যায় সাব্বিরের লাশ টেপিকুশারিয়ায় তাদের গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়। হামিদের লাশ নেওয়া হয় মানিকপুরের গ্রামের বাড়িতে। স্থানীয় ইউপি সদস্য রোকিবুল ইসলাম জানান, এ সময় উভয়ের বাড়িতে স্বজনদের কান্নার রোল পড়ে। উভয়ের বাড়িতে করুণ দৃশ্যের অবতারণা হয়। গ্রামের মানুষ তাদের লাশ দেখতে ভিড় করে। সন্ধ্যার পর জানাজা শেষে নিজ নিজ গ্রামে তাদের দাফন করা হয়।

নিহত সাব্বিরের চাচা নুরুল ইসলাম বলেন, সাব্বির ছিল মা–বাবার বড় সন্তান। তার সাত বছর বয়সী আরেক ভাই রয়েছে। নিহত হামিদের ছোট এক বোন ও এক ভাই রয়েছে। ছোট ভাইটি মানসিক প্রতিবন্ধী।

স্থানীয় লোকজন বলছেন, ঘাটাইল ও মধুপুর এলাকায় কিশোর মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে তারা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এসব নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

ঘাটাইল থানা সূত্র জানায়, সাব্বির, হামিদ ছাড়াও গত ১৯ মাসে ঘাটাইলে অন্তত ১০ জন কিশোর-যুবক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। তারা সবাই বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ঘাটাইল উপজেলার গুণগ্রামে দ্রুতগামী মোটরসাইকেলের সঙ্গে অজ্ঞাত একটি গাড়ির ধাক্কা লাগে। এতে ওই মোটরসাইকেল আরোহী সোনা মিয়া (২০), শামীম (২২) ও আলমগীর (৩০) ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তাঁরা ঘাটাইলে একটি ওয়ার্কশপের শ্রমিক ছিলেন।

২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর একই সড়কের ঘাটাইলের বানিয়াপাড়া এলাকায় দ্রুতগামী মোটরসাইকেলের সঙ্গে ট্রাকের ধাক্কা লাগে। এতে মোটরসাইকেলের আরোহী সাকিম হাসান (১৭) ও সুমন (১৬) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। তাঁরা দুজনেই ঘাটাইল গণ উচ্চবিদ্যালয় থেকে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। ২০২১ সালের ৮ নভেম্বর ঘাটাইলের ধলাপাড়া চেয়ারম্যানবাড়ির মোড়ে দ্রুতগামী মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে তিনজন স্কুলছাত্র ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। তারা হচ্ছে শরীফ (১৬) আবু বক্কর (১৭) ও সাইম (১৬)।

এ ছাড়া প্রতিনিয়ত ঘটছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। যেসব দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে না, তার রেকর্ড থানা পর্যন্ত আসে না বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে।

পুলিশ বিভাগের একটি সূত্র জানায়, ঘাটাইলে অন্যান্য উপজেলার তুলনায় বেশি মোটরসাইকেল চললেও এখানে ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্টের পদে কোনো কর্মকর্তা নেই। ট্রাফিক বিভাগ একজন শহর উপপরিদর্শক (টিএসআই) ও তিনজন ট্রাফিক কনস্টেবল দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে। তাদের কার্যক্রম উপজেলা সদরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে।

এ ছাড়া প্রতিনিয়ত ঘটছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। যেসব দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে না, তার রেকর্ড থানা পর্যন্ত আসে না বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে।

সরকারি মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শামসুল হুদা বলেন, অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। স্কুল–কলেজপড়ুয়া সন্তানদের মোটরসাইকেল ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করতে হবে। সেই সঙ্গে প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৬. জুন ২০২৩ ০৬:২৭:পিএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে পানিতে ডুবে বৃদ্ধের মৃত্যু - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে পানিতে ডুবে বৃদ্ধের মৃত্যু

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে বাসাইলে পুকুরে গোসল করতে নেমে ডুবে গিয়ে রেনু বেগম (৬০) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৪ জুন) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার কাউলজানী ইউনিয়নের কলিয়া পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রেনু বেগম ওই গ্রামের খসরু মিয়ার স্ত্রী।

স্থানীয়রা জানান, সকালে রেনু বেগম বাড়ির সামনের পুকুরে গোসল করতে নামে। এক পর্যায়ে তিনি পানিতে ডুবে যায়। এসময় এক কিশোর বিষয়টি দেখে স্থানীয়দের খবর দেয়। পরে তার পরিবার ও স্থানীয়রা মাছ ধরার ঝাঁকি জাল দিয়ে পানিতে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

নিহতের স্বামী খসরু মিয়া বলেন, আমার স্ত্রী মানসিকভাবে অসুস্থ্য। এজন্য আমি তাকে গোসলও করিয়ে দিতাম। সকালে আমার অজান্তে সে পুকুরে নেমে নিখোঁজ হয়। পরে পুকুরের পানিতে খোঁজাখুঁজির পর তার লাশ পাওয়া যায়।

স্থানীয় ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য ফরিদা আক্তার বলেন, রেনু বেগম দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ্য ছিলেন। সকালে তিনি বাড়ির সামনে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে ডুবে নিখোঁজ হয়। পরে স্থানীয়রা মাছ ধরার ঝাঁকি জালসহ বিভিন্নভাবে পুকুরে নেমে তাকে খুঁজতে থাকে। প্রায় এক ঘন্টা পর তার লাশ পাওয়া যায়।

তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে নিহতের বাড়িতে পুলিশ এসেছিল। নিহত রেনু মানসিকভাবে অসুস্থ্য ছিল এজন্য মুছলেকা দিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশটি রেখে দিয়েছি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৫. জুন ২০২৩ ০৩:২৯:এএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে ঘুরতে মোটরসাইকেলে তিন বন্ধু, প্রাণ গেল দুজনের - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ঘুরতে মোটরসাইকেলে তিন বন্ধু, প্রাণ গেল দুজনের

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় ঘুরতে বের হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল আরোহী দুই বন্ধু নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরেক বন্ধু।

রবিবার (০৪ জুন) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার মহিষমারা ইউনিয়নের গারোবাজার-কাকরাইদ আঞ্চলিক সড়কের হাজীবাড়ী মোড় নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দুই বন্ধু হলেন: ঘাটাইল উপজেলার টেপি কুশারিয়া গ্রামের মো. সুরুজ আলীর ছেলে সাব্বির আলম (১৮) এবং রমজান আলীর ছেলে মো. হাবিব (১৭)। এ সময় সাদিক নামে তাদের আরেক বন্ধু আহত হয়েছেন। তাকে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, তিন বন্ধু মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয়। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে মোটরসাইকেলটির ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই সাব্বির ও হাবিব নিহত হয়। গুরুতর আহত হয় সাদিক নামে আরেকজন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

তিনি বলেন, সাদিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মারা যাওয়া দুই বন্ধুর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আনা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৫. জুন ২০২৩ ০২:২৮:এএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেলের বেপরোয়া গতি কেড়ে নিল ২ প্রাণ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেলের বেপরোয়া গতি কেড়ে নিল ২ প্রাণ

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারী ও মোটরসাইকেল চালকসহ ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন মোটরসাইকেল আরোহী আরও একজন।

শুক্রবার (২ জুন) বিকালে ভূঞাপুর-বঙ্গবন্ধু আঞ্চলিক সড়কের উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের চিতুলিয়াপাড়া কদমতলা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি ভূঞাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. লিটন মিয়া নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন-কালিহাতী উপজেলার সল্লা ইউনিয়নের জাবরাজান গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে মোটরসাইকেল চালক শিশির (৩০), ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের রুহুলী গ্রামের মৃত জসীম উদ্দিনের ছেলে পথচারী আন্তাজ আলী মন্ডল (৬৫)।

গুরুতর আহত যুবকের নাম ইয়ামিন (২২)। ইয়ামিন ভুঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের গোলাবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকালে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের চিতুলিয়াপাড়া কদমতলী নামক স্থানে আন্তাজ আলী মন্ডল রাস্তা পারাপার হচ্ছিল। পথিমধ্যে মাটিকাটা থেকে ছেড়ে আসা বেপরোয়া গতির একটি মোটরসাইকেল গোবিন্দাসী যাওযার পথে আন্তাজ আলীকে ধাক্কা দেয়।

এসময় মোটরসাইকেলের চালক, আরোহী ও পথচারী সড়কে ছিটকে পড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলে চালক মারা যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় পথচারী ও আরোহীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে হাসপাতালে নিয়ে গেলে আন্তাজ আলীকে কর্তব্যরত চিকিৎসা মৃত ঘোষণা করেন। অপর আরোহী ইয়ামিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. লিটন মিয়া জানান, বিকালে চিতুলিয়া পাড়া নামকস্থানে মাটিকাটা থেকে একটি মোটরসাইকেল চালক আরোহীসহ গোবিন্দাসীর দিকে যাচ্ছিল। সে সময় একজন পথচারী রাস্তা পারাপার হচ্ছিল। সেসময় মোটরসাইকেলটি তাকে ধাক্কা মারে।

তিনি জানান, এতে ঘটনাস্থলে চালক মারা যায়। পরে দুইজন গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ভূঞাপুর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আন্তাজ আলীকে মৃত ঘোষণা করে। অপরদিকে, মোটরসাইকেল আরোহী ইয়ামিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলে মারা যাওয়া মোটরসাইকেল চালক শিশিরের পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যায় এবং আন্তাজ আলী মন্ডলের মরদেহ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে আইনী প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। অপর আরোহীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৩. জুন ২০২৩ ০৩:৩৩:এএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে বাস চাপায় একই পরিবারের তিনজন সহ নিহত চার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে বাস চাপায় একই পরিবারের তিনজন সহ নিহত চার

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে বাস চাপায় একই পরিবারের তিন জনসহ চার জন নিহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার(১ জুন) বেলা আড়াইটার দিকে টাঙ্গাইল-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের মধুপুর উপজেলার গাংগাইরের গোমা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন জেলার ধনবাড়ী উপজেলার পাইস্কা ইউনিয়নের পাইটকা গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে মাইন উদ্দিন (৪২)। মাইন উদ্দিনের স্ত্রী ছালেহা বেগম (৩০), ও তাদের সন্তান সিয়াম (৬) এবং ভ্যান চালক একই গ্রামের দরাজ আলীর ছেলে ফরহাদ হোসেন (৪০)।

মধুপুর ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন মাস্টার হেমায়েল কবির জানান, মধুপুর থেকে ঢাকাগামী বিনিময় পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো-১৪-৩৬৪১) টাঙ্গাইল-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের গাংগাইর গোমা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা ব্যাটারি চালিত অটোভ্যান রিক্সাকে চাপা দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

তিনি আরো জানান,এতে ঘটনাস্থলেই অটোভ্যানের চালকসহ তিনজন নিহত হন। আহত এক শিশুকে উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই শিশুটির মৃত্যু হয়।

মধুপুর থানার উপ-পরিদর্শক আপেল মাহমুদ জানান, ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ঘাতক বাসটিকে আটক করা হয়েছে। চালক পলাতক রয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০১. জুন ২০২৩ ১১:৪৩:পিএম ২ বছর আগে
বজ্রপাতে টাঙ্গাইলের তরুণ ক্রিকেটারের মর্মান্তিক মৃত্যু - Ekotar Kantho

বজ্রপাতে টাঙ্গাইলের তরুণ ক্রিকেটারের মর্মান্তিক মৃত্যু

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের তরুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটার তামজিদ আহমেদের (১৯ ) বজ্রপাতে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (৩১ মে) দুপুরে গোপালগঞ্জ শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালীন সময়ে বজ্রপাতের শিকার হয় তামজিদ। পরে তাকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

নিহত তামজিদ টাঙ্গাইলের ভুঞাপর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের কদিম নিকলা গ্রামের মোঃ ইমান আলীর ছেলে।

এ প্রসঙ্গে, টাঙ্গাইল জেলা ক্রিকেট কোচ মো. আরাফাত রহমান জানান, বুধবার দুপুরে স্টেডিয়ামটিতে গোপালগঞ্জ আবাহনী ক্রিকেট একাডেমি ও ঢাকার ফ্রেন্ডস স্পোর্টস একাডেমির মধ্যে ৩ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ চলছিল। ম্যাচটিতে তামজিদ ঢাকার ফ্রেন্ডস স্পোর্টস একাডেমির হয়ে খেলছিল।

তিনি জানান, দুপুর দেড়টার দিকে আকাশে সামান্য মেঘ ছিল। তামজিদ আহমেদ ডিপ স্কোয়ার লেগে ফিল্ডিং করছিলেন। খেলার ৩৫তম ওভারের সময় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় বজ্রপাত হলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সতীর্থরা দৌড়ে কাছে গিয়ে দেখতে পান, তামজিদের পরিহিত জার্সির অনেকাংশ পুড়ে গেছে। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আনসার আহমেদ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, দুই বছর আগে ঢাকা ফ্রেন্ডস স্পোর্টস একাডেমিতে ভর্তি হয়েছিলেন তামজিদ। গোপালগঞ্জ আবহানী ক্রিকেট একাডেমির সঙ্গে সিরিজ খেলতে দলের সঙ্গে গোপালগঞ্জে এসেছিলেন তিনি। তামজিদ টাঙ্গাইল জেলা দলের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৪, অনূর্ধ্ব-১৬ ও অনূর্ধ্ব-১৮ জাতীয় ক্রিকেট খেলেছেন। ক্রিকেট প্র্যাকটিসের পাশাপাশি তামজিদ ঢাকায় জীবিকা নির্বাহের জন্য ফুড পান্ডায় ডেলিভারি ম্যানের কাজ করতো।

তামজিদের অকাল মৃত্যুতে টাঙ্গাইল জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার ও সাধারণ সম্পাদক মির্জা মঈনুল হোসেন লিন্টু গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০১. জুন ২০২৩ ০১:৩০:এএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে কাভার্ডভ্যানের চাপায় ঘুমন্ত মা-মেয়ে নিহত - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে কাভার্ডভ্যানের চাপায় ঘুমন্ত মা-মেয়ে নিহত

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে থাকা বসতঘরে উপর উঠে গেলে ঘুমন্ত মা-মেয়ে নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বাবা খোকন চন্দ্র রবি দাস।

সোমবার (২৯ মে) দিনগত রাত ৩টার দিকে টাঙ্গাইল-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার নল্লা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- খোকন চন্দ্র রবি দাসের স্ত্রী ফুল রানী (৪২) ও মেয়ে রাধিকা রানী দাস (১২)। আহত খোকন চন্দ্র রবি দাস ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা উপজেলার নল্লা এলাকার বাসিন্দা।

মঙ্গলবার (৩০ মে) সকালে ধনবাড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম জসিম উদ্দিন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এ ব্যাপারে ধনবাড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম জসিম উদ্দিন জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরগামী একটি পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নল্লা বাজার এলাকার খোকন চন্দ্র রবি দাসের বাড়ীতে উঠে পড়ে। এতে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা মা ও মেয়ে মারা যান। গুরুতর আহত হয় বাবা। পরে আহত খোকনকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, পিকআপটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় চালক পালিয়ে গেছে। নিহত মা-মেয়ের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৩০. মে ২০২৩ ০৬:৫৭:পিএম ২ বছর আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।