টাঙ্গাইলে প্রবাসীর স্ত্রী হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ১


০৮:২০ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
টাঙ্গাইলে প্রবাসীর স্ত্রী হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ১ - Ekotar Kantho
গ্রেপ্তারকৃত এনামুল হক

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের পূর্ব ঘোনারচালা গ্রামের প্রবাসী দুলাল মিয়ার স্ত্রী আমেনা বেগমকে (৪৫) হত্যার রহস্য উদঘাটন ও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে আসামিকে টাঙ্গাইল আদালতে সোপর্দ করে সখীপুর থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত এনামুল হক (৪১) কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হযরত আলীর ছেলে।


এর আগে হত্যা মামলা হওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে অভিযুক্তকে টাঙ্গাইল সদর থানার করটিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে সখীপুর থানা পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে।

নিহত আমেনার মেয়ে লিতু আক্তার জানান, বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে তার মা আমেনা বেগম স্বামীর সাথে মোবাইলে কথা বলতে ঘর থেকে বের হন। এরপর দীর্ঘক্ষণ ঘরে না ফেরায় বাড়ির লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে ভোরে বাড়ির পাশের একটি ধানখেতে মায়ের লাশ দেখতে পেয়ে তারা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাকির হোসেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে ওসি জাকির হোসেন জানান, গ্রেপ্তারকৃত এনামুল হক কুড়িগ্রাম থেকে সখীপুর উপজেলার পূর্ব ঘোনারচালায় নিহত আমেনাদের বাড়িতে এসে গত ৮ বছর ধরে কাজ করছেন। আমেনার স্বামী দুলাল দীর্ঘ ২২ বছর ধরে সৌদি আরবে থাকেন। এ সময় আমেনার সাথে এনামুলের পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে এনামুল তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সে তার স্ত্রীকে তালাক দেয়ার শর্তে বিয়ের জন্য রাজি হয়। এনামুল শর্ত অনুযায়ী নিজের স্ত্রীকে তালাক দিলেও আমেনা বিয়ে করতে গড়িমসি করায় এনামুল ক্ষুব্ধ হয়। পরে সুযোগ বুঝে আমেনাকে ডেকে নিয়ে গলায় উড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে বাড়ির পেছনের ধানক্ষেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

তবে গ্রেপ্তারকৃত এনামুলের বক্তব্যকে অস্বীকার করেছেন নিহত আমেনার ছেলে পারভেজ। তিনি বলেন, আমার মা কেমন তা প্রতিবেশীরা খুব ভালো করেই জানেন। মূলত সে আমার মাকে হত্যা করে এমন মনগড়া অপবাদ দিচ্ছে। এনামুল এর আগেও এলাকার অনেক নারীর বিরুদ্ধে এমন অপবাদ দিয়েছিল। তার অপবাদের কারণে অনেকের সংসারও ভেঙে গেছে।

পারভেজ আরও বলেন, এনামুল একা আমার মাকে হত্যা করেনি। সে একা এমন কাজের সাহস করতে পারবে না। নিশ্চয়ই তার সাথে আরো কেউ জড়িত আছে। আমি এনামুলসহ জড়িতদের সর্বোচ্চ বিচার চাই।


খবরটি শেয়ার করুন

কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।