/ হোম / টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলে পাটের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে পাটের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

একতার কণ্ঠঃ আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় টাঙ্গাইলে চলতি বছর পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রথম দিকে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের অভাবে পাট আবাদ করতে সমস্যা হলেও মৌসুমের শেষ দিকে এসে বৃষ্টি হওয়ায় পাটের আবাদ বৃদ্ধি পায়। নিবিড় পরিচর্যা আর কৃষি অফিসের পরামর্শের কারণে পাটের তেমন কোনো রোগবালাই নেই। পাটের বাজারদর ভালো হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে।

পাট চাষিরা বলছে, পাটের ভাল দাম পেতে শতভাগ পলিথিনের বস্তা পরিহারের পাশাপাশি দেশের সকল পাটকল চালু ও বিদেশে রপ্তানির উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকে।

টাঙ্গাইলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দাম ভাল পাওয়ায় জেলায় প্রতিবছরই বাড়ছে সোনালী আঁশ চাষ। গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ১৯ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৫২ হাজার ৫৫৮ বেল উৎপাদন হয়েছে। চলতি মৌসুমে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ১৯ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৩০ হাজার ৬৯০ বেল পাট উৎপাদন হবে। চলতি বছরের পাট আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৯ হাজার ৬’শ হেক্টর। লক্ষমাত্রার চেয়ে ৫০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ বেশি হয়েছে। চলতি বছর জেলায় ৬ হাজার ২’শ জন কৃষককে এক কেজি করে পাটের বীজ বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, জেলার ১২টি উপজেলায় পাটের আবাদ করা হয়েছে। চাষিরা এখন ব্যস্ত জাগ দেওয়া পাটের আঁশ ছাড়াতে। বেশিরভাগ জমির পাটই কাটা শেষ হয়ে গেছে। এর অধিকাংশই জাগ দেওয়া হয়ে গেছে। অনেকে পাট থেকে আঁশ ছাড়াচ্ছেন। কেউ বা পাটশোলার আঁটি বেঁধে রোদে শুকাচ্ছেন। কেউ আবার পাট ভাঁজ করে রোদে মেলে দিচ্ছেন। পাট ও পাটশোলার বাজার দরও ভালো। মণ প্রতি সাড়ে তিন হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাটের আঁশ বিক্রি করে যেমন কৃষক টাকা পায় তেমনি পাটের কাঠি জ্বালানি হিসেবে, ঘরের বেড়া দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হয়। ধীরে ধীরে আবার সোনালী আঁশের রাজত্ব ফিরে আসছে এ জেলাতে।

পাট চাষিরা জানান, দেশি, তোষা, কেনাফ, রবি-১ ও ভারতীয় বঙ্গবীর জাতের পাট সব থেকে বেশি আবাদ হয়। পাট অফিস ও কৃষি অফিস থেকে প্রায় প্রতিবছর পাটের বীজ ও সার বিনামূল্যে দেওয়া হয়। কিন্তু এই বীজ গুলো সময় মতো আমাদের কাছে পৌঁছায় না। এতে পাটের আবাদ ব্যাহত হয়। সময় মতো পাট বীজ হাতে পেলে আবাদ অনেক অংশে বৃদ্ধি পাবে।

দেলদুয়ার উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের আগ দেউলী গ্রামের কৃষক শাহাদৎ হোসেন বলেন, পাট আবাদের প্রথম দিকে বৃষ্টি না থাকায় সেচ দিয়ে পাট বপণ করেছিলাম। যে পাট গুলো বীজ বপন করেছিলাম সেগুলো চার হাজার টাকা মণ বিক্রি করেছি। পরে পাট গুলো ৩৪০০ থেকে ৩৫০০ টাকা মণ বিক্রি করেছি। এখনো আমার কিছু পাট কাটা বাকি রয়েছে। সেগুলোর দাম কেমন পাবো এখনো বুঝা যাচ্ছে না। তবে পাটের যে ফলন হয়েছে এখন যে দাম রয়েছে তাতে আমরা অনেক খুশি।

একই গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, এবছর আমি ৪ বিঘা জমিতে পাট আবাদ করেছি। প্রতি বিঘায় সাত মণ ফলন হয়েছে। ৪ বিঘা জমির পাট ৩৪০০ টাকা মন হারে বিক্রি করে ৯৫ হাজার টাকা পেয়েছি। ৪ বিঘা জমির পাট আবাদ করতে আমার খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। এতে আমার ৫৫ হাজার টাকার উপরে লাভ হয়েছে।

কৃষক ছানোয়ার হোসেন বলেন, আমি ১০ শতাংশ জমি বর্গা নিয়ে পাট চাষ করেছিলাম। এতে তিন মণ পাট পেয়েছিলাম। প্রথমে যে বাছ পাট পেয়েছিলাম সেগুলো ২৪০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছি। পরের পাট ৩৮০০ টাকা মণ বিক্রি করেছি।

দেলদুয়ার উপজেলার ছিলিমপুর হাটের পাট ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে পাট কিনে বাংলাদেশের বিভিন্ন মিল পার্টির কাছে বিক্রি করি। এছাড়া প্রতি শুক্রবার ছিলিমপুর হাটে কৃষকদের কাছ থেকে পাট কেনা হয়। হাটের দিনে প্রায় ৫’শ থেকে ৬’শ মণ পাট কেনাবেচা হয়। এ বছর ৩৫০০ থেকে ৩৮০০ টাকা মণ দরে পাট কিনছি। মণে ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে লাভ করে বিভিন্ন মিল পার্টির কাছে বিক্রি করি।

জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান খান জানান, পাট অধিদপ্তর থেকে চলতি বছর জেলার ১২টি উপজেলার ৩৬ হাজার কৃষককে এক কেজি পাট বীজ ও ১২ কেজি করে সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও তালিকাভুক্ত ৯’শ জন কৃষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

টাঙ্গাইলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার দুলাল উদ্দিন বলেন, পাট চাষিদের সুদিন ফিরেছে। পাটের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবার পাট চাষে ঝুঁকেছে কৃষক। পাট চাষ করে কৃষক এখন অনেক লাভবান হচ্ছেন। কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৫. সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৪৮:এএম ৩ মাস আগে
বিএনপি’র ভাইস-চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খানের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন - Ekotar Kantho

বিএনপি’র ভাইস-চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খানের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

একতার কণ্ঠঃ বিএনপি’র অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আহমেদ আজম খানের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহর বিএনপি’র ব্যানারে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- টাঙ্গাইল শহর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মো. ইজাজুল হক সবুজ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহিন, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, টাঙ্গাইল শহর বিএনপি’র সভাপতি মো. মেহেদী হাসান আলী প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, গত মঙ্গলবার শহরের আদালত পাড়াস্থ একটি বাসায় কিছু দুষ্কৃতিকারী-চাঁদাবাজ টাঙ্গাইলকে অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনায় একত্রিত হয়। পরে তাদের চিহ্নিত করতে শহর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে সেখানে যাই। এসময় তারা আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আহমেদ আজম খানকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রচারনা চালানো হয়। আমাদের কেউ উক্ত বাসায় ভাংচুর কিংবা কারো সাথে কোন প্রকার খারাপ আচরণ করেনি। আমাদের নামে এবং ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন অভিযোগ মিথ্যা। সেই সাথে বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে তা উদ্দেশ্য প্রনোদিত।

সংবাদ সম্মেলনে টাঙ্গাইল জেলা ও শহর বিএনপি’র বিভিন্ন পযার্য়ের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৫. সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৫৬:এএম ৩ মাস আগে
টাঙ্গাইলে সাবেক প্রতিমন্ত্রী টিটুসহ ১২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে সাবেক প্রতিমন্ত্রী টিটুসহ ১২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে নাগরপুর উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মিছিলে হামলার অভিযোগে সাবেক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুসহ ১২৯ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম পশুপতি বিশ্বাস মামলাটি আমলে নিয়ে নাগরপুর থানাকে নথিভুক্ত করার আদেশ দেন বলে জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী এম এ মালেক আদনান।

মামলার বাদী মো. মনির হোসেন ঢাকার ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ এর আইন বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। তিনি নাগরপুর উপজেলার কলমাইদ গ্রামের নুরু মল্লিকের ছেলে।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে আদালত থেকে জানানো হয়, বিচারক মামলাটি নাগরপুর থানাকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় আহসানুল ইসলাম টিটুর ভাই মজিবল হক পান্নাসহ ১২৯ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৮ জুলাই নাগরপুর কলেজ গেইট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ও তার ভাই মজিবল হক পান্নার নির্দেশে আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র, দা-কুড়াল ও লাঠিসোঁটাসহ বিভিন্ন দেশি অস্ত্র নিয়ে মিছিলে হামলা চালায়।

সেই সময় আসামিদের ছোড়া ফাঁকা গুলি এবং ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। এতে বাদীসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।

আইনজীবী মালেক আদনান জানান, দণ্ডবিধির কয়েকটি ধারাসহ দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি করা হয়েছে। শুনানির দিন বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে মামলাটি নথিভুক্ত করতে নাগরপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৩:৩৬:এএম ৩ মাস আগে
পদত্যাগে বাধ্য হলেন টাঙ্গাইল প্রি-ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষ - Ekotar Kantho

পদত্যাগে বাধ্য হলেন টাঙ্গাইল প্রি-ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষ

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল শহরের প্রি ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ হওয়া আবু সাঈদের ছবি দেয়ালে আর্ট করায় শিক্ষককে পায়ে ধরে উঠবস করা, অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করাসহ নানা অভিযোগে পদত্যাগে বাধ্য হলেন প্রি ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষ শাহানা বেগম।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্দোলনকারী শিক্ষক অভিভাবকদের চাপের মুখে পদত্যাগ করেছেন তিনি।

এর আগে গত পরশু স্কুলে একজন নারী অভিভাবক হিজাব পরে স্কুলে এলে তাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন অধ্যক্ষ শাহনাজ বেগম। এ থেকেই শুরু হয় অভিভাবকদের আন্দোলন। ওই দিনই অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি করে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। এসময় স্কুলের শিক্ষকের অপমান অপদস্ত ও শহীদ আবু সাইদের ছবি অংকনকারী শিক্ষক মানববন্ধনে অংশ নেয়। এতে করে অধ্যক্ষ শাহানাজ ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেন।

পরে আন্দোলনকারীরা জেলা প্রশাসক বরাবর অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি করে একটি স্মারকলিপি দেন। জেলা প্রশাসক তদন্ত কমিটি করে সময় নেয়। সকালে অধ্যক্ষ স্কুলে আসায় আবার অভিভাবকরা আন্দোলন শুরু করেন। এক পর্যায়ে অধ্যক্ষ শাহনাজ বেগম পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে তাকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নিয়ে যায়। পরে আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হন তিনি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৪২:এএম ৩ মাস আগে
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ১৯ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার - Ekotar Kantho

ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ১৯ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার

একতার কণ্ঠঃ প্রতিহিংসামূলক কার্যকলাপের দায়ে টাঙ্গাইলের সন্তোষে অবস্থিত মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ১৯ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে জানানো হয় এ তথ্য।

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, বিশেষ ছাত্র সংগঠনের প্রতিহিংসামূলক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে গত ২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের ২৪৭তম জরুরি সভার অনুমোদনক্রমে ১৯ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। তাদের চলতি সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষাসহ সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ ও হলে অবস্থান নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সাময়িক বহিষ্কৃত ও ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত শিক্ষার্থীরা হলেন, ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইএসআরএম বিভাগের শিক্ষার্থী মানিক শীল, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী হুমায়ুন কবির ও শাওন ঘোষ, সুজন মিয়া, নাইম রেজা, খালেকুজ্জামান নোমান, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিক ইকবাল, রায়হান আহমেদ শান্ত ও আনোয়ার হোসেন অন্তর, গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আবিদ হাসান মারুফ, শাখাওয়াত আহমেদ শুভ্র ও আব্দুল্লাহ সরকার উৎস, ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান, রিফাত হোসেন, সিপিএস বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ রাজু, ইমরানুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রানা বাপ্পি ও যোবায়ের দৌলা রিয়ন।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এআরএম সোলায়মান জানান, এর আগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি পরে অভিযোগকারী ও অভিযুক্তদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার পর পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করে শৃঙ্খলা বোর্ডের সভায় বিভিন্ন বিভাগের ওই ১৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সুপারিশ করে।

তিনি আরও জানান, এটি সাময়িক ব্যবস্থা। প্রয়োজনীয় তদন্ত সাপেক্ষে যথাসময়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:০৯:এএম ৩ মাস আগে
যমুনা সেতুর টোল দেওয়া যাবে অনলাইনে - Ekotar Kantho

যমুনা সেতুর টোল দেওয়া যাবে অনলাইনে

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে দেশের অন্যতম বৃহৎ যমুনা সেতুর টোল ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পেয়েছে নতুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশন (সিআরবিসি)। কোম্পানিটি এখন থেকে অনলাইনে টোল আদায় করবে, এতে কমবে যানজট। আগামী পাঁচ বছর প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব জনবলে এই দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (৩১ আগস্ট) দায়িত্ব পেয়ে রাত ১২টা ১ মিনিটে তারা সেতুর দায়িত্ব বুঝে নিয়ে দায়িত্ব পালন শুরু করে। এতে প্রাক্কলিত মূল্য থেকে প্রায় ১৫ কোটি টাকা কমে দরদাতা হিসেবে চায়না রোড ও ব্রিজ করপোরেশন (সিআরবিসি) যমুনা সেতুর টোল আদায় ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের অপারেটর হিসেবে দায়িত্ব পায়।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রোড ও ব্রিজ করপোরেশন (সিআরবিসি) কোম্পানিকে ৫৯ কোটি ৬৩ লাখ ৯৬ হাজার ৫০৪ দশমিক ১৪ টাকা মূল্যে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। এতে ওই কোম্পানি পরবর্তী পাঁচ বছর সেতুর টোল আদায় ও পরিচালনা কার্যক্রম তাদের নিজস্ব জনবল দ্বারা পরিচালনা করবে।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের যমুনা সেতুর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, কম টাকায় দরপত্র দেওয়া হলেও টোল কমানোর কোনো সুযোগ নেই। সরকার নির্ধারিত টোল আদায় করতে হবে। ডিজিটাল সফটওয়্যারের মাধ্যমে টোল আদায় করা হবে। ফলে টোল আদায়ের কারণে কোনো যানজট সৃষ্টি হবে না।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের যুগ্ম সচিব আলতাফ হোসেন শেখ বলেন, ইতিমধ্যে কার্যাদেশ পেয়ে রাত ১২টার পর থেকে নতুন কোম্পানি টোল আদায় শুরু করেছে। প্রাক্কলিত মূল্য থেকে প্রায় ১৫ কোটি টাকা সাশ্রয় মূল্যে পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তারা চুক্তি সম্পন্ন করেছে। এই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা এবং সফটওয়্যারের মাধ্যমে টোল আদায় করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে গাড়ি পারাপার করা যাবে। এখানে অনলাইনে টোল দিয়ে যাতায়াতের জন্য প্রত্যেকটা লাইনে ব্যবস্থা থাকবে। ব্যবহারকারী যদি টোল কালেকশন সিস্টেমে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করেন, তাহলে টোল পারাপারের সময় তাঁরা অনলাইনে টোল দিতে পারবেন। সরাসরি টোলের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকাটা জমা হয়ে যাবে। এতে টোলে কোনো ট্রাফিক জ্যাম হবে না। একদিকে, সরকারের ১৫ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। অন্যদিকে জনগণও কম সময়ে দ্রুততার সহিত টোল প্লাজা দিয়ে পার হয়ে যেতে পারবে।

উল্লেখ, গত ২০১৮ সাল হতে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ) ২০২৪ আগস্ট পর্যন্ত যমুনা সেতুর টোল আদায় ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিল। দীর্ঘ ছয় বছর পর নতুন কোনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিল সরকার।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০২. সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৩:৪৯:এএম ৩ মাস আগে
টাঙ্গাইল প্রি-ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল প্রি-ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন

একতার কণ্ঠঃ ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত ও নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে টাঙ্গাইল প্রি-ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষের পদত্যাগ ও বিচার দাবি করেছে শিক্ষার্থী ও অভিবাবকরা। এদিকে অভিবাবকরা মানববন্ধন করতে গেলে স্কুলের অধ্যক্ষের স্বামী তার লোকজন নিয়ে মানববন্ধনে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগও করেছে তারা।

রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের জেলা সদর রোডে অবস্থিত প্রি- ক্যাডেট স্কুলের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়

অভিবাবকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের হিজাব পরিহিত ছাত্রীদের নানা বাঁধার মুখে পড়তে হচ্ছে। ছাত্রীরা হিজাব পড়ে প্রবেশ করতে চাইলে তাদেরকে গেটে বাঁধা দেওয়া হয়। তাছাড়া স্কুলের কতিপয় শিক্ষক প্রতিনিয়ত ছাত্রীদের হিজাব পড়তে নিষেধ করে আসছে।

সম্প্রতি হিজাব পড়াকে কেন্দ্র করে এক অভিবাবকের সাথে শিক্ষকদের কথাকাটাকাটি হয়। এ বিষয়টি জানাজানির পর অভিবাবকদের মাঝে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। প্রতিবাদে তারা স্কুলের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে তারা প্রেসক্লাবের সামনে ব্যানার নিয়ে মানববন্ধন করতে গেলে অধ্যক্ষের স্বামী হারুন অর রশীদ তার লোকজন নিয়ে বাঁধা দেয়। এ সময় তারা ব্যানার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এরপর অভিবাবকরা অধ্যক্ষের কার্যালয় ঘেরাও করে রাখে।

শিক্ষার্থী ও অভিবাবকরা অভিযোগ করে বলেন, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি চলে আসছে। ছোট খাটো বিষয় নিয়ে অভিযোগ জানাতে গিয়ে প্রায়ই অধ্যক্ষের কাছে লাঞ্চিত হন তারা। স্কুলের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যে কোন টিফিন টাইম নেই। শিক্ষার্থীরা অনেকটা পালিয়ে পালিয়ে টিফিন করে থাকে। এছাড়া কোচিং বানিজ্য, সকল বই খাতা-কলমসহ শিক্ষা সরঞ্জাম স্কুল থেকে অনেক বেশি দামে কিনতে বাধ্য করা হয়। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করলে নানাভাবে হয়রানীর শিকার হতে হয় শিক্ষার্থী ও অভিবাবকদের।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন স্কুলের অধ্যক্ষ শাহানা বেগম। স্কুলে শিক্ষার্থীদের হিজাব পড়া নিষিদ্ধ করা হয়নি বলেও জানান তিনি

সর্বশেষ আপডেটঃ ০২. সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৫৮:এএম ৩ মাস আগে
বিএনপি নেতা স্বপন ফকিরের আর্থিক সহায়তা পেল আহত আরও ৯ পরিবার - Ekotar Kantho

বিএনপি নেতা স্বপন ফকিরের আর্থিক সহায়তা পেল আহত আরও ৯ পরিবার

একতার কণ্ঠঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত আরও ৯ পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব ফকির মাহবুব আনাম স্বপন (স্বপন ফকির)।

বিএনপি’র চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দিনব্যাপি জেলার দেলদুয়ার, নাগরপুর ও মির্জাপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের আহত পরিবারের হাতে এই আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়া হয়।

আহতদের মাঝে আর্থিক সহযোগিতা তুলে দেন- কেন্দ্রীয় বিএনপি’র শিশু বিষয়ক সম্পাদক ও মির্জাপুর-৭ আসনের সাবেক এমপি আবুল কালাম সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মির্জাপুর উপজেলা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট আব্দুর রউফ, সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন আরিফ, দেলদুয়ার উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি চাঁন খান, সাধারণ সম্পাদক এস এম ফেরদৌস, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক দুর্জয় হোড় শুভ, সদস্য সচিব এম এ বাতেন, জেলা ছাত্রদল নেতা মাহমুদুল হাসান শরীফ ও টাঙ্গাইল জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ববৃন্দ।

এরআগে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করা ধনবাড়ীর ইকরামুল হক সাজিদ, পোশাককর্মী বিপ্লব, ভূঞাপুরের ফিরোজ তালুকদার পলাশ ও গোপালপুরের নলিন গ্রামের কলেজছাত্র ইমনসহ জেলার মধুপুর, টাঙ্গাইল সদর, মির্জাপুর, দেলদুয়ার ও নাগরপুর উপজেলায় আহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত নিহত ও আহত ৩২ পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন মাহবুব আনাম স্বপন (স্বপন ফকির)। এই সহায়তা কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানা গেছে ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০১. সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:২০:এএম ৩ মাস আগে
টাঙ্গাইলে গোসলে নেমে প্রাণ গেল বাস হেলপারের - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে গোসলে নেমে প্রাণ গেল বাস হেলপারের

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পুকুরে গোসলে নেমে সোলেমান (১৮) নামে এক বাস হেলপারের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদের পুকুরে গোসল করতে গেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত বাস হেলপার সোলেমান দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলার বাসদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় সে বাস শ্রমিক ছিল।

সহকর্মীরা জানায়, সে বাসের হেলপার ছিল। শুক্রবার দুপুরের পরে ঢাকা থেকে এসে তার সহকর্মীদের সাথে ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদের পুকুরে গোসল করতে নেমে ডুবে যায়। তার সাথে থাকা অন্যান্যরা তাকে উদ্ধার করতে পারেনি। পরে খবর পেয়ে ভূঞাপুর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

এ প্রসঙ্গে ভূঞাপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা খাদেমুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০১. সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০১:৫০:এএম ৩ মাস আগে
বন্যার্তদের সহায়তায় টাঙ্গাইলে চ্যারিটি কনসার্ট - Ekotar Kantho

বন্যার্তদের সহায়তায় টাঙ্গাইলে চ্যারিটি কনসার্ট

একতার কণ্ঠঃ বন্যার্তদের সহায়তার জন্য অর্থ সংগ্রহে টাঙ্গাইলের চ্যারিটি কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কনসার্টটি শুরু হয় চলে রাত ৯ টা পর্যন্ত।

কনসার্ট ফর ফ্লাড ভিকটিমথ শিরোনামে কনসার্টটির আয়োজন করেছে ‘সরকারি সা’দত কলেজ’। এতে বিনা পারিশ্রমিকে গান পরিবেশন করেছেন স্বনামধন্য কয়েকটি ব্যান্ডদল।

কনসার্ট আয়োজনের বিষয়ে সরকারি সা’দত কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাব্বির হোসেন, জুয়েল হিমুসহ অনেকেই জানান, বর্তমানে আমাদের দেশ একটি ভয়াবহ সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই দুর্যোগ পরিস্থিতর জন্য আন্তর্জাতিক মহলে যে ষড়যন্ত্র চলছে তার প্রতি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা এই সংকট মুহুর্তে যদি কিছু করতে পারি সেটাও গানের মাধ্যমে। যত দ্রুত সম্ভব বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য। বন্যার্তদের সহযোগিতার জন্যই আমরা সরকারি সা’দত কলেজ একটি কনসার্টের আয়োজন করেছি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সরকারি সা’দত কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সুব্রত নন্দীসহ টাঙ্গাইলের সর্বস্তরের সাংস্কৃতিক কর্মীবৃন্দ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৩০. অগাস্ট ২০২৪ ০৩:৫১:এএম ৩ মাস আগে
টাঙ্গাইলে দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিককে হুমকি - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিককে হুমকি

একতার কণ্ঠঃ গত ১৪ জুলাই ‘আড়াই হাজার টাকার সিসিটিভি ক্যামেরা ৩২ হাজারে ক্রয়’ শিরোনামে সমকালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই সংবাদের জেরে দৈনিক সমকালের ঘাটাইল প্রতিনিধি ও ঘাটাইল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুম মিয়াকে হাত-পা ভেঙে ফেলার হুমকি দিয়েছেন ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হাবিবুল্লাহ্।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাতে থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টি,আর-সাধারণ ৩য় পর্যায়) কর্মসূচির উন্নয়ন প্রকল্পে সাগরদিঘী ইউনিয়ন পরিষদে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের প্রকল্প দেন চেয়ারম্যান। যার বরাদ্দ দেওয়া হয় ১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। সমকালের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে বরাদ্দের ওই টাকায় ‘ক্যামপ্রো’ ব্র্যান্ডের মাত্র পাঁচটি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ঢাকার আইসিটি ভবনের ‘গোল্ডেন সান’ ক্যামেরার দোকানে এই ব্র্যান্ডের সিসি ক্যামেরার দাম যাচাই করে জানা যায় ভালো মানের সিসিটিভি ক্যামেরার দাম ২ হাজার ৪৫০ টাকা। সেই হিসেবে পাঁচটি ক্যামেরার দাম ১২ হাজার ২৫০ টাকা।অথচ এই প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।

চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ্’র এমন দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই সমকাল প্রতিনিধির উপর ক্ষিপ্ত হন তিনি। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে অনেক জায়গায় মানুষের কাছে বলে বেড়ান সমকাল প্রতিনিধিকে সাগরদিঘী এলাকায় যেখানেই পাবে সেখানেই বেঁধে হাত-পা ভেঙে দেওয়া হবে। ২৭ আগস্ট সংবাদ সংগ্রহ সংক্রান্ত কাজে ঘাটাইল প্রেস ক্লাবের সহযোগী সদস্য সৈয়দ মিঠুন ও বিপ্লব হোসেন সাগরদিঘী গেলে তাদের কাছে চেয়ারম্যান বলেন, সমকাল প্রতিনিধি মাসুমকে সাগরদিঘী সময় মত পেলে হাত-পা ভেঙে পঙ্গু করে দেওয়া হবে। তিনি তার বাহিনীকে এ ধরণের ঘটনা ঘটানোর কথা নাকি বলে রেখেছেন। এর আগে গত ২২ আগস্ট ঘাটাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের সামনে চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ্ ওই অফিসের কর্মচারীদের সমকালে প্রকাশিত সংবাদ মোবাইল ফোনে দেখিয়ে তাদের কাছে বলেন, ‘সাগরদিঘী লোক সেট করা আছে, সমকাল প্রতিনিধি মাসুমকে ওই এলাকায় পাইলে হাত-পা বাইন্দা ছিঁড়া ফেলব।’ চেয়ারম্যানের বলা এই কথাগুলো সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। ক্যামেরায় ধারণ করা ওই ভিডিও অডিও সমকালের হাতে সংরক্ষিত আছে।

হুমকি দেওয়ার বিষয়ে সাগরদিঘী ইউপি চেয়ারম্যান মো.হাবিবুল্লাহ্’র সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোনে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।

ঘাটাইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, দুর্নীতির খবর প্রকাশ করায় সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি অবশ্যই নেক্কারজনক। প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ দেওয়ার অধিকার সবার আছে। তা না দিয়ে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বিষয়টি আইনগতভাবেই আমরা লড়ব।

সাধারণ ডায়েরীর তদন্ত কর্মকর্তা ঘাটাইল থানার উপপরিদর্শক মো.শহিদুজ্জামান বলেন, সমকাল প্রতিনিধি ও ঘাটাইল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদককে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দুর্নীতির খবর প্রকাশ করায় সাংবাদিককে হুমকির বিষয়টি আপনি কিভাবে দেখেন? এমন প্রশ্নে ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইরতিজা হাসান বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হলাম, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করা হবে। পরবর্তীতে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৯. অগাস্ট ২০২৪ ০২:২০:এএম ৩ মাস আগে
অবশেষে জামিনে মুক্ত সাবেক মেয়র মুক্তি - Ekotar Kantho

অবশেষে জামিনে মুক্ত সাবেক মেয়র মুক্তি

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে অবশেষে জামিনে মুক্তি লাভ করেছেন। দুপুরে জামিন লাভের পর তিনি বিকেলেই টাঙ্গাইল কারাগার থেকে বের হয়ে যান।

আদালত সূত্র জানায়, ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে বন্দি সহিদুর রহমান মুক্তির জামিনের জন্য তার আইনজীবীরা টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন।

তারা জানান, সহিদুর রহমান খান মুক্তি কারাগারে খুব অসুস্থ অবস্থায় আছেন। তার অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাচ্ছে। থাইরওয়েডের সমস্যাসহ আরো অনেক রোগে ভুগছেন। সুচিকিৎসা না পেলে তার মৃত্যু হতে পারে। যে কোন শর্তে মুক্তির জামিন চান আইনজীবীরা। পরে ওই আদালতের বিচারক মো. মাহমুদুল হাসান শুনানি শেষে সহিদুর রহমান খান মুক্তির মামলার আগামী ধার্য তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন। আগামী ধার্য তারিখে কি কি চিকিৎসা গ্রহন করলেন তা আদালতকে জানানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট ইন্সপেক্টর তানভীর হাসান।

টাঙ্গাইল জেলা কারাগারের জেল সুপার মোকলেছুর রহমান জানান, সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিন মঞ্জুরের কাগজপত্র বিকেল ৩টার দিকে কারাগারে আসে। পরে সাড়ে তিনটার দিকে তিনি কারাগার থেকে বের হয়ে যান।

সহিদুর রহমান খান মুক্তির বাবা আতাউর রহমান খান ও ভাই আমানুর রহমান খান রানা টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসন থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য। এ মামলায় মুক্তির অপর তিন ভাইও আসামী।

সহিদুর রহমান খান মুক্তির পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, মুক্তি পাওয়ার পর তিনি ঢাকায় চিকিৎসা গ্রহনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেছেন। সেখানে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহন করবেন।

২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি বের হয়ে আসে। তারপর সহিদুর রহমান খান মুক্তি আত্মগোপনে চলে যান। দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠান। পরে ২০২২ সালে ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি জামিন পেয়েছিলেন। পরে আদালত জামিত বাতিল করার পর ২৮ ফেব্রুয়ারি আবার কারাগারে যান তিনি। এরপর ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে ২২ নভেম্বর কারাগার থেকে মুক্ত হন। পরে আদালত তার জামিন বাতিল করলে পরদিনই আদালতে আত্মসমর্পণের পর কারাগারে যান। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশ এ হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামের দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। আদালতে এ দুজনের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে এই হত্যার সাথে তৎকালিন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা এবং তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা জড়িত বলে বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এতে সহিদুর হমান খান মুক্তির চার ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। অতিরিক্ত সরকারি কৌশলী মনিরুল ইসলাম খান জানিয়েছেন মামলাটির শুধু তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। অন্য সব সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৯. অগাস্ট ২০২৪ ০১:৩৩:এএম ৩ মাস আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।