টাঙ্গাইলে প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে প্রেমিকের আত্মহত্যা


০৭:৪৬ পিএম, ২ এপ্রিল ২০২৫
টাঙ্গাইলে প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে প্রেমিকের আত্মহত্যা - Ekotar Kantho
নিহত রাসেল মিয়া

আরমান কবীর টাঙ্গাইলে প্রেমিকাকে(২৫) ভিডিও কলে রেখে এক কিশোর প্রেমিকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। পরকিয়া প্রেমের জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

বুধবার (২ এপ্রিল) সকালে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের দরুন উত্তরপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই প্রেমিকাকে গাছে বেঁধে রাখে স্থানীয়রা । পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ তানভীর আহমেদ।


নিহত ঐ কিশোরের নাম রাসেল মিয়া (১৬)। সে দরুন উত্তর পাড়া এলাকার মোঃ চাঁন মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে। রাসেল পেশায় একজন অটোরিকশা মেকানিক ছিল।

স্থানীয়রা জানায়,প্রেমের সম্পর্ক ছিল রাসেল ও স্থানীয় মারিয়ার মধ্যে। মারিয়ার বিয়ে হয়ে গেছে এক প্রফেসরের সঙ্গে এবং একটি ছেলেও আছে তাদের। এদিন হঠাৎ সকাল ১১টার সময় খবর পাই রাসেল আত্মহত্যা করেছে। তখন মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে দেখতে পাই মারিয়ার সঙ্গে কথোপকথন।

রাসেল ও মারিয়ার মধ্যে ঝগড়া চলছিল মনে হয়। রাসেল আত্মহত্যা করার সময় মারিয়ার সঙ্গে কথাও বলেছে। আত্মহত্যার বিষয়টি জানাজানি হলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায়। অপরদিকে, প্রেমিকা মারিয়াকে এলাকাবাসী আটক করে গাছের সঙ্গে বেধে রাখে।

নিহতের পিতা চাঁন মিয়া জানান, তিনি ঈদ উপলক্ষে তার বড় ছেলের শশুর বাড়ী ঘাটাইল বেড়াতে গিয়েছিলেন। টাঙ্গাইলের অন্য একটি বাড়িতে তার স্ত্রী ও মেঝ ছেলে ছিল । ছোট ছেলে রাসেল একাই বাড়িতে ছিল। বুধবার সকালে তার মেঝ ছেলে বাড়ি গিয়ে রাসেলের ঘর ভিতর থেকে বন্ধ দেখে, বাহির থেকে ডাকাডাকি শুরু করে। রাসেলের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে তারা ঘরের খোলা জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে রাসেলকে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখে। পরে তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে ঘরের দরজা ভেঙে রাসেলকে সিলিং ফ্যান থেকে নামিয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

তিনি আরো জানান, ধারণা করা হচ্ছে রাসেল অভিমান করে মঙ্গলবার বিকাল ৪ টা ৩০ মিনিট থেকে বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে যে কোন সময় আত্মহত্যা করেছে।আমি এই ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছি।

টাঙ্গাইল সদর থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীর আহমেদ জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহতের পিতা চাঁন মিয়া বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।


খবরটি শেয়ার করুন

কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।