একতার কণ্ঠঃ:টাঙ্গাইলে ঘারিন্দা রেল স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এ সময় জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, নাশকতার জন্য ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল ঘারিন্দা স্টেশনে গিয়ে আগুন লাগা টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেন পরিদর্শন করেছে পুলিশ ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে রাত ৩টার দিকে দাঁড়িয়ে থাকার ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতিকারীরা। যদিও এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
ঘারিন্দা স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে পঞ্চগড়গামী একটি ট্রেন স্টেশনে থাকায় কমিউটার ট্রেনটি দেখা যাচ্ছিল না। পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেন স্টেশন ত্যাগ করার পরেই আগুনের ধোয়া দেখতে পায় স্টেশনে থাকা রেল কর্তৃপক্ষ। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়ার পর প্রায় ৩০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
টাঙ্গাইল রেলস্টেশনের বুকিং মাস্টার সেলিম জানান, বুধবার সকাল সাতটা থেকে টাঙ্গাইল ঘারিন্দা রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি। বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক তিনটার দিকে দুর্বৃত্তরা এতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে ট্রেনের দুটি বগি পুরোপুরি ও একটি বগির আংশিক পুড়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ইদ্রিস আলী জানান, আগুনের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ৩০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। এ সময় ট্রেনের দুইটি বগির সিট, ফ্যানসহ পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে। এ ছাড়া একটি বগির আংশিক ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি নাশকতা।
পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় মহাব্যবস্থাপক শাহ সুফি নূর মোহাম্মদ জানান, এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি পরিকল্পিত নাশকতা।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, নাশকতা করার জন্য ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়েছে। কয়েকদিন যাবৎ অবরোধ চলছে। অবরোধে নাশকতা এড়াতে আগে থেকেই আনসার পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় নিয়োজিত ছিল। বুধবার দিবাগত রাতে দুষ্কৃতিকারীরা ট্রেনে আগুন দিয়েছে। এতে দুইটি বগি পুরোপুরি পুড়ে গেছে এবং একটি বগির আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এটি একটি নাশকতা। এই ব্যাপারে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ মামলা করবে। আমরাও বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।
একতার কণ্ঠঃ ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যাত্রী পরিচয়ে বাসে মনোয়ার হোসেন (৩৬) নামে এক ফেনসিডিল কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর আশরাফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার গোল চত্বর এলাকা থেকে মনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মনোয়ার হোসেন রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলার ধর্মেশ গ্রামের মনছুর আলীর ছেলে।
র্যাব ও বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব গোল চত্বর এলাকায় উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী একটি বাসে অভিযান চালানো হয়। পরে ১৫ বোতল ফেনসিডিলসহ মনোয়ারকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তিনি যাত্রী পরিচয়ে মাদক পাচার করতেন।
এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর আশরাফ জানান, সোমবার রাতে সেতু পূর্ব গোল চত্বরে অভিযান চালিয়ে ওই মাদক করবারিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
তিনি আরও জানান, পরে মনোয়ারকে সেতু পূর্ব থানায় হস্তান্তর করলে মঙ্গলবার সকালে তাকে টাঙ্গাইল বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে অবরোধ কর্মসূচি থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ৬ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (৫ নভেম্বর) সকালে সদর উপজেলার করটিয়া বাইপাস এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তারা হলেন, জেলা বিএনপি’র সাবেক সদস্য সচিব ও মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নাতি মাহমুদুল হক সানু, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ মাহবুবুল আলম শাতিল, জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব এম এ বাতেন, যুগ্ম আহ্বায়ক রাইসুল ইসলাম রুবেল, জেলা মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব মোস্তফা কামাল ও বিএনপি নেতা মো. সাদন।
এছাড়া শহর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহীন আকন্দকে টাঙ্গাইল পৌর শহরের পশ্চিম আকুর টাকুর পাড়া এলাকার নিজ বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবু সালাম মিয়া জানান, গত ২৯ অক্টোবর টাঙ্গাইল সদর থানায় দায়েরকৃত একটি নাশকতার মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আদালতের মাধ্যমে তাদের টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, শনিবার (৪ নভেম্বর) রাত থেকে এ পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন থানায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা বিএনপি’র নেতাকর্মী কিনা বিষয়টি তার জানা নেই।
প্রসঙ্গত, মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নাতি মাহমুদুল হক সানু গত ২ বারের টাঙ্গাইল পৌরসভার নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এছাড়া তিনি মাওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সোনালী ব্যাংক গোবিন্দাসী শাখায় গ্রাহকের সঞ্চয়পত্রের ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে ম্যানেজার শহিদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আত্মসাতের এসব টাকা সোনালী ব্যাংক গোবিন্দাসী শাখায় তার ভাই, বন্ধুর শাশুড়ি সহ একাধিক একাউন্টের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে বলে ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে। এই ঘটনায় সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও টাঙ্গাইল প্রিন্সিপাল কার্যালয় হতে আলাদা আলাদাভাবে তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানাগেছে, শহিদুল ইসলাম ম্যানেজার হিসেবে সোনালী ব্যাংক গোবিন্দাসী শাখায় ২০২০ সালে যোগদান করে। এরপর দীর্ঘ ৩ বছর ২ মাস কাজ করেন সেখানে। এই দীর্ঘ সময়ে তথ্য প্রযুক্তিতে মেধাসম্পন্ন শহিদুল ইসলাম কৌশলে ব্যাংকের ১৩০ জনের সঞ্চয়পত্রের টাকা লুজ চেকের (জরুরী উত্তোলনের জন্য একক পাতা) মাধ্যমে অন্য একাউন্টে ৫ কোটি ১১ লাখ টাকা সরিয়েছেন। এছাড়া উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের হত দরিদ্রদের ভাতার ৬ লাখ ৮১ টাকাও গায়েব করা হয়েছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম তার বড় ভাই ঘাটাইল উপজেলার লোকেরপাড়া গ্রামের মহির উদ্দিন তালুকদারের এগ্রো ফার্ম ও কালিহাতি উপজেলার আদাবাড়ি গ্রামের খালেদা বেগম নামে পলাশ এগ্রো ফার্মেও একাউন্টসহ তার বন্ধু বান্ধবদের একাউন্টের মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করেন।
খালেদা বেগমের মেয়ের জামাই পটুয়াখালী জেলায় দুদকের উপ-পরিচালক মামুন চৌধুরীর সাথে শহিদুল ইসলামের বন্ধুত্বের কারণে ওই হিসাব নম্বর ব্যবহার করে টাকা সরানোর অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় সোনালী ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে গোবিন্দাসী শাখা হতে ঋণের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন শহিদুল ইসলাম।
ভুক্তভোগী গ্রাহক উপজেলার কয়েরা গ্রামের মর্জিনা জানান, মেয়েদের বিয়ে দেয়ার জন্য জমিজমা বিক্রি ও অন্যান্য মিলিয়ে ২১ লাখ টাকা ব্যাংকে সঞ্চয়পত্রে রেখেছিলাম। কিন্তু পরে লভ্যাংশ তুলতে গিয়ে দেখি সঞ্চয়পত্রে টাকাই জমা হয়নি। ব্যাংক ম্যানেজার কৌশলে অনেক গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ করেছে।
রুহুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শেফালী বেগম জানান, রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তাহলে কি করবো আমরা। কয়েক মাস লাভের টাকা তুলেছিলাম। ম্যানেজার শহিদুলকে বদলি করার পর ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারি আমার সঞ্চয়পত্রই খোলা হয়নি। প্রতিকার চেয়ে ইউএনওর কাছে অভিযোগ দিয়েছি।
তালুকদার এগ্রো ফার্মেও স্বত্বাধিকারী মহির উদ্দিন বলেন, ব্যাংকে একাউন্ট করার পর ৭ লাখ টাকা ঋণ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই ঋণের টাকাসহ জমি বন্ধক রেখে ভাইকে (শহিদুল) আরও দুই লাখ টাকা দিয়েছি। একাউন্টে কয় টাকা আছে বা নেই আমি কিছুই জানিনা। চেকের পাতাগুলোতে স্বাক্ষর নিয়ে রেখেছিল সে।
পলাশ এগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী খালেদা বেগম বলেন, একাউন্টের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। কত টাকা আছে বা নাই। মেয়ের জামাই মামুন চৌধুরীই একাউন্টে লেনদেন করতো তার লোকজন দিয়ে। ব্যাংক ম্যানেজার শহিদুল তার বন্ধু ছিল। তাই গোবিন্দাসী শাখায় একাউন্ট খোলা হয়েছিল। ঝামেলার কারণে দেড় মাস আগে একাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছি।
পটুয়াখালী জেলার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক মামুন চৌধুরী বলেন, শহিদুলের সাথে ঢাকায় পড়াশুনার সুযোগে পরিচয় হয় তাঁর। পরিচিত হওয়ায় তার ব্যাংকে একাউন্ট খোলা হয়েছে শাশুড়ির নামে।
বিভিন্ন সময় ব্যাংকে লেনদেন করা হয়েছে। শাশুড়ির একাউন্টেতো নগদ টাকা জমা দেয়া হয়েছে কিন্তু সেখানে যদি ম্যানেজার অন্য একাউন্ট থেকে টাকা তার একাউন্টে জমা দিয়ে উত্তোলন করে তাহলে কিছু করার নেই।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম বলেন, ম্যানেজারের আইডি হ্যাক করে ব্যাংকের লোকজন টাকাগুলো আত্মসাৎ করে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমাকে বদলি করার পর আমার আইডি ব্যবহার করে টাকা সরানো হয়েছে। সঞ্চয়পত্রের কাগজপত্রগুলো ব্যাংকের পিয়ন লাভলুর বাড়িতে পোড়ানো হয়েছে। এছাড়া এখনও গ্রাহকদের সঞ্চয়পত্রের টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে।
সোনালী ব্যাংক গোবিন্দাসী শাখার ম্যানেজার ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, যেহেতু তদন্ত হচ্ছে সেহেতু এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করা যাবে না। প্রতিদিনই ভুক্তভোগী গ্রাহকরা ব্যাংকে ভিড় করছেন টাকা ফেরতের জন্য।
সোনালী ব্যাংক প্রিন্সিপাল অফিস ঘাটাইলের ডিজিএম আব্দুল্লাহ ফয়সাল বলেন, গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম দোষ স্বীকার করায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া প্রধান কার্যালয় তদন্ত করছে। অন্যদিকে দুদকে একটি মামলা হয়েছে। গ্রাহকদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। দ্রুত সময়ের মধ্যে তারা টাকা ফেরত পাবে।
একতার কণ্ঠঃ বিএনপির ডাকা ৭২ ঘণ্টা অবরোধের প্রথম দিন (মঙ্গলবার) সকাল থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক ছিল গণপরিবহন শূন্য। তবে পণ্যবাহী ট্রাক ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল করলেও স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম।
এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঘারিন্দা রেল স্টেশনেও নেই যাত্রীদের চাপ। কর্তৃপক্ষ বলছে, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঢাকায় যাচ্ছেন না।
তাই স্টেশনেও যাত্রীর সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম।
স্টেশনে কথা হয় রাইসুল মিয়া নামে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে।
তিনি জানান, ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে যাবেন। নতুন বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখেন কোনো বাস ঢাকা যাবে না।
তাই তিনি ঘারিন্দা রেল স্টেশনে এসেছেন ট্রেনে ঢাকা যাবেন। জরুরি প্রয়োজন না হলে তিনি ঢাকা যেতেন না। ওই হাসপাতালের একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বাধ্য হয়ে ঢাকা যেতে হচ্ছে তাকে।
মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ও রেল স্টেশনগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। কেউ যাতে কোনো প্রকার নাশকতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে বিশেষ নজরদারি বাড়িয়ে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশের পাশাপাশি মহাসড়কটিতে র্যাব সদস্যরাও টহল দিচ্ছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে বিএনপির ৯৮ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদেরকে নাশকতা ও পূর্বের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত চারদিনে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল আদালতের পরিদর্শক তানবীর আহমেদ জানান, জেলার ১২টি উপজেলায় অভিযান চালিয়ে গত চারদিনে ৯৮ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে সংশ্লিষ্ট থানা কর্তৃপক্ষ। টাঙ্গাইল সদরে ১২ জন, বাসাইলে ৬ জন, সখীপুরে ৪ জন, মির্জাপুরে ৮ জন, দেলদুয়ারে ৯ জন, নাগরপুরে ১৫ জন, কালিহাতীতে ৮ জন, ঘাটাইলে ৬ জন, ভূঞাপুরে ১০ জন, গোপালপুরে ৫ জন, ধনবাড়ীতে ৪ জন, মধুপুরে ১১ জনকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে বিএনপির কয়েকজন নেতা অভিযোগ করে বলেন, গত শনিবার ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে যোগদানে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে এ গণগ্রেফতার করা হয়। হরতাল ও অবরোধে আমাদের নেতাকর্মীরা অংশ নিতে না পারে সেজন্য এমন গ্রেপ্তার আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছে পুলিশ। এটা একটি দেশের গণতন্ত্রের জন্য বাধা ও অন্যায় বলে দাবি করেন তারা।
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুর রহমান খান শফিক বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। আমাদের কোন নেতাকর্মী বাড়িতে থাকতে পারছে না। সকলের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি ও ভয় দেখানোর জন্য গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। মঙ্গলবার থেকে তিনদিনের অবরোধ শুরু হবে। এসব কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মীরা যেন রাজপথে থাকতে না পারে এজন্য পুলিশ গ্রেপ্তার করছে।
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল বলেন, সরকার বিরোধী আন্দোলন বন্ধ করতে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর অন্যায় ও অত্যাচার করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমাদের চলমান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শরফুদ্দীন বলেন, টাঙ্গাইল জেলায় নাশকতা ও পূর্বের দায়ের করা বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটা আমাদের নিয়মিত রুটিন ওয়ার্ক। আমরা সারাবছরই বিভিন্ন মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে থাকি। জেলায় বর্তমানে পুলিশি টহল আরও জোরদার করা হয়েছে। কেউ যেন জানমালের ক্ষয়ক্ষতি না করতে পারে এজন্য টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সজাগ রয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের উদ্যোগে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে। রোববার (২৯ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল কোর্ট এলাকায় ওই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
অ্যাডভোকেট বার সমিতির সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে আদালত প্রাঙ্গণের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল জেলা অ্যাডভোকেট বার সমিতির সাবেক সভাপতি এসএম ফাইজুর রহমান ও আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা মিঞা। সমাবেশ পরিচালনা করেন, অ্যাডভোকেট জহুরুল ইসলাম জহির।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, টাঙ্গাইল বারের সভাপতি মঈদুল ইসলাম শিশির, এডভোকেট জহুরুল ইসলাম জহির, এমদাদ কবির, শাহ্জাহান কবীর, ওমরাও খান দিপু, আইন উদ্দিন বিপ্লব, মোবারক হোসেন প্রমুখ।
একতার কণ্ঠঃ ঢাকায় বিএনপি’র মহাসমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য যাওয়ার পথে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের ৪ বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৮ অক্টোবর) ভোরে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেল স্টেশন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তবে, গ্রেপ্তাতারকৃতদের বিরুদ্ধে পূর্বে নাশকতার মামলা ছিল বলে পুলিশ দাবি করলেও বিএনপি নেতৃবৃন্দের দাবি মহাসমাবেশকে বাধাগ্রস্থ করতে চালানো হয়েছে ওই গ্রেপ্তার অভিযান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মফিজুর রহমান খান ওরফে মফিজ, ভূঞাপুর পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান গিয়াস, গাবসারা ইউনিয়ন বিএনপি’র ৮নং ওয়ার্ড সভাপতি শফি উদ্দিন ও অলোয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র ৬নং ওয়ার্ড সভাপতি ফরহাদুল ইসলাম।
উপজেলা বিএনপি সূত্রে জানা যায়, ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে ভোরে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেল স্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিল শতশত নেতাকর্মী। হঠাৎ পুলিশ এসে ওই ৪ নেতাকে গ্রেপ্তার করে। বাকিরা দ্রুত ট্রেনে উঠায় তাদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সেলিমুজ্জামান তালুকদার সেলু বলেন, ঢাকায় বিএনপি’র মহাসমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে পুলিশ গণহারে গ্রেপ্তার অভিযান ও হয়রানি করছে। ইতোমধ্যে যে ৪ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না। এই গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ্ জানান, গ্রেপ্তারকৃত ওই ৪ জনের বিরুদ্ধে পূর্বে নাশকতার মামলা থাকায় অভিযান চালিয়ে ভোরে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব স্টেশন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ শনিবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকায় বিএনপি’র মহাসমাবেশে যোগ দিতে টাঙ্গাইল থেকে দলের নেতা-কর্মীরা চলে গেছেন। দলের নেতারা জানিয়েছেন, টাঙ্গাইল থেকে এই কর্মসূচিতে প্রায় ২০ হাজার নেতা-কর্মী যোগ দেবেন। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলের মধ্যে ৩-৪ হাজার নেতা-কর্মী ঢাকায় পৌছে গিয়েছেন। এ ছাড়া অনেক কর্মী বিভিন্ন কৌশলে পৌঁছে গেছেন ঢাকায়। কেউ দূরপাল্লার বাস, ট্রেন, প্রাইভেটকার ও ব্যক্তিগত গাড়িতে করে সমাবেশে যাচ্ছেন। শুক্রবারের মধ্যে অন্যরা ঢাকায় পৌঁছাবে।
এদিকে সমাবেশেকে কেন্দ্র করে জেলার ১০জন বিএনপি’র নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল।
মহাসমাবেশ সামনে রেখে দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ করে দেওয়াসহ সরকারের পক্ষ থেকে যেকোনো ধরনের বাধা ও প্রতিবন্ধকতা এড়াতে আগেভাগেই বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা ঢাকায় যাচ্ছেন।
বিএনপি’র নেতারা বলছেন, মহাসমাবেশ কর্মসূচির এক সপ্তাহ আগে থেকে সরকারি দল যে যুদ্ধ প্রস্তুতি দেখাচ্ছে, এর উদ্দেশ্য ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করে লোকসমাগম কমানো। একই সঙ্গে বিরোধী দলগুলোর চূড়ান্ত আন্দোলন থামিয়ে দেওয়া, যাতে নির্বাচনের আগে আর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ না পায় বিএনপি।
বিএনপি’র নেতাকর্মীরা বলেন, ঢাকার সমাবেশে যোগ দিতে এবার ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। টাঙ্গাইলের বিভিন্ন ইউনিট থেকে নেতা-কর্মীরা ঢাকায় ঢুকতে শুরু করেছেন কয়েক দিন আগে থেকেই। পুলিশি হয়রানির ভয়ে নানা কৌশলে বিভিন্ন যানবাহনে এবং বিভিন্ন রুটে তাঁরা ঢাকায় ঢুকেছেন।
বিএনপি’র নেতাকর্মীদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের তল্লাশিচৌকি বসিয়ে বিভিন্ন পরিবহনে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশের সদস্যরা।
জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাঁধার সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা করছি। আমরা প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মী সমাবেশে যাবো। আওয়ামী লীগের নেতারা আমাদের গাড়ি আটকে রাখতে পারেন। যেভাবেই হোক আমরা সমাবেশে পৌছাবো। বৃহস্পতিবার থেকেই আমাদের বিএনপি’র নেতাকর্মীরা ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন।
তিনি আরও বলেন, হাসিনার পতন ঘটিয়ে আমরা ঘরে ফিরবো।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল আদালত পরিদর্শক তানবীর আহমেদ বলেন, এ পর্যন্ত কারাগারে ১০জন বিএনপি’র নেতাকর্মীরাকে প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কালিহাতীতে ১ জন, দেলদুয়ারে ২জন, মধুপুরে ২জন, ধনবাড়ীতে ২জন, নাগরপুর উপজেলার ২ জন ও বাসাইল উপজেলায় ১জন রয়েছন। তাদেরকে গত বছরের নাশকতার মামলায় বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
টাঙ্গাইল র্যাব-১৪, সিপিসি-৩ কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের বলেন, দেশে যেন কোন প্রকার নাশকতা না করতে পারে সে জন্য ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিহাততে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এখনো কাউকে আটক করা হয়নি।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ২৮ তারিখের সভাকে কেন্দ্র করে কোন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। ডাকাতি বন্ধে পুলিশের নিয়মিত কার্যক্রম অংশ হিসেবে মধুপুরে, এলেঙ্গা, গোড়াই, হামিদপুরে ৪টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সেখানে প্রতিদিনের ন্যায় নিয়মিত চল্লাশি করা হচ্ছে।
একতার কণ্ঠঃ:টাঙ্গাইলের মধুপুরে ফাতেমা বেগম (১৮) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকালে উপজেলার মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের দড়িহাসিল গ্রামের একটি কলা বাগান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে মধুপুর থানা পুলিশ।
ফাতেমা বেগম উপজেলা মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের দড়িহাসিল গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে এবং হাজীপুর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে আনাম আলীর স্ত্রী।
ফাতেমার স্বামী আনাম আলী জানান, রাতে একসাথেই পূজা মন্ডপ থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। পথিমধ্যে ফাতেমা দৌড়ে কলাবাগানে প্রবেশ করে। তাকে অনেক খোঁজাখুজি করে পাইনি। ফাতেমা প্রতিবন্ধী। তাই পরে ফিরে আসবে ভেবে আমি বাড়ি এসে ঘুমিয়ে পড়ে ছিলাম। মঙ্গলবার সকালে খবর পেয়ে কলাবাগানে গিয়ে দেখি ফাতেমার মরদেহ পড়ে আছে।
মির্জাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জুয়েল আহমেদ জানান, সোমবার রাতে ফাতেমা বেগম ও তার স্বামী আনাম মির্জাবাড়ী ঘোষপল্লী এলাকার পূজা দেখতে যান। সেখানে তারা পূজার অনুষ্ঠান দেখে। পরে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে কায়ছার আহমেদ তার বোন ফাতেমা ও ফাতেমার স্বামী আনামকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
তিনি আরও জানান,মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে স্থানীয় কফি ক্ষেতের এক শ্রমিক কলাবাগানে এক নারীর মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের জানান। পরে আশ-পাশের লোকজন ছুটে আসে এবং পুলিশকে জানানো হলে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয় । পরে মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এনিয়ে কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে ধর্ষণের শিকার হয়ে এক কিশোরী মাদ্রাসা ছাত্রী (১৪) অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত কলেজ ছাত্র মানিক মিয়াকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২২ অক্টোবর) ওই কিশোরীর বাবা অভিযুক্ত মানিক মিয়াকে একমাত্র আসামি করে সখীপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের এক ঘন্টার মধ্যেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই কলেজ ছাত্রকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। রবিবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত মানিক মিয়া উপজেলার দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের প্রতিমা বংকী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় একটি কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরী নানার বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি কওমি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতো। গত রমজান মাসে ওই কিশোরীর ঘরে ঢুকে মানিক মিয়া একাধিকবার ধর্ষণ করেন। মেয়েটি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। রবিবার মেয়েটির বাবা ওই কলেজ ছাত্রকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল-আমিন জানান, ওই কিশোরীর মেডিকেল করার জন্য তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ওয়ান-স্টপক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ শাহিনুর রহমান জানান, মামলা দায়েরের এক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করে টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ উপজেলা আওয়ামীলীগের উপর হামলার অভিযোগে করা মামলায় টাঙ্গাইল বিএনপির ৪০ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান নূর তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালত পরিদর্শক তানবীর আহমেদ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কারাবন্দীরা হলেন, গোপালপুর উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবু হানিফ কিসলু, ইউনিয়র সেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক আলম খান, যুবদলের সদস্য সচিব হারুন, শ্রমিকদলের সদস্য সচিব জাফর মিয়া ও উপজেলা জিয়া মঞ্চের আহ্বায়ক বদিউজ্জামান বাদলসহ বিভিন্ন স্তরের ৪০ নেতাকর্মী।
আদালত পরিদর্শক তানবীর জানান, বৃহস্পতিবার সকালে গোপালপুর উপজেলা বিএনপি’র ৪০ নেতাকর্মী টাঙ্গাইল চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জামিন নিতে আসেন। আদালতের বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল জানান, গায়েবী ও মিথ্যা মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছিলেন ওই নেতাকর্মীরা। উচ্চ আদালতের নির্দেশে অনুসারে বৃহস্পতিবার সকালে গোপালপুর উপজেলার বিএনপি’র ওই ৪০ নেতাকর্মী টাঙ্গাইল চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন নিতে আসেন। আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে তাদের অন্যায়ভাবে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি আরও জানান, নিপীড়ন-নির্যাতনের নীতি অবলম্বন করে বিএনপির নেতাকর্মীদের নিশ্চিহ্ন করার পায়তারা চলছে। বিএনপির কর্মসূচিগুলোতে বিপুল জনসমাগম দেখে সরকার দিশেহারা বলেই জামিন বাতিলের হিড়িক পড়েছে। গ্রেফতার, জামিন বাতিল ও নির্যাতন করে আন্দোলনকে দমানো যাবে না। অবিলম্বে কারাবন্দী সকল নেতাকর্মীদের মুক্তির জোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিক উদযাপন অনুষ্ঠানে গোপলপুর উপজেলা বিএনপি ও আওয়ামীলীগের মারামারির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ২ সেপ্টেম্বর ৬১জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। ১৪ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত থেকে ২৮ দিনের জামিন পান ওই মামলার আসামীরা।