একতার কণ্ঠঃ কোটা আন্দোলনের নামে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা পদদলিত, বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাজপথে লাঞ্চিত-নির্যাতন, বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করার মহা-ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে পৌর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড টাঙ্গাইল জেলা শাখার আয়োজনে এই সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে এসে একত্রিত হন।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার ফজলুল হক বীরপ্রতীকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের, সহ সভাপতি আশরাফুজ্জামান স্মৃতি, যুগ্ম সম্পাদক তানভীর হাসান ছোট মনির এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক জামিলুর রহমান মিরন, টাঙ্গাইল পৌর মেয়র এস.এম সিরাজুল হক আলমগীর, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আবুল কালাম আজাদ বীর বিক্রমসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব গোল চত্বর এলাকায় অবস্থান করে কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অবরোধে বন্ধ রয়েছে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহন চলাচল। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু গোল চত্বর এলাকায় অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। আন্দোলনের কারণে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপরসহ মহাসড়কের প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় পরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
অন্যদিকে মহাসড়কে পরিবহন চলাচল না করায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় বন্ধ রেখেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, কোটা পদ্ধতি সংস্কার আমাদের প্রাণের দাবি। যে পর্যন্ত সংস্কারের কোনো ব্যবস্থা না হচ্ছে সে পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো। এছাড়া নিরীহ শিক্ষার্থীদের হত্যার বিচার দাবি করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর আশরাফ জানান, শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে মহাসড়কের গোল চত্বর এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। তাদেরকে মহাসড়ক ছেড়ে দেওয়ার জন্য বারবার বলা হচ্ছে। তবে তারা সড়ক ছাড়ছে না। এ কারণে মহাসড়কে পরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ কোটা বাতিলের দাবিতে পুলিশের তৈরি করা ব্যারিকেড ভেঙে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দেড়ঘন্টা অবরোধ করে রাখে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারী এমএমআলী কলেজের ছাত্রছাত্রীদের নেতৃত্বে শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫ সহস্রাধিক শিক্ষার্থীরা মহাসড়কের নগরজলফৈ বাইপাসে অবস্থান নেয়। এ সময় মহাসড়কের দু’পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। অবরোধ স্থলে এ সময় বিপুল সংখ্যক আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য উপস্থিত ছিল। পুলিশ বার বার শিক্ষার্থীদের অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ করলেও সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসুচিতে অনড় থাকে। দুপুর ২টা ৩০মিনিটে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিলে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসুচি পালন করতে বেলা ১০টা ৩০মিনিটের দিকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে শহরের নিরালা মোড়ে শহীদ মিনার চত্বরে আসার সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এতে তিনজন ছাত্র আহত হয়। তাদেরকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে পৌঁছালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এরপর আন্দোলনকারীরা টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে সমবেত হয়। সেখানে শিক্ষার্থীরা ঘন্টাব্যাপী সমাবেশ করে।। পরে সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা মহাসড়কের দিকে আগাতে থাকলে প্রেসক্লাবের সামনে ও পুরাতন বাসষ্ট্যান্ডে পুলিশ বাঁধা প্রদান করে। পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে মহাসড়কের নগরজলফৈ বাইপাসে যাওয়ার সময় মহাসড়কের প্রবেশ পথে তিনটি বালু ভর্তি ট্রাক দিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে। সেখানে ভূয়া-ভূয়া স্লোগান দিয়ে ছাত্ররা ট্রাক ভাঙচুরের উদ্যোত হলে পুলিশ সরে যায়। ট্রাকে থাকা চালক ট্রাক তিনটি সরিয়ে নেয়। পরে হাজার-হাজার শিক্ষার্থীরা মহাসড়কে অবস্থান নেয়।
অবরোধ কালে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, যে পরিমাণ কোটা, তাতে দেশের মেধাবীরা চাকরি না পেয়ে দেশের বাইরে চলে যাবে, দেশে সরকারি চাকরি করারও আগ্রহও হারাবে। বৈষম্যমূলক কোটার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। এ বৈষম্য দূর না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব আমরা। এই আন্দোলন কোনো সরকার বিরোধী আন্দোলন না, এই আন্দোলন আমাদের সকলের ভবিষ্যৎ নিশ্চিতের আন্দোলন।
পরে দুপুর ২টা ৩০মিনিটের দিকে মঙ্গলবার দিনের অবরোধ কর্মসূচি শেষ করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মহাসড়কের অবরোধ তুলে যার যার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরে যায়।
এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, মহাসড়কে কোন প্রকার জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হলে পুলিশ ব্যবস্থা নিবে। অন্যথায় শান্তিপূর্ন ভাবে আপনারা আন্দোলন করেন রাস্তা ছেড়ে দিয়ে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে বাস ও সিএনজি সংঘর্ষে আনোয়ার হোসেন (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন।
সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কের মধুপুর উপজেলার গোলাবাড়ী এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আনোয়ার হোসেন মির্জাপুর উপজেলার ঘৌহাতলী গ্রামের হাজী শুকুর মিয়ার ছেলে।
আহতরা হলেন- নিহতের স্ত্রী শাহনাজ বেগম (৫৫), নিহত আনোয়ারের ভাইয়ের বউ সেলিনা (৩৩), ভাইয়ের ছেলে সিফাত (৫), জামুরিয়া গ্রামের আজগর আলীর ছেলে আবুল কালাম (৩৫)। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, শেরপুর থেকে মধুপুরের দিকে যাচ্ছিল যাত্রীবাহী একটি সিএনজি। অপরদিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মহাখালী ট্রাভেলসের একটি বাস ধনবাড়ীর দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে গোলাবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে বাস ও সিএনজির সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যু হয়। আহতদের উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। পরে এ ঘটনায় টাঙ্গাইল ও ধনবাড়ী মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে স্থানীয়রা। এ সময় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান বলেন, নিহতের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাসটি মহাসড়কের ভাইঘাট এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে ২০ কেজি গাঁজাসহ মজনু শেখ (৪০) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার(১৩ জুলাই) রাতে উপজেলার মুশুদ্দি ইউনিয়নের মুশুদ্দি পূর্বপাড়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত মজনু শেখ ওই এলাকার আব্দুল বারেক শেখের ছেলে।
রবিবার (১৪ জুলাই) সকালে আদলতের মাধ্যমে তাকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ধনবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাবিবুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার মুশুদ্দি পূর্বপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী মজনুকে আটক করা হয়। পরে তার হেফাজতে থাকা ২০ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়।
তিনি আরো জানান,এ ঘটনায় ধনবাড়ী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের পর মজনু শেখকে রবিবার(১৪ জুলাই) সকালে আদলতের মাধ্যমে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে
একতার কণ্ঠঃ ঢাকার মিরনজিল্লা সিটি হরিজন কলোনীতে হামলা ও মন্দির ভাংচুরের প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার(১৩ জুলাই )বিকেলে টাঙ্গাইল শহরের শ্রী শ্রী বড় কালিবাড়ী মন্দিরের সামনে জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, পূজা উদযাপন পরিষদ, হরিজন ঐক্য পরিষদ ও নাগরিক সমাজের যৌথ উদ্যোগে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট খোরশেদ আলম, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক সমরেশ চন্দ্র পাল, যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক তমাল বিহারী দাস, দপ্তর সম্পাদক সুমন সরকার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুভাষ সরকার, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার গুণ ঝন্টু, গালা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রাজকুমার সরকার, সদর উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি মুকুল সাহা, সাধারণ সম্পাদক লিটন সাহা, কেন্দ্রীয় যুব ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি স্বাধীন হরিজন, টাঙ্গাইল জেলা হরিজন ঐক্য পরিষদের সভাপতি সুমন হরিজন, সাধারণ সম্পাদক রিপন হরিজন, হরিজন সম্প্রদায়ের নেতা সুমন হরিজন প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদেরকে অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ‘প্লাটিনাম জয়ন্তী’ উপলক্ষে টাঙ্গাইলে গাছের চারা বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার(১৩ জুলাই )সকালে পৌর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জেলা যুবলীগের উদ্যোগে এ চারা বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এ সময় বিভিন্ন জাতের ২ হাজার গাছের চারা বিতরণ করা হয়
অনুষ্ঠানে জেলা যুবলীগের সভাপতি মাসুদ পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈম তালুকদার বিপ্লব, যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক নূর মোহাম্মদ সিকদার মানিক ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈম তালুকদার বিপ্লব বলেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশে বিভিন্ন জাতের দুই হাজার চারা বিতরণ করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে একই বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাকে কু-প্রস্তাব ও যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে অর্জুনা মহসীন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি নিয়ে উপজেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
কাজী জহুরুল ইসলাম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ওই শিক্ষিকার পরিবারকে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকার অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেলে অর্জুনা মহসীন উচ্চ বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটিসহ শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ওই বৈঠকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক কাজী জহুরুল ইসলাম শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানি করার বিষয়টি স্বীকার করেন।
জানা যায়, উপজেলার অর্জুনা মহসীন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী জহুরুল ইসলাম বিগত ২ বছর ধরে একই স্কুলের এক সহকারী শিক্ষিকাকে বিভিন্নভাবে অনৈতিক কাজের জন্য বারবার কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। পরে তার ব্যবহারে বিরক্ত হয়ে ওই শিক্ষিকা আভ্যন্তরিণ ভাবে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেন। পরে এক পর্যায়ে বিদ্যালয়ের অন্য সহকর্মীদের বিষয়টি জানানো হয়। পরে ঘটনার বর্ণনা শুনে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা একত্রিত হয়ে মিমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এরপর ওই প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকদের সামনেই ওই শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির চেষ্টা করেন। বিষয়টি ওই শিক্ষিকার পরিবার পর্যায়ে যাওয়ার পর শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। পরবর্তিতে প্রতিকার চেয়ে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির কাছে অভিযোগ জানান ওই ভুক্তভোগী শিক্ষিকা। শুধু ওই শিক্ষিকাই নয় তার আরও কয়েকজন শিক্ষিকাকে কু-প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার বিকেলে বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও অর্জুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল আলম খান মাহবুব, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈবুর রহমান, নুরুল ইসলাম খান জোসনা এবং অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক কাজী জহুরুল ইসলাম, অভিযোগকারী শিক্ষিকাসহ বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকরা। এ সময় প্রধান শিক্ষক কাজী জহুরুল ইসলাম সবার সামনে নিজের দোষ স্বীকার করেন।
অজুনা মহসীন উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক ও শিক্ষিকারা জানান, প্রধান শিক্ষক তার ক্ষমতা ব্যবহার করে নারী শিক্ষকদের নানাভাবে হয়রানি করে। তার কু-প্রস্তাবে রাজি না হলে ওই শিক্ষিকার সাথে খারাপ আচরণ করেন জহুরুল ইসলাম। একই সাথে তিনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক হওয়ায় তার ভয়ে অনেকেই প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না। বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষিকাকে ওই প্রধান শিক্ষক গভীররাতে মোবাইলে বিভিন্ন ধরনের ম্যাসেস পাঠাতো। পরে বাধ্য হয়ে এক শিক্ষিকা তার বিরুদ্ধে ম্যানেজিং কমিটির বরাবর অভিযোগ দিয়েছে যেটা সত্য।
অভিযোগকারী শিক্ষিকা জানান, ক্ষমতার অপব্যবহার করতো সব সময়। ম্যাসেস, মোবাইলে এবং সরাসরি কু-প্রস্তাব দিতো প্রধান শিক্ষক। মোবাইলে টাকাও পাঠিয়েছিল। এটি নিয়ে পারিবারিকভাবেও ঝমেলার সৃষ্টি হয়েছে। পরে সহকর্মীদের কাছে বলার পরও ওই প্রধান শিক্ষক ভাল হয়নি। পরে বাধ্য হয়ে প্রতিকার চেয়ে ম্যানেজিং কমিটি বরাবর অভিযোগ দিয়েছি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত অজুর্না মহসীন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী জহুরুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এছাড়া বিদ্যালয়ে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
অজুর্না মহসীন উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দিদারুল আলম খান মাহবুব বলেন, শিক্ষিকার অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিকেলে মিটিং করা হয়েছে। মিটিংয়ে প্রধান শিক্ষক তার দোষ স্বীকার করেছেন। পরবর্তিতে তার বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুনুর রশীদ বলেন, বিষয়টি জানার পর ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ ও আন্দোলনে নেমেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সরকারি চাকরিতে কোটা-পদ্ধতি বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহণ করেন।
বুধবার (১০ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তৃতীয় একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ফটক হয়ে টাঙ্গাইল-আরিচা আঞ্চলিক সড়কের কাগমারি মোড়ে অবস্থান নেয়। এরপর প্রথম ফটকের সামনে দলে দলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে শুরু করে।
এ সময় তারা সারা বাংলায় খবর দে-কোটা প্রথার কবর দে, আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই এর মত বিভিন্ন আগুনঝরা স্লোগানের মাধ্যমে আন্দোলনকে মুখরিত করে তোলে।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, বৈষম্যমূলক কোটার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। আমরা ইতোপূর্বেও সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। এ বৈষম্য দূর না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমরা কোটা চাইনা, আমার মেধা দিয়ে চাকরি চাই।
মেহেদী হাসান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, এই আন্দোলন সরকার বিরোধী আন্দোলন না, এই আন্দোলন আমাদের সকলের ভবিষ্যৎ নিশ্চিতের আন্দোলন। যৌক্তিক দাবি আদায়ের আন্দোলন। আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে আমাদের আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যেতে চাই।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্ন্যা ইউনিয়নের চারাবাড়ি ব্রিজের সংযোগ সড়ক পানির তোড়ে ভেঙে তিনটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বুধবার (১০ জুলাই) ভোরে উপজেলার চারাবাড়ি তোরাপগঞ্জ ধলেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত ব্রিজের পশ্চিম পাশের সংযোগ সড়ক পানির তোড়ে ভেঙে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
জানা গেছে, সদর উপজেলার চরাঞ্চলের কাতুলী, হুগড়া, মাহমুদ নগর ইউনিয়নে যাতায়াতের জন্য টাঙ্গাইল-তোরাপগঞ্জ সড়কে ধলেশ্বরী নদীর ওপর চারাবাড়িঘাটে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ২০০৬ সালে ১৭০ দশমিক ৬৪২ মিটার দৈর্ঘ্যের ব্রিজটি নির্মাণ করে।
ব্রিজটি নির্মাণের পর থেকেই কয়েকবার বর্ষায় দফায় দফায় পূর্ব ও পশ্চিম তীরের অ্যাপ্রোচ ধসে যায়। যদিও তাৎক্ষণিকভাবে এলজিইডি স্থানীয়দের সহায়তায় বালুর বস্তা ও লোহার পাত দিয়ে সাময়িক সংস্কার করে ধস ঠেকায়।
এ দিকে চরাঞ্চলের কৃষিপণ্য, তাঁত শিল্পের কাঁচামাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আনা-নেওয়া করতে প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক, ভ্যান, অটোরিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা এই সড়কে চলাচল করে থাকে।
অটোরিকশাচালক হাসমত করিম বলেন, গত কয়েক দিন ধরেই একটু একটু করে ধস নামছিল। বুধবার ভোরে যাত্রী নিয়ে এসে দেখলাম ভেঙে গেছে। পরে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে ভাঙনের দৃশ্য দেখতেছি। দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা না নিলে আমরা যানবাহন চালাতে পারব না।
কাতুলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুমন দেওয়ান বলেন, নদীর গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে পানির চাপ বেড়ে পশ্চিম পাশের অ্যাপ্রোচসহ সংযোগ সড়ক ও কয়েকটি বাড়িতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। তাই দ্রুত প্রদক্ষেপ না নিলে এ ব্রিজ ভেঙে চরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে ইঞ্জিনিয়ার পাঠানো হয়েছে। এছাড়া সড়কটি যেহেতু এলজিইডির, তাই এলজিইডির প্রকৌশলীকে অবগত করা হয়েছে। দ্রুত সময়ে দুর্ভোগ লাঘবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী মো. ফজলুর রহমান বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরিদর্শনে গিয়েছি। দ্রুতই সড়কটি সংস্কার করা হবে।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা বলেন, সম্প্রতি বৃষ্টি ও প্রবল স্রোতের কারণে ব্রিজের পাড় ধসে পড়ছে। যেহেতু এটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক তাই দ্রুত ধস বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া ওখানে স্থায়ীভাবে একটা কিছু করার ভাবনা রয়েছে। আমি সবেমাত্র উপজেলা পরিষদের দায়িত্ব গ্রহণ করলাম। পশ্চিম টাঙ্গাইলের পাঁচটি ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম এ সড়ক। আমি অবশ্যই গুরুত্বসহকারে বিষয়টি দেখছি।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলার কয়েকটি উপজেলায় বাড়ি-ঘর, হাট-বাজার, মসজিদ, মন্দির, ফসলি জমিসহ অন্যান্য স্থাপনা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে দুর্গম চরাঞ্চলে ৩৬ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে।
জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি কোথাও অপরিবর্তিত, আবার কোথাও অবনতি হয়েছে। জেলার কয়েকটি উপজেলাতে বিস্তির্ন জনপদের বাড়ি-ঘর, হাট-বাজার, ফসলী জমিসহ অন্যান্য স্থাপনা এখনও বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে।
সোমবার (৮ জুলাই) টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ঝিনাই ও যমুনা নদীর পানি সামান্য কমলেও অন্য সব নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে ও যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ি পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়াও ফটিকজানি নদীর পানি নলচাপা ব্রীজ পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার, বংশাই নদীর পানি কাউলজানী পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার, মির্জাপুর পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার এবং মধুপুর পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভুয়াপুর উপজেলার ফরমান, সাইফুলসহ কয়েকজন বলেন,আমরা যমুনা তীরের মানুষ। প্রতিবছরই যমুনা নদীর সাথে যুদ্ধ করে চলতে হয়। এবারের বন্যায় আমাদের অনেক ক্ষতি করেছে। বন্যার পানির স্রোতে আমাদের কারো বাড়ির আঙিনা আংশিক করে ভেঙে গেছে। গত পাঁচ থেকে সাতদিন ধরে পানিতে বন্দি রয়েছে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম জানান, জেলায় ৩৬ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। বন্যা কবলিত এলাকায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা সামগ্রী হিসেবে চাল, ডাল, তেল, চিনি মসলাসহ সাড়ে চৌদ্দ কেজি ওজনের প্যাকেট, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও পানির পাত্র বিতরণ করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালক নাহিদ ইসলাম (২৫) নামে এক যুবক নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উপজেলার ইছাপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী আরও একজন আহত হয়েছেন।
নিহত নাহিদ ইসলাম কালিহাতী উপজেলা এলেঙ্গা পৌরসভার মশাজান গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয়রা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত নাহিদ ইসলাম এক বন্ধুসহ মোটরসাইকেল যোগে ঘুরতে কালিহাতীর দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে উপজেলার ইছাপুর এলাকায় পৌঁছালে শেরপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আজমেরী ট্রাভেলসের একটি বাসের সাথে মোটরসাইকেলটির মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই নাহিদের মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয়রা মোটরসাইকেলে থাকা অপর আরোহী নিহত নাহিদের বন্ধুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে পাঠায়।
এলেঙ্গা হাইওয়ে থানার এসআই সাকিব হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকাগামী বাসের সঙ্গে বিপরীতমুখী মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংর্ঘষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল চালক নাহিদ ইসলাম নিহত হয়।
তিনি আরও বলেন, বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক হেলপার পালিয়ে গেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।