/ হোম / আইন-আদালত
টাঙ্গাইলে ঘুমন্ত স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে সন্তান রেখেই পালালেন স্ত্রী - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ঘুমন্ত স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে সন্তান রেখেই পালালেন স্ত্রী

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ঘুমন্ত স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে শিশু সন্তান রেখেই পালিয়েছেন স্ত্রী জাকিয়া (২৬)।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীকে উদ্ধার ক‌রে উপ‌জেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নি‌য়ে যাওয়ার পর সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চি‌কিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনা‌রেল হাসপাতা‌লে পাঠায়।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) ভোরে উপ‌জেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের রাউৎবা‌ড়ী গ্রা‌মে এই ঘটনা ঘ‌টে।

ভুক্তভোগীর নাম ফিরোজ (২৯) সে স্থানীয় শাহজাহানের ছে‌লে এবং জাকিয়া পাশ্ববর্তী জিগাতলা গ্রামের জামিলের মেয়ে।

প্রতিবেশি ও স্বজনরা জানান, পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে ৬-৭ বছরের একটি শিশু ছেলে সন্তান রয়েছে তাদের। সংসার জীবনের মধ্যেই প্রায়ই এক অপরকে দোষারোপ করে বিভিন্ন সময় ঝগড়া করতো।

এনিয়ে সম্প্রতি একাধিকবার গ্রাম্য সালিশি হয়। মঙ্গলবার রাতেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে বুধবার ভোরে ফিরোজের গোপনাঙ্গ কেটে সন্তান রেখেই জাকিয়া পালিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী ফি‌রোজ জানায়, ভোরে ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ করে লিঙ্গ কেটে ফেলে। পরে ডাক-চিৎকার শুনে পরিবার ও প্রতিবেশিরা এসে উদ্ধার করে এরআগে শিশু সন্তান রেখেই স্ত্রী জাকিয়া পালিয়ে যায়।

ফি‌রো‌জের মামা আরজু জানান, ‌বি‌য়ের পর থে‌কে স্বামী ও স্ত্রীর ম‌ধ্যে পা‌রিবা‌রিক কলহ চল‌ছিল। ভোরে ঘুমা‌নো অবস্থায় ভাগিনার লিঙ্গ কে‌টে ফে‌লে তার স্ত্রী। প‌রে পা‌শের লোকজন খবর পে‌য়ে তা‌কে উদ্ধার ক‌রে হাসপাতা‌লে নি‌য়ে আসে। তার স্ত্রী বা‌ড়ি থে‌কে পা‌লি‌য়ে‌ছে।

গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দুলাল হোসেন চকদার বলেন- বিষয়টি জেনেছি। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ফিরোজকে হাসপাতালে পাঠিয়েছে স্থানীয়রা।
তিনি আরও বলেন, স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সাংসারিক ঝামেলা চলছিল। এনিয়ে সম্প্রতি একাধিকবার দরবার-সালিশ করা হয়েছে।

উপ‌জেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকা‌রী মে‌ডি‌কেল অ‌ফিসার কাজল তালুকদার ব‌লেন, লি‌ঙ্গের পু‌রো অংশ কে‌টে ফেলায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হ‌য়। উন্নত চি‌কিৎসার জন্য তাকে টাঙ্গাইল জেনা‌রেল হাসপাতা‌লে পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ও‌সি) মো. আহসান উল্লাহ জানান, ঘটনা‌টি জেনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো কোন অ‌ভি‌যোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৭. এপ্রিল ২০২৪ ০৯:৩৫:পিএম ৬ মাস আগে
সখীপুরে সাংবাদিকের মাথা ফাটালেন আ.লীগ নেতা - Ekotar Kantho

সখীপুরে সাংবাদিকের মাথা ফাটালেন আ.লীগ নেতা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে এশিয়ান টেলিভিশনের স্থানীয় প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম শাফলুর উপর হামলা চালিয়ে মাথা ফাটিয়েছেন প্রভাবশালী এক আওয়ামী লীগ নেতা।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে উপজেলার পৌর এলাকার উপজেলা রোডের মনির উদ্দিন কমপ্লেক্সে এই হামলার ঘটনাটি ঘটে।

এ ঘটনায় ওই আহত সাংবাদিক বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

গুরুতর আহত ওই সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম শাফলু অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিউজ টাঙ্গাইলের সম্পাদক ও দৈনিক মজলুমের কন্ঠ পত্রিকার সখীপুর প্রতিনিধি।

জানা যায়,সখীপুর পৌর এলাকার উপজেলা রোডের মনির উদ্দিন কমপ্লেক্সের একটি রুম ভাড়ার চুক্তিপত্র নিয়ে কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে সাংবাদিক শাফলুর মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে ঐ কমপ্লেক্সের মালিক ও আওয়ামী লীগনেতা মনির উদ্দিন মন্টু।ঘটনাস্থলে ওই সাংবাদিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করান।মাথায় আঘাত পাওয়ায় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় রেফার্ড করবেন বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসক।

মনির উদ্দিন কমপ্লেক্সের ভাড়াটিয়া বলেন, এ ভবনের মালিক বদ মেজাজি তার আচরণ অত্যন্ত বাজে। তার বিচার হওয়া প্রয়োজন।

এই ঘটনায় অভিযুক্ত মনির উদ্দিন মন্টু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, রুমের চুক্তিপত্র নিয়ে দ্বন্দের এক মুহূর্তে মাথায় আঘাত করে ফেলেছি।

সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)শেখ শাহিনুর রহমান বলেন, আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৬. এপ্রিল ২০২৪ ০৩:৩৭:এএম ৬ মাস আগে
আ’লীগ নেতা বড় মনিরের বিরুদ্ধে আবারও ধর্ষনের অভিযোগ - Ekotar Kantho

আ’লীগ নেতা বড় মনিরের বিরুদ্ধে আবারও ধর্ষনের অভিযোগ

একতার কণ্ঠঃ এবার অস্ত্রের মুখে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির বিরুদ্ধে। পরে ভুক্তভোগী ওই তরুণী বাদী হয়ে রাজধানীর তুরাগ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

তুরাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মোস্তফা আনোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।

এরআগে শুক্রবার (২৯ মার্চ ) রাতে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল পেয়ে পুলিশ রাজধানীর তুরাগ থানায় প্রিয়াংকা সিটি আবাসিক এলাকায় বড় মনিরের ফ্ল্যাট থেকে ওই কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে। তাকে জোর করে ওই বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী।

পুলিশের ভাষ্য, বড় মনির ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছেন।

ওই শিক্ষার্থী মামলায় অভিযোগ করেন, ফেসবুকে বড় মনিরের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। প্রথম পর্যায়ে হাই-হ্যালো হতো। এক পর্যায়ে বড় মনির ভুক্তভোগীকে ছোট বোন বলে সম্বোধন করে। এরপর তার সঙ্গে ছাত্রীর হোয়াটসঅ্যাপে অডিও-ভিডিওতে কথা হতো।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ইফতারের পর বড় মনির ভুক্তভোগী ছাত্রীকে মেসেজ দিয়ে জমজম টাওয়ারের সঙ্গে এপেক্স শোরুমের সামনে থাকতে বলেন। সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটের সময় এপেক্স শো-রুমের সামনে অপেক্ষা করি। এর ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর বড় মনির রিকশা নিয়ে আসে এবং রিকশায় উঠতে বলে। ভুক্তভোগী ছাত্রী তার সঙ্গে রিকশায় ওঠেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তুরাগের প্রিয়াংকাসিটির ৬ নম্বর রোডের ৭ নম্বর বাসার পশ্চিম পাশের ফ্ল্যাটের তৃতীয় তলার উত্তর-পশ্চিম পাশের রুমের ভেতর নিয়ে যান। এরপর রুমের দরজা বন্ধ করে ধর্ষণ করেন।

এরপর ভুক্তভোগী ছাত্রী তার বাবাকে ফোন দেন। তার বাবা ঘটনা শুনে ৯৯৯ এ ফোন দেন। পরে তুরাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

উল্লেখ্য, বড় মনির জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব এবং টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরের বড় ভাই। এর আগেও টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বড় মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা রয়েছে। ওই মামলায় বর্তমানে জামিনে আছেন তিনি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৩১. মার্চ ২০২৪ ০৪:৩৯:এএম ৬ মাস আগে
টাঙ্গাইলে বিপুল সংখ্যক নিষিদ্ধ ফেন্সিডিলসহ গ্রেপ্তার ৪ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে বিপুল সংখ্যক নিষিদ্ধ ফেন্সিডিলসহ গ্রেপ্তার ৪

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল ৯৬৬ বোতল নিষিদ্ধ ঘোষিত ভারতীয় ফেন্সিডিলসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৪।

বুধবার (২৭ মার্চ) রাত ৮টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইল সদরের রাবনা বাইপাস এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩,কোম্পানি কমান্ডার মেজর মনজুর মেহেদী ইসলাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আটককৃতরা হচ্ছেন- লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ উপজেলার সেবকদাস গ্রামের মো. কফুর উদ্দিনের ছেলে মো. দুলু মিয়া(৪০), একই এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে মাইক্রোবাস চালক মো. রিপন ইসলাম(২২), মো. আমিনুল হকের ছেলে মিনাজুল ইসলাম(২১) এবং একই উপজেলার সেবকদাস নিথক গ্রামের মো. আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. রহিম বাদশা(২৭)।

র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩,কোম্পানি কমান্ডার মেজর মনজুর মেহেদী ইসলাম জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাত ৮টার দিকে মহাসড়কের রাবনা বাইপাসে গাড়িতে তল্লাশি চালায় র‌্যাব-১৪। তল্লাশিকালে রংপুর থেকে ছেড়ে আসা একটি মাইক্রোবাসে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রাখা ৯৬৬ বোতল বিক্রি নিষিদ্ধ ভারতীয় ফেনসিডিল জব্দ ও ৪জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চারটি মোবাইল সেট, নগদ এক হাজার ৬৫০ টাকা ও ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়।

তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে প্রতিনিয়ত অভিনব কৌশল অবলস্বন করতেন। তারা রংপুর জেলা থেকে আমদানী নিষিদ্ধ অবৈধ ভারতীয় ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে ঢাকা মহানগর সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা ব্যক্তির কাছে বিক্রি করতেন।

তিনি জানান,আটককৃতদের নামে টাঙ্গাইল সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৯. মার্চ ২০২৪ ০১:০৪:এএম ৭ মাস আগে
টাঙ্গাইলে ছিনতাইকালে আটক ২ পুলিশ সদস্যের রিমান্ড মঞ্জুর - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ছিনতাইকালে আটক ২ পুলিশ সদস্যের রিমান্ড মঞ্জুর

একতার কণ্ঠঃ ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের মির্জাপুরে ছিনতাইকালে দুই কনস্টেবলকে গ্রেপ্তারের পর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে তাদের আদালতে পাঠালে বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকেলে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে সোমবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের উপজেলার ধেরুয়া এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ওই রাতেই তাদের দুজনকেই সাময়িক বহিষ্কার করে মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান।

গ্রেপ্তারকৃত দুই পুলিশ কনস্টেবল হলেন, সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার কোদালিয়ার ময়নাল হকের ছেলে মো. মোহসীন মিয়া এবং টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার মিরিকপুর গ্রামের কৈলা রাজবংশীর ছেলে রিপন রাজবংশী। এই দুই কনস্টেবল মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানায় কর্মরত আছেন। ইতোমধ্যে তাদেরকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মহাসড়কের উপজেলার ধেরুয়া ফ্লাইওভার ব্রিজের দক্ষিণ পাশে একটি পিকআপকে থামার সিগন্যাল দেয় তারা। এ সময় চালক ও হেলপারকে গাড়ি থেকে নামিয়ে পাশেই দেওহাটা পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে গিয়ে মামলার ভয় দেখিয়ে ১১ হাজার ৫৫০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে চালক ও হেল্পারদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে ওই দুই পুলিশ সদস্যদের ধরে ফেলে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩০ হাজার ২১০ টাকা, একটি মোটরসাইকেল, একটি হ্যান্ডকাফ, পুলিশের পোশাক ও বেল্ট উদ্ধার করা হয়।

ওই রাতেই মধুপুর উপজেলার পিকআপ চালক রানা বাদী হয়ে ওই দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রেজাউল করিম জানান, এই ঘটনায় পিকআপ চালক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। তাদেরকে আদালতে পাঠানোর পর দুই দিনের রিমান্ডে আনা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৭. মার্চ ২০২৪ ০২:৩৮:এএম ৭ মাস আগে
নাগরপুরে আলোচিত কিশোরগ্যাং ‘বেজী গ্রুপের’ প্রধান বুলেট মাদকসহ গ্রেপ্তার - Ekotar Kantho

নাগরপুরে আলোচিত কিশোরগ্যাং ‘বেজী গ্রুপের’ প্রধান বুলেট মাদকসহ গ্রেপ্তার

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরের বহুল আলোচিত কিশোরগ্যাং “বেজী গ্রুপের” প্রধান ও মাদক ব্যবসায়ী মো. রাহাত হোসেন বুলেটকে (৩২) ১ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করেছে নাগরপুর থানা পুলিশ। রবিবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের বটতলা মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত বুলেট উপজেলার গয়হাটা ইউনিয়নের আগত গয়হাটা গ্রামের মৃত. ইসমাইল হোসেন মন্টু মিয়ার ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাহাত হোসেন বুলেট দীর্ঘদিন ধরে গোপনে নাগরপুর উপজেলাসহ আশপাশের উপজেলায় ইয়াবা ও গাজাঁসহ বিভিন্ন মাদক বিক্রি করে আসছিল। সে কিশোরদের দিয়ে বিভিন্ন উপজেলায় মাদকের নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার সন্ধ্যায় এসআই আ. আলিম ও এসআই মো. মামুন মিয়া অভিযান চালিয়ে উপজেলা সদরের বটতলা মোড় এলাকার বাবুল মিয়ার দোকানের সামনে থেকে ১ হাজার পিস ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় বুলেটের সাথে থাকা সুমন নামে এক কিশোর পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি ) এইচ এম জসিম উদ্দিন জানান, কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ‘বেজী গ্রুপের’ প্রধান মো. রাহাত হোসেন বুলেটকে ১ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই আ. আলিম ও এসআই মো. মামুন মিয়া সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাকে আটক করে। তার বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নাগরপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে রিমান্ড চেয়ে টাঙ্গাইলে বিজ্ঞ আদালতে মো. রাহাত হোসেন বুলেটকে প্রেরণ করা হয়। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৬. মার্চ ২০২৪ ০১:৫০:এএম ৭ মাস আগে
টাঙ্গাইলে জুয়ার আসর থেকে আটক ১০ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে জুয়ার আসর থেকে আটক ১০

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে জুয়ার আসরে অভিযান চালিয়ে ১০ জুয়াড়িকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ মার্চ) রাতে উপজেলার বল্লা ইউনিয়নের রামপুর সাতবিলের মাঝখানে হিজলতলা থেকে তাদের আটক করা হয়। রবিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে আটককৃত জুয়াড়িদের আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন, উপজেলার কালোহা পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত রবি মিয়ার ছেলে ইউনুস আলী (৪৮),কোকডোহরা পশ্চিম পাড়া গ্রামের জয়নাল মিয়ার ছেলে বাবু মিয়া (৩৫), হাসড়া মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো: আনোয়ার হোসেন (৩৯), উতরাইল দক্ষিণ পাড়া গ্রামের মৃত আঃ মান্নানের ছেলে মোঃ রমজান মিয়া (৪৫), রামপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে মো: আজিবর রহমান (৪২),কাজিবাড়ি মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে আরফান মিয়া (৪৫), কুকরাইল গ্রামের শামছুল আলমের ছেলে শাহ আলম (২৮), রামপুর মালিপাড়া গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে মোঃ হাসেম (৫০), বানকিনা পশ্চিম পাড়া গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে লোকমান মিয়া (৩০) ও রামপুর গ্রামের মৃত নজির হোসেনের ছেলে কবির হোসেন (৪২)।

এলাকাবাসী জানায়, এরা প্রতিদিন বল্লা ইউনিয়নের রামপুর সাতবিলের মাঝখানে হিজলতলা এলাকায় হাজার হাজার টাকার জুয়ার আসর বসায়। এলাকার কতিপয় অর্থলোভী প্রভাবশালী লোকদের ম্যানেজ করে জুয়াড়ুরা সারা বছর লাখ লাখ টাকার জুয়া খেলে থাকে।

কালিহাতী থানার এসআই আলামিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, উপজেলার বল্লা ইউনিয়নের রামপুর সাতবিলের মাঝখানে হিজলতলায় বসে প্রকাশ্যে তাসের মাধ্যমে টাকা দিয়ে জুয়া খেলা চলছিল। পরে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান স্যারের নির্দেশে সেখানে অভিযান চালিয়ে ১০ জুয়াড়ুকে আটক করা হয়।

তিনি আরও জানান, এসময় তাঁদের কাছ থেকে তাস ও নগদ ১৭ হাজার ১৫০ টাকা উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়েছে। রবিবার আটককৃত জুয়াড়িদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৫. মার্চ ২০২৪ ০২:০৯:এএম ৭ মাস আগে
টাঙ্গাইলে জাপা নেতার বিরুদ্ধে এসডিএসের ভূমি দখলে নিয়ে মাটি কাটার অভিযোগ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে জাপা নেতার বিরুদ্ধে এসডিএসের ভূমি দখলে নিয়ে মাটি কাটার অভিযোগ

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ইসলামিক রিসার্স ইনস্টিটিউট ও এসডিএসের ৭শত ১২ শতাংশ ভূমি নকল দলিল সৃষ্টি করে মাটি কেটে নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক হাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের যুগ্ম-জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা করেছেন প্রতিষ্ঠান দুটির চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল হোসেন সিরাজী।

জানা গেছে, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পোড়াবাড়ী ও গদুরগাতি মৌজার ৫১৪ ও ১৯৮ শতাংশ মোট ৭১২ শতাংশ ভূমি ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক রিসার্স ইনস্টিটিউট(আইআরআই) ও সোস্যাল ডেভেলপমেণ্ট সংসদ(এসডিএস) এর মালিকানাধীন। জমিগুলো ব্যাংকে মর্টগেজ রেখে ঋণ নেওয়া হয়। নানাবিধ কারণে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠান দুটির সভাপতি ও চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল হোসেন সিরাজী ২০০২ সালে গ্রেপ্তার হন। ওই সময় দু’টি প্রতিষ্ঠানের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি বা হস্তান্তরের উপর টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

চেয়ারম্যান হাজতে থাকার সুযোগে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলামের যোগসাজসে সত্য গোপন করে টাঙ্গাইল জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক হাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক নিজ নামে উল্লেখিত ৭১২ শতাংশ ভূমির দলিল রেজিস্ট্রি করে নেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, সম্প্রতি ইসলামিক রিসার্স ইনস্টিটিউট ও এসডিএসের ৭১২ শতাংশ ভূমির মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। ভেকু মেশিন(খননযন্ত্র) দিয়ে দিনরাত মাটি কাটা হচ্ছে এবং ড্রামট্রাক ও মাহেন্দ্র ট্রাক দিয়ে সেই মাটি সরবরাহ করা হচ্ছে। দিনরাত ট্রাক দিয়ে মাটি আনা-নেওয়া করায় স্থানীয়রা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠছে।

আইআরআই ও এসডিএসের চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন সিরাজী অভিযোগ করে জানান, আইআরআই ও এসডিএসের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বিক্রি বা হস্তান্তরে জেলা প্রশাসকের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তারপরও তার প্রতিষ্ঠানের অসাধু কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম নিজে দাতা সেজে জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক হাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হককে জমি রেজিস্ট্রি করে দেন। ওই জমি নিজের দাবি করে হাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক মাটি কেটে বিক্রি করে জমির শ্রেণি পরিবর্তনের পাশাপাশি অবৈধভাবে দখল করছেন।

এ বিষয়ে জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক হাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক জানান, এসডিএসের চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন সিরাজীর নামে সারাদেশে ১৩৫টি মামলা দায়ের হলে ২০০২ সালে তিনি গ্রেপ্তার হন। ওইসব মামলার মধ্যে তিনটিতে তার সাজা হয়। ফলে এসডিএসের ৪২জন কর্মকর্তা রেজুলেশন করে মো. নুরুল ইসলামকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন। নুরুল ইসলাম ২০১৫ ও ২০১৭ সালে তাকে জমি রেজিস্ট্রি করে দেন। এ সময় ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রতিষ্ঠানের কেউ না হয়েও তার কাছ থেকে জমি বিক্রি বাবদ টাকা গ্রহণ করেন। পরে তিনি টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে তিনি ইসমাইল হোসেন সিরাজীকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি সিআইডি তদন্ত করছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৪. মার্চ ২০২৪ ০৩:২৬:এএম ৭ মাস আগে
টাঙ্গাইলে প্রতিবেশী নারীকে মারধর করা সেই চেয়ারম্যান কারাগারে - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে প্রতিবেশী নারীকে মারধর করা সেই চেয়ারম্যান কারাগারে

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে প্রতিবেশী নারীকে মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নওরীন করিম দুই পক্ষের শুনানি শেষে এ রায় দেন।

টাঙ্গাইলের কোর্ট ইন্সপেক্টর তানভীর আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নূরে আলম মুক্তা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। পরে দুপক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মারধরের শিকার জেসমিন আক্তার জানান, ওই চেয়ারম্যান বৃহস্পতিবার আগাম জামিনের জন্য আদালতে গিয়েছিলেন। এ কথা শুনে আমি শুনানি শেষ হওয়ার এক মিনিট আগেই আদালতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে আমাকে মারধরের ভিডিওটি দেখালে আদালত অভিযুক্ত চেয়ারম্যানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, ২ মার্চ বিকেলে পারিবারিক কলহের জেরে তুচ্ছ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তা তাঁর প্রতিবেশী জেসমিন আক্তারকে (৩৫) মারধর করেন। অপর প্রতিবেশী রুবেলকে (৩৭) সঙ্গে নিয়ে চেয়ারম্যানের ওই মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার দিন মারধরের শিকার জেসমিন সখীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

এ নিয়ে ৩ মার্চ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। এ ঘটনায় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীও (বীর উত্তম) নারীকে মারধরে জড়িত চেয়ারম্যানের বিচার দাবিতে স্মারকলিপি দেন। একপর্যায়ে সখীপুর থানা-পুলিশ মারধরের শিকার জেসমিনের অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২২. মার্চ ২০২৪ ০২:১৮:এএম ৭ মাস আগে
টাঙ্গাইলে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে দুই যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে দুই যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে দুই যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মাহবুবুর রহমান এ রায় দেন।

দন্ডিতরা হচ্ছেন, জেলার সখীপুর উপজলার মহানন্দপুর গ্রামের আসলামের ছেলে সাগর আহমেদ (২১) এবং একই উপজেলার জিতাশ্বরি মরিচপুরিচালা গ্রামের মৃত আবু সাইদের ছেলে নাইছ আহমেদ (২১)। দন্ডিত দুইজনকেই ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করেছেন আদালত।

মামলার অপর আসামী ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় খালাস দিয়েছেন আদালত।

টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের সহকারি কৌশুলী (এপিপি) মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস বলেন, দন্ডিত সাগর ১৩ বছর বয়সী এক স্কুল ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ২০২২ সালের ২৯ জুন রাত নয়টার দিকে নাইছকে নিয়ে ওই ছাত্রীর সাথে দেখা করতে আসেন। পরে ওই ছাত্রীকে বাসারচালা পশ্চিমপাড়া একটি জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরদিন তারা আবার একই স্থানে ডেকে নিয়ে পুনরায় ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে ওই ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে সখীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

রায় ঘোষণার সময় দন্ডিত দুইজনকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২০. মার্চ ২০২৪ ০২:০৮:এএম ৭ মাস আগে
টাঙ্গাইলে ভোক্তা অধিকারের অভিযান, মুড়ি ব্যবসায়ীকে জরিমানা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ভোক্তা অধিকারের অভিযান, মুড়ি ব্যবসায়ীকে জরিমানা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরের আওতায় ভেজালরোধে তদারকিমূলক অভিযান চালিয়ে মুড়ির মোড়কে মেয়াদ ও মূল্য উল্লেখ না করা, আয়োডিন বিহীন ইন্ডাসট্রিয়াল লবণ ও মাত্রাতিরিক্ত ফিটকিরি ব্যবহার করা এবং নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মুড়ি তৈরি করায় সুশীল শংকর মদক নামে এক মুড়ি ব্যবসায়ীকে ২৫ হাজার জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে উপজেলার নারান্দিয়া এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন- জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয়ের সহাকারী পরিচালক শিকদার শাহীনুর আলম। অভিযানে সহায়তা করেন- টাঙ্গাইল সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিনিধি জেলা স্যানিটারী পরিদর্শক মো. আনোয়ারুর ইসলাম।

শিকদার শাহীনুর আলম বলেন, প্রস্তুতকৃত মুড়ির প্যাকেটের মোড়কে মেয়াদ ও মূল্য উল্লেখ না করা, আয়োডিন বিহীন ইন্ডাসট্রিয়াল লবণ ও মাত্রাতিরিক্ত ফিটকারী ব্যবহার করা, নোংরা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে যত্রতত্রভাবে মুড়ি তৈরি করায় নারান্দিয়া এলাকায় ভেজালরোধে অভিযান চালিয়ে শিব শংকর মুড়ি মিলের এক মুড়ি ব্যবসায়ীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৫. মার্চ ২০২৪ ০১:৫৪:এএম ৭ মাস আগে
নেই অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা; টাঙ্গাইলে চার রেস্তোরাঁকে দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা - Ekotar Kantho

নেই অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা; টাঙ্গাইলে চার রেস্তোরাঁকে দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকায় চার রেস্তোরাঁ মালিকদের দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রবিবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসান বিন মুহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

ম্যাজিস্ট্রেট হাসান বিন মুহাম্মদ আলী জানান, অগ্নিকান্ড প্রতিরোধ ও নির্বাপকের ব্যবস্থা পর্যাপ্ত পরিমান না থাকায় এবং ফায়ার লাইসেন্স না থাকায় পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের সুরুচি রেস্টুরেন্টকে এক লাখ টাকা, সুগন্ধা ও ঝাউবন রেস্টুরেন্টকে ২০ হাজার টাকা করে এবং সেফাত রেস্টুরেন্টকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনেক রেস্তোরায় এলপিজি গ্যাস ঝুঁকিপূর্নভাবে ব্যবহার করতে দেখা গেছে। তাদের সতর্ক করা হযেছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, বৃহস্প‌তিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি (কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট) ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১১জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা কেউ শঙ্কামুক্ত নন। আর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৭৫ জনকে। ফলে এধরনের অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে টাঙ্গাইল শহরবাসী।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. মার্চ ২০২৪ ০৩:০৩:এএম ৭ মাস আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।