একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় করটিয়ার কলেজ পাড়ায় বিয়ের দাবিতে সাইফুল ইসলাম নামে এক যুবকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে এক নারী। শুক্রবার(২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে সাইফুলের বাড়িতে অবস্থান করছেন কথিত ওই প্রেমিকা।
যুবক সাইফুল ইসলাম বাবু সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের কলেজপাড়া এলাকার মো. মনোয়ার হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো.শাহীন মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেওয়া ওই নারী জানায়, সে আর সাইফুল এক সাথে টাঙ্গাইল ‘ল’ কলেজে পড়ালেখা করতো। সেই সুবাদে বিগত ১ বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠেছে।
তিনি আরো জানান, সাইফুল তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সর্বস্ব লুটে নিয়েছে। এখন বিয়ে করতে অস্বীকার করছে তার প্রেমিক সাইফুল। এমনকি সাইফুলের পরিবারও এই সম্পর্ক মানতে নারাজ। এমন পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নিয়েছেন তিনি । তাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবেন বলেও জানান ওই নারী।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকাল থেকে ওই নারী বিয়ের দাবিতে সাইফুলের বাড়িতে অবস্থান করছেন।
অবশ্য সাইফুল ওই মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক অস্বীকার করছেন।’
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস ছালাম মিয়া জানান, এ নিয়ে ওই নারী এখনো থানায় কোনও অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার হতেয়া-রাজাবাড়ি ইউনিয়নের তক্তার চালা মৌজার ঝিনিয়া পুর্বপাড়ায় সরকারি পুকুর (সায়রাত মহল) থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছে স্থানীয় যুবলীগ নেতা শামীম সহ তক্তারচালা নতুন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফরহাদ সিকদার, মো. শান্ত মিয়া, সোহেল সিকদার ও তুহিন মিয়া।
সরেজমিনে দেখাযায়, উপজেলার তক্তার চালা মৌজার ঝিনিয়া পুর্বপাড়া গ্রামের ৭২ শতাংশ আয়তনের একটি সরকারি পুকুর থেকে ভেকু বসিয়ে ১৫-২০টি ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটি কেটে সততা এন্টার প্রাইজের রশিদের মাধ্যমে বিক্রি করছেন একটি মহল। সরকারি শাল-গজারী বনের মধ্যে অবস্থিত পুকুরটি থেকে মাটি কাটতে গিয়ে অনেক মুল্যবান বনজ গাছ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এছাড়া স্থানীয় এলাকাবাসীর চলাচলের একমাত্র মাটির রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। রাস্তার পাশের বাড়ি গুলোতে লাল মাটির ধুলার আস্তরণ পড়ে গেছে। এই মহলটি এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেনা।
এছাড়াও কোটি টাকা ব্যয় করে নতুনভাবে সংস্কার করা তক্তার চালা-বাইটকারচালা সড়কটিতে দিনরাত ড্রাম ট্রাক চলাচলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ওই সড়কটি।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বেশ কয়েকজন জানায়, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে এলাকার বিভিন্ন টিলা কেটে মাটি বিক্রি করে আসছে।
তারা আরো জানান, স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই তারা সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভিতর থেকে বনভুমি বিনষ্ট করে লাল মাটি কাটার সাহস পাচ্ছে। গত একমাস যাবৎ তারা ভুমি অফিসে মাটি ফেলার নাম করে সরকারি ওই পুকুর থেকে মাটি কাটছে। লোক দেখানোর জন্য নাম মাত্র ইউনিয়ন ভুমি অফিসে অল্প কিছু মাটি ফেলছে। পুকুরের নব্বই শতাংশ মাটি তারা রশিদের মাধ্যমে অন্যত্র বিক্রি করছে। কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে নানাভাবে হেনস্থা করা হয় বলে তারা জানান।
এ প্রসঙ্গে মাটি ব্যবসায়ী যুবলীগ নেতা শামীম মিয়া মুঠোফোনে জানান, সরকারি পুকুর থেকে মাটি কেটে সখিপুর উপজেলা চত্তর ও হাতীহান্ধা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে মাটি ফেলা হচ্ছে। অন্যত্র মাটি বিক্রির কথা জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।
হাতীবান্ধা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহকারী হামিদুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি নতুন এসেছি, এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারবো না। আপনি ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তার কাছে জানেন।
হাতীবান্ধা ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা সাঈদা নাজনিন জানান, ওই পুকুর থেকে সরকারি ভাবে মাটি কাটা হচ্ছে। কিছু মাটি ভূমি অফিসে ফেলা হচ্ছে। আর অবশিষ্ট মাটি অন্যত্র বিক্রি করে তাদের ভেকু খরচ উঠিয়ে নিচ্ছে।
সখীপুর সহকারী কর্মকর্তা(ভূমি) হা-মীম তাবাসসুম প্রভার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্ঠা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আলম জানান, সখিপুরে হাতীবান্ধা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সামনে নিচু জায়গা ভরাট করার জন্য ওই সরকারি পুকুর থেকে মাটি কাটার বিষয়টি আমি জানি। সরকারি বিধি মোতাবেক মাটি ভরাট করতে গেলে সময় ও ব্যায় বেশি হওয়ায় মৌখিকভাবে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ আসন্ন টাঙ্গাইল জেলা যুবলীগের সম্মেলন উপলক্ষে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীতা ঘোষণা করলেন ইঞ্জিনিয়ার মো. কামাল আহমেদ। শুক্রবার (২৮ এপ্রিল)বিকেলে শহরের আইনজীবী সহকারি সমিতির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ প্রার্থীতা ঘোষণা করেন। কামাল আহমেদ বর্তমানে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
মত বিনিময়কালে কামাল আহমেদ বলেন, আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান। সেই ১৯৯৩ সালে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে যোগদান করি। পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে ঘাটাইল উপজেলার দিঘলকান্দি ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। ১৯৯৯ সালে ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্রলীগের সভাপতি ও বাংলাদেশ কারিগরি ছাত্র পরিষদের (বাকাছাপ) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। ২০০০ সালে সততার সাথে দিঘলকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের আহŸায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। ২০০১ সালে ঘাটাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলাম। ২০০৬ সালে ঘাটাইল উপজেলা যুবলীগের সদস্য ছিলাম। এছাড়া গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে কালিহাতী আসনে সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করে অল্প কিছু ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হই।
ইঞ্জিনিয়ার কামাল আরও বলেন, ছোট বেলায় ছাত্রলীগ করলেও পরবর্তীতে যুবলীগের দায়িত্ব পালন করেছি। সেই থেকে যুবলীগের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক হয়। যুবলীগকে ভালবেসে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এমপির হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়েছি। যুবলীগের শহর থেকে তৃণমুল পর্যালের সকল কাউন্সিলর ও ডেলিগেটেরদের সাথে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। আমি যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হতে পারলে উপজেলা, শহর ও ওয়ার্ড পর্যায়ের যুবলীগের পুর্ণাঙ্গ কমিটি করা হবে। আর এসব কমিটি প্রবীণ ও ত্যাগীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। অপর দিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি আসনে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে দিন-রাত জনগনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরবো।
তিনি বলেন, যদি আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয় তাহলে সকলকে সাথে নিয়ে বর্তমান যে যুবলীগের কমিটি রয়েছে তার চেয়ে গ্রহণযোগ্য গতিশীল কমিটি করে টাঙ্গাইল জেলাবাসীকে উপহার দেবো। সকলের দোয়া ও সহযোগিতা চেয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট চান তিনি।
ইঞ্জিনিয়ার মো. কামাল আহমেদ টাঙ্গাইল শহরের দেওলা এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। তিনি কালিহাতীর পৌরসভা সালেঙ্কা এলাকার মৃত মতিউর রহমানের ছেলে। তিনি ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট থেকে ২০০১ সালে ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন। ঘাটাইল উপজেলার হামিদপুর বাজার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছে। কামাল আহমেদ বর্তমানে ঠিকাদারি ও একাধিক ব্যবসার সাথে জড়িত।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে আপন ভাইয়ের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আবুল হোসেন ওরফে গাজী (৫৫) নামের এক ব্যাক্তিকে কীটনাশক খাইয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের পালিমা সীমাকাছরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবুল হোসেন ওরফে গাজী পালিমা সীমাকাছরা গ্রামের মৃত রিয়াজ মন্ডলের ছেলে।
নিহত আবুল হোসেনের মেয়ে নার্গিস আক্তার জানান, আমার বাবা আবুল হোসেন ওরফে গাজী সীমাকাছরা এলাকার মৃত ইকবাল হোসেনের ছেলে বেলালের সেচ মেশিন লীজ নিয়ে জমিতে সেচ দিচ্ছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় আমার মা ও বড় ভাই সালমানের মাধ্যমে জানতে পারি বুধবার (২৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে আমার বাবাকে একজন ডেকে নিয়ে যায়। পরে ফজরের আযানের সময় ঘরের বারান্দায় বাবাকে ফেলে রেখে আমার মাকে ডাক দিয়ে চলে যায়। পরে আমার মা বাইরে এসে দেখে বাবার হাত মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা এবং মুখ দিয়ে গোলটা বের হচ্ছে।
তিনি জানান, পরে আমার ভাইকে ডেকে এনে দ্রুত টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার বলেন তাকে কীটনাশক খাওয়ানো হয়েছে। ওয়াশ করে সেগুলো বের করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ডাক্তার আমার বাবাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরো জানান, তার আপন চাচা করিমের সাথে বাড়ির জমি জমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গত তিনদিন আগেও চাচা করিম, তার ছেলে আশরাফুল ও তার উকিল বিয়াই মকবুল আমার বাবাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং আমার চাচা বলে যে পর্যন্ত আবুল কে না মারমু সে পর্যন্ত ভাত খামুনা।
এসময় তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবাকে আমার চাচা করিম ও তার উকিল বিয়াই মকবুলরাই মেরে ফেলেছে।
এবিষয়ে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান,নিহতের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম কালিহাতী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর সময় অজ্ঞাতনামা ট্রলির চাপায় মাথা থেথলে প্রাণ গেল আরিফুল ইসলাম রাফি (২৩) নামের এক যুবকের।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টায় টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের মধুপুর পৌর এলাকার নরকোণায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আরিফুল ইসলাম রাফি পৌর এলাকার দক্ষিণ দামপাড়ার জামাল হোসেনের ছেলে। সে আউটসোর্সিং এর কাজ করত।
স্থানীয়রা জানায়, বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল রাফি। ঘটনাস্থলে একটি ট্রলিকে অতিক্রম করতে গিয়ে ট্রলির চাপায় মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ১০০ শয্যার মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
মধুপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়ের টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশ থেকে মধুপুর থানা পুলিশ ষাটোর্ধ এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে স্থানীয় লোকজন রসুলপুর মহুয়া কটেজ বন বিশ্রামাগার সংলগ্ন টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে বৃদ্ধের লাশ পড়ে থাকতে দেখে মধুপুর থানা পুলিশের অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মধুপুর থানায় নিয়ে আসে।
অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির এস আই শফিকুল ইসলাম জানান, লাশটি অজ্ঞাত হিসাবে উদ্ধার করা হয়। পরে বিকালের দিকে লোকমুখে চারদিকে খবর ছড়িয়ে পড়লে জানা যায় লাশটি পাশ্ববর্তী ময়মনসিংহ জেলার, মুক্তাগাছা উপজেলার বিন্যাকুড়ি গ্রামের মানসিক ভারসাম্যহীণ জনৈক বৃদ্ধের।
তিনি আরো জানান, লাশটি একটি মাটির ঢিপির সাথে হেলানো অবস্থায় ছিল। লাশের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্ট্রোকজনিত কারণে বৃদ্ধের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তার (মৃতের) আত্মীয় স্বজন থানায় আসতেছে। তারা লাশ সনাক্ত করলে সঠিক পরিচয় জানা যাবে।
তিনি জানান,লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে আইনী প্রক্রিয়া শেষে লাশ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে আব্দুস সাত্তার(৬২) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে মির্জাপুর পৌর এলাকার বাওয়ার কুমারজানী ট্রেনলাইনে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত আব্দুর সাত্তার ওই গ্রামের খোকা মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবার জানায়, কৃষক আব্দুস সাত্তার ভোরে গরু চড়ানোর উদ্দেশ্যে ট্রেন লাইন পার হওয়ার সময় রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেন দেখে গরু দু’টি এলোমেলো দৌঁড়াতে থাকে। ওই সময় গরু দু’টি সামলাতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পরিবারের সদস্যরা আরও জানায়, মাস দুয়েক আগেও মাঠে গরু চরাতে গিয়ে ভিমরুলের কামড় খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন আব্দুর সত্তর। এবার তাকে প্রাণ দিতে হলো। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া বইছে।
মির্জাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার কামরুল ইসলাম জানান, গরু রক্ষা করতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে কৃষকের মৃত্যুর বিষয়টি শুনেছি। পরে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী তাঁর মরদেহ নিয়ে গেছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে স্ত্রীর সাথে অভিমান করে আলমগীর হোসেন (২৩) নামের এক যুবক গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে মৃতের দাদির ঘরের আড়ায় ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে মধুপুর থানা পুলিশ।
আত্নহননকারী আলমগীর মধুপুর উপজেলার আকাশী গ্রামের আবু হানিফের ছেলে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্র জানা যায়, পারিবারিক কলহে স্ত্রীর সাথে আলমগীরের বেশ কিছু দিন যাবৎ অভিমান চলছিল।
মধুপুর থানার উপ পরিদর্শক(এসআই) আমির আলী জানান, পারিবারিক কলহের জেরে সে গলায় ফাঁস দিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় রাত দিনের কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে ৩ জনের ফাঁসী দেওয়া লাশ উদ্ধার করেছে মির্জাপুর থানা পুলিশ।
এদের মধ্যে একজন বৃদ্ধ ও দুইজন শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) রাত থেকে বুধবার (২৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত উপজেলার কুড়াতলি, কুইচতারা ও পোস্টকামুরী গ্রামে এই ঘটনা গুলো ঘটে।
মির্জাপুর থানা সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের কুড়াতলী গ্রামের আব্দুল কাদের পলান (৬০) বাড়ির পাশে একটি গাব গাছের ডালে দড়ি পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। গভীর রাতে তাঁর স্ত্রীর ঘুম ভেঙে গেলে পলানকে দেখতে না পেয়ে খুঁজতে থাকেন।
পরে বাড়ির পাশে গাব গাছে তাঁর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান পরিবারের লোকজন। আত্মহত্যার কোনো কারণ জানা যায়নি।
এ দিকে মঙ্গলবার রাত ১ টার দিকে উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের কুইচতারা গ্রামের সৌদিপ্রবাসী আব্দুস ছালাম মিয়ার দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে সায়মা আক্তার শিমু (১৫) ঘরের সিলিং ফ্যানে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। রাতে শিমুর মা ঘুম ভেঙে মেয়েকে দেখেত না পেয়ে পাশের ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় শিমুর মরদেহ দেখতে পান।
এ ব্যাপারে পরিবারের লোকজন মৃত্যুর কারণ পুলিশকে জানাতে পারেনি।
অন্যদিকে, ইয়ামাহা ব্র্যান্ডের (আর ওয়ান ফাইভ) মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ার কারনে বুধবার সকাল সারে দশটার দিকে পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের বসবাসরত পোস্টকামুরী গ্রামের আমিনুল হোসেন লিটনের কলেজ পড়ুয়া ছেলে ফয়সাল আহমেদ জয় (১৭) তাঁর কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। জয়ের মা হোসনেয়ারা সকালের নাশতা খেয়ে তাকে বাসায় রেখে পাশেই তার বাবার বাড়িতে যান। কিছুক্ষণ পর তারই ছোট বোন বাসায় ফিরে এসে জয়কে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
পরে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হসপিটালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, লাশ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এ সব ঘটনায় থানায় তিনটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ৯০ বছরের এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণের অভিযোগে পলাশ (২৬) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) ভোরের দিকে উপজেলার এলেঙ্গা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত পলাশ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের কদিমহামজানী গ্রামের শরিফ উদ্দিনের ছেলে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) রাতে পলাশকে আসামি করে ভুক্তভোগীর ছেলে বাদী হয়ে কালিহাতী থানায় মামলা করেন।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ভোরে নিজের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন বৃদ্ধা। তার তিন ছেলে আলাদা আলাদা ঘরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকেন। বৃদ্ধার গোঙানির শব্দ পেয়ে পাশের ঘর থেকে ছেলের বউ এসে দেখেন দরজা বাইরে থেকে আটকানো। তখন ছেলের বউ চোর এসেছে বলে চিৎকার করেন। এরপর পরিবারের লোকজন ঘরে ঢুকে বৃদ্ধাকে খাটের নিচে পড়ে থাকতে দেখেন। ধর্ষণে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে কিল ঘুষি দিয়ে বৃদ্ধের একটি দাঁত ভেঙে ফেলে অভিযুক্ত। পরে ভুক্তভোগী বৃদ্ধাকে গুরুতর আহত অবস্থায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত পলাশকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের গাইনী বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. সালমা জাহান জানান, ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার দশকিয়া ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামে ৯০ বছরের এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে মাদকাসক্ত এক যুবকের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সকালে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে তার শারীরিক পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের গাইনি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. সালমা জাহান।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার দশকিয়া ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের এক বৃদ্ধা স্বামীর মৃত্যুর পর বাড়ির একটি টিনসেড ঘরে একাই ঘুমাতেন। তার তিন ছেলে পৃথক ঘরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকেন।
সোমবার(২৪ এপ্রিল) গভীর রাতে চুরির উদ্দেশ্যে ওই বৃদ্ধার ঘরে ঢুকে। পরে জোরপূর্বক ওই বৃদ্ধাকে ধর্ষণ করে। বৃদ্ধার চিৎকারে পাশের ঘরে থাকা বৃদ্ধার পুত্রবধু এগিয়ে আসলে ওই যুবক পালিয়ে যায়।
অভিযুক্ত পলাশ (২৫) উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের কদিম হামজানী গ্রামের শরিফ উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, ওই যুবক মাদকাসক্ত। সে মাদকের টাকা জোগাড় করতে প্রায়ই চুরি- ছিনতাই করে থাকে। তাদের ধারণা মাদকের টাকার জন্য ওই যুবক বৃদ্ধার ঘরে ঢুকে। পরে বৃদ্ধাকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। এসময় বৃদ্ধার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।
ধর্ষণের শিকার ওই বৃদ্ধার পুত্রবধূ জানান, শ্বাশুড়ির ডাক চিৎকার শুনতে পেয়ে ঘরে গিয়ে শ্বাশুড়িকে বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। পরে লক্ষ্য করি তার গোপনাঙ্গ দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে । প্রতিবেশীদের সহায়তায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি।
তিনি আরো জানান, পলাশ নামের ওই যুবককে পালিয়ে যেতে দেখি।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. সালমা জাহান জানান, ওই নারীকে ডাক্তারী পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তার গোপনাঙ্গে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। বর্তমানে ওই নারী হাসপাতালের ৩নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দশকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ মালেক ভূঁইয়া জানান, ঘটনাটি অত্যান্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। তিনি ওই যুবকের শাস্তির দাবি জানান।
এ বিষয়ে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়ায় উপমহাদেশের বিখ্যাত জমিদার আটিয়ার চাঁদ খ্যাত ওয়াজেদ আলী খান পন্নী ওরফে চাঁদ মিয়ার ৮৭তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার(২৫ এপ্রিল) দিনব্যপী নানা কর্মসুচীর মধ্যে দিয়ে এ মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেন করটিয়াবাসী। দিনের কর্মসুচীর মধ্যে ছিলো শোকর্যালী, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও হাজার-হাজার ভক্তদের মাঝে তোবারক বিতরণ।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল থেকে করটিয়ার বিভিন্ন সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যানার নিয়ে চাঁদ মিয়ার মাজারে আসতে শুরু করে নানাশ্রেনী পেশার লোকজন। মাজারে এসে তারা ওয়াজেদ আলী খান পন্নীর রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন। পরে প্রয়াত জমিদার চাঁদ মিয়ার স্বরণে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শোকর্যালী ও আলোচনা সভায় সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান আনসারীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন,সা’দত কলেজের অধ্যক্ষ সুব্রত নন্দী, সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আলীম মাহমুদ, করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেকুজ্জামান চৌধুরী মজনু, চাঁদ মিয়া পরিবারের সদস্য ও করটিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোর্শেদ আলী খান পন্নী ওরফে টিপু পন্নী, করটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ মাজেদুল আলম নাঈম, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম আনছারী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলমগীর সিকদার, ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি এমদাদুল হক এনামুল, সা’দত বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. ইউসুফ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক সাইমন তালুকদার রাজীব, ছাত্রলীগ নেতা মো. রতন মিয়া মমিতুল ইসলাম প্রমি ও রিফাত খান রানা প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা করটিয়ার জমিদার ওয়াজেদ আলী খান পন্নী ওরফে চাঁদ মিয়ার বর্ণাঢ্য কর্মজীবন নিয়ে আলোচনা করেন। বক্তারা বলেন, চাঁদ মিয়া এই অঞ্চলের শিক্ষা বিস্তারে ১৯২৬ সালে তার পিতামহ সা’দত আলী খান পন্নীর নাম অনুসারে সা’দত কলেজ স্থাপন করেন। ১৯১৯ সালে করটিয়া হাফেজ মাহমুদ আলী খান হাইস্কুল ও তার স্ত্রীর নাম অনুসারে রোকেয়া আলিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি তার জমিদারী ২০ শতাংশ আয় শিক্ষা বিস্তার ও জনকল্যাণমুলক কাজের জন্য ব্যায় করতেন। আটিয়ার চাঁদ খ্যাত এই জমিদার ১৯৩৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
এছাড়াও বাদ জোহর করটিয়া জমিদার বাড়ী জামে মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে উপস্থিত সকলের মাঝে তোবারক বিতরণ করা হয়।