/ হোম / আইন-আদালত
টাঙ্গাইলে ২৮ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হত্যা মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ২৮ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হত্যা মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. নুর আলমকে (৪৯) প্রায় ২৮ বছর পর গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।

সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন বন্দর থানার গোরস্থান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃত নুর আলম টাঙ্গাইল পৌরসভার ভাল্লুককান্দি এলাকার ফজলুল হকের ছেলে।

এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল সদর থানার এসআই মো. সোহেল জানান, ১৯৯৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর পৌরসভার বেবিস্ট্যান্ড এলাকার মো. রফিককে তুলে নিয়ে যমুনা নদীর চরে গলাটিপে হত্যা করা হয়। পরে নিহত রফিকের বাবা আরশাব আলী বাদি হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় সদর থানার পৌরসভার ভাল্লুককান্দি এলাকার ফজলুল হকের ছেলে মো. নুর আলম ও একই এলাকার মাহতাবের ছেলে লতিফকে অভিযুক্ত করা হয়।

তিনি আরও জানান, শুনানী শেষে ১৯৯৫ সালে টাঙ্গাইলের সেশন জজ আদালতের বিচারক মো. আব্দুল কুদ্দছ রায়ে দু’জন আসামিকেই যাবজ্জীবন স্বশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন। রায়ের পর থেকে আসামি মো. নুর আলম ও লতিফ পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে বিভিন্ন স্থানে নানা নাম-পরিচয় ব্যবহার করে বসবাস করছিলেন।

টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন জানান, দীর্ঘ প্রায় ২৮ বছর পর হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. নুর আলমকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই মামলায় পলাতক আসামি লতিফকেও দ্রুত গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৮. ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০২:০২:এএম ৮ মাস আগে
টাঙ্গাইলে লাইসেন্স না থাকায় ২টি ক্লিনিক সিলগালা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে লাইসেন্স না থাকায় ২টি ক্লিনিক সিলগালা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে লাইসেন্স না থাকায় ২টি ক্লিনিক সিলগালা ও মালিকদের ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পৌর শহরের দেওলা ও সাবালিয়া এলাকায় অবস্থিত ফেয়ার হসপিটাল ও রেহানা মর্ডান হসপিটালে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানটি পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেড হাসান বিন মোহাম্মদ আলী।

হাসান বিন মোহাম্মদ আলী জানান, কোন বৈধ কাগজপত্র না থাকায় শহরের নতুন দেওলা ও সাবালিয়া এলাকায় অবস্থিত ফেয়ার হসপিটাল ও রেহানা মর্ডান হসপিটাল সিলগালা করা হয়।

তিনি আরও জানান, ফেয়ার হসপিটালের তিন মালিককে ৫ হাজার টাকা করে ১৫ হাজার টাকা ও রেহানা মর্ডান হসপিটাল মালিককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।

এসময় জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শরিফুল ইসলামসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিল।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৬. ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০১:০৯:এএম ৮ মাস আগে
টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ থেকে অবৈধ ট্রাক স্ট্যান্ড উচ্ছেদ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ থেকে অবৈধ ট্রাক স্ট্যান্ড উচ্ছেদ

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ ময়দান থেকে অবৈধ ট্রাক স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোহাইমিনুল ইসলাম এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।

এসময় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ ময়দানে রাখা প্রায় ৫০টি ছোট-বড় ট্রাক সরিয়ে দেওয়া হয়। এর পূর্বে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের পক্ষে উপজেলা সদর ভূমি (এসিল্যান্ড) অফিসের এক কর্মকর্তা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ ময়দানে এসে অবৈধ ট্রাক স্ট্যান্ডটি বিকাল ৬টার মধ্যে সরিয়ে নিতে ট্রাক স্ট্যান্ডের দায়িত্বে থাকা নেতৃবৃন্দকে মৌখিক নির্দেশ প্রদান করে।

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোহাইমিনুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ ময়দান থেকে ট্রাক স্ট্যান্ডটি উচ্ছেদ করা হয়েছে। আশা করি, এরফলে ১১৮ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ ময়দানের পরিবেশ ও পবিত্রতা ফিরে পাবে।

এসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৯০৫ সালে স্থাপিত টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ ময়দানে গত বছরের অক্টোবর মাসে টাঙ্গাইল ভাসানী হলের সামনে থেকে ট্র্যাক স্ট্যান্ডটি সরিয়ে ঈদগাহ্ ময়দানে বসার মৌখিক অনুমোদি দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ ময়দানে ট্রাক স্ট্যান্ড বসার পরে টাঙ্গাইলের সর্বসাধারণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে ঈদগাহ্ ময়দানে ট্রাক স্ট্যান্ড বসানোর ব্যাপারে সংবাদ প্রকাশিত হলে, জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক মিটিংয়ে ঈদগাহ্ থেকে ট্রাক স্ট্যান্ডটি সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়ন করা হয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৩. ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০২:৪২:এএম ৮ মাস আগে
টাঙ্গাইলে এসএসসি পরীক্ষায় নকল সরবরাহের চেষ্টা, দুইজনকে কারাদণ্ড - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে এসএসসি পরীক্ষায় নকল সরবরাহের চেষ্টা, দুইজনকে কারাদণ্ড

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে এসএসসি পরীক্ষায় নকল সরাবরাহের সময় হাতে নাতে ধরা পড়ায় দুইজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এলেঙ্গা পৌরসভা এলাকায় পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের বাইরে থেকে নকল সরবরাহের চেষ্টাকালে আল আমিনকে ২১ দিন ও মহির উদ্দিনকে ৭ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সিফাত বিন সাদেক।

এ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ সিফাত বিন সাদেক জানান, এলেঙ্গা পৌরসভা এলাকায় পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের বাইরে থেকে নকল সরবরাহের চেষ্টাকালে ওই দুইজন ব্যক্তিকে নকল সহ হাতেনাতে ধরা হয়। পরে তাদের নিকট নকল সরবরাহের উপকরণ পাওয়া যায় এবং তারা অপরাধ স্বীকার করেন। এসময় একজনকে ২১ দিন এবং অপরজনকে ৭ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, পরীক্ষায় যে কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা এবং অসদোপায় প্রতিরোধ ও কেন্দ্রের ভেতর এবং বাইরের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রশাসন সচেষ্ট আছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২১. ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০৩:৫০:এএম ৮ মাস আগে
টাঙ্গাইলে চাঁদাবাজি মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন সাংবাদিক বাবু - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে চাঁদাবাজি মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন সাংবাদিক বাবু

একতার কণ্ঠঃ দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার নাগরপুর উপজেলা প্রতিনিধি ও জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার উপজেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মো. আজিজুল হক বাবু একজন শিক্ষকের দায়ের করা মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন চাঁদাবাজি মামলায় আদালত থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত মামলাটি থেকে খালাস সংক্রান্ত একটি রি-কল পত্র নাগরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সাংবাদিক মো. আজিজুল হক বাবু বলেন, আমাকে হেনস্তা ও আমার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ন করতেই চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগে মামলা করা হয়েছিলো যা আদালতের সিদ্ধান্তে বেকসুর খালাসের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। সব প্রতিকূলতাকে পিছনে ফেলে সুষ্ঠু ধারায় সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে সাংবাদিকতায় সামনে এগিয়ে যেতে চাই।

উল্লেখ্য, গত ২০২২ সালের ২১ এপ্রিল একটি বানোয়াট অভিযোগে দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে, নাগরপুর থানা পুলিশ সাংবাদিক আজিজুল হক বাবুকে আটক করে এবং থানা হাজতে রেখে পরের দিন ২২ এপ্রিল আদালতে প্রেরণ করে।

প্রায় একমাস কারাগারে থাকার পর পরবর্তীতে তিনি ওই বছরের ২৩ মে জামিনে মুক্তি পান।

এছাড়াও ভিত্তিহীন চাঁদাবাজি মামলায় আটকের প্রতিবাদে সে সময় নাগরপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধারা ও বিভিন্ন সাংবাদিক মহল মানববন্ধনসহ প্রতিবাদ সমাবেশ করেছিল।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২১. ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০২:৩০:এএম ৮ মাস আগে
টাঙ্গাইলে ট্রাক চালক হত্যার ঘটনায় ৬ জন গ্রেপ্তার ২ জনের স্বীকারোক্তি - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ট্রাক চালক হত্যার ঘটনায় ৬ জন গ্রেপ্তার ২ জনের স্বীকারোক্তি

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ট্রাক চালক নাজমুল ইসলাম ওরফে আজিজুল ইসলাম (৩৫) খুনের ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে সাদ্দাম হোসেন (৩৪) ও নাদিম খান (৩১) নামে দুজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মির্জাপুর থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এই তথ্য জানান অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রেজাউল করিম।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলা সদরের বাইমহাটি মাস্টারপাড়ার আবু সাঈদ খানের ছেলে নাদিম (৩১), লতিফপুর ইউনিয়নের ত্রিমোহন বান্দরমারা গ্রামের পাষান খানের ছেলে সাদ্দাম (৩৪), বাইমহাটী গ্রামের মৃত সামাদ আলীর ছেলে মো. ইয়াসিন (২৩), বাগজান গ্রামের মৃত নুরুল হকের ছেলে লাভলু মিয়া (৩১), বাইমহাটী গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে ফজল মিয়া (৩৯) সিংজুরী গ্রামের বোরহান মিয়ার ছেলে মো. সোহেল (৩২)।

প্রেস বিফংয়ে জানানো হয়, শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ট্রাকচালক আজিজুল ও তার শ্যালক ট্রাকের হেলপার আবু তালেব নারায়ণগঞ্জ থেকে ট্রাকে ভুট্টা ভর্তি করে বগুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথে রাত ১টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাস এলাকার মা সিএনজি স্টেশনের কাছে পৌঁছালে মহাসড়কে একটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখেন। এসময় ট্রাক থামিয়ে চালকের সহকারী পড়ে থাকা বস্তা সরাতে গেলে ১০-১২ জন দেশীয় অস্ত্রধারী এসে তাকে ঘিরে ফেলেন। অস্ত্রধারীরা তার সঙ্গে থাকা ১৮ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় এবং মারপিট করেন। এসময় দৌড়ে সহায়তা পেতে চিৎকার করতে থাকেন। এদিকে অস্ত্রধারীরা ট্রাকে উঠে চালকের বুকে ছুরিকাঘাত করে। হেলপারের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন ও পুলিশের টহল দল এগিয়ে গেলে অস্ত্রধারী ডাকাতদল পালিয়ে যায়। পরে আহত চালককে উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।

এই ঘটনায় মির্জাপুর থানায় শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে ট্রাকের হেলপার আবু তালেব মামলা করে। মামলা নথিভূক্ত হওয়ার তিন ঘন্টার মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যে রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ও সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) পোষ্টকামুরী, বাইমহাটী, দেওহাটা ও মির্জাপুর বাজার এলাকা থেকে বাকি চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে গ্রেপ্তারকৃত সাদ্দাম ও নাদিম রবিার (১৮ ফেব্রয়ারী) আদালতে ট্রাকচালককে খুনের কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। গ্রেপ্তার অন্য চারজনকে সোমবার সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে টাঙ্গাইল কোর্টে প্রেরন করা হয়।
এই খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সাতজনের মধ্যে ছয়জনকে গ্রেপ্তর করা হয়েছে এবং অন্য একজনকেও গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২০. ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০২:৪৫:এএম ৮ মাস আগে
টাঙ্গাইলে ৭টি ইটভাটা বন্ধ করল পরিবেশ অধিদপ্তর, তিনটি ভাটাকে অর্থদণ্ড - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ৭টি ইটভাটা বন্ধ করল পরিবেশ অধিদপ্তর, তিনটি ভাটাকে অর্থদণ্ড

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে সাতটি অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) পরিবেশ অধিদপ্তরের সদর দপ্তরের নির্বাহী পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা সালেহা সুমী এ অভিযান পরিচালনা করেন।

পরিবেশ অধিদপ্তর টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক বিপ্লব কুমার সূত্রধর জানান, পরিবেশ ছাড়পত্রবিহীন অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত-২০১৯) অনুযায়ী এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ঘাটাইল উপজেলার পাঁচটি পার্শ্ববর্তী কালিহাতী ও ভূঞাপুর উপজেলার দুটি ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

লাইসেন্সবিহীন সম্পূর্ণ অবৈধভাবে পরিচালিত এসব ইটভাটা মলিকদের কাছ থেকে ৩৯ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এর মধ্যে ছয়টি ইটভাটার মালিকের প্রত্যেককে ছয় লাখ টাকা করে এবং একজন ভাটা মালিককে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ইটভাটার কিলন ভেঙে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সহায়তায় পানি দিয়ে আগুন নিভিয়ে ভাটার কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

অভিযান পরিচালনা করে বন্ধ করে দেওয়া ইটভাটাগুলো হলো ঘাটাইল উপজেলার সিংগুরিয়া গ্রামের সুজন ব্রিকস, সিয়াম ব্রিকস, স্বর্ণা ব্রিকস-২, মিশাল ব্রিকস ও লোকেরপাড়া গ্রামের এমএসটি ব্রিকস। কালিহাতী উপজেলার তালতলা গ্রামের একুশে ব্রিকস ও ভূঞাপুর উপজেলার ভারই গ্রামের কবির ব্রিকস।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর টাঙ্গাইলের উপপরিচালক জমির উদ্দিন, সহকারী পরিচালক তুহিন আলম ও সহকারী পরিচালক জনাব সজীব কুমার ঘোষ প্রমুখ।

অভিযানে টাঙ্গাইল জেলার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা উপস্থিত থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন।

জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচলক পরিচালক জমির উদ্দিন জানান, সোমবার সাতটি অবৈধ ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ সুরক্ষায় টাঙ্গাইল জেলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।

এদিকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় তিনটি ইটভাটার মালিককে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিয়া হোসেন ও জান্নাতুল নাঈম বিনতে আজিজের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয় ভাটাগুলোতে। এ সময় জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জমির উদ্দিনসহ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জমির উদ্দিন জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় মির্জাপুরের গোড়াই সৈয়দপুর এলাকার মেসার্স আশা ব্রিকস এন্ড কোং ও মেসার্স নূরজাহান ব্রিকসকে ছয় লাখ টাকা করে এবং রানাশাল এলাকার মেসার্স হাকিম এন্টার প্রাইজকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত)-২০১৯ অনুযায়ী ইটভাটা পরিচালনার জন্য মালিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৬. ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০৩:১৪:এএম ৮ মাস আগে
যমুনার ফসলি জমি কেটে বিক্রির অপরাধে ব্যবসায়িকে জরিমানা - Ekotar Kantho

যমুনার ফসলি জমি কেটে বিক্রির অপরাধে ব্যবসায়িকে জরিমানা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের যমুনা নদীর চরাঞ্চলে জেগে উঠা ফসলি জমি কেটে বিক্রির অপরাধে এক বালু ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভূঞাপুর উপজেলার অর্জুনা ইউনিয়নের জগৎপুরা এলাকায় যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

জরিমানাপ্রাপ্ত বালু ব্যবসায়ী উপজেলা অর্জুনা ইউনিয়নের জগৎপুরা গ্রামের আকবর আলী খানের শহীদুজ্জামান।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাহেরুল ইসলাম তোতা ও অর্জুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল আলম খান মাহবুবের ঘাটে তিনি অবৈধ এ বালু উত্তোলনের ব্যবসা করে আসছিলেন।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহিমা বিনতে আখতার জানান, জগৎপুরা এলাকায দীর্ঘদিন যমুনা চরাঞ্চলের ফসলি জমি কেটে অবৈধভাবে বিক্রি করে আসছিল অসাধু বালু ব্যবসায়ীরা।

তিনি আরও জানান,সেখানে অভিযান চালিয়ে একজনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৫. ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০২:৫২:এএম ৮ মাস আগে
টাঙ্গাইলে ১৫ লাখ টাকার হেরোইনসহ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ১৫ লাখ টাকার হেরোইনসহ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে ১৫ লাখ টাকার হেরোইনসহ মো. মাসুদুজ্জামান মাসুদ (২২) নামে এক শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি-দক্ষিণ)

শুক্রবার (০২ জানুয়ারি) রাতে সদর উপজেলার নগর জালফৈ বাইপাস এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত মাসুদুজ্জামান মাসুদ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মহিশালবাড়ী এলাকার আমিরুল ইসলামের ছেলে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দক্ষিণের মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি-দক্ষিণ) পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি চৌকষ দল সদর উপজেলার নগর জালফৈ বাইপাস এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জামান মাসুদকে ১৫০ গ্রাম হেরোইনসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরও জানান, জব্দকৃত হেরোইনের বাজার মূল্য প্রায় ১৫ লাখ টাকা। গ্রেপ্তারকৃত মাসুদুজ্জামান মাসুদের নামে সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০১:১৭:এএম ৮ মাস আগে
টাঙ্গাইলে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা; স্বামী কারাগারে - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা; স্বামী কারাগারে

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী ফজলু তালুকদারকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাতে পৌরসভার সুন্দর পশ্চিম পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত গৃহবধূর নাম আসমা বেগম (৩৫)। তিনি উপজেলার ধোপাকান্দি ইউনিয়নের পঞ্চাশ গ্রামের আরশেদ আলীর মেয়ে। গ্রেপ্তারকৃত ফজলু সুন্দর গ্রামের নুরুল ইসলাম তালুকদারের ছেলে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুই সন্তান নিয়ে রাজমিস্ত্রি স্বামী ফজলু ও আসমা বেগমের সংসার। দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ নিয়ে তাদের দ্বন্দ্ব চলছিল। শনিবার রাতের খাবার খেয়ে স্ত্রী ও সন্তানরা ঘুমিয়ে পড়লে মেয়ের ওড়না দিয়ে ফজলু আসমা বেগমের গলা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে মেয়ে চিৎকার করে বাড়ির সবাইকে এ ঘটনা জানায়। স্থানীয়রা রাতেই ফজলুকে আটক করে পুলিশে দেয়।

গোপালপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মামুন ভূঁইয়া জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার অভিযোগে স্বামীকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। থানায় হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২২. জানুয়ারী ২০২৪ ০১:২৫:এএম ৯ মাস আগে
টাঙ্গাইলে নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে লতিফ সিদ্দিকীর অবরোধ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে লতিফ সিদ্দিকীর অবরোধ

একতার কণ্ঠঃ নির্বাচন পরবর্তী হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের সদ্য নির্বাচিত এমপি ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর ৬ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। এ সময় মহাসড়কের প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে জনগণের চরম ভোগান্তি হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে মহাসড়ক অবরোধ ও থানার সামনে অবস্থান নেন নেতাকর্মীরা।

পরে কাদের সিদ্দিকীর মধ্যস্থতায় পুলিশ প্রশাসনের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে ৩ ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে এ ঘটনায় কালিহাতী উপজেলা জুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

লতিফ সিদ্দিকীর কর্মীরা হলেন, বাংড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান হাসরত আলী, ঘুনী গ্রামের পিন্টু, কস্তুরিপাাড়ার খোকা, সাতুটিয়া গ্রামের হৃদয়, রতনগঞ্জ গ্রামের লাট মিয়া ও মনির সওদাগর। ৪ জন বাদে এজাহারভূক্ত লাট মিয়া ও মনির সওদাগরকে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়।

পুলিশ জানায়, রবিবার (৭ জানুয়ারি) নির্বাচনের দিন কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুম বিপ্লবের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সোমবার (৮ জানুয়ারি) থানায় মামলা দায়ের করেন বিপ্লব। সোমবার রাতে এ মামলার এজাহারভুক্ত দু’জনসহ ছয়জনকে আটক করে পুলিশ। তাঁরা সবাই লতিফ সিদ্দিকীর কর্মী ও সমর্থক।

আটককৃত অনুসারীদের মুক্তির দাবিতে লতিফ সিদ্দিকী প্রায় হাজার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে কালিহাতী থানার সামনে আসেন। এ সময় তিনি আটককৃত কর্মীদের ছেড়ে দিতে বলেন। পুলিশ তাঁদের ছেড়ে না দেওয়ায় লতিফ সিদ্দিকী ও তার কমী সমর্থকরা থানার সামনে মহাসড়কে বসে অবরোধ শুরু করেন। এ সময় উপজেলার বিভিন্নস্থান থেকে তাঁর কর্মীসমর্থকরা এসে তাঁর সঙ্গে যোগ দেন।

লতিফ সিদ্দিকী ও তার কর্মী সমর্থকরা মহাসড়কে বসে প্রতিবাদ জানান এবং গ্রেপ্তারকৃতদের দ্রুত মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কালিহাতী থানা পুলিশ ও টাঙ্গাইল পুলিস লাইন থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়।

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শরফুদ্দিনসহ পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা নবনির্বাচিত এমপি লতিফ সিদ্দিকীকে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। জবাবে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘যে পর্যন্ত আমার আটককৃত কর্মীদের মুক্তি না দেওয়া হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এ অবরোধ চলবেই।’

নবনির্বাচিত এমপি লতিফ সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘আমার কর্মীদের বিনা অপরাধে থানায় আটক করে রাখা হয়েছে। তাদের বিনাশর্তে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত এখানে থেকে যাবো না।’

লতিফ সিদ্দিকীর কালিহাতী থানা ঘেরাও ও মহাসড়ক অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ছোট ভাই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী। এরপর কাদের সিদ্দিকী থানার ভিতরে প্রবেশ করে পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনায় বসেন।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘পুলিশের সঙ্গে আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যাদের এই মামলার এজাহারে নাম না থাকা আটক ৪ জন কর্মীকে তাৎক্ষণিক মুক্তি এবং এজাহারে নাম থাকা দুইজন কর্মীকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হবে।’

এ সিদ্ধান্ত শুনে কাদের সিদ্দিকীর অনুরোধে লতিফ সিদ্দিকী তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে কালিহাতী থানা ও মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এ ঘটনার খবর পেয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত পরাজিত প্রার্থী মোজাহারুল ইসলাম তালুকদার তার নেতাকর্মীদের নিয়ে থানার দিকে যেতে থাকেন। সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশ দুই পক্ষের মধ্যে অবস্থান নিয়ে তাদেরকে অন্যত্র সরিয়ে দেয়।

নৌকার প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজহারুল ইসলাম তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচনে জয়লাভের পর থেকেই লতিফ সিদ্দিকীর কর্মী সমর্থকরা আওয়ামী লীগের লোকজনের ওপর হামলা-ভাঙচুর করছে ও হুমকি-ধামকি দিতেছে। বীরবাসিন্দায় মারধর ও কোকডহরায় আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। সেইসাথে পুলিশ প্রশাসনের উপর আমাদের আস্থা আছে। আশা করি কালিহাতীর শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তারা যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন। এ ধরনের হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড চললে জনগণকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগ উপযুক্ত জবাব দিবে।’

লতিফ সিদ্দিকীর কর্মী ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ও ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব আলী জানান, নির্বাচনে জয়লাভ করার পর থেকে লতিফ সিদ্দিকীর কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালাচ্ছে। হাট-বাজারে বের হলেই কর্মীদের মারপিট করা হচ্ছে। এসব কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের নির্দেশে করা হলেও তিনি প্রকাশ্যে আসছেন না। তার কথা মতো কালিহাতীতে এসব হচ্ছে।

কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ফারুক বলেন, ‘রবিবার নির্বাচনের দিন কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুমের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া অন্য ৪ জনকে আটক করা হয়নি। আইন তার নিজস্ব গতিতেই চলবে।’

উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। স্বতন্ত্র (ট্রাক) প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে তিনি ৭০ হাজার ৯৪০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী মোজাহারুল ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৭৫ ভোট।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১০. জানুয়ারী ২০২৪ ০১:৪৩:এএম ৯ মাস আগে
টাঙ্গাইলে পরকীয়া প্রেমি‌কের সহায়তায় স্বামী‌কে হত্যা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে পরকীয়া প্রেমি‌কের সহায়তায় স্বামী‌কে হত্যা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বেড়া‌নোর কথা ব‌লে পরকীয়া প্রেমি‌কের সহায়তায় স্বামী‌কে হত‌্যার পর মর‌দেহ গু‌ম করার জন‌্য বালু চাপা‌ দি‌য়ে‌ছে স্ত্রী। প‌রে স্ত্রীর দেওয়া ত‌থ্যের ভি‌ত্তি‌তে স্বামীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রেমিক মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নিহতের নাম নাঈম হোসেন (২০)। সে উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের মাইজবাড়ি গ্রামের মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের টাঙ্গাইল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে প্রেরণ করা হয়। পরে বিকেলে আদালতে তোলা হলে স্ত্রী রেশমি খাতুন ও প্রেমিক মাসুদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

এরআগে মঙ্গলবার (২৬ ডি‌সেম্বর) রা‌তে জামালপুর জেলার স‌রিষাবা‌ড়ি উপ‌জেলার চর ডাকাইতাবান্দা এলাকা থে‌কে স্বামীর মর‌দেহ উদ্ধার ক‌রে পুলিশ। পরে ওই রাতেই নিহত নাঈমের বাবা রেশমি খাতুন, তার প্রেমিক মাসুদসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত‌্যার ঘটনায় পরকীয়া প্রেমিক মাসুদ ও স্ত্রী রেশ‌মি খাতু‌নকে গ্রেপ্তার ক‌রে‌ছে পু‌লিশ।

গ্রেপ্তারকৃত মাসুদ উপজেলার অর্জুনা ইউনিয়‌নের চরভরুয়া গ্রা‌মের আব্দুল হাইয়ের ছেলে এবং নিহতের স্ত্রী রে‌শ‌মি খাতুন একই ইউনিয়‌নের রামাইল গ্রা‌মের আব্দুর রাজ্জা‌কের মে‌য়ে।

জানা গেছে, নাঈম ও রেশ‌মি গেল প্রায় তিনমাস আগে প্রেম ক‌রে প‌রিবা‌রের অম‌তে বি‌য়ে ক‌রেন। এর‌প্রেক্ষি‌তে গত ১৯ ডি‌সেম্বর স্ত্রী রেশ‌মি ফোন করে নাঈমকে শশুরবাড়িতে যেতে বলে এবং নাঈমকে বিকাশের মাধ্যমে ৫০০ টাকা পাঠিয়ে দেয়। পরে নাঈম তার মার কাছ থেকে আরও কিছু টাকা নিয়ে রামাইলে শশুর বা‌ড়ি‌তে যায়। প‌রে রেশ‌মি নাঈম‌কে নি‌য়ে বিকালে ঘুর‌তে বের হয়। এরপর রা‌তে রেশমি বাবার বা‌ড়ি গি‌য়ে জানায় তার স্বামী নাঈম চ‌লে গে‌ছে। এরপর থে‌কে নাঈমের খোঁজ পাওয়া যা‌চ্ছিল না।

গ্রেপ্তারকৃত রেশ‌মির বরাত দি‌য়ে পু‌লিশ জা‌নি‌য়ে‌ছে, রেশ‌মি পরকীয়ায় আশক্ত ছিল। নাঈমকে প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করেছিল রেশমি। পরে পুরোনো প্রেমিকের কথায় স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা করে রেশমি। প‌রিকল্পনা অনুযায়ী স্বামী নাঈম‌কে নি‌য়ে চরাঞ্চ‌লের বি‌ভিন্ন জায়গায় ঘুর‌তে যায়। এরপর স‌রিষাবা‌ড়ি সিমান্ত এলাকায় একটি চরে গি‌য়ে প্রেমি‌ক ও কয়েকজনের সহায়তায় নাঈমকে প্রথমে গলায় গামছা পেছিয়ে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর মরদেহ গুম করার জন্য বালু চাপা দেওয়া হয়। কাজ শেষ করে রেশ‌মি বাবার বা‌ড়ি‌তে চ‌লে যায়।

ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ জানান, ঘটনা‌টি খুবই মর্মান্তিক। স্বামীকে বেড়া‌নোর কথা ব‌লে প‌রিক‌ল্পিতভা‌বে হত‌্যা ক‌রে পরকীয়া প্রেমি‌ক ও তার বন্ধুদের সহায়তায়। প‌রে তার মর‌দেহ গুম করার জন‌্য বালু চাপা দি‌য়ে দেয়। প‌রে রেশ‌মি‌কে আট‌কের পর জিজ্ঞাসাবাদ কর‌লে সে হত‌্যা‌র কথা স্বীকার ক‌রে। তার দেয়া ত‌থ্যের ভি‌ত্তি‌তে মর‌দেহ উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও জানান, বিকালে নিহতের স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিককে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। সেখানে তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৮. ডিসেম্বর ২০২৩ ০২:৪৪:এএম ১০ মাস আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।