একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে গ্যাস বিস্ফোরণ হয়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বুধবার(৫ জুন )দিবাগত রাত ১২টা ৩০ মিনিটের সময় এ ঘটনা ঘটে।
এতে আশেপাশের কয়েকটি দোকান ও ভবনে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংকের সৃষ্টি হয়।
এবিষয়ে ডিসি অফিস থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। খবর পেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট খোরশেদ আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জানা যায়, শহরের মেইন রোডে রাস্তা ও ড্রেনের কাজ চলমান রয়েছে। ঠিকাদারের অসচেতনার কারনে তিতাস গ্যাসের সঞ্চালন লাইনের প্রধান পাইপ ফেটে যায়। এরপর প্রচন্ড বেগে গ্যাস আওয়ামী লীগের অফিসের দরজার নিচ দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে। অফিসবদ্ধ থাকায় গ্যাসের চাপে ৫ টি এসি, ১৬টি ফ্যান, ২টি কম্পিউটার, চেয়ার-টেবিল ও আলমারিসহ অধিকাংশ মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে।
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট খোরশেদ আলম বলেন, রাস্তার উন্নয়ন কাজের সময় ভেকুর আঘাতে তিতাস গ্যাসের সঞ্চালন পাইপ ফেটে গ্যাস মেইন রোডে ছড়িয়ে যায়। বিভিন্ন ভবন ও আমাদের আওয়ামী লীগ অফিসে প্রবেশ করে। গ্যাসের কারনে অফিসের মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ব্যবহারের উপযোগী করতে অফিস সংস্কার করতে হবে। এর দায় ঠিকাদারকেই নিতে হবে।
টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুল মোমেন বলেন, গ্যাস বিস্ফোরনের ঘটনায় ঠিকাদারের ত্রুটি আছে কি না সেটা তদন্ত হবে। যদি ক্রটি পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টাঙ্গাইল তিতাস গ্যাসের ম্যানেজার প্রকৌশলী খোরশেদ আলম বলেন, গ্যাস লাইনের ত্রুটির কারনে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। খবর পাওয়ার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিস এবং আমাদের টীম গিয়ে লাইন বন্ধ করে দেয়। এবিষয়ে ডিসি অফিস থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠণ করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ট্রাক-পিকআপের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (৫ জুন) রাত ১ টার দিকে
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের উপজেলার আনালিয়াবাড়ী এলাকার ৯নং ব্রিজের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (০৬ জুন) সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর আশরাফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মশাউরা গ্রামের মুনছুর শেখের ছেলে ও পিকআপ চালক শিপন (৪০) এবং বাগেরহাট সদর উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের মৃত শেখ আলিমুদ্দিনের ছেলে ও পিকআপের হেলপার শেখ মুহাম্মদ আসলাম (৫৫)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাতে পণ্য নিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল একটি ট্রাক। পথিমধ্যে ঢাকাগামী অপর আরেকটি পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চলন্ত অবস্থায় সামনে থাকা ট্রাকটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে পিকআপের চালক ও হেলপার মারা যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর আশরাফ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দুইটি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান,আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে ঝিনাই নদীর ওপর নির্মিত সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ে গেছে। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে নগদাশিমলা ইউনিয়নের বনমালী-জামতৈল সড়কে।
বুধবার (৫ জুন) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার বনমালী এলাকায় ঝিনাই নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি ভেঙে পড়ে।
এদিকে সেতুটি ভেঙে পড়ার পর নদীতে জমে থাকা পানার ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে স্থানীয়রা হেঁটে নদী পারাপার হচ্ছেন।
জানা গেছে, উপজেলার নগদাশিমলার বনমালী এলাকায় ঝিনাই নদীর ওপর ১৯৯৬ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৪০ মিটার এবং প্রস্থ ৫ ফুট। নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে পানাগুলো একত্রিত হয়ে সেতুর পিলারে জমাট বাঁধে। সেতুর পিলারের নিচে মাটি না থাকায় নদীতে স্রোত ও পানার চাপে সেতুর মাঝ খানের প্রায় ২০ মিটার অংশ ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। বাকি অংশটুকুও ঝুঁকিতে রয়েছে।
নগদাশিমলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আয়নাল হক বলেন, নদীতে পানি আসার আগেই সেতুটির নিচে জমে থাকা পানা পরিষ্কার করা হয়। এভাবেই বিগত পাঁচ বছর ধরে করেছি। কিন্তু হঠাৎ করে বুধবার সেতুর মাঝখানে কিছু অংশ ভেঙে পড়েছে নদীতে।
তিনি আরও বলেন, সেতু ভেঙে যাওয়ার পর লোকজন নদীতে জমে থাকা পানার ওপর দিয়ে হেঁটে নদী পার হচ্ছে।
উপজেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ফাত্তাউর রহমান বলেন, সেতুটি দীর্ঘদিনের পুরাতন। সেতুর প্রস্থ ছিল ৫ ফুট। স্থানীয়দের যাতায়াতের স্বার্থে ঝিনাই নদীর ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। পুরাতন সেতু হওয়ায় সেটি সংস্কারের উপযোগী ছিল না। সেখানে নতুন করে সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠাবো হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাল ভোট দেওয়ার সময় ৩ যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (৫ জুন) বিকাল পৌঁনে ৪ টার দিকে উপজেলার হাবলা ইউনিয়নের হাবলা দক্ষিণ পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার সময় তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, মো. আব্দুল্লাহ মিয়া (২২), মো. রিদওয়ান আলী (২১) ও সিয়াম মিয়া (২৩)।
পরে এ নিয়ে কেন্দ্রের সামনে পুলিশ ও প্রার্থীর সমর্থকদের হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। আটককৃতরা আনারস প্রতীকের সমর্থক বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।
এ বিষয়ে ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো.শফিকুল ইসলাম জানান, আটককৃতরা এর আগে সকালে ভোট দিয়েছিলো। ওরা ফের বিকাল সাড়ে ৩টার পর ভোট দিতে আসলে যাচাই বাছাই করে চ্যালেঞ্জ করলে ওই তিন যুবক জাল ভোট দিতে এসেছে বলে স্বীকার করে। পরে পুলিশে খবর দিলে তাদের আটক করে।
তিনি আরও জানান, এ ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
প্রসঙ্গত, বুধবার ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে বাসাইল উপজেলা পরিষদে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপজেলার ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫১ হাজার ৮৩০জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৭৬ হাজার ১৯৮ আর পুরুষ ভোটার ৭৫ হাজার ৬৩১ জন। ১টি পৌরসভা ও ৬ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত বাসাইল উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্র ৫৮ টি। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, পুরুষ ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৭জন আর মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৪জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নিখোঁজের ৯ দিন পর বাড়ির পাশের ধানখেত থেকে বস্তাবন্দি দ্বিখণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৩ মে) সকালে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের চিতুলিয়াপূর্বপাড়া এলাকার একটি ধানখেত থেকে বস্তাবন্দি মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এর আগে ওই গ্রামের সুমন মিয়ার মেয়ে এবং স্থানীয় হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও নুরানী কিন্ডারগার্টেনের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী নওশিন ইসলাম শর্মিলা (১০) গত ২৬ মে দুপুরে নিখোঁজ হয়।
ওই শিক্ষার্থী নিখোঁজ হওয়ার পর তাকে উদ্ধারে থানায় সাধারণ ডায়রি করেন শর্মিলার বাবা সুমন মিয়া।
এদিকে ধানখেতে শিশু শিক্ষার্থীর বস্তাবন্দি দ্বিখণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার হওয়ার খবরে আশপাশের শত শত মানুষ দেখতে ভীড় করে। এছাড়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সারসহ জেলার ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা।
নিহত শর্মিলার চাচা কাইয়ুম মিয়া বলেন, এটি শর্মিলার লাশ কি না আমরা এখনও শনাক্ত করতে পারিনি। লাশের অধিকাংশ পচে গেছে। কুকুর টানাটানি করে সমস্ত দেহ লন্ডভন্ড করে ফেলেছে। তবে তার পরনের লাল পায়জামার অংশ দেখে ধারণা করা হচ্ছে এটিই শর্মিলারই মরদেহ।
নিহতের বাবা সুমন মিয়া বলেন, কারোর সঙ্গে আমার কোনো শত্রুতা নেই। কেউ টাকা পয়সাও পায় না। মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর কেউ মুক্তিপণ বা টাকা চায়নি। বাড়ির আশপাশসহ বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজ করেও তার সন্ধান পাইনি। সকালে বাড়ির পাশে ধানখেতে বস্তাবন্দি মরদেহ দেখে লোকজন খবর দেয়। এর আগে ওই বস্তাটি কুকুর টানাটানি করছিল। যে বা যারা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে তার বা তাদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি।
ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ বলেন, বস্তাবন্দি একটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত চলছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে সৃষ্টি একাডেমিক স্কুল ক্যাম্পাস-২ এর আবাসিক ভবনের ৮ম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে ওই স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
এদিকে বলাৎকারের ঘটনার পরই ওই ক্যাম্পাসের আবাসিক গণিত বিষয়ের শিক্ষক প্রনয় সরকার পালাতক রয়েছে।
অভিযুক্ত প্রনয় সরকার জেলার ঘাটাইল উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামের আনন্দ মোহন সরকারের ছেলে।
সোমবার (৩ জুন) বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পরই ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা সৃষ্টি একাডেমিক স্কুলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবী করেন। পরে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ওই শিক্ষার্থীকে তার অভিভাবকগণ সৃষ্টি একাডেমিক স্কুল থেকে টিসি নিয়ে চলে যান।
জানা গেছে, জেলার বাসাইল উপজেলার এক প্রবাসীর ছেলেকে ৮ম শ্রেণীতে সৃষ্টি একাডেমিক স্কুলের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের আবাসিকে ভর্তি করা হয়। সম্প্রতি ওই আবাসিকের শিক্ষক প্রনয় সরকার রাতে শিক্ষার্থীকে তার রুমে নিয়ে বলাৎকার করেন। পরে ভবনে থাকা শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে ঘটনাটি যাতে প্রকাশ না পায় এবং প্রকাশ পেলে ওই শিক্ষার্থীকে স্কুল থেকে বের করে দেয়া মর্মে ভয় দেখানো হয়। এই ঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষক প্রনয় সরকার তার মায়ের অসুস্থ্যতা দেখিয়ে স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে আর বিদ্যালয়ে আসেননি।
এদিকে এই ঘটনার পরই ওই শিক্ষার্থী ভয়ে জুবুথুবু হয়ে পড়ে এবং তার পরিবারের সাথে কম কথা বলে। পরে গত রবিবার (২ জুন) বিষয়টি পরিবারকে জানায় সে। পরে সোমবার (৩ জুন) সকালে শিক্ষার্থীর অভিভাবকগণ বিদ্যালয়ে গিয়ে ঘটনার বিচার দাবী করেন। কিন্তু বিদ্যালয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক না থাকায় সৃষ্টি স্কুলের আবাসিক ভবনের প্রধান মোস্তাফিজুর রহমান হ্যাপি কোন সদুত্ত্বর দিতে পারেননি। পরে ওই শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে টিসি নেয় অভিভাবকগণ। এসময় বিদ্যালয় থেকে মিমাংসার প্রস্তাব দেয়াসহ ২৫ হাজার টাকা দিতে চাইলে তা গ্রহণ করেনি ওই শিক্ষার্থীর পরিবার।
বলাৎকারের শিকার শিক্ষার্থীর চাচা বলেন, ভাল লেখাপড়ার জন্য সৃষ্টির আবাসিকে ভর্তি করানো হয়েছিল। কিন্তু শিক্ষকই যখন শিক্ষার্থীর সাথে খারাপ কাজ করে তাহলে নিরাপদ কোথায়। ঘটনাটি আমাদের জানানো হয়নি। বিচার চাইলে কর্তৃপক্ষ তাল-বাহানা করে। মিমাংসার প্রস্তাব দেয়াসহ টাকা দিতে চেয়েছে। ওই শিক্ষকও পালিয়েছে। ছেলেটার সাথে খুবই অন্যায় হয়েছে। ছেলেটা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কারোর সাথে তেমন কথা বলছে না। তার মনে ভয় কাজ করছে। আমরা আইনের আশ্রয় নিবো।
এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক প্রনয় সরকারের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যবহৃত ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সৃষ্টি একাডেমিকের স্কুল ক্যাম্পাস-২ এর আবাসিকের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান হ্যাপি জানান, বিষয়টি জানতে পেরেছি। কিন্তু ওই শিক্ষক ক্যাম্পাসে নেই। তার মায়ের অসুখ দেখিয়ে ছুটি নিয়ে আর বিদ্যালয়ে আসেনি। ঘটনাটি অনাকাঙ্খিত।
এবিষয়ে জানতে সৃষ্টি একাডেমিক স্কুলের চেয়ারম্যান ড. শরিফুল ইসলাম রিপনের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
একতার কণ্ঠঃ আগামী বুধবার (৫ জুন) অনুষ্ঠিতব্য বাসাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী অলিদ ইসলামের সমর্থক সাগর ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে আনারস প্রতিকে ভোট দিতে সংখ্যালঘু ভোটারদের হুমকী দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (২ জুন) সকালে হুমকির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সহকারি রির্টানিং কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতিকের প্রার্থীর সমর্থক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. ফরিদ মিয়া।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, গত ৩১ মে ও ১ জুন সন্ধ্যা ৭টার পর বাসাইল পৌর শহরের পালপাড়াসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু অধ্যুষিত পাড়াগুলিতে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী সাগর বাহিনী দ্বারা আনারস মার্কায় ভোট দেওয়া নিয়ে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে।
নামপ্রকাশে একাধিক সংখ্যালঘু ভোটার হুমকির কথা স্বীকার করেছেন। নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ভয়ে প্রকাশ্যে হুমকির কথা তারা বলতে পারছেন না। তবে হুমকির বিষয়ে তারা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ ও পূজা উদযাপন পরিষদ জেলা এবং উপজেলা শাখা নেতৃবৃন্দদের জানিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
অভিযোগকারী মোটরসাইকেল প্রতিকের প্রার্থীর সমর্থক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. ফরিদ মিয়া বলেন, আমাদের একাধিক সংখ্যালঘু সমর্থক ভোটারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পেয়েই ওই আবেদন করা হয়েছে। নিরাপত্তা জনিত কারণে আমাদের সমর্থক সংখ্যালঘু ভোটাররা প্রকাশ্যে হুমকির কথা স্বীকার করছেন না।
আনারস প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী অলিদ ইসলামের সমর্থক অভিযুক্ত সাগরের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও ফোন যায়নি।
এ ধরণের অভিযোগ উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করেছেন আনারস প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী অলিদ ইসলাম।
এ ঘটনায় হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ ও পূজা উদযাপন পরিষদ বাসাইল উপজেলা কমিটির কোন নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে আনারস প্রতীকের প্রার্থী কাজী অলিদ যেভাবে তার পালিত সন্ত্রাসী সাগর বাহিনী দিয়ে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর নিপীড়ন নির্যাতন ও হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি। সেই সাথে সাগর বাহিনীর প্রধান সাগর ও তার সঙ্গীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি রির্টানিং কর্মকর্তা শাহরুখ খান জানান, সংখ্যালঘু ভোটারদের হুমকির বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে থানার অফিসার্স ইনচার্জকে (ওসি) চিঠি দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আগামী বুধবার (৫ জুন) ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে বাসাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১টি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে এই উপজেলা। এ উপজেলার ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫১ হাজার ৮৩০জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৭৬ হাজার ১৯৮ আর পুরুষ ভোটার ৭৫ হাজার ৬৩১ জন। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান ৭ আর মহিলা ৪জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে কাভার্ডভ্যান-লরির সংঘর্ষে দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (২৫ মে) ভোরে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের উপজেলার পুংলী ব্রিজের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুইজন হলো- কাভার্ডভ্যানের চালক ও হেলপার। নিহত কাভার্ডভ্যানের চালকের নাম আলমগীর হোসেন। তার বাড়ি যশোর জেলায় বলে জানা গেছে।
তবে তাৎক্ষণিক নিহত হেলপারের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ভোরে লরি ও কাভার্ডভ্যানটি ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে পুংলী ব্রিজের কাছে পৌঁছলে কাভার্ডভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লরির পিছনে থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে কাভার্ডভ্যানের চালক ও হেলপার মারা যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ দুইটি উদ্ধার করে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মীর সাজেদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে মরদেহ দুইটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাদের পরিচয় শনাক্তের কাজ করছে পুলিশ ।
অপরদিকে, কালিহাতী উপজেলার ভূঞাপুর লিংক রোডে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হানিফ পরিবহনের একটি বাস উল্টে অন্তত ৮জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার সাথে জড়িত, গ্রেপ্তারকৃত শিলাস্তি রহমানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন তার দাদা বীরমুক্তিযোদ্ধা সেলিম মিয়া।
শনিবার (২৫ মে) দুপুরে শিলাস্তি রহমানের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ধুবড়িয়া ইউনিয়নের পাইসানা গ্রামে গিয়ে দেখা যায় পুরো বাড়ি ফাঁকা।
শিলাস্তিদের টিনের ঘরে তালা ঝুলছে। টিনের ঘরের পাশেই নির্মান করা হয়েছে দোতলা একটি বাড়ি। তবে তাদের বাড়ির ভেতরে নেই কোন আসবাবপত্র।
এসময় পাশের ঘর থেকে বেড়িয়ে আসেন শিলাস্তির দাদা সেলিম মিয়া।
তিনি জানান, দুই বোনের মধ্যে শিলাস্তি বড়। তার বাবা আরিফুর রহমান জুট ব্যবসায়ী, দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় বসবাস করে। । ছোট বেলা থেকেই তারা ঢাকার উত্তরায় বসবাস করে। মাঝে মধ্যে গ্রামের বাড়িতে আসলেও দুই একদিন পর আবার চলে যেত। শিলাস্তির চলাফেরা উশৃংখল এবং বাড়ির বাইরে দিনের পর দিন সময় কাটানোর কারণে তাদের সাথে কথা বলা বাদ দিয়েছেন সেলিম মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন।
এসময় সেলিম মিয়া তার নাতির সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
তিনি বলেন, মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি শিলাস্তি আসামী। যদি তিনি আসলেও জড়িত থাকেন, তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করছি।
স্থানীয় লোকজন জানায়, শিলাস্তি রহমান ও তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরেই ঢাকায় বসবাস করে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পরই শিলাস্তি রহমানের দাদার সম্পত্তি তার বাবা আরিফুর রহমান বিক্রি করে ঢাকায় চলে যায়। বাড়িটা থাকলেও তারা কেউ এখানে তেমন একটা আসে না।
এ বিষয়ে নাগরপুরের ধুবরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান খান বলেন, ‘ওরা অনেক আগে থেকেই ঢাকায় থাকে। কেউ সঠিকভাবে বলতেও পারে না যে শিলাস্তি কোথাকার। এখন আমরা জানতে পারলাম যে তার বাড়ি নাগরপুরে। গতকাল (শুক্রবার) পর্যন্তও বিষয়টি জানতাম না।
নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, ‘শিলাস্তি নামের মেয়েটি নাগরপুরের- এমন কোনো তথ্য এখনও পাইনি। তার বিষয়েও আর কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত আমার কাছে নেই। জানলে জানাতে পারব।’
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এমএ মালেক ভূইয়ার উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে নবনির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকীর লোকজনের বিরুদ্ধে।
এসময় তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এমএ মালেক ভূইয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলার দশকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
শুক্রবার (২৪ মে) বিকালে উপজেলা শহরের হাসপাতাল মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। হামলার প্রতিবাদে টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু মহাসড়কের এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে অবরোধ করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশ এসে বিচারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, কালিহাতীতে নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকীর পক্ষে বিজয় মিছিলের প্রস্তুতি নেয় তার অনুসারীরা। এদিকে সাবেক সংসদ সদস্য হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী তার বাসায় একটি মিটিংয়ের আয়োজন করেন। সেই অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় কালিহাতী হাসপাতাল মোড়ে এমএ মালেক ভূইয়ার গাড়িতে হামলা চালায় সংঘবদ্ধ একটি গ্রুপ।
হামলার শিকার এমএ মালেক ভূইয়া বলেন, সাবেক এমপি সোহেল হাজারীর বাসায় যাওয়ার সময় আমার গাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে কয়েকজন লোক। এসময় আমি ও আমার ড্রাইভার গুরুতর আহত হয়েছি। নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান আজাদ সিদ্দিকীর লোকজন এ হামলা করেছে। এতে আওয়ামী লীগের আরও কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, কালিহাতীতে নির্বাচনের পর থেকে কয়েকদিনে বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী হামলার শিকার হয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতা মালেক ভূইয়ার উপর ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে নেতাকর্মীরা এলেঙ্গা মহাসড়ক প্রায় আধা ঘন্টা অবরোধ করে রাখেন। পরে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা এসে বিচারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। তিনি এ হামলার জন্য স্থানীয় এমপি আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর ছোট ভাই ও নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান আজাদ সিদ্দিকীর বাহিনীকে দায়ী করেছেন।
এ ব্যাপারে নবনির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী বলেন, আমাদের বিজয় মিছিলে কতিপয় দুষ্কৃতিকারীরা হামলা চালায়। এতে আমার কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন। আমি পুলিশ প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ফারুক জানান, নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান আজাদ সিদ্দিকীর বিজয় মিছিল নিয়ে আসার সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মালেক ভূইয়ার উপর হামলা করে অজ্ঞাতরা। এসময় গাড়ি ভাঙচুর করে তারা। এখনো লিখিত অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ কালিহাতী উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার মোল্লা (মোটর সাইকেল) ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর ছোট ভাই আজাদ সিদ্দিকী (আনারস)। নির্বাচনে আজাদ সিদ্দিকী বিজয়ী হন।
একতার কণ্ঠঃ ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে আগামী বুধবার (২৯ মে) অনুষ্ঠিতব্য টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিজ এলাকার নিরঙ্কুশ সমর্থন পেলেন ভাইস-চেয়ারম্যান পদে উড়োজাহাজ মার্কা প্রতীকের প্রার্থী ইসতিয়াক আহম্মেদ রাজীব।
তার উড়োজাহাজ প্রতীকের সমর্থনে শুক্রবার (২৪ মে) বিকালে পৌর এলাকার ৬নং ওয়ার্ডের পানির ট্যাংক মাঠে একত্রিত হয়েছিলেন সহস্রাধিক এলাকাবাসী।
এসময় ৭০ বছরের বৃদ্ধ রহিম আলী, ১৮ বছরের যুবক সজল আহমেদ, গৃহিণী রহিমা বেগম, রবি হরিজনসহ সমবেত কণ্ঠে, “উড়োজাহাজ-উড়োজাহাজ” স্লোগানে এলাকা প্রকম্পিত হয়ে উঠে। তাদের একটিই দাবি- রাজীব আমাদের এলাকার ছেলে তাকে যেকোনো মূল্য এই নির্বাচনে পুরুষ ভাইস-চেয়ারম্যান পদে উড়োজাহাজ প্রতীকে বিজয়ী করে নিয়ে আসতেই হবে।
তাদের এই উচ্ছ্বসিত স্লোগানের জবাবে ইসতিয়াক আহম্মেদ রাজীব বলেন, আমি আপনাদের এলাকার ছেলে। আমি জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি ও কাগমারী সরকারি এম এম আলী কলেজের ভিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। কোনদিন কোন অবস্থাতেই এলাকাবাসীর সাথে খারাপ ব্যবহার করিনি। এলাকার কারো বিপদে যখন ডেকেছে তখনই ঝাঁপিয়ে পড়েছি। আমি আপনাদের কাছে ভোট চাইবো না, আপনারাই আমার হয়ে জনগণের কাছে উড়োজাহাজ প্রতীকের ভোট চাইবেন এটাই আমার দাবি। আমার বিজয় মানে আপনাদের বিজয়, এলাকাবাসীরও বিজয়। ইনশাআল্লাহ আগামী বুধবার (২৯ মে) বিজয়ী বেশে আপনাদের মাঝে ফিরবো।
শুক্রবার (২৪ মে) বিকালে ৬নং ওয়ার্ডের কলেজপাড়া পানির ট্যাংক মাঠে ইসতিয়াক আহম্মেদ রাজীবের সমর্থনে আয়োজিত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন, স্থানীয় কাউন্সিলর মামুন জামান সজল।
উদয় লাল গোড়ের সঞ্চালনায় এই নির্বাচনি জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আতাউর রহমান খান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাবেক ডি জি এম মির্জা রেজানুর রহমান, টাঙ্গাইল জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. বালা মিয়া, সমবায় সুপার মার্কেটের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক সচিব মো. ইসমাইল হোসেন সেলিম, ব্যাংকার মো. শাহীন রেজা, ব্যবসায়ী মো. আব্দুল আলিম প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্য টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আতাউর রহমান খান বলেন, অতীতে ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা তাদের এলাকার কেউ নির্বাচনে দাঁড়ালে সবাই দল-মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাকে বিজয়ী করে নিয়ে এসেছে। এবারও আমরা টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস-চেয়ারম্যান পদে উড়োজাহাজ মার্কা প্রতীকে ইসতিয়াক আহম্মেদ রাজীবকে বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। এই জনসভায় দলমত নির্বিশেষে এই বিশাল উপস্থিতি তার প্রমাণ। আশাকরি, ২৯ তারিখে আমরা বিজয়ী বেশে রাজীবকে দেখতে পারবো। রাজীবের বিজয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহবায়ক মাসুদুর রহমান মাসুদ, যুগ্ন আহবায়ক রফিকুল ইসলাম খান জামিল, স্থানীয় মো. জন মিয়া, মো. সুরুব আলী, মোহাম্মদ লোটাস, বাইজিদ আহমেদ শুভ, স্বাধীন জামানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
একতার কণ্ঠঃ শিল্প প্রতিষ্ঠান হক ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদম তমিজি হকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন টাঙ্গাইলের আদালত।
বৃহষ্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে চেক ডিসঅনারের দুটি মামলায় টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও টাঙ্গাইল সদর থানা আমলী আদালতের বিচারক মো. মাহমুদুল মোহসীন আদম তমিজি হকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দেন।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, আদম তমিজি হকের স্ত্রী হক ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুসরাত আক্তার হক, তার আরেক স্ত্রী হক ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক লিজা আক্তার হক, হক ফুডের জিএম (ফিন্যান্স এন্ড একাউন্টস) মো. রেজাউল করিম ও সিনিয়র জিএম (বিডি এন্ড লজিস্টিকস) মুশফাকুর রহমান।
বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম এ মালেক আদনান জানান, ঢাকার মাহবুব গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান কে.বি.সি এগ্রো প্রোডাক্টস (প্রা:) লিমিটেডের সাথে হক ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবসা ছিল। ব্যবসায়িক লেনদেনে হক ফুড ১৯ লাখ ৪৫ হাজার ৩’শত টাকা বকেয়া করেন। আসামিরা এই বকেয়া টাকা পরিশোধের জন্য কে.বি.সি কোম্পানীকে দু’টি চেক প্রদান করেন। কিন্তু চেক দু’টি ‘এডভাইস নট রিসিভ্ড’ মন্তব্যে ব্যাংক কর্তৃক ডিসঅনার হয়। পরে কে.বি.সি কোম্পানীর পক্ষে ইমরান হোসেন (ম্যানেজার রিকোভারী) বাদি হয়ে ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর হক ফুডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদম তমিজি হকসহ পাঁচজনকে আসামি করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট টাঙ্গাইল সদর থানা আমলী আদালতে মামলা করেন।
তিনি আরও জানান, বিচারক মামলা আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সমনের আদেশ দেন। বৃহষ্পতিবার (২৩ মে) ছিল মামলার ধার্য তারিখ। কিন্তু আসামিরা আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচারক তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন এবং আগামী ২১ আগস্ট মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।