একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় বিএনপির দুই নেতার কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে পৌরসভা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম গুরুতর আহতবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার শাহজাহান সিরাজ কলেজের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
আহত মুজাহিদুল ইসলাম কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সহ-সংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটুর কর্মী। কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য লুৎফর রহমান মতিনের কর্মী-সমর্থকরা এই হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা আহমেদ টিটুর লোকজন শাহজাহান সিরাজ কলেজের একজন শিক্ষার্থীকে মারধর করে। পরে বিষয়টি স্থানীয় বিএনপি’র লোকজন মিমাংসা করে দেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা টিটু ও মতিনের লোকজন কলেজ এলাকায় মোটরসাইকেল শোডাউন করে। পরে টিটুর গ্রুপের লোকজন কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে মিটিং করার সময় বিএনপি নেতা মতিনের লোকজন গিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। এতে পৌরসভা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলামকে কুপিয়ে আহত করা হয়। পৌর যুবদলের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিকের নেতৃত্বে হামলা করে শান্ত নামের একজন বিএনপি কর্মী। এছাড়া তৌহিদ নামের আরেক কর্মীকে লাঠি দিয়ে পিটানো হয়। পরে গুরুত্বর আহত মুজাহিদকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলার করার অভিযুক্ত শান্তর বিরুদ্ধে ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করার অভিযোগ রয়েছে। ওই হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামী করা হয় তাকে।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম ভূইয়া জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি’র দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। এই ব্যাপারে এখনও কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের বাসাইলে কৃষি জমিতে সৃষ্টি হওয়া জলাবদ্ধতা নিরসনে এলাকা পরিদর্শন করেছেন ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও ঘাটাইলের এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল হুসাইন মুহাম্মদ মাসীহুর রহমান।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে তিনি বাসাইল দক্ষিণপাড়া, এসআরপাড়া ও ভাটপাড়ায় কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়া এলাকা পরিদর্শন করেন।
এসময় তিনি স্থানীয় কৃষক ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন। জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন সেনাবাহিনীর এ কর্মকর্তা।
জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শনের সময় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মামুনুর রশিদ, টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) সঞ্জয় কুমার মহন্ত, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহরুখ খানসহ সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, অপরিকল্পিতভাবে বাসাইল দক্ষিণপাড়া এলাকায় সড়ক নির্মাণের কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এ বছর বাসাইল দক্ষিণপাড়াসহ কয়েকটি এলাকায় সরিষা আবাদ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন অসংখ্য কৃষক। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রচার হলে কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।
একতার কণ্ঠঃ বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, বিএনপি’র পরিচয়েই আমরা বেঁচে থাকতে চাই। বিগত দিনে ১৭টি বছর আমরা অনেকেই নির্যাতিত, নিপীড়িত হয়েছি। আজকে সেই নির্যাতিত নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে পথ চলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতাকালীন একটি দল থাকে, কিন্তু কর্মীরা সারাজীবন দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকে। স্বৈরাচারের বিদায় হলেও ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা এখনো বাংলাদেশে বিরাজমান।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি ও টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান শামছুল হকের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজকে স্বৈরাচারের বিদায় হয়েছে, ফ্যাসিবাদের বিদায় হয়েছে; কিন্তু সেই ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা এখনো বাংলাদেশে বিরাজমান। কাজেই তারা সুযোগ খুঁজছে আমাদের মাঝখান থেকেই ঢুকে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে। অনেকেই মনে করতে পারেন, দল ভারি করার জন্য পাশে কাউকে আশ্রয় দিয়ে দল ভারি করবেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা জাতীয়তাবাদী দলের আদর্শকে বুকে ধারণ করে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল হয়ে আমরা জাতীয়তাবাদী দলের কর্মী। এটাই হচ্ছে আমাদের বড় পরিচয়। এ পরিচয় নিয়েই আমরা গর্ববোধ করি এবং পথ চলতে চাই।
সকল নেতাকর্মীকে উদ্দেশ্য করে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে পথ চলব আগামী দিনে। কারণ গণতন্ত্রের যে বিজয়, সেই পরিপূর্ণ বিজয় অর্জন করতে এখনো আমরা সক্ষম হইনি। একটি পথ আমরা অতিক্রম করেছি, ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নাই।
শামছুল হক স্মৃতি সংসদের সভাপতি শ্যামল হোড়ের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, মরহুম শামসুল হকের জ্যেষ্ঠপুত্র ও জেলা বিএনপি’র সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু প্রমূখ।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপি’র সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইদুল হক সাদু, সাবেক সহ-সভাপতি আবুল কাশেম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ পাহেলী, সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আজগর আলী প্রমুখ।
এ সময় বিএনপিসহ এর সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে অটোরিক্সাকে ওভারটেক করার সময় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শাহরুখ আকন্দ নাবিল (১৯) নামে এক কলেজছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় তার দুই বন্ধু গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা সবাই বঙ্গবন্ধু ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে যমুনা সেতু পূর্ব-ভূঞাপুর লিংক রোডে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের গোবিন্দাসী বাজার সংলগ্ন চেয়ারম্যান দুলাল হোসেন চকদারের গরুর খামারের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত কলেজ ছাত্র শাহরুখ আকন্দ নাবিল পাশ্ববর্তী ঘাটাইল উপজেলার লোকেরপাড়া ইউনিয়নের পাঁচটিকরী গ্রামের আলী মাহমুদ আকন্দের ছেলে।
আহতরা হলেন- ভূঞাপুর উপজেলা পৌর শহরের বীরহাটি গ্রামের আনোয়ার চকদারের ছেলে লিমন চকদার ও ফলদা ইউনিয়নের ধুবলিয়া গ্রামের রশিদ শেখের ছেলে রবিন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকাল ৯ টার দিকে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল যোগে তিন বন্ধু যমুনাসেতু বঙ্গবন্ধু ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজে প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে তারা গোবিন্দাসী দুলাল হোসেন চকদারের গরুর খামারের কাছে পৌঁছলে তাদের সামনে থাকা একটি অটোরিক্সাকে পেছন থেকে ওভারটেক করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অটোরিক্সাটিকে ধাক্কা দেয়।
এতে তিনজনের মধ্যে শাহরুখ আকন্দের মাথায় রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আহত হয় আরও দুইজন। পরে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন স্থানীয়রা। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একে এম রেজাউল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। অপরদিকে, নিহত নাবিলের মরদেহ হাসপাতালে রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
একতার কণ্ঠঃ সম্প্রীতির ঐকতানে গাহি সাম্যের গান’ এই স্লোগানকে সামনে নিয়ে টাঙ্গাইল জেলার সকল ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে সম্প্রীতি শোভাযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা পুলিশের আয়োজনে জেলা সদর হেলিপ্যাড চত্বর থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুলিশ লাইনস মাল্টিপারপাসে গিয়ে শেষ হয়।
পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শরফুদ্দিন, টাঙ্গাইল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি শফিকুল ইসলাম রিপন, জেলা হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক রমেশ চন্দ্র সরকার, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাধন চন্দ্র চক্রবর্তী, জেলা পুজা উদযাপন কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি চিত্ত রঞ্জন সরকার, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার গুণ ঝন্টু, টাঙ্গাইল জেলা ইমাম ও মুয়াজ্জিন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জন জেৎরা, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ বোর্ডের ট্রাস্টি শ্যামল হোড় প্রমুখ।
এই সম্প্রীতি সমাবেশে জেলার বিভিন্ন ধর্মের মানুষ অংশগ্রহণ করেন। পরে সকল ধর্মের মানুষদের নিয়ে পুলিশ লাইনের ভিতরে সম্প্রতির বৃক্ষরোপণ করা হয়। শেষে সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
একতার কণ্ঠঃ ভারতের আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনারের মৌলবাদী হিন্দুদের হামলার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে মশাল মিছিল করা হয়েছে।
মঙ্গলবার(৩ ডিসেম্বর )সন্ধ্যায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে শহরের শহীদ মিনার চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু করা হয়। পরে এটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, ছাত্র প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম, আল আমিন, ফাতেমা রহমান বিথি, আল আমিন সিয়াম, আবু আহমেদ শেরশাহসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
মশাল মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এসময় বক্তারা বলেন, আগরতলায় হাইকমিশনে হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকতে আমরা ভারতের আধিপত্য মেনে নেব না।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কলেজ পাড়ায় চলাচলের রাস্তার জায়গা দখল চেষ্টা ও হয়রানিমুলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী মইনুল রহমান জুয়েলের স্ত্রী সালমা আক্তার। তিনি বলেন, আমরা টাঙ্গাইল পৌর সভার ৬নং ওয়ার্ডের কলেজ পাড়া ও প্যাড়াডাইস পাড়ার বাসিন্দা। আমাদের বাসায় যাতায়াতের জন্য দীর্ঘ দিনের ১০ শতাংশ রাস্তাটি জেলা প্রশাসক ভূমি প্রজ্ঞাপন আকারে বরাদ্দ প্রদান করেছেন। যাহা টাঙ্গাইল পৌর সভার রেকর্ড ও নকশাকৃত। এমতাবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রতিবেশী এডভোকেট আলী ইমাম তপন ও তার ভাই আলী আযম রিপন উক্ত ভূমি জোর পূর্বক দখল করতে আসলে আমার স্বামী মইনুল রহমান জুয়েল ও প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন শহীদসহ এলাকাবাসী বাধা প্রদান করে। এই কারনে ক্ষিপ্ত হয়ে টাঙ্গাইল রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা এডভোকেট আলী ইমাম তপন গত ১৯ নভেম্বর রিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসে মারামারি, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আমার স্বামী মইনুল রহমান জুয়েল, প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন শহীদসহ এলাকার বড় ভাই মাই টিভির জেলা প্রতিনিধি মির্জা মাসুদ রুবলকে জড়িয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। যাহা টাঙ্গাইল সদর থানার মামলায় নং- সি আর ২৭১২/ ২৪। এই মামলায় আমার স্বামী মইনুল রহমান জুয়েল ৯নং আসামি ও প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন শহীদকে ১০নং আসামি করা হয়েছে। একই ঘটনায় রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক গত ২১ নভেম্বর আরও একটি মামলা দায়ের করেন। যাহা আদালতে ৩৮৮/২৪ জি আর মোকাদ্দমা হিসেবে চলমান আছে। উক্ত রাস্তাটি পাকা করন ও ড্রেনের টেন্ডার আহ্বান করার কারনে টাঙ্গাইল পৌর সভার সাবেক মেয়র এস.এম সিরাজুল হক আলমগীরকে মামলার ১নং আসামি করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, আমরা এই মিথ্যা মামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে আমার স্বামী মইনুল রহমান জুয়েল, প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন শহীদ ও মাই টিভির জেলা প্রতিনিধি মির্জা মাসুদ রুবল এর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মাই টিভির জেলা প্রতিনিধি মির্জা মাসুদ রুবলের স্ত্রী আশরাফুন্নাহার রোজি বলেন, রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার সময় সাংবাদিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন আমার স্বামী। তাকে কেন এই মামলায় ২৩ নাম্বার আসামি করা হয়েছে, এটা আমার বোধগম্য নয়। আমি অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আনোয়ার হোসেন শহীদের স্ত্রী শামসুন্নাহার আক্তার, হাবিবা আক্তার, মাহবুবা বেগম, সাজেদা বেগম, সুরাইয়া বিনতে আনোয়ার প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল টাঙ্গাইল জেলা শাখার কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এই কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয় ।
জেলা শ্রমিক দলের উদ্যোগে এ সভার উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নূরুল ইসলাম খান নাসিম।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, জেলা বিএনপি’র সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর।
কর্মী সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম বক্স দুদু।
জেলা শ্রমিক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু সাঈদ মিয়ার সভাপতিত্বে সভাটি সঞ্চালনা করেন জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক একেএম মনিরুল হক (ভিপি মনির)।
বক্তারা বলেন, প্রায় ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার শ্রমিকদের স্বার্থে কোন কাজ করে নাই। উল্টো বিভিন্ন আইন করে শ্রমিকদের মামলা ও গ্রেপ্তার করে হয়রানি করেছে। বিগত আন্দোলনেও অনেক শ্রমিক নিহত ও আহত হয়েছে। শ্রমিক দল সব সময় শ্রমিকদের স্বার্থে কাজ করছে।
সভার শুরুতে সাবেক প্রধান মন্ত্রী খালেদা জিয়া, আন্দোলনে নিহত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
এতে জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার শ্রমিক দল ছাড়াও বিএনপি ও এর সহযোগি অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের কারসাজি ও অতিরিক্ত মুনাফা লাভের কারণে আলু ও পিঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি এবং আইনে নিষিদ্ধ খোলা বাজারে ভোজ্য তৈল বিক্রির প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর )সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) টাঙ্গাইল জেলা শাখার উদ্যোগে এই ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচীর পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অসাধু ও মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ও মজুদদারদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর শাস্তির আওতায় আনা উচিত। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। বাজারে গিয়ে প্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনার আগেই তাদের পকেটের টাকা খালি হচ্ছে। এতে মানুষ সংসার পরিচালনা করতে হিমশিম খাচ্ছে।
বক্তরা আরও বলেন, বর্তমানে সাধারণ ভোক্তাদের জীবন অতিষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি। যাহা জনজীবনে অত্যন্ত চাপ সৃষ্টি করেছে। এখান থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য অসাধু ও মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য বিশেষ টাস্কফোসের কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাবের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি মনজু রানি প্রমানিক, সাধারণ সম্পাদক আবু জুবায়ের উজ্জল, কমিউনিস্ট পার্টির টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সভাপতি নাছিমুল ইসলাম, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি মামুনুর রহমান প্রমুখ।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে অনুর্ধ্ব-১৮ জাতীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার (১ ডিসেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল শহীদ মারুফ স্টেডিয়ামে জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সার্বিক সহযোগীতায় অনুর্ধ্ব-১৮ জাতীয় ক্রীকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাহিদা আক্তার।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিভাগীয় সহকারী ক্রিকেট কোচ (ঢাকা উওর) ও টুর্নামেন্টের সিলেক্টর মো. আরাফাত রহমান, টাঙ্গাইল জেলা ক্রিকেটার কল্যান সমিতির সভাপতি আবু নাসের মানিক, টাঙ্গাইল জেলা অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের ম্যানেজার শাহ আজিজ তালুকদার বাপ্পি প্রমূখ। এসময় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চাণা করেন টাঙ্গাইল জেলা ক্রীড়া অফিসার মো. আফাজ উদ্দিন।
উল্লেখ্য, উদ্বোধনী খেলায় কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ জেলা অংশগ্রহন করেন। এই টুর্নামেন্টে ৫ টি জেলা অংশগ্রহন করবে। জেলা গুলো হলো, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ , নেত্রকোনা, গাজীপুর ও নরসিংদী জেলা দল।
একতার কণ্ঠঃ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় প্রায় ১৭ বছর পর খালাস পেলেন বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে তাঁর খালাসের খবরে নিজ এলাকা টাঙ্গাইলে আনন্দমিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন জেলা বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা।
রায় ঘোষণার খবর পাওয়ার পরই বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে জড়ো হন। সেখানে মিষ্টি বিতরণ শেষে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।
এ সময় মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সভাপতি হাসিনুজ্জামান শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, সাবেক সদস্যসচিব মাহমুদুল হক সানু প্রমুখ।
জেলা বিএনপি’র সাবেক সদস্যসচিব মাহমুদুল হক সানু বলেন, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম পিন্টু খালাস পাওয়ায় টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি জাগ্রত হয়েছে। টাঙ্গাইলবাসী আজ খুবই আনন্দিত।
জেলা বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুর রহমান খান বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্বৈরাচার হাসিনা সরকার তাঁকে জেলে বন্দী করে রেখেছিল। বর্তমান সরকার নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ করায় আজ আমরা ন্যায়বিচার পেলাম। আমরা টাঙ্গাইলবাসী আজ অনেক আনন্দিত।
প্রকাশ, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম পিন্টু ১৯৯১, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তিনি শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তারের পর থেকেই তিনি কারাগারে রয়েছেন। কেন্দ্রীয় বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু তাঁর ছোট ভাই।
একতার কণ্ঠঃ ধর্মীয় সংগঠন ইসকন কর্তৃক এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যার বিচারের দাবিতে ও রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করা করেছে।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বাদ জুম্মা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে টাঙ্গাইল জেলা ক্বওমী ওলামা পরিষদ ও টাঙ্গাইল জেলা ইমাম ও মুয়াজ্জিন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
পরে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল জেলা ক্বওমী ওলামা পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুর রহমান ও টাঙ্গাইল জেলা ইমাম ও মুয়াজ্জিন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
বিক্ষোভ সমাবেশে বিপুলসংখ্যক তৌহিদী জনতা উপস্থিত ছিল।