/ হোম / আইন-আদালত
টাঙ্গাইলে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ১ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ১

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও গাড়িসহ মনির (২৫) নামের এক মাইক্রোবাসের চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে গোপালপুর থানা সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত মাইক্রোবাসের চালক মনির উপজেলার সমেশপুর গ্রামের লোকমানের ছেলে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সরকারের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গোপালপুর পৌরসভার থানা সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি চালায়। এ সময় দেশীয় অস্ত্রবহনকারী মাইক্রোবাসটিকে থামানোর জন্য সিগনাল দেওয়া হয়। সিগনাল দিলে গাড়িতে থাকা দুইজন পালিয়ে যায়। পরে অস্ত্রসহ চালককে গ্রেপ্তার করা হয়।

গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল মোর্শেদ জানান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল হাসান এবং জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সরকার ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে র‌্যাব ও পুলিশের সহায়তায় ওই মাইক্রোবাস চালককে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেন। পরে তাকে র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আসামিকে এখনো পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়নি।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে র‌্যাব-১৪ সিপিসি-৩ টাঙ্গাইলের কম্পানি অধিনায়ক মেজর মনজুর মেহেদী ইসলাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারকৃত মনিরকে গোপালপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২২. ডিসেম্বর ২০২৩ ০২:৩৪:এএম ১০ মাস আগে
টাঙ্গাইলে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

একতার কণ্ঠঃ ভারতীয় মালিকানাধীন কোম্পানি একটি ওয়ার হাউসে ডাকাতির মামলায় টাঙ্গাইলে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চাঁদপুর জেলার পুরান বাজার এলাকার খোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৫), জামালপুর জেলার পোড়াভিটা গ্রামের স্বজলের ছেলে ফরহাদ ওরফে ফারুক (৩৩) এবং ময়মনসিংহের বালিয়া গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (২৭)।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ও বুধবার (২০ ডিসেম্বর) গাজীপুর জেলার বাইমাইল এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকালে লুষ্ঠিত ৩ হাজার ৯১৩ কেজি এ্যালুমিনিয়ামের বিদ্যুতিক তার উদ্ধারসহ একটি কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার আরও জানান, গত ১২ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের সদর উপজেলার বিক্রমহাটিতে ভারতীয় মালিকানাধীন কোম্পানির একটি ওয়ার হাউসে ১ হাজার ২০০ মিটারের বিদ্যুতিক তার, মোবাইল ও সিসি ক্যামেরা ডাকাতি করে নিয়ে যায়।

তিনি জানান, এ ঘটনার পর টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে সাইফুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অপর ২ জনের বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমাণ্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। এই ডাকাতির ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২২. ডিসেম্বর ২০২৩ ০২:৫৪:এএম ১০ মাস আগে
মনোনয়ন বৈধ, ভোটের মাঠে লড়বেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ঠান্ডু - Ekotar Kantho

মনোনয়ন বৈধ, ভোটের মাঠে লড়বেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ঠান্ডু

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল-২(ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডুর মনোনয়নপত্র আপিলে বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে আপিলের শুনানিতে তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়।

স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু বিকালে নিজেই এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আপিলে মনোনয়নপত্র বৈধ বলে প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছি। কোনো ষড়যন্ত্র কাজে আসেনি। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হলে জয়লাভ করব। ভূঞাপুর-গোপালপুর উপজেলার জনগণ আমার পাশে রয়েছে।

গত ২ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে স্বাক্ষর জটিলতার কারণ দেখিয়ে ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডুর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম। পরে নিয়মানুযায়ী নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন তিনি। সেই আপিলেই তার মনোনয়নকে বৈধ ঘোষণা দিল নির্বাচন কমিশন।

গত ৩০ নভেম্বর ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেনের কাছে টাঙ্গাইল-২ আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।

প্রকাশ, ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা পরিষদের ৩ বারের নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নের আশায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের বরাবর আবেদন করেন। পরে ৩ অক্টোবর স্থানীয় সরকার বিভাগ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ শূন্য ঘোষণা করেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১১. ডিসেম্বর ২০২৩ ০২:৪৭:এএম ১০ মাস আগে
টাঙ্গাইলে আইনজীবী ফোরামের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন  - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে আইনজীবী ফোরামের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন 

একতার কণ্ঠঃ সারাদেশে গুম, হত্যা, জেল-জুলুম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম টাঙ্গাইল জেলা ইউনিটের উদ্যোগে আদালত প্রাঙ্গনে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সভায় বক্তব্য রাখেন- জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম টাঙ্গাইল জেলা ইউনিটের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম ফাইজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জহুরুল ইসলাম (জহির),জেলা বার সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মাইদুল ইসলাম শিশির, অ্যাডভোকেট শাহজাহান কবির প্রমুখ।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা মিয়া, এম এ রৌফ, সাইদুর রহমান স্বপন, আতিকুর রহমান জামিল, তারিকুল ইসলাম ইউসুফ, এমদাদুল হক সাইদ, জেলা মহিলা দলের সভাপতি নিলুফা ইয়াসমিন, অ্যাডভোকেট রক্সি মেহেদী, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ একেএম মনিরুল হক মনির, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান উজ্জলসহ জেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দলসহ এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এ সরকারের আমলে গণতন্ত্র ভুলন্ঠিত। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বেআইনীভাবে কারারোধ করে রাখাসহ ভাইস চেয়ারম্যান আজ নির্বাসনে। বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী কারাগারে। লাখ লাখ নেতাকর্মী মানবেতর জীবনযাপন করছে। গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার ও ছিনিয়ে আনার আহ্বান জানান বক্তারা।
বক্তারা আর বলেন, বাংলাদেশে বিএনপি বিহীন কোন নির্বাচন হতে পারে না। আওয়ামী লীগের একতরফা নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১১. ডিসেম্বর ২০২৩ ০৩:৩৩:এএম ১০ মাস আগে
টাঙ্গাইল-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দিলেন শুক্লা সিরাজ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দিলেন শুক্লা সিরাজ

একতার কণ্ঠঃ হেভিওয়েট প্রার্থীতে সরব হয়ে উঠেছে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার য়ার শেষদিন (৩০ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইনের কার্যালয়ে দেখা গেছে এ আসনের সকল হেভিওয়েট প্রার্থীদের। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে সমর্থকসহ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারা। এর মধ্যে আকর্ষণ হয়ে উঠেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সারওয়ার সিরাজ (শুক্লা)।

তিনি স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আর বিএনপি’র সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী মরহুম শাহজাহান সিরাজের মেয়ে। ব্যারিস্টার সারওয়ার সিরাজ (শুক্লা) গুলশান সোসাইটি ঢাকার মহাসচিব। তিনি সুপ্রীম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত।

হভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে দুপুরে মনোনয়নপত্র জমা দেন এ আসনের আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাত বারের সভাপতি মোজহারুল ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু, এরপরে কৃষক শ্রমিক জনতালীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, সরকারি সাদত কলেজের সাবেক ভিপি তার ছোট ভাই শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী, লতিফ সিদ্দিকীর সহধর্মিণী ও সাবেক এমপি লায়লা সিদ্দিকী আর সমর্থকদের নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বহিষ্কৃত প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, একই আসনের অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী সিদ্দিকী পরিবারের আরও এক আলোচিত রাজনীতিবিদ ও সাবেক ছাত্র নেতা মুরাদ সিদ্দিকী। তিনি টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এছাড়াও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তৃণমূল বিএনপি’র প্রার্থী শহিদুল ইসলাম, সুপ্রিম পার্টি (ন্যাপ) শুকুর মাহমুদ, জাসদ প্রার্থী এস.এম মোস্তফা, জাতীয় পার্টি (জেপি) সাদেক সিদ্দিকী। এর আগে ২৯ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জাতীয় পার্টি (এরশাদ) ইঞ্জিনিয়ার লিয়াকত আলী আর জাকের পার্টির প্রার্থী মোনতাজ আলী।

মনোনয়নপত্র জমা শেষে ব্যারিস্টার সারওয়ার সিরাজ (শুক্লা) বলেন, আমি কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত না। আমি সমাজ সেবা আর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ করি। কালিহাতীর মানুষের সাথে আমার নাড়ীর সম্পর্ক। মানুষের চাহিদা ও স্থানীয় বাস্তবতা থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত আমি ২৩ নভেম্বর নিয়েছি এবং মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছি।

তিনি আরও বলেন, আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। জন্মের পর থেকেই নানা ধরণের চাপ নিয়ে বড় হয়েছি। বিজয় নিয়ে আমি শতভাগ আশাবাদি। তারণ্যের প্রতীক হিসেবে তিনি নতুন প্রজন্ম, দল মত নির্বিশেষে সকল নর-নারীর ভোট প্রার্থণা করেছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০২. ডিসেম্বর ২০২৩ ০১:৫৭:এএম ১০ মাস আগে
টাঙ্গাইলে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ, যুবকের যাবজ্জীবন করাদন্ড - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ, যুবকের যাবজ্জীবন করাদন্ড

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে দশম শ্রেনীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মাহবুবুর রহমান এ রায় দেন। ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া শিশুর ভরণপোষণ রাষ্ট্র বহন করবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

দন্ডিত যুবক শহীদুল ইসলাম খোকন (২৩)। তিনি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার শেখ শিমুল গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে।

টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আলী আহমেদ জানান, ভিকটিম ঘাটাইল উপজেলার স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ১০ম শ্রেনির শিক্ষার্থী। দন্ডিত শহীদুল ইসলাম খোকন ভিকটিমের প্রতিবেশি চাচাতো ভাই। সেই সুযোগে খোকন ভিকটিমের বাড়িতে ও মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিতো। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। সেই সর্ম্পকের সূত্র ধরে ২০২১ সালের ১ অক্টোবর বিয়ের আশ্বাস দিয়ে খোকন নিজের বাড়িতে নিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।

তিনি জানান, এরপর সুযোগ পেলেই দন্ডিত খোকন ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে বিষয়টি ছাত্রীর পরিবারের লোকজন জানতে পারলে স্থানীয়ভাবে বিচার সালিসের ব্যবস্থা করা হয়। তখন খোকন তাকে বিয়ে করবে এবং ওই অনাগত সন্তানকে স্বীকৃতি দিবে বলে স্বীকার করে। পরবর্তীতে খোকন মাদ্রাসা ছাত্রীকে বিয়ে না করে পালিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, পরে ওই ছাত্রীর মামা ছানোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ২০২২ সালের ২০মে ঘাটাইল থানায় শহীদুল ইসলাম খোকনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা না নেওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেন। পরে ওই ছাত্রী পুত্রসন্তান জন্ম দেন। ডিএনএ পরীক্ষায় আসামি খোকন ওই শিশুর জৈবিক পিতা বলে প্রমানিত হয়। তদন্ত শেষে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে প্রতিবেদনপত্র জমা দেন। পরে এই মামলায় নয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় শহীদুল ইসলাম খোকনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয় বিচারক।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আলী আহমেদ। সহযোগিতা করেন সহকারি সরকারি কৌঁসুলি আব্দুর রহিম ও মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস। এ মামলায় আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ইলিয়াস খান পারভেজ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৩০. নভেম্বর ২০২৩ ০১:০৪:এএম ১১ মাস আগে
জামিন বাতিল, সাবেক মেয়র মুক্তিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ - Ekotar Kantho

জামিন বাতিল, সাবেক মেয়র মুক্তিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

একতার কণ্ঠঃ আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তিকে ২০ নভেম্বর দেওয়া জামিন বাতিল করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

তথ্য গোপন করে জামিন নেওয়ার বিষয়টি নজরে আসায় রবিবার (২৬ নভেম্বর) বিকালে বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

তিনি জানান, গত ২৩ আগস্ট বিচারিক আদালতে ছয় মাসের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলাটি নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। এই অবস্থায় তথ্য গোপন করে ২০ নভেম্বর হাইকোর্টে জামিন পান সহিদুর রহমান। এরপর ২২ নভেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি পান। বিষয়টি নজরে আসায় মামলাটি আবার হাইকোর্ট বিভাগের কার্যতালিকায় আসে। রবিবার আসামি সহিদুর রহমান খান মুক্তিকে গত ২০ নভেম্বর দেওয়া জামিন বাতিল করে তাকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া তথ্য গোপন ও নোটিশ নিয়ে তার আইনজীবী এম এ মুস্তাকিম ও মো. জাকারিয়া হাবিবকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করেছেন আদালত।

মুক্তি এ মামলার আসামি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার ভাই। তার বাবা আতাউর রহমান খান এ আসনের বর্তমান আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য।

দীর্ঘ ছয় বছর পলাতক থাকার পর ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর সহিদুর রহমান খান মুক্তি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ তার কলেজপাড়ার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার হয়।

এ ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশ আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। আদালতে তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে হত্যার সঙ্গে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে।

এরপর অভিযুক্তরা আত্মগোপনে চলে যান। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান ও তার অপর তিন ভাইসহ ১৪ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। আমানুর রহমান খান রানা ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আত্মসমর্পণ করেন। প্রায় তিন বছর হাজতবাসের পর তিনি জামিন পেয়ে মুক্ত আছেন।

গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি মুক্তিকে জামিন দেন টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ মাসুদ পারভেজ। পরে ২৮ ফেব্রুয়ারি তার অন্তর্বর্তী জামিন বাতিল করেন।

এরপর তিনি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। গত বছরের ২৭ এপ্রিল হাইকোর্ট মুক্তিকে জামিন দিয়ে রুল জারি করেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষ জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে। পরদিন ২৮ এপ্রিল হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগ।

পরে হাইকোর্টে রুল শুনানি হয়। গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর রুল শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন খারিজ হয়। এরপর টাঙ্গাইল জেলা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন মুক্তি। একই বছরের ২৪ অক্টোবর তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়। পরে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৭. নভেম্বর ২০২৩ ০১:৪৬:এএম ১১ মাস আগে
সাবেক মেয়র মুক্তির জামিন স্থগিতের শুনানি ২৭ নভেম্বর - Ekotar Kantho

সাবেক মেয়র মুক্তির জামিন স্থগিতের শুনানি ২৭ নভেম্বর

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার আসামি টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিন স্থগিতের বিষয়ে শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ ও নিয়মতি বেঞ্চে পাঠিয়েছেন চেম্বার জজ আদালত। এ বিষয়ে আগামী সোমবার (২৭ নভেম্বর) শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার জজ আদলত এই আদেশ দেন। আদালতে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারোয়ার হোসেন বাপ্পী।

এর আগে গত ২০ নভেম্বর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ থেকে তিনি জামিন পান। জামিন আদেশ কারাগারে পৌঁছালে বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।

চেম্বার জজ আদালতে বৃহস্পতিবার শুনানির সময় জজ জানতে চান আসামি বের হয়ে গেছেন কি না। রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, তিনি বুধবার দুপুরে বের হয়ে গেছেন। পরে চেম্বার জজ বলেন, যেহেতু বের হয়ে গেছেন সোমবার এটি আপিল বিভাগে থাকবে।

এর আগে সহিদুর রহমান খান হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে জামিন আবেদন বিচারাধীন থাকার তথ্য গোপন করে আরেকটি বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন। গত ১৯ জুলাই করা জামিন আবেদনের ওপর শুনানির সময় বিষয়টি নজরে আনার পর আদালত জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ করে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে আবেদন করেছিলেন মুক্তি। চেম্বার আদালত আবেদনটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান।

পরে আপিল বিভাগ গত ২৭ আগস্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার বিচারকাজ ছয় মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন। এর মধ্যে গত ২০ নভেম্বর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ থেকে সহিদুর রহমান খান মুক্তি জামিন পান। ওই আদেশ কারাগারে পৌঁছালে বুধবার তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

সহিদুর রহমান এই মামলার অন্য আসামি টাঙ্গাইল-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার ভাই। তার বাবা আতাউর রহমান খান একই আসনের সংসদ সদস্য। দীর্ঘ ছয় বছর পলাতক থাকার পর ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর সহিদুর রহমান খান আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর নিহতের স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান ও তার অন্য তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৪. নভেম্বর ২০২৩ ০২:৫২:এএম ১১ মাস আগে
জামিনে মুক্ত হলেন টাঙ্গাইলের সাবেক মেয়র ‘মুক্তি’ - Ekotar Kantho

জামিনে মুক্ত হলেন টাঙ্গাইলের সাবেক মেয়র ‘মুক্তি’

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় উচ্চ আদালত শর্তসাপেক্ষে সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির ৬ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছেন।

বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে তিনি টাঙ্গাইল জেলা কারাগার থেকে মুক্ত হন। টাঙ্গাইলের জেল সুপার মোখলেসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জামিনে মুক্ত হয়ে সাবেক মেয়র পৌর শহরের কলেজ পাড়ার নিজ বাসভবনে ফিরেছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

টাঙ্গাইলের জেল সুপার জানান,উচ্চ আদালতের জামিন সংক্রান্ত কাগজপত্র বুধবার টাঙ্গাইল কারাগারে পৌঁছলে সকল নিয়ম মেনে দুপুরে তাকে জেল থেকে সাবেক মেয়রকে মুক্তি দেওয়া হয়।এরআগে সোমবার হাইকোর্টের ৯ নম্বর আদালতের বিচারপতি রেজাউল হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ফারুক হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

সহিদুর রহমান খান মুক্তির আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আব্দুল মুনতাকিম জানান, বিচারকদ্বয় টাঙ্গাইলের ফারুক হত্যা মামলায় সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির ৬ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই হাইকোর্টের বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তথ্যগোপন করে জামিন আবেদন করায় সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। একই সঙ্গে তথ্য গোপন করে জামিন আবেদন করার অভিযোগে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সহিদুর রহমান খান মুক্তি গত এপ্রিলে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে জামিন চেয়ে আবেদন দাখিল করেন। এই আবেদন বিচারাধীন থাকা অবস্থায় গত জুন মাসে জামিন চেয়ে আরেকটি আবেদন করেন। জামিন চেয়ে আগে করা আবেদনের তথ্য দ্বিতীয় দফায় করা আবেদনে উল্লেখ না করায় আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খানের ছেলে।একই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার ছোট ভাই।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়ার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার হয়। এ ঘটনার ৩ দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশ আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। আদালতে এ দুজনের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে হত্যার সঙ্গে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। এরপর অভিযুক্তরা আত্মগোপনে চলে যান।

আমানুর রহমান খান রানা ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। প্রায় তিন বছর হাজতবাসের পর তিনি জামিনে মুক্তি পান। অভিযুক্ত সহিদুর রহমান খান মুক্তি দীর্ঘ ছয় বছর পলাতক থাকার পর ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। এরপর দফায় দফায় জামিনের আবেদন করলেও আদালত প্রতিবারই আবেদন নামঞ্জুর করেন। তাদের অন্য দুই ভাই এখনও আত্মগোপনে রয়েছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৩. নভেম্বর ২০২৩ ০১:০৫:এএম ১১ মাস আগে
টাঙ্গাইলে ধর্ষণ মামলার বাদীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ধর্ষণ মামলার বাদীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলার বাদী ক‌লেজছাত্রী আফরোজ মির্জা এশা’র ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার ক‌রে‌ছে পু‌লিশ।

গ্রেপ্তারকৃত সৌরভ পাল টাঙ্গাইল পৌরসভার থানাপাড়া এলাকার শ্যামল পালের ছে‌লে। শনিবার (১৮ নভেম্বর) রা‌তেই তা‌কে গ্রেপ্তার করা হয়। সৌরভের সঙ্গে নিহত বাদী এশার বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে।

রবিবার (১৯ ন‌ভেম্বর) দুপু‌রে টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি)আব্দুস ছালাম মিয়া বিষয়‌টি নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন।

এর আগে শনিবার রাতেই নিহত ক‌লেজছাত্রী এশা মির্জার বড় বোন লুনা মির্জা বাদী হয়ে সৌরভকে প্রধান ও তার আপন বড় ভাই জনি মির্জার নামে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা দায়ের করেন।

টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস সালাম মিয়া বলেন, শনিবার রাতে আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগ এনে এশা মির্জার বোন লুনা মির্জার আপন ভাই জনি মির্জা ও সৌরভ নামের একজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

তিনি আরও বলেন, মর‌দেহ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রবিবার ময়নাতদন্ত করা হবে। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। গ্রেপ্তারকৃত সৌরভ‌ পাল‌কে জিজ্ঞাসাবা‌দের জন্য ৫‌ দি‌নের রিমান্ড চে‌য়ে আদাল‌তে পাঠা‌নো হ‌য়েছে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৫ এপ্রিল রাতে টাঙ্গাইল সদর থানায় নিহত এশা মির্জা বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় এশা ধর্ষণের কারণে অন্তঃসত্তা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। পরে ৬ এপ্রিল দুপুরে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয় ওই কিশোরী।

এশার দায়ের করা ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি গোলাম কিবরিয়া বড় মনির বর্তমানে হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে মুক্ত রয়েছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৯. নভেম্বর ২০২৩ ০৯:১৩:পিএম ১১ মাস আগে
টাঙ্গাইলে ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনে আগুনের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে রেলওয়ে পুলিশ। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, আমিনুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম ও নাজমুল ইসলাম। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রেলওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফ বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) ভোর রাতে টাঙ্গাইল ঘারিন্দা রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কমিউটার ট্রেনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে ট্রেনের তিনটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনায় টাঙ্গাইল রেলস্টেশন সহকারী মাস্টার তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে মামলা দায়ের করেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৯. নভেম্বর ২০২৩ ০১:৩১:এএম ১১ মাস আগে
টাঙ্গাইলে আলোচিত ধর্ষণ মামলার বাদি এশা’র ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে আলোচিত ধর্ষণ মামলার বাদি এশা’র ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল শহর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনিরের বড় ভাই গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলাকারী কলেজ ছাত্রী এশা মির্জার (২২) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১৮ নভেম্বর )দুপুরে করের বেতকা এলাকায় তার নিজ বাসার ৩য় তালা থেকে এশার মরদেহ উদ্ধার করা করে পুলিশ।

নিহত আফরোজ মির্জা এশা টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের করের বেতকা গ্রামের লতিফ মির্জার মেয়ে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) শরফউদ্দিন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার দুপুরে নিজ বাসার রুমের ভিতর শার মির্জার শিশু পুত্রের কান্না শুনতে পায় স্থানীয় তনিমা আক্তার নামের এক নারী। পরে আশপাশের লোকজনকে জানালে তারা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।

এবিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া জানান, আলোচিত ধর্ষণ মামলার বাদি মির্জা আফরোজ এশা তার তিনতলা বাসার নিজরুমে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। এমন খবরের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধারের কার্যক্রম চালাচ্ছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৫ এপ্রিল রাতে অন্তঃসত্ত্বা থাকা অবস্থায় এশা টাঙ্গাইল সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে আওয়ামী লীগ নেতা বড় মনির ও তার স্ত্রী নিগার আফতাবের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

সম্প্রতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনির উচ্চ আদালতে জামিন নিয়ে কারামুক্ত হয়েছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৯. নভেম্বর ২০২৩ ০১:৫৫:এএম ১১ মাস আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।