একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে এক তরুণীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগে শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনির ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল করেছে টাঙ্গাইলের সচেতন নারী সমাজ।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সকালে প্রথমেই শহরের ভাসানী হলের সামনে থেকে সচেতন নারী সমাজের ব্যানারে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এসে মিছিলটি শেষ হয়। পরে শহিদ মিনারের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করে তারা।
এ সময় মানব বন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা আওয়ামী লীগ নেতা বড় মনি ও তার ভাই ছোট মনির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তার সত্যতা নিশ্চিত করে ফাঁসির দাবি জানান। অন্যথায় আগামীতে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
উল্লেখ্য, বুধবার (৪ এপ্রিল) রাত ১০ টার দিকে টাঙ্গাইল সদর থানায় শহর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও বাস মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড় মনির বিরুদ্ধে এক তরুণী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। তরুণী দাবি করেন, ধর্ষণের ফলে তিনি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা এবং ডাক্তারী পরীক্ষাতেও এর প্রমাণ মিলেছে। তারপর থেকে শহরে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে।
গোলাম কিবরিয়া বড়মনি টাঙ্গাইল-২ গোপালপুর ভূঞাপুর আসনের সাংসদ তানভীর হাসান ছোট মনির বড় ভাই।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল কারাগারে লাল মিয়া (৩৮) নামে এক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সকালে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। টাঙ্গাইলের জেল সুপার মকলেছুর রহমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
লাল মিয়া বাসাইল উপজেলার খাটোরা গ্রামের মৃত নাসিম উদ্দিনের ছেলে।
জেল সুপার জানান, লাল মিয়া অ্যাজমাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকাল ৭ টায় তার মৃত্যু হয়। আইনী পক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ জুন বাসাইল উপজেলার কাউলজানী গ্রামের বাসিন্দা মনিরুজ্জামান নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে তার ভায়রাকে আমৃত্যু কারাদন্ড এবং শ্যালিকাসহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মাসুদ পারভেজ। যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদন্ডের কথা রায়ে বলা হয়েছে।
এরআগে ২০১০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর বাসাইলের কাউলজানী গ্রামের আবু বক্কর ভূঁইয়ার ছেলে মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া নিখোঁজ হন। তিনদিন পর পাশের মহেশখালী গ্রামের জমির আইল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর নিহতের বাবা আবু বক্কর ভূঁইয়া বাদি হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে বাসাইল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে এ হত্যার সঙ্গে মনিরুজ্জামানের ভায়রা রেজাউল ইসলাম, শ্যালিকা আলো বেগমসহ আরো কয়েকজনের জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। ২০১১ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ৮ জুন এই রায় দেন বিচারক।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল গ্রামের মো. শামছু মিয়ার ছেলে রেজাউল ইসলাম রেজাকে আমৃত্যু দন্ড এবং রেজাউলের স্ত্রী আলো বেগম, বাসাইল উপজেলার খাটোরা গ্রামের মৃত নাসিম উদ্দিনের ছেলে লাল মিয়া, যশিহাটি গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রেজভী ও দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল গ্রামের ফজল মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেনকে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে স্বামীর জীবন বাঁচাতে নিজের কিডনি দিলেন স্ত্রী লাভলী বেগম।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) ভারতের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হাসপাতালে তার কিডনি প্রতিস্থাপন করেন ডা. প্রতীক দাস।
জানা যায়, ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও টাঙ্গাইল জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোন্নাফ আলীর দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জনিত সমস্যা নিয়ে ভারতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ডাক্তার তার কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দিলে স্বামীর জীবন রক্ষায় স্ত্রী তার একটি কিডনি প্রদান করেন।
ভূঞাপুরের সাবেক পৌর মেয়র ও ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম তালুকদার বিদ্যুৎ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সফলভাবে অস্ত্রপাচারের পর মোন্নাফ ও তার স্ত্রী লাভলী বেগম সুস্থ রয়েছেন। তার পরিবার সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় অবৈধভাবে বালু-মাটি উত্তোলনের দায়ে পৃথক পৃথক স্থানে টাঙ্গাইল জেলা ও কালিহাতী উপজেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে ৫টি ভেকু, ১টি ড্রেজার মেশিন ও ১ হাজার ফুট পাইপ লাইন বিনষ্টসহ দুইজনকে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার পৌলী নদীতে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দীপ ভৌমিক ও সিনথিয়া হোসেনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসময় ভ্রাম্যমান আদালত পৌলী নদীর পশ্চিম পাশে অবৈধভাবে মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত ৩টি ভেকু বিনষ্ট করে। পরে দুইজনকে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জরিমানা প্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- টাঙ্গাইল পৌর এলাকার বিশ্বাস বেতকার সিদ্দিকুর রহমান রানাকে ১ লাখ ও কালিহাতী উপজেলার পৌলী গ্রামের মোঃ শফিকুল ইসলামকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অপরদিকে একই সময়ে কালিহাতী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার চরভাবলা হাকিমপুর এলাকায় একটি ভেকু ও বাঁশি এলাকায় একটি ভেকু এবং একটি ড্রেজার মেশিনসহ এক হাজার ফুট পাইপ লাইন বিনষ্ট করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কালিহাতী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাহিদ হোসেন জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও মাটি কাটা বন্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের এ ধরনের অভিযান নিয়মিত অব্যাহত থাকবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া বড় মনির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন এক কিশোরী।
ধর্ষণের ফলে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। বুধবার (৫ এপ্রিল) রাতে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী নিগার আফতাবকেও আসামি করা হয়েছে।
গোলাম কিবরিয়া টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনিরের বড় ভাই এবং টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাবিবুর রহমানকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. খন্দকার সাদিকুর রহমান জানান, গাইনি বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট লুৎফুন্নাহারকে প্রধান করে তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড করা হয়েছে। এ বোর্ড ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা করবে।
ওই কিশোরী নিজে বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করেছেন, বড় মনি তাদের আত্মীয় এবং পূর্ব পরিচিত। হোয়াটসঅ্যাপে তাদের কথা হতো। ওই কিশোরীর ভাইয়ের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ হয়। ওই কথা বড় মনিকে জানানোর পর তিনি সমস্যা সমাধান করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। পরে গত ১৭ ডিসেম্বর শহরের আদালতপাড়ায় বড় মনির নিজের বাড়ির পাশে একটি ১০ তলা ভবনের চতুর্থ তলা ফ্ল্যাটে যেতে বলেন।
সেখানে যাওয়ার পর শারীরিক সম্পর্ক করার প্রস্তাব দেন। রাজি না হওয়ায় তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে তাকে একটি কক্ষে আটকে রাখেন। প্রায় তিন ঘণ্টা পর কক্ষে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে কারো কাছে এ ঘটনা প্রকাশ করতে নিষেধ করেন। প্রকাশ করলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেন।
তার পর প্রতিনিয়ত তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং প্রথমবার ধর্ষণের সময় তোলা ছবি দেখিয়ে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করতেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, এই ধর্ষণের ফলে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এ কথা বড় মনিকে জানালে তাকে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ ও হুমকি দিতে থাকেন। কিন্তু সন্তান নষ্ট করতে রাজি না হওয়ায় গত ২৯ মার্চ রাত ৮টার দিকে বড় মনি তার শ্বশুরবাড়ি আদালতপাড়ায় তুলে নিয়ে যান। সেখানে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন।
রাজি না হওয়ায় ওই বাসায় এক কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখেন। পরে তাকে সেখানে আবার ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পর বড় মনির স্ত্রী তাকে মারপিট করেন। এতে কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে রাত ৩টার দিকে বাসায় পৌঁছে দেন। তার পর থেকে তাকে নানা হুমকি দেওয়া হতো। শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ থাকার জন্য মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করেছেন।
মামলা প্রসঙ্গে গোলাম কিবরিয়া বড় মনি অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, রাজনৈতিকভাবে তাকে হেয় করার জন্য ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তার বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও সাভারের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার তাঁর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার দলপুর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে মো. রতন (২১), মাইজবাড়ী গ্রামের জহু মিয়ার ছেলে আরিফ হোসেন (২৬), ভূঞাপুর উপজেলার ফলদা গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৫) ও রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার খেরুয়া আলম গ্রামের আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে সুজন মিয়া (২২)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান,ডাকাতি ঘটনার পর ওই বাসের যাত্রী আরিফুর রহমান বাদী হয়ে মধুপুর থানায় একটি মামলা করেন।ঘটনার পর থেকে মধুপুর থানা এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) সমন্বয়ে একটি দল তদন্তে নামে। পরে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হয়। বুধবার সকাল সাতটার দিকে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার মোনতলা গ্রাম থেকে প্রথমে রতনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে চোরাই মুঠোফোন ও ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়।
পরে রতনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সুজন মিয়া ও আরিফ হোসেনকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর উড়ালসড়ক এলাকা থেকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়। সর্বশেষ বেলা একটার দিকে আশুলিয়ার ফ্যান্টাসি কিংডমের সামনে থেকে সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরো জানান,, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই চারজন ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। ওই দিন তাঁরা আটজন ডাকাতিতে অংশ নেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। ওই বাস থেকে তাঁরা ১৩টি মুঠোফোন, একটি স্বর্ণের চেইনসহ প্রায় তিন লাখ টাকার মালামাল লুট করেছেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে নিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাত ১০টার দিকে ঢাকার মহাখালী থেকে ইমন পরিবহনের একটি বাস ৩০ জন যাত্রী নিয়ে জামালপুরের মাদারগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেয়। পথে বাইপাইল কাউন্টার থেকে আরও কয়েকজন ওই বাসে ওঠেন। ওই যাত্রীদের মধ্যে সাত–আটজন ডাকাত দলের সদস্য ছিলেন। বাসটি ঘাটাইল উপজেলার দেউলাবাড়ী এলাকায় পৌঁছালে ডাকাত দলের সদস্যরা চালককে মারধর করে দেশি অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেন। পরে তাঁরা চলন্ত বাসে যাত্রীর কাছ থেকে মুঠোফোন, স্বর্ণালংকার ও টাকা লুট করেন। এ সময় কয়েক যাত্রী বাধা দিতে গেলে ডাকাত দলের সদস্যরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁদের আঘাত করেন। পরে মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া পেট্রলপাম্পের কাছে বাস থামিয়ে ডাকাত দল পালিয়ে যায়।
একতার কণ্ঠঃ: আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় আবারো বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশের হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরিম।
এবার ২৬ তম দুবাই আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে প্রথম হলেন তাকরিম।
প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হয়েছেন ইথিওপিয়ার আব্বাস হাদি ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন সৌদি আরবের খালিদ সুলাইমান।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল)বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় প্রথম স্থান অধিকারী হিসেবে তাকরিমের নাম ঘোষণা করা হয়।
হাফেজ তাকরিমের হাতে পুরস্কার তুলে দেন দুবাইয়ের শেখ পরিবারের সদস্য শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ মুহাম্মদ আল মাকতুম। উপস্থিত ছিলেন কুরআন প্রতিযোগিতার ভাইস প্রেসিডেন্ট সায়েদ হারেব-যাযাদি
তাকরিমের প্রথম স্থান অর্জন করার বিষয়টি ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন মারকাযু ফয়জিল কুরআনের শিক্ষক হাফেজ আব্দুল্লাহ আল মামুন।
হাফেজ তাকরিম মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী ঢাকা-এর কিতাব বিভাগের ছাত্র ও টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নের ভাদ্রা গ্রামের হাফেজ আব্দুর রহমানের ছেলে।
এ বছরের ১২ জানুয়ারি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক নির্বাচনী পরীক্ষায় একদল বিজ্ঞ বিচারক মণ্ডলির রায়ে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি নির্বাচিত হয় তাকরিম।
এবারের প্রতিযোগিতায় শুধু তাকরিম-ই দেশের নাম উজ্জ্বল করেনি। দুবাইয়ের এই প্রতিযোগিতার বিচারক প্যানেলে ছিলেন শায়খ শোয়াইব মোহাম্মদ আলআজহারি নামে এক বাংলাদেশী আলেম।
প্রতিযোগিতার মূল পর্বে নিয়ম অনুযায়ী, তিলাওয়াতের সময় একাধারে পাঁচটি প্রশ্নের নির্ভুল উত্তর দেন হাফেজ তাকরিম। কোনো প্রশ্নের উত্তরের ক্ষেত্রে ভুল হয়নি তার। মিষ্টি মধুর কন্ঠে তার তিলাওয়াত শুনে বিচারকেরা মুগ্ধ হয়ে পড়েন।
এর আগে বাংলাদেশের হাফেজ সালেহ আহমেদ তাকরিম সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেন।
এছাড়াও গত মার্চে ইরান আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় হাফেজ সালেহ আহমেদ তাকরিম প্রথম, মে মাসে লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় সপ্তম স্থান অর্জন করেন। ২০২০ সালে পবিত্র রমজান মাসে বাংলাভিশন টেলিভিশন আয়োজিত হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হোন তিনি।
একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের প্রথম ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন সফল করার লক্ষে টাঙ্গাইলে মত বিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার(৪ এপ্রিল) বিকেলে শহরের হাবিবুর রহমান প্লাজা হল রুমে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ টাঙ্গাইল জেলা শাখা ও জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যৌথ উদ্যোগে এ মত বিনিময় ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
ওলামা লীগের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি মাও: আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ওলামা লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাও: মোহাম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী, যুগ্ম আহবায়ক মাও: আব্দুস সাত্তার, কেন্দ্রীয় ওলামা লীগের জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক মাও: ড. আব্দুল মোমেন সিরাজী, সদস্য সচিব মাও: দেলোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল জেলা শাখার ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক মাও: আব্দুল কাইয়ুম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাও: আব্দুর রাজ্জাক শরিফ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আগামী ২৯ এপ্রিল বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের প্রথম ত্রি-বাষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ প্রতি পিস প্লাস্টিকের ব্যাগ সেলাই করে মজুরি পেতেন দুই টাকা। পুরনো, ভাঙা মেশিন দিয়েই এই কাজ করতেন তিনি। ফলে ঠিকমতো সেলাইয়ের কাজ করতে পারতেন না। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য একটি সেলাই মেশিন সাহায্য চেয়েছিলেন হতদরিদ্র মমতা রাণী শীল। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর পৌর শহরের শিয়ালকোলস্থ ফায়ার সার্ভিসের পাশে নির্মিত প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘরে মাসখানেক যাবত স্বামী ও সন্তান নিয়ে বসবাস করছেস তিনি।
সম্প্রতি একটি টেলিভিশনে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে থাকার অনুভতি বিষয়ক স্বাক্ষাতকার দেওয়ার সময় একটি সেলাই মেশিন চান মমতা রাণী। তার ওই ভিডিও বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাইরাল হয়।
এরপর মমতা রাণী সেলাই মেশিন চাওয়ার সেই পোস্টটি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদুল হক মাসুদের নজরে আসে। তারপর মেয়র মাসুদুল হক মাসুদ সংবাদকর্মী আল-আমিনের সাথে যোগাযোগ করে মমতা রাণীর জন্য সেলাই মেশিনের ব্যবস্থা করেন তিনি। সেলাই মেশিনটি মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে মেয়রের পক্ষ থেকে হস্তান্তর করে আল-আমিন শোভন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহ্ আলম প্রামাণিক, সাবেক সভাপতি আসাদুল ইসলাম বাবুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আখতার হোসেন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শাহীন, দপ্তর ও পাঠাগার সম্পাদক ফরমান শেখ, কার্যকরি সদস্য আল-আমিন শোভন, মাহমুদুল হাসান, সদস্য খন্দকার মাসুদ রানা। এছাড়াও আশ্রয় প্রকল্পে থাকা বাসিন্দারাও উপস্থিত ছিলেন।
নতুন সেলাই মেশিন পেয়ে মমতা রাণী শীল জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমি পুরাতন ও ভাঙা সেলাই মেশিন দিয়ে বাজারের ব্যাগ তৈরি করতাম এবং মহাজন পারিশ্রমিক হিসেবে প্রতি ব্যাগে ১-২ টা করে মজুরি দিতো। এনিয়ে আনন্দ টিভির এক সাংবাদিক আমার কষ্টের কথা শুনে ভিডিও নেন এবং ফেসবুকে পোস্ট দেয়। পরে মেয়র মহোদয় পোস্টটি দেখে আমাকে একটি নতুন সেলাই মেশিন উপহার দিয়েছেন। এতে আমি অনেক আনন্দিত।
সংবাদকর্মী আল-আমিন শোভন জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের নিউজ করতে গিয়ে হতদরিদ্র মমতা রাণীর সাথে কথা হয়। তিনি জানায় পুরাতন ও ভাঙা সেলাই মেশিন দিয়ে ২ টার মজুরিতে সেলাইয়ের কাজ করে কোনো রকমভাবে সংসার চালাচ্ছেন। অর্থাভাব নতুন মেশিন কিনতে পারছেন না। পরে তার একটি ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার একদিন পর মেয়র মাসুদুল হক মাসুদ মহোদয়ের নজরে আসলে তাকে নতুন একটি সেলাইসহ অন্যান্য সামগ্রী উপহার প্রদান করেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীর উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের একাধিকবার স্পটে প্রতিনিয়তই চলছে মাদক কেনাবেচা। পরিণত হয়েছে মাদকসেবীদের অভয়ারণ্যে। সম্প্রতি ইউনিয়নে বেড়ে গেছে চুরি ও মারামারির ঘটনা। এতে সাধারণ মানুষ রয়েছেন আতংকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি বলেন এলাকার উঠতি বয়সের অসংখ্য ছেলে মাদকে আসক্ত হচ্ছে। ইউনিয়নের পালিমা, মাইস্তা, সিংগুরিয়া ও নারান্দিয়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় প্রতিনিয়তই ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন ও গাজা কেনাবেচা হয়ে থাকে। মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীদের ভয়ে অনেকে মুখ খুলতে সাহস পায় না।
এদিকে ইউনিয়নে বেড়ে গেছে চুরি। গত কয়েকদিনে একাধিক বাড়িতে গরু চুরি হয়েছে। নারান্দিয়া গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ৩ টি গরু, মাইস্তা গ্রামের শংকর শীলের ১ টি গাভী, মাইস্তা নয়াপাড়া গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ১ টি ষাড় ও নগরবাড়ী থেকে আরো ১ টি গরু চুরি হয়েছে। মাইস্তা আফসার আলীর বাড়ি থেকে হাস-মুরগিও চুরি হয়েছে।
এছাড়া বছর খানেক আগে নারান্দিয়া গ্রামের ইমাম ও নগরবাড়ী গ্রামের জয়দেব মোদকের বাড়িতে ভয়াবহ চুরির ঘটনা ঘটে। তাদের বিপুল পরিমাণ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় চোরের দল। নৃপেন মোদকের বাড়ি থেকেও কয়েকটি গরু চুরি হয়। তারা থানায় লিখিতভাবে জানালেও কোন প্রতিকার পায় নি।
নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আজাহার আলী প্রামাণিক জানান, কয়েকদিন আগে আমার বাড়ি থেকে গরু চুরি হয়েছে। শুনলাম এলাকার আরো কয়েকটি বাড়িতেও চুরি হয়েছে। আমার ধারনা নেশাখোররা এসব চুরির সাথে সম্পৃক্ত। ফলে সাধারণ মানুষ আতংকে থাকে।
নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ তালুকদার জানান, আতংকিত মানুষ নিজ দায়িত্বে গোয়ালঘর পাহারা দিচ্ছেন। গরু চোরের একটি বড় চক্র নিয়মিত এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, বিষয়গুলো আমি জানি না। থানায় কেউ অভিযোগ দেয় নি।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, গরু চুরির বিষয়টি শুনেছি। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের ধারাবাহিক অভিযান চলে। আরো গুরুত্ব দিয়ে এ এলাকার চুরি ও মাদকের বিষয়টি দেখা হবে।
একতার কণ্ঠঃ নানা কর্মসূচিতে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা আব্দুল মান্নানের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার(৪ এপ্রিল) সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে জননেতা আব্দুল মান্নান হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন, প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ আর এম সোলাইমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সিরাজুল ইসলাম ও জননেতা আব্দুল মান্নান হল প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মোঃ মাসুদার রহমানকে নিয়ে মরহুমের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
এ সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবার, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল মুক্তিযোদ্ধা এবং জননেতা আব্দুল মান্নানসহ তার পরিবারের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এছাড়া বাদ ইশা জননেতা আব্দুল মান্নান হল মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের কর্মসূচি রয়েছে।
সকল কর্মসূচিতে জননেতা আব্দুল মান্নান হলের হাউজ টিউটর, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহন করেন।
উল্লেখ্য,টাঙ্গাইলের কৃতি সন্তান জননেতা আব্দুল মান্নান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাংলাদেশ সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম সংগঠক ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে বাস ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতি কালে বাঁধা দিতে গিয়ে আহত হয়েছে অন্তত সাত যাত্রী।
সোমবার(৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রক্তিপাড়ার নরকোণা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আহতদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা গুরতর হওয়ায় তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন- জামালপুর সদর উপজেলার মেষ্টা গ্রামের মসির উদ্দিনের ছেলে তারা মিয়া (৪০) ও সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী কাকলি বেগম (৩৫)। বাকী পাঁচ জন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ী ফিরে গেছেন।
পুলিশ ও বাসযাত্রীরা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মাদারগঞ্জ স্পেশাল পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি ঢাকা থেকে জামালপুরের মাদারগঞ্জ যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে গাজীপুরের চন্দ্রা নামকস্থান থেকে থেকে ৭ খেকে ৮ জন ডাকাত দল যাত্রীবেশে বাসটিতে উঠে। বাসটি মহাসড়কের ঘাটাইল উপজেলার দেওলাবাড়ি পার হলে ডাকাত দল বাসটি তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। পরে যাত্রীদের জিম্মি করে নগদ টাকা, মোবাইল ও স্বর্ণালংকার লুটে নেয়। এ সময় প্রতিবাদ করলে ডাকাত দল সাত যাত্রীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। ডাকাতি শেষে তারা মধুপুরের রক্তিপাড়ার উত্তর পাশে নরকোণা এলাকায় বাস থেকে নেমে যায়।
এ বিষয়ে মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল আমিন জানান, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্ত ও আটক করতে অভিযান চলছে।