একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলে ৫০০ পিস ইয়াবা সহ মোজাম্মেল (২৯) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১২, সিপিসি-৩ এর একটি দল। বুধবার (৩১ মার্চ) সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহসড়কের রাবনা বাইপাস এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আটককৃত মোজাম্মেল কুড়িগ্রাম জেলার পূর্ব পাখিউড়া গ্রামের জব্বার শেখের ছেলে।
র্যাব-১২, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার মোঃ এরশাদুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল জেলার সদর উপজেলার রাবনা বাইপাস এলাকার হামিদ সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সামনে অভিযান চালায়। এ সময় মাদক ব্যবসায়ী মোজাম্মেলের কাছ থেকে ৫০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোজাম্মেল স্বীকার করেছে যে, সে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা অবৈধভাবে সংগ্রহ পূর্বক টাঙ্গাইল জেলার সদর থানাসহ অন্যান্য এলাকায় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সরবরাহ করে আসছে।
মোবাইল ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন মাদকসেবীদের নিকট তাদের চাহিদা অনুযায়ী মাদক দ্রব্য ইয়াবা সরবরাহ এবং যুবকদের মাদক সেবনে উদ্বুদ্ধ করে। আসামীর বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল সদর থানায় ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ (১) এর ১০ (ক) ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ রবিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মাঠে টাঙ্গাইলে সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা খন্দকার রেদওয়ানা ইসলামের জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। জানাযায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট জাফর আহমেদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক এলেন মল্লিকসহ জেলার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এদিকে খন্দকার রেদওয়ানা ইসলাম খুনের মামলার প্রধান আসামী স্বামী মিজানুর রহমান মিজানকে (৪৫) গ্রেপ্তারে পুলিশ সাড়াশি অভিযান চালাচ্ছে। পুলিশের ধারণা, পরিবারিক বিরোধের জের ধরেই এ হত্যাকা- হয়েছে। নিহতের ভাই খন্দকার আসাদুল ইসলাম আবিদ বাদী হয়ে শনিবার(১৭ মার্চ) রাতে মির্জাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
খন্দকার রেদওয়ানা ইসলাম রংপুরের রোমানতলা এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের মেয়ে। সেখানেই লাশ দাফন করা হবে। তার পলাতক স্বামী সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের গ্রামের বাড়ী পাবনায়।
মামলার বাদী নিহতের ভাই খন্দকার আসাদুল ইসলাম আবিদ বলেন, ২০১৯ সালে আমার বোনের সাথে ব্যাংকার মিজানের বিয়ে হয়। বিয়ের পরে জানতে পারি ও আরেকটি বিয়ে করেছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় আমার বোনের সাথে মিজানের ঝগড়া বিবাদ হতো। মিজান বোনকে খুন করার জন্য সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। হাসপাতালে আমার বোনকে মিজানই খুন করেছে। আমরা দ্রুত খুনীর গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। তিনি কান্না জড়িত কণ্ঠে আরো বলেন, চোখের সামনে আর কারো যেন অকালে তার বোনের লাশ দেখতে না হয়।
এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাপুর থানার এসআই শাহ্জাহান খান বলেন, তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ ছিল। বিরোধ মিমাংসা করতে জেলা কর্মকর্তারা একটি উদ্যোগও নিয়েছিলেন। সেই কলহের জের ধরেই এ হত্যাকা- ঘটে থাকতে পারে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছি। আসামী মিজানুর রহমানকে ধরতে আমরা জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। আশা করি অতি দ্রুতই ধরা পরবে।
এ মর্মান্তিক হত্যাকা-ে জেলায় ব্যাপক নিন্দা ও প্রতিবাদ চলছে। জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি বলেন, হত্যাকা-ের তীব্র নিন্দা ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীনের খুঁজে বের করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী করছি। যাতে এরকম ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটাতে আর কেউ সাহস না পায়।
প্রসঙ্গত, শনিবার (২৭ মার্চ) বিকেলে টাঙ্গাইলে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালের একটি ভিআইপি কক্ষ থেকে খন্দকার রেদওয়ানা ইসলামের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মির্জাপুর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার দীপংকর ঘোষ জানান, রেদওয়ানা প্রসব ব্যাথা নিয়ে গত ২২ মার্চ মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিনই তিনি একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন। এরপর থেকে কন্যা সন্তানকে আইসিও’তে রাখা হয়। গত চারদিন আগে রেদওয়ানা ইসলামকে চিকিৎসকরা ছুটি দিয়ে দেন। কিন্তু জন্ম নেওয়া মেয়ে হাসপাতালে থাকার কারনে রেদওয়ানা হাসপাতালেই থেকে যান। শনিবার সকালে তার স্বামী মিজানুর রহমান আসেন হাসপাতালে রেদওয়ানার সাথে দেখা করতে। বিকেলে হাসপাতালের নার্স রেদওয়ানার কক্ষ বাইরে থেকে তালাবদ্ধ দেখতে পেয়ে কর্তৃপক্ষকে জানান। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কক্ষের বিকল্প চাবি দিয়ে তালা খুলে ভেতরে রেদওয়ানার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে দেন। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইল জেলা কালচারাল কর্মকর্তা খন্দকার রেদওয়ানা ইসলামকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৭ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মির্জাপুর কুমুদিনি হাসপাতালের একটি কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মির্জাপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার দীপংকর বলেন, গত সোমবার (২২ মার্চ) রেদওয়ানা ইসলাম প্রসব ব্যথা নিয়ে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিনই তিনি একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন। এরপর থেকে সন্তানটি আইসিওতে (নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে) রাখা হলেও চারদিন আগে রেদওয়ানা ইসলামকে চিকিৎসকরা ছুটি দিয়ে দেন। কিন্তু নবজাতক হাসপাতালে থাকার কারণে রেদওয়ানা হাসপাতালের একটি কক্ষ নিয়ে থেকে যান।
শনিবার (২৭ মার্চ) সকালে তার স্বামী মিজান হাসপাতালে রেদওয়ানার সাথে দেখা করতে আসেন। বিকেলে হাসপাতালের নার্স রেদওয়ানার কক্ষ বাইরে থেকে লক (তালা) দেখতে পেয়ে কর্তৃপক্ষকে জানান। পরে হাসপাতালের লোকজন কক্ষের ডুব্লিকেট চাবি দিয়ে তালা খুলে ভেতরে রেদওয়ানার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
নিহত রেদওয়ানা ইসলামের মামী খোদেজা বেগম ও মর্জিনা বেগম বলেন, ‘শিশুটিকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর পর যখন আমরা বের হই তখন তার স্বামী কেবিনেই ছিলেন। ফিরে এসে তারা ওই কক্ষ বন্ধ দেখেতে পাই।’
তারা আরও বলেন, ‘প্রায় দুই বছর আগে রেদওয়ানা ইসলাম টাঙ্গাইলে বদলী হয়ে আসেন। তার স্বামী টাঙ্গাইলের একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করতেন। সম্প্রতি তিনি অন্যত্র বদলী হয়ে যান। স্বামী-স্ত্রী দুইজন জেলা প্রশাসনের কোয়ার্টারে বসবাস করতেন।’
কুমুদিনী হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মো. আলী হোসেন বলেন, ‘প্রসবজনিত কারণে খন্দকার রেদওয়ানা ইসলাম গত সোমাবার (২২ মার্চ) সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই দিন সিজার অপারেশনের মধ্যেমে কন্যা সন্তান প্রসব করেন তনি। বাচ্চা অসুস্থ থাকায় তিন তলায় ভর্তি রাখা হয়। মা সুস্থ হয়ে উঠায় শুক্রবার রেফার্ড করা হয়েছিল।’
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টাকালে তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতায় শনিবার(২৭ মার্চ) বিক্ষোভ মিছিল বের করার সময় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন- জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম বাবু, জেলা মৎস্যজীবীদলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা ও জেলা যুবদলের সদস্য কামাল হোসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে যুবদল-ছাত্রদলের ব্যানারে শহরের রেজিষ্ট্রিপাড়া থেকে একটি বিক্ষোভ বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাতে বাঁধা দেয়। এসময় পুলিশের সাথে নেতাকর্মীদের মধ্যে বাকবিতন্ড ও ধস্তাধস্তি হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে তাদের ধাওয়া করলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মীর মোশারফ হোসেন জানান, বিএনপির সহযোগী সংগঠনের তিন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি জানান, পুলিশের গাড়িতে হামলার চেষ্টাকালে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে কালোবাজারে বিক্রির সময় ৪৮ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করা হয়েছে। এ সময় চাল বিক্রির সাথে জড়িত ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার(২৫ মার্চ) সকালে উপজেলার নাগবাড়ি ইউনিয়নের আওলাতুল এলাকার ডিলার ইয়াসিন আলীর গোডাউন থেকে ওই চাল উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, নাগবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জিন্নাহ মিয়ার বড় ভাইয়ের নামে ডিলারশীপ থাকলেও সবকিছু দেখভাল করেন তিনিই। জিন্নাহ মিয়া রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিজেই ডিলারশীপ নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। এর আগেও কালো বাজারে চাল বিক্রির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
নাগবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান সিদ্দিকী মিল্টন বলেন, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির সরকারি চাল কালোবাজারে বিক্রিকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।
কালিহাতী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কামরুল হাসান জানান, সরকারি চাল বিক্রির উদ্দেশ্যে ২টি অটো রিক্সায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে সেখানে দ্রুত অভিযান চালানো হয়। চালগুলো পাটের বস্তা থেকে প্লাস্টিকের বস্তায় তোলা ছিল। পরে গুদাম কর্মকর্তা চালগুলো সরকারি এটা নিশ্চিত করেন।
কালিহাতী থানা অফিসার ইনচার্জ সওগাতুল আলম বলেন, অভিযান চালিয়ে ৪৮ বস্তা সরকারি চালসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তবে ডিলারকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শাকিলা শারমিন বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
একতার কন্ঠ ডেস্কঃ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে খুন হলেন আলিমুল মোল্লা(৩২) নামের এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌর এলাকার যমুনা জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার (প্রাঃ) হাসপাতালের সামনে।
জানা গেছে, নিহত আলিমুল মোল্লা(৩২) পৌর সদরের বাইমহাটি এলাকার সেলিম মোল্লার ছেলে। সে পেশায় মির্জাপুর পৌরসভার এক জন পরিচ্ছন্নকর্মী ছিলেন বলে তার পরিবার জানায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেলা ১১টার দিকে অন্য এলাকার এক দম্পতি রাস্তায় ধস্তাধস্তি করে। এক পর্যায়ে এলাকার কিছু লোক জন তাদের থামাতে এগিয়ে যায়। এসময় একই গ্রামের আমান উল্লাহ’র ছেলে অভিযুক্ত ছাব্বির (৩৫) যমুনা জেনারেল হাসপাতালের দারোয়ান ডিউটিরত থাকাবস্থায় ঘটনাস্থল গিয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে তাদের দু’জনের মধ্যে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়।
পরে ছাব্বির উত্তেজিত হয়ে নিচে অবস্থিত চায়ের দোকান থেকে একটি ছুরি নিয়ে আলিমুলের পেটে ছুরি মারে। পরে স্থানীয়রা তাকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে পাশের যমুনা জেনারেল হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করে। কুমুদিনী থেকে তাকে ঢাকা নেয়ার পথে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ছাব্বির নামের এক ব্যক্তি আলিমুল নামের পরিচ্ছন্নকর্মীকে ছুরিকাঘাত করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলে জানতে পেরেছি। এ ব্যাপারে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আমরা অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা করছি।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইল পৌর এলাকার কালিপুর শ্রীশ্রী লোকনাথ মন্দিরে গভীর রাতে তালা ভেঙে স্বর্ণলঙ্কার ও নগদ টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, সোমবার (২৩ মার্চ) দিবাগত রাতে ছয়টি তালা ভেঙে মূল মন্দিরের ভেতর প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা।
মন্দিরে রক্ষিত দেবতার দুটি চূড়া, গলার চেইন, টিপ, তুলসী পাতা ও কানের দুল সহ প্রায় এক ভরি স্বর্ণলঙ্কার চুরি করা হয়েছে। এছাড়াও মন্দিরের প্রাণামী বাক্সের তালা ভেঙে প্রায় দশ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এর আগেও এই মন্দির থেকে ৬ টি সিসি ক্যামেরা, একটি মোটর, ফ্যানসহ একাধিক সরঞ্জামাদি চুরি হয়েছিল।
লোকনাথ মন্দিরের সভাপতি প্রদীপ কুমার রায় জানান, গভীর রাতে কে বা কাহারা মন্দিরের তালা ভেঙে স্বর্ণালংকার চুরি করেছে সেটা আমরা বুঝতে পারছি না। এই ঘটনায় আমরা খুবই মর্মাহত এবং আতঙ্কিত। ইতোমধ্যেই পুলিশ মন্দিরে এসে ঘটনা সম্পর্কে শুনেছেন।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানায় মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।সদর থানায় মন্দির কমিটি দ্রুত এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানায়।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন জানান,ঘটনা তদন্তে দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসার ইতিমধ্যেই মন্দির পরিদর্শন করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা করা হবে তিনি জানান।
একতার কন্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে হাবিবুর রহমান হাফিজুর (৩৬) নামে এক মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদ্যস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারৃত হাফিজুর উপজেলার বলদিআটা গ্রামের মুনছের আলীর ছেলে।
পুলিশ জানান, শনিবার সন্ধ্যায় ধনবাড়ী উপজেলার কাউনিয়া বাজারে এক লোক তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি রেখে বাজারে করতে যান। এসময় হাফিজুর মোটরসাইকেলটি কৌশলে তালা খুলে চুরির প্রস্তুতিকালে স্থানীয় জনতস হাতেনাতে ধরে গণধোলাই দেন। তারপর পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
ধনবাড়ী থানার এসআই সুরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীাকার করে জানান, রোববার তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের বংশাই নদীর মির্জাপুর উপজেলার ‘একাব্বর হোসেন এমপি সেতু’র পশ্চিম পাশ থেকে রোববার(২১ মার্চ) সকালে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তির অর্ধগলিত মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, রোববার সকালে বংশাই নদীও ওই স্থানে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাত এক পুরুষের অর্ধগলিত মরদেহ দেখতে পেয়ে তারা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গিয়াস উদ্দিন জানান, নদী থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহের বিভিন্ন অংশে পঁচে-গলে গেছে। মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সল্লা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে শনিবার(২০ মার্চ) সন্ধ্যায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৮জন আহত হয়েছেন। এছাড়া ৬-৭টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিনজনকে উপজেলা স্বাস্ব্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে কালিহাতী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানাগেছে, সল্লা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের জন্য আগামি ৩০ মার্চ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্মেলনকে সামনে রেখে সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি আব্দুল আলীম ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক কেরামত আলী তালুকদার প্রার্থী হয়েছেন। সেলক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা ইউনিয়নের কাউন্সিলর ও ডেলিগেটদের মন জয় করতে উঠে-পড়ে লেগেছেন, দিনরাত গণসংযোগ ও মিছিল-শোডাউন করছেন। এরই অংশ হিসেবে ২০ মার্চ(শনিবার) বিকালে দেউপুর পুরাতন বাজারে কেরামত আলী তালুকদারের পক্ষে সমাবেশ আহ্বান করা হয়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে একই স্থানে একই সময়ে অপর প্রার্থী আব্দুল আলীমের পক্ষেও সমাবেশ ডাকা হয়। উভয় গ্রুপ একই স্থান ও সময়ে সমাবেশ আহ্বান করায় এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। শনিবার সকালে উভয় পক্ষই ওই স্থানের সমাবেশ বাতিল করে। ওইদিন সন্ধ্যায় কেরামত আলী তালুকদার ও চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশি সাহানুজ্জামান তালুকদার রঞ্জুর নেতৃত্বে একটি মোটরসাইকেল শোডাউন দেউপুর পুরাতন বাজারের দিকে যাওয়ার পথে ফটিক মন্ডলের মোড় পৌঁছলে সেখানে অবস্থানরত আব্দুল আলীমের কর্মী-সমর্থকরা শোডাউনে অতর্কিত হামলা চালায়।
হামলায় কেরামত আলী তালুকদারের কর্মী পারভেজ আহাম্মেদ ফরিদ, লাভলু মিয়া, রুহুল আমিন তালুকদার, বাবলু মিয়া, বাবর আলী, অনিক, হুমায়ুন, আব্দুল মজিদ সহ ১০-১২জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে পারভেজ আহাম্মেদ ফরিদ, লাভলু মিয়া, রুহুল আমিন তালুকদারকে কালিহাতী উপজেলা স্বাস্ব্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেয়। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পারভেজ আহাম্মেদ ফরিদকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশি সাহানুজ্জামান তালুকদার রঞ্জু জানান, পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশ স্থগিত করায় তারা সন্ধ্যায় একটি মোটরসাইকেল শোডাউন করছিলেন। শোডাউনটি দেউপুর ফটিক মন্ডলের মোড়ে পৌঁছলে সেখানে অবস্থানরত আব্দুল আলীমের কর্মী-সমর্থকরা তাদের উপর দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে হামলা করে।
এ বিষয়ে সল্লা ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি প্রার্থী কেরামত আলী তালুকদার জানান, রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা থাকবেই। তাই বলে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে হামলা চালানো মধ্যযুগীয় বর্বরতার সামিল। তিনি ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান ও দোষীদের শাস্তি দাবি করেন।
অপর সভাপতি প্রার্থী ও সল্লা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম জানান, তিনি অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় রয়েছেন। তিনি জেনেছেন স্থানীয় ছাত্রলীগের সিনিয়র-জুনিয়র গ্রুপের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে- এটা তেমন বড় কিছু নয়।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গালা ইউনিয়নের শালিনা গ্রামে রোববার(২১ মার্চ) সকালে অভিযান চালিয়ে ৯৫পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ মো. ইয়ামিন হোসেন নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র্যাব-১২)। গ্রেপ্তারকৃত মো. ইয়ামিন হোসেন(২০) কালিহাতী উপজেলার সহদেবপুর ইউনিয়নের আকুয়া গ্রামের মো. আব্বাস আলীর ছেলে।
র্যাব-১২, সিপিসি-৩ টাঙ্গাইলের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মো. এরশাদুর রহমান জানান, গোপনে সংবাদ পেয়ে র্যাবের একটি দল শালিনা গ্রামে পুংলী নদীর পাড়ে অভিযান চালিয়ে মো. ইয়ামিন হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ৯৫পিস বিক্রি নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেট, দুইটি মোবাইল ফোন ও চারটি সিমকার্ড জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, টাঙ্গাইল সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের পূর্বক গ্রেপ্তারকৃত মো. ইয়ামিন হোসেনকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে।