আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সাবেক এমপি ও টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছানোয়ার হোসেন ঢাকায় গ্রেপ্তার হওয়ার খবরে টাঙ্গাইলে মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল করা হয়েছে।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের নিরালা মোড়, নিউ মার্কেটসহ আশপাশের এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়। পরে একটি আনন্দ মিছিল শহরের নিরালা মোড় থেকে বের হয়ে শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে গিয়ে শেষ হয়।
এই আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণের নেতৃত্বদেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দ্যাইনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লাভলু মিয়া লাবু। এসময় দ্যাইনা ইউনিয়নের বিএনপি’র বেশ কিছু নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করে।
এ প্রসঙ্গে লাভলু মিয়া লাবু বলেন, টাঙ্গাইল সদর আসনের সাবেক এমপি ছানোয়ার হোসেন আমার বড় ভাই দ্যাইনা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফারুক চেয়ারম্যানের হত্যাকান্ডের অর্থদাতা। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ফারুক চেয়ারম্যান হত্যাকাণ্ডের সমস্ত তথ্য বের হয়ে আসবে বলে মনে করি।
তিনি আরও বলেন, ছানোয়ারের বাহামভূক্ত দ্যাইনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আফজাল হোসেনের অত্যাচার ও নির্যাতনের কারণে অনেক নিরীহ গ্রামবাসী এলাকা ছাড়া হয়েছিল। অবিলম্বে আফজাল চেয়ারম্যানের গ্রেপ্তারেরও জোর দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, ছানোয়ার হোসেনের গ্রেপ্তারের সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথেই আমারা শহরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছি। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে দ্যাইনা ইউনিয়ন থেকে একটি বিশাল আনন্দ মিছিল বের করা হবে।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল বলেন, ছানোয়ার হোসেনের গ্রেপ্তারের সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথেই টাঙ্গাইল শহরসহ সদর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের বৃদ্ধ থেকে শুরু করে ছাত্র-জনতা আনন্দ উল্লাস করেছে।
তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে টাঙ্গাইল শহরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। লোকটি নিজেকে সাদা মনের মানুষ বলে দাবি করলেও এমন কোন অন্যায় কাজ নেই যেটা সে করেনি। আমি দ্রুত তাকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, রাজধানী ঢাকার ভাটারায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছানোয়ার হোসেন (৫৪) সহ তিন আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির ভাটারা থানা পুলিশ।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টা ৩০ মিনিটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ব্লক- এল এর ১০নং রোডের ২৫০১ নং বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছানোয়ার পেশায় তামাক ব্যবসায়ী, যিনি গত তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনে সংসদ সদস্য হন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে তার বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল সদর ও মির্জাপুর থানায় শিক্ষার্থী মারুফ ও ইমন হত্যাসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
সরকার পতনের দুদিন আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনের কৌশল ঠিক করতে টাঙ্গাইল সার্কিট হাউজে স্থানীয় কয়েকজন সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে গোপন বৈঠক করেছিলেন তিনি।
আরমান কবীরঃ রাজধানী ঢাকার ভাটারায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছানোয়ার হোসেন (৫৪) সহ তিন আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির ভাটারা থানা পুলিশ।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টা ৩০ মিনিটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ব্লক- এল এর ১০নং রোডের ২৫০১ নং বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভাটারা থানা সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সকাল ১০টায় ভাটারা থানার জে ব্লকের ৯ নম্বর রোডের সড়কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী মিঠুন ফকির (২৮) হামলায় আহত হন। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে ১৯ ডিসেম্বর ভাটারা থানায় একটি মামলা করেন। তদন্তাধীন এ মামলায় গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার রাতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা হতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত সালাউদ্দিন সালেক ওরফে সালেক ঢালী এ মামলায় এজাহারনামীয় ও এমপি ছানোয়ার হোসেন ও আবু মুসা আনসারী মামলার সন্দেহভাজন আসামি। গ্রেপ্তারকৃতদের রবিবার দুপুরে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল বলেন, বিনা ভোটে নির্বাচিত টাঙ্গাইল সদর আসনের এমপি ছানোয়ার হোসেন গ্রেপ্তারের খবরে শহরে আনন্দ উৎসব হচ্ছে। আশা করি, অতি দ্রুত বিচার করে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
এদিকে, ছানোয়ার হোসেনের গ্রেপ্তারের খবরে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ লাবলু মিয়া লাবুর নেতৃত্বে শহরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
আরমান কবীরঃ বাংলাদেশ আঞ্চলিক সংবাদপত্র পরিষদ টাঙ্গাইল জেলা শাখার নতুন কমিটি শনিবার(১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঘোষণা করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভা শেষে সাপ্তাহিক প্রযুক্তির সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলাকে সভাপতি ও দৈনিক যুগধারা পত্রিকার সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমানকে (সরকার হাবিব) সাধারণ সম্পাদক করে ওই কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্যান্য পদে নির্বাচিত সদস্যরা হচ্ছেন- দৈনিক আজকের টেলিগ্রামের সম্পাদক সাহাব উদ্দিন মানিক ও আলোকিত মধুপুরের সম্পাদক মো. আব্দুল আজিজ (সহ-সভাপতি), টাঙ্গাইল সমাচারের সম্পাদক মো. মাসুদুল হক ও সাপ্তাহিক জাহাজমারার সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান (যুগ্ম সম্পাদক), টাঙ্গাইল প্রতিদিনের সম্পাদক মো. মোস্তাক হোসেন (কোষাধ্যক্ষ), সাপ্তাহিক পাপিয়ার সম্পাদক মো. সেলিম তরফদার (সাংগঠনিক সম্পাদক), সাপ্তাহিক শোষিতের কন্ঠের সম্পাদক কাজী শায়লা ইয়াছমীন (আইন বিষয়ক সম্পাদক), সাপ্তাহিক আমাদের টাঙ্গাইলের সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান (প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক)।
কার্যকরী কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন- দৈনিক মজলুমের কন্ঠের সম্পাদক জাফর আহমেদ, সাপ্তাহিক গণবিপ্লবের সম্পাদক মোশাররফ হোসেন সিদ্দিকী, সাপ্তাহিক ইনতিজারের সম্পাদক এবিএম আব্দুল হাই মিয়া, সাপ্তাহিক সময় তরঙ্গের সম্পাদক কাজী হেমায়েত হোসেন হিমু, সাপ্তাহিক লোকধারার সম্পাদক এনামুল হক দীনা, আজকের দেশবাসীর সম্পাদক অরণ্য ইমতিয়াজ, সাপ্তাহিক কালের স্বরের সম্পাদক শামছুজ্জামান, সাপ্তাহিক সমাজচিত্রের সম্পাদক মামুনুর রহমান, সাপ্তাহিক সামালের সম্পাদক মাহবুবুল আলম আব্বাসী, দৈনিক লোককথার সম্পাদক আবিদা সুলতানা, দৈনিক টাঙ্গাইল সময়ের মো. পারভেজ হাসান, সাপ্তাহিক বারবেলার সম্পাদক হোসনি জোবাইরি।
উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশ মোতাবেক কমিটি পুন:গঠন নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি জাফর আহমেদ ১৫ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) কমিটি ঘোষণা করেন।
আরমান কবীরঃ বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসে ফুল বিক্রি করায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় দোকানে `তৌহিদী জনতা’র ব্যানারে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে ‘ভালোবাসা বিরোধী’ বিক্ষোভ করেছেন তারা।
শুক্রবার(১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের ভূঞাপুর থানা কাছে কলেজ রোডে ‘মামা গিফট কর্নারে’ এই ভাঙচুর ও বিক্রির জন্য রাখা ফুল রাস্তায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন দোকানদার।
এসময় বিক্ষুদ্ধরা ‘ভালোবাসা দিবস, ভালোবাসা দিবস- চলবে না, চলবে না’, ‘প্রেমিক-প্রেমিকার গালে গালে, জুতা মারো তালে তালে’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
ফুলের দোকানদার আলম
জানান, “দীর্ঘদিন ধরে দোকানে ফুল বিক্রি করি। এর মধ্যে শুক্রবার বিকালে কিছু লোকজন এসেই দোকানে হঠাৎ আক্রমণ ও ভাঙচুর করে ফুলগুলো রাস্তায় ফেলে দেয়।
“ভালবাসা দিবসে কেন ফুল বিক্রি করছি সেটাই অপরাধ। আরেকটি দোকান ভেঙেছে তাও কিছু বলিনি। আগেরদিন তারা নিষেধ করে গিয়েছিল।”
এদিকে স্থানীয় নিরিবিলি ফুড কর্নারের ম্যানেজার আসাদ খান বলেন, “ ১৩ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) হুজুররা এসে ফাস্টফুড বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল। তখন তারা ফাস্টফুডে বিক্ষোভ করে বিভিন্ন স্লোগানে দিয়েছিল। ফলে বাধ্য হয়ে শুক্রবার প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।”
এদিকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে শনিবার ভূঞাপুরে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর ‘বসন্তবরণ অনুষ্ঠান’ স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভূঞাপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মেহেদী হাসান।
তিনি বলেন, “ভালোবাসা দিবসের বিভিন্ন ঘটনার কারণে অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে বসন্তবরণের অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরবর্তীতে বসন্তবরণ অনুষ্ঠান করা হবে।”
তবে ভূঞাপুর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বলেন, “ফুল দোকানের ঘটনার বিষয়টি জানা নেই। এছাড়া ভাঙচুরের বিষয়েও কোনো অভিযোগ পাইনি বলে দায়িত্ব এড়িয়ে যান।
শুক্রবার(১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের ভূঞাপুর থানা কাছে কলেজ রোডে ‘মামা গিফট কর্নারে ভাঙচুর করা হয়।
আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নারী সমন্বয়ক ফাতেমা রহমান বীথি উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছেন।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯ টার দিকে শহরের প্রাণকেন্দ্রে ভিক্টোরিয়া ফুড জোনের সামনে সমন্বয়ক বীথিসহ তার সঙ্গে থাকা মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে চার বখাটে যুবক।
প্রতিবাদ করলে উল্টো ওই নারী সমন্বয়কের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়। এ সময় আশে পাশে থাকা লোকজন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করলেও তাকে বাঁচাতে কেউ এগিয়ে আসেনি বলে জানা গেছে।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের মধ্যে দুজনকে শনাক্ত করা গেছে। তাঁদের একজন অমিয় ও অন্যজন মুন্না। বাকি দুজনের পরিচয় এখনও মেলেনি।
ফাতেমা রহমান বীথি টাঙ্গাইল আইন কলেজের শিক্ষার্থী এবং জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থগিত হওয়া কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও ছাত্র ফেডারেশন টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সিসিটিভির ভিডিওতে দেখা গেছে, মোটরসাইকেলের ওপর বসা দুই যুবক সমন্বয়ক বীথির সঙ্গে তর্কাতর্কি করছে। এ সময় ঘটনাস্থলে লোকজন জড়ো হয়ে গেলে তারা মোটরসাইকেল নিয়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে ফাতেমা রহমান বীথি বলেন, ‘শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে থেকে ওই বখাটেরা অনুসরণ করছিল। পরে সেখান থেকে ভিক্টোরিয়া ফুড জোনে আসার পর তারা উত্ত্যক্ত করে। এ সময় তারা বিভিন্ন বাজে মন্তব্য করেছে। পরে প্রতিবাদ করলে তারা খারাপ আচরণ করে। একপর্যায়ে লোকজন জড়ো হয়ে গেলে তারা পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। ওই বখাটেদের শাস্তি দাবি করছি।’
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীর আহমেদ জানান, ঘটনার পর ফাতেমা রহমান বীথি আমাকে ফোনে জানালে আমি ছুটিতে থাকায় সাব-ইন্সপেক্টর (এস আই) নজরুলকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরমান কবীরঃ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, দেশে একটা হতাশা কাজ করছে। মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশ চলছে না। সামনে মাহে রমজান। এটি সারা বিশ্বের মুসলিমদের জন্য সবচেয়ে পবিত্র মাস। রমজান নিয়ে সাংঘাতিক শঙ্কায় আছে দেশের মানুষ। বাজারে কী অবস্থা হবে, দ্রব্যমূল্য কী হবে—এ সব নিয়ে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. আকলিমা বেগমের আমন্ত্রণে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে কার্যালয় থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন প্রসঙ্গে কাদের সিদ্দিকী বলেন, সাধারণ মানুষ যা চায় সেটাই হওয়া উচিত। সাধারণ মানুষ স্বস্তি চায়, শান্তি চায়, ভালোবাসা চায় এবং ভালোভাবে থাকতে চায়। সেখানে সবাই কষ্টে আছে। মানুষের উপার্জনের সঙ্গে ব্যয়ের কোনও সম্পর্ক নেই। ভীষণ কষ্টে আছে মানুষ। আবার এটা সাধারণ মানুষ কখনও প্রত্যাশা করে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি ও বাসাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র রাহাত হাসান টিপু, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান খান, জেলা যুব আন্দোলনের যুগ্ম সম্পাদক ইবনে হাসান টিটু, বাসাইল পৌর যুব আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সমির নাগ, জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সদস্য রকিবুল ইসলাম মিয়া প্রমুখ।
সাহান হাসানঃ টাঙ্গাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে জেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের অসদাচরণের অভিযোগ এনে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কে অবস্থান নিয়েছিল আহতরা। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টা থেকে জেলা শিল্পকলার সামনে ঢাকা-টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ করেছেন তারা। এতে ওই সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও পথচারী।
আহতরা জানায়, সকালে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে টাঙ্গাইলের ২১৭ জন আহতের মাঝে আর্থিক অনুদান দেয়ার জন্য শিল্পকলায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় তিন ক্যাটাগরিতে আর্থিক সহায়তা হিসেবে চেক দেয়া হয়। এতে আহতদের ৫ হাজার টাকার চেক দেয়া হয়। এসময় তারা জেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা কথা না বলে চলে যান।
এরপর ক্ষুব্ধ হয়ে আহতরা জেলা শিল্পকলার সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন। পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দল্লাহ আল মামুন এবং জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের আশ্বাসে আহতরা সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেন।
এ সময় আহত সোহানুর রহমান সোহান, সাইদুল রহমান, মিজানুর রহমান, খাইরুল ইসলামসহ আন্দোলনে আহত অর্ধশতাধিক আহত উপস্থিত ছিলেন।
সাহান হাসানঃ টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘন্টায় ডেভিল হান্ট অপারেশনে বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের ২১জন নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ইউপি চেয়ারম্যান, পৌরসভার কাউন্সিলররা রয়েছেন।
রাতভর অভিযানে আটক হওয়া নেতাকর্মীদের জেলার বিভিন্ন জায়গার নাশকতার মামলায় সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলার স্ব স্ব থানা পুলিশ আটককৃতদের টাঙ্গাইল আদালতে পাঠিয়েছে।
জানা গেছে, সারাদেশে ডেভিল হান্ট অপারেশনের লক্ষে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালায় আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। গ্রাম পর্যায়ে এসব অভিযানে আওয়ামী লীগের নেতাকমীদের আটক করা হয়। পরে আটক করা এসব নেতাকর্মীদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
জেলার কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ তালুকদার, দুর্গাপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও কোকডহরা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইসমাইল হোসেন।
ভূঞাপুর পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম তালুকদার এবং পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেনকে আটক করা হয়। এছাড়া মধুপুরে ১জন, গোপালপুরে ৪জন, ঘাটাইলে ২জন, টাঙ্গাইল সদরে ৪জন, মির্জাপুরে ৩জন, সখীপুরে ১জন ও নাগরপুরে ১জন রয়েছে।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম ভূইয়া জানান, আটক আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বলেন, আটককৃতরা টাঙ্গাইল সদর থানার নাশকতা মামলার আসামি। পরে তাদের টাঙ্গাইল সদর থানায় প্রেরণ করা হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের সঙ্গে মোবাইলে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও স্থানীয় নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুদ তালুকদারকে(৬০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার নারান্দিয়ার নিজ বাসভবন তাকে গ্রেপ্তার করে কালিহাতী থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত মাসুদ কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি বলে জানা গেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে উপজেলার নারান্দিয়ায় নিজ বাসভবন থেকে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কালিহাতী থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে চেয়ারম্যানকে আটক করা হয়।
এবিষয়ে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম ভূঁইয়া জানান, নিয়মিত মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মাসুদ তালুকদারকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতিসহ তিনজনকে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
তারা হলেন- জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, গোপালপুর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল কবির ও গোপালপুর উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী কবির হোসেন।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে তাঁদের টাঙ্গাইল আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরা তিনজন ৫ আগস্টের পর আত্মগোপনে চলে যান। গত ৬ জানুয়ারি ঢাকার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে ঢাকার একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৯ জানুয়ারি তিনদিনের রিমান্ডে নেয় গোয়েন্দা পুলিশ।
আদালত পরিদর্শক লুৎফর রহমান জানান, সোমবার তাদের টাঙ্গাইল আদালতে হাজির করা হয়। প্রথমে গোপালপুরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর হামলার অভিযোগে দায়েরকৃত একটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে ওই মামলায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়। বিচারক সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পশুপতি বিশ্বাস তাদের তিনজনকেই দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পরে টাঙ্গাইল সদর আমলী আদালতে ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমানকে হাজির করে স্কুল ছাত্র মারুফ হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়। বিচারক সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাদল চন্দ্র চন্দ দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর টাঙ্গাইল শহরে ছাত্র-জনতা বিজয় মিছিল বের করে। ওই মিছিলে গুলিবর্ষনের ঘটনা ঘটে। এতে স্কুল ছাত্র মারুফ নিহত হয়। নিহত মারুফের মা মোর্শেদা বাদি হয়ে দুইশতাধিক নাম উল্লেখ করে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। সোহানুর রহমান সেই মামলার অন্যতম আসামি। এদিকে গোপালপুর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল কবির ও ছাত্রলীগ কর্মী কবির হোসেনকে টাঙ্গাইল শহরে গত ৪ আগস্ট ছাত্র জনতার মিছিলে হামলার অভিযোগে দায়েরকৃত একটি মামলায় আদালতে হাজির করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।আ’লীগ-ছাত্রলীগের তিন নেতা কারাগারে
নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের টাঙ্গাইল শহর শাখার সহ-সভাপতি ইকবাল হায়াতসহ আরও দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
অপর দুইজন হলেন, টাঙ্গাইল পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য মুন্না গোয়ালা (৫২) ও কাতুলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং টাঙ্গাইল সদর থানা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল কুদ্দুস খান (৫৫)। রবিবার রাতে তাদের পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানবীর আহমেদ জানান, সোমবার বিকেলে গ্রেপ্তারকৃতদের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলকারীরের উপর হামলার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। এর মধ্যে ছাত্রলীগে নেতা ইকবাল হায়াতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।
টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক লুৎফর রহমান জানান, ইকবাল হায়াতের রিমান্ড শুনানি হয়নি। আদালত গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকেইকা রাগারে পাঠিয়েছেন।
আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাসাইল উপজেলার করাতিপাড়া বাইপাসের পাশ থেকে অভিজিত কুমার (২৬) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে বাসাইল থানা পুলিশ।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার হাবলা ইউনিয়নের গুল্যা এলাকা থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত অভিজিত কুমার সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার পাঁচগাছি গ্রামের রিপন চন্দ্র সরকারের ছেলে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে যুবকের মরদেহ দেখতে পাই। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। প্রথমে যুবকের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব না হলেও পরে তার প্যান্টের প্যাকেটে থাকা জন্ম সনদ, সার্টিফিকেট দেখে পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রথমে যুবকের পরিচয় শনাক্ত করা যাইনি। পরে তার প্যান্টের প্যাকেট থেকে কাগজ দেখে পরিচয় শনাক্ত করা হয়। স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যানের মাধ্যমে তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের শহর শাখার সহ-সভাপতি ইকবাল হায়াতকে(৩২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে পৌর শহরের বটতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত হায়াত, পৌর এলাকার ১৬ নং ওয়ার্ডের আকুর-টাকুর পাড়া এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে বলে জানা গেছে।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীর আহমেদ জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে অভিযান চালিয়ে শহরের বটতলা এলাকা থেকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের টাঙ্গাইল শহর শাখার সহ-সভাপতি ইকবাল হায়াতকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ইকবালকে গত বছরের ১৩ নভেম্বর দায়ের করা (মামলা নং ১৮) দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি)দুপুরে ইকবাল হায়াতকে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে টাঙ্গাইল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।